Tag: Madhyom

Madhyom

  • UNFPA: ভারত দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুতায়ন, পরিশ্রুত জল ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি করেছে, প্রশংসা রাষ্ট্রপুঞ্জের

    UNFPA: ভারত দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুতায়ন, পরিশ্রুত জল ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি করেছে, প্রশংসা রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দেড় দশকে ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। ভারত দারিদ্র্য হ্রাস, বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ এবং বিশুদ্ধ জল ও স্যানিটেশনের অ্যাক্সেসকে উন্নত করেছে। এক্ষেত্রে ভারত অসাধারণ অগ্রগতি করেছে, এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা তহবিলের (UNFPA) নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া ক্যানেম। তিন দিনের ভারত সফরের (India Progress) সময় তিনি এই প্রশংসা করেন এবং দেশের রূপান্তরমূলক সাফল্য তুলে ধরেন।

    ভারতের অগ্রগতি

    ভারতের সঙ্গে ইউএনএফপিএ (UNFPA)-এর ৫০ বছরের সম্পর্কের কথা বলে ক্যানেম ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ভারতে যেভাবে দারিদ্র্য কমেছে, বিদ্যুতায়নের উন্নতি হয়েছে তা এক কথায় প্রশংসনীয়। দেশে সকলের জন্য বিশুদ্ধ জল ও স্যানিটারি সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” উল্লেখ্য, ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২১-এর মধ্যে ভারতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪১.৫ কোটি কমেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে ভারত উদাহরণ তৈরি করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৫-০৬ সালে দারিদ্রের হার ৫৫.১ শতাংশ থেকে কমে ২০১৯-২১-এ দাঁড়িয়েছে ১৬.৪ শতাংশে। 

    আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    নারীর উন্নয়নে এগিয়ে ভারত

    গত কয়েক বছর ভারতের নানা প্রান্তে ঘুরে ক্যানেম দেশের গ্রামগুলির অবস্থা স্বচক্ষে দেখেছেন। সেখানে যেভাবে উন্নতির আলো পৌঁছেছে তা বিশ্বের সব দেশের কাছে শিক্ষনীয়। ক্যানেমের মতে, যে গতিতে উন্নতি হচ্ছে তা অসাধারণ। ভারতে উন্নয়নের ছোঁয়া সব সম্প্রদায়ের উপর পড়ে। ক্যানেম প্রসূতি-মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে ভারতের (India Progress) সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। ইউএনএফপিএ (UNFPA)-এর একটা লক্ষ্যই হল কোনও নারী যেন শিশুর জন্ম দেওয়ার সময় মারা না যান। ভারত এই লক্ষ্যে সফল। ভারতে নারীর ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল পরিষেবার উন্নতি হয়েছে। ভারত ক্রমশ উন্নততর ভারতের পথে এগিয়ে চলেছে বলে জানান ক্যানেম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    Senior Doctor: ছড়াচ্ছে জেলায়! কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও দিলেন গণ-ইস্তফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সংহতির বার্তা দিতে ‘গণ ইস্তফা’র হুঙ্কার আরজি করের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) মধ্যে। প্রথম শুরু হয়েছিল আরজি কর থেকে। এবার তা ছড়িয়ে পড়ল কলকাতা মেডিক্যালের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও। এদিন দুপুরে কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররাও গণ ইস্তফা দিলেন। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একইভাবে ৪০ জনেরও বেশি ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন।

    কলকাতা মেডিক্যালে গণ-ইস্তফা (Senior Doctor)

    কলকাতা মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই ‘গণ ইস্তফা’ দিচ্ছেন। বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ‘গণ ইস্তফা’ দেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক। স্লোগান ওঠে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। পর পর দু’দিন শহরের দুই মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা ‘গণ ইস্তফা’ দেওয়ায় নবান্নের ওপর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

     উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে গণ -ইস্তফা?

    আরজি করকাণ্ডের সঠিক বিচার ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ একগুচ্ছ দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা দু’মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতেও রাজ্য সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি। সেই দাবি পূরণের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দুই জুনিয়র ডাক্তার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের  ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিদ্যুৎ গোস্বামীর হাতে প্রথম পর্বে ৩০ জন সিনিয়র ডাক্তার গণ ইস্তাফাপত্র তুলে দেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরামের অন্যতম সদস্য উৎপল  বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনশনে যে জুনিয়র ডাক্তাররা বসেছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। তাঁদের জীবন বাঁচাতে এবং রাজ্য সরকার নমনীয় হয়ে যাতে জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি পূরণ করে, তার বার্তা দিতে এই গণ ইস্তাফা (Senior Doctor) দিয়েছি।” উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার বলেন, “রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই। অপরাধ ও অপরাধীদের আড়াল করতে বেশি ব্যস্ত রাজ্য সরকার। অনশনে বসা জুনিয়র ডাক্তারদের জীবনের কথা কেন ভাবছে না সরকার? এতেই বোঝা যায় আরজি করকাণ্ডকে রাজ্য সরকার ধামাচাপা দিতে চাইছে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়িতে কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত? কোন দিকেই বা রাখবেন?

    Vastu Shastra: বাস্তুমতে বাড়িতে কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত? কোন দিকেই বা রাখবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে ভগবান গণেশকে সুখ-সমৃদ্ধি প্রদানকারী দেবতা বলে মনে করা হয়। তাঁর অপর নাম বিঘ্নহর্তা। অর্থাৎ নিজের ভক্তদের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর করেন গণেশ, এমনটাই বিশ্বাস। বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী, গণেশের মূর্তি বাড়িতে রাখা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাড়িতে কেমন গণেশ মূর্তি রাখবেন? আবার কোন দিকে গণেশের মূর্তি রাখবেন? সে বিষয়েও বিশেষ বিধান রয়েছে বাস্তু শাস্ত্রে। এই প্রতিবেদনে সে বিষয়েই আলোচনা করব আমরা।

    কোন ধরনের গণেশ মূর্তি রাখবেন?

    আম-অশ্বত্থ-নিম কাঠের গণপতি মূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে আম, অশ্বত্থ ও নিম গাছের গণেশ মূর্তি অবশ্যই রাখা উচিত। এতে গৃহে সুখ-শান্তি প্রবেশ করে।

    শ্বেতার্ক গণেশ মূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে শ্বেতার্ক গণেশ মূর্তি স্থাপন করা উচিত। বাড়িতে এ ধরনের মূর্তি লাগালে ধন-সম্পদের কোনও অভাব থাকে না।

    ক্রিস্টালের গণেশ প্রতিমা: বাস্তু শাস্ত্রে ক্রিস্টালকে সবচেয়ে উত্তম ধাতু মনে করা হয়। বাড়িতে ক্রিস্টালের গণেশ মূর্তি রাখা অত্যন্ত শুভ বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্রবিদরা।

    বসে থাকা গণেশমূর্তি: বাস্তু শাস্ত্র (Vastu Shastra) অনুযায়ী বাড়িতে সব সময় বসে থাকা মুদ্রায় গণেশ মূর্তি রাখা উচিত। এতে যে কোনও কাজে সাফল্য আসে বলে মনে করা হয়।

    লাল রঙের গণেশ মূর্তি: বিভিন্ন রঙের গণেশ মূর্তি বাড়িতে পাওয়া যায়। উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য বাড়িতে সিঁদুর লাল রঙের গণেশ মূর্তি রাখা উচিত বলে জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা।

    কোন দিকে রাখবেন গণেশ মূর্তি (Ganesha Idol)?

    ১. সুখ-সমৃদ্ধি ও বৈভবের জন্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে বা ঈশান কোণে গণেশ মূর্তি স্থাপন করা উচিত।

    ২. বাড়ির পূর্ব বা পশ্চিম দিকেও গণেশ মূর্তি রাখা যেতে পারে। বাড়ি বা দোকানে মূর্তি রাখার সময়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে, গণেশের পা যেন মাটি স্পর্শ করে।

    ৩. বাড়ির দক্ষিণ দিকে কখনও গণেশ মূর্তি রাখতে নেই। গণেশ মূর্তি এবং ঠাকুরঘরের আশপাশও যাতে নোংরা না-থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

    ৪. সিঁড়ির নীচে বা পাশে গণেশ মূর্তি (Ganesha Idol) স্থাপন করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বাস্তু শাস্ত্রবিদরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI Repo Rate: বাড়ছে না ঋণের বোঝা, টানা দশ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI Repo Rate: বাড়ছে না ঋণের বোঝা, টানা দশ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ বার রেপো রেট (RBI Repo Rate) অপরিবর্তিত রাখল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আগের মতো রেপো রেট ৬.৫ শতাংশই থাকছে। বুধবার সকালে এ কথা ঘোষণা করলেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখায় ব্যাঙ্কগুলিও তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করবে না। ফলে চাপ বাড়বে না মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের।

    কেন অপরিবর্তিত রেপো রেট

    আরবিআই (RBI Repo Rate) যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেয়, তাকেই রেপো রেট বলে। আর যে হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলে। রেপো রেট বৃদ্ধি হলে ব্যাঙ্কগুলিও তাদের সুদের হার বৃদ্ধি করে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করার পর থেকে রেপো রেট স্থিতিশীল রয়েছে। শেষ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেপো রেট পরিবর্তন করা হয়েছিল। তারপর থেকে টানা ১০ বার রেপো রেট এক রেখেছে আরবিআই। বুধবার সকালে বৈঠকে বসেছিল আরবিআই-এর ৬ সদস্যের আর্থিক কমিটি। সেখানেই স্থির হয় অপরিপর্তিত রাখা হবে রেপো রেট। মনিটারি কমিটির (Monetary Policy Meeting) ৫ সদস্যই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সপক্ষে ভোট দেন।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    আর্থিক কমিটির বৈঠক

    আরবিআই-এর (RBI Repo Rate) আর্থিক কমিটির (Monetary Policy Meeting) বৈঠক চলবে আরও দু’দিন। চলতি অর্থবর্ষের জন্য আর্থিক বৃদ্ধি ৭.২ শতাংশই থাকবে বলে মনে করছে আরবিআই-এর আর্থিক কমিটি। শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক কমিটিতে বিদায়ী তিন সদস্যের পরিবর্তে এবার জায়গা পেয়েছিলেন তিন নতুন সদস্য। আর্থিক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া তিন নতুন সদস্য হলেন দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্সের ডিরেক্টর রাম সিং, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সৌগত ভট্টাচার্য এবং ইনস্টিটিউট ফর স্টাডিজ ইন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর নাগেশ কুমার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vastu Tips: পুজোর ইতিবাচক প্রভাব পেতে ঠাকুরঘর করা উচিত উত্তর-পূর্ব কোণে, বলছেন বাস্তুবিদরা

    Vastu Tips: পুজোর ইতিবাচক প্রভাব পেতে ঠাকুরঘর করা উচিত উত্তর-পূর্ব কোণে, বলছেন বাস্তুবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বাড়ি বানিয়েছেন অথবা ফ্ল্যাট কিনেছেন, কিংবা ধরুন নতুন করে ভাড়াবাড়িতে উঠেছেন। বাড়িতে ঠাকুরঘর (Pooja Room) অপরিহার্য! প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতে ঠাকুরঘর (Vastu Tips) থাকেই। কিন্তু এটা জানেন কি, বাস্তুমতে ঠাকুর ঘর বাড়ির ঠিক কোন দিকে হওয়া দরকার? যাতে প্রার্থনার ইতিবাচক প্রভাব সব চেয়ে বেশি পড়তে পারে সেই সংসারের ওপর! বাস্তুবিদরা জানাচ্ছেন, ঈশ্বরের মঙ্গলময় আশীর্বাদ পেতে পুজোর জন্য সঠিক দিক হল, উত্তর-পূর্ব কোণ। শাস্ত্রের পরিভাষায় যাকে বলে ঈশান কোণ। শাস্ত্রবিদদের (Vastu Tips) মতে, ওই দিককার অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন বৃহস্পতি। ফলতঃ, পুজোপাঠের জন্য বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঘর বানানো সবচেয়ে সঠিক।

    দেখা দরকার, আপনার আরাধ্য দেবদেবীকে বাড়ির ঠিক কোন দিকে বসানো হয়েছে

    পুজোপাঠের গুরুত্ব (Pooja Room) হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের নানা ওঠাপড়া, সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ, সার্বিক উন্নতি— সব কিছুর জন্য আমরা আরাধ্য দেব-দেবীর ওপর নির্ভরশীল। কেউ শিবের পুজো করেন তো কেউ বজরঙ্গবলির, কেউ বা আবার দেবী দুর্গার।  তার জন্যই বাড়িতে ঠাকুরঘর বানানো অতি আবশ্যক। বাস্তুবিদদের মতে, সেই ঠাকুরঘর বাড়ির সঠিক দিকে থাকা উচিত। দেখা দরকার, আপনার আরাধ্য দেবদেবীকে বাড়ির ঠিক কোন দিকে বসানো হয়েছে। সেটা ভুল হলে জীবনে তার কুপ্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা। আর সেটা সঠিক হলে সাংসারিক জীবনে সুখশান্তি আসার সম্ভাবনা, মানসিক দিকও সঠিক থাকে।

    শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখবেন না (Vastu Tips)!

    বাস্তুবিদরা শোওয়ার ঘরে ঠাকুর না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে যে বাড়িতে জায়গার একান্ত অভাব রয়েছে, বাধ্য হয়ে শোওয়ার ঘরে ঠাকুর রাখতে হয়, সেরকম সংসারে প্রতি রাতে শোওয়ার সময় ঠাকু্রের সামনে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া অতি আবশ্যক, এমনটাই জানাচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয়, প্রতি বাড়িতেই বাস্তু পুরুষের অস্তিত্ব রয়েছে। যাঁর মাথা থাকে উত্তর-পূর্ব দিকে, মানে ঈশান কোণে (Vastu Tips) থাকে। সেই ভাবনায়, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করলে তবেই আমরা জীবনে ভালো ভালো কাজ করতে পারি। ঠিক সেই মতোই গৃহস্থ সংসারে ইতিবাচক পরিবেশ-আবহ বজায় রাখার জন্য বাড়ির বাস্তু পুরুষের মাথা সঠিক তথা ইতিবাচক দিকে থাকা ভীষণ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা। আর সেই সঠিক-ইতিবাচক দিক হল উত্তর-পূর্ব দিক বা ঈশান কোণ। বাড়ির ঠাকুরঘরের ঠিক ওপরে বা ঠিক নীচে, কিংবা ঠাকুরঘরের পাশেই বাথরুম বানানো কখনও উচিত নয় বলেও জানাচ্ছেন বাস্তুবিদরা (Vastu Tips)। এছাড়াও পুজোর ঘরে অদরকারি জিনিসপত্র রাখা উচিত নয়। এগুলোতে ঠাকুরঘর থেকে বা ইতিবাচক ভাব ক্রমশ দূরে সরে যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না। দুই দেশের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকা খুবই জরুরি। সম্প্রতি এমনই অভিমত  প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর থেকে পদ্মা পাড়ে ভারত বিরোধী মনোভাব মাথা চাড়া দিয়েছে। এই আবহে ইউনূস ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথা বললেন। তাঁর দাবি, এই সম্পর্ক হতে হবে স্বচ্ছতা এবং সমতার ভিত্তিতে। এই সম্পর্ক দুই দেশের কাছেই প্রয়োজনীয়।

    ইউনূসের মত

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বললেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাশের চাহিদা এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক এবং আমাদের মধ্যে অনেক কিছুর মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস আছে। তাই আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের ওপরও জোর দেন ইউনূস।” তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে জল বণ্টন ও মানুষের চলাচলের সমস্যার সমাধান করতে হবে।  আমাদের প্রশাসন এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এসব সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে।” সার্ক গোষ্ঠীকে পুনরায় শক্তিশালী করার কথাও বলেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    দিল্লির দাবি

    বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুসম্পর্কের কথা বললেও ভারত মনে করে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের চলতি পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রাণই বিপন্ন করছে না, বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও বিপদের মুখে ফেলছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সমাজের সব রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকার ও প্রশাসনের অংশ করা। বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ণ বন্ধ হলে, সন্ত্রাস থামলে, তবেই দুই দেশের একসাথে গিয়ে চলা সম্ভব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চরমে! ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ কেঁপে উঠল ইরান-ইজরায়েল (Iran Israel Conflict) ভূমিখণ্ড। তাহলে কি মাটির নীচেই গোপন পরমাণু পরীক্ষা (Weapon Test) করে ফেলল ইরান? উল্লেখ্য, এই বছরের ৫ অক্টোবর ইরান এবং ইহুদিদের ভূমিখণ্ডে বিরাট কম্পন অনুভূতি হতেই সামজিক মাধ্যমে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। ভূ-গর্ভে কি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল ইরান? এই প্রশ্নের উত্তর মনে হয় মিলল এবার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আচমকা হামাস আক্রমণ করলে পশ্চিম বিশ্বে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ইহুদিদের দাবি, হামাস, হিজবুল্লার মতো জঙ্গি সংগঠনকে পরোক্ষ মদত দেয় ইরান।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫ (Iran Israel Conflict)

    একসঙ্গে একাধিক ইসলামি শক্তিপক্ষের বিরুদ্ধে একাই অস্তিত্বের লড়াই করছে ইহুদিরা (Iran Israel Conflict)। এবার তাদের আরও সঙ্কটে ফেলেতে শিয়া মুসলমান রাষ্ট্র ইরান পরমাণু অস্ত্রকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। এই বোমার আতঙ্কে কার্যত যুদ্ধের তীব্রতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার ৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ১১ টা নাগাদ আচমকা কেঁপে ওঠে ইরানের সেমনান প্রদেশের আরাদান শহর। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৫। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ইজারায়েলের মাটিও কেঁপে উঠেছিল। তবে দুই কম্পন একই সময়ে হয়েছিল কিনা, তা এখন জানার বিষয়। তবে আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মাটির ১০ কিমি গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল। মাত্র ১১০ কিমি দূরে ছিল ইরানের রাজধানী তেহরান। আবার এই কম্পন সম্পর্কে ইউরোপীয় ভুমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র ইএমএসসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২ টা নাগাদ ইহুদি ভুখণ্ডে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তবে কম্পনের মাত্রা ছিল খুব সামান্য। তাহলে কি আনবিক যুদ্ধ (Weapon Test) আসন্ন মধ্যপ্রাচ্যে?

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কড়া হুশিয়ারি

    আমেরিকা জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রের খুব কাছেই এই কম্পন হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় নাকি পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ, এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে আনবিক হাতিয়ার তৈরি করছে ইরান। যেহেতু প্রতিরক্ষা গবেষণার কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে, তাই ভূগর্ভের নীচে এই পরীক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা বিষয়ক গবেষকরা। একই ভাবে এটা খুব চিন্তার বিষয়। অক্টোবরের প্রথমেই ইজরায়েলের (Iran Israel Conflict) উপর প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইরান। কিন্তু তার বেশিরভাগটাই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল। একই ভাবে এই আক্রমণের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইহুদিদের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে ইরান পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার করলে ইজরায়েলও পাল্টা শক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে থাকবে যে না, তা বলা বাহুল্য। ইতিমধ্যে হামাস, হিজবুল্লার কোমর ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েল।

    আরও পড়ুনঃকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    নটাঞ্জ হল ইরানের বড় পরমাণু কেন্দ্র

    ইরানের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্র (Weapon Test) হল নটাঞ্জ। ইহুদিরা নানা সময় টার্গেটে রেখেছে। অপর দিকে আমেরিকাও বারবার বিরোধিতা করেছে ইরানের (Iran Israel Conflict)। এই দুই দেশের গুপ্তচরদের নজরকে উপেক্ষা করে মাটির তলায় নটাঞ্জ কেন্দ্র তৈরি করেছে ইরান, এমনটাই দাবি আমেরিকার। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন ছবি প্রকাশ্যে আসেনি। পাল্টা ইরানও কোন বক্তব্য জারি করেনি। কিন্তু ইরানের বেশ কিছু এলাকায় জমিতে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখনও কোনও দেশ আমেরিকার মতো পরমাণু বোমার হামলা চালায়নি । তবে এই শক্তির অধিকারী রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ইজরায়েল। এখন ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আগামী দিনে কোন পথে যায় তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: হরিয়ানার হার হজম করাতে রাহুলকে জিলিপি পাঠাল বিজেপি, কেন জানেন?

    Rahul Gandhi: হরিয়ানার হার হজম করাতে রাহুলকে জিলিপি পাঠাল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানায় এবার হ্যাটট্রিক করল গেরুয়া শিবির। তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। হরিয়ানাতে (Haryana) প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে টানা তিনবার জিতল বিজেপি। গেরুয়া ঝড়ে ধুলিসাৎ হল কংগ্রেস-আপ। সোমবার ফল প্রকাশের পরই আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছেন বিজেপি কর্মীরা। এক্সিট পোলের হিসেবে এই রাজ্যে কংগ্রেসের বাজিমাত করার কথা। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন রাজ্যের নেতারা। আশাবাদী ছিলেন রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। সব স্বপ্নের ফানুস ফুটো করে দিয়েছে ভোটের ফল। কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করে বাজিমাত করে বিজেপি।

    বিজেপির কাছে হেরে নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস! (Rahul Gandhi)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪৬ আসন। বিজেপি একাই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ৪৯-এ। গতবারের তুলনায় ভোটের শতাংশ বেড়েছে। আর বাকি ৯০ আসনের মধ্যে হরিয়ানাতে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন, আইএনএলডি পেয়েছে ২টি আসন এবং নির্দলীয় ভাবে মোট ৩টি আসন পেয়েছে। অথচ, সোমবার সকালে যখন গণনা শুরু হয়, তখন থেকেই খুশির হাওয়া বইছিল কংগ্রেস অফিসে। প্রথম দুই রাউন্ডের গণনার পরই মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই ফলও গেল বদলে। পাশা উলটে সেই বিজেপির ঝুলিতেই গেল হরিয়ানা। ভোটের এই ফলাফল হজম করতে পারছে না কংগ্রেস। কারণ, প্রাথমিক গণনায় এগিয়ে থাকার পরও কীভাবে শেষ মুহূর্তে খেলা বদলে গেল, তা নিয়ে সন্দিহান কংগ্রেস নেতৃত্ব। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে এই নিয়ে চিঠিও দিয়েছে। এদিকে, হরিয়ানার জয় নিশ্চিত হতেই বিজেপির তরফে রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) জন্য কংগ্রেসের সদর দফতরে জিলিপি পাঠানো হয় অনলাইনে। এক্স হ্যান্ডেলে সেই অর্ডারের ছবিও পোস্ট করা হয়। যদিও এই জিলিপি পাঠিয়ে রাহুলকে খোঁচাই দিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    কেন জিলিপি পাঠাল বিজেপি?

    হরিয়ানায় নির্বাচনী প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন যে কেন্দ্রের জিএসটি-র কোপে জিলিপি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই সময়ই বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছিল যে রাহুল গান্ধী জানেনই না কীভাবে জিলিপি তৈরি হয়। এবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই রাহুলকে জিলিপি পাঠাল বিজেপি। অন্যদিকে, ভোটের ফল নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি বুথ লেভেল ম্যানেজমেন্ট দুর্দান্ত করতে পেরেছে। হরিয়ানাতে জাঠ ভোট রয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। তপশিলি জাতির ভোট ২১ শতাংশ, ওবিসি সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে ৩৩ শতাংশ। এদের মধ্যে উচ্চবর্ণ ও ওবিসি ভোটের বেশিরভাগটাই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানা বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি ওবিসি জনগোষ্ঠীর। এক্ষেত্রে বিজেপি অনেকটাই সুবিধা পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    Durga Puja: দুর্গাপুজোর কার্নিভালেও আরজি করের প্রতিবাদ? যোগদানই করতে চান না উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে দু’-একটি ছাড়া বেশিরভাগ ক্লাব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) কার্নিভালে যোগ দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু, দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। কার্নিভালে (Carnival) যোগদানের জন্য ক্লাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর যোগদান করেছিল ১৪টি ক্লাব। আর এক সপ্তাহ বাকি নেই অনুষ্ঠানের। এবার অর্ধেকও যোগদানের সদিচ্ছা দেখায়নি। প্রশাসনের তরফে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে।

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি কার্নিভালে পড়েছে? (Durga Puja)

    আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাব কি এবার তাহলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কার্নিভালে পড়েছে? প্রতিবাদের জন্যই কি ক্লাবগুলি যোগদান করতে চাইছে না? এই প্রশ্ন জেলায় কার্নিভালের মাত্র কয়েক দিন আগে উঠেছে। বালুরঘাটে ওই অনুষ্ঠানের জন্য এখনও পর্যন্ত অল্প কয়েকটি ক্লাব আসবে বলে জানিয়েছে। কয়েকটি ক্লাব দোটানায়। বাকিরা নানা কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। যদিও, এগুলির পিছনে আরজি করের কোনও প্রতিবাদ নেই বলেই দাবি করছে ক্লাবগুলি। বালুরঘাটের অভিযাত্রী ক্লাব কার্নিভালে থাকছে না। ক্লাব সম্পাদক সুমিত চক্রবর্তী বলেন, “এ’ বছর দশমীতে শহরে বড় শোভাযাত্রা (Durga Puja) এবং ভাসান করব। তাই কার্নিভালে যাওয়া সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে এটা সম্পর্কিত নয়।” পাশাপাশি, বালুরঘাট সংকেত ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি নিলয় ভাদুড়ী বলেন, “আমরা কী করব, সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।” জেলা প্রশাসনের তরফে কয়েকটি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বারবার ফোন করে অনুরোধও করতে হচ্ছে, ‘কার্নিভালে আসুন’ বলে।

    আরও পড়ুন: “শোকের পুজো কাটাতে ধর্নায় বসেছি”, বললেন আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার মা

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “কী কারণ জানি না। তবে ক্লাবগুলির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। আশা করছি, আরও কয়েকটি ক্লাব যোগদান করবে।” প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বিদ্যুতের বেশিরভাগটাই ছাড়। ৮৫ হাজার টাকার অনুদানের পরেও, একাধিক ক্লাব রক্তদানের মতো সামাজিক কাজ এবং কার্নিভালে উপস্থিত থাকতে চাইছে না। ক্লাবগুলির তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, বালুরঘাটে দশমীর দিন ভাসানের (Durga Puja) ঐতিহ্য পুরনো। তা ভেঙে দু’-এক বছর কার্নিভালে যোগদানের উৎসাহ ছিল। কিন্তু, বছর বছর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়তি ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ। বাড়তি টাকা খরচ করতে চাইছে না পুজো উদ্যোক্তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    J.P. Nadda: “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়”, হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পর বললেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজনৈতিক ঐতিহ্যের পরিবর্তন করেছেন।” হরিয়ানাতে তৃতীয় বার বিজেপির অভূতপূর্ব জয়ের পর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda)। একই ভাবে জম্মু-কাশ্মীরে একক ভাবে বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেয়ে বিরাট চমক দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার, দিল্লিতে ভোটের ফলাফলে, নবরাত্রির শুভলগ্নের আনন্দঘন পরিবেশে অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচারে কান দেয়নি  মানুষ (J.P. Nadda)

    ৯০ বিধানসভা আসনে বিজেপি পেয়েছে ৪৮টি আসন। এককভাবে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে রাজ্যে নয়া নজির গড়েছে বিজেপি। এই শুভক্ষণে দলের হয়ে নড্ডা (J.P. Nadda), পরিবর্তনের কাণ্ডারি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কৃতিত্বের শিরোপা দিয়েছেন। এদিন সদর দফতরে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থার পরিচয় হল এই জয়। হরিয়ানাতে বিরাট জয় এসেছে এবং জম্মু-কাশ্মীরেও আমাদের ভোট বেড়েছে। কংগ্রেস সব সময় মিথ্যা প্রচার করেছে। জনগণ তাদের কোথায় কোনও কান দেয়নি। দেশের মতো হরিয়ানায়ও তৃতীয় বারের মতো সরকার গড়বে বিজেপি।”

    আরও পড়ুনঃ হরিয়ানায় খাতাই খুলতে পারল না ‘আপ’, হাজার বাধার মুখেও অপ্রতিরোধ্য বিজেপি

    কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত দল

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P. Nadda) কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেস এখন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধীদের দল হিসেবে বিরাট স্বীকৃতি লাভ করেছে। কংগ্রেস স্বজনপোষণ এবং জাতপাতের রাজনীতি করে। সমাজে কীভাবে বিভাজন বাড়বে এবং মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হবে, সেই চেষ্টাই করে থাকে।” একই ভাবে আম আদমি পার্টির তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “আপ হরিয়ানায় কোনও আসন পায়নি। তাদের দুর্নীতির প্রতিফল হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অপর দিকে আমাদের গত বারের তুলনায় ভোটের শতাংশ বেড়েছে।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাকি ৯০ আসনের মধ্যে হরিয়ানাতে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৭টি আসন, আইএনএলডি পেয়েছে ২টি আসন এবং নির্দলীয় ভাবে মোট ৩টি আসন পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share