Tag: Madhyom

Madhyom

  • India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    India Vs Pakistan: “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ অভিষেকদের”, অকপট প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো ধরে সেলিব্রেশন করেন। গান (বন্দুক)-এর জবাব রানে দিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সাহিবজাদার বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপ করলেন অভিষেক ও গিল, এমনই অভিমত পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার দানিশ কানেরিয়ার। রবিবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের কাছে হেরে গিয়েছে পাকিস্তান। তার আগেই অবশ্য দেশে-বিদেশে নিন্দিত হচ্ছে পাকিস্তান দল। সৌজন্যে পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের উচ্ছ্বাসের একটি ধরন। অর্ধশতরানের পর ব্যাটটিকে নিয়ে বন্দুক ধরার মতো একটি বিশেষ কায়দায় উচ্ছ্বাস করেছেন তিনি, যা সমালোচনার মুখে পড়েছে।

    বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস

    দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করে ‘গান সেলিব্রেশন’ করেছিল পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। বন্দুক যেমনভাবে ধরে, সেরকম কায়দায় ব্যাট করে গুলি চালানোর মতো সেলিব্রেশন করেছিল। আর সেই অদৃশ্য ‘গুলিটা’ ফারহানদের শরীর ফুঁড়ে ঢুকে গেল। শুধু তাই নয়, ব্রহ্মস মিসাইলে যেরকমভাবে পাকিস্তানি অসংখ্য সামরিক ছাউনির অবস্থা হয়েছিল, ফারহানদের হাল সেরকমই করে দিলেন অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিলরা। রবিবার দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান তোলে পাকিস্তান। ভারত যদি ঠিকঠাক ক্যাচ ধরত, তাহলে সলমন আঘাদের রান এতটা হত না। কিন্তু ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নেন তাঁরা। ক্যাচ ফস্কানোর মাশুল হিসেবে গুনতে হয় প্রায় ৯০ রান। পাকিস্তানেরর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেছেন গান-সেলিব্রেশন করা ফারহান। যদিও ব্যাট করতে নেমেই তাঁর এই আচরণের জবাব দেন দুই ভারতীয় ওপেনার। শাহিন আফ্রিদিকে ছয় মেরে ইনিংসের শুরু করেন অভিষেক। গিল-অভিষেকের ইনিংসের প্রশংসা করে পাক স্পিনার কানেরিয়া বলেন, “ফারহানের বন্দুকের জবাবে ব্রহ্মস নিক্ষেপ করেছেন অভিষেকরা।”

    বিতর্কিত উচ্ছ্বাস

    পাকিস্তানের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন ফারহান। হার্দিক, বুমরার উপর দাপট দেখিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। দশম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের একটি বল মিড উইকেটের উপর শট খেলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এর পরেই ব্যাটের হাতলটিকে কাঁধের কাছে রেখে এমন ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, যেন মনে হচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছেন। খেলাধুলোর জগতে এই ধরনের উচ্ছ্বাস ‘একে৪৭ সেলিব্রেশন’ নামে পরিচিত। মুহূর্তের মধ্যে এই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। পহেলগাঁওয়ের হত্যাকাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়। এশিয়া কাপে দুই দেশ মুখোমুখি হবে কি না, তা নিয়েই নিশ্চয়তা ছিল না। তার উপর প্রথম ম্যাচের পর করমর্দন-বিতর্কে তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। সে সবের মাঝে ফারহানের এই উচ্ছ্বাস বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে কটাক্ষ করতেই এই উচ্ছ্বাস করেছেন ফারহান। সাধারণ সমর্থকরা তো বটেই, ধারাভাষ্যকারেরাও এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে।

    ভারতের পাল্টা জবাব

    ম্যাচের শুরুতেই অভিষেক শর্মা শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করেন। এই শটের মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ভারতের হয়ে একাধিকবার ইনিংসের প্রথম বলে ছক্কা মারা প্রথম ব্যাটার হন। ম্যাচে অভিষেক ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান এবং গিলের সঙ্গে প্রথম উইকেটে মাত্র ৯.৫ ওভারে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। গিলও নিজের ইনিংসে ৮টি চার মারেন। অভিষেক তাঁর ৫০তম টি-টোয়েন্টি ছক্কাটি হাঁকান নিজের ৩৩১তম বল খেলার মধ্যেই, যা তাকে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত এই মাইলফলক ছোঁয়া ব্যাটার করে তোলে। এছাড়াও, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তিনি যুবরাজ সিং-এর রেকর্ড (২৯ বল) ভেঙে দেন। প্রাক্তন পাক স্পিনার কানেরিয়া মনে করেন, ব্যাট হাতেই জবাব দিয়েছেন অভিষেক। এমনকি অর্ধশতরানের পর অভিষেকে ‘ফ্লাইং কিস সেলিব্রেশন’ নিয়ে কানেরিয়া বলেন, “ভালোবেসে মুখের উপর জবাব দিয়েছে ভারত।”

    গিল-অভিষেকের ট্যুইট ভাইরাল

    দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সুপার ফোরের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচে ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভারত পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায়। অভিষেক ৩৯ বলে ৭৪ এবং গিল ২৮ বলে ৪৭ রান করেন, যার সৌজন্যে পাকিস্তানের দেওয়া ১৭২ রানে লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতেই করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ চলাকালীন অভিষেক ও গিলের সঙ্গে পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অভিষেক শর্মা যখন পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফের একটি বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান, তখন রউফ রেগে যান এবং অভিষেককে স্লেজ করতে শুরু করেন। অভিষেকও চুপ করে থাকেননি। দু’জনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। পাকিস্তানি প্লেয়াররা তাদের গালি দিচ্ছিল বলেও ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন অভিষেক শর্মা। মাঠে বিপক্ষকে নিজেদের ব্যাটের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। যেই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। দুজনেই এক্সে চার শব্দের বার্তা দিয়ে কটাক্ষ করেন পাকিস্তান দলকে। গিল লেখেন, “খেলাই কথা বলে, শব্দ নয়” (Game speaks, not words) এবং অভিষেক লেখেন, “তোমরা কথা বলো, আমরা জয় করি” (You talk, we win)। চলতি প্রতিযোগিতাতে চারটি ম্যাচেই জিতেছে ভারত।

  • Brain Eating Amoeba: ফের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ‘মস্তিষ্ক খেকো’ অ্যামিবা! কতখানি বিপজ্জনক?

    Brain Eating Amoeba: ফের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ‘মস্তিষ্ক খেকো’ অ্যামিবা! কতখানি বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব, দুর্গাপুজো। আনন্দে মাতোয়ারা আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষ।‌ কিন্তু ঠিক তার আগেই অ্যামিবার চোখ রাঙানিতে আতঙ্ক বাড়ছে। জলে নামলেই কি মস্তিষ্কে প্রবেশ করবে অ্যামিবা! এমন আতঙ্কও তৈরি হয়েছে।

    কী এই অ্যামিবা আতঙ্ক?

    কয়েক সপ্তাহ আগে কেরলে হঠাৎ এই অ্যামিবা সংক্রমণ শুরু হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কেরলে এই পর্যন্ত প্রায় ১৯ জন এই অ্যামিবা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। কয়েক মাসের শিশু থেকে প্রৌঢ়, আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় সব বয়সের মানুষ রয়েছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সংক্রমণের নাম প্রাইমারি অ্যামিওবিক মেনিঞ্জিওএনসেফেলাইটিস। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই এককোষী প্রাণী অ্যামিবা খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। তাই এই সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে এই অ্যামিবা সংক্রমণ হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল থেকেই এই অ্যামিবা সংক্রমণ হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অ্যামিবা মিষ্টি জলে থাকে। সাধারণত পুকুরের জলে স্নান করার সময় কিংবা সাঁতার কাটার সময়ে নাকের ভিতর দিয়ে অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করছে। আর তারপরেই অ্যামিবা মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। মস্তিষ্কে প্রবেশের পরেই ওই অ্যামিবা কোষে ধাক্কা দিচ্ছে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও নষ্ট হচ্ছে। স্নায়ুর ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। যার জেরেই প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই সংক্রমণ?

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে এই অ্যামিবা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি নয়। শ’পাঁচেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হার উদ্বেগজনকভাবে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই রোগে আক্রান্তের ৯৫ শতাংশের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অ্যামিবাকে ‘মস্তিষ্ক খেকো’ অ্যামিবাও বলা হয়। কারণ, এই এককোষী প্রাণী শরীরে প্রবেশ করার পরেই মস্তিষ্কের সমস্ত কোষ ধ্বংস করা শুরু করে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। তার জেরেই আক্রান্তের মৃত্যু হয়। তাই এই অ্যামিবা প্রাণঘাতী! অধিকাংশ সময়েই এই রোগে আক্রান্তের চিকিৎসার সুযোগ ও পাওয়া যায় না। তবে দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ সময় মতো শরীরে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে এই সংক্রমণ মোকাবিলা সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে চারশোর বেশি অ্যামিবা প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র দুটি প্রজাতি মানুষের মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়ায়। এই রোগে জ্বর, হঠাৎ করেই খিঁচুনি, হাত-পা শিথিল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়‌। তাই সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাওয়ার জলের পাশপাশি স্নানের জলের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অপরিচ্ছন্ন জলেই এই ধরনের অ্যামিবা থাকে। সংক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়ে। তাই পুকুর পরিষ্কার জরুরি। যারা পুকুরে নিয়মিত স্নান করেন, এই সময়ে সেটা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। আবার সাঁতার কাটার সময়েও জলের পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি প্রয়োজন। তাই সাধারণ মানুষের পাশপাশি প্রশাসনকেও উদ্যোগী হতে হবে। পুকুর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি বাড়ানো দরকার।

    জ্বর, হাত-পায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ‌ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব। দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে পারলে কিছু প্রয়োজনীয় স্টেরয়েড, ওষুধ দিলে এই অ্যামিবার ক্ষমতা রোধ করা যায়। ধীরে ধীরে অ্যামিবাকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। যাতে আক্রান্তের দ্রুত অবস্থার অবনতি না হয়, সেটা চেষ্টা করা সম্ভব হয়। কিন্তু তার জন্য প্রাথমিক পর্বে রোগ নির্ণয় জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তবেই রোগী চিকিৎসকের কাছে আসেন। তাই মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    India Beats Pakistan: ‘‘ভারত-পাকিস্তান আর কোনও লড়াই-ই নয়’’! অভিষেক-গিলের দাপটে ম্যাচ জিতে সাহসী জবাব সূর্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বনাম পাকিস্তান এখন আর কোনও লড়াই-ই নয়। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও মাইন্ড গেমে নেমেছিল পাকিস্তান। সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগের হুংকার, এশিয়া কাপ বয়কটের দাবি, একাধিক সমস্যা তৈরি করে আলোচনায় থাকার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু খেলার মাঠে পারফরম্যান্স সেই তলানিতেই। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এ দিনও দু’দলের ক্রিকেটারেরা হাত মেলাননি। তবে আগের দিনের মতো ভারত সাজঘরের দরজা বন্ধ করেনি। আসলে খেলাটা তো মাঠেই জিতে গিয়েছে ভারত।

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই

    ভারতকে থামানোর ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। সেটাই ফের দেখা গেল এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে। ভারত জেতার পরে শোনা গেল ‘চক দে’। ম্যাচ জেতায় সুপার ফোরের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে চলে গেল ভারত। সূর্যকে সাংবাদিক সম্মেলনে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, এই ‘ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ নিয়ে তিনি কী বলবেন? ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘‘এই প্রশ্নের উত্তরে আমি একটা কথা বলতে চাই। আমার মনে হয় আপনাদের সকলের ভারত-পাকিস্তান লড়াই নিয়ে এ বার প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত।’’ এখানেই থেমে থাকেননি ভারত অধিনায়ক। বলেন, ‘‘আমার মতে, যদি দুটো দল ১৫-২০টা ম্যাচ খেলে এবং স্কোরলাইন ৭-৭, অথবা ৮-৭ হয়, তবেই সেটাকে ভালো ক্রিকেট বলা যায়। আমি সঠিক পরিসংখ্যান জানি না। কিন্তু একটা দলের পক্ষে যদি স্কোরলাইন ১৩-০, ১০-১ হয়, তা হলে এখন আর এটা কোনও লড়াই নয়। আর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়।’’ সত্যিই ক্রিকেটে গত ১৫ বছরে ভারত পাকিস্তানের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে। ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতেই জিতেছে ভারত।

    পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল

    পরিসংখ্যান যাই হোক, ভারত-পাকিস্তান লড়াই তা সে বাইশ গজেও হোক আর সীমান্তে সবসময় উত্তেজনার। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বারবার তা চোখে পড়েছে। ম্যাচে ভারতের ইনিংস চলাকালীন শাহিন আফ্রিদিকে কোনও কথার জবাব দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভমন গিল। কয়েক বল পরেই আবার অন্য এক দৃশ্য। এ বার হ্যারিস রউফের সঙ্গে ঝামেলা হয় অভিষেক শর্মার। তখন স্পষ্ট বোঝা যায়নি কী হয়েছে। তবে বিষয়টি যে গুরুতর ছিল এটা ম্যাচের পরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, পাকিস্তান বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। সেটারই জবাব ব্যাট হাতে দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে অভিষেক বলেন, “পাকিস্তানের বোলারেরা বেশি বাড়াবাড়ি করছিল। কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, তর্ক করছিল। আমার সেটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই জন্যই ওদের জবাব দেওয়া দরকার ছিল। দলকে জেতাতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।” এশিয়া কাপের চারটি ম্যাচেই ভালো খেলেছেন অভিষেক। রবিবারই প্রথম অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে। সাফল্যের নেপথ্যে দলের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, “যখন দেখবেন কোনও ব্যাটার এত ভালো খেলছে, তখন বুঝবেন নিশ্চয়ই তাঁর পাশে দল রয়েছে। কোচ এবং অধিনায়ক আমাকে খুবই সমর্থন করে। তাই জন্যই এত ভালো খেলার সাহস পাই।”

    শুভমন-অভিষেক ঝড়

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭১ খুব একটা খারাপ স্কোর নয়। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমন গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। রুদ্রমূর্তি ধরেন অভিষেক। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০ অপরাজিত) ও হার্দিক। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে।

    পাকিস্তান ম্যাচই রানে ফেরার মঞ্চ

    তিন ম্যাচে ৩৫ রান করা শুভমনকে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য রানে ফিরতেই হত। পাকিস্তান ম্যাচেই সেই মঞ্চটা বেছে নিয়েছিলেন শুভমন। শনিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও তিনি অনুশীলন করেছিলেন। আর অনুশীলন করিয়েছিলেন তাঁর ওপেনিং সতীর্থ তথা ছোটবেলার বন্ধু অভিষেক শর্মা। তার প্রতিফলন দেখা গেল রবিবার। আকাশে শট খেলার দিকে নজর দেননি শুভমন। বরং মাটিতে রেখে বল বাউন্ডারিতে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। ইনিংসে আটটি চারই তার প্রমাণ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুভমনের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে ভারতের চাপ অনেকটাই হালকা করে দেন অভিষেক। ছোটবেলা থেকেই দু’জনে একসঙ্গে খেলেছেন। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমরা একসঙ্গে খেলছি। একে অপরকে সঙ্গ দিতে পছন্দ করি। আগেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, আজই কিছু একটা করতে হবে। যে ভাবে শুভমন খেলছিল সেটা দারুণ লেগেছে।”

  • Durga Puja 2025: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    Durga Puja 2025: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকালে প্রতি বছর মা দুর্গা (Durga Puja 2025) কৈলাস থেকে মর্তে বাপের বাড়িতে আসেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গে আসেন বাহনগুলিও। ইঁদুর আসে গণেশের সঙ্গে, রাজহাঁস আসে মা সরস্বতীর সঙ্গে, পেঁচা আসে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে, ময়ূর আসে কার্তিকের সঙ্গে এবং স্বয়ং মা দুর্গা আসেন সিংহের পিঠে চড়ে। বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনিতে (Hindu Mythology) যাওয়ার আগে বলা দরকার, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রকৃতি পুজোর রীতি বৈদিক যুগ থেকেই ছিল। মাটি, অগ্নি, বায়ু, নদী, গাছ সবকিছুই পুজো করা হত ওই যুগে। একটি মন্ত্রে আছে-

    গঙ্গেচযমুনেচৈব গোদাবরীসরস্বতী।
    নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলস্মিনসন্নিদ্ধিম কুরু।।

    অর্থাৎ, ভারতীয় সভ্যতায় গাছপালা, নদনদীর সঙ্গে সঙ্গে জীবজন্তুও মানুষের দৈনন্দিন কাজে উপকারী বলেই গণ্য হয়। এই ধারণা থেকেই বাহন হিসেবে হয়তো তারাও পূজিত হয়। এবার আসা যাক পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে।

    মা দুর্গার বাহন সিংহ (Durga Puja 2025)

    পুরাণ অনুযায়ী (Mythological Significance)-দেবী পার্বতী হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন শিবকে তাঁর স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য। তপস্যার কারণে দেবী অন্ধকারে মিশে যান। বিয়ের পর পার্বতীকে মহাদেব কালী বলে সম্বোধন করলে দেবী তৎক্ষণাৎ কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান। তপস্যা রত দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তাঁর দিকে আসতে শুরু করে। কিন্তু দেবীকে দেখে সেখানেই চুপ করে বসে যায় সে। সেই সময় বসে বসে সিংহ চিন্তা করতে থাকে, দেবী তপস্যা থেকে যখন উঠবেন, তখন তিনি খাবার হিসেবে গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে বহু বছর কেটে যায়, কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে দেবী পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেব আবির্ভূত হলে পার্বতীকে গৌরবর্ণ বলে বর্ণনা করেন (Durga Puja 2025)। যে সিংহটি দেবীকে শিকার করতে এসেছিল, তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সিংহ। এরপর পার্বতীর বাহনকে সিংহ বলে মনে করা হয়। আবার কালিকাপুরাণ অনুযায়ী, শ্রীহরি দেবীকে বহন করছেন। এই হরি শব্দের এক অর্থ সিংহ। আবার শ্রীশ্রীচণ্ডীতে উল্লেখ আছে গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে সিংহ দান করেন। শিবপুরাণ বলে, ব্রহ্মা দুর্গাকে বাহনরূপে সিংহ দান করেছেন। সিংহ হলো শৌর্য, পরাক্রম, শক্তির প্রতীক। অসুরদের বিনাশকারী বাহন সিংহ।

    গণেশের বাহন ইঁদুর

    স্বর্গে দেবলোকের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। একদিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। তিনি গান করতে থাকেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে তিনি ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ঋষি অভিশাপ দেন, কোনও দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ। ক্রঞ্চ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং মর্ত্যে নেমে আসেন। তবে মুনি বলেছিলেন কোনও দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে। মর্তলোকে তিনি যেখানে নেমেছিলেন, কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে যেতে শুরু করেন। এদিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন কুটিরবাসীরা। অপর দিকে একদিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছন। সেখানে জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা। তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং দুর্গা (Durga Puja 2025) পুত্র গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

    মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা

    পৌরাণিক (Hindu Puranas) গল্প অনুযায়ী, যখন দেব-দেবীরা প্রাণীজগতের সৃষ্টি করেছিলেন তখন তাঁরা পৃথিবী ভ্রমণে আসেন। সেই সময় পশু ও পাখিরা দেবতাদের ধন্যবাদ জানায়। পশু ও পাখিরা বলতে থাকে, আপনারা যেহেতু আমাদের তৈরি করেছেন তাই আপনাদের বাহন হয়ে আমরা পৃথিবীতে থাকব। সেই সময় দেবতারা নিজেদের বাহন পছন্দ করে নেন। যখন দুর্গা কন্যা (Durga Puja 2025) লক্ষ্মীর নিজের বাহন বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি বলেন আমি যেহেতু রাতে পৃথিবীতে আসি তাই রাতে যে প্রাণী দেখতে পায় সেই হবে আমার বাহন। এরপর পেঁচা হয়ে ওঠে দেবী লক্ষ্মীর বাহন।

    কার্তিকের বাহন ময়ূর

    তারকাসুরকে বধ করেছিলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক কাহিনী মতে, মৃত্যুর আগে তারকাসুর কার্তিকের বাহন হিসেবে থাকতে চেয়েছিল। ময়ূরের ছদ্মবেশে কার্তিককে আক্রমণও করেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারকাসুর। কথিত আছে ওই ময়ূরটিই হল দুর্গা (Durga Puja 2024) পুত্র কার্তিকের বাহন।

    সরস্বতীর বাহন রাজহাঁস

    হাঁস নাকি জল, স্থল, অন্তরীক্ষে থাকতে পারে। জ্ঞান ও বিদ্যার দেবীকেও এই তিনটি জায়গায় থাকতে হয় জ্ঞান ও বিদ্যাদানের জন্য। তাই বাহন হিসেবে হাঁসকেই বেছে নিয়েছেন দেবী দুর্গার (Durga Puja 2025) কন্যা সরস্বতী। একই ভাবে হংস শব্দের ‘হং’ এবং ‘স’ এই দুটি শব্দের মধ্যে জাগতিক শক্তি এবং শাক্তির আধারের মহাজ্ঞান গ্রন্থিত হয়ে রয়েছে। তাই হংস বিদ্যাদেবীর বাহন হয়ে মহাপ্রজ্ঞার প্রতীক।

  • Durga Puja 2025: নবদুর্গার প্রথম রূপ, নবরাত্রির প্রথম দিনেই পূজিত মাতা শৈলপুত্রী, জানুন মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2025: নবদুর্গার প্রথম রূপ, নবরাত্রির প্রথম দিনেই পূজিত মাতা শৈলপুত্রী, জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনা হয়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্ল প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় নবরাত্রি (Navaratri 2025)। যা চলে দুর্গা নবমী পর্যন্ত। এই নবরাত্রিতে দেবী দুর্গা নয়টি ভিন্ন রূপে পূজিতা হন। নবদুর্গার (Nabadurga) এই নয়টি রূপ হল— দেবী শৈলপুত্রী (Devi Shailaputri), দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুষ্মাণ্ডা, দেবী স্কন্দমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী এবং দেবী সিদ্ধিদাত্রী।

    নবরাত্রির প্রথম দিনেই আরাধনা করা হয় মাতা শৈলপুত্রীর (Devi Shailaputri)। নবদুর্গার (Durga Puja 2025) প্রথম রূপ মানা হয় তাঁকে। শৈলপুত্রী নামকরণের কারণ? শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলেন, পর্বতরাজ হিমালয়ের ঘরে কন্যা রূপে জন্ম নেওয়ার কারণে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল শৈলপুত্রী। শৈলপুত্রী একটি সংস্কৃত শব্দ, যার আক্ষরিক অর্থ পর্বত কন্যা। শৈল মানে পর্বত আর পুত্রী মানে কন্যা।

    দেবী সতী ও দক্ষযজ্ঞের কাহিনি

    পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, একবার রাজা দক্ষ যজ্ঞ করছিলেন। সমস্ত দেবতাদের যজ্ঞ গ্রহণ করার জন্য ডাকা হলেও শিবকে সেই যজ্ঞে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে, দক্ষকন্যা সতী শুনলেন, তাঁর বাবা একটি বিশাল যজ্ঞের অনুষ্ঠান করছেন। একথা শোনা মাত্রই তিনি ওই অনুষ্ঠানে যেতে চাইলেন (Durga Puja 2025)। এরপর দেবাদিদেব মহাদেবকে নিজের ইচ্ছার কথা বললেন সতী। প্রত্যুত্তরে শিব যজ্ঞের অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোর কথা বলেন। সতীকে সেখানে যেতেও নিষেধ করেন শিব। তবে দেবাদিদেব মহাদেবের কথা মানতে চাননি সতী। বাবার কাছে যাওয়ার তীব্র আগ্রহ দেখে ভগবান মহাদেব তাঁকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেন।

    পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা রূপে জন্ম নেন সতী

    সতী তাঁর বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেখলেন যে কেউ তাঁর সঙ্গে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে কথা বলছেন না। সব মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাঁর মা তাঁকে স্নেহের সঙ্গে জড়িয়ে ধরেছিলেন। বোনের কথায় ছিল কটাক্ষ ও উপহাস। প্রতি মুহূর্তে শিবকে নিয়ে উপহাসও করা হতে থাকে (Durga Puja 2025)। এই সব দেখে সতী খুবই শোকাহত হয়ে পড়েন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেই যজ্ঞের মধ্যে নিজেকে সমর্পণ করেন এবং পুড়ে ছাই হয়ে যান। সেই দুঃসংবাদ মহাদেব শোনামাত্রই দক্ষের যজ্ঞ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেন। ভক্তদের বিশ্বাস, পরবর্তী জীবনে শৈলরাজ হিমালয়ের কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সতী। তাই তিনি শৈলপুত্রী নামে পরিচিত। পার্বতী, হেমাবতীও তাঁর নাম।

    মাতা শৈলপুত্রীর পুজোর পদ্ধতি (Durga Puja 2025)

    শৈলপুত্রী রূপকে অত্যন্ত কোমল হৃদয় এবং দয়ালু প্রকৃতির বলে মনে করেন ভক্তরা। তাঁর পুজো করার জন্য নবরাত্রির প্রথম দিনে ব্রাহ্মমুহূর্তে উঠে স্নানকার্য সেরে, পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করুন। তারপর প্রথম পুজো করে গণপতিকে আবাহন করুন। শৈলপুত্রীকে (Devi Shailaputri) ষোড়শপচার পদ্ধতিতে পুজো করা হয়। পরে মায়ের পবিত্র চরণে কুমকুম নিবেদন করুন।

  • Daily Horoscope 22 September 2025: আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 September 2025: আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) উচ্চপদ লাভ করতে পারেন।

    ২) কিছু কাজ সম্পন্ন না-হওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হবে, সতর্ক থাকুন।

    ৩) মায়ের তরফে ধন লাভ হতে পারে।

    বৃষ

    ১) পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ থাকবে।

    ২) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ৩) বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে ধন লাভ।

    মিথুন

    ১) নিজের সন্তানের কাজ দেখে আনন্দিত হবেন।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায়ে অংশীদার এবং সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    কর্কট

    ১) সন্তান সুখ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) আত্মীয়দের কাছ থেকে বস্ত্র উপহার পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্যে মনের হতাশা সমাপ্ত হবে।

    সিংহ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

    ২) পেট খারাপ হতে পারে, বদহজমের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) আপনাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    তুলা

    ১) কঠিন পরিস্থিতির শিকার হবেন।

    ২) আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ হতে পারে, এর ফলে মন অশান্ত হবে।

    ৩) পরিবারে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে, আপনাদের মনোবল বাড়বে।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনজনদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) বড় কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

    ৩) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্যে আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) সম্পত্তির কারণে বিবাদ হতে পারে।

    মকর

    ১) অর্থ ও যশ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কাজ বাড়বে।

    ৩) শত্রু ধ্বংস হবে।

    কুম্ভ

    ১) সতর্ক থাকলে কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের আগমন হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির মাধ্যমে আয়ের নতুন উৎস আসবে।

    ৩) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দিনটি ভালো।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে সোমবার নবরাত্রি থেকেই লাগু হবে নতুন কাঠামোয় জিএসটি। দেশবাসীকে নবরাত্রি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমনটাই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নতুন প্রজন্মের পণ্য ও পরিষেবা কার্যকর (GST tax) হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন মোদি। উল্লেখ্য গত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনেই দিল্লির লালকেল্লা থেকে নতুন প্রজন্মের পণ্য এবং পরিষেবা করে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদি। এবার তা কার্যকর হচ্ছে।

    ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি (Narendra Modi)

    রবিবার বিকেল ৫ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “দেশকে আত্মনির্ভর করা কথা ভেবে সোমবার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশবাসীকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যকে সাশ্রয়ী করা হবে। দেশের সঞ্চয় বৃদ্ধি যেমন পাবে, তেমনি খাবার সামগ্রীরও দাম কম হবে। সাধারণ মানুষ নিজের নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় খুব সহজলভ্য হবে। অন্ন, স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট ছাড় দেওয়া হবে।” পাশাপাশি জিএসটিকে (GST tax) ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ বলে সকল বর্গের মানুষের সুবিধার কথা রূপে মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দেশের রাজ্যগুলিকে উৎসবমুখর দিনগুলিতে বার্তা দিয়ে বলেন, “বর্তমানে আমাদের দেশে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিদেশি পণ্যে ভরে গিয়েছে। তাই এই বিদেশি পণ্য নয় স্বদেশী পণ্যের দিকে ঝোঁক বাড়াতে হবে। সকলকে মেড ইন ইণ্ডিয়ার পণ্য কিনতে হবে। প্রত্যেক বাড়িকে স্বদেশী পণ্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যে স্বদেশী পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বিনিয়োগের পরিবেশ যাতে বেশি বেশি করে বৃদ্ধি পায়, সেই দিকে চেষ্টা করতে হবে। কেন্দ্র রাজ্য এক সঙ্গে এগিয়ে গেলে তবেই দেশ স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।”

    জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে

    জিএসটি (GST tax) পরিষেবায় ৪টি স্ল্যাব থেকে কমিয়ে এখন মাত্র ২ টি স্ল্যাব করা হয়েছে। ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে কর। জীবনদায়ী ওষুধের মধ্যে বেশ কিছু ওষুধকে কর মুক্ত করা হয়েছে। আবার চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্য সাশ্রয় করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে চাষের উপকরণ, যন্ত্রপাতি এবং বীজ সংগ্রহে ট্যাক্স মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সাবান, জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে। মোদি সরকার যে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে বিরাট ছাড় দিতে চলেছে সেই কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    RSS: সঙ্ঘের পাঁচ পরিবর্তনে কুটুম্ব প্রবোধন ঠিক কেমন? পরিবারবোধে কী প্রয়োজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) পঞ্চ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান একটি দিক হল রাষ্ট্রের উন্নয়নে পারিবারিক জ্ঞান বা কুটুম্ব প্রবোধন। পরিবারিক মূল্যবোধ ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতির কোনও অর্থ হয় না। সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারত পারিবার এবং সমাজের মধ্যে বিশেষ সমন্বয়ের মধ্যে দিয়ে চলে আসছে। পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ভাবনায় কুটুম্ব প্রবোধন (Enlightenmentkutumb) একান্ত প্রয়োজন।

    কেন পরিবারবোধ (RSS)?

    যৌথ পরিবার (Enlightenmentkutumb), সংগঠিত পরিবার, নিরাপদ পরিবার এবং সমৃদ্ধ পরিবার হল সুখি পরিবার সুস্থ পরিবারের ভিত্তি। পশ্চিমবিশ্বের প্রভাবে ভারতীয় দেশীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের উপর চরম প্রভাব পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমের নানা ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য, পরম্পরা, সংস্কৃতির মূলে বিদেশি শক্তি বারবার আঘাত করছে। দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে বাঁচিয়ে রাখতে সঙ্ঘ পারিবারিক মূল্যবোধের কথা বলেছে। উত্তর প্রজন্মের কাছে পরিবারবোধ, আত্মিকতাবোধকে ভালো করে বোঝানো একান্ত প্রয়োজন। এটাই সঙ্ঘের (RSS) মন্ত্র।

    পরিবার কীভাবে ভাঙে?

    যৌথ পরিবারের ভাবনার গুণে ভারত মহৎ। কিন্তু নগরায়ন, লর্ড মেকলের শিক্ষানীতি, সামাজিক মাধ্যম আমাদের সমাজকে ভিতর থেকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পরিবার থেকে মানুষকে ক্রমে ক্রমে বিছিন্ন করেছে। দাম্পত্য জীবনের অশান্তি, বিচ্ছেদ, নিউক্লিয়ার জীবন, সিঙ্গেল মা, সিঙ্গেল বাবাদের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। মানুষের পারিবারিকবোধে যে একাত্ম ভাবনা ছিল তা ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। আর তাই সঙ্ঘ (RSS) পারিবারিকবোধের উপর জোর দিয়েছে। পরিবার (Enlightenmentkutumb) ত্যাগ করলে নানা সমস্যার উদ্ভব হয়।

    পরিবার কেন প্রয়োজন?

    ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের এনএফএইচএস-৫-তে বলা হয়েছে একক পরিবারের অনুপাত ভারতে ৫৮.২ শতাংশ। দম্পতির মধ্যে জটিল উদ্বেগ, মানসিক চাপ, দ্বন্দ্ব, সন্তান পরিচালনা, শিশুদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফলেছে। লিভ ইন সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভাবে ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য ভয়াবহ। ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করে। অনেক সময়েই এলজিবিটিকিউ পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রকৃতি সুলভ আচরণের সম্পূর্ণ বিপরীত সম্পর্ক। আমাদের জন্য যারা চিন্তা করে তাদের প্রতি চিন্তার অবসরকে ধ্বংস করে দেয়।

    আবার পরিবার না থাকলে একাকীত্ব, বিষণ্ণতা, উদ্বেগের প্রভাবও বেশি বেশি হয়। শিশু এবং বয়স্কদের মনে এবং শরীরে খুব প্রভাব পড়ে। নীতি-নৈতিকতার অভাব হয় পরিবারবোধ না থাকলে। তাই সঙ্ঘ (RSS) মনে করে সমাজকে নির্মাণ করতে গেলে ব্যক্তি, পরিবার, দেশ এবং রাষ্ট্রে পারিবারিকবোধ (Enlightenmentkutumb) একান্ত জরুরি।

  • ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    ABVP: দিল্লি জয়ের পর হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়েও জয় অব্যাহত এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জাব, দিল্লি জয়ের পর এবার হায়দ্রাবাদেও গেরুয়া ঝড়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির লাগাতার জয়ে গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক জয়ের উল্লাস। শিক্ষাক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন এক চেটিয়া দখল করেছিল বাম এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনগুলি। এবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনে হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (HCU) ছাত্র সংসদ দখল করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। ফল প্রকাশের পর জয়ী এবিভিপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অপর দিকে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত টুকরে টুকরে গ্যাং ক্রমশ আরও কোনঠাসা হওয়ার পথে।

    সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী এবিভিপি

    হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির (ABVP) পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদকের আসনে জয়লাভ করেছে। এবিভিপির জয়ী প্যানেলে রয়েছেন, শিব পালেপু, দেবেন্দ্র, শ্রুতি, সৌরভ শুক্লা, জ্বালা প্রসাদ এবং ভেনাস। তবে এই নির্বাচনে বামপন্থী এবং কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-কে অত্যন্ত লজ্জাজনক ভাবে পরাজিত হয়ে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এক বিবৃতিতে এবিভিপির মুখপাত্র (HCU) অন্তরীক্ষ বলেছেন, “এই জয় শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভেদমূলক রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক। বামপন্থীদের তীব্র উপস্থিতি সত্ত্বেও, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এবিভিপির সাফল্য ব্যাপক। সমস্ত রকমের অপশক্তিকে পরাজয় করতে ছাত্রছাত্রীদের দৃঢ় সংকল্পই ফুটে উঠেছে।”

    ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিল

    জানা গিয়েছে, ছাত্র পরিষদ নির্বাচনে (HCU) এনএসইউআই নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। তবে তেলেঙ্গানায় সরকার যেখানে কংগ্রেসের, সেখানে এই জয় এবিভিপির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। বিপরীত শক্তির সরকার থাকা সত্ত্বেও সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য মৌলিক চাহিদা এবং দাবি-দাওয়াগুলিকে নিয়ে কাজ করার ভাবনাই রাষ্ট্রবাদী শক্তিকে জয়ী করেছে বলে মনে করছেন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোট ২৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ভোটের ৮১ শতাংশেরও বেশি ভোটাররা ক্যাম্পাস উন্নয়নের জন্য ভোট প্রদান করেছিলেন। মোট ৪৫ রাউন্ড গণার পর অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) এবং সেবালাল বিদ্যার্থী দল (এবিভিপি-এসএলভিডি) জোট মোট ৬টি পদে জয়ী হয়।

  • India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক (India-Mauritius Relations) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা থেকে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র, সবটা মিলিয়ে ক্রম বর্ধমান যুগের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির নানা দিকে বিরাট মাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি। গত ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহ ব্যাপী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়ছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ভারতে প্রথম সফর। তিনি নতুন দিল্লি ছাড়াও বারাণসী, অযোধ্যা, মুম্বই এবং তিরুপতি পরিদর্শন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) দুইদেশের সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাঁর এই সফর একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মরিশাস ভ্রমণ করেছিলেন। ঠিক তার পরেই মরিশাসের (India-Mauritius Relations) প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মোদি নিজের সফরের সময় ভারত-মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উন্নত কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্কের মাত্রা আরও মজবুত করা হয়েছে। তাই দুই দেশের সম্পর্কে এখন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে।

    জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। পূর্ব আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কিমি দূরে মরিশাস। দেশের আয়তন মোটামুটি ভাবে ২০৪০ বর্গ কিমি। মূল দ্বীপের সঙ্গে আরও দুটি বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দেশের ২০ লক্ষ বর্গ কিমি জুড়ে বিরাট একটি আর্থিক পরিমণ্ডলের পরিসর গড়ে উঠেছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এই দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আর্থিক পরিসরে আফ্রিকার মধ্যে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ভারত চায় এখানেই সম্পর্ক আরও সুসঙ্গত হোক।

    ভিশন সাগর প্রকল্পের

    মরিশাসের অবস্থান ভারত মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে। ভারতের সঙ্গে সামুদ্রিক যোগাযোগে এই দেশের সমুদ্রপথ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পরিসরের কথা ভেবেই ২০১৫ সালে ‘ভিশন সাগর’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সামুদ্রিক সহযোগিতার মধ্যে মানবিক ত্রাণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার নানা বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ভারত কোভিডের সময় এই জলপথেই নানা দেশে প্রয়োজনীয় টিকা, ঔষধ, এবং তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছিল। ‘ভিশন সাগরে’-এর মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সামুদ্রিক পরিসরে শক্তিকে আরও জোরদার করা।

    বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (PM Modi) একটা বিশেষ উদার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। কারণ আফ্রিকার পূর্ব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য এই দেশটি একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি শিল্পের সক্রিয়তা ক্রমেই ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, খনি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ওষুধ, টেলি যোগাযোগ। বেসরকারি বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। টাটা, মহিন্দ্রা, ভারতীয় টেলিকমের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। দুটি হিন্দু প্রধান দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীষণ দরকার। তাই এই প্রেক্ষিতে আধ্যাত্মিক পরিসরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।

    নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয় ভারত

    গত কয়েক দশকে চিনের বিনিয়োগও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে ঘটেছে। তাই সেই দিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারকেও নিজের পরিসরের কথা ভাবতে হচ্ছে। চিন মরিশাসের একাধিক বন্দরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আফ্রিকায় বৃহত্তর বিনিয়োগকারী এবং আইওআর দিয়ে পণ্য যাতায়তের কৌশল করছে। তাদের কাছে সামুদ্রিক স্বার্থে এক চেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আর তাই চিনের তুলনায় ভারত মরিশাসের অভ্যন্তরে জলদস্যু, মাদক পাচার, অবৈধ কারবার বন্ধ এবং নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয়। ভারতের এই অবস্থানও ভারত-মরিশাসের কৌশলকে আরও উন্নত এবং সুসংবদ্ধ করবে।

    আফ্রিকায় নতুন মাত্রা ভারতের 

    ধর্মীয় যোগসূত্রে মরিসাশ (India-Mauritius Relations) ভারতের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় উভয় দেশ। মরিশাসের আলগেলা দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের থেকে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ভারত। আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় এই দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা অনেক বেশি অনুকূল, তাই এখানে ভারতীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের পরিসরও বেশ সুরক্ষিত। জিও পলেটিকসে পশ্চিম আফ্রিকায় ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

LinkedIn
Share