Tag: Madhyom

Madhyom

  • Parthiv Shivalinga: মাটির শিবলিঙ্গ পূজনে পূরণ হয় ভক্তদের সকল মনোবাঞ্ছা! কীভাবে তৈরি করবেন?

    Parthiv Shivalinga: মাটির শিবলিঙ্গ পূজনে পূরণ হয় ভক্তদের সকল মনোবাঞ্ছা! কীভাবে তৈরি করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরাণে ভগবান শিব ও শিবলিঙ্গের (Parthiv Shivalinga) পুজোর পদ্ধতি বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মাটির বা পার্থিব শিবলিঙ্গ পুজোর গুরুত্বও ব্যাখ্যা করা হয়েছে এখানে। মাটির শিবলিঙ্গের পুজো করলে দুঃখ-কষ্ট নাশ হয় এবং ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় বলে ধর্মীয় বিশ্বাস। শাস্ত্রবিদরা জানাচ্ছেন, শিবলিঙ্গের পুজো করার সংকল্প নিয়ে একটি পবিত্র স্থান বেছে নিন। আর নিয়ে আসুন পবিত্র নদী বা হ্রদের মাটি। মাটি শুদ্ধ করতে ফুল ও চন্দন ব্যবহার করুন। মাটি শোধনের সময় শিবমন্ত্র জপ করতে করতে মাটিতে গরুর দুধ, গুড়, মাখন ও ভস্ম মিশিয়ে শিবলিঙ্গ (Shivalinga) তৈরি করুন। শাস্ত্রবিদরা আরও জানাচ্ছেন, মাটির শিবলিঙ্গ তৈরির সময় শিবভক্তদের (Parthiv Shivalinga) মুখ পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখতে হবে। শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৮ ইঞ্চির বেশি রাখবেন না। শিবপুরাণ মতে, যে ব্যক্তি মাটির শিবলিঙ্গ তৈরি করে প্রতিদিন পুজো করেন, তিনি শিবপদ ও শিবলোক লাভ করেন। আবার যে ব্যক্তি ব্রাহ্মণ কুলে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও পুজো করে না, সে ঘোর নরকলাভ করে। 

    কীভাবে মাটির শিবলিঙ্গের (Parthiv Shivalinga) পুজো করবেন

    ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজোর সামগ্রী একত্রিত করে জল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে নিতে হবে। পার্থিব শিবলিঙ্গের (Shivalinga) পুজো করার আগে শ্রী গণেশ, ভগবান বিষ্ণু, নবগ্রহ এবং দেবী পার্বতীর পুজো করতে বলছেন শাস্ত্রবিদরা। শিবলিঙ্গে অর্পণ করতে হবে বেলপত্র, ফুল ইত্যাদি। এরসঙ্গে কাঁচা দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হবে। পঞ্চমেব, পঞ্চামৃত, মিষ্টি, ফল, ধাতুরা, ভাং ইত্যাদিও নিবেদন করতে হবে। সবশেষে মহাদেবের আরতি করতে হবে। এরপর কোনও ব্রাহ্মণের সাহায্যে পুজো করে থাকলে, তাঁকে দক্ষিণা দিন। শিবের সামনে নিজের মনস্কামনা পূরণের প্রার্থনা করুন। তার পর বিসর্জন করবেন। শিবপুরাণ অনুযায়ী এ ভাবে শিবের পুজো করলে মোক্ষ লাভ করা যায়।

    হিন্দু ধর্মে মাটির শিবলিঙ্গের (Parthiv Shivalinga) গুরুত্ব কী?

    শিবপুরাণ অনুযায়ী, মাটির শিবলিঙ্গের পুজো জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। এছাড়া যে কোনও মানসিক ও শারীরিক কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। পুরাণ অনুযায়ী, কুষ্মাণ্ড ঋষির পুত্র মণ্ডপ সর্বপ্রথম মাটির শিবলিঙ্গের পুজো শুরু করেন। মাটির শিবলিঙ্গের পুজোর সময় শিবমন্ত্র জপ করা উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Junior Doctor: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশনে দুই জুনিয়র ডাক্তার, ধর্মতলায় পুলিশি বাধা অব্যাহত

    Junior Doctor: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশনে দুই জুনিয়র ডাক্তার, ধর্মতলায় পুলিশি বাধা অব্যাহত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদ ও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন সাতজন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor)। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদও করছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এবার সেই রকমই ১০ দফা দাবি জানিয়ে আমরণ অনশন শুরু করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই জুনিয়র চিকিৎসক সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোককুমার ভার্মা।

    অনশন নিয়ে কী বললেন আন্দোলনকারী? (Junior Doctor)

    রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) ২৪ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন। এরপর সোমবার সকাল থেকেই রোগী পরিষেবার কথা মাথায় রেখে কাজে যোগ দেন ৫৮ জন জুনিয়র ডাক্তার। আউটডোর, ইনডোর, সব বিভাগেই পরিষেবা স্বাভাবিক রাখেন তাঁরা। অন্যদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২ জুনিয়র চিকিৎসক। যতদিন না ১০ দফা দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন এই অনশন চলবে বলে জানান তাঁরা। উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দশ দফা দাবি মানতে হবে। যতদিন না সেই দাবি মানা হবে ততদিন আমরণ অনশন চলবে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা এখনও স্থির নয়। তবে জুনির ডাক্তাররা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটাই সমর্থন করব।”

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    চৌকি কাঁধে করে নিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা

    ধর্মতলায় অনশনের তৃতীয় দিনে অশান্তি শুরু হয়। বৌবাজার থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, অনশনমঞ্চে বসবার জন্য যে চৌকি আনা হয়েছিল, সেগুলো ‘বাজেয়াপ্ত’ করেছে পুলিশ। রাস্তাতেই ওই নিয়ে একপ্রস্ত বাদানুবাদ হয় পুলিশ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়াল বৌবাজার থানার সামনে। জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগানে স্লোগানে ভরে ওঠে থানা চত্বর। পরে থানার মূল গেটের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। প্রায় তিন ঘণ্টা বৌবাজার থানায় বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরে ‘বাজেয়াপ্ত’ করা চৌকি ‘ছাড়িয়ে’ আনলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছেড়ে দেওয়া হয় সাইকেল ভ্যানগুলিও। সেগুলোয় কয়েকটি চাপানো হয়। কয়েকটি চৌকি নিজেরাই কাঁধে তুলে নেন ডাক্তারেরা। তার পর হাঁটা দেন অনশনমঞ্চের দিকে। সঙ্গে পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক করে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। অন্যদিকে, আন্দোলনের সমর্থনে জুনিয়র ডাক্তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিং হবে অনশনের।

    পুলিশের জুলুমবাজি!

    আন্দোলনরত এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “পুলিশ এই আন্দোলনে নানা ভাবে বাধা দিচ্ছে। বায়ো টয়লেট বসানো থেকে ডেকোরেটরদের গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া, সবেতেই গায়ের জোর দেখাচ্ছে পুলিশ। সকালে নিজেরাই বায়ো টয়লেট তৈরি করেছি। কিন্তু, এবার চৌকি আনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে খারাপ জিনিস বোধ হয় কোনও দেশের বা অন্য কোনও রাজ্যের সরকার কোনও দিন করেনি! এরা সেই রাস্তাটাও এবার দেখিয়ে দিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: মমতার ‘অনশন অস্ত্র’ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল জুনিয়র ডাক্তারদের হাত ধরে 

    RG Kar Incident: মমতার ‘অনশন অস্ত্র’ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল জুনিয়র ডাক্তারদের হাত ধরে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘অনশন অস্ত্র’কেই হাতিয়ার করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ১৮ বছর পর নিজের অস্ত্রেই ঘায়েল হচ্ছেন কি মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন বাংলার রাজনৈতিক মহলে। ২০০৬ সালে মেট্রো চ্যানেলে টানা ২৬ দিন অনশন করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তার থেকে বড় জোর ৫০ মিটার দূরত্বে মঞ্চ বেঁধে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে সাত জন, তাঁদের ১০ দফা দাবির সমর্থনে।

    অনশন অস্ত্র

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পথে রাজনৈতিক সাফল্য পেয়েছিলেন, আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) সেই পথই বেছে নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা সরকারকে বেগ দিচ্ছে। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে জাতীয় সড়কে মঞ্চ বেঁধে ২১ দিন একটানা পড়ে থেকেছেন মমতা। তার আগে ২০০৬ সালে মেট্রো চ্যানেলে অনশন করেছিলেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পরে মমতাকেও বারংবার তাঁরই দেখানো অনশন অস্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০১৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবং তার সঠিক তদন্তের দাবিতে যাদবপুরে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ২০১৫ সালেরই ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষায় পাশ করে শিক্ষক পদপ্রার্থীরা অনশনে বসেন। সেই সঙ্গে চুক্তি-শিক্ষক, বৃত্তি-শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক-সহ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মী সংগঠনের অনশন-আন্দোলন শুরু হয় কলকাতা জুড়ে। মমতাকে বেগ পেতে হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অনশনে। মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে—এই দাবিতে মেয়ো রোডে অনশনে বসেন হবু শিক্ষকেরা। সেই আন্দোলনে প্রায় ৮০ জন এসএসসি চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।  এবার একই পথে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    অনশন প্রসঙ্গে বিজেপি

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident)  বিজেপি যদিও মমতার (Mamata Banerjee) অনশনের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে এক করে দেখতে চাইছে না। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘ওটা অনশন ছিল না কি! রাতে পর্দার আড়ালে কী হত, তা নিয়ে তো ওঁর দলের লোকেরাই নানা কথা বলেন। এখন যে অনশন চলছে, তার সঙ্গে রয়েছে গোটা রাজ্যের মানুষের সমর্থন।’’ একই সঙ্গে সুকান্তের দাবি, ‘‘অনশনকে মমতার ‘অস্ত্র’ বললে আন্দোলনের এই পথকে অসম্মান করা হবে। অনশনের অনেক ঐতিহাসিক নজির রয়েছে আমাদের দেশে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar) শিয়ালদা কোর্টে প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। অভিযুক্ত সিভিকের ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

    সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! (CBI)

    সিবিআই (CBI) এফআইআর করেছিল ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (১) খুনের ধারায়। তবে চার্জশিট দিল ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণ করতে গিয়ে কাউকে হত্যা বা তাকে মৃতপ্রায় (vegetative state) করলে, সেই ধারায়। সেই সঙ্গে দেওয়া হল ১০৩ (১) খুনের ধারা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সেমিনার রুমে পৌঁছে নির্যাতিতাকে দেখে। তারপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাধা পেয়ে আঘাত করে যার ফলে নির্যাতিতা মৃতপ্রায়, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় ধর্ষণ করা হয়। অর্থাৎ সিবিআই গণধর্ষনের কোনও ধারা যুক্ত করল না এক্ষেত্রে। ঘটনাস্থলে আর কারও উপস্থিত থাকা এবং খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে সিভিক ছাড়া আর কারও যোগ খারিজ এই চার্জশিট অনুযায়ী। অভিযুক্তের বিকৃত যৌন প্রবৃত্তি এবং মানসিক বিকৃতি আছে, সেটাও উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে। মোট ১২৮ জনের বয়ান রেকর্ড করার কথা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    ধারা অনুযায়ী কী সাজা হতে পারে ধৃত সিভিকের?

    সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা ৬৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণ। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণের জেরে খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে কুড়ি বছরের কারাবাস বা জেলে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ১০৩ (১) ধারা অর্থাৎ খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে আমৃত্যু কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। মামলার দায়ভার নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় এবার শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটটি ২১৩ পাতার। সেখানে ২০০জন সাক্ষীর কথা উল্লেখ করেছে সিবিআই। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dipa Karmakar: জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসরের ঘোষণা দীপার! বললেন, ‘এটাই সরে যাওয়ার সেরা সময়’

    Dipa Karmakar: জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসরের ঘোষণা দীপার! বললেন, ‘এটাই সরে যাওয়ার সেরা সময়’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিলেন ত্রিপুরার বাঙালি মেয়ে দীপা কর্মকার। চলতি বছরই এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ভল্ট থেকে সোনা এনেছেন। তাই এই সময়কেই সরে যাওয়ার জন্য সেরা সময় বলে ব্যাখ্যা করলেন দেশের প্রথম অলিম্পিক জিমন্যাস্ট। ২০১৬ অলিম্পিকে অল্পের জন্য ব্রোঞ্জ হাতছাড়া করেছিলেন দীপা। সেই আক্ষেপ আর মিটবে না। 

    আক্ষেপ অলিম্পিক

    চোটের জন্য দীর্ঘদিন জাতীয় টিমের বাইরে ছিলেন। নির্বাসনের কারণে প্রায় ২ বছর নামতে পারেননি ফ্লোরে। তবুও দীপা ভারত তো বটেই, এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্সে অন্যতম সেরা অ্যাথলিট। অলিম্পিকের আগে নির্বাসন থেকে ফিরে জাতীয় সেরা হয়েছিলেন। তাও প্যারিস অলিম্পিকের টিমে জায়গা করতে পারেননি। সেই আক্ষেপ বোধহয় অবসেরর দিকে ঠেলে দিল দীপাকে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছিলেন দীপা। প্রোদুনোভা নিয়ে অনেক আলোড়ন পড়েছিল। কিন্তু ফাইনালে অল্পের জন্য তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। সোনা জেতেন আমেরিকার সিমোনে বাইলস। দীপা হন চতুর্থ। 

    কী বললেন দীপা

    দীপা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘সেই ৫ বছরের দীপার কথা খুব মনে পড়ছে। যারা আমাকে বলেছিল আমি কোনও দিন জিমন্যাস্ট হতে পারব না। আজ ওই দীপাকে দেখে আমি খুশি হই কারণ সে স্বপ্ন দেখার সাহস রেখেছিল।’ ত্রিপুরার ৩১ বছরের মেয়ে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। অনেক ভেবেচিন্তে তবেই এই জায়গায় এসে পৌঁছতে পেরেছি। এটাই সেরা সময়। জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নিচ্ছি। এই ক’বছরে দেশের হয়ে পারফর্ম করা আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির বিষয় ছিল। যতটা সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’

    দীপার যাত্রা

    ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমস থেকে উত্থান। ভল্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন দেশের হয়ে। ২০১৫ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের ২টো ইভেন্ট থেকে এসেছিল সোনা ও ব্রোঞ্জ। অবসর নিলেও জিমন্যাস্টিক থেকে বেশি দূরে তিনি থাকবেন না বলেও জানিয়েছেন দীপা। এখন দেখার তাঁর জীবনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    Birbhum: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন! পুলিশকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছে জনতা। রাজ্যের গেরুয়া শিবির গোটা ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্ত দাবি করেছে। ঠিক এই আবহে ফের  টাকা দিয়ে মুখ বোজানোর রাজনীতি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারপিছু একটি করে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারকে মোট ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

    মূল ঘটনা (Birbhum)

    প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেই বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার অন্তর্গত ভাদুলিয়া গ্রামে বিস্ফোরণটি ঘটে। ভাদুলিয়ার গঙ্গারামচক মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেড কোলিয়ারিতে (জিএমপিএল) বিস্ফোরণে নিহত হন জয়দেব মুর্মু, সোমলাল হেমব্রম, মঙ্গল মারান্ডি, জুডু মারান্ডি, পলাশ হেমব্রম, রুবিলাল মুর্মু। মৃতদের সকলেরই বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে৷ বিস্ফোরণের অভিঘাতে তাঁদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে দেহাংশ। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালান জিএমপিএল-এর আধিকারিক এবং উপরতলার কর্মীরা। এরপর পুলিশ পৌঁছলে তাদেরকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য একটি ট্রাকেই বিস্ফোরক আনা হয়েছিল। যে পরিমাণ বিস্ফোরক দু’টি ট্রাকে আনা হয়, সোমবার তা একটি ট্রাকে করেই নিয়ে আসা হয়েছিল। তাই ওভারলোডিংয়ের জেরেই এই বিস্ফোরণ কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে।

    এনআইএ দাবি বিজেপির 

    ইতিমধ্যেই এনআইএ (NIA) তদন্ত চেয়েছেন দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। ঘটনাস্থলে গিয়ে মানুষজনের সঙ্গে সোমবার কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। পরে সংবাদমাধ্যমকে অনুপ সাহা বলেন, ‘‘যা ঘটেছে, তা খুবই মর্মান্তিক৷ বিস্ফোরণে এতগুলো প্রাণ গেল। প্রশাসনের মদতে এই কয়লা খনি চলে। জঙ্গল কেটে খনি করা হয়, অনুমোদন ছা়ড়াই গভীর খনন করা হয়৷ আর বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি খোলা রাস্তা দিয়ে আসছে? আজ যদি এই বিস্ফোরণ জনবহুল এলাকায় ঘটত কী হত? প্রশাসন এ ভাবে দায়িত্ব এড়াতে পারে না৷ আমরা চাই এনআইএ তদন্ত হোক। তা হলেই সত্য সামনে আসবে।’’

    কীভাবে এত ডিনামাইট সেখানে মজুত হল? প্রশ্ন বিজেপি নেতার

    বীরভূমের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ নিয়ে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিবৃতিও জগন্নাথবাবু নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘পুলিশের উপর মানুষের কোনও আস্থা নেই। বীরভূমের ভাদুলিয়ায় খনিতে বিস্ফোরণের পর ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কীভাবে এত ডিনামাইট সেখানে মজুত হল? কোনও বিশেষজ্ঞ ছিলেন নাকি যে আদিবাসীদের প্রাণ গেল তাঁরাই ডিনামাইট ফাটিয়ে কয়লা তুলতো। এই অসাধু চক্রের মূলে আঘাত করতে হবে। না হলে মাননীয়ার পুলিশকে এভাবেই জনগণ তাড়িয়ে দেবে। সেই সঙ্গে এই সরকারটাকেও।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nobel Prize 2024: জিনের নিয়ন্ত্রক নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পাচ্ছেন অ্যামব্রোস ও রুভকুন

    Nobel Prize 2024: জিনের নিয়ন্ত্রক নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পাচ্ছেন অ্যামব্রোস ও রুভকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বছর নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize 2024) পেলেন আমেরিকার দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। জীবকোষের মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের ট্রান্সক্রিপশনের পর কীভাবে তাদের ভূমিকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়েই গবেষণা করছিলেন এই দুই বিজ্ঞানী। ডায়াবেটিস থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত মানব-শরীরের নানা ধরনের রোগের পিছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জিনই দায়ী। ভিক্টর এবং গ্যারির গবেষণার ফলে জিনের নিয়ন্ত্রক সম্পর্কে বিশদে জানা গিয়েছে। 

    নোবেলজয়ীদের পরিচয়

    সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের নোবেল প্রাপক হিসেবে আমেরিকার দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে, এই দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন নীতির খোঁজ দিয়েছে। এই নীতি বহুকোষী জীবদের জন্য অপরিহার্য। যার মধ্যে মানুষ-ও রয়েছে। পোলিশ বংশোদ্ভূত জীব রসায়নবিদ ভিক্টর আমেরিকার নাগরিক। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রাক্তনী। জিন বিশেষজ্ঞ গ্যারি ম্যাসাচুসেটস হাসপাতালের জৈব অনুবিদ্যার গবেষক তথা বোস্টনের হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের জিনবিদ্যার অধ্যাপক। 

    নোবেল জয়ীদের কাজ

    ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি আরও জানিয়েছে, কীভাবে মানুষের ডিএনএর মধ্যে থাকা একই জেনেটিক তথ্য থেকে মানুষের হাড়, স্নায়ু, ত্বক এবং হৃদপিণ্ডের কোষ-সহ বিভিন্ন ধরণের বিশেষ কোষের জন্ম হয়, সেই সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে অ্যামব্রোস এবং রুভকুনের গবেষণা। অভিন্ন জেনেটিক উপাদান থাকা সত্ত্বেও, কীভাবে এই বিভিন্ন টিস্যুগুলি বিকাশিত হয়, সেই জটিল প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করেছে তাঁদের কাজ। আর্থিক পুরস্কার হিসেবে মার্কিন বিজ্ঞানী জুটি ১ কোটি ১০ লক্ষ সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ৯,২৩,৬৭,৫০১ টাকা) পাবেন, যা তাঁদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অনুপ্রবেশে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি, আশ্বাস বিজেপির

    BJP: অনুপ্রবেশে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি, আশ্বাস বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যে এনআরসি করার আশ্বাস দিল বিজেপি (BJP)। ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ (Bangladeshi Infiltration) এখন বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে জনবিন্যাসের পরিবর্তনও দেখা গিয়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের কারণে। বিজেপির অভিযোগ, এই অনুপ্রবেশকে বরাবরই ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। তাই এই নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় এলে সে রাজ্যে এনআরসি হবে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডকে রক্ষা করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শিবরাজ সিং চৌহানের মতে, ‘‘অনুপ্রবেশ শুধুমাত্র ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাসের পরিবর্তন করেনি, এর পাশাপাশি উপজাতিদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাঠামোকেও তা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।’’

    কী বললেন শিবরাজ

    শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, ‘‘বিজেপির (BJP) বিস্তারিত ইস্তেহার শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। তবে এই নির্বাচন শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের জমি, আমাদের কন্যা এবং আমাদের জীবিকাকে রক্ষা করতে পারি। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কারণে সাঁওতাল পরগনার জনবিন্যাসের পরিবর্তন উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা সময় উপজাতিদের জনসংখ্যা ৪৪ শতাংশ ছিল, যা বর্তমানে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অবিরাম অনুপ্রবেশের কারণেই এটা হয়েছে।’’

    নিশানা হেমন্ত সোরেনকেও 

    এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে নিশানা করে শিবরাজ সিং চৌহান আরও বলেন, ‘‘ভোট ব্যাঙ্কের লোভে সোরেন সরকার আধার কার্ড থেকে শুরু করে ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সবটাই করে দিয়েছে এদের। অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Infiltration) আমাদের জমি দখল করছে, আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে তাদের শোষণ করছে এবং আমাদের মেয়েদের নির্মমভাবে হত্যা করছে।’’ প্রসঙ্গত, গত মাসে ঝাড়খণ্ড সফরের সময় প্রায় একই ধরনের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও এবং তিনিও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Incident: দেরি হলেই ছিটকে যেত ট্রেনের ইঞ্জিন! অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল কয়েক হাজার যাত্রীর

    Rail Incident: দেরি হলেই ছিটকে যেত ট্রেনের ইঞ্জিন! অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল কয়েক হাজার যাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাস সিলিন্ডার, পাথরের পর এবার রেললাইনে (Rail Incident) ট্র্যাকজুড়ে মাটি ফেলা হল! যার জেরে ফের একবার বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু লোকো পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে তেমন কিছু হয়নি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের রঘুরাজ সিং স্টেশনের কাছে। প্রাণে বাঁচলেন কয়েক হাজার যাত্রী। কে বা কারা রেললাইনে মাটি ফেলে গেল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Rail Incident)

    রবিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বরেলির রঘুরাজ সিং স্টেশনের ট্র্যাকে (Rail Incident) মাটির স্তূপ দেখা যায়। বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে মাটি ফেলা হয়েছিল। সেই সময়েই ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের। কিন্তু স্টেশন ঢোকার মুখে কিছুটা দূর থেকেই ওই মাটির স্তূপ দেখতে পান লোকো পাইলট। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ট্রেন থামানোর জন্য ব্রেক কষেন। সময় মতো দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। ফলে, হাজার হাজার যাত্রী প্রাণ বেঁচে গিয়েছে। যদি চালক না দেখতে পেতেন, তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তবে ভাগ্যক্রমে সঠিক সময়ে লোকো পাইলটের চোখে পড়ে যে সামনে রেললাইন জুড়ে মাটি ফেলা রয়েছে। তিনি ব্রেক কষতেই কোনওক্রমে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। পরে রেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হলে, তারা এসে রেললাইন থেকে মাটি সরান। ফের ওই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: সিভিক সঞ্জয়ই খুন-ধর্ষণ করেছে, ৫৫ দিনের মাথায় কোর্টে চার্জশিট দিল সিবিআই

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    রেল (Rail Incident) আধিকারিক দেবেন্দ্র ভাদোরিয়া বলেন, “কারা এই কাজ করেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে রেললাইন থেকে মাটি অল্প সময়ের মধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয় যাতে ট্রেন চলাচলে বেশিক্ষণ বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু কে এই কাজ করল তার একটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেল স্টেশনের আশেপাশের একটি এলাকায় রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। সেখান থেকে মাটি আনা-নিয়ে যাওয়ার কাজ হচ্ছে। রবিবার রাতে এক ট্রাক চালক মাটি নিয়ে যাওয়ার সময়ই তা রেললাইনে ফেলে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। তবে বিষয়টি কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    কড়া নজরদারি রয়েছে রেলের

    বিগত কয়েক মাসে এই ধরনের একাধিক ঘটনা (Rail Incident) সামনে এসেছে। তার জেরেই সাধারণ মানুষ এখন কার্যত ট্রেনে উঠতেই ভয় পাচ্ছেন। যদিও দেশের সব রাজ্যের সরকার, পুলিশের ডিজি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র সঙ্গে কাজ শুরু করেছে ভারতীয় রেল। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, যারা ধারাবাহিকভাবে রেল ট্র্যাকে নানা বস্তু ফেলে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে, তারা কোনও ভাবেই ছাড় পাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    Park Street: মহিলা সিভিকের শ্লীলতাহানি! পার্কস্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানায় কর্মরত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক সাব ইন্সপেক্টর। ধৃতের নাম অভিষেক রায়। তিনিও পার্ক স্ট্রিট থানায় কর্মরত রয়েছেন। রবিবার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই ওই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ় করে দেয় লালবাজার। শুরু হয় তদন্ত। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    কী অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে? (Park Street)

    কয়েকদিন আগেই একটি অভিযোগপত্রে মহিলা সিভিক (Civic Volunteer) লেখেন, “আমি ২০১৭ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি। এখন পার্ক স্ট্রিট থানার (Park Street) অধীনে রয়েছি। চার তারিখ রাত ৯টা থেকে আমি ডিউটি করছিলাম। সে সময়ে ওই অফিসার আমাকে তাঁর গার্ডকে দিয়ে তাঁর রেস্টরুমে ডেকে পাঠান। পার্ক স্ট্রিট থানার তিনতলায় অবস্থিত ওই ঘর। রাত প্রায় ১টা ১০ নাগাদ আমি সেখানে যাই, যা ক্যালেন্ডারের হিসেবে ৫ অক্টোবর তারিখ।” চিঠিতে তিনি বলেন, “ওই এসআই অফিসার আমায় পুজোর উপহার হিসেবে একটি নতুন সালোয়ার কামিজ দেন। আমি সেটি নেওয়ার সময়ে তিনি আমার শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করেন। আমি বাধা দিলে তিনি বলেন এটা কোনও ব্যাপার নয়। তিনি আমায় মৌখিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়ারও চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পরে আমি আমার ছোট ভাইকে ফোন করি এবং সে কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসে। একটি ডায়েরি করতে চাই। কিন্তু ডিউটি অফিসার রণবীর দাস আমার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। আমায় বলা হয় থানাতেই কথা বলে মিটিয়েনিতে। ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে।” চিঠিটি রাজ্যের মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও পার্ক স্ট্রিট থানার ওসি- কে পাঠানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, এর আগেও এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটিয়েছেন অভিযুক্ত ওই অফিসার। তিনি লিখেছেন, “এর আগেও ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে দুপুর দেড়টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় তিনি পার্ক স্ট্রিট থানার কম্পিউটার রুমে আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।” ওই মহিলা আরও লিখেছেন, যে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তিনি কোনও ডিউটি পালন করবেন না। নিচুতলার কর্মীর সঙ্গে ওই অফিসার যে আচরণ করেছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই চিঠিকে এফআইআর হিসেবে দায়ের করে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: জয়নগরে জুনিয়র-সিনিয়র জাক্তার থেকে আইনজীবীর প্রতিনিধিরা, সিবিআই চাইছে পরিবার

    অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় লালবাজার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় (Park Street) তদন্ত শুরু হয়। তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তখনই আভাস দেওয়া হয়েছিল, যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার সকালে ওই এসআই-কে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share