Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পর খাবারের বিলে ‘বিচার চাই’

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পর খাবারের বিলে ‘বিচার চাই’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার ন্যায় বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কলকাতা সহ সারা দেশ এখন উত্তাল। একদিকে যেমন মিছিল-মিটিং, সভা-সমিতি, ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও সহ একাধিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তেমনি আবার শুরু হয়েছে প্রতীকী মৌন প্রতিবাদ। ডাক্তাররা আগেই নিজেদের প্রেসক্রিপশনে ‘বিচার চাই’ লিখে রোগীর পরিষেবা দিচ্ছিলেন। এবার ব্যান্ডেলের এক ক্লাউড কিচেনের পক্ষ থেকে অভিনব প্রতিবাদের সূচনা করা হল। বহুজাতিক খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপে খাবার ডেলিভারি করার সময় বিলে (Food Bill) লেখা হল, ‘আরজি করের জন্য ন্যায় বিচার চাই।’ এই বিল এখন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। 

    পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কী সত্যই সুরক্ষিত (RG Kar Rape-Murder)?

    ব্যান্ডেলের নারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য ও প্রবীর ভট্টাচার্য। গত তিন বছর ধরে একটি ক্লাউড কিচেন চালান। মূলত অনলাইনে খাদ্য সরবরাহকারী অ্যাপের মাধ্যমেই খাবার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেন তাঁরা। কাজের জন্য আন্দোলনে যেতে পরেননি। তাই অভিনব ভাবে প্রতিবাদের হাতিয়ার বেছে নিয়েছেন। ‘ফ্লেভার হোম সার্ভিস’-এর বিলে লেখা রয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজিকর (RG Kar Rape-Murder)।’ শুচিস্মিতা বলেন,“পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কী সত্যই সুরক্ষিত? হাসপাতলের কর্মক্ষেত্রে কী মহিলা চিকিৎসকেরা সুরক্ষিত? ব্যবসা সামলাতে গিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে যোগদান করতে পারিনি। তাই আমার প্রতিবাদ লিখে করলাম। তিলোত্তমার উপর নির্যাতনের দিন থেকেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আমার ছেলে সাগ্নিক এই ভাবনার কথা আমায় বলেছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সমস্ত বিলে (Food Bill) লিখে আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ আমাদের চলবে।”

    আরও পড়ুনঃ চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির

    অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই, দাবি প্রাক্তনীর

    ডাক্তাররা আগেই নিজের প্রেসক্রিপশনে অভয়ার বিচার চাই লিখে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এবার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন ছাত্র দেবব্রত দাস প্রতিবাদ জানিয়ে লাল কালির স্ট্যাম্পে লিখেছেন, “আর জি করের বিচার চাই, অপরাধ চক্রের বিনাশ চাই।” তিনি রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলের প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ল্যাপরোস্কোপিক সার্জেন। তিনি বলেন, “প্রেসক্রিপশন প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি ওষুধের দোকানেও চলে যাচ্ছে। সারা ভারতে যে আমাদের সংগঠন রয়েছে সেখানেও আমার প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরেছি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিবাদের এই ভাষা ইংরেজিতেও লেখা হয়েছে”। একই ভাবে স্থানীয় রোগীর হাতে হাতে এই প্রেসক্রিপশন তুলে দিচ্ছেন। সামজিক মাধ্যমে এ রকম প্রতিবাদ যাতে সবাই করেন, সেই আবেদনও করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান, ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত

    CBI: সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান, ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ৮ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। মঙ্গলবার সন্দীপকে আদালতে পেশ করে ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত শেষ পর্যন্ত ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান (CBI)

    মঙ্গলবার দুপুরে গাড়িতে চাপিয়ে সন্দীপকে নিজ়াম প্যালেসে সিবিআই (CBI) দফতর থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়েকজন। সন্দীপের গাড়ি ঘিরে ধরে ‘চোর-চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সেসব কাটিয়েই সন্দীপকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। আদালত চত্বরেও সন্দীপের গাড়ি ঘিরে হট্টগোল শুরু হয়। সোমবার সন্দীপের সঙ্গে সিবিআই গ্রেফতার করে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা বিপ্লব সিংহ এবং একটি ওষুধের দোকানের মালিক সুমন হাজরাকে। গ্রেফতার করা হয় সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলিকে।

    মঙ্গলবার এই তিনজনকেও আদালতে হাজির করায় সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের দাবি ছিল, আর্থিক দুর্নীতির একটি বড় চক্র রয়েছে। কারা এই চক্রে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সিবিআইয়ের তরফে বলা হয় তারা সন্দীপ ঘোষকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চান। কারণ তাঁকে জেরা করলে অনেক গোপন তথ্য উঠে আসবে। অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ৪ জনকে যদি জেরা করা যায় তাহলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। আরও অনেককে গ্রেফতার করা যাবে। কারণ অপরাধের পরিধি অনেকটাই বড়।  সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) আইনজীবী জানান, সবসময় তারা সিবিআইকে সহযোগিতা করে গিয়েছেন। প্রত্যেক দিনই সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে যেতেন। ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করবেন। ওই সওয়াল জবাব শোনার পর সন্দীপ ঘোষ ও বাকি ৩ জনকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সন্দীপ

    টানা ১৫ দিন সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হন সন্দীপ। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানানো হয়, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ। সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট পাচার। পাশাপাশি আরজি করের মর্গে পড়ে থাকা শনাক্ত হয়নি এমন দেহ পাচারের অভিযোগও রয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kangana Ranaut: জট কাটেনি, ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে না কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’

    Kangana Ranaut: জট কাটেনি, ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে না কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থগিত হয়ে গেল কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-র মু্ক্তি। ছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। এই ছবির মুক্তির দিনই পিছিয়ে যাচ্ছে। কারও কারও মতে, দিন দশেক পরে মুক্তি (CBFC) পাবে ছবিটি। অনেকেই আবার বলছেন, এত সহজে সব কিছু মিটতে নাও পারে। সেক্ষেত্রে, ঠিক কবে ইন্দিরা গান্ধীর জীবনী অবলম্বনে তৈরি এই ছবি মুক্তি পাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কঙ্গনার দাবি (Kangana Ranaut)

    ছবিটি পরিচালনা করেছেন কঙ্গনা স্বয়ং। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি। কথা ছিল, ৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মুক্তি পাবে ছবিটি। সেটা যে হচ্ছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। একটি ভিডিও ট্যুইট করে অভিনেত্রী-সাংসদ দাবি করেন, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন এই ছবির প্রদর্শন স্থগিত রেখেছে। পদ্ম সাংসদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ছাড়পত্র মিললেও, হুমকির কারণে তা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বোর্ড। সেন্সর বোর্ড সদস্যদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

    তথ্য বিকৃতির অভিযোগ 

    এর আগে ছবিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলেছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। কঙ্গনা অভিযোগ করেছিলেন, কোনও কোনও সংগঠনের তরফে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শিরোমণি অকালি দল সেন্সর বোর্ডের কাছে ছবিটি যাতে মুক্তি না পায়, সেই আবেদন জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। জব্বলপুরের একটি শিখ সংগঠনের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে। এই মামলার শুনানি হবে সোমবার।

    আরও পড়ুন: ‘‘বিলকে আইনে রূপান্তর করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীরই’’, বিধানসভায় কৌশলী শুভেন্দু

    তারকা-রাজনীতিকের দাবি, ছবির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুছে ফেলার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, অর্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে বা পঞ্জাব দাঙার প্রসঙ্গও। এহেন আবহে তিনি যে খুবই আশাহত, ভিডিওবার্তায় তা জানিয়েছেন পদ্ম সাংসদ।

    প্রসঙ্গত, এটি কঙ্গনা পরিচালিত প্রথম ছবি। তিনি আগেই বলেছিলেন, “ছবিটিকে বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ হতেও আমি রাজি। ইন্দিরা গান্ধীর জীবনকে পর্দায় তুলে ধরতে গিয়ে (CBFC) যদি পঞ্জাব রায়টই না দেখাতে পারি, তাহলে তো ওর জীবনটাই অধরা থেকে যাবে (Kangana Ranaut)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High court: চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির

    Calcutta High court: চার ছাত্রের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, পুলিশকে ‘বিধি মানার’ নির্দেশ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে নির্মম ভাবে হত্যার প্রতিবাদে, ২৬ অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। দাবি ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এই অভিযানের আগের রাতে হাওড়া থেকে চার ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High court)। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ পুলিশের (West Bengal Police) এই আচরণে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। 

    ছাত্রপক্ষ এবং রাজ্যপক্ষ আইনজীবীদের বক্তব্য (Calcutta High court)

    নবান্ন অভিযানের ঠিক আগেই হাওড়া থেকে যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের নাম হল-শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি এবং প্রীতম সরকার। ওই চার ছাত্রের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় পরের দিনই। কিন্তু, এই ভাবে গ্রেফতারি ঘটনায় পুলিশের (West Bengal Police) তীব্র নিন্দা এবং রাজ্য প্রশাসনকে চরম ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High court)। এই বিষয়ে যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) দাবি, “গোপন খবর ছিল নবান্ন অভিযানে বড় রকমের গোলমাল হতে পারে। আর তার ভিত্তিতেই আগাম গ্রেফতার করা হয়েছিল।” পাল্টা ছাত্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “নিয়ম মেনে পুলিশ গ্রেফতার করেনি, পরে তাঁদের বেলুড় থানা থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘এমএলএ বলে যা খুশি করবেন’’! ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

    বিচারপতির তীব্র ক্ষোভ!

    বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ (Calcutta High court) বলেন, “কোন সূত্র মারফত পুলিশ ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেল? কী অভিযোগ ছিল? তাঁদের বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের ঘটনা যদি ঘটিয়ে থাকেন, সেই তথ্য কোথায়? আর যদি মারাত্মক অভিযোগ পেয়ে থাকে, তাহলে ছাড়লই বা কেন? কোনও ভাবেই এই কাজ করা যায় না। বিধি মেনে কাজ করতে হবে পুলিশকে। আইন রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের (West Bengal Police) উপর ন্যস্ত করা আছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা বেআইনি কাজ করতে পারে। আগামী সাতদিনের মধ্যে উভয় পক্ষকেই হলফনামা ও তার পাল্টা বক্তব্য জানাতে হবে।” পরবর্তী শুনানির দিন হল ৯ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: চুক্তিতে নিয়োগ পুলিশে! ‘এমনটা আর কোথাও দেখিনি’,  রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: চুক্তিতে নিয়োগ পুলিশে! ‘এমনটা আর কোথাও দেখিনি’, রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে পুরসভা, সর্বত্র চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী। যা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। মামলার শুনানিতে তাঁর পর্যবেক্ষণ, গোটা দেশে এমনটা কোথাও হয় না। সব সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতির। সব মিলিয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মী (Contractual workers) নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) চরম সমালোচনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা (Calcutta High Court)

    গত মার্চ মাসে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় চুক্তির ভিত্তিতে আদালতের (Calcutta High Court) কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য। ওই বিজ্ঞপ্তিতে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ ওই নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মঙ্গলবার চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেন ফিরদৌস শামিম। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানায়, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর সিঙ্গল বেঞ্চ যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, আপাতত তা বহাল থাকবে। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়ে সারা রাজ্য চলছে। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু তা নিয়মিত ভাবে করা যায় না। শুনানিতে রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সর্বত্র কী ভাবে চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করা যেতে পারে? এমন জিনিস আমি আর কোথাও দেখিনি।” এর পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, “চুক্তিতে নিয়োগ হলে কর্মীরা দায়িত্বশীল হবেন কী ভাবে? আদালতের কর্মী যদি চুক্তিভিত্তিক হন, তবে একটি ফাইল হারিয়ে গেলে তার দায় তিনি নেবেন কেন? তখন দায়িত্ব কে নেবেন?”

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    পুলিশও চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ!

    মঙ্গলবারের শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “যাঁরা ৩-৪ ঘণ্টার জন্য কাজ করেন, তাঁদেরকে না হয় চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করলেন। তা বলে সব কর্মী কীভাবে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে? আদালতের (Calcutta High Court) কাছে এটা বোধগম্য নয়। এখানে পুলিশও চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। সকাল থেকে সারাদিন কাজ করিয়ে ১৪ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার জন্যই কি নিয়োগ? দেশের কোথাও আমি এমন দেখিনি।” তার পরেই ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 04 September 2024: কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 September 2024: কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে। 

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC MLA: ‘‘এমএলএ বলে যা খুশি করবেন’’! ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

    TMC MLA: ‘‘এমএলএ বলে যা খুশি করবেন’’! ট্রেনের যাত্রীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ। এই আবহের মধ্যে এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট বিতর্কে জড়়ালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ট্রেনের কামরার মধ্যে টিকিট পরীক্ষকের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী রয়েছে? (TMC MLA)

    হাওড়ার উদ্দেশে যাত্রা করার জন্য মঙ্গলবার খাগড়াঘাট স্টেশন থেকে ডাউন মালদা টাউন-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত এসি কামরায় ওঠেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ট্রেনে টিকিট পরীক্ষক এসে বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডলের কাছ থেকে তাঁর পাশের সিটে বসা ভদ্রমহিলার টিকিট চান। বিধায়ক জানান যে, তাঁর স্ত্রীর টিকিট ছিল। কিন্তু, অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে ওই মহিলা যাচ্ছেন। এরপরই টিকিট পরীক্ষক এবং বিধায়ক বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    ‘‘আপনি এমএলএ বলে যা খুশি করবেন?’’

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনের অন্দরে টিকিট পরীক্ষকের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, এক পুরুষ কণ্ঠ বলছেন, ‘‘আপনি এমএলএ বলে যা খুশি করবেন?’’ একইসঙ্গে মহিলা কণ্ঠও সরব হতে থাকে। এক মহিলা বলছেন, ‘‘ট্রেনে এমন একটা হ্যাজার্ড.. একটা ক্যাওস সৃষ্টি করছেন! অন্যের টিকিটে চলে আসবেন?’’ এরপরই এই বক্তব্যের জবাব দিতে উদ্যত হন তৃণমূলের বিধায়ক। ফের ওই মহিলা যাত্রীর কণ্ঠে শোনা যায়, ‘‘আপনি টিটিইকে টিকিট দেখান।’’ এই পরিস্থিতিতে গলা চড়াতে দেখা যায় বিধায়ককে। পাল্টা সহযাত্রীরাও সরব হতে থাকেন।

    ‘‘জেনারেলের টিকিট নিয়ে আপনি এখানে বসে’’!

    এই পরিস্থিতিতে কয়েকজনকে দেখা যায়, ঘটনার ভিডিও করতে। তখন দেখা যায়, আরও একজন বক্তব্য রাখছেন বিধায়কের হয়ে। আবারও সহযাত্রীরা আরও সরব হয়ে বলেন, ‘‘জেনারেলের টিকিট নিয়ে আপনি এখানে বসে..।’’ ভিডিও শেষের দিকে দেখা যায় সেই মহিলা কণ্ঠ বলছেন, ‘‘কী অবস্থা.. হয় না এসব। আপনারা যা খুশি করছেন…।’’ বারবার বক্তব্য ওঠে, ‘‘ওনার নামে তো টিকিট নেই।’’ এরপরই বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনি কোর্টে যান..।’’ পাল্টা পুরুষ কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কেন যাব কোর্টে?’’ তখন ওই মহিলা কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা পারবেন না.. এই তো চলছে দেশে।’’ এরপর তৃণমূল বিধায়ক বলেন, আপনার যা করণীয় করুন।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    সরব অগ্নিমিত্রা পল

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল টুইটারে পোস্ট করে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) কানাইচন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে সফর করছিলেন ২ জন, যাঁদের মধ্যে এক জনের কাছে যে টিকিট ছিল, তা তাঁর নিজের নয়। তা নিয়ে ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক প্রশ্ন করতেই পাল্টা সরব হন বিধায়ক। এরপরই ট্রেনে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকজন নেতা যে নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে ভাবেন, এই ঘটনা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।’’

    <

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: লক্ষ্য ১০ কোটি, দেশ জুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা নরেন্দ্র মোদির

    Narendra Modi: লক্ষ্য ১০ কোটি, দেশ জুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা নরেন্দ্র মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে বিজেপির (BJP) সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করে বলেন, “এই সদস্য অভিযানের লক্ষ্য মাত্রা হবে ১০ কোটি।” উল্লেখ্য, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ঠিক এই আবহের মধ্যেই শুরু হল সদস্য গ্রহণ অভিযান। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, লোকসভার পর এই অভিযানে সংগঠন শক্তিশালী হবে এবং আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।   

    দলকে আরও শক্তিশালী করতে সদস্য গ্রহণ (BJP)

    প্রায় তিন বছর পর দিল্লিতে ফের সদস্য গ্রহণ পর্ব শুরু করলেন মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিজেপি সদর দফতর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির সূচনা হয়। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার থেকে নিজের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিনের এই কর্মকাণ্ডে ছিলেন দলের দুই প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি লোকসভার পর দলের (BJP) সাংগঠনিক শক্তিকে আরও বৃদ্ধি করতে এই অভিযান নেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযান অনলাইনের মাধ্যমে যেমন হবে, তেমনি প্রত্যেক শহর ও গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের কাছে পৌঁছে গিয়ে কর্মসূচিকে বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান করা হবে। একই ভাবে দেশের তরুণ-যুব সম্প্রদায়কে যুক্ত করার জন্য বিশেষ ভাবে আবেদন করা হয়েছে। দলের ইতিহাসকে তুলে ধরে অমিত শাহ বলেন, “১৯৮০ থেকে বিজেপি দেশ জুড়ে কাজ করে চলেছে। দলের সদস্যপদ গ্রহণ এবং প্রচারকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে প্রধানমন্ত্রী মোদির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দলের সাংগঠনিক কাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছে।”

    নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে সদস্য গ্রহণের পর

    দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রচারাভিযানে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির মনোযোগ নিছক সরকার গঠন নয়। দেশ-রাষ্ট্রকে বিকশিত করতে সমাজকে গড়া একান্ত প্রয়োজন। উন্নত ভারত, বিকশিত ভারত হল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আগামী দিনে আমরা সেই কাজে বদ্ধ পরিকর।” জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে তিন সপ্তাহ আগেই। এই বছরেই মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ এবং নাড্ডা আশা করে বলেছেন, এবার দেশ জুড়ে ১০ কোটির বেশি সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য গত জুন মাসে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে জেপি নাড্ডার। বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক রাজ্যে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সংবিধান অনুযায়ী, নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। তবে সবটাই সদস্য (BJP) গ্রহণের পর সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে স্থানীয় সংস্থার হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র

    কীভাবে সদস্য পদ গ্রহণ করবেন?

    নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে সদস্য পদ (BJP) গ্রহণ করতে পারেন—

    ১>যোগ্যতা: যে কেউ বিজেপির সদস্য হতে পারেন।

    ২>মিসড কলের মাধ্যমে যোগ দিন: শুধু ৮৮০০০০২০২৪ নম্বরে একটি মিসড কল দিন। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi), রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহের মতো নেতারা যোগ দিয়েছেন।

    ৩>অনলাইন তালিকাভুক্তি: আপনি বিজেপি পোর্টালের মাধ্যমেও যোগ দিতে পারেন। ‘বিজেপিতে যোগ দিন’ বিভাগে যান, আপনার ব্যক্তিগত এবং যোগাযোগের বিবরণ পূরণ করুন এবং আপনার সদস্যতা শংসাপত্র ডাউনলোড করুন।

    ৪>বাড়ি বাড়ি গিয়ে নথিভুক্তি: বিজেপি কর্মীরা সদস্যপদ নিবন্ধনে সহায়তা করার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখবেন।

    ৫>কর্মীদের মাধ্যমে সহায়তা: আপনি বিজেপি কর্মীদের সাহায্যেও নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।

    ৬>কোনও খরচ নেই: মিসড কলের মাধ্যমে সদস্যপদ বিনামূল্যে নিতে পারেন।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিলকে আইনে রূপান্তর করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীরই’’, বিধানসভায় কৌশলী শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিলকে আইনে রূপান্তর করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীরই’’, বিধানসভায় কৌশলী শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বিধানসভায় পাশ হল অপরাজিতা বিল, ২০২৪ (Aparajita bill 2024)। এদিন বক্তব্য পেশ করতে উঠে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বিলকে পূর্ণ সমর্থন করা হচ্ছে। ভোটাভুটি চাই না।’’ এদিন সকালে বিল পেশ হওয়ার পর শুরু হয় আলোচনা। বিজেপির পক্ষে বক্তব্য পেশ করেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়, হুগলির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিখা ও অগ্নিমিত্রা- দুই বিধায়কই জানান, ধর্ষণ-বিরোধী এই বিল সমর্থন জানানো হচ্ছে।

    শুভেন্দুর প্রশ্ন (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিলে নতুন কী আছে, সেই প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ‘‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সব আইন আছে। মৃত্যুদণ্ডের কথাও বলা হয়েছে। তৃণমূল আসলে আন্দোলন বন্ধ করতে এবং মূল ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে সরকার। বিপুল জনরোষ, বিক্ষোভ থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে সরকার।’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমরা চাই এই বিল দ্রুত আইন হিসেবে কার্যকর করা হোক। তবে সেই দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব এই বিল আইনে পরিণত হোক।”

    কাগজের কাটিং দেখালেন শুভেন্দু

    পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে কটাক্ষ করে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “পুলিশ সঙ্গে নিয়ে এসে পদত্যাগের ডিমান্ডটা অন্তত নিয়ে যান পুলিশ কমিশনার।” এদিন একের পর এক কাগজের কাটিং বিধানসভায় তুলে দেখান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্পিকার এগুলো ক্রস চেক করবেন। এগুলো সব ফেক নিউজ। এগুলো যদি ভুল হয়, উস্কানিমূলক হয়, তাহলে স্পিকার ডিলিট করে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: এক-এক করে খুলছে মুখ, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ‘বিদ্রোহ’ শুরু তৃণমূলে

    বিল নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শও দেন শুভেন্দু। এর মধ্যে অন্যতম হল, পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি সাতটা সংশোধনী নিয়েছি। শেষে বলার চেষ্টা করব এ রকম বিল আনার ক্ষেত্রে যে রীতি রয়েছে, তা মানা হয়েছে কিনা, তার দায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। বিলটা রুলসে পরিণত হচ্ছে, এটা দেখার অপেক্ষায় থাকব।” তবে, শুভেন্দুর আনা সংশোধনীর প্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকারের তরফে যে জবাব দেওয়া হয়, তাতে সন্তুষ্ট হননি বিজেপি বিধায়করা। তারপরই ‘আইওয়াশ’ বলে আক্রমণ করা হয়। ‘দফা এক, দাবি এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ’ স্লোগন তোলা হতে থাকে।

    প্রসঙ্গত, বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর বিলটি রাজ্যপালের সম্মতির জন্য পাঠানো হবে রাজভবনে। সেখান থেকে বিলটি যাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। তার পর বিলটি (Aparajita bill 2024) কবে আইনে পরিণত হবে, তা নির্ধারিত হবে সেখানেই (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের তৃতীয় সর্বশক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া (India At UN)। কথাগুলি ভারতের কোনও কর্তা ব্যক্তি বলেননি। বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান (Ex UNSC Chief) তথা সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ কিশোর মাহবুবানি। তিনি সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিকও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে পাঁচ স্থায়ী সদস্য রয়েছে তার একটি ব্রিটেন। তাদের উচিত ভারতের জন্য সরে দাঁড়ানো।”

    কী বললেন মাহবুবানি? (Ex UNSC Chief)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মাহবুবানি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর ভারত আজ নিঃসন্দেহে তৃতীয় সর্ববৃহৎ শক্তিশালী দেশ (India At UN)। গ্রেট ব্রিটেন আর গ্রেট নয়।” তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।” ২০০১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০০২ সালের মে মাস পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ছিলেন মাহবুবানি। তিনি জানান, প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ব্রিটেন দশকের পর দশক ধরে তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। এর পরেই তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।”

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত রয়েছে (Ex UNSC Chief) পাঁচ নম্বরে। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা ছিল ব্রিটেনের দখলে। ব্রিটেনকে হঠিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত (India At UN)। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে এক ধাপ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। এগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। ভারত সাধারণ সভার সদস্য হয়েছে ৮ বার। যেহেতু ক্রমেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ওপরের দিকে উঠছে ভারত, তাই নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী পদ পাওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শুধু বিচার চাই’’, আরজি করকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    ভারত (India At UN) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক, চায় আমেরিকাও। রাশিয়াও চায়। তবে চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে এখনও অবধি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারেনি ভারত। পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা না বাড়লে ভারতের ঢোকার জায়গাও নেই। সেই কারণেই ব্রিটেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান। ভারত জি৪-এর সদস্য। এর আরও তিন সদস্য রাষ্ট্র হল ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপান। এরা প্রত্যেকেই একে অন্যের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন করে (Ex UNSC Chief)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share