Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar: কোটি কোটি টাকার অঙ্গ পাচার, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস! অন্য জগৎ আরজি করের মর্গ

    RG Kar: কোটি কোটি টাকার অঙ্গ পাচার, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস! অন্য জগৎ আরজি করের মর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের (RG Kar) মর্গে মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির কারবার ফুলেফেঁপে উঠেছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। দুর্নীতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা বলেই প্রাথমিক অনুমান সিবিআইয়ের। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এসেছে, গভীর রাতে মর্গে চলত মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস, ধৃত সঞ্জয় রায়ের ফোনে সেই ছবিই পেয়েছেন আধিকারিকরা। এতেই দানা বাঁধছে সন্দেহ, আরজি করের (RG Kar) মর্গ কি তবে বিকৃত পর্নোগ্রাফির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল?

    পড়শি দেশেও পাচার করা মৃতদেহের অঙ্গ (RG Kar)

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, দুর্নীতির তদন্তে নেমে দেখা যাচ্ছে যে আরজি করের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালের মর্গ দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। তবে সরকারি হাসপাতালই নয় বেশ কতগুলো বেসরকারি হাসপাতালও এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের তরফ থেকে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে তাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে নেওয়া হত। একেকটি অঙ্গের দর অন্তত চার থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত উঠত। তার পরে এই অঙ্গগুলি পাচার করা হত দেশের অন্যান্য রাজ্যে। এর পাশাপাশি, পড়শি দেশেও পাচার করা এই অঙ্গ (RG Kar), এমনটাই জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনই মানবদেহের হৃদপিণ্ড, যকৃত, কিডনির চাহিদাও বেড়েছে। এগুলি মূলত শিক্ষাদানের কাজেই ব্যবহার করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি এই কাজে যুক্ত ছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুইজনকে ইতিমধ্যে ৩ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং অঙ্গ ব্যবসার জোরালো সূত্র মিলেছে তাঁদের কাছ থেকে। সাধারণভাবে যে নিয়ম রয়েছে তাতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ সাধারণত সাত দিন পেরোলে তা পুড়িয়ে দেওয়ার কথা। আইন অনুযায়ী, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ নিতে হলে স্বাস্থ্য ভবনের ছাড়পত্র প্রয়োজন কিন্তু সেসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডাক্তারদের সিন্ডিকেটই অঙ্গ ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে বলে খবর।

    মর্গের মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস, তারপর তা ক্যামেরাবন্দি করত ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার

    সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ও মর্গে অবাধেই যাতায়াত করত। রাত বাড়লেই শুরু হত আরজি করে কুকীর্তি! তবে শুধু ধৃতই সিভিক ভলান্টিয়ারই নয়, বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতির যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল, সেখানে যাতায়াত ছিল আরও অনেকেরই। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। মেডিক্যাল কলেজের মর্গের ভিতরের একটি ভিডিও উদ্ধার হয়েছে ধৃতের মোবাইল থেকে। সেখানে মরদেহের সঙ্গে সহবাসের ছবি মিলেছে ধৃতের। এখানেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। সাধারণভাবে, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস করা এক ধরনের মানসিক ব্যাধি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘নেক্রোফিলিয়া’। কিন্তু শুধুই কি মানসিক ব্যাধির কারণেই এমনটা করত সঞ্জয়? নাকি আরজি করের (RG Kar) মর্গ হয়ে উঠেছিল বিকৃত পর্নোগ্রাফির কেন্দ্র? এটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। মোটা টাকার বিনিময়ে এই সমস্ত ভিডিও বিদেশে বিক্রি করা হত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ধৃত সঞ্জয় রায়ের এমন কাণ্ডের ছবি মর্গের ভিতরে কারা তুলত? এবিষয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের কাছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আরজি করের মধ্যে দাপিয়ে বেড়ানো সিন্ডিকেটের কয়েকজনই সেই ছবি তুলত। পর্নোগ্রাফি চক্রের পাশাপাশি বেওয়ারিশ মৃতদেহের হিসাবেও গরমিল উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।

    ২০২১ সাল থেকে বছরে ৬০-৭০টি করে মৃতদেহ পাচার করা হত 

    তদন্তকারীরা (CBI) জানাচ্ছেন, ২০২১ সাল থেকে বিগত কয়েক বছরে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি করে দেহের হিসাব পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা এক্ষেত্রে জানতে পেরেছেন সন্দীপ ঘোষ তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে আনেন এবং তাঁকেই ‘হেড ডোম’ করা হয় মর্গের। অন্যদিকে, মর্গ তৈরির সময় থেকে যিনি ‘হেড ডোম’ ছিলেন তাঁকে সিন্ডিকেটের প্রভাবে অন্য বিভাগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    রাত হলেই মর্গে আনাগোনা করতেন সিন্ডিকেটের নেতারা

    প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটার মধ্যে মর্গ বন্ধ করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও গভীর রাত পর্যন্ত মর্গে আলো জ্বলত বলে জানা গিয়েছে। আরজি করে বর্তমানে ৪০টিরও বেশি কোল্ড চেম্বার রয়েছে। রাতে সেই চেম্বার খোলা হত বলেও অভিযোগ। সিবিআইয়ের সন্দেহ, সেই সময়েই বের করা হত মৃতদেহ। তার পরে চলত সহবাস, যা মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করা হত। দুর্নীতির সেই শিকড় খুঁজছে সিবিআই। মর্গের এক কর্মী নিজের নাম গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সন্ধ্যা হলেই মর্গে নিয়ে আসা হত মদের বোতল। সেখানে আমাদের মতো ছোটখাটো কর্মীদের কারও কিছু বলার সাহস ছিল না। বললেই হয় বদলি, নয় চাকরি যাওয়ার হুমকি দেওয়া হত।’’ অভিযোগ, রাত বাড়লেই মর্গে এসে ঢুকতেন সিন্ডিকেটের দাপুটে নেতাদের অনেকেই। ওই কর্মীর কথায়, ‘‘অন্যায় দেখেও চুপ করে থাকাটাই তো অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার চোয়ালের ডান দিকে কামড়ের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ওই চিহ্ন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কি না, তা জানতে চায় সিবিআই। এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, কামড়ের দাগ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের। সূত্রের খবর, তবে সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিলেন না সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। নিশ্চিত হতে এ বার সঞ্জয়ের দাঁতের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবে নমুনা পাঠানো হল।  

    জেলে গিয়ে অভিযুক্ত সিভিকের নমুনা সংগ্রহ (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারীরা। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ার পরই বুধবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির আধিকারিকরা পৌঁছন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক সেখানে কাটান। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি তাঁর দাঁতের গঠনের ছবি করেন। সঞ্জয়ের কামড়ের নমুনা বা টিথ ইমপ্রেশন সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার শরীরে যে কামড়ে চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, এই নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, যেদিন সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই দিন তাঁর ডানদিকের চোয়ালে কালশিটে দাগ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বিষয়টিকে ‘বাইট মার্ক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবার নির্যাতিতার শীরের দাগটি সঞ্জয়ের থেকেই তৈরি হওয়া কি না তা নিশ্চিত হতেই দিল্লিতে সিএফএসএল দিল্লিতে এই নমুনা পাঠাল সিবিআই। অপরদিকে, প্রাথমিকভাবে যাচ্ছে, এইমসে যে ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তির অস্তিত্বের জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    সিবিআইয়ের অনুমান

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যদি সঞ্জয়ের দাঁতের থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে নির্যাতিতার শরীরের কামড়ের চিহ্ন না মেলে তাহলে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা থাকবে বলে অনুমান সিবিআইয়ে (CBI)। উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআই-এর হাতে। আপাতত আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সঞ্জয়। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এবার সিবিআই-এর নজরে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআইয়ের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা সুদীপ্তের সিঁথির মোড় সংলগ্ন বিটি রোডের বাড়িতে পৌঁছন। বিধায়কের মালিকানাধীন বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও যান অফিসাররা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে সুদীপ্তের বাড়ি এবং নার্সিংহোমে।

    দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি 

    প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি রাজ্যের হেল্‌থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ যখন সিবিআই আধিকারিকরা সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দেন, তখন নীচের তলার অফিস ঘরেই ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। তদন্তকারীদের একটি দল নার্সিংহোমটিতেও তল্লাশি অভিযান চালায়। তিন জন সিবিআই আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন সুদীপ্তকে। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর সুদীপ্তের বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই। 

    সুদীপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুদীপ্ত রায়। ঘটনার দিন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয় সুদীপ্ত রায়ের। সকালে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছিলেন সন্দীপ। কল ডিটেলস রেকর্ডের সূত্র ধরে জানতে পেরেছে সিবিআই।  সেই সূত্র ধরেই তদন্তে সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোমে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সুদীপ্ত রায়কে নিয়ে প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার নন-মেডিক্যাল আখতার আলি। তিলোত্তমা পর্বে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আখতার আলি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, এক প্রভাবশালীর নার্সিংহোমে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হত। হাসপাতালের যাঁরা ভেন্ডার, তাঁদের দিয়ে সেই নার্সিংহোমের কাজ করানো হত। জানা যাচ্ছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সুদীপ্তের নার্সিংহোমে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    নানা প্রান্তে ইডির তল্লাশি

    এদিন আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডির একটি দল চিনার পার্কের ঘোষ ভিলা-তে যায়। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। বর্তমানে বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। আজ সকালে ইডির টিম সেখানে যায়। এরপর ঘোষ পরিবারের স্থানীয় এক পরিচিত এসে মূল দরজার তালা খুলে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, কলকাতায় ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এছাড়া বাকি দুটি ঠিকানা হল, লেকটাউনে একটি মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের অফিস ও টালা এলাকায় এক মেডিক্যাল ভেন্ডরের বাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Crisis: খুন-জখম-রাহাজানি, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। হাসিনা-উত্তর জমানায় ভালো নেই ‘সোনার বাংলা’। বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের (Power Crisis) প্রধান মহম্মদ ইউনূস। দেশের একমাত্র নোবেলজয়ীর হাতে দেশের ভার সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন হাসিনাকে দেশছাড়া করে কী ভুলটাই না করেছেন তাঁরা! এখন দেখে নেওয়া যাক, ইউনূস জমানায় কেমন আছে বাংলাদেশ।

    বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি (Bangladesh Crisis)

    দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লোডশেডিং হচ্ছে বাংলাদেশে। আকছার হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যার জেরে শিল্প উৎপাদন ও নাগরিকদের দুর্দশার অন্ত নেই। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি রয়েছে। কয়লার ঘাটতি রয়েছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার। ত্রিপুরা থেকে রফতানি হ্রাসের কারণে অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দৈনিক ঘাটতি বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্যা আরও বেড়েছে। ভারতের আদানি গ্রুপের কাছে বাংলাদেশের দেনা রয়েছে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ কমেছে ৮২০ মিলিয়ন ঘনফুট। পাওয়ার ক্রাইসিসের যে আশু কোনও সমাধান নেই, তা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিনান্স ও কমার্স উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহ ছন্দে ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। সরকার বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে চেষ্টা করছে। ঘাটতি মেটাতে জ্বালানি ও কয়লা আমদানিকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”

    আইনশৃঙ্খলার অবনতি

    সংরক্ষণকে ঘিরে যে আন্দোলন (Bangladesh Crisis) শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে ভাঁটা পড়েছে। আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশও ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের দায়িত্ব বর্তেছে ইউনূসের হাতে। তবে তাতে যে বাংলাদেশের খুব একটা উন্নতি হয়েছে, তা বলা যাবে না। দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়নি এখনও। খুন-জখম-রাহাজানি চলছেই। সোমবারই খুন হয়েছেন বগুড়ার সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানুর রহমান মিজান। এদিনই খুন হয়েছেন লেডু নামেও আর একজন। এর ঠিক আগের দিন আশুলিয়া শহরে একটি পোশাক কারখানার কর্মীরা সেনা, পুলিশ এবং রাবকে আক্রমণ করে। বকেয়া মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই সেখানে গিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। তাদের ওপরই হামলা চালান ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

    জামিনে মুক্ত সন্ত্রাসবাদী এবং অপরাধীরা

    ডামাডোলের বাজারে (Bangladesh Crisis) ক্ষমতায় এসেই (Power Crisis) ইউনূস মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু জঙ্গি এবং দাগি আসামীকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যাপক অবনতি হয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলার। বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে অন্তত ৬ জন শীর্ষ অপরাধী ও জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে কিলার আব্বাস, শেখ মহম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, ইমামুল হাসান হেলাল, সানজিদুল ইসলাম, নাইম আহমেদ ও খোরশেদ আলম রাসু। কুখ্যাত এই জঙ্গিরা ১০-১৫ বছর ধরে বন্দি ছিল বাংলাদেশের জেলে।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    ফেলে দেওয়া থুতু গিলতে হল!

    মলদ্বীপের মতো ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দিয়েছিল বাংলাদেশও। অথচ, দেশের ক্রাইসিস মেটাতে তাদেরই নির্ভর করতে হচ্ছে ভারতের ওপর। এতদিন যারা ভারতীয় পণ্য বয়কট করেছিল, তারাই এখন ২.৩১ লাখ মুরগির ডিম আমদানি করেছে। সোমবারই প্রথম লটের ডিম চলে গিয়েছে ‘সোনার বাংলা’য়।

    ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত

    কুর্সি যাতে খোয়াতে না হয়, তাই ইসলামবাদীদের বাড়বাড়ন্ত হতে দিয়েছেন ইউনূস স্বয়ং। গদি ধরে রাখতে একদিকে তিনি যেমন কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন জামাত-এ-ইসালমির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন, তেমনি মুক্তি দিয়েছেন মৌলবাদী সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেতা মহম্মদ জসিমউদ্দিন রহমানিকে। হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে, তাকেও বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে ইউনূস আস্থা অর্জন করছেন সে দেশের মুসলমানদের।

    রোহিঙ্গা সমস্যা

    রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে মায়ানমার ছেড়ে দলে দলে রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। গত আট থেকে ১০ দিনে ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে। সীমান্তে অপেক্ষা করছে আরও অন্তত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, মূলত রাতের অন্ধকারেই সীমান্ত টপকে রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। রিফিউজি রিলিফ ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন মহম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “সীমান্ত পেরিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এ দেশে ঢুকছে, তারা বিভিন্ন রিফিউজি ক্যাম্পগুলোতে থাকা তাদের আত্মীয়দের কাছে এসে উঠছে। ঠিক কতজন ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে (Power Crisis), তা বলতে পারব না (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Migraine Headache: মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে? ঘরোয়া উপাদানেই পেতে পারেন আরাম

    Migraine Headache: মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে? ঘরোয়া উপাদানেই পেতে পারেন আরাম

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাথার এক পাশে যন্ত্রণা! আবার কখনও যন্ত্রণা শুরু হয় পিছন থেকে। আর তার পরে গোটা মাথায় অসহ্য কষ্ট। কখনও এক বেলা, আবার কখনও দু’ থেকে তিন দিন! মাথার যন্ত্রণায় কাবু হন অনেকেই। আর এর কারণ অনেক সময়েই হয় মাইগ্রেন (Migraine Headache)! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, স্নায়ুর একাধিক কাজের জন্য মাইগ্রেন হয়। সাধারণত মস্তিষ্কের মধ্যে এক ধরনের পরিবর্তনের জেরেই এই মাইগ্রেন হয়। আর এই পরিবর্তন আলো, হাওয়া, শব্দ, গন্ধের জেরে হতে পারে। এক ধরনের সংবেদনশীলতা স্নায়ুতে তৈরি হয়। আর তার থেকেই মস্তিষ্কে এই ধরনের যন্ত্রণা হয়। তবে, কিছু ঘরোয়া উপাদানেই এই সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যেতে পারে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, কোন ঘরোয়া উপাদান মাইগ্রেনের যন্ত্রণা থেকে আরাম দিতে পারে?

    পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ও লেবুর রস (Migraine Headache)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে,‌ মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে ভুক্তভোগীদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া উচিত। তাহলে মাইগ্রেনের সমস‌্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। আবার নিয়মিত লেবুর রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, যে কোনও ধরনের লেবুতে একাধিক খনিজ পদার্থ থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত খনিজ পদার্থের জোগান থাকলে সহজেই মাইগ্রেনের উপশম হয়। 

    পালং শাক খুবই উপকারী

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পালং শাক জাতীয় খাবার খেলে সহজেই মাইগ্রেনের (Migraine Headache) ভোগান্তি কমে। পাশাপাশি যে কোনও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সব্জি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তারা জানাচ্ছে, এতে মাইগ্রেন জাতীয় রোগের দাপট কমে।

    বাদাম বাড়তি সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বাদামে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই কাঠবাদাম হোক কিংবা কাজু, যে কোনও ধরনের বাদাম নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, এতে শরীর সহজেই নানান ধরনের খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবে। তাই মাইগ্রেন (Migraine Headache) নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    অন্তত একটি তরকারিতে লবঙ্গ থাকুক (Migraine Headache)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, লবঙ্গ খুবই উপকারী। লবঙ্গে রয়েছে নানান খনিজ। সর্দি-কাশিতে ভুগলে লবঙ্গ খুব উপকার দেয়।‌ আবার মাইগ্রেনের সমস্যাতেও লবঙ্গ সাহায্য করে। তাই দিনের যে কোনও একটি তরকারিতে লবঙ্গ (Home Ingredients) ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এতে মাইগ্রেনের সমস‌্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে ফরেন্সিক দলে ছিলেন ২ সিভিক ভলান্টিয়ার! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে ফরেন্সিক দলে ছিলেন ২ সিভিক ভলান্টিয়ার! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) নির্যাতিতা পড়ুয়ার ময়না তদন্তে সিভিক ভলান্টিয়ারের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় ফরেন্সিক নমুন সংগ্রহ করেছেন কে? সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে উঠেছিল এই প্রশ্ন। উত্তর খুঁজতে গিয়ে এ বার সামনে এল এই তথ্য। জানা যায়, ২ অফিসারের সঙ্গে ছিলেন ২ সিভিক ভলান্টিয়ারও! চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (RG Kar Incident)

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘নমুনা সংগ্রহ করলেন কে?’’ এর পর রিপোর্টের কিছু অংশ চিহ্নিত করে বিচারপতিদের দেখতে দিয়ে তিনি এ-ও মন্তব্য করেন, ‘‘সারা শরীরে এত আঘাত, মৃতদেহ অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রইল, এত জন এল-গেল, আর রিপোর্ট এল এই রকম? নমুনা সংগ্রহ করলেন কে?’’ এরপরই সমস্ত তথ্য সামনে আসে। জানা গিয়েছে, ময়না তদন্তের সময় ছিলেন সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার এক জন। সায়েন্টিফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট এক জন। আর দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার।

    কেন গেলেন না অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর?

    খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ টিস্যু, রক্ত, সিমেনের মতো নমুনা সংগ্রহের জন্য ছিলেন না কোনও বিশেষজ্ঞও। রাখা হয়নি কোনও ‘ক্রাইম সিন’ বিশেষজ্ঞকেও। জানা যাচ্ছে, ৯ অগাস্ট অর্থাৎ মৃতদেহ উদ্ধারের দিন, কলকাতা (Kolkata) পুলিশের মোবাইল ফরেন্সিক ইউনিটের অফিসার ইনচার্জ তথা রাজ্য ফরেন্সিক (RG Kar Incident) সায়েন্স ল্যাবরেটরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বেলগাছিয়ায় রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবেই ছিলেন। অথচ, তিনি ঘটনাস্থলে যাননি। পাঠানো হয়েছিল তাঁর চেয়ে কম পদমর্যাদার দুই কর্মী আর দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে। যাঁরা কলকাতা পুলিশেরই সিভিক ভলান্টিয়ার বলে সূত্রের খবর। এর পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, যেখানে স্বয়ং কলকাতার পুলিশ কমিশনার আরজি করের ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন, সেখানে ল্যাবেই থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার গেলেন না কেন?

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    কী সাফাই দিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর?

    রাজ্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পলাশবরণ মাইতি বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারেরা (RG Kar Incident) সাহায্য করার জন্য যান। ওঁদের বিশেষ ভূমিকা নেই। অন্য সব কেসেও তো এই ভাবেই চলছে।” পলাশবরণ পাঠিয়েছিলেন সনৎকুমার সাহা নামে এক বিশেষজ্ঞকে।  ৯ অগাস্ট হাসপাতাল থেকে বেরনোর মুখে সনৎকুমার এবং তাঁর দলবল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলে যান, তাঁদের মৃতদেহের চাদর সরিয়ে দেখার কথা নয়। যদিও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চাদর এ ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল মৃতদেহের সম্মান রক্ষার্থে। সেই চাদর সরিয়ে না দেখলে কী করে নমুনা সংগ্রহ করা হবে?

    ‘কাট মার্ক’ না ‘বাইট মার্ক’?

    সনৎকুনার সেদিন এ-ও বলে যান, মৃতদেহে বেশ কিছু ‘কাট মার্ক’ পেয়েছেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি ‘কাট মার্ক’ ছিল মৃতদেহে? যদি থাকে, তা হলে ময়না তদন্তে তার উল্লেখ নেই কেন? তবে কি কাট মার্কের সঙ্গে ‘বাইট মার্ক’ গুলিয়ে ফেলা হয়েছিল? সনৎকুমার বুধবার বলেন, ‘‘না না, বাইট মার্কই ছিল।’’ মৃতদেহের চাদর সরিয়ে না দেখার প্রসঙ্গে তিনি এ দিনও মন্তব্য করেন, ‘‘চাদর সরিয়ে দেখিনি আমরা।’’ যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তা নিয়ে কি সন্তুষ্ট তিনি? সনৎকুমার বলেন, ‘‘যা পাওয়া গিয়েছে, সবটাই তুলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআইকে সবটা বলা হয়েছে। সব তথ্য সিবিআই জেনে নিয়েছে। নতুন করে কিছু বলতে পারব না।’’

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ কী বললেন?

    ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্ত বলছেন, মৃতদেহ থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করে দেওয়া যদিও মূলত ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের কাজ। কিন্তু ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করার সময় চাদর (RG Kar Incident) সরিয়ে দেখবই না ভিতরে কী আছে, সেটা ঠিক নয়। চাদরের নীচে মৃতদেহের আশেপাশেও তো বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকতে পারে, যা নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। সেটা না করা কিন্তু কর্তব্যে গাফিলতির সমান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দশমীর দিন পান্তা ভাত, বোয়াল ও রাইখোর মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় মাকে!

    Durga Puja 2024: দশমীর দিন পান্তা ভাত, বোয়াল ও রাইখোর মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় মাকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাল বাড়ির পুজো ৷ বাড়ির পুজো হলেও তা এখন বারোয়ারি হয়ে গিয়েছে কালের নিয়মে৷ তবে পুরনো রীতি মেনেই করা হয় মায়ের আরাধনা ৷ বালুরঘাটের অন্যতম বনেদি বাড়ি ছিল এই পাল বাড়ি ৷ কংগ্রেস পাড়ার পাল বাড়ির এই দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) শুরুটা ঠিক কবে, তা অবশ্য সঠিকভাবে জানা নেই কারোর ৷ তবে স্থানীয়দের কথায়, ৪০০ বছর আগে আত্রেয়ী নদীর পাশে নিজের বাড়িতেই মায়ের পুজো শুরু করেছিলেন গৌরী পাল। সে সময় থেকে একই নিয়মে হয়ে আসছে মাতৃবন্দনা ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, এক সময় বালুরঘাটের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন গৌরী পাল ৷ তিনিই প্রথম এই পুজোর প্রচলন করেন। খড় ও বাঁশের তৈরি মন্দিরে দেবীর পুজো শুরু হয়। গৌরী পাল এবং তাঁর উত্তরসূরিদের অবর্তমানে আজ থেকে প্রায় 8৫ বছর আগে পাল বাড়ির দুর্গাপুজোর দায়িত্ব নেন প্রতিবেশীরা। বর্তমানে বারোয়ারি কমিটির উদ্যোগে পুজোর আয়োজন করা হয় ৷ তবে বারোয়ারির উদ্যোগে হলেও এখনও এই পুজো পাল বাড়ির দুর্গাপুজো নামেই পরিচিত৷

    পুজো করে আসছেন মহিলারা (Durga Puja 2024)

    কথিত আছে, এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের কাছে কেউ কিছু মানত করলে তা পূরণ হয় । অন্য জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা এই পুজোয় সামিল হন ৷ এই পুজোর বিশেষত্ব, নবমী ও দশমীর দিনে মা-কে পান্তা ভাত, বোয়াল মাছ ও রাইখোর মাছের ভোগ দেওয়া হয়। অন্যদিন অবশ্য নিরামিষ ভোগই দেওয়া হয়। পান্তা ভোগ যেদিন হয়, সেদিন ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মহিলারা এই পুজো করছেন৷

    ষষ্ঠী বলে কিছু নেই

    পাল বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারা বলেন, এই মন্দিরের পাশেই আত্রেয়ী নদী ছিল (Balurghat)৷ পরবর্তীকালে নদীর দিক পরিবর্তনের কারণে এদিকে নদীটি নেই ৷ ইতিহাস সঠিক না জানলেও শুনেছি এক সন্ন্যাসী প্রথম নদীর ধারে এখানে পুজো শুরু করেছিলেন৷ পরবর্তীকালে গৌরী পাল এই পুজো (Durga Puja 2024) শুরু করেন৷ কিন্তু একটা সময় তাঁর বংশধরেরা এই পুজো করতে পারেননি ৷ তখন থেকেই স্থানীয়রা নিজেদের মনে করে এই পুজোর আয়োজন করে আসছেন৷ তবে রীতি মেনেই পুজো করা হয় ৷ তাঁরা বলেন, আমাদের এখানে ষষ্ঠী বলে কিছু নেই ৷ শিব পুজো ও বেল বরণ করে ঠাকুরের অধিবাস হয় ৷ আরতি করে মা-কে বরণ করা হয় ৷ আর দশমীর দিন পান্তা ভাত ও বোয়াল মাছ দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয়। পঞ্জিকা মেনে সময়ের মধ্যে পুজো শেষ করার চেষ্টা করা হয়৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Boycott Bangladesh Cricket: ভারতের সঙ্গে সিরিজের আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বয়কটের ডাক

    Boycott Bangladesh Cricket: ভারতের সঙ্গে সিরিজের আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বয়কটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে (Boycott Bangladesh Cricket) প্রতিদিন হিন্দুদের উপর অত্যাচর চালানো হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। এই পরিস্থিতিতে ভারতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসছে বাংলাদেশ। তা কোনওভাবেই মানতে পারছে না হিন্দু মহাসভা। তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বয়কটের ডাক দিয়েছে। ভারত–বাংলাদেশ (India-Bangladesh) সিরিজ শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। দুই টেস্টের পাশাপাশি তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবেন  শাকিবরা।

    কেন বয়কটের ডাক

    গত মাসেই বাংলাদেশে (Boycott Bangladesh Cricket) বসবাসকারী হিন্দুরা নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছেন। অভিযোগ, ইতিমধ্যেই ৪৮ জেলার ২৭৮ জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়কে হুমকি দেওয়া হয়েছে। হাসিনার সরকার পড়ে যাওয়ার পরেই যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। হিন্দু মহাসভা এই বিষয়ে সরব। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে একটি টি২০ ম্যাচ হওয়ার কথা। সূত্রের খবর, ওই ম্যাচ ভেস্তে দেওয়ার কথা বলেছে হিন্দু মহাসভা। সংস্থার সহ সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচের তীব্র বিরোধিতা করছি। বাংলাদেশে (India-Bangladesh) হিন্দুদের মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।’’ হিন্দু মহাসভা হুমকি দিয়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। হয় ম্যাচ এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক। নইলে মাঠের ক্ষতি করা হবে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় #boycottbangladeshcricket ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: উপকৃত ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক, আয়ুষ্মান ভারত বিমার আওতায় সব সত্তরোর্ধ্ব

    দাপট ভারতের

    ভারত-বাংলাদেশ (Boycott Bangladesh Cricket) দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই দু-ম্যাচ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত বনাম বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হতে চলেছে। এই সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটা চেন্নাইয়ে আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করেছে। ফলে তাঁদের আত্মবিশ্বাস আপাতত অনেকটাই উপরে রয়েছে। তবে ইতিহাস ভারতের দখলে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে। বাংলাদেশ (India-Bangladesh) ক্রিকেট দল ভারতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত একটাও টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আয়োজিত ১৩টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ১১টি টেস্ট ম্যাচেই ভারত জয়লাভ করেছে। বাকি দুটো ম্যাচ ড্র হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম মাথায় রেখে ভারত তাদের একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বৈশ্বিক কেন্দ্র করব,” অঙ্গীকার মোদির

    PM Modi: “গ্রিন হাইড্রোজেনের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বৈশ্বিক কেন্দ্র করব,” অঙ্গীকার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন, ব্যবহার ও রফতানির জন্য ভারতকে একটি বৈশ্বিক হাবে পরিণত করতে চাই।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক গ্রিন হাইড্রোজেন (Green Hydrogen) সম্মেলনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি গ্রিন হাইড্রোজেন ক্ষেত্রের নীতি গঠনে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিশ্বের বিজ্ঞানী সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বের বিজ্ঞানী সম্প্রদায়কে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন দিক অন্বেষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা জননীতিতে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিতে পারেন, যা গ্রিন হাইড্রোজেন খাতকে সহায়তা করতে পারে।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভারতকে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন, ব্যবহার ও রফতানির জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।” তিনি বলেন, “গোটা বিশ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বালানি পরিবর্তন ও সাসটেনেবিলিটির দিকে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।”

    গ্রিন এনার্জি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রিন এনার্জি সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষেত্রে ভারত জি-২০ দেশগুলোর মধ্যে প্রথম।” তিনি (PM Modi) বলেন, “এই প্রতিশ্রুতিগুলি ২০৩০ সালের লক্ষ্য থেকে ন’বছর আগে পূরণ করা হয়েছে। ভারতে নন-ফাইনান্সিয়াল জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষমতা গত ১০ বছরে প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে আমাদের সৌরশক্তির ক্ষমতা তিন হাজার শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা এখানেই থেমে নেই। যেসব সমাধান রয়েছে, সেগুলিকে শক্তিশালী করতে আমরা ফোকাস করছি।”

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে ব্যবহৃত প্রতিটি ডিভাইসে থাকবে ভারতে তৈরি চিপ”, বললেন মোদি

    গ্রিন হাইড্রোজেনের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেসব শিল্পের ক্ষেত্রে বিদ্যুতায়ন করা কঠিন, সেই সব শিল্পকে কার্বনমুক্ত করতে সাহায্য করে এটি। গ্রিন হাইড্রোজনের ফলে উপকৃত হবে রিফাইনারি, সার, ইস্পাত, ভারী পরিবহণ এবং এ ধরনের অনেক ক্ষেত্র।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ইতিমধ্যেই জাতীয় সবুজ হাইড্রোজেন মিশন চালু করেছে, যা উদ্ভাবন, পরিকাঠামো ও বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করছে। আমরা উন্নত গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ (Green Hydrogen) করছি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রের মধ্যে অংশীদারিত্ব গঠন করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘তালিবানি বাংলাদেশ’! নমাজের সময় ঢাক বন্ধের ফতোয়া, কমল দুর্গাপুজোর সংখ্যাও

    Bangladesh: ‘তালিবানি বাংলাদেশ’! নমাজের সময় ঢাক বন্ধের ফতোয়া, কমল দুর্গাপুজোর সংখ্যাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশে (Bangladesh) হামলার মুখে পড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে যখন উদ্বেগে সবাই, তখন মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছিল যে, বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গাপুজো (Durga Puja) হবে। ফলে, সংখ্যালঘু হিন্দুরা আশার আলো দেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু, অন্তর্বর্তী সরকারের আসল রূপ ক্রমশ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। নমাজের সময় দুর্গাপুজোর ঢাক-ঢোল-মাইক বাজানো যাবে না ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যা নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

    দুর্গাপুজোয় ঢাক-মাইক বন্ধে ফতোয়া জারি (Durga Puja)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবারই পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। বৈঠকেই তিনি ঘোষণা করেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে মসজিদে আজানের সময় মণ্ডপে ঢাক-মাইক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজানের ৫ মিনিট আগেই মাইক ও যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ করতে হবে। আজান শেষের পরই ফের মাইক বা ঢাক বাজানো যাবে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের বক্তব্য, পুজোর সময় আজান শুরু হলে ঢাক-ঢোল বাজানো যাবে না। আসলে পরোক্ষে পুজো বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সরকার। 

    মণ্ডপের পাহারা নিয়েও নতুন আশঙ্কা

    পাশাপাশি, দুর্গাপুজোর নিরাপত্তা নিয়েও অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণায় তৈরি হয়েছে নতুন উৎকণ্ঠা। ঘোষণা অনুযায়ী, দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে (Durga Puja) যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে, যারা পালা করে মণ্ডপ পাহারা দেবেন।বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মনে করছেন না। তাঁদের আশঙ্কা, এই সুযোগে মাদ্রাসা ও জামাতের লোকজনকে পুজো মণ্ডপে মোতায়েনের চেষ্টা হচ্ছে, যারা মূর্তি পুজোয় বিশ্বাস করেন না। ফলে অশান্তির আশঙ্কা থাকছেই। এতদিন পুজো কমিটির লোকজনেরাই স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতেন। সঙ্গে থাকত পুলিশ বা অন্য কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। 

    সরকারের আড়ালে মৌলবাদীরা!

    সরকারের আড়ালে মৌলবাদীরা যে কলকাঠি নাড়ছেন, এই ঘোষণাই তার প্রমাণ। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে হিন্দু খেদাও ও হিন্দু নিধন যজ্ঞ। দেশের হিন্দু প্রধান এলাকায় গিয়ে পুজো ও ধর্মীয় আচরণ বন্ধ করার ফতোয়া দিয়েছে বিএনপি-জামাত-এ-ইসলামির মতো মৌলবাদী দলগুলি। তালিবানি শাসন শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে! আর সেই হুমকির পরেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে হিন্দুরা।

     

    আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার অফার? ডিসি নর্থকে ডেকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

     

    ইসকনের ভাইস-প্রেসিডেন্ড রাধারমণ দাস ট্যুইট করে বাংলাদেশি সরকারের ফতোয়াকে তালিবানি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

     

    মৌলবাদীদের হুমকি-হামলা, কমল দুর্গাপুজো

    শেখ হাসিনা জমানায় গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। গত বছর রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা দেশে ৩৩ হাজার ৪৩১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আয়োজন করা হয়েছিল। আর এ বছর এখনও পর্যন্ত ৩২ হাজারের মতো পুজো কমিটি পুজো আয়োজনের কথা জানিয়েছে। অনেক জায়গাতেই আয়োজকরা ঘট পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হামলার হাত থেকে বাঁচতে অনেক জায়গাতেই দুর্গাপুজো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের বেশি পুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুজো বন্ধ হওয়ার সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পুজো উদযাপন পরিষদের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share