Tag: Madhyom

Madhyom

  • NIA: “ট্রেনে অন্তর্ঘাত দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে”, বললেন বৈষ্ণব

    NIA: “ট্রেনে অন্তর্ঘাত দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে”, বললেন বৈষ্ণব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রেনে অন্তর্ঘাতের বিষয়টিকে চিরতরে দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন (NIA) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এই জাতীয় ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান মন্ত্রী। জয়পুর বিমানবন্দরে রেলমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা হুমকিগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। তাই ট্রেনে নাশকতার চেষ্টা করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এটা আমাদের অঙ্গীকার।”

    ‘কবচ’ পরিদর্শনে মন্ত্রী (NIA)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন কবচ সজ্জিত একটি রেল ইঞ্জিন পরিদর্শন করতে সওয়াই মাধোপুরে এসেছিলেন মন্ত্রী। এদিন বিকেল চারটেয় সওয়াই মাধোপুর রেলওয়ে স্টেশনে কবচ সজ্জিত একটি ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠবেন। তাতে করে তিনি ইন্দরগড় স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। এতে সময় লাগবে ৪৫ মিনিট। জয়পুরের গান্ধীনগর রেলওয়ে স্টেশনে নির্মিত একটি ছাদ প্লাজাও পরিদর্শন করার কথা মন্ত্রীর।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে (NIA) মন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার, ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এনআইএ-ও এতে জড়িত রয়েছে। কেউ যদি এমন কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি আমাদের সংকল্প।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন বিভাগ ও অঞ্চলের রেলওয়ে প্রশাসন দেশের সর্বত্র রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স ও স্থানীয় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে।” এদিন জয়পুরে পৌঁছানোর পর রেলমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি শহরের রাজাপার্ক এলাকার ভাটিয়া ভবনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    আরও পড়ুন: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    ট্রেনে কবচ ব্যবস্থা হল স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা। রিসার্চ ডিজাইনস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন দ্বারা উন্নত করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে চালক ব্রেক কষতে ব্যর্থ হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক কষে দুর্ঘটনা এড়ায়। প্রসঙ্গত, গত আট বছর ধরে রেলমন্ত্রক পর্যায়ক্রমে রেল নেটওয়ার্ককে কবচ ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য এই প্রকল্পের (Ashwini Vaishnaw) ওপর কাজ করছে (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন হয় বলিদান? সন্ধিপুজোর সঙ্গে এর কি কোনও সম্পর্ক আছে?

    Durga Puja 2024: দুর্গাপুজোয় কেন হয় বলিদান? সন্ধিপুজোর সঙ্গে এর কি কোনও সম্পর্ক আছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সময় বনেদি বাড়িতে পশু বলি দেওয়ার প্রথা ছিল। বিশেষ করে অধিকাংশ জমিদার বাড়িতে এক মসয় এই প্রথা ছিল। এমনিতেই শুধু দুর্গা পুজো নয়, হিন্দু ধর্মে বহু পুজোতেই পশুবলি দেওয়ার রেওয়াজ আছে। কালের বিবর্তনে সেই নিয়ম এখন অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকে পশু হত্যাকে সমর্থন করেন না। তাই ছাগ বলির পরিবর্তে আখ, চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় পুজোয়। সন্ধি পুজোতেও (Sandhi Puja) বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে।

    বলি শব্দের অর্থ কী? (Durga Puja 2024)

    প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ‘বলি’ শব্দটির অর্থ। যজ্ঞে দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত সব কিছুকেই বলি বলা হয়। আগেকার দিনে যজ্ঞের আগুনে ঝলসে দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করে, পরে তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতেন মুনি-ঋষিরা। পশু থেকে ফল, সব কিছুই হতে পারে বলির উপাদান। তবে সাধারণ মানুষ পশুবলিকেই একমাত্র বলি হিসেবে জানেন। দেব-দেবীর (Durga Puja 2024) উদ্দেশে এই উৎসর্গ আদতে প্রতীকী। সন্ধি পুজোতেও প্রতীকী হিসেবেই বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে।

    সন্ধি পুজোর সঙ্গে বলির কী সম্পর্ক? (Durga Puja 2024)

    পৌরাণিক কাহিনি সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টমী (Durga Puja 2024) এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে স্বর্ণ ভূষণে সজ্জিতা হন দেবী দুর্গা। স্বর্ণ বর্ণ ধারণ করেন। মহিষাসুর বধের প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। তবে মহিষাসুর দেবীর লক্ষ্য পূরণে বাধা দিতে তার দুই অনুচর চণ্ড এবং মুণ্ডকে দেবীকে আক্রমণ করতে পাঠান। আকস্মিক পিছন থেকে তাঁরা দেবীকে আক্রমণ করেন। সে সময় দেবী ক্রোধে রক্তবর্ণা হয়ে ওঠেন। ধারণ করেন চামুণ্ডা রূপ। খড়েগর কোপে চণ্ড ও মুণ্ডের মুণ্ডচ্ছেদ করেন দেবী। এর সঙ্গেই অশুভ শক্তির বিনাশ হয়। সে কারণেই চণ্ড-মুণ্ডের প্রতীক হিসেবে মনের অশুভ চিন্তা, খারাপ প্রবৃত্তিকে দেবীর সামনে যজ্ঞের পবিত্র আগুনে ভস্ম করতেই বলি দেওয়া হয়। মহিষাসুরের প্রতীক হিসেবে বেশিরভাগ যজ্ঞের আগে মোষ বলি দেওয়ার রীতি ছিল। পরবর্তীতে তা অনেক ক্ষেত্রে পাঁঠাবলিতে রূপান্তরিত হয়। প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ হওয়ার পর এখনও বহু বনেদি বাড়িতে চালকুমড়ো, আখ ইত্যাদি বলি দেওয়ার চল রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ময়নাতদন্তের মধ্যেই কি আসল রহস্য লুকিয়ে? ফের সিজিও-তে জিজ্ঞাসাবাদ অপূর্ব বিশ্বাসকে

    RG Kar Case: ময়নাতদন্তের মধ্যেই কি আসল রহস্য লুকিয়ে? ফের সিজিও-তে জিজ্ঞাসাবাদ অপূর্ব বিশ্বাসকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) মামলায় বুধবার ফের সিজিও-তে হাজিরা দিলেন অভয়ার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। একই সঙ্গে এদিন হাজিরা দিলেন হাসপাতালের দুই ডোমও। ধর্ষণ এবং খুনের কিনারা করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। ময়নাতদন্তের মধ্যেই কি আসল খুনের তথ্য লুকিয়ে রয়েছে? তদন্তকারী অফিসাররা সব তথ্য খতিয়ে দেখছেন।

    ময়নাতদন্তে ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ছিল (RG Kar Case)

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আপামর বাঙালি সমাজের মনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অভয়ার ময়নাতদন্তের ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন এই অপূর্ব বিশ্বাস। আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাকি দুই সদস্য রীনা দাস এবং মলি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। একই সঙ্গে মর্গের সহকারী ডোমদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মর্গের মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বলেন, “আমি ময়নাতদন্তের সময় ছিলাম না। আমার টেবিল ওয়ার্ক। আমি পেপারস ওয়ার্ক করি।” অপর দিকে রবিবার সিজিও থেকে বের হয়ে অপূর্ব বলেছিলেন, “মৃতার দেহে ময়নাতদন্তের জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।” একই ভাবে মৃতার কাকু বলেন, “এক ব্যক্তি দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য প্রেসার দিচ্ছিলেন। তাড়াতাড়ি না করলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।” এরপর থেকে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    ময়নাতদন্তের দিনে কী কী ঘটেছিল?

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের (RG Kar Case) দিনে কী কী ঘটেছিল? কারা কারা উপস্থিত ছিল? বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। ঘটনার দিন থেকেই মানুষ, এই খুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। একজন যোগ্য ডাক্তারকে কর্মস্থলে কেন নির্মমভাবে খুন হতে হলো? এই খুন ছিল অত্যন্ত পাশবিক। শরীরের একাধিক জায়গায় মিলেছে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন। শরীর ছিল অর্ধনগ্ন অবস্থায়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কোনও একজন মাত্র ব্যক্তির দ্বারা এই ভাবে পাশবিক নির্যাতন করা সম্ভব হয়নি। ধর্ষণ এবং খুনে আরও একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল বলে অনুমান করা হয়েছে। তাই গোটা বিষয়কে খতিয়ে দেখতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপর দিকে বুধবার ফের শিয়ালদা আদালতে, ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghee Used at Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগপ্রসাদের ঘি পরীক্ষা করতে চায় ওড়িশা সরকার

    Ghee Used at Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগপ্রসাদের ঘি পরীক্ষা করতে চায় ওড়িশা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্কের আবহেই  পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগ রান্নায় ব্যবহৃত ঘিয়ের গুণমান পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন পুরীর জগন্নাথদেব দর্শন করেন। রথের সময় ছাড়াও সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে সমুদ্রসৈকত শহরে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের শ্রীবেঙ্কটেশ্বর স্বামীর লাড্ডু ভোগের ঘিয়ে পশুচর্ব ও মাছের তেল থাকার বিতর্কের পর সর্বত্র হিন্দু ভক্তদের মধ্যে এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। সেই সন্দেহের পরিবেশ দূর করতে পুরীর মন্দিরে ব্যবহৃত ভোগের ঘি পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

    বিশ্বাসে আঘাত নয়

    ওড়িশার বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরে রান্নায় বা অন্যান্য প্রসাদ রান্নায় যে ঘি ব্যবহার করা হয়, তা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করানো হবে। পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর বলেন, এখানে সে ধরনের কোনও অভিযোগ না সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে ঘিয়ের মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা রাজ্যের সর্বোচ্চ দুগ্ধ সংগঠন ওমফেড-এর সঙ্গে কথা বলব ৷ মন্দিরে যে ঘি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার মান যেন তারা বেঁধে দেয় ৷” তিনি জানান, প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোঠা ভোগ (দেবতাদের উৎসর্গ করা) ও ‘বারদী ভোগ’ (ভক্তদের প্রসাদ)- এ ব্যবহৃত ঘিয়ের গুণমান পরীক্ষা করা হবে। মন্দিরের এক সেবাইত দাবি করেন, এর আগে মন্দিরের প্রদীপ জ্বালানোয় যে ঘি ব্যবহার হত, তাতে নকল ঘি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। তারপরই ওই ঘি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    দেশে হিন্দুদের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থক্ষেত্র পুরীর জগন্নাথ মন্দির ৷ ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা দর্শনে সারাবছরই ভিড় হয় পুরীতে ৷ পাশাপাশি মন্দিরের মহাপ্রসাদের চাহিদাও তুঙ্গে থাকে ৷ প্রসাদে জগন্নাথ দেবের ভোগের খিচুড়ি, ভাত, ডাল, নানারকম ভাজাভুজি, রকমারি মিষ্টির পদ বিক্রির আলাদা একটি জায়গাই রয়েছে মন্দিরের ভিতরে ৷ এই খাবারগুলি যে ঘি দিয়ে রান্না হয়, তাতে কোনও ভেজাল অর্থাৎ মাছের তেল, গরু বা শুয়োরের চর্বি জাতীয় কিছু আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিতে চায় পুরী প্রশাসন ৷ প্রতিদিন এই মহাপ্রসাদ কিনে খান লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী, পুণ্যার্থী ৷ এই প্রসাদের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁদের বিশ্বাস, ধর্মীয় আবেগ ৷ সেই বিশ্বাস, আবেগে কোনও আঘাত যাতে না লাগে তাই এই সিদ্ধান্ত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    Durga Puja 2024: বিজয়া দশমীর দিন কেন আকাশে ওড়ানো হত নীলকণ্ঠ পাখি? জেনে নিন এর কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024) আর নীলকণ্ঠ পাখি ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। এক সময় দুর্গাপুজোর পর এই পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া বনেদি ও জমিদার পরিবারগুলির ঐতিহ্য ছিল। আর তা দেখতে ভিড় উপচে পড়়ত। কালের নিয়মে বিশেষ করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা এখন আর সম্ভব হয় না। তবুও এখনও বহু বনেদি বাড়িতে কাঠের বা মাটির নীলকণ্ঠ পাখি তৈরি করে সেটি প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে জলে দেওয়ার প্রথা রয়েছে।

    কেন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত? (Durga Puja 2024)

    বিজয়া দশমীর দিন (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখির দেখা পাওয়াকে শুভ এবং সৌভাগ্যদায়ী বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, এই পাখিটি দেখা গেলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়, জীবনের সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট হয়। ফলস্বরূপ, বাড়িতে নিত্য শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে থাকে। নীলকণ্ঠ পাখি দেখার বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে যাও, সেই কৈলাসে যাও, খবর দাও, উমা আসছে। তখন নীলকণ্ঠ পাখি আগমনের বার্তা নিয়ে মহাদেবের কাছে এসেছিল। আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হল, মনে করা হয়, রাবণবধের ঠিক আগে এই পাখিটির (Durga Puja 2024) দেখা পান রামচন্দ্র। আবার অন্য একটি পৌরাণিক মতে, রাবণবধের আগেও, সেতুবন্ধনের সময় হাজির হয়েছিল নীলকণ্ঠ পাখি। পথ দেখিয়ে রাম-সেনাকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল এই পাখি। এরকম পৌরাণিক কাহিনি থেকেই এই পাখির মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত জায়গায়। তখন থেকেই মনে করা হয়, এই পাখির দর্শন অত্যন্ত শুভ।

    নীলকণ্ঠ পাখিকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয়

    পৌরানিক মতে, লঙ্কা বিজয়ে রাম ব্রাহ্মণ হত্যার পাপ করেছিলেন। কারণ দশানন রাবণ ছিলেন ব্রাহ্মণ। তখন লক্ষ্মণ সহ রামচন্দ্র শিবের পুজো করেছিলেন এবং ব্রাহ্মণকে বধ করার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই সময় শিব নীলকণ্ঠ পাখির (Nilkontho Pakhi) রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন বলে অনেকের বিশ্বাস রয়েছে। নীলকণ্ঠ অর্থ, যার গলা নীল। দেবাদিদেব মহাদেব সমুদ্র মন্থন করার সময় বিষ পান করেছিলেন। কণ্ঠে সেই বিষকে ধারণ করার ফলে মহাদেবের কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই শিবের আর একটি নাম হল নীলকণ্ঠ। নীলকণ্ঠ পাখিকে (Durga Puja 2024) মর্ত্যলোকে শিবের প্রতিনিধি মানা হয় এবং দেবাদিদেব মহাদেবের রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জনশ্রুতি অনুসারে, শিব পৃথিবীতে নীলকণ্ঠ পাখি রূপেই ঘোরাফেরা করেন।

    নীলকণ্ঠ পাখি কেন কৃষকদের বন্ধু?

    নীলকণ্ঠ পাখির বিজ্ঞানের ভাষায় নাম ইন্ডিয়ান রোলার। এই পাখিটিকে কৃষকদের মিত্রও বলা হয়। কারণ, নীলকণ্ঠ পাখি জমিতে ফসলের সাথে জড়িত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকদের উপকার করে থাকে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, এক সময় দুর্গাপুজোর পর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে (Durga Puja 2024) নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত বিজয়া দশমীর দিনে। তা দেখতে ভিড়ও হত। এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ফলে এটা সম্ভব হয় না। শুধু শোভাবাজার নয় রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় আর এই পাখি ওড়ানো হয় না। তবে, প্রতীকী মেনে প্রথাটিকে বনেদি বাড়িতে ধরে রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কেন জানেন?

    Durga Puja 2024: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধিপুজোর (Sandhi Puja) সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। তাই, দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সন্ধিপুজো। বলা হয়, অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণের এই পুজোয় সারা বছর বিশেষ ফল লাভ হয়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয় সন্ধিপুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেকগুলি নিয়মকানুন এবং রীতিনীতি। যার মধ্যে অনেক নিয়ম অনেকেরই অজানা।

    কেন সন্ধিপুজোয় ব্যবহার করা হয় ১০৮টি পদ্ম ফুল? (Durga Puja 2024)

    পূরাণ মতে, দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষণেই, দেবী চামুণ্ডা রূপে। চন্ড ও মুন্ড নামক দুই ভয়ানক অসুরকে এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন দেবী। অন্যদিকে কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধিপুজোর (Durga Puja 2024) বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয়। সেই সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮টি পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭টি পদ্ম। তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান নেত্র দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন দেবী আবির্ভূত হয়ে বরদান করেন যে, তিনি রাবণের থেকে নিজের সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক। পাঁকে জন্মালেও তার গায়ে কাদা লাগে না। সেরকমই বাইরের খারাপ মানুষের অন্তরকে যাতে ছুঁতে না পারে, তার উদ্দেশ্যেই দেবীর পায়ে পদ্ম সমর্পণ করা হয়।

    কেন জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ?

    হিন্দু সংস্কৃতিতে, ১০৮ সংখ্যাটির গুরুত্ব কম নয়। দেবতাদের জপ করা হয় ১০৮টি নামের মধ্য দিয়ে। কৃষ্ণের অষ্টতর শত নামের মাহাত্ম্য সকলের জানা। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরে রয়েছে ১০৮টি পয়েন্ট। দুর্গাপুজোতেও (Durga Puja 2024) ১০৮টি পদ্মের পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপ জ্বেলে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয় অন্ধকার মুছে মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার। ১০৮ প্রদীপের আলো অজ্ঞতা ও অশুদ্ধতা বিনাশ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    NRC: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি হবে”, বললেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই ঝাড়খণ্ডে এনআরসি (NRC) চালু হবে।” ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডে বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথাই বললেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj singh Chouhan)। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশও বন্ধ করা হবে। শিবরাজ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি তৈরি করে ফেলছেন। ভোটারকার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি।”

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস (NRC)

    বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুড়, দেওঘর, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় বাড়ছে অনুপ্রবেশ। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হল তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। সেই কারণেই অনুপ্রবেশ রোখা দরকার। আর তা করতে গিয়েই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি।

    এনআরসি চালুর দাবি

    ব্যাপক অনুপ্রবেশের কারণেই বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে দ্রুত। তাই এই তিন রাজ্যেই এনআরসি চালু করতে চায় বিজেপি। বছরখানেক আগে সেই দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও। এই তিন রাজ্যের সরকারই এনআরসির ঘোরতর বিরোধী। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি এনআরসিকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    জানা গিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে (NRC) পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে বাংলাদেশিরা। পরে জাল নথিপত্র বানিয়ে ঢুকে পড়ছে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। স্থানীয় মহিলাদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। বিয়ে করে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে আদিবাসীদের জমি। যা বস্তুত অবৈধ। অনুপ্রবেশকারীদের এহেন বাড়বাড়ন্তে শঙ্কিত বিজেপি। আদিবাসীদের জমি যাতে কোনওভাবেই বেহাত হয়ে না যায়, তাই অনুপ্রবেশ বন্ধে জোর দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং এনআরসিকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির। ১২ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে দাখিল করা একটি হলফনামায়ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, কেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের নানা অংশে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    এদিকে, সোমবার নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাজীব কুমারের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা রাঁচি ঘুরে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে রাজ্য বিজেপি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের নির্বাচনে যেন (Shivraj singh Chouhan) অনুপ্রবেশকারীরা কোনওভাবেই অংশ নিতে না পারে (NRC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    Children Diseases: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কাহিল করে দিচ্ছে কোন কোন রোগ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিন কয়েক ধরে গরমে জেরবার হচ্ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ! শরতের রোদে প্রায় পুড়েছে সকলে! আবার চলতি সপ্তাহে শুরু প্রবল বৃষ্টি! হাওয়া অফিসের অনুমান, আগামী ছ’দিন একনাগাড়ে চলবে বৃষ্টি! আগামী সপ্তাহে আবার রোদের দেখা মিলবে! তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে-কমছে! আর আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা স্বাস্থ্যের বিপদ (Children Diseases) বাড়াচ্ছে! বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বাড়ছে। তাই সতর্কতা জারি না রাখলে আরও সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর (Children Diseases)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, আবহাওয়ার এই রকমফের বাতাসে একাধিক ভাইরাসের দাপট বাড়াচ্ছে। সক্রিয় হচ্ছে একাধিক রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু। আর তার জেরেই নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গত দু’সপ্তাহে শিশুদের ভাইরাসঘটিত জ্বরের প্রকোপ কয়েক গুণ বেড়েছে। গলাব্যথা, কাশি-সর্দি এবং জ্বর! এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। হঠাৎ গরম আবার তারপরেই লাগাতার বৃষ্টি-সব মিলিয়েই এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। 
    আবার দিন কয়েক আগে তাপমাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় (Strange weather) বহু শিশু ‘হিট বার্ন’-এর মতো সমস্যায় ভুগছে বলেও জানাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্দি-কাশি বা অন্য কোনও ভাইরাসঘটিত রোগের কবলে না পড়লেও বহু শিশুর দেহের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। থার্মোমিটারে মাপলে মনে হবে শিশুর জ্বর হয়েছে। দূর্বলতাও দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আবহাওয়া হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়ার জেরে শিশুর দেহ এই হঠাৎ বদলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তাদের দেহ পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে না। তাই শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে।

    পেটের অসুখ

    জ্বরের পাশপাশি পেটের অসুখের সমস্যাও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় জল জমে রয়েছে। বন্যা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুরা মারাত্মক পেটের অসুখে ভুগছে। অনেক জায়গায় পরিশ্রুত জল নেই। ফলে সমস্যা (Children Diseases) আরও বাড়ছে‌। এই আবহাওয়ায় আরেকটি সমস্যা হচ্ছে ছত্রাক সংক্রমণ। ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, শুষ্ক আর ভিজে আবহাওয়ার এই ঘনঘন পরিবর্তনের জেরে শিশুদের ত্বকে নানান ছত্রাক সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে! ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া আবার হালকা একটা আস্তরণ দেখা দিচ্ছে!

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Children Diseases)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষায় রাজ্যে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ মারাত্মক। তাই জ্বর হলে কোনও ভাবেই অবহেলা করা চলবে না।‌ দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি। তবে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় ভাইরাস ঘটিত অসুখ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া জরুরি। পাশপাশি নিয়মিত লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও লেবু জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিন সি। সর্দি-কাশি কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে এই ধরনের ফল বিশেষ সাহায্য করে। স্কুল পড়ুয়াদের টিফিনে নিয়মিত কিউই জাতীয় ফল দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে ভাইরাস ঘটিত অসুখের (Children Diseases) প্রকোপ কমবে‌। 
    ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে শিশুকে নিয়মিত স্নান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এই ধরনের অসুখের ঝুঁকি কমে। 
    জলের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষার জেরে বহু জায়গায় জলের পাইপ ফেটে গিয়েছে‌। পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই জলঘটিত অসুখ যেমন কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করতে শিশুদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    RG Kar Case: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় আলমারি ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইল উদ্ধার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক ভাবে উত্তাল। কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির (Corruption Case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলে রয়েছেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার, সিবিআই হাসপাতালের আলমারি ভেঙে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। মনে করা হচ্ছে দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিজিও-তে(RG Kar Case)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই-এর দুর্নীতিদমন (Corruption Case) শাখার গোয়েন্দারা হাসপাতালে (RG Kar Case) গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ফাইল উদ্ধার করেছে। সেগুলিকে পরে সিজিও-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে সন্দীপ ঘোষ আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। এই উদ্ধার হওয়া নথি সন্দীপ ঘোষের সময়কালের বলে জানা গিয়েছে। দুর্নীতি বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আক্তার আলি। ২০২৩ সালে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোনও রকম তদন্তের ইঙ্গিত মেলেনি। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেই দুর্নীতির বিষয়ে ওই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারীরা একাধিক বিষয়ে আন্দোলনে নামেন। এরপর সন্দীপ ঘোষের একাধিক কুকর্মের বিষয় প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়। প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং শাসকদল তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন এই  অভিযুক্ত।

    আরও পড়ুনঃ সকাল থেকেই আকাশের মুখভার! দফায় দফায় বৃষ্টি, ৯ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    মৃতদেহ পাচার করতেন সন্দীপ?

    সন্দীপ ঘোষের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে আক্তার আলি আরও বলেছিলেন, “আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি। তিনি টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত। মৃতদেহ পাচার, স্বাস্থ্য খাতে খরচ, সিসিটিভি, রেস্টরুমের জন্য টাকার ঠিকঠাক ব্যবহার করেননি। ডাক্তারি পড়ুয়াদের টাকার বিনিময়ে পাশ-ফেল করানো, টাকা নিয়ে পছন্দের বিষয়ে গবেষণা করানোর কাজ-সহ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই সন্দীপ ঘোষ। অত্যন্ত প্রভাবশলী ব্যক্তি। থ্রেট কালচারের মধ্যমণি ছিলেন।” আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডিও। অপর দিকে চিকিৎসক তরুণীকে খুনের মামলায়ও তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার! গোয়ালিয়রে ম্যাচের দিন বনধ ডাকল হিন্দু মহাসভা

    India vs Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার! গোয়ালিয়রে ম্যাচের দিন বনধ ডাকল হিন্দু মহাসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে হিন্দুদের উপর ‘নারকীয়’ অত্যাচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ দলকে ভারতে খেলতে দিতে নারাজ হিন্দু মহাসভা (Hindu Mahasabha)। ভারত-বাংলাদেশ টি২০ ম্যাচের দিনই গোয়ালিয়র বনধের ডাক দিল হিন্দু মহাসভা। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ (India vs Bangladesh) ম্যাচ রয়েছে। সেই দিন, ‘ম্যাচ হতে দেব না’ বলে হুমকি দিয়েছেন হিন্দু মহাসভার নেতারা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তারা আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে।

    হিন্দু মহাসভার দাবি

    হিন্দু মহাসভার (Hindu Mahasabha) জাতীয় সহ-সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ অভিযোগ করেছেন,“হিন্দুরা বাংলাদেশে (India vs Bangladesh) নির্যাতিত হচ্ছে। বাংলাদেশে একের পর এক মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। আমরা কিছুতেই বাংলাদেশকে ভারতের মাটিতে খেলতে দেব না। আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশ যখন গোয়ালিয়রে খেলতে আসবে, আমরা প্রতিবাদ জানাব।”  জয়বীর জানিয়েছেন, তাঁরা এই বনধের আওতা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীকে ছাড় দিয়েছেন। পালটা গোয়ালিয়র পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “ওই দিন অন্যান্য কাজের দিনের মতই নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে। আমরা সবরকম ব্যবস্থা করে ফেলেছি।”  গোয়ালিয়রে শেষবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল ২০১০ সালে। তার ১৪ বছর পর ৬ অক্টোবর কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হতে চলেছে গোয়ালিয়রে। 

    আরও পড়ুন: সকাল থেকেই আকাশের মুখভার! দফায় দফায় বৃষ্টি, ৯ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা

    কানপুরেও প্রতিবাদ

    ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট (India vs Bangladesh) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের জন্য কানপুরেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। হিন্দু মহাসভার (Hindu Mahasabha) ‘হুমকি’র পর আশ্বস্ত করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কানপুর পুলিশের এসিপি হরিশ চান্দের জানিয়েছেন, শুক্রবারের ম্যাচের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত স্টেডিয়াম। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। কানপুর পুলিশ জানিয়েছে, স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেটারদের হোটেল সর্বত্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। সবকটি এলাকাকে আলাদা আলাদা জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ম্যাচের জন্য নিযুক্ত নোডাল অফিসার শারওয়ান কুমার সিং জানিয়েছেন, “ম্যাচের আগে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আমরা এ বিষয়ে আইবি এবং রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।” কানপুরে শাকিবরা খেলতে এলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এমনকী, ম্যাচের আয়োজন করতে না দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। তাদের দাবি, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের গণহত্যা চলছে। অত্যাচার, মন্দির ভাঙা রোজকার ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দল কানপুরে খেলতে এলে ঘোর বিক্ষোভের মধ্যে পড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share