Tag: Madhyom

Madhyom

  • PM Modi: ভারতে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের

    PM Modi: ভারতে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতে পরিচালনাধীন তহবিল দ্বিগুণের বেশি করার পরিকল্পনা করেছে সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (CLI)। ক্যাপিটাল্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের লক্ষ্য, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তাদের পরিচালনাধীন তহবিল ২০০ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারে পৌঁছানো।

    সিঙ্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    আজ, বুধবার দু’দিনের সফরে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার তিনি ব্রুনেই যান। বুধবার সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যান সিঙ্গাপুরে। ভারত-সিঙ্গাপুরের মধ্যে বন্ধুত্ব, কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করা এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থেকে বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং এর আমন্ত্রণে সে দেশে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “ভারতের সংস্কার ও আমাদের যুবশক্তির প্রতিভা আমাদের দেশকে একটি আদর্শ বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত করেছে। আমরা ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক সম্পর্কের জন্য উন্মুখ।”

    বড় বিনিয়োগের ঘোষণা 

    বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেই সময়ই সে দেশের শীর্ষস্থানীয় সিঙ্গাপুর গোষ্ঠীর তরফে ঘোষণা করা হয় এই বড়সড় বিনিয়োগের কথা। জানা গিয়েছে, আগামী চার বছরের মধ্যে ভারতে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সিঙ্গাপুরের ওই সংস্থা। এক্স হ্যান্ডেলে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার লিখেছেন, “এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম বৈচিত্র্যপূর্ণ রিয়েল এস্টেট গ্রুপ ক্যাপিটাল্যান্ড ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতে তার ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ করতে চায় ১৪.৮ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারেরও বেশি।”

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    বর্তমানে ভারতে ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে সিএলআই। এ দেশে সংস্থাটি যাত্রা শুরু করেছিল ৩০ বছর আগে অ্যাসেন্ডারের মাধ্যমে। এ দেশে তারা আইটি পার্ক, ইন্টার ন্যাশনাল টেক পার্ক গড়ে। ২০১৫ সালে অ্যাসেন্ডাস সিঙ্গব্রিজের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে তৈরি হয় অ্যাসেন্ডাস সিঙ্গব্রিজ। ২০১৯ সালে ক্যাপিটাল্যান্ডের সঙ্গে মিশে যায় অ্যাসেন্ডাস সিঙ্গব্রিজ। ক্যাপিটাল্যান্ডের পুনর্গঠনের পর সিএলআই তালিকাভুক্ত হয় ২০২১ সালে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    North Bengal Medical: ৫২ বাড়িয়ে ৮০! কার চাপে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বাড়ানো হত নম্বর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদের রেশ এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও (North Bengal Medical) দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ ঘটল। অভিযোগ খোদ অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা এবং ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে। পরীক্ষায় কারচুপি, ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকিতে মদত দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি অবৈধভাবে তৃণমূলের নামে ছাত্র সংসদ পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এ নিয়ে বুধবার তাঁরা কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন।

     অধ্যক্ষকে ঘেরাও কেন? (North Bengal Medical)

    রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন ও জুনিয়র ডাক্তাররা এদিন তৃণমূলের ছ’জন ছাত্রনেতার নামে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া, হস্টেলে ঘর বণ্টন নিয়ে দাদাগিরি, অনৈতিকভাবে টাকা তোলার অভিযোগ করেন। ওই  ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র সংসদ বাতিলের দাবিতে অধ্যক্ষ ও ডিনকে ঘেরাও করেন আন্দোলন রত জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি করকাণ্ডে বিতর্কিত তৃণমূল ছাত্র নেতা অভীক দের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical) প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান তাঁরা। তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ও সাহিন সরকারকে অবিলম্বে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে বরখাস্ত করার জোরালো দাবিও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    কে অভীক দে?

    নির্যাতিতা কাণ্ডে যে সব ভিডিও ভাইরাল হচ্ছিল, সেখানে সেমিনার রুমে এক লাল জামা পরা যুবককে দেখা গিয়েছিল। লালবাজার যাঁকে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলেছিল। যদিও পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভীক দে। এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি তিনি। আরও পরে জানা যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সংগঠনের তরফে সেভাবে মুখ খোলেনি কেউই। অবশেষে সোমবার রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, অভীক দে-কে বরখাস্ত করা হল। এই অভিক দে-র বিরুদ্ধেই উঠছিল জোর করে চাপ দিয়ে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ।

     দুর্নীতির অভিযোগের বিস্ফোরণ!

    জুনিয়র ডাক্তারদের (North Bengal Medical) ঘেরাও আন্দোলনের মাঝে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা ও ডিন সন্দীপ সেনগুপ্তকে দুর্নীতির অভিযোগে চেপে ধরেন অধ্যাপক চিকিৎসকরাও। সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক এসকে রায়ের অভিযোগ, অধ্যক্ষ ও ডিন কীভাবে পরীক্ষায় কারচুপির পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আমাদেরকে ডেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, নকল না ধরার জন্য। ফেল করা এক ছাত্রীকে পাশ করানোর জন্য সন্দীপ সেনগুপ্ত দিনের পর দিন নানা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। ট্যাবুলেশন শিটে হোয়াইটনার দিয়ে প্রকৃত নম্বর মুছে উত্তরের লবির ছাত্রদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    ৫২ নম্বর বাড়়িয়ে ৮০!

    এই অভীকের বিরুদ্ধে শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা নয়, ডিপার্টমেন্টাল হেডরাও সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ একজন ছাত্র নেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এক অধ্যক্ষ বলেন, “নম্বর ধরে ধরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ডাকলে ফাইল দেখাব।” এদিন ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা ঘিরে ধরেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও অধ্যক্ষকে। তাঁরা জানতে চান নম্বর বাড়ানোর পিছনে কে যুক্ত। প্রথমে ডিন মানতে না চাইলেও পরে আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে কার্যত মুখ খোলেন তিনি। ডিন অফ স্টুডেন্স বলেন, “কোনও-কোনও সময় অভীক দে-র ফোন আসত। তবে বারবার ফোন এলে আমি বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যেতাম। অভীক ছাড়া কেউ ফোন করত না। তবে যতক্ষণ হলে ছিলাম, ততক্ষণ কড়া গার্ড দিয়েছি।” পাল্টা আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন নাম বলুন নাম। তখন আবার ডিন বলেন, “আমি অ্যাপোলজি চেয়ে বলছি, কয়েকটা ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল স্যরের কাছেও ফোন আসত। অভীক ছাড়া ফাইনাল ইয়ারে শাহিন সরকার ফোন করেছিল। আর কেউ নেই।” যদিও, প্রিন্সিপাল বলেন, “আমার কাছে কোনও ফোন আসত না।” আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা একটি ছবি দেখিয়ে প্রমাণ করেন এখানে পরীক্ষা হল থেকে প্রতিটি অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (North Bengal Medical)  অভীকের অবাধ বিচরণ ছিল। সেই ছবিতে দেখা যায়, অধ্যক্ষের জন্মদিনে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন অভীক। কলেজ ক্যাম্পাসেই সেই অনুষ্ঠান হয়েছিল। এরপর মাধা নিচু করে চুপ করে বসে থাকেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata metro: ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল বেলায় বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা

    Kolkata metro: ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল বেলায় বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাবাসীর জন্য ফের সুখবর। সকালে বৃদ্ধি (Increasing) পাচ্ছে মেট্রো (Kolkata metro)। এ খবর জানালো কলকাতা মেট্রো। আগামিকাল ৫ সেপ্টেম্বর থেকেই এই পরিবর্তন দেখা যাবে। ট্রেন বাড়ছে ব্লু লাইনে। মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত। সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মোট ট্রেন চলবে ২৯০টি। কম সময়ে শহর কলকাতার একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পৌঁছে যেতে এই মেট্রো পরিষেবা সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ। তাই মেট্রোয় অতিরিক্ত ভিড় কমবে বলে মনে করছেন যাত্রীদের একাংশ।

    কোন সময় মেট্রো চলবে (Kolkata metro)?

    এতো দিন পর্যন্ত এই লাইনে মোট মেট্রো চলত ২৮৮টি। এবার এই ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি (Increasing) পাওয়ায় যাত্রীদের পরিষেবা আরও সুগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বাড়তি ট্রেনের মধ্যে একটি চলবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। এটি ছাড়বে মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে আর যাবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি অপর ট্রেনটি চলবে সকাল ৭ টা ৫৪ মিনিটে থেকে। এই মেট্রোটি (Kolkata metro) ছাড়বে দক্ষিণেশ্বর থেকে, যাবে কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত। তবে দুই মেট্রোর নতুন সংযোজন হলেও বাকি সময়সূচির তেমন বদল ঘটবে না। এই শাখায় প্রথম মেট্রো ছাড়ছে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। এটি চলবে দমদম থেকে, যাবে কবি সুভাষ পর্যন্ত। একই সময়ে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত আসছে অন্য একটি মেট্রো। আবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শেষ মেট্রো ছাড়বে দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে, গন্তব্য কবি সুভাষ স্টেশন। একই ভাবে রাত ৯টা বেজে ৩০ মিনিটে কবি সুভাষ ছাড়বে মেট্রো, যাবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত।

    আরও পড়ুনঃ নারী-শিশু সুরক্ষায় মমতার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রিজিজুর, সরব শুভেন্দুও

    ছুটির দিনেও চলবে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো

    দৈনন্দিন জীবনে মানুষ ট্রেন এবং মেট্রো (Kolkata metro) ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকেন কালকাতাবাসী। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং যাত্রাপথকে আরও সুরক্ষিত করতে কলকাতা মেট্রো নিরন্তর কাজ করে চলেছে। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, “মেট্রোর সাধারণ টাইমে কোনও বদল আসছে না। আগামী ৫ তারিখ থেকে বদল আসছে গঙ্গার নিচের মেট্রো পরিষেবাতেও। এখন থেকে ছুটির দিন রবিবারও পাওয়া যাবে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো পরিষেবা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kiren Rijiju: নারী-শিশু সুরক্ষায় মমতার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রিজিজুর, সরব শুভেন্দুও

    Kiren Rijiju: নারী-শিশু সুরক্ষায় মমতার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রিজিজুর, সরব শুভেন্দুও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এই আবহের মধ্যে মঙ্গলবারই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু বিল’। সেই বিল পাশের চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগেই নারী সুরক্ষা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন মোদি সরকারের মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)।  রিজিজুর বক্তব্যের রেশ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

    ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Kiren Rijiju)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালে সংসদে ‘ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের মোকাবিলায় একটি কঠোর আইন’ পাস করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল ধর্ষণ ও পকসো আইনের মামলাগুলির দ্রুত বিচার ও সমাধানের জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক বিশেষ আদালত (এফটিএসসি) প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আরও অভিযোগ, করেছেন যে ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে একাধিকবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ফৌজদারি (সংশোধনী) আইন, ২০১৮-এর অধীনে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সম্মতি দেয়নি। চিঠিতে কিরেন রিজিজু পশ্চিমবঙ্গে বিচারাধীন ধর্ষণ ও পকসো আইনের দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য এফটিএসসি গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। চিঠিতে বলা হয়েছিল যে, ২০টি ই-পকসো আদালত সহ ১২৩টি এফটিএসসি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে, রাজ্য সরকারের সম্মতি পাওয়া যায়নি। রিজিজু জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নারী ও শিশুদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদানের ‘সবচেয়ে পবিত্র দায়িত্ব’ উপেক্ষা করায় তিনি ‘দুঃখিত’ বোধ করছেন। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। দয়া করে এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানাবেন না। খুব শক্তিশালী আইন প্রয়োজনীয়, কিন্তু শক্তিশালী পদক্ষেপ আরও গুরুত্বপূর্ণ। যখন চিঠিটি লেখা হয়েছিল, তখন সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিল, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল!

    <

    সরব শুভেন্দুও

    বিরোধী বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সরকারের এই বিলকে সমর্থন করার পরেই বিলটি পাস করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এই নৃশংস অপরাধের বিষয়ে ‘জনগণের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ থেকে নজর ঘোরাতে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলটি উত্থাপন করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের আসল সত্যিটা সামনে আনার জন্য মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে ধন্যবাদ।” এর পর ওই পোস্টে রিজিজুর (Kiren Rijiju) পোস্ট করা ছবির কথা উল্লেখ করেন। শুভেন্দু লেখেন, “২০২১ সালের এই চিঠি, তৎকালীন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রীর পাঠানো। কিরেন রিজিজু ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট এবং পকসো আদালত প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়সারা মনোভাব তুলে ধরেন।” ওই পোস্টে শুভেন্দু আরও লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার পরেও তিনি মহিলা ও শিশুদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই বিষয়টি উপেক্ষা করেছিলেন।” এর পর মমতার উদ্দেশে শুভেন্দু লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য এখন নারী নির্যাতন বিরোধী বক্তব্য রাখছেন, তা মানুষ বুঝতে পারছে। তাই…

    <

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, রাজ্যের দেওয়া পুরস্কার ফেরাচ্ছেন চন্দন-সুদীপ্তা-বিপ্লব

    RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, রাজ্যের দেওয়া পুরস্কার ফেরাচ্ছেন চন্দন-সুদীপ্তা-বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Protest) আরও গাড্ডায় রাজ্য সরকার। এবার সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফেরাতে শুরু করলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীরা। এই তালিকায় রয়েছেন নাট্যকার চন্দন সেন, অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং অভিনেতা তথা নাট্য পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার তাঁদের যেসব পুরস্কার দিয়েছেন, সেগুলো যে তাঁরা ফেরাতে চান, তা ইতিমধ্যেই মেল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন চন্দন-সুদীপ্তা-বিপ্লব।

    পুরস্কার ফেরাচ্ছেন চন্দন (RG Kar Protest)

    প্রবীণ নাট্যকার চন্দন সেনের কথাই ধরা যাক। ২০১৭ সালে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার তাঁকে দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কারে (Dinbandhu Mitra Honour) ভূষিত করে। নাট্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের নামে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নাট্য ক্ষেত্রে এটি রাজ্য সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান। নাট্যকার জানান, রাজ্যে বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, সেই আবহে শাসক দলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক যে কটাক্ষ করেছেন, তাতে তিনি ব্যথিত। নাটকের সূত্রেই কাঞ্চনের সঙ্গে পরিচিত তিনি। এরই প্রতিবাদে ও অসম্মান বোধ করায় রাজ্য সরকারের দেওয়া এই পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে ফেরাচ্ছেন রাজ্য সরকারের দেওয়া নগদ ২৫ হাজার টাকাও।

    আরও পড়ুন: “শাহজাহানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তো?”, মমতাকে মোক্ষম প্রশ্ন শিবরাজের

    মেল করে জানালেন সিদ্ধান্ত

    পুরস্কার এবং সরকারের দেওয়া টাকা যে তিনি ফেরাবেন, চন্দন তা রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দফতরকে মেল করে জানিয়েও দিয়েছেন। বিশিষ্টজনেদের একটা বড় অংশের মতে, কাঞ্চনের মন্তব্যের পর সরকার কিংবা তৃণমূলের তরফে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়নি, কাঞ্চনকেও কিছু বলা হয়নি। তাই কাঞ্চনের কথা শাসক দলের কথা ধরে নিয়েই নাট্যকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চন্দন জানান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কষ্টার্জিত বেতন (RG Kar Protest) নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাঞ্চন যে কটাক্ষ করেছেন, তার প্রতিবাদেও এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান বলে জানিয়েছেন চন্দন। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছে কলাকুশলীদের একাংশও। বিরোধীদের দাবি, শাসক দলের ছত্রছায়ায় যাঁরা রয়েছেন কিংবা তৃণমূলের দয়ায় যাঁরা ‘করেকম্মে’ খাচ্ছেন, তাঁরা অবশ্য পথে নামেননি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যাঁদের মেরুদণ্ড ঋজু, তাঁরাই ফেরাচ্ছেন শাসক দলের পুরস্কার কিংবা আর্থিক অনুদান অথবা দুটোই।

    পুরস্কার ফেরাচ্ছেন বিপ্লবও

    পুরস্কার এবং পুরস্কার বাবদ পাওয়া অর্থমূল্য ফেরাচ্ছেন নাট্য পরিচালক বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চলতি বছরই সেরা নির্দেশক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। কাঞ্চন-কাঁটায় বিদ্ধ তিনিও। সেই কারণেই পুরস্কার এবং পুরস্কার বাবদ সরকারের দেওয়া ৩০ হাজার টাকা ফেরাচ্ছেন বিপ্লব। পুরস্কার ফেরতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই পুরস্কারের বিনিময়ে প্রশ্নহীন আনুগত্য চেয়েছিল সরকার। আনুগত্যের চাহিদা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি।” তিনি জানান, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তিনিও তার শরিক। তাছাড়া অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের মন্তব্যও আহত করেছে তাঁকে। সব মিলিয়েই পুরস্কার এবং পুরস্কার বাবদ অর্থমূল্য ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিপ্লবও। তিনি জানান, শীঘ্রই তিনি এ ব্যাপারে মেল করবেন নাট্য অ্যাকাডেমির সচিবকে।

    পুরস্কার ফেরানোর তালিকায় রয়েছেন সুদীপ্তাও

    পুরস্কার ফেরাচ্ছেন (RG Kar Protest) সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। তৃণমূল নেতা কাঞ্চনের বিতর্কিত মন্তব্যের পর রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফেরত (Dinbandhu Mitra Honour) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারই মেল করে রাজ্য সরকারকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। বিশেষ চলচ্চিত্র সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। সেই সম্মানই ফেরাচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চিঠির বৃত্তান্ত তুলে ধরেন সুদীপ্তা। ক্যাপশনে লেখেন, “আপোশ করিনি। আপোশ করবও না। ভেবেছিলাম, সরকারি পুরস্কার আমার যোগ্যতার জন্য দেওয়া হয়েছিল। পরশু রাতে মাননীয় বিধায়ক যখন দাবি করলেন রাস্তায় নামলে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার, সিদ্ধান্ত তখনই নিয়েছিলাম। ইমেল ঠিকানা পেয়ে চিঠিটা পাঠাতে একটু দেরি হল।” সুদীপ্তা জানান, ন্যায় বিচার চেয়ে তিনি লড়ছেন, লড়বেন। ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই স্পেশাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড সম্মানে ভূষিত করা হয় সুদীপ্তাকে। ২০০০ সালে তিনি পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

    কী লিখেছেন অভিনেত্রী

    চিঠিতে সুদীপ্তা লিখেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মানীয় কাঞ্চন মল্লিক পয়লা সেপ্টেম্বর যে মন্তব্য করেছেন, তার জন্যই আমি এই পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চাইছি। আমি আমার সার্টিফিকেটও ফেরত দিতে চাইছি। নগদ ২৫ হাজার টাকাও আমায় দেওয়া হয়েছিল। সেটাও কীভাবে ফেরত দেব বা কোন বিভাগে ফেরত দিতে পারব, সেটা জানালে ভালো হয়।”

    প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। এই আবহে কষ্টার্জিত বেতন নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন কাঞ্চন। আরজি করে নির্যাতিতার পরিবারকে সুবিচার দেওয়ার দাবিতে অভিনয় জগতের যাঁরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের একহাত নিয়েছিলেন কাঞ্চন। উত্তরপাড়ার বিধায়ক বলেছিলেন, “আচ্ছা ধরুন, যাঁরা বলছেন, এই আমাদের সহকর্মী এই চারিদিক থেকে, তাঁরা যাঁরা সরকারি পুরস্কার বা ইত্যাদি নিয়েছিলেন, তাঁরা ফেরত দেবেন (Dinbandhu Mitra Honour), বলুন ফেরত দিয়ে দিচ্ছি (RG Kar Protest)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আমেরিকা-সহ ৯ দেশে মানব বন্ধনের ডাক

    RG Kar Rape-Murder: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আমেরিকা-সহ ৯ দেশে মানব বন্ধনের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) ন্যায় বিচারের দাবিতে (Demand Justice) উত্তাল রাজ্য। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় বিল এনেছে মমতার সরকার। রাজ্যের সঙ্গে সাড়া দেশজুড়ে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, অধ্যাপক, সাধারণ পড়ুয়া সহ একাধিক ক্ষেত্রের সামজিক মানুষেরা পথে নেমে আন্দোলন করছেন। এবার দেশের বাইরে বিদেশের মাটিও গর্জে উঠবে আরজি কর ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে-আন্দোলনে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ ৯ দেশে মানববন্ধন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    কোথায় কোথায় হবে বিক্ষোভ (RG Kar Rape-Murder)?

    জানা গিয়েছে, আমেরিকার ৩৪টি জায়গায় তরুণী ডাক্তার খুনের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে মানুষ জমায়েত করবেন। এই জায়গাগুলির মধ্যে রয়েছে, বোস্টন, শিকাগো, নিউ ইয়র্ক সিটি, আটলান্টা। অপর দিকে ব্রিটেনের ১৪টি জায়গায় জামায়েত হবেন সাধারণ মানুষ। এই স্থানগুলির মধ্যে হল, লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার, লন্ডন। এই দুই দেশ ছাড়াও আয়ারল্যান্ড, কানাডা, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের রাজপথে মানুষ নামবেন। প্রত্যেক জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে মানব বন্ধনের মাধ্যমে। স্থানীয় সময় হবে বিকেল ৫টায়। রাজ্যে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে (Demand Justice) প্রতিদিন কলকাতার রাজপথে চলছে বিক্ষোভ, আন্দোলন, ধর্না, অবস্থান-বিক্ষোভের মতো ঘটনা। পুলিশ এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার উল্টোডাঙা থেকে ইএম বাইপাসের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যকর্মীদের মানববন্ধন করতে দেখা গিয়েছে। সকলেই বলছেন বিচার চাই।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ভাইরাস বিরূপাক্ষকে ঢুকতে দেব না’’, ডায়মন্ড হারবারে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের

    ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি সুপ্রিম কোর্ট

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) উদ্ধার হয়েছিল চিকিৎসক তরুণীর দেহ। প্রথম থেকেই মামলায় তদন্তের বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাইকোর্টের রায়ে পুলিশের কাছ থেকে তদন্ত গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। এদিকে লালবাজার অভিযানের পর, বুধবার জুনিয়র ডাক্তাররা রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘরে আলো বন্ধ করে প্রদীপ জ্বালানোর কথা বলে, প্রতীকী প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নজরেও রয়েছে মামলার তদন্তের বিষয়। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর রয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA:  ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    TMC MLA: ‘তৃণমূল বিধায়ক দিতেন কুপ্রস্তাব’, মহিলা পুরকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই আবহে চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। মহিলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একইসঙ্গে  তাঁর নামে শহরজুড়ে পোস্টার পড়েছে। সাদা কাগজের ওপর কালো কালিতে লেখা দু’টি লাইন-‘বিধায়ক তুমি দূর হটো, চুঁচুড়ার নারীদের সম্মান বাঁচাও’। বুধবার সকাল থেকেই হুগলির চুঁচুড়ার বিভিন্ন জায়গায় নজরে পড়েছে এই পোস্টার। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার সাঁটিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পোস্টারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী রয়েছে (TMC MLA)

    মঙ্গলবার চুঁচুড়া পুরসভার এক মহিলা কর্মীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে মহিলা কর্মী বলেন, “মহিলাদের উনি (বিধায়ক) সম্মান করেন না। ওঁর মুখের ভাষা খুবই খারাপ। মহিলাদের কুকথা বলেন। ভিডিও কল এবং মেসেজ করেন মহিলাদের। এখন ধিক্কার মিছিল করছেন শহরে। কিন্তু উনিই তো মহিলাদের সম্মান দিতে জানেন না। কেন এত দিন অভিযোগ করা হয়নি?

    মহিলার দাবি, “মহিলারা ভয়ে অভিযোগ করেন না। আমরা ভয় পাই না। তাই অভিযোগ করি। আমার কাছে অনেক প্রমাণ আছে। সময় মতো সেগুলো সামনে আনব। ২০১৬ সাল থেকে আমি ‘বিধায়কের (TMC MLA) বাড়িতে’ কাজ করছি। পুরসভার কর্মী হওয়ার পরেও আমাকে বিধায়কের বাড়িতে কাজ করতে হত। শুধু আমি একা নই, স্বামীও বিধায়কের টুকটাক লেখালিখির কাজ করে দিতেন। মাস ছয় আগে বিধায়কের বাড়ির কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমি যত দিন নিজের সম্মান পেয়েছিলাম, তত দিন ওঁর সঙ্গে ছিলাম। যখন সম্মানহানি হল, তখন বেরিয়ে এসেছি। যখন আমি ওঁর কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি, তখনই আমায় চোর বদনাম দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন।” শুধু তিনি একা নন, অনেক মহিলাকেই কুপ্রস্তাব দিতেন ওই বিধায়ক, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, “আমার কাছে ভিডিও কলের চ্যাট আছে।” তবে তিনি আশাবাদী দল ব্যবস্থা নেবে বিধায়কের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, “আমি দলকে জানিয়েছি।”

    ভিডিও পোস্ট লকেটের

    প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা সজল ঘোষেরা সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লকেটের কথায়, “এমন আর কত মহিলার সঙ্গে আপনি সেফ সাইড করতেন বিধায়কবাবু (TMC MLA)! আপনি আবার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হাস্যকর! রক্ষক যে নিজেই ধর্ষক, এটাই তৃণমূলের মেরুদণ্ড।” সজলের সমাজমাধ্যমেও একই পোস্ট ঘুরছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি চুঁচুড়ার বিধায়ক (TMC MLA)। হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,“ আমি নিজেই জানি না বিষয়টা। প্রমাণ ছাড়া কিছু বলতে পারি না। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। কী অভিযোগ আছে সব শুনব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paralympics 24: টোকিও-র রেকর্ড ভাঙল প্যারিসে! প্যারালিম্পিক্সে সবচেয়ে বেশি পদক জয় ভারতের

    Paralympics 24: টোকিও-র রেকর্ড ভাঙল প্যারিসে! প্যারালিম্পিক্সে সবচেয়ে বেশি পদক জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারালিম্পিক্স (Paralympics 24) শেষ হতে আর মাত্র বাকি চার দিন। ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছে ভারত। এখনও পর্যন্ত মোট ২০টি পদক পেয়েছে। টোকিওতে ১৯ পদক জয়ের মাত্রাকে ছাপিয়ে প্যারিসে নতুন উচ্চতা পেল ভারত। এটাই হল ভারতের কাছে সেরা প্যারালিম্পিক্স। ষষ্ঠ দিন ভারতীয় অ্যাথলিটরা মোট পাঁচটি পদক জয় করেছেন। দেশবাসী এই জয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।

    তিনটে সোনা, সাতটি রুপো এবং ১০টি ব্রোঞ্জ(Paralympics 24)

    ভারত (Team India) এখনও পর্যন্ত তিনটে সোনা, সাতটি রুপো এবং ১০টি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছে। গত ২ দিনে ভারতীয় অ্যাথলিটরা মোট ১৩টি পদক জয় করেছেন। মঙ্গলবার পাঁচটি পদক পেয়েছে ভারত। এই প্যারালিম্পিক্সে (Paralympics 24) ভারতের পাওয়া মোট পদকের সংখ্যা হল ২০। দীপ্তি জীবনজি, শরদ কুমার, মারিয়াপ্পান থাঙ্গাভেলু, অজিত সিং এবং সুন্দর গুর্জর দেশের জন্য পদক এনে দিয়েছেন। এদিন, আরও দুটি পদক পেতে পারত ভারত, কিন্তু অল্পের জন্য ভাগ্যশ্রী মাহাভরো এবং অবনী লেখারা সাফল্য পাননি।

    আরও পড়ুনঃ “শাহজাহানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে তো?”, মমতাকে মোক্ষম প্রশ্ন শিবরাজের

    আশা করা হচ্ছে ২৫-৩০টি পদক পেতে পারে ভারত

    অ্যাথলেটিক্সে (Paralympics 24) ভারতকে তৃতীয় পদক এনে দিয়েছেন দীপ্তি। মহিলাদের ৪০০ মিটার টি ২০ ফাইনালে ব্রোঞ্জ জয়ী হয়েছেন তিনি। ৫৫.৮২ সেকেন্ডে শেষ করেছেন তিনি। আবার পুরুষদের হাই জাম্পে রুপো জিতেছেন শরদ। ব্রোঞ্জ জিতেছেন মারিয়াপ্পান। ফলে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে আরও দুটি পদক এনেছেন। পুরুষদের জ্যাভলিনে জোড়া পদক জিতেছে ভারত। রুপো জয়ী হয়েছেন অজিত। ব্রোঞ্জ জয়ী হয়েছেন সুন্দর। অজিত ৬৫.৬২ মিটার ছুড়েছেন। সুন্দর তাঁর পিছনে ৬৪.৯৬ মিটার ছুড়ে পদক জয়ী হয়েছেন। দেশের তালিকা বিচারে এখনও পর্যন্ত প্রথমে রয়েছে চিন, দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে ব্রিটেন এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যামেরিকা। তবে এখনও খেলার চার দিন বাকি। আশা করা হচ্ছে ভারত (Team India) মোট ২৫ থেকে ৩০টি পদক জিততে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj Medical: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষক দিবসে উপোস করার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের

    Raiganj Medical: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষক দিবসে উপোস করার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Protest) জেরে উত্তাল সারা দেশ। রাজ্যজুড়ে চলছে আন্দোলন। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক দিবসকে অন্যভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক শিক্ষকরা। মেডিক্যালের (Raiganj Medical) সহকারি অধ্যাপক ডাঃ বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য চিকিৎসকরা তাঁদের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন।

    শিক্ষক দিবসে এবার উপোস (Raiganj Medical)

    রায়গঞ্জ মেডিক্যাল (Raiganj Medical) কলেজের চিকিৎসক শিক্ষক বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবারের শিক্ষক দিবস অন্য বারের মতো নয়। আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তার জেরে এবারের শিক্ষক দিবসে কোনও শিক্ষকের শুভেচ্ছা গ্রহণের নৈতিক অধিকার নেই। তাই এবারে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক তথা আমরা শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারে শিক্ষক দিবসে উপোস করব। আমরা কোনও উপহার নেব না। পাশাপাশি ওইদিন বিকেলে আমরা শপথগ্রহণও করব।” তিনি আরও বলেন, নিজেদের কাছে শপথ নেব যে, শিক্ষাঙ্গনে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। দুর্নীতি দেখলে রুখে দাঁড়াব। আত্মশুদ্ধির মধ্যে দিয়েই সমাজ শুদ্ধ হবে।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    প্রতিবাদে সামিল শিক্ষকরাও

    চিকিৎসক শিক্ষকদের এমন অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারাও। রায়গঞ্জ (Raiganj Medical) সহ আশপাশের এলাকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় ঘড়িমোড়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হওয়ার কথা। অনিরুদ্ধ সিন‍্‍হা নামে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক সমাজ রাজপথের দখল নেবে। এই অন্যায় ও অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। তাই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী সবাই এতে সামিল হন।’’ আরেক শিক্ষক দীপাঞ্জন ঘটকের কথায়, ‘‘দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে মুখরিত একটা ব্যতিক্রমী শিক্ষক দিবসের লক্ষ্যে এটাই আমাদের প্রয়াস। সব ক্ষেত্রের শিক্ষকদেরই ভেদাভেদহীন উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’ রায়গঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দেবযানী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরজি করে যে ঘটনা ঘটেছে তা নারকীয়! সকলেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক তথা শিক্ষকদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানাচ্ছি।’’ রায়গঞ্জের দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা রাখি বিশ্বাস চিকিৎসক শিক্ষকদের এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর কোনও উপহার গ্রহণ করব না বলে জানান তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Teacher’s Day: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    Teacher’s Day: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস হল বিশ্বের প্রতিটি মানুষের তাঁদের গুরুদেবদের সম্মান জানানোর দিন। প্রতি বছর এই দিনে দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day)। কিন্তু দিনটি যাঁর জন্মদিনের স্মরণে পালিত হয়, তিনি হলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Sarvepalli Radhakrishnan)। তিনি ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। শিক্ষা, উন্নয়ন এবং মানব কল্যাণকেই তিনি করে নিয়েছিলেন জীবনের ব্রত। আসুন জেনে নিই, কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস?

    রাধাকৃষ্ণণের শিক্ষাজীবন (Teacher’s Day)

    ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Sarvepalli Radhakrishnan) তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা সর্বপল্লি বীরস্বামী এবং মা সীতাম্মা। লুথার্ন মিশনারি স্কুল, তিরুপতি এবং ভেলোরে প্রাথমিক শিক্ষা (Teacher’s Day)। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তাঁর তেমন মন ছিল না। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোই ছিল পয়লা পছন্দের। ছেলের এমন মতিগতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান বাবা। তাই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেন ভেলোরের একটি মিশনারি স্কুলে। মন পড়াশোনায় না বসলে কী হবে, স্কুলজীবন থেকেই পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। বরাবরই সে জন্য তিনি বৃত্তি পেয়ে এসেছেন। এরপর মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ১৯১৬ সাল থেকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। জীবনের বড় সময় শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ছিলেন ছাত্র সমাজের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। একবার তাঁকে ফুলসজ্জিত কার্ট নিয়ে স্টেশন থেকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি যে সব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তাঁর হাতে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক দার্শনিক গ্রন্থ, যা নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছিল। তাঁর ‘অ্যান আইডিয়ালিস্ট ভিউ অব লাইফ’ বিবেচিত হয়েছিল নোবেল প্রাইজের জন্যও। ১৯৭৫ সালে ‘প্রগতিতে ধর্মের অবদান’ রচনা তাঁকে এনে দিয়েছিল ‘টেম্পলটন’ পুরস্কার।

    প্রশাসনিক জীবন

    সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Teacher’s Day) ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ১৯৫২ সালে তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ সালে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস?

    রাধাকৃষ্ণণ (Sarvepalli Radhakrishnan) একজন মহান শিক্ষাবিদ। শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরন্তর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। দেশে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক দিবস পালন শুরু হয়। আর এই দিনটি ছিল তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। এই দিনে প্রথমবার শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান জানিয়ে থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ বরাদ্দ ১৪ হাজার কোটি! কৃষক কল্যাণে ৭ বড় প্রকল্প মোদি সরকারের

    আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস

    ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি বিশেষ সংগঠন ইউনেস্কো (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে এই দিনটি স্মরণ করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উদযাপন করার পিছনে একটি বড় কারণ হল, শিক্ষকদের শ্রমকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া। সমাজ গঠনে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই মানুষ গড়ার এই কারিগরদের শ্রমের মর্যাদা দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share