Tag: Madhyom

Madhyom

  • Jammu Kashmir: আজ জম্মু-কাশ্মীরে তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন, ৪০ কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ

    Jammu Kashmir: আজ জম্মু-কাশ্মীরে তৃতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন, ৪০ কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir)। উপত্যকার মোট ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৫,০৬০ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। জম্মু কাশ্মীরে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, শেষ দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৪০ লাখ। মোট প্রার্থী রয়েছেন ৪০৫ জন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার (Assembly Election) ভোটে জম্মু ডিভিশনের ২৪টি এবং কাশ্মীরের ১৬টি আসনে ভোটাভুটি হবে।

    প্রথম দফায় ৬১ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ৫৭.৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল  

    প্রসঙ্গত, ১০ বছর পরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিধানসভার ভোট হচ্ছে, প্রথম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ১৮ সেপ্টেম্বর। ৯০ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ২৪টি আসনে ভোট হয়েছিল, ২৫ তারিখে জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ওইদিন ২৬টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। আজ তথা মঙ্গলবার রয়েছে শেষ দফার ভোট। প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল প্রায় ৬১ শতাংশ। ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে প্রায় ৫৭.৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। মঙ্গলবার (Assembly Election) সকাল থেকে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, দিনের শেষে বোঝা যাবে কত শতাংশ ভোট পড়ল।

    কোন কোন আসনে ভোট (Jammu Kashmir)  

    কাশ্মীর উপত্যকার কারনা, ত্রেগাম, কুপওয়ারা, লোলাব, হান্দওয়ারা, লাঙ্গাতে, সপোর, রাফিয়াবাদ, উরি, বারামুল্লা, গুলমার্গ, ওয়াগুরা-কৃরি, পাট্টান, সোনাওয়ারি, বন্দিপোরা এবং গুরেজে ভোটগ্রহণ চলছে। পাশাপাশি জম্মুর উধমপুর পশ্চিম, উধমপুর পূর্ব, চেনানি, রামনগর, বানি, বিল্লাওয়ার, বাসোলি, জাসরোতা, কাঠুয়া, হিরানগর, রামগড়, সাম্বা, বিজয়ুুর, বিষ্ণা, সুচেতাগড়, আরএস পুরা, জম্মু দক্ষিণ, বাহু, জম্মু পূর্ব, নাগরোটা, জম্মু পশ্চিম, জম্মু উত্তর, মাড়, আখনুর এবং ছাম্বে ভোটগ্রহণ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctors: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    Junior Doctors: রাজ‍্যজুড়ে ফের কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের, সিদ্ধান্ত জিবি বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors) হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন যে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কী হয়, তা দেখে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ (Medical Colleges) এবং হাসপাতালগুলিতে ফের তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করবেন। সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের ৮ ঘণ্টার জিবি বৈঠক হয়, তারপর সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবিষয়ে। জুনিয়র ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তাঁরা কর্মবিরতিতে (Indefinite Cease Work) যাচ্ছেন।

    নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য (Junior Doctors)

    প্রসঙ্গত, পানিহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সরা কর্মবিরতি চালাচ্ছেন। সেখানে তাঁরা মোট ১০ দফা দাবি পেশ করেছেন। সেই দাবি পুরো না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি (Indefinite Cease Work) যে চলবে তা জানিয়ে রেখেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। সোমবার জিবি বৈঠক শেষে চিকিৎসকদের দাবি, রাজ্যের তরফ থেকে বারবার নিরাপত্তার আশ্বাস মিলেছে কিন্তু কোনও নিরাপত্তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করতে পারেনি রাজ্য সরকার। এ নিয়ে তাঁরা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Junior Doctors) ঘটে যাওয়া সম্প্রতি উদাহরণও টেনেছেন। আন্দোলনকারীরা জানান, সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারায় পূর্ণ কর্মবিরতির (Indefinite Cease Work) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    ১০ দফা দাবি পেশ

    ডাক্তারদের (Junior Doctors) তরফ থেকে যে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে সেগুলি হল- আরজি করের নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে (Medical Colleges) কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করা, থ্রেট কালচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা, দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে।

    সুপ্রিম শুনানিতে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব

    অন্যদিকে, সোমবার দেশের শীর্ষ আদালতে শুনানি চলাকালীন আরজি কর মামলায় ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব উঠে আসে। এর পাশাপাশি, তদন্তের আওতায় আসা হাসপাতালের সাত জনকে আপাতত সাসপেন্ড করারও দাবি জানান আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তদন্তের অধীনে যাঁরা রয়েছেন সেই নামের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তখন রাজ্যের আইনজীবী জানান, পাঁচ জনকে ইতিমধ্যে নিলম্বিত করা হয়েছে। কোন পাঁচ জনকে নিলম্বিত করা হয়েছে, সেই নামের তালিকাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 01 october 2024: পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 01 october 2024: পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসার কাজে মাথা ঠান্ডা রাখুন।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ বিদ্যমান।

    ২) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা।

    ২) বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মঙ্গলেই মিছিল ডাক্তারদের, রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মঙ্গলেই মিছিল ডাক্তারদের, রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। আবারও কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ভর্ৎসিত হল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ রাজ্যকে বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন।” পরে অবশ্য তিনি শর্তসাপেক্ষে মিছিলের (Doctors Rally) অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও।

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা আদালতের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। পুলিশের অনুমতি না মেলায় উদ্যোক্তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই মেলে মিছিলের অনুমতি। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন। তাহলে কোনও আন্দোলন, মিটিং-মিছিল হবে না। দুর্গাপুজো হবে না। অথচ এই শহরে আমি ৪০-৫০ বছরের কাটানো জীবনে দেখেছি, মিটিং-মিছিল হয়। পুলিশ তা নিজের মতো করে সামালও দেয়।”

    মিছিলের অনুমতি দিল আদালত

    তিনি বলেন (Calcutta High Court), “কোনও মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে মিছিলে হাঁটলে তাঁকে কে নিষেধ করবে? পুলিশ নাকি ডাক্তাররা? নাকি বাইরের লোক ঢুকেছে দেখে ডাক্তাররা মিছিল বন্ধ করে দেবেন? বাস্তবটা দেখার চেষ্টা করুন।” বিচারপতি বলেন, “শহরের মানুষ যদি পথে নেমে আসে, তখন কি পুলিশ বলতে পারে রাস্তায় যানজট হয়ে গিয়েছে, আপনারা বন্ধ করুন?” তিনি মনে করিয়ে দেন, “সুরক্ষা দেওয়া পুলিশের কাজ।” এর পরেই শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। পথে নামবে ৫৫টি সংগঠন। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। পুলিশের অনুমতি না মেলায় সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। আদালতের হস্তক্ষেপে (Doctors Rally) শেষমেশ কাটে জট (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: মঞ্চের ফ্যান, লাইট খুলে সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বানচালের চেষ্টা

    Junior Doctor: মঞ্চের ফ্যান, লাইট খুলে সাগর দত্তে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বানচালের চেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিক্যাল (Sagar Dutta Medical) কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার আচমকাই বিকেলে ডেকোরেটর্সের লোকজন এসে আন্দোলন মঞ্চ থেকে ফ্যান, লাইট, সাউন্ড বক্স খুলতে থাকে। সেগুলো গাড়িতেও তুলে নেওয়া হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে ধন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে ডেকোরেটর্সের লোকজন পিছু হটতে বাধ্য হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Junior Doctor)

    সাগর দত্তে চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) আন্দোলন শুরু করেছেন। এদিন সেই আন্দোলন চতুর্থ দিনে পড়ল। এদিন বিকেলে ডেকোরেটর্সের লোকজন এসে আন্দোলন মঞ্চ থেকে ফ্যান, লাইট, সাউন্ড বক্স খুলতে থাকে। খুলে সেগুলো গাড়িতেও তুলে নেওয়া হয়। শেষে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান মঞ্চ থেকে নেমে রাস্তাতেই ওই গাড়ির সামনে ও পিছনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সন্ধ্যায় বাধ্য হয়ে খুলে ফেলা ফ্যান, লাইট নতুন করে ইনস্টল করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনার পিছনে চক্রান্ত দেখছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, ডেকোরেটর্স সংস্থার মালিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “না জানিয়ে ফ্যান, লাইট খোলা ভুল হয়েছে। আমার ভাই ইমরান খুলতে এসেছিল। আসলে আমাদের অন্য জায়গায় অর্ডার নেওয়া রয়েছে। সেজন্যই তা খোলা হয়েছিল, কারও কোনও চাপে নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন?

    এদিনের ঘটনার সঙ্গে কয়েক দিন আগে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) আন্দোলন মঞ্চ থেকে সমস্ত ফ্যান, লাইট খুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার মিল পাচ্ছেন সাগর দত্তের আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবে আমাদের আন্দোলন ভাঙতেই এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বরং, এই ধরনের চেষ্টা যত করা হবে, আমাদের আন্দোলনের ঝাঁঝ তত বাড়বে। হাসপাতালের সুপার সুজয় মিস্ত্রি বলেন, “যদি কেউ কিছু ভাড়ায় দেয় তা আচমকা খোলা যায় নাকি? আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা আমার কাছে এসেছিলেন। আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখার জন্য আমি কামারহাটি থানার পুলিশকে অনুরোধ করি। পরে, আবার ফ্যান, লাইট ইনস্টল করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টিতে দেবী দুর্গা হলেন স্বদেশমাতা বঙ্গভূমি জননীভূমি

    Durga Puja 2024: বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টিতে দেবী দুর্গা হলেন স্বদেশমাতা বঙ্গভূমি জননীভূমি

    ড. সুমন চন্দ্র দাস

    বঙ্গদেশে দুর্গোৎসব (Durga Puja 2024) মাতৃ আরাধনা হল দেশমাতৃকার পুজো। এই দুর্গাদেবী দেশমাতৃকা হলেন বাঙালি সন্তানের প্রসূতি মাতা বঙ্গভূমি বঙ্গপ্রতিমা। এই স্বদেশ দুর্গাদেবী মাতৃকা শুধু বঙ্গদেশের মাতৃভূমি নন, সমগ্র ভারতবর্ষের মাতৃসাধনার প্রকৃত আরাধ্য দেবী এবং শক্তির প্রকাশ। তাই তো বঙ্গভূমি তথা ভারতবর্ষ শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড নয়, এটি ভারতীয় জাতি সম্প্রদায়ের মাতৃভূমি (Bangabhumi Jananibhumi)। দেবীদুর্গা হলেন স্বদেশমাতা তথা ভারতমাতা। ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের কাছে দেবী দুর্গার স্বরূপ কেমন ছিল? এই বিষয়ে আলোচ্য প্রবন্ধে মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করব। পরাধীন ভারতে দুর্গোৎসবের স্বরূপ কেমন ছিল, তাই এখানে আলোচ্য বিষয়।

    সন্তানপালিনি, দুর্গতি নাশিনি দুর্গা(Durga Puja 2024)

    বঙ্কিমচন্দ্র ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ প্রবন্ধ সংকলনে ‘আমার দুর্গোৎসব’ (Durga Puja 2024) নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এই প্রবন্ধে কমলাকান্ত আফিম খেয়ে নেশা করে প্রলাপ করলেও মূলত বঙ্গভূমির স্বরূপকে আরাধ্য মৃন্ময়ী দুর্গার চিন্ময়ী বঙ্গজগদ্ধাত্রীকেই সন্ধান করেছেন। কার্যত কমলাকান্ত ভট্টাচার্য আফিম খেলেও সপ্তমীর শারদীয়ায় স্বদেশ মাতৃকার বন্দনাকে পরাধীন ভারতবর্ষের সম্মুখে দ্বেষকদলিনী, সন্তানপালিনি, দুর্গতি নাশিনী, পাপতাপভয়শোকনাশিনী মাতৃশক্তিকে অত্যন্ত ভক্তি দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ঋষি বঙ্কিমের এই স্বদেশ বঙ্গভূমিতে বঙ্গপ্রতিমার রূপকে শুধু তাঁর সময়ে সীমাবদ্ধ রাখেননি, স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষ তথা একবিংশ শতকের ভারতবর্ষের জন্য এখনও কীভাবে প্রাসঙ্গিক, সেই কথাই তুলে ধরেছেন।

    সাম্রাজ্যের আগ্রাসনে নিমজ্জিত মৃন্ময়ী

    বঙ্গে ধর্ম দর্শন সংস্কৃতি প্রবাহের মধ্যে শাক্ত মত একটি অতি প্রাচীন ধর্মপন্থা। কমলাকান্ত সপ্তমী পুজোর (Durga Puja 2024) দিন প্রতিমা কেন দেখতে গেলেন, এই কথা বলে বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমার স্বরূপ আত্মচৈতন্যকে মন্থন করেছেন। মাকে অন্বেষণ করতে গিয়ে বঙ্গভূমিতে নিজের অস্তিত্ব স্বরূপ বলেন, “কালের স্রোতে দিগন্ত ব্যাপিয়া প্রবলবেগে ছুটিতেছে-আমি ভেলায় চড়িয়া ভাসিয়া যাইতেছি।” এই কালস্রোত হল অনন্ত অকূল অন্ধকার এবং কালসমুদ্রে নিতান্ত একা মাতৃহীন কমলাকান্ত, বঙ্গজননীকে আত্মানুসন্ধান করতে এসেছেন। কিন্তু এই মা কমলাকান্তের কাছে, “আমার জননী জন্মভূমি-এই মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী-অনন্তর-ভূষিতা-এক্ষণে কালগর্ভে নিহিতা।” পরাধীন বঙ্গদেশের বঙ্গপ্রতিমাকে শুধু রাজনৈতিক ভাবে ব্রিটিশ পরাধীনতাকে বিশ্লেষণ করতে অন্ধকার সমুদ্রের কালস্রোতে নিহিত থাকা জননী বঙ্গভূমির কথা বলেননি, বঙ্গভূমিতে বিদেশী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যের আগ্রাসনে নিমজ্জিত মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী অনন্তরত্নে ভূষিতা প্রতিমাকে স্মরণ করেছেন। কমলাকান্ত সেই বঙ্গদেশের বঙ্গ জননীকে চিনতে চাইছেন, যে মা বিদেশী ধর্ম-সংস্কৃতির রাজনৈতিক শাসনের কবলে বঙ্গদেশরই কালগর্ভে অন্তর্লীন হয়ে আছেন। অন্তর্লীন মা শক্তিকে জাগ্রত করে কালগর্ভ থেকে তুলে এনে বঙ্গজননীকে (Bangabhumi Jananibhumi) প্রতিষ্ঠা করাই হল তাঁর আসল উদ্দেশ্য।

    সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা

    দুর্গোৎসবের (Durga Puja 2024) এই মা হলেন দশভূজা, তাঁর পদতলে শত্রু নিস্পিড়ীনে নিযুক্ত। এই মূর্তি নানা প্রহরণপ্রহারিণী শত্রু মদ্দিনী, বীরেন্দ্রপৃষ্ঠবিহারিনী, দক্ষিণে লক্ষ্মী বামে বিদ্যাজ্ঞানমূর্তিময়ী সঙ্গে বলরূপী কার্তিক এবং কার্যসিদ্ধিরূপী গনেশ উপস্থিত। এই দেবীর স্বরূপ হল, সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা। উল্লেখ্য এই বঙ্গপ্রতিমার স্বরূপ হল মৃন্ময়ী মৃত্তিকারূপিনী দেবী দুর্গা মা। এই শক্তি রূপী সর্ব মঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে হলেন সপ্তমী পুজোর দুর্গা এবং একই সঙ্গে বঙ্গদেশের জননী জন্মভূমি। তাই বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর সমকালে বাঙালি দুর্গোৎসবের দুর্গা মায়ের স্বরূপের স্পষ্ট রূপটিকে ভারতীয়দের মননের অনন্তজলমগ্ন থেকে বিশ্ব-বিমোহিনী মূর্তি জগতের সামনে প্রকাশ করেছেন। দেবী দুর্গার এই হল যথার্থ রূপ। দুর্গোৎসবের দুর্গা মা হলেন বঙ্গ জননীকে স্বদেশ মাতৃকা। বঙ্কিমচন্দ্রের কমলাকান্ত মায়ের দেখা এই রূপ এখনকার পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গদেশের ছয় কোটি বঙ্গ সন্তানের দ্বাদশ কোটি জোড় হাতে নবরাগঙ্গিনি নববল ধারিনি নবদর্পে দর্পিণি নব স্বপ্নদর্শিনি মাকে গৃহে ডাকছেন। এই মা হলেন স্বদেশ চেতনার বিশেষ চৈতন্য।

    মায়ের প্রকাশই বঙ্গভূমি

    এই মাকে বঙ্গদেশের সন্তানরা মা প্রসূতি রূপে ডাকবেন এবং ধাত্রি ধরিত্রি ধনধান্য দায়িকেও ডাকবেন। এই দেবী সিন্ধু পূজিত সিন্ধু-মথনকারিনি, শত্রু বধে দশভূজে দশ প্রহরণ-ধারণি এবং অনন্ত শ্রী কালস্থায়িনি। আবার মাকে বলেছেন, তুমি অনন্ত শক্তি প্রদায়িনি মাতা শক্তি দাও তোমার সন্তানদের। এই শক্তি আরাধনা ও আত্মানুসন্ধান শুধু পরাধীন ভারতবর্ষের চিন্তা চৈতন্যের কালসীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়, পাঁচশ বছরের মুসলমান শাসন, দুইশ বছরের ইংরেজ শাসন, চৌত্রিশ বছরের বামপন্থী শাসন এবং তের বছরের তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনের পরও পশ্চিমবঙ্গে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গভূমি বঙ্গপ্রতিমা জননীকে উত্থান করতে হবে। বাংলাদেশে উগ্র মুসলমান ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে দুর্গাপুজো প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। তাই বঙ্কিমের বঙ্গের স্বরূপ কতটা সুরক্ষিত সেটাও প্রাসঙ্গিক।  

    না হয় ডুবিব মাতৃহীনের জীবনে কাজ কি?

    সাংস্কৃতিক সামাজিক ধর্মীয় রাজনৈতিক পরাধীনতা থেকে বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমাকে মুক্ত করতে তাই দেবী দুর্গার শক্তি সাধনা হল স্বদেশ বঙ্গভূমি দেশমাতৃকার সাধনা। এই সপ্তমীতে শারদীয়া দেবী শক্তির আরাধনা হল স্বদেশ বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমার সাধনা। এই সাধনাই যথার্থ সাধনা। তাই বলেছেন “না হয় ডুবিব মাতৃহীনের জীবনে কাজ কি? আইস, প্রতিমা তুলিয়া আনি..।” এই উক্তি নিছক শুধুমাত্র মাতৃ আরাধনার শক্তি নয়, এটি হল এক রাষ্ট্র ভাবনার স্বদেশ মাতার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভাবনা। মাতৃভূমির স্বাধীনতা জাতীয়তাববোধ সার্বভৌমত্ব আত্ম অভিমান এবং স্বদেশ গৌরবের প্রতীক স্বরূপ বঙ্গদেশ তথা অখন্ড ভারত রাষ্ট্রের কল্পনা এই দুর্গোৎসবের দেবী আরাধনায় লুকিয়ে আছে। এই দেবী দুর্গার মাতৃসাধনা (Durga Puja 2024) পরবর্তী কালে দেশমাতৃকার বন্দনা স্বরূপ সারা ভারতবর্ষে বন্দেমাতরম্ ধ্বনিতে মুখরিত হয়। আজকের পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদী ঐক্যের মূলমন্ত্র দেবী দুর্গার বন্দনা।

    স্বধর্মকে বঙ্গদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে

    বঙ্কিমচন্দ্রের সময়কার শুধু পরাধীন ভারতবর্ষেই নয়, স্বাধীনতা উত্তর পচাত্তর বছর পরেও জাতীয়তাবাদী দেশমাতৃকার আরাধনা-বন্দনা এখনও প্রাসঙ্গিক। বঙ্গদেশ অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে দেশমাতৃকার আরাধনায় দশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী (Durga Puja 2024) শক্তিকে করা দরকার। তাই বঙ্কিমের লেখা আজও প্রাসঙ্গিক। সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ কমিউনিস্ট রাজনীতি এই দেবী দুর্গার শক্তি সাধনার রূপকে বিকৃত করেছে। হিন্দু পূজাচারকে ‘শুভ শারদীয়া’ নামকরণ করেছে। স্বদেশমাতা বঙ্গভূমির বঙ্গপ্রতিমাকে জননী না বলার অপচেষ্টা বঙ্গভূমি তথা ভারতভূমির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই বিষয় আজ থেকে ১৮০ বছর আগেই বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং বুঝতে পেরেছিলেন। তাই বঙ্গের বাঙালি সমাজকে দেবী শক্তির উপাসনা ও বঙ্গজননীর সাধনাই একমাত্র সঠিক পথ। তাই এই বঙ্গভূমির সংস্কৃতি ধর্ম ও দর্শনকে কালের সমুদ্রে ডুবে থাকা পাঁক থেকে উদ্ধার করতে বঙ্কিমচন্দ্রের ভাবনায় উজ্জীবিত হতে হবে। দেবী দুর্গার চিন্ময়ীরূপকে বঙ্গভূমির স্বদেশ জননীর বন্দনার দ্বারাই পূর্ণতা আসবে। বাঙালি সমাজ সংস্কৃতি ও স্বধর্মকে বঙ্গদেশে (Bangabhumi Jananibhumi) পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এই বঙ্গদেশর বঙ্গভূমিতে বঙ্গপ্রতিমা হল স্বদেশ ভারত মাতা। দেবী দুর্গার আহ্বানে সকল অশুভ শক্তির পরাজয় ঘটুক শুভ শক্তির উদয় ঘটুক। 

    বন্দে মাতরম্‌

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: ‘নির্যাতিতার চোখে আঘাত কী করে হল’? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানিতে উঠে এল নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের প্রসঙ্গ। এদিন সিবিআই দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল। সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্টে নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন।

    শুনানিতে ২০০ জন আইনজীবী (Supreme Court)

    এদিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার চতুর্থ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ফের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। শুনানিতে ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী অংশ নেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় ওঠে আদালতে। দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তা দেখেই নির্যাতিতার চোখের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?

    সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে জানিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক। ‘তবে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, চশমার কারণে চোখে জখম হয়েছে। কিন্তু সে সময় কি তিনি চশমা পরে ছিলেন?” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তুষার জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে চশমা ভাঙা অবস্থায় পড়েছিল পাশে।

    প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আর্জি

    এরপরই জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “দেবাশিস সোমের ভূমিকা কী ছিল সেটা দেখা হয়নি। উনি উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ এবং মলয় চট্টোপাধ্যায় এবং কলেজের প্রধানের ঘনিষ্ঠ।” তুষার মেহেতা বলেন, “দেবাশিস সোমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে।” প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “কে দেবাশিস সোম?” এডুলজি জানান, আরজি কর নির্যাতিতার ফরেন্সিক টিমের অন্যতম ডাক্তার দেবাশিস সোম। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং বলেন, “পুলিশ আসারও আগে ৪ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজন মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের আসার কোনও কারণ ছিল না সেখানে। আমরা বলতে চাই এটা শুধু ধর্ষণ এবং খুন নয়। এমনকী রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য পৌঁছে যান।” আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “যাঁরা ওখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও ক্ষমতার জায়গায় রয়েছেন। সেখান থেকেই থ্রেট কালচারের কথা আসছে। ওই ব্যক্তিদের কি তদন্ত চলা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা যায়?”

    কী নির্দেশ দিল কোর্ট?

    প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, এবং ক্ষমতাসীন থেকে যাঁরা তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তবে সিবিআই রাজ্যকে সহযোগিতা করবে, এরকম কোনও ব্যক্তির তথ্য তারা পেলে।”রাজ্যের তরফেও আদালতে আশ্বস্ত করা হয়, তদন্তকারী সংস্থা নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, কেউ যত প্রভাবশালীই হোন, সিবিআই তাঁদের নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিসিটিভি বসানোর কাজে কতদূর এগিয়েছে রাজ্য। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এই তথ্যই জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন আরজি করকাণ্ড (RG Kar case) মামলার শুনানি হচ্ছিল শীর্ষ আদালতে। সেখানেই সিসিটিভি ইনস্টলেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    রাজ্যের জবাব (Supreme Court)

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, যা প্রস্তাব ছিল, তার ২৬ পারসেন্ট সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকিটা লাগানো হবে। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্যই যে কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে, এদিন তাও জানান রাজ্যের আইনজীবী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী টেন্ডার বেরনোর ১৪দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

    কাজ শেষের আশ্বাস

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো ও শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নির্দেশ, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার জন্য কাজ শেষ করতে সময় লাগছে।” তিনি আরও বলেন, “৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলব।” রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ আটকে রয়েছে। সিবিআই ছাড়পত্র দিলেই কাজ শুরু করা যাবে। সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার পরে পাঁচ দিন কাজ হয়েছে। তাই এখন আর তাদের কোনও আপত্তি নেই।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    এদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে দিন দুই আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই (RG Kar case) সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয় (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shashanka: বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক, তাঁর রাজ্যাভিষেক থেকেই বাংলা সাল গণনা শুরু

    Shashanka: বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক, তাঁর রাজ্যাভিষেক থেকেই বাংলা সাল গণনা শুরু

    বঙ্গের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাজা শশাঙ্ক

    ড. সুমনচন্দ্র দাস

    বৃহৎ বঙ্গদেশের প্রথম সার্বভৌম বাঙালি রাজা হলেন শশাঙ্ক (Shashanka)। তবে তাঁর সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা স্বল্পবিস্তর তথ্য সন্ধান করতে পেরেছিলেন। প্রাচীন রোহিতাশ্বরের গিরিগাত্রে ‘শ্রীমহাসামন্ত শশাঙ্ক’ এই নাম খোদাই করা আছে। তিনি ছিলেন শৈবভক্ত হিন্দু রাজা এবং গৌড়ের নরপতি (Hindu king of Bengal)। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকেই বঙ্গের প্রথম মহাসামন্ত হিসেবে উল্লেখ করা যায়। তাঁর সময়কাল আনুমানিক মনে করা হয় খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের শেষ। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিন থেকেই হিন্দুশাস্ত্র মতে সৌর মাসের শকাব্দ গণনা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলা সনের বঙ্গাব্দ ক্যালেন্ডার ও গণনার কালানুক্রম ধরা হয়। কিন্তু তাঁকে বীর বাঙালি রাজা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় উপেক্ষা করা হয়েছে।

    উত্তরে কামরূপ থেকে দক্ষিণে উৎকল পর্যন্ত সাম্রাজ্য (Shashanka)

    খুব স্পষ্ট করে বলা যায়, অনুমানিক ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দে নিজের স্বাধীন সাম্রাজ্যের অধিপতি হন এই হিন্দু রাজা। তাঁর রাজধানী ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ নামক জায়গায়। এই জায়গাটি এখনও প্রাচীন সাম্রাজ্যের ইতিহাস বহন করে চলেছে। রাজ্য বিস্তারে তিনিও বিরাট কীর্তিমান ছিলেন। তাঁর রাজ্য দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার দন্ডভুক্তি, উৎকল, গঞ্জাম, কোঙ্গোদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আবার পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত আধিপত্য ছিল। একাধিক তাম্র শাসন থেকে জানা যায়, উত্তরের কামরূপ রাজ্যের সুস্থিত বর্মণের মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্র সুপ্রতিষ্ঠিত বর্মণ এবং ভাস্কর বর্মণ গৌড়ের সৈন্যদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরেই আবার তাঁদের মুক্ত করে দেন এই গৌড়ের রাজা। তবে এই সম্পর্কে ইতিহাসকারেরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি। কিন্তু অনুমানকে আশ্রয় করা হলেও মহাসেনগুপ্তের সামন্ত হিসেবে যে শশাঙ্কের (Shashanka) কথা পাওয়া যায়, তাতে তিনিই প্রথম বাঙালি রাজা ছিলেন। তিনি উত্তর থেকে দক্ষিণে এত বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প মতে, মাত্র ১৭ বছর রাজত্ব করেছিলেন তিনি। এই তথ্য ঠিক নয়, কারণ হিউ-এন-সাং ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দের আগেই মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। কিন্তু শশাঙ্কের প্রচলিত তাম্রশাসন যে পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। ফলে তাঁর জীবনকাল নিয়ে ঠিক করে আরও গবেষণা প্রয়োজন। 

    ইতিহাসে মিথ্যা কথন

    আর্যাবর্তে বাঙালির সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রথম নায়ক রাজা শশাঙ্ক (Shashanka)। রাজা শশাঙ্ক সম্পর্কে হিউ-এন-সাং বর্ণিত তথ্যে রয়েছে, তিনি কুশিনগর বৌদ্ধ বিহার থেকে বৌদ্ধদের বিতাড়িত করেন, পাটলিপুত্রের বুদ্ধের পদচিহ্ন অঙ্কিত প্রস্তরখণ্ড জলে ফলে দেন এবং গয়ার বোধিবৃক্ষ ছেদন করে আগুন দেন। এমনকী বলা হয়, বুদ্ধদেবের মূর্তি ভাঙার সময় শরীরে ক্ষত হলে পরবর্তী কালে মারা যান সেই রোগেই। এখন প্রশ্ন হল, এই শৈব রাজা যদি সম্পূর্ণভাবে এতটাই বৌদ্ধ বিদ্বেষী হতেন, তাহলে নিজের কর্ণসুবর্ণ রাজধানীর কাছে বিরাট রত্নমৃত্তিকা বৌদ্ধ মহাবিহার কেন অক্ষত ছিল? সেই সঙ্গে আরও ১০টি মহাবিহারের কীভাবে অস্তিত্ব ছিল? অপর দিকে বাণভট্ট নিজের কাব্যে এই শৈব রাজাকে একাধিকবার গৌড়াধম, গৌড়ভূজঙ্গ বিশেষণে মন্তব্য করেছেন। তাই রাজ্যবর্ধনের হত্যা প্রসঙ্গে যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি ইতিহাসের পাতায়। শশাঙ্ক (Hindu king of Bengal) সম্পর্কে আরও নিবিড় পাঠের প্রয়োজন।

    ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মত

    বানভট্ট ‘হর্ষচরিত’-এ এবং চৈনিক পর্যটক হিউ-এন-সাং রাজা শশাঙ্কের (Hindu king of Bengal) সম্পর্কে যেসব কথার উল্লেখ করেছেন, তাতে তাঁর সম্পর্কে কলঙ্ক লেপন হয়েছে মাত্র। তাই ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার, “বাংলাদেশের ইতিহাস”-বইতে বলেছেন, “বাণভট্টের মত চরিত লেখক অথবা হিউ-এন-সাংয়ের মতো সুহৃদ লেখক থাকলে হর্ষবর্ধনের মতো তাঁহার খ্যাতিও চতুর্দিকে বিস্তৃত হতো। কিন্তু অদৃষ্টের নিদারুণ বিড়ম্বনা তিনি স্বদেশে অখ্যাত ও অজ্ঞাত এবং শত্রুর কলঙ্ক-কালিমাই তাঁহাকে জগতে পরিচিত করিয়াছে।”

    তাম্রশাসনের শিলালিপি

    রাজা শশাঙ্কের (Shashanka) জারি করা তিনটি তাম্রলিপি পাওয়া গিয়েছে। মেদিনীপুর থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল এই উপাদনগুলি। এগরা এবং খড়গপুরের কাছে এই তাম্রশাসন পাওয়া গিয়েছিল। একই ভাবে বর্তমান মেদিনীপুরে অবস্থিত শরশঙ্কা নামে একটি বিশাল দিঘি আবিস্কার হয়েছে। মূলত জলের সঙ্কট দূর করতে প্রজাদের কল্যাণের জন্য এই জলাধার তৈরি করেছলেন রাজা শশাঙ্ক। মোট জমির মাপ ছিল ১৪০ একরের বেশি। এর মধ্যেই হিন্দু বাস্তুশাস্ত্র, কারিগরি বিদ্যা, স্থাপত্য এবং নান্দনিকতার স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিখ্যাত ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় শশাঙ্ককে নিয়ে একটি  ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনাও করেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ১৯১৪ সালে। আদতে বাঙালির রাজা কতটা সুশাসক ছিলেন, সেই দিকেই আলোকপাত করেছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আবেদন ইন্দিরার, নামের তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    RG Kar Incident: প্রভাবশালীদের সাসপেন্ড করার আবেদন ইন্দিরার, নামের তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নামের তালিকা চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কারা কারা তদন্তের আওতায় রয়েছেন, তা সিবিআই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Supreme Court)। তদন্তের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে হবে রাজ্যকে, এমনই নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের।

    সুপ্রিম সওয়াল-জবাব

    এদিন আদালতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার প্রসঙ্গে সওয়ালের সময় আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরলেও তাঁরা আতঙ্কিত। কারণ আরজি কর মেডিক্যালে যাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে, তাদের অনেকে এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। তদন্ত চলাকালীন তাঁদের পদ থেকে সাসপেন্ড করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু তারা তা করেনি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ করবেন, এটা কি করে হতে পারে? সাসপেন্ড করা না হোক, অন্তত ছুটিতে পাঠানো উচিত তাঁদের।’

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) এবার প্রভাবশালী প্রসঙ্গও উঠল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এদিন আদালতকে বলেন, “পুলিশ আসারও আগে ৪ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজন মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের আসার কোনও কারণ ছিল না সেখানে। আমরা বলতে চাই এটা শুধু ধর্ষণ এবং খুন নয়। এমনকী রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যরা পৌঁছে যান এই ঘটনায়।” ইন্দিরা জয় সিং-এর পাশাপাশি এই প্রসঙ্গ তুলে চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “যাঁরা ওখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও ক্ষমতার জায়গায় রয়েছেন। সেখান থেকেই থ্রেট কালচারের কথা আসছে। ওই ব্যক্তিদের কি তদন্ত চলা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা যায়?”

    আরও পড়ুন: ‘‘ইয়া ইয়া আবার কী কথা’’! আইনজীবীর ভাষা শুনে ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি, করলেন ভর্ৎসনা

    সুপ্রিম নির্দেশ

    একথা শুনে প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, ‘কারা কারা তদন্তের আওতায় রয়েছে, সিবিআই রাজ্যকে নথি দিয়ে তা জানাবে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে।’ রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যে ৫ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে সমস্যা নেই রাজ্যের। এর পর কাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই নামের তালিকা তলব করে আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share