Tag: Madhyom

Madhyom

  • North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    North Bengal Medical: নম্বর দুর্নীতি! ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নম্বর দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রদের একটানা বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের (North Bengal Medical) ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন সুদীপ্ত শীল। টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া, চিকিৎসকদের বদলির হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস। নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ডিনের বিরুদ্ধে। চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ডিন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা।

    আন্দোলনের চাপে ডিনের পদত্যাগ! (North Bengal Medical)

    জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে উঠে আসে অভীক দে’র নাম। চিকিৎসক অভীক দে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে সরব হন ওই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুর ১টা থেকে ঘেরাও হন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, ডিন এবং অতিরিক্ত ডিন। অবিলম্বে হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন মূলত অভীক দে-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয় কলেজে। শুধু তাই নয়, অভীককে মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) ঢুকতে না দেওয়ার দাবিও জানান জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

    এরই মধ্যে, অভিযোগ ওঠে যে, বিশেষ একজন ছাত্রনেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এই অভিযোগেই ছাত্র-ছাত্রীসহ অধ্যাপকরা ঘিরে ধরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। পরে, সন্দীপ সেনগুপ্ত স্বীকার করে নেন যে অভীক দে-র ফোন যেত তাঁর কাছে। ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে এরপরেই পদত্যাগ করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    কী সাফাই দিলেন ডিন?

    মেডিক্যাল কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “আমিও একদিন ছাত্র ছিলাম। তাই তাঁদের বক্তব্যকে অনুধাবন করতে আমার কোনও অসুবিধা হয় না। পরীক্ষা নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। আমি পরীক্ষক ছিলাম না। তাই, সেই দায় আমার নয়। তবে, আমাদের আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল।” এরপরেই তাঁর সংযোজন, “আমি দায়ভার নিয়ে নয়, ছাত্রদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে মোদি-বাইডেনের, স্বীকার আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। নয়াদিল্লির বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে এ কথা জানাল আমেরিকা। বুধবার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা জন কিরবি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও কথা বলেছিলেন বাইডেন।

    কী বললেন কিরবি (Bangladesh Crisis)

    আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা বলেন, “প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে নিজের ধারাবাহিক উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও নিজের মনোভাব জানিয়েছেন।” ২৬ অগাস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রেও জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।

    কী লিখেছিলেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “বাইডেনের সঙ্গে আজ ফোনে কথা হয়েছে। ইউক্রেন পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের বিশদে মত বিনিময় হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি। দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছি। জোর দিয়েছি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর।”

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বললেন শাহ

    হোয়াইট হাউসের তরফেও জারি করা হয়েছিল বিবৃতি (Bangladesh Crisis)। তাতে বলা হয়েছিল, “প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রসঙ্গও।” এই বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ ছিল না। তা নিয়ে চড়ে জল্পনার পারদ। সেই জল্পনায়ই জল ঢেলে দিল কিরবির বিবৃতি।

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। অশান্তির সুযোগে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। হিন্দু পদাধিকারীদের জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। হিন্দু নারীদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। ধর্ষণের অভিযোগেও তপ্ত হয় বাংলাদেশ। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর পরিস্থিতি চরমে ওঠে। এই ঘটনায় মোদির পাশাপাশি (Bangladesh Crisis) উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেনও (Joe Biden)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: শাল-মহুয়া-পলাশের ঘন অরণ্য, দূরে পাহাড়ের শ্রেণি, ঘুরে আসুন প্রজাপতির দেশে!

    Jharkhand: শাল-মহুয়া-পলাশের ঘন অরণ্য, দূরে পাহাড়ের শ্রেণি, ঘুরে আসুন প্রজাপতির দেশে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরণ্য যাঁদের প্রথম প্রেম, অখণ্ড নির্জনতা, পাখির কূজন আর পাহাড়ের বুক চিরে আদিবাসী কিশোরীর প্রাণবন্ত চপলতায় নেমে আসা ঝর্ণা যাঁদের হৃদয়ে, তাঁদের কাছে অন্যতম সেরা গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান মারোমার (Jharkhand) আর আঁকশি। বেতলা জাতীয় উদ্যান থেকে নেতারহাট যাওয়ার পথে পড়বে মহুয়াডার। এই মহুয়াডার থেকেই রাস্তা ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটি রাস্তা চলে গিয়েছে নেতারহাট, অপর রাস্তাটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এবড়ো-খেবড়ো, আঁকা-বাঁকা রুক্ষ পাথুরে পথ বেয়ে চলে গিয়েছে মারোমারের দিকে। চারদিকে শাল, মহুয়া, পলাশ, শিমুলের ঘন অরণ্য, দূর থেকে দেখা যায় পাহাড়ের শ্রেণি, এরই মাঝে অবস্থান এই মারোমারের। মারোমার যেন শিল্পীর ক্যানভাসে আঁকা এক ছবি, স্থানীয় মানুষের ভাষায় যা বেশি পরিচিত মারুমার নামে।

    প্রজাপতির দেশ (Jharkhand)

    এখানকার বন বাংলোটিতে বসে বসেই কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির। তাই অনেকেই একে প্রজাপতির দেশ বলে থাকেন। বাংলোর পাশেই পাহাড়। পাহাড়ের বুক চিরে নেমে এসেছে একটি অপূর্ব সুন্দর ঝর্ণা। নাম, মিরচাইয়া ফলস। উত্তর কোয়েল নদীর জলধারা থেকে সৃষ্ট মিরচাইয়া ফলস প্রায় ১০০ ফুট উঁচু থেকে পাথরের বুকে ধাক্কা খেতে খেতে নেমে এসেছে নীচে। এই অপরূপ সৌন্দর্যকে (Maromar Forest) ভাষায় প্রকাশ করা এক প্রকার অসাধ্য।

    সুগা বাঁধ ও আঁকশি 

    মারোমার থেকে আরও প্রায় ২০ কিমি দূরে আর একটি দারুণ সুন্দর স্পট ‘সুগা বাঁধ’। মারোমার থেকে আর একটু অরণ্য পথে গেলে ‘আঁকশি’। এও এক অসামান্য রূপসী স্থান। চারদিকে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের শ্রেণি, নিবিড় অরণ্য, নীচ দিয়ে বয়ে চলা নদী, মনপ্রাণ যেন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এর কাছেই রয়েছে উলফ স্যাংচুয়ারি। এখানকার অরণ্যে বাস হরিণ, বুনো শুকর, শজারু, হায়না, বন্য কুকুর, যাদের স্থানীয় ভাষায় বলে ‘ঢোল’। আছে অজস্র বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, আর আছে দামাল হাতির পাল। তবে মারোমারের (Jharkhand) পর থেকে আর সহজে হাতির দেখা মেলে না।

    অবস্থান, যাতায়াত, থাকা-খাওয়া (Jharkhand)

    বেতলা থেকে মারোমারের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিমি। পথ হবে এই রকম, বেতলা-গাড়ু-মহুয়াডার-মারোমার-বারেসাদ-আঁকশি-উলফ স্যাংচুয়ারি।

    যাতায়াত-কলকাতা থেকে ডাল্টনগঞ্জ যাওয়ার ট্রেনে (যাচ্ছে শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস, ভূপাল এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন ) এসে নামতে হবে বারাওডি ষ্টেশনে। সেখান থেকে বাকি পথ যেতে হবে গাড়িতে।

    থাকা-খাওয়া-এই পথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভরসা বনবাংলো। এখানেই হতে পারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা (Maromar Forest)। বুকিং-এর জন্য যোগাযোগ-ডিএফও, ডাল্টনগঞ্জ, অথবা ফোন করতে পারেন ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে। আর গাড়ি বা জঙ্গলে সাফারি করার জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    RG Kar Protest: ‘মোমের আলোর তাপ সইতে পারছে না তৃণমূল’, মাথাভাঙার ঘটনায় প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনা নিয়ে গোটা বাংলা যখন পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ছবি এঁকে, গান গেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। আচমকা শাসক দলের কর্মীরা দল এসে জল ঢেলে সব ছবি আঁকা মুছে দেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদীরা রীতিমতো চমকে যান এই আকস্মিক হামলায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।  

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (RG Kar Protest)

    কোচবিহারের মাথাভাঙা শহরের চৌপতিতে বুধবার গণতান্ত্রিক লেখক সংগঠন এবং ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচির (RG Kar Protest) আয়োজন করা হয়েছিল। বহু সাধারণ মানুষ তাতে শামিল হয়েছিলেন। রাস্তা জুড়ে প্রতিবাদের প্রতীকী ছবি এঁকেছিলেন শিল্পীরা। অভিযোগ, কর্মসূচি চলাকালীন আচমকা ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় তৃণমল নেতাকর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদীদের মারধর করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবাদীদের কথা কাটাকাটিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবাদীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। অভিযোগ, রাস্তায় আঁকা প্রতিবাদের ছবি জল ঢেলে মুছে দেন তৃণমূল কর্মীরা।

    আয়োজকদের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে আয়োজকদের এক জন বলেন, “গণসংগঠনের তরফে আমরা আরজি করের প্রতিবাদে কর্মসূচির আয়োজন করেছিলাম। গান-বাজনা-আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। বহু বিশিষ্ট নাগরিক প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ চলছিল। কোনও রাজনৈতিক ঝান্ডা ছিল না। এর মধ্যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের নেতৃত্বে আমাদের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিচার চেয়ে রাস্তায় ছবি এঁকেছিলেন শিল্পীরা। তাও মুছে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    ঘটনার নিন্দায় বিরোধী দলনেতা

    ঘটনার নিন্দা করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মাথাভাঙায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে (RG Kar Protest) কাপুরুষের মতো হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় এবং তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে।” এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “চিকিৎসকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ ন্যায়ের জন্য আলো জ্বালাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তৃণমূল এই মোমবাতির আলোর তাপ সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা জোর করে আলো নেভানোর চেষ্টা করছে। এমনকী, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিবাদীদের ছবিকেও মুছে ফেলছে।”

    সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত

    এক্স হ্যান্ডলে মাথাভাঙার ঘটনার (RG Kar Protest) নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তৃণমূল গণতন্ত্র-বিরোধী এবং মানবতা-বিরোধী বলে আক্রমণ করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরায় দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বললেন শাহ

    Tripura: ত্রিপুরায় দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনএলএফটি (NLFT) ও এটিটিএফ (ATTF)-এর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করলেন (Tripura) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত বছরেরই অক্টোবরে ত্রিপুরার এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলিকে। বছর ঘোরার আগেই অবস্থান বদলে তাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ (Tripura)

    এই চুক্তি স্বাক্ষরকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন শাহ। তিনি বলেন, “৩৫ বছর পরে আপনারা অস্ত্র ছেড়ে গণতন্ত্রের মূল স্রোতে ফিরে এলেন। এটা আমাদের সকলের জন্য আনন্দের বিষয়।” এদিন নয়াদিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে স্বাক্ষরিত হয় শান্তিচুক্তি। শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় একদিকে যেমন রাজ্যে উন্নত হবে আইনশৃঙ্খলা, তেমনি সুগম হবে উন্নয়নের পথ।

    কী বললেন শাহ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে আর একটি পদক্ষেপ করল ত্রিপুরা। উত্তর-পূর্ব ভারতে এ নিয়ে দ্বাদশ চুক্তি হল, ত্রিপুরায় হল তৃতীয় চুক্তি। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বিদ্রোহী আত্মসমর্পণ করেছেন, অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন এবং সমাজের মূলধারায় যোগ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ এনএলএফটি এবং এটিটিএফ-এর আত্মসমর্পণ ও এই চুক্তির মাধ্যমে ৩২৮ এর বেশি সশস্ত্র ক্যাডার সমাজের মূলধারায় যোগ দেবেন।”

    আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাজালেন ঢোল, প্রবাসীরা নাচলেন লাভানি

    ১৯৯৬ সালে বাম আমলে আত্মপ্রকাশ করে ওই দুই জঙ্গি সংগঠন। গণহত্যা, অপহরণ, চোরাচালান-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে এনএলএফটি উগ্র বাম বিরোধী বলে পরিচিত। আবার এটিটিএফ নেতৃত্বের একাংশ বাম ঘনিষ্ঠ বলে নানা সময় অভিযোগ উঠেছে। দুই সংগঠনের নেতারাই দক্ষিণ ত্রিপুরার জনজাতি সম্প্রদায়ের। উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি ফেরাতে এই দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর (Amit Shah) একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে (Tripura)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paralympics 2024: ইতিহাস হরবিন্দরের, প্যারালিম্পিক্স তিরন্দাজিতে প্রথমবার সোনা পেল ভারত

    Paralympics 2024: ইতিহাস হরবিন্দরের, প্যারালিম্পিক্স তিরন্দাজিতে প্রথমবার সোনা পেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 2024) তিরন্দাজিতে প্রথমবার সোনা জিতল ভারত। বুধবার তিরন্দাজ হরবিন্দর সিং পুরুষদের ব্যক্তিগত রিকার্ভ ডব্লিউ২ বিভাগে পোল্যান্ডের লুকাজ সিজেককে ফাইনালে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতেন। এ দিন ফাইনালে ছয় সেটের ম্যাচে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন হরবিন্দর। প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন তিনি। হরবিন্দর ২৮-২৪, ২৮-৩৭, ২৯-২৫ ফলে লুকাজকে হারান। ২০২০ সালে টোকিও প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 2024) ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন হরবিন্দর। 

    অভিনন্দন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রথম তিরন্দাজিতে সোনা জিতে নজির গড়ল ভারত। হরবিন্দরের হার না মানা লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, প্যারিস প্যারালিম্পিক্সের তিরন্দাজিতে ব্যক্তিগত রিকার্ভ বিভাগে সোনা জয়ের জন্য হরবিন্দরকে অনেক অভিনন্দন।

    হরবিন্দরের সাফল্যের পর তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্যারালিম্পিক্সে পুরুষদের ব্যক্তিগত রিকার্ভে সোনা জেতার জন্য হরবিন্দর সিংকে অনেক অভিনন্দন। সোনা জিতে সকলকে গর্বিত করেছেন তিনি।” এদিন হরবিন্দরের খেলার ধরনের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 

    প্যারালিম্পিক্সে ভারতের পদক 

    এখনও পর্যন্ত প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 2024)  ভারত মোট ২২টি পদক জিতেছে, তার মধ্যে ৪টি সোনা, ৮টি রুপো এবং ১০টি ব্রোঞ্জ আছে। বুধবার, এই মূহূর্তে জোড়া সোনার পদক জয়ের সৌজন্যে ভারত পদক তালিকায় রয়েছে ১৩ নম্বরে। ক্লাব থ্রো এফ৫১-এর ফাইনালে সোনা এবং রৌপ্য পদক ভারতের দখলে। ৩৪.৯২ মিটার দূরত্বে থ্রো করে সোনা জিতলেন ভারতের ধরমভীর সিং। ৩৪.৫৯ মিটার দূরত্বে থ্রো করে এই ইভেন্টে রূপো জিতলেন ভারতের প্রণব সুরমা। এটি তাঁর নিজের কেরিয়ার বেস্ট থ্রো। পুরুষদের এফ৪৬ শট পাট ইভন্টে ভারতকে রৌপ্য পদক এনে দেন সচিন সর্জেরাও খিলাড়ি। ১৬.৩২ মিটার দূরত্বে থ্রো করেন করেন তিনি। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় সোনার পদক, নাহলে ভারতের পদক তালিকায় আরও উত্থান হতে পারত।  ১০০ মিটার টি১২-এর দৌড়ে সেমিফাইনালে প্রবেশ করলেন স্প্রিন্টার সিমরন। ১২.১৭ সেকন্ডে দৌড় শেষ করেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Incident: ‘‘ঘরে মেয়ের দেহ, তখন পুলিশ টাকা দিতে চেয়েছিল’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি চাননি মেয়েকে দ্রুত দাহ করা হোক। কিন্তু থানায় ও তাঁর বাড়িতে যেভাবে ৩০০-৪০০ করে পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, তারপর আর কিছু করার ছিল না তাঁর। সেই কারণেই ওই রাতে মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হন বলে জানালেন আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বাবা। প্রায় এক মাস হতে চলল। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর পুরো ঘটনা সুকৌশলে চাপা দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল পুলিশ। কিন্তু কেন? 

    নির্যাতিতার বাবার প্রশ্ন

    বুধবার তিলোত্তমার জন্য ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। আরজি করেও সেই কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, “টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।” আরজি করে (RG Kar Incident)  গিয়ে নির্যাতিতার বাবা কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’

    আরও পড়ুন: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    টাকা দিতে চাইল পুলিশ

    মেয়ের মৃত্যুর (RG Kar Incident) ক্ষত এখনও দগদগে। এরই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা।  তিনি বলেন, “আমার ঘরে তখনও আমার মেয়ের দেহ শোয়ানো। পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই। সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।” সে দিন রাতে কীভাবে তাঁর মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হল, সেই বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ওপর প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। টালা থানায় এক ঘণ্টা বসেছিলাম। তারপর বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাই। বাড়ি গিয়ে দেখি সেখানে ৪০০ পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তখন আর আমাদের কিছু করার ছিল না দেহ পোড়াতে বাধ্য হই। কিন্তু সেদিন শ্মশানের খরচ কারা দিল, আমরা জানতে পারিনি আজ পর্যন্ত। আমার মেয়ে বোধ হয় বলে গেল, আমার বাপি এই টাকাটাও খরচ করতে পারল না! এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সিঙ্গাপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাজালেন ঢোল, প্রবাসীরা নাচলেন লাভানি

    PM Modi: সিঙ্গাপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাজালেন ঢোল, প্রবাসীরা নাচলেন লাভানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক ব্রুনেই সফর সেরে বুধবার সিঙ্গাপুরে (Singapore) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চলতি সফরে উচ্চস্তরের বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-সিঙ্গাপুর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে বলেও সূত্রের খবর। এদিন চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী কে শানমুঘম। প্রবাসী ভারতীয়রা স্বাগত জানান তাঁকে। পরে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী। উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোয় কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    সিঙ্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমার বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়ং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমি খুশি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বন্ধুত্বকে ভারত মূল্য দেয়।” সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ইস্তানায় তাঁকে ডিনারে স্বাগত জানানো হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরের গুরুত্ব

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘এই সফর ভারত ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতিকে এগিয়ে নেওয়ার, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়ানোর এবং অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক গভীর করার।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে একটি পোস্টও করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে।

    এদিকে, এদিন রাজধানী মেরিনা বে-তে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) নাচে-গানে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। মহারাষ্ট্রের লোকনৃত্য লাভানি পরিবেশন করেন তাঁরা। হঠাৎই প্রধানমন্ত্রীকে দেখা যায় ঢোলের কাঠি হাতে তুলে নিতে। তিনি বাজালেন। আর লাভানি নাচলেন প্রবাসীরা। প্রধানমন্ত্রীর এই ঢোল বাজানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস লেখেন, ‘যখন সিঙ্গাপুরেও (Singapore) মহারাষ্ট্রের উৎসাহ, সংস্কৃতি ও উৎসবের স্পন্দন অনুভূত হয়, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিও তাতে যোগ না দিয়ে পারেন না। একটি তাল ভুল না করে নিখুঁতভাবে ঢোল বাজান’ (PM Modi)।

     

    আরও পড়ুন: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    RG Kar Incident: রাতে রাজপথে জনস্রোত! ‘তিলোত্তমা’র স্মৃতিতে আলো নিভিয়ে বাতি জ্বালাল কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়িতে তখন রাত ৯টা। হঠাতই আঁধার নামল কলকাতায়। পাড়ায়, পাড়ায়, আবাসনে, বাড়িতে, দোকানে আলো বন্ধ। আলো নিভল ভিক্টোরিয়াতে। আলো নিভল রাজভবনেও। প্রতিবাদী কলকাতা। বিপ্লবের শহর ফের সরব। আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সকলে সামিল। রাত নামতেই এক অদৃশ্য মানবশৃঙ্খল তৈরি হল সিঁথির মোড়, টালা, শ্যামবাজার, কলেজ স্কোয়্যার, যাদবপুর-সহ গোটা শহরের নানা প্রান্তে। হাতে হাত রেখে হাজার কণ্ঠে ধ্বনিত হলো, ‘তোমার স্বর আমার স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর’।

    বেনজির প্রতিবাদ

    বুধবার রাত ৯টা (RG Kar Incident) বাজতেই পাড়ায়, পাড়ায়, আবাসনে, বাড়িতে, দোকানে লাইট বন্ধ হয়ে যায়। বারান্দায় ব্যালকনিতে জ্বলে ওঠে প্রতিবাদের মোমবাতি। অন্ধকার রাত ঢেকে দেওয়ার জোরালো এবং ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা হল প্রতিবাদের সেই আলো জ্বালিয়ে। ৯টা বাজলেই বাড়ির আলো বন্ধ করে, মোমবাতি জ্বালিয়ে মানুষ যেন প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে জনমানসকে আহ্বান জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতায় এহেন প্রতিবাদ অভিনব শুধু নয়, অভূতপূর্বও বটে। রাজনৈতিক দল বা মঞ্চের ডাকে বাংলায় প্রতিবাদ, আন্দোলন, বিক্ষোভ অতীতে বহু হয়েছে। সেই জন্যই তো  কলকাতা মিছিল নগরী বলেও পরিচিত। তবে রাজনৈতিক রঙের ঊর্ধ্বে উঠে এ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ কলকাতা তথা বাংলায় বেনজির। 

    ফের রাত দখল

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে এর আগে গত ১৪ অগস্ট রাত দখলে নেমে পড়েছিলেন শহরবাসী। সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ থেকে স্কুল পড়ুয়া শিশু— কেউই বাকি ছিলেন না সেই জমায়েতে। বুধবার রাতে অনেকটা সেভাবেই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়লেন হাজার হাজার শহরবাসী। আরজি কর হাসপাতালের সামনে, যাদবপুরে ৮বি বাসস্ট্যান্ডে, বিশ্ববাংলা মোড়ে রাত ৮টা থেকেই জমায়েত শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শুনানির কথা মাথায় রেখে বুধবার ফের রাত দখলের আহ্বান জানানো হয়। পরে যদিও জানা যায় শুনানির দিন পিছিয়ে গিয়েছে। তাতে কী? দ্রুত বিচারের দাবিতে এক হওয়ার আওয়াজ উঠল রাজপথে। আট থেকে আশি— সন্ধ্যা থেকে পথে। বর্ষীয়ানরা নিজেদের মেয়ে, নাতনির মুখ মনে করে জয়ামেতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। মোমবাতির সঙ্গে চলেছে পথে আঁকা, বার্তা লিখন। 

    আরও পড়ুন: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    ঋতুপর্ণাকে ‘গো-ব্যাক

    এই ভিড়ে মিশে বিচার চেয়েছেন টলিপাড়ার অনেকেই। উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তথাগত মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, সোহম মজুমদার, সোলাঙ্কি রায়, ঋষভ বসু, রাতাশ্রী দত্তরা। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ঋতুপর্ণা জমায়েতে উপস্থিত হতেই ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। চার পাশ থেকে উলু ধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ করা হয় অভিনেত্রীকে। কিছুক্ষণ পর গাড়িতে উঠে শ্যামবাজার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন ঋতুপর্ণা। অন্য দিকে, দক্ষিণ কলকাতায় সন্ধ্যা থেকেই রাস্তায় জমায়েত বড় হতে শুরু করে। ঢাকুরিয়া, লেক গার্ডেন্স, গড়িয়া মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে শামিল হন মানুষ। তবে সব থেকে বেশি ভিড় লক্ষ করা যায় যাদবপুরে ৮বি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে আন্দোলনকারীরা (RG Kar Incident) গান, কবিতা এবং নাটকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি হচ্ছে না আরজি করকাণ্ড মামলার

    RG Kar Incident: সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি হচ্ছে না আরজি করকাণ্ড মামলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি হচ্ছে না আরজি করকাণ্ড (RG Kar Incident) মামলার। এদিন যে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বসছে না, তা আগেই জানানো হয়েছিল। এবার জানা গেল, অন্য বেঞ্চেও রাখা হয়নি আরজি কর মামলা। শীর্ষ আদালতে নয়া শুনানির যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেই তালিকায় রাখা হয়নি আরজি কর মামলা। তবে কবে পরবর্তী শুনানি হবে, তা আজ, বৃহস্পতিবার জানানো হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।

    সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তি (RG Kar Incident)

    বুধবার সন্ধেয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বসবে না প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। এই বেঞ্চের দুই সদস্য বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র আলাদা করে ১০ নম্বর কোর্টের কিছু মামলা শুনবেন। তবে কোন মামলা শুনবেন, তা স্পষ্ট নয়। পরে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে শীর্ষ আদালত। সেখানে ১০ নম্বর কোর্টে কোন কোন মামলার শুনানি হবে, তার তালিকা প্রকাশিত হয়। এই তালিকায় দেখা যায়, আরজি কর মামলা নেই। আরজি করের (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে দিন গুণছেন সাধারণ মানুষ। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররাও তাকিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    সুয়োমটো কগনিজেন্স

    জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই আদালতে আসছেন না প্রধান বিচারপতি। অসুস্থতার কারণেই তাঁকে কোর্টে দেখা যাচ্ছে না বলে খবর। বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বরও তিনি কোর্ট গরহাজির থাকছেন। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বলা হয় ‘মাস্টার অফ রস্টার’। কোন মামলার শুনানি কোন বেঞ্চে হবে, তা ঠিক করেন তিনিই। তবে আরজি কর মামলার (RG Kar Incident) সুয়োমটো কগনিজেন্স নিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তাই মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানো হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি পরিবর্তিত মামলার তালিকা আসতে পারে। তখনই জানা যাবে এই মামলার ভবিষ্যত কী হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share