Tag: Madhyom

Madhyom

  • George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    George Soros: জর্জ সোরোসের সংস্থা থেকে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল বেঙ্গালুরুর তিন কোম্পানি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-মার্চে বেঙ্গালুরু ভিত্তিক তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আটটি জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি (ED)। এই কোম্পানিগুলি মার্কিন নন-প্রফিট ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশন থেকে ফান্ড পেয়েছিল। এই ফাউন্ডেশনের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার জর্জ সোরোস (George Soros)। এই ফান্ড নেওয়ায় ওই কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।

    ২৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার! (George Soros)

    মার্চ মাসে ইডির অভিযানের আগে ওই ফাউন্ডেশন কয়েক মাসে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ওই কোম্পানিগুলিতে ট্রান্সফার করেছিল ২৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগ পেয়েই ওই তিন কোম্পানিতে অভিযান চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জেনেছে, এএসএআর সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যাডভাইজার্স, যেটি ওই কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি, তারাও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) থেকে ৮ কোটি টাকা পেয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিদেশে বাম, ডান এবং প্রগতিশীল অ্যাজেন্ডা প্রচারের জন্য এই ইউএসএআইডি-র সমালোচনা করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কোম্পানিগুলি ২০২২-২৩ সালে ফরেন ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স হিসেবে ওই অর্থ পেয়েছে। তবে এএসএআরের দাবি, ইউএসএআইডি থেকে তারা যে ফান্ড পেয়েছিল, তা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে দেওয়া পরিষেবার বিনিময়ে।

    কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার

    ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, অলাভজনক নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা সম্পদের ব্যবহার, পুনর্ব্যবহার এবং অপব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণায় নিবেদিত। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি বোঝা এবং ভারতের উন্নয়নের প্রভাব নিয়ে কাজ করে (George Soros)। তাদের সব গবেষণা আন্তর্জাতিকভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে এএসএআর কর্তারা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারকে কী ধরনের পরিষেবা দিয়েছিল এবং ইউএসএআইডির এতে কী ভূমিকা রয়েছে, তা উল্লেখ করেননি। কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কোনও যোগ নেই (ED)। জর্জ সোরোস বা ওপেন সোস্যাইটির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক বা ফান্ড প্রাপ্তির ইতিহাস নেই (George Soros)।

  • Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    Waqf Amendment Bill: “দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল,” বললেন জগদম্বিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল’টি (Waqf Amendment Bill) দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।” বুধবার কথাগুলি বললেন ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল (Jagdambika Pal)। তিনি বলেন, “এদিন যে বিলটি সংসদে পাশ করাতে পেশ করা হচ্ছে, তা দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের উপকারে আসবে।”

    “ঐতিহাসিক দিন” (Waqf Amendment Bill)

    এই দিনটিকে “ঐতিহাসিক দিন” বলে অভিহিত করে জগদম্বিকা বলেন, “যৌথ সংসদীয় কমিটির কঠোর পরিশ্রম, যারা বিভিন্ন রাজ্যের স্টেকহোল্ডারদের আস্থা নিয়েছিল, তারা সফল হয়েছে।” তিনি বলেন, “জেপিসি সভাগুলিতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে বিরোধীদের বক্তব্য শোনা হয়েছিল।” যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের কঠোর পরিশ্রম সফল হয়েছে। সরকার আজ সংশোধিত রূপে বিলটি নিয়ে আসছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ এই বিল পাশ হওয়ার মাধ্যমে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মুসলিমরা উপকৃত হবেন। আমরা গত ছ’মাস ধরে জেপিসি সভাগুলি পরিচালনা করেছি। প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে তাদের (বিরোধী পক্ষের) কথা শুনেছি।”

    জগদম্বিকার নিশানা

    বিলটির বিরোধিতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জগদম্বিকা নিশানা করেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডকে। তাদের বিরুদ্ধে বিষয়টির গায়ে রাজনীতির রং লাগানোর অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “রমজানের নমাজের সময় মসজিদে কালো ব্যান্ড পরার জন্য আমাদের বিরোধী দল বা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আবেদনেই স্পষ্ট, তারা এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।” এদিকে, ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে পেশ করার প্রস্তুতি নেওয়ায় এদিন বিজেপি নেতা মোহসিন রাজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইনে এই সংশোধনী পাশ হলে তা প্রান্তিক মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ (উপহার) হবে।”

    সবচেয়ে বড় ‘ইদি’

    সংবাদ মাধ্যমে (Waqf Amendment Bill) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশের সব সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মুসলিম ভাই-বোনেদের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এটি পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় ‘ইদি’ হবে।” বিলটির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। সাংসদ কিরণ কুমার চামালা বলেন, “এই বিল যদি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করে, তবে আমরা এর বিরোধিতা করব।” তিনি বলেন, “বর্তমান বাজেট অধিবেশনের মধ্যেও সরকার আজ লোকসভায় আট ঘণ্টার বিতর্ক করতে রাজি হয়েছে।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ

    এদিনই লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলটি পেশ হতেই ব্যাপক হইচই শুরু করে দেন বিরোধীরা। তার পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করে রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াকফের হাতে সংসদ ভবনের অধিগ্রহণ আটকেছেন। ইউপিএ সরকার সংসদ ও বিমানবন্দরের জমি ওয়াকফের হাতে তুলে দিয়েছিল।” তার আগে অবশ্য রিজিজু আলোচনা ও সকলের মতামত নেওয়ার জন্য জেপিসিকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, “আমি জেপিসির সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২৮৪টি প্রতিনিধি দল, ২৫টি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Amendment Bill) এই বিষয়ে জেপিসির কাছে নিজেদের মতামত জানিয়েছে।” বিল পেশের ঠিক আগেই কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী বলেন, “আজ ঐতিহাসিক দিন। আজ ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল লোকসভা পেশ করা হবে। দেশের স্বার্থেই এই বিল পেশ করা হচ্ছে।”

    ওয়াকফ সম্পত্তি

    প্রসঙ্গত, বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই (Jagdambika Pal)। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বারবার বহু গরিব মুসলমানের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নয়া সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কিনা, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি হল, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তি কোনওভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না। নয়া বিলে যে সুযোগও রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডে দুজন অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আপত্তি উঠেছে। একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব (Waqf Amendment Bill)।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে প্রথম পাশ হয় ওয়াকফ আইন। ১৯৯৫ সালে ওই আইনে সংশোধনী এনে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল ওয়াকফ বোর্ডের। তারপর থেকেই বিজেপির তরফে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে বোর্ডের একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে। বিজেপির দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমস্ত সুবিধা ভোগ করছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। বঞ্চিত হচ্ছেন (Jagdambika Pal) সাধারণ মুসলমানরা। নয়া আইন কার্যকর হলে উপকৃত হবেন সাধারণ মুসলমানরা (Waqf Amendment Bill)।

  • National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    National Flag: জনগণের দাবি ছিল অশোক চক্রযুক্ত গেরুয়া, জাতীয় পতাকার রং বদলে গিয়েছিল ‘মহাত্মা’র ভেটোয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় পতাকার (National Flag) রং হওয়ার কথা ছিল গেরুয়া। জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসও এটি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু একজনের তীব্র বিরোধিতায় বদলে যায় ভারতের জাতীয় পতাকার রং (Mohandas Karamchand Gandhi)। যাঁর জন্য জাতীয় পতাকার রং গেরুয়া না হয়ে তেরঙা হল, তিনি হলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। এহেন বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। লেখক সচিন নন্দা।

    কী লিখেছেন নন্দা? (Mohandas Karamchand Gandhi)

    বইটির ১২তম অধ্যায়ে (পৃষ্ঠা ২৩১), নান্ধা লিখেছেন, “ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একটি ৭-সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। এদের কাজই ছিল জাতীয় পতাকার রং কেমন হবে, তা নিয়ে জনগণের মতামত নেওয়া। ১৯৩১ সালে কমিটি জানায়, জনগণ চায় অশোক চক্রযুক্ত একটি কেসরি (গেরুয়া) রঙের জাতীয় পতাকা। ‘রিপোর্ট অফ দ্য ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কমিটি’র একটি অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে ‘হেডগেওয়ার: এ ডেফিনিটিভ বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থে। সেখানে লেখা হয়েছে, “এই মত একমতভাবে গৃহীত হয়েছে যে আমাদের জাতীয় পতাকার ডিভাইসের রং ছাড়া বাকি অংশ এক রংয়ের হওয়া উচিত। যদি এমন একটি রং থাকে যা সমগ্র ভারতীয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য, আবার অন্যান্য রংয়ের তুলনায় বেশি স্বতন্ত্র, যে রং দীর্ঘ ঐতিহ্য দ্বারা এই প্রাচীন দেশের সঙ্গে যুক্ত – তা হল কেসরী (গেরুয়া) বা জাফরান রং। সেই মতো এই ধারণা হয়েছে যে ডিভাইসের রং ছাড়া পতাকার রং কেসরী হওয়া উচিত। আর ডিভাইস হিসেবে চরকা ব্যবহার করা হবে এ নিয়েও সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া গিয়েছে।”

    বাগড়া দিয়েছিলেন গান্ধী!

    কমিটির এই রিপোর্ট মেনে নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং আবুল কালাম আজাদের মতো ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা এতে স্বাক্ষরও করেছিলেন। আরএসএস গেরুয়া রংকেই ‘রাষ্ট্র ধ্বজ’ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে দেয় (National Flag)। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তটি মহাত্মা গান্ধীর (Mohandas Karamchand Gandhi) কারণে বাতিল হয়ে যায়। তাঁর সাফ কথা, জাতীয় পতাকার রং শুধু ‘তিরঙ্গা’ হওয়াই উচিত। গান্ধীর এই ভেটোর কারণে জনগণমনের আবেগ ও সভ্যতার পরিচয় উপেক্ষিত হয়। মান্যতা পায় গান্ধীর ইচ্ছা। গেরুয়া নয়, জাতীয় পতাকার রং হয় তেরঙা। বস্তুত, গান্ধীর জন্যই গেরুয়া ধ্বজা আমাদের জাতীয় পতাকা হয়ে উঠতে পারেনি। নন্দা লিখেছেন, “ভারত আজও সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁচে আছে, এবং যদিও এটি (ভারত) এ নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছে, আধুনিক ভারতের কোটি কোটি মানুষ কিন্তু মনে করেন যে তাঁদের দেশের জাতীয় পতাকাটির রং ভুল (Mohandas Karamchand Gandhi)।”

    নন্ধার সাফ কথা

    সম্প্রতি সাংবাদিক বরখা দত্তকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নন্দা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “দু’বছর শেষে এই কমিটি কংগ্রেসকে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তারা বলে, রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছে, তা হল মানুষ এমন একটি পতাকা চান যা তাঁদের সাংস্কৃতিক সভ্যতার প্রতিনিধিত্ব করে, যেই নামেই ডাকুন না কেন, তা হতে হবে কেসরী রংয়ের যার কোণের কোনও এক জায়গায় একটি চক্র থাকবে। কমিটির এই রিপোর্টে নেহরু স্বাক্ষর করেছিলেন। আবুল কালাম আজাদ এবং কমিটির অন্যান্য ছ’জন সদস্যও এটি অনুমোদন করেছিলেন। এটি গান্ধীর কাছে গেল এবং গান্ধী এটিতে ভেটো দিলেন। তিনি কমিটিকে সরিয়ে দিয়ে বললেন, আমি এটা মানব না (National Flag)। এটা তেরঙা পতাকা হতে হবে।” জানা গিয়েছে, গান্ধী (Mohandas Karamchand Gandhi) ভারতের জাতীয় পতাকায় ইউনিয়ন জ্যাক রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, যদি চরকার জায়গায় অশোক চক্র বসানো হয়, তবে তিনি একে কুর্নিস করবেন না।

    জাতীয় পতাকার রং বদল

    প্রসঙ্গত, ১১৭ বছরে ভারতের জাতীয় পতাকা পরিবর্তিত হয়েছে মোট ৬ বার। প্রত্যেকবারই এই রাষ্ট্র ধ্বজা আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন রূপে। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া আজকের তেরঙা পতাকাটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই সংবিধান কমিটির সভায় এই পতাকাটি স্বাধীন ভারতের পতাকা হিসাবে গৃহীত হয়। তিনি খুব চিন্তাভাবনা করেই রংগুলি যুক্ত করেছিলেন। তেরঙার ওপরে রয়েছে গেরুয়া রং। এটি বীরত্ব ও ত্যাগের প্রতীক। মাঝে রয়েছে সাদা রং। এটি শান্তির প্রতীক। নীচের সবুজ রং সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর মাঝখানে থাকা অশোক চক্রটি সারনাথের অশোক স্তম্ভ থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি কর্তব্যের প্রতীক। ১৯০৬ সালে প্রথম ভারতীয় জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়। যদিও তা বর্তমান পতাকার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল (Mohandas Karamchand Gandhi)।

  • Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    Waqf Bill 2025: নতুন ওয়াকফ আইন কেন আনা দরকার? মুসলমানদের জন্য কতটা প্রয়োজন এই সংশোধনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৫ (Waqf Bill 2025)। রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল। বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। সরকারের যুক্তি, বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তিতে কোনও ভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। তাতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকে না সরকারের। নতুন বিলে তার বন্দোবস্ত রয়েছে।

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) হল মুসলিম আইন দ্বারা স্বীকৃত ধর্মীয়, ধার্মিক বা দাতব্য উদ্দেশ্যে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির স্থায়ী উৎসর্গ। ওয়াকফ সম্পত্তি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা দান করা হয় এবং বোর্ডের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতিটি রাজ্যের একটি ওয়াকফ বোর্ড আছে। এটি একটি আইনি সংগঠন যা সম্পত্তি অর্জন, ধারণ এবং হস্তান্তর করতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বিক্রি বা লিজ দেওয়া যাবে না।

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের জমির পরিমাণ

    ওয়াকফ বোর্ড দেশ জুড়ে ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তির ৯.৪ লক্ষ একর জমি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। যার আনুমানিক মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। এর ফলে ওয়াকফ বোর্ড ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং ভারতীয় রেলের ঠিক পরেই। দেশজুড়ে ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। প্রধানত, কৃষিজমি, ভবন, দরগা/মাজার, কবরস্থান, ঈদগাহ, খানকাহ, মাদ্রাসা, মসজিদ, প্লট, পুকুর, স্কুল, দোকান এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়াকফ সম্পত্তি হতে পারে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে ৪০,৯৫১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনাল ওয়াকফ বা ওয়াকফ সম্পত্তি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা। যার মধ্যে ৯,৯৪২টি মামলা মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক ওয়াকফ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।

    ভারতে ওয়াকফ আইন

    ভারতে ওয়াকফগুলি (Waqf Bill 2025) ওয়াকফ আইন, ১৯৯৫ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। একজন সার্ভে কমিশনার স্থানীয় তদন্ত পরিচালনা করে, সাক্ষীদের তলব করে এবং নথিপত্র সংগ্রহ করে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষিত সমস্ত সম্পত্তি তালিকাভুক্ত করেন। ওয়াকফটি একজন মুতাওয়াল্লি দ্বারা পরিচালিত হয়, যিনি একজন তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নানা ধরণের আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ওয়াকফ বোর্ডকে। কখনও সম্পত্তি সংক্রান্ত, কখনও মহিলা প্রতিনিধি সংক্রান্ত বিষয়ে। ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার বিধান রয়েছে। হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পাল্টে দিতে পারে।

    কেন ওয়াকফ আইনে সংশোধনী

    ওয়াকফ আইনের (Waqf Bill 2025) ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার এত দিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বার বার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। নতুন সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সম পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে। এর পাশাপাশি ওয়াকফ বোর্ডে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। নতুন বিল অনুসারে, একজন অমুসলিমও বোর্ডের শীর্ষপদে বসতে পারবেন। কমপক্ষে দু’জন সদস্য অমুসলিম হওয়ার কথাও বলা রয়েছে সংশোধনীতে।

    নতুন ওয়াকফ বিলের মূল বৈশিষ্ট্য

    নতুন ওয়াকফ বিলটি অনেক দিক থেকে সংস্কারমূলক এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য লাভজনক হতে পারে। এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

    ১. ওয়াকফ সম্পত্তির উন্নত ব্যবস্থাপনা:

    নতুন বিলটি ওয়াকফ সম্পত্তির জন্য একটি স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা কাঠামো তৈরি করবে। এতে ওয়াকফ বোর্ডের কার্যক্রম ডিজিটালাইজড হবে, যা সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণকে আরও সহজ এবং দক্ষ করবে। এতে করে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় জটিলতা কমবে এবং আরও সঠিকভাবে তা ব্যবহৃত হবে।

    ২. মুসলিমদের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা:

    নতুন বিলে ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় করা অর্থ মুসলিমদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। এই আয় থেকে মুসলিম শিশুদের শিক্ষার জন্য স্কুল ও কলেজ চালানো, দরিদ্রদের সহায়তা করা, এবং মসজিদ-মাদ্রাসা সংস্করণে সহায়তা প্রদান করা হবে। এটি মুসলমানদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

    ৩. ওয়াকফ বোর্ডের শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ:

    নতুন বিলে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক ওয়াকফ বোর্ড কার্যক্রমে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে থাকে। এই নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ডকে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ এবং কার্যকরী করে তোলা হবে।

    ৪. অপ্রাপ্ত বয়সী ও নারীদের জন্য সুবিধা:

    মুসলিম নারীদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা থাকবে। তারা ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের উন্নতির জন্য সহায়তা পাবে। নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অন্যান্য সাহায্য পাওয়া সম্ভব হবে।

    ৫. সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব বৃদ্ধি:

    নতুন বিলে মুসলিম সমাজে ওয়াকফের গুরুত্ব আরও বাড়ানো হবে। ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এছাড়া, এই বিলটি সমাজে মুসলিমদের প্রতি সরকারি সহানুভূতির পরিমাণও বৃদ্ধি করবে।

    মুসলমানদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    ওয়াকফ (Waqf Bill 2025) ব্যবস্থাপনার সঠিক এবং স্বচ্ছ পদ্ধতি মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘকাল ধরে, অনেক ওয়াকফ সম্পত্তি অব্যবস্থাপনার শিকার হয়ে পড়েছে, এবং এর সুবিধা মুসলিম সমাজে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। এতে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় সম্পত্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্য সেবায় আরো বেশি সুবিধা পাবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় একটি বৃহৎ জনগণ, এবং তাদের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। নতুন ওয়াকফ বিলটি এদের জন্য সেই সহযোগিতার একটি বড় হাতিয়ার হতে পারে। এটি মুসলিমদের শিক্ষার মান উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে। নতুন ওয়াকফ বিলটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ওয়াকফ সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত ব্যবহারের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয়, শিক্ষা, ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হবে। আশা করা যায়, এই বিলটি মুসলিমদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

  • Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    Jammu-Kashmir: জম্মুতে ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, ভারতের পাল্টা জবাবে নিহত ৫ পাক জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অনুঘটক হিসেবে তাদের কভারিং ফায়ার দিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালাল পাকিস্তান সেনা। তবে, প্রস্তুত ছিল ভারতও। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চের কৃষ্ণঘাটি (Krishna Ghati) সেক্টরে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পাকিস্তান। পাল্টা জবাব দেয় ভারত। সূত্রের খবর, এই গুলির লড়াইয়ে পাকিস্তান সেনার একাধিক সদস্যর মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর, অন্তত পাঁচ পাক জওয়ান নিহত হয়েছেন। সীমান্তে একাধিক পাক বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ।

    কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিং (Jammu-Kashmir) 

    ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলওসি-তে (Line of Control) একটি মাইন বিস্ফোরণের পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে সংঘর্ষ শুরু করে, যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। ভারতের দিকে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও, পাকিস্তানি বাহিনীর বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণরেখায় (Jammu-Kashmir) কৃষ্ণঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Pakistan Violates Ceasefire) করে গুলি চালিয়েছে। এর জবাব দিয়েছেন নাঙ্গি টেকরি ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে ক্রস-ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল। মঙ্গলবারের ঘটনায় পাকিস্তানের সেনার একাধিক সদস্য হতাহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    পাকিস্তানের প্রয়াস ব্যর্থ করল ভারত 

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সীমান্তরেখা এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, ওই গুলির লড়াইয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) এলাকায়, ৪-৫ জন পাক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দিন ভর সেখানে গুলির লড়াই চলে। ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। গত দুই মাস ধরে দক্ষিণ পীর পঞ্জাল এলাকায়, সীমান্তরেখায় ক্রশ-ফায়ারিংয়ের (Pakistan Violates Ceasefire) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের লড়াইও হচ্ছে। শনিবার তল্লাশি অভিযানের সময় সেনার রাইজিং স্টার কোর-র প্রত্যাঘাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করে বাহিনী।

  • Daily Horoscope 02 April 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 April 2025: সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।
    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।
    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    Lakshmi Puja: চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন, সৌভাগ্য থাকবে সারা বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৩১ শেষের পথে। কথায় রয়েছে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রতি মাসেই বাঙালি হিন্দুদের কিছু না কিছু উৎসব লেগেই থাকে। আর ধনলক্ষ্মীর পুজো তো হয় প্রতিদিনই। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবারই হল লক্ষ্মীবার। দেবী লক্ষ্মীর প্রতিদিন বাড়িতে পুজো করা হয়। তবে বিশেষ আশীর্বাদ লাভের জন্য ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাস দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা (Lakshmi Puja) করা হয়। এই সময়ে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে ধন, সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, সৌন্দর্য ও শক্তি বৃদ্ধি পায়।

    চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজোর প্রচলিত কাহিনী

    চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের বৃহস্পতিবার চৈত্র মাসের লক্ষ্মীপুজো ব্রত পালন করা হয়। বলা হয় এই ব্রত করলে সংসারে মা লক্ষ্মী বিরাজ করেন। পুরাণ বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী, একদিন নারায়ণের ইচ্ছ হলে তিনি -মা লক্ষ্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর পুষ্পরথ করে মর্ত্যে ঘুরতে এলেন। মর্ত্যে এসে বামুন আর বামনির বেশ ধরে তাঁরা ঘুরতে লাগলেন। নারায়ণ-লক্ষ্মীকে উত্তর দিকে যেতে না করলেন। লক্ষ্মী নারায়ণের বারণ না শুনে উত্তর দিকে গিয়ে দেখলেন তিল ফুলের বাগান। লক্ষ্মী ওই তিল ফুল তুলে খোঁপায় দিলেন, গলায় পরলেন। এমন সময় সেই বাগানের মালী এসে লক্ষ্মীকে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে আটকে রাখলেন। নারায়ণ এসে প্রশ্ন করলে ওই মালী বললেন তাঁর বাগানে ফুল তোলার শাস্তি হিসেবে লক্ষ্মীকে তাঁর বাড়িতে ১২ বছর রাঁধুনির কাজ করতে হবে। নারায়ণ লক্ষ্মীকে রেখে চলে গেলেন। লক্ষ্মীকে বামুন বাড়িতে নিয়ে গেল। বামুনের বাড়িতে চাল-ডাল বাড়ন্ত। কিন্তু লক্ষ্মী আসাতে তাঁর ঘর ভরে গেল। দেখতে দেখত বারো বছর কেটে গেল। লক্ষ্মীর কৃপায় বামুনের ঘর ভরে উঠেছিল। এবার নারায়ণ লক্ষ্মীকে নিয়ে যেতে এলেন, বামনি লক্ষ্মীকে ছাড়তে চাইলেন না। কেঁদে কেঁদে তাঁর পায়ে পড়লেন। লক্ষ্মী বামনীকে বললেন তাঁরা যেন ভাদ্র, কার্তিক, পৌষ ও চৈত্র মাসে লক্ষ্মীপুজো করেন তাহলেই সংসারে আর অভাব থাকবে না। এভাবেই চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজর প্রচলন হল।

    কেন লক্ষ্মী আরাধনা

    হিন্দু ধর্মে সম্পদের দেবী হলেন লক্ষ্মী (Goddess Lakshmi)। তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী, ইনি স্বত্ত্ব গুনময়ী। লক্ষ্মীর পূজা (Lakshmi Puja) অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলি ও কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবারকে লক্ষ্মীবারই বলা হয়ে থাকে। লক্ষ্মী পুজো নিয়ে রীতিমতো বিভিন্ন রীতি পালন করে ধনদেবীর আরাধনা করা হয়। একটু পুরনো ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলাতেই মায়ের আরাধনা করা হত। আসল নিয়ম এটাই। তবে সময় বদলেছে। বহু মানুষ বর্তমানে সুবিধার জন্য সকালের দিকে বা বিকেল নাগাদ পুজো সেরে নেন। তবে এখনও লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলায় বাঙালির ঘরে, তুলসীতলায় জ্বলে ওঠে সন্ধ্যাপ্রদীপ।

    চলতি বছর চৈত্র মাসে লক্ষ্মী পুজো

    দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয় শহর জুড়ে। ধন, সম্পদ, বৈভবের আশায় মায়ের কাছে প্রার্থনা করেন আপামোর সাধারণ জনতা। তবে শুধু মাত্র আশ্বিনেই নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী — ভাদ্র, পৌষ, চৈত্র। কোথাও মা লক্ষ্মীকে মূর্তি হিসেবে, কোথাও বা সরায় আঁকা পটে পুজো করা হয়। চলতি বছর বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ লক্ষ্মী পুজো হবে। ওই দিন এই বছর আবার চৈত্রমাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই অশোক ষষ্ঠী ব্রতও পালন করা হবে। অশোক ষষ্ঠীর তিথি বুধবার, ২ এপ্রিল রাত থেকে এই শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার এই অশোক ষষ্ঠী পালিত হবে। ২০২৫ সালে অশোক ষষ্ঠীর তিথি শুরু হবে ২ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে। আর ৩ এপ্রিল রাত ৯ টা ৪১ মিনিটে এই তিথি শেষ হবে।

    লক্ষ্মী পুজোর দিন কী করবেন

    এই দিনে স্নানের পর পরিস্কার কাপড় পরিধান করুন এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। পুজোর সময় মাকে শস্য, হলুদ ও গুড় নিবেদন করুন। এই দিনে বাড়িতে শ্রী যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তাই এই যন্ত্র স্থাপনের পর শ্রীসুক্ত ও পদ্ম ফুলের মন্ত্র দিয়ে যজ্ঞ করুন। যজ্ঞের পর মাকে সাজসজ্জার সামগ্রী নিবেদন করুন। এর পরে, দেবী লক্ষ্মীকে লাল ফুল এবং ভগবান বিষ্ণুকে হলুদ রঙের কাপড় অর্পণ করুন। এছাড়াও এই দিনে দেবী লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করা উচিত। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মী পঞ্চমীর দিনে দান করতে হবে। এছাড়াও এই দিনে গরুকে খাওয়ান, কারণ এই দিনে গরুকে খাওয়ালে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

  • Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    Maa Sharda: আগেই উদ্বোধন করছিলেন শাহ, এবার জম্মু-কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ হিন্দুর আস্থা জড়িয়ে রয়েছে কুপওয়াড়ার শারদা মন্দিরের সঙ্গে। ৩৬ বছর পরে কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার শারদা মাতার (Maa Sharda) মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল। এ এক ঐতিহাসিক জয়। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে উপেক্ষা, আক্রমণ এবং দশকের পর দশক ধরে সাংস্কৃতিকভাবে হিন্দুদেরকে দমন করার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে বড় জয় পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। একটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্ব সম্পন্ন হয় শারদা পীঠে। এই সময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গর্ভগৃহে এই সময়ে প্রার্থনা চলে। অনেকে বলছেন দীর্ঘ চার দশক ধরে হিন্দুদের প্রতি বঞ্চনার জবাব অবশেষে দেওয়া গেল।

    কেন গুরুত্বপূর্ণ কুপওয়াড়ার শারদা পীঠ (Maa Sharda)?

    ঠিক ২ বছর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসেই জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার টিটওয়াল গ্রামে দেবী শারদার এই মন্দির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাধীনতার পরে সেই প্রথম নিয়ন্ত্রণরেখার গা-ঘেঁষে কোনও মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক সময়ে শারদা পীঠের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা শুরু হত কুপওয়ারার টিটওয়াল গ্রাম থেকেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার ঠিক পরেই পাক হানাদারদের আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় টিটওয়ালের শারদা মন্দির (Maa Sharda) ও গুরুদ্বার। দেশভাগের পর থেকেই ওই এলাকায় ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল পন্ডিত সমাজ। অবশেষে ২০২৩ সালের মার্চে হয় মন্দির উদ্বোধন। এবার হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা।

    ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন মন্দির

    প্রসঙ্গত, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফ্‌রাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় অবস্থান করছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের একটি শারদা পীঠ ও শারদা (Maa Sharda) বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে বারোশো শতকের মাঝে ভারতীয় উপমহাদেশে এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির বিশ্ববিদ্যালয়। নালন্দা-তক্ষশীলার (Jammu and Kashmir) থেকেও প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে হামলা করে ভেঙে দেয় বিদেশী আক্রমণকারীরা। ঐতিহাসিকরা জানাচ্ছেন, ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা শারদী পীঠকে। পরবর্তীকালে ১৯ শতকে মহারাজা গুলাব সিং মন্দিরকে আবার সংস্কার করেন। একদা এই মন্দির ছিল জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, ষষ্ঠ ও দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে, ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়টি বিশিষ্ট মন্দিরকেন্দ্রীক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তারমধ্যে অন্যতম ছিল এই শারদা পীঠ। জানা যায়, এর গ্রন্থাগার ছিল খুবই বিশ্ব বিখ্যাত।

    ১৯৪৮ সালে পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই মন্দিরে

    এই গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য বহুদূর থেকে পণ্ডিতরা এখানে আসতেন বলে জানা যায়। জানা যায়, উত্তর ভারতে শারদা লিপির বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই মন্দিরের। বর্তমানে অধিকৃত কাশ্মীরে একেবারে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মন্দিরটি। হিন্দুদের বিশ্বাস, এখানেই সতীর ডান হাত পড়েছিল। তবে ১৯৪৮ সালের পর থেকে ভারতীয়রা যেতে পারেন না এই তাঁদের তীর্থস্থলে।প্রসঙ্গত, সারদা পীঠে ভারতীয় দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকারের দাবিতে ২০০৪ সাল থেকেই সরব ‘সেভ সারদা কমিটি’।

    ২০২৩ সালে কুপওয়াড়ার মন্দির উদ্বোধন করে কী বলেছিলেন শাহ

    ২০২৩ সালে মন্দির উদ্বোধনের পরে অমিত শাহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেন, ‘‘৩৭০ প্রত্যাহারের পরে কাশ্মীরের পরিস্থিতি যে শান্ত হয়েছে, তা সীমান্ত এলাকায় ওই মন্দির নির্মাণ থেকেই স্পষ্ট। কেবল হিন্দু মন্দিরই নয়, জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে যে সুফি তীর্থস্থানগুলি ভেঙে দিয়েছে, সেগুলিও পুনরুদ্ধার করবে মোদী সরকার।’’ কর্তারপুরের ধাঁচেই সীমান্তের ও-পারে থাকা মূল শারদা মন্দির পর্যন্ত হিন্দুদের যাত্রার ব্যবস্থার দাবিও উঠেছে বারবার।কর্তারপুর করিডরটি ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এই স্থানে আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ শিখ উপাসনালয়। প্রথমটি হল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব এবং আরেকটি হল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক। এই সংযোগস্থল হল তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখানে তাদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। সারদা পিঠ করিডোর  এর ক্ষেত্রেও সরকারের একই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের।

  • Heatwave: চৈত্র মাসেই পারদ ৪০ পার, এপ্রিল-জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ বাংলায়, জানাল মৌসম ভবন

    Heatwave: চৈত্র মাসেই পারদ ৪০ পার, এপ্রিল-জুনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ বাংলায়, জানাল মৌসম ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিল-জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে! গতকাল সোমবারই আইএমডি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এপ্রিল মাসেই পশ্চিমবঙ্গে ৬ দিন তাপপ্রবাহ চলতে পারে। একইসঙ্গে গরমের অস্বস্তিও তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকতে পারে। শুধু বাংলাতেই নয় প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা দেখা যাবে।

    পশ্চিমবঙ্গে চৈত্র মাসেই ৪০ পার করল পারদ (Heatwave)

    প্রসঙ্গত, চৈত্র মাসেই পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পারদ (Heatwave) ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কোথাও আবার তাপমাত্রার পারদ ৪০ ছুঁইছুঁই হয়ে গিয়েছে কয়েক দিন আগেই। যদিও চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া জেলাতে। অন্যদিকে শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও।

    হিট আশঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি নিতে বলল কেন্দ্র (Heatwave)

    এই আবহে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কায় রাজ্যগুলিকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছে কেন্দ্র সরকার। এজন্য রাজ্যগুলিকে নিজ নিজ এলাকার হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে ইতিমধ্যে। মৌসম ভবন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছরের এপ্রিল মাসে দেশে বৃষ্টিপাতের হার মোটের ওপর স্বাভাবিকই থাকতে পারে। গড়ে ৩৯.২ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী বলছেন মৌসম ভবনের প্রধান?

    সাধারণত এপ্রিল-জুন মাসে দেশে গড়ে ৪-৭ দিন প্রবল তাপপ্রবাহ দেখা যায়। তবে মৌসম ভবনের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, মধ্য ভারত এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৪ দিন বেশি তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। বাংলা ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলি ছাড়াও তাপপ্রবাহ (Heatwave) চলতে পারে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানায়। পাশাপাশি কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশেও বেশি দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলতে পারে।

  • Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন এবং ভারতের সম্পর্ক (India China Relation) একটি “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) এর মতো হওয়া উচিত, যা তাদের প্রতীকী প্রাণীদের শান্তিপূর্ণ নৃত্যের প্রতিফলন। মঙ্গলবার, দুই দেশের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করার সময় এই মন্তব্য করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর কথায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। শি জিনপিং এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু ছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিশেষ উপলক্ষে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সূচক।

    বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন

    মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময় ট্যারিফ নিয়ে ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, সেই সময়ে জিনপিংয়ের মুখে ভারতের উদ্দেশে ‘ট্যাঙ্গো’র বার্তা অর্থবহ। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তৈরি করতে এবং মতপার্থক্য কমাতে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিনের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই অঞ্চলের এবং গোটা বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রশ্নে দুই দেশের ভূমিকা অপরিসীম। এই দুই দেশের বিকাশের সঙ্গে তাদের মৌলিক স্বার্থ জড়িত। দরকার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করা।

    ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো

    “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) একটি রূপক যা ভারত এবং চিনের মধ্যে জটিল এবং মাঝে মাঝে সংবেদনশীল সম্পর্কের বর্ণনা দেয়। “ড্রাগন” চিনের প্রতীক, যা এর উন্নত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূরাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর “এলিফ্যান্ট” ভারতের প্রতীক, যা এর উত্থানশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে। “ট্যাঙ্গো” এই সম্পর্কের মধ্যে জটিল, কিন্তু সতর্ক নৃত্যকে বোঝায়, যা কখনও কখনও সহযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বিরোধী শক্তির প্রতিফলন। ভারত-চিন সম্পর্কও খানিকটা এরকম। বহু ওঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে দুই দেশের জনগণের জন্য একযোগে কাজ করা কথা বলছে চিন।

LinkedIn
Share