Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar Protest: ‘‘আরও রাঘববোয়াল ধরা পড়বে’’, সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ায় বলল নির্যাতিতার পরিবার

    RG Kar Protest: ‘‘আরও রাঘববোয়াল ধরা পড়বে’’, সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ায় বলল নির্যাতিতার পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে দুর্নীতি মামলায় (RG Kar Protest) সোমবার সন্ধ্যেয় গ্রেফতার হন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতেই রাজ্যজুড়ে সরব হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। নির্যাতিতার বাবা-মা বার বার সন্দীপের গ্রেফতারির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবে  সন্দীপের গ্রেফতারিতে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। একে নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন তাঁরা।

    দোষীদের ফাঁসি চান নির্যাতিতার বাবা (RG Kar Protest)  

    নির্যাতিতার বাবা নিজের বাড়িতে (Panihati) বলেন, ‘‘আমার মেয়ে তো দুর্নীতির বলি হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পুরো বিভাগকেই আমরা এর জন্য প্রথম থেকে দায়ী করে আসছি। আজ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) গ্রেফতার হয়েছেন। আরও যাঁরা জড়িত আছেন তাঁরাও গ্রেফতার হোক। যেদিন এদের সবার ফাঁসি হবে, সেদিন মনের আশা কিছুটা পূরণ হবে।’’ অন্যদিকে, নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমি তো একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছি। তাঁকে পুরো ডাক্তার তৈরি করে তারপর হারিয়েছি। এর জন্য পুরো হাসপাতালকেই (RG Kar Protest) দায়ী করব। আর এর মাথা সন্দীপ ঘোষ। একটু হলেও এখন আশা পাচ্ছি আমি বিচার পাব।’’ জুনিয়র চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁরা। সন্দীপের গ্রেফতারিতে ছাত্রদের নৈতিক জয় দেখছেন নির্যাতিতার মা। তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্দোলন আরও জোরাল করা উচিত। আমরাও যাব। আমিও ৪ তারিখ আরজি কর যাব। ওদের পাশে দাঁড়াব।’’ সন্দীপের (Sandip Ghosh) পর আর কোনও রাঘববোয়াল কি ধরা পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরে নির্যাতিতার কাকিমা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা তো আছেই। আরও রাঘববোয়াল ধরা পড়বে। একজন (সন্দীপ ঘোষ) গ্রেফতার হয়েছে। আরও নাম সামনে আসবে। সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছি আমরা।’’

    তলব করার পরই গ্রেফতার সন্দীপ (Sandip Ghosh)

    গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Protest) চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নানা মহলে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর টানা ১৫ দিন লাগাতার জেরা করা হয় সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। সোমবার তাঁকে ফের তলব করা হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীর হাতে তৈরি হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র দুর্গাপ্রতিমা, পুজোর আগে ব্যস্ততা চরমে 

    Durga Puja 2024: শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীর হাতে তৈরি হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র দুর্গাপ্রতিমা, পুজোর আগে ব্যস্ততা চরমে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2024)। এখন থেকেই প্রহর গোনা শুরু করেছে বাঙালি। দেবী দুর্গার পুজোর জন্য চলছে মণ্ডপ এবং প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। তাই এখন নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই পটুয়াপাড়ার শিল্পীদের। তাঁরা ব্যস্ত ঠাকুর তৈরিতে। নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর মৃৎশিল্পের জন্যও বিখ্যাত। তাই এখানকার তৈরি ছোট দুর্গা এখন পাড়ি দিচ্ছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গার কুমোরটুলির উদ্দেশে। গাড়ি করে তৈরি হওয়া ছোট দুর্গা দিচ্ছে পাড়ি। শান্তিপুরের ছোট দুর্গা প্রতিমার উচ্চতাও দেখার মতো। এক ফুট থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিমার উচ্চতা। সর্বাধিক ৪ ফুট পর্যন্ত তৈরি হয়েছে এই ছোট দুর্গা। এখন কাগজের পেটিতে বিচালি দিয়ে বিশেষ ভাবে প্যাকেট করে পাঠানো হচ্ছে এই ছোট ছোট দুর্গাপ্রতিমা। সঙ্গে যাচ্ছেন তাঁর সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশও।

    বরাত আসে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে (Durga Puja 2024)

    এই বিষয়ে শান্তিপুরের ছোট দুর্গা প্রস্তুতকারী মৃৎশিল্পী গৌর পাল জানাচ্ছেন, এই দুর্গা মূর্তি তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে তৈরি করছেন। এই প্রতিমা তৈরির বরাত আসে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। এই প্রতিমার চাহিদা ব্যাপক কলকাতায়। দামেও কম বলে গৃহস্থ পরিবারের সদস্যরাও বেশি পছন্দ করেন এই প্রতিমা। ৩ মাস আগে থেকে এই প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎশিল্পী গৌরবাবু। তবে করোনা আবহের পর এই প্রতিমার চাহিদা বেড়েছে। এখন এই প্রতিমা তৈরি করে অনেকটাই স্বাছন্দ ফিরেছে পরিবারে, এমনটাই বললেন গৌরবাবু। তবে সরকারের কাছেও বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন গৌরবাবু। তিনি বলছেন, রাজ্য সরকার যদি একটু সাহায্য করে, তাহলে শান্তিপুরের এই মৃৎশিল্পের আরও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঝুঁকছে না নব প্রজন্ম

    তিনি এও বলেন, এখন নতুন করে এই মৃৎশিল্পের কাজে ঝুঁকছে না নব প্রজন্ম। কারণ একটাই, অতি ধৈর্যের কাজ বলে। এক একটি প্রতিমা (Durga Puja 2024) তৈরি করা যেমন সময় সাপেক্ষ, তেমনি নিপুণ ক্ষুদ্র কাজ করতে হয়। সেই কারণে এই কাজের প্রতি আর নতুন করে ঝোঁক নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘শুধু বিচার চাই’’, আরজি করকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar Incident: ‘‘শুধু বিচার চাই’’, আরজি করকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) পর কেটে গিয়েছে ২৪ দিন। তদন্ত করছে সিবিআই। তবে এখনও জানা যায়নি, আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের কারণ কী। উত্তর পেতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন নির্যাতিতার মা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকেও।

    ‘পুলিশের অতিসক্রিয়তায় পারিনি’ (RG Kar Incident)

    মৃতার মা বলেন, “রাতে ঘুম হয় না। সারা রাত শুয়ে শুয়ে ভাবি কী থেকে কী হয়ে গেল! মনে হচ্ছিল, মনের কথাটা কাকে লিখতে পারি! সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে তাই এই চিঠি লিখেছি।” তিনি বলেন, “মেয়ের মৃতদেহ আমরা রাখতে চেয়েছিলাম। পুলিশের অতিসক্রিয়তায় তা পারিনি।” চোখের জল সামলে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “যেভাবে প্রথম থেকে সবটা হয়েছে, তাতে আমাদের সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কোনওভাবেই একজনের পক্ষে আমার মেয়েকে এভাবে খুন করা সম্ভব বলে বিশ্বাস করি না। পুলিশের ওপর বিশ্বাস রেখেই এগিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের বাড়ি এসে আশ্বাস দিয়ে যান। আমরা তাঁর বিরোধী নই। কিন্তু বিচার চাই। যেভাবে পুলিশ সবটা সাজাচ্ছিল, সেটা বুঝতে পেরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। ভালো কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক, আর্জি জানিয়েছিলাম। আদালত সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে।”

    ‘শুধু বিচার চাই’

    গলার কাছে (RG Kar Incident) দলা পাকানো কান্নাটা চেপে মৃতার মা বলেন, “সারা জীবন ধরে কষ্ট করে যা করেছিলাম, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার মনের কথাটা পড়ে যদি অন্তত দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা হয়, সেই আশা নিয়েই এই চিঠি লিখে পাঠিয়েছি। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই, রাজনীতির অঙ্গও হতে চাই না। শুধু বিচার চাই।” তিনি বলেন, “মেয়ের দেহ দেখে আমাদের মনে হয়, পুরো ঘটনাটা সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের দেখানো হচ্ছে। কারণ এমন পৈশাচিক ঘটনার পরে সব কিছু এমন সাজানো থাকতে পারে না। অপরাধ যেখানে হয়েছে, সেই জায়গাও ঘেরা ছিল না।”

    আরও পড়ুন: এক-এক করে খুলছে মুখ, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ‘বিদ্রোহ’ শুরু তৃণমূলে

    মৃতার মা-বাবার দাবি, “দুর্নীতির বলি হয়েছে মেয়ে। আরও যারা জড়িত আছে, তারাও গ্রেফতার হোক। যেদিন এদের সবার ফাঁসি হবে, সেদিন (PM Modi) মনের আশা কিছুটা পূরণ হবে (RG Kar Incident)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘হাসপাতাল দুর্বৃত্তদের জায়গা জানলে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতাম না’’, বললেন নির্যাতিতার মা

    RG Kar Incident: ‘‘হাসপাতাল দুর্বৃত্তদের জায়গা জানলে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতাম না’’, বললেন নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ইস্যুকে সামনে রেখে রোজই পথে নেমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নাগরিক সমাজ। তাঁদের এই আন্দোলনের প্রতি চরম আস্থা জ্ঞাপন করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা জানালেন, আগে এত কিছু জানলে মেয়েকে ডাক্তারিই পড়াতেন না। স্বপ্ন দেখতেন না স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে রোগী দেখছেন মেয়ে।

    মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতাম না! (RG Kar Incident)

    নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, ‘‘হাসপাতাল দুর্বৃত্তদের (RG Kar Incident) জায়গা হয়ে উঠেছে। এমন ঘুঘুর বাসা জানলে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতাম না।” বাবা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘‘ডাক্তারদের মানুষ ভগবান হিসেবে মানেন। করোনার সময় আমার মেয়ের অনেকে পা ধরে বলেছিলেন, আপনার জন্য আমি প্রাণ ফিরে পেয়েছি। আপনি আমার কাছে ভগবান। এই ডাক্তারদের মানুষ ভগবান মনে করেন। আর তাঁরাই কিনা দুষ্কৃতী। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে ধরনের চক্র চলে, এসব আগে জানলে আমি আমার মেয়েকে ডাক্তারি পড়াতে পাঠাতাম না। কারণ, ডাক্তাররা এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারে তা ভেবেই পাচ্ছি না। তবে, আমার মেয়ের জীবন দিয়ে হাসপাতালের একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে সেটা ভালো। আমি চাই, আমাদের মতো আর কোনও পরিবারের কন্যা সন্তানকে যেন এভাবে অকালে প্রাণ হারাতে না হয়।’’

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    শান্তিপূর্ণ মিছিলে লোহার ব্যারিকেড!

    পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে ‘লালবাজার অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আর সেই শান্তিপূর্ণ মিছিল (RG Kar Incident) আটকাতে লোহার ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। আর ফুল হাতে শান্তিপূর্ণ মিছিল পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে (Panihati) নির্যাতিতার বাবা-মা জুনিয়র ডাক্তারদের ‘লালবাজার অভিযান’ কর্মসূচিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তাররা তো অস্ত্র বা তরোয়াল হাতে নিয়ে যাননি। তাঁরা তো ফুল হাতে নিয়ে মিছিল করেছেন। এই শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেওয়ার জন্য পুলিশকে লোহার ব্যারিকেড করতে হল? এটার কী খুব প্রয়োজন ছিল। এটা চরম অমানবিক। আসলে ওরা যে কিছু একটা ধামাচাপা দিতে চাইছে এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। তবে, জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনের পাশে আমরা সব সময় রয়েছি। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা চাই, যতদিন না আমার মেয়ে বিচার পাচ্ছে, ততদিন এভাবে ওরা আন্দোলন চালিয়ে যায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: এক-এক করে খুলছে মুখ, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ‘বিদ্রোহ’ শুরু তৃণমূলে

    Sandip Ghosh: এক-এক করে খুলছে মুখ, সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই ‘বিদ্রোহ’ শুরু তৃণমূলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সন্ধ্যায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তার পরেই তৃণমূলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ (TMC Inner Clash)। আরজি করকাণ্ডকে ঘিরে তীব্র আন্দোলনের জেরে তৃণমূল যে ক্রমশ ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে, এই বিদ্রোহই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতদিন চুপ করে রইলেও, এখন সুযোগ বুঝে দলের প্রতি চাপা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের ছোট-বড় বিভিন্ন নেতা।

    সুখেন্দুশেখরের কটাক্ষ (Sandip Ghosh)

    গত কয়েকদিন ধরেই বেসুরো শোনাচ্ছিল সাংসদ তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়কে। সন্দীপের গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “মিডল স্ট্যাম্প আপরুটেড, হোয়াট নেক্সট?” বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘মাঝের স্টাম্প ছিটকে গেল, এবার কে?’ কখনও বাস্তিল দুর্গের পতনের ছবি, কখনও আবার আরকে লক্ষ্মণের কার্টুন শেয়ার করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সুখেন্দুশেখর। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তাঁর বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের শান্তনু সেনও। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “ঈশ্বর বিচার করলেন। প্রমাণ হল আমি ভুল বলিনি। সঠিক জায়গায় দুর্নীতির তথ্যগুলো অনেক আগেই জানিয়েছিলাম।”

    দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন কুণাল

    তৃণমূলের কুণাল ঘোষ দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লবি হিসেবেই পরিচিত। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “সিবিআই তদন্ত করছে। সম্ভবত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়টি সন্দীপ বা তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। দলের কোনও বক্তব্য নেই। কিছু অভিযোগ অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল। তখন পদক্ষেপ নিলে এখনকার অস্বস্তি এড়াতে পারত স্বাস্থ্যভবন।” কুণালের মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। তাই কুণালের ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Sandip Ghosh)।

    এদিকে, নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা তথা উত্তরপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের কাঞ্চন মল্লিক। ১ সেপ্টেম্বর হুগলির কোন্নগর শহর ও নবগ্রাম মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে ধর্না কর্মসূচি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চনও। সেখানেই বেফাঁস মন্তব্য করেন বিধায়ক। পরে চান ক্ষমা। বলেন, “আমি যা বলেছি, তার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখিত। আমার বাড়িতেও একজন বৃদ্ধ মানুষ রয়েছেন। তাঁকে মেডিক্যাল সাপোর্ট দিতে (TMC Inner Clash) হয়। আমি জানি, ডাক্তারের (Sandip Ghosh) প্রয়োজন কতটা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: কাকভোরে ‘জন-গণ-মন’ গাইলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা, শুনেই পুলিশ যা করল

    RG Kar Protest: কাকভোরে ‘জন-গণ-মন’ গাইলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা, শুনেই পুলিশ যা করল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গানে-স্লোগানে কলকাতার রাজপথে রাত জাগলেন চিকিৎসকরা। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে একটানা ধর্নায় ডাক্তাররা। সোমবার এ এক অন্য রাত দেখল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। স্টেথো সরিয়ে সারা রাত গানে-গানে প্রতিবাদের (RG Kar Rally) ঝড় তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উঠেছে স্লোগানও। অন্যদিকে, রাতভর চেয়ার পেতে ঠায় বসে উর্দিধারী পুলিশও। সোমবার রাতভর ধরনার পর মঙ্গলবার সকালেও রাস্তাতেই বসে তাঁরা।

    আন্দোলনকারীরা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পুলিশ যা করল (RG Kar Rally)

    রাত তখন প্রায় ৩টে ৪৫ মিনিট। হঠাৎই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন আন্দোলনকারী (RG Kar Rally) চিকিৎসকরা। ভোরের আলো ফোটার আগে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট শুনছে ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্যবিধাতা..’। জাতীয় সঙ্গীত শুনেই ধড়মড় করে উঠে দাঁড়ান পুলিশ কর্মীরা। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হতেই আন্দোলনকারীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘এতদিনে পুলিশ সোজা হয়ে দাঁড়াল।’’ এরপরে আন্দোলনকারীরা পুলিশকর্মীদের দিকে জলের বোতল, বিস্কুট বাড়িয়ে দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, পুলিশও মানুষ, ডাক্তারও মানুষ। সেই মনুষ্যত্বের কারণেই পাশে থাকার চেষ্টা। রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার সকাল। এখনও পথে বসে জুনিয়র ডাক্তাররা। কেউ কেউ গাইছেন, ‘পথে এবার নামো সাথি পথে হবে এ পথ চেনা…’। তবে কি পথই দেখাবে পথ?

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    ‘পুলিশ তোমার ডিএ বাকি, চটি কিনে দেব নাকি

    সোমবার ডাক্তারদের লালবাজার অভিযান মাঝপথেই বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের অনেক আগেই বসানো হয় ব্যারিকেড। শান্তির মিছিলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তবে তাতে বাধা আসলে ডাক দেওয়া হয় ধর্নার। বিকেল থেকেই অবস্থান-বিক্ষোভে (RG Kar Rally) বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক অভিনেতা কিঞ্জল নন্দও। তিনি সামান্য কিছু মুহূর্তের জন্য লাইভেও আসেন। কিঞ্জলের সেই ভিডিওতে দেখা গেল, জুনিয়র ডাক্তারদের উৎসাহে একচুলও ভাটা পড়েনি। মধ্যরাতেও তাঁরা সোচ্চার নিজেদের দাবিতে। পুলিশ বিরোধী স্লোগান চলছে তখনও। রব উঠছে, ‘পুলিশ তোমার ডিএ বাকি, চটি কিনে দেব নাকি’। এমনকী ‘হায় হায়’ রবও ওঠে কলকাতা পুলিশের নামে।

    সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি খুশি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, সন্দীপের গ্রেফতারি আরজি করে দুর্নীতি মামলায়। ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ-খুন মামলার কালপ্রিটদের গ্রেফতার করার দাবিতে আমরা অনড়। কোনওভাবেই অবস্থান প্রত্যাহার নয়। সোমবারই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ৩৬ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও টানা ডিউটি করেন তাঁরা। ফলে এই অবস্থান চলবে। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল। এরপর রাতে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সকলের কাছে সাহায্য চান, যাতে একটি মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করা যায়, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জন্য। অনেক সাধারণ মানুষই ক্রমাগত পোস্ট করতে থাকেন, লালবাজারের সামনে বাড়ি যাদের, তাঁরা যেন বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের, বিশেষ করে মহিলাদের, তাঁদের বাড়ির বাথরুম ব্যবহার করতে দেন। ভোররাতেও ডাক্তারদের অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন চিকিৎসক-নেতা কিঞ্জল। যাতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার মাঝেই কেউ শুয়ে পড়েছে। কেউ আবার দল বেঁধে বসে রয়েছে, চোখে-মুখে ক্লান্তি থাকলেও, প্রত্যয় স্পষ্ট। বোঝা যাচ্ছে, এত সহজে হার মানবেন না তাঁরা। একদলকে সজাগ দৃষ্টিতে পাহাড়া দিতেও দেখা গেল।

    আন্দোলনকারীদের কাছে টলিউড অভিনেত্রীরা

    সোমবার দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল (RG Kar Rally) করে লালবাজারের (Lalbazar) উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে এই কর্মসূচি। লালবাজারের সামনে ফিয়ার্স লেনেই আটকে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই সারা রাত অবস্থান বিক্ষোভ চলে। ত্রিপল, বড় প্লাস্টিক ইত্যাদি কিনে এনে, রাস্তায় পেতে শুয়ে পড়েন তাঁরা। সেখানেই খাওয়া-দাওয়া। আন্দোলনকারীদের কাছে গিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত এবং সুদীপ্তা চক্রবর্তী। জুনিয়রদের মনোবল বাড়াতে পৌঁছে যান সিনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী, অবস্থান-বিক্ষোভে হাজির হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি, বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar incident: আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ

    RG Kar incident: আরজি করকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar incident) গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh)। সূত্রের খবর, দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

    সিবিআইয়ের তদন্ত (RG Kar incident)

    আরজি করে আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দুর্নীতি দমন শাখাই গ্রেফতার করে সন্দীপকে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ গ্রেফতার হয়েছেন শুনে খুশিতে ফেটে পড়েন আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাঁদের দাবি, গ্রেফতার করতে হবে সব দোষীকে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারের তরফে অনিকেত মাহাত বলেন, “আর্থিক তছরুপকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেডিক্যাল এথিক্সের জায়গা থেকে এখন স্বাস্থ্যভবনের কী করা উচিত, তা বলে দেওয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না।”

    সাসপেন্ড করেছিল আইএমএ

    জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি হাসপাতাল পরিচালনা নিয়ে সন্দীপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, সন্দীপকে (RG Kar incident) আগেই সাসপেন্ড করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার রাজ্য শাখার সহকারী সম্পাদক চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই বলেছিলেন, আরজি করের এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই তাঁর সদস্য পদ বাতিলের দাবি করা হচ্ছিল রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে। শেষমেশ সেই দাবিতেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় কমিটি। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: কান্দাহার অপহরণ নিয়ে নেটফ্লিক্সের নয়া সিরিজে বিতর্ক, কর্তাকে তলব কেন্দ্রের

    আরজি করকাণ্ডের পর টানা ১৫ দিন ধরে জেরা করা হচ্ছিল সন্দীপকে। সোমবারও সকাল থেকে টানা জেরা করা হচ্ছিল তাঁকে। জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলে বলে সূত্রের খবর। এর পর হঠাৎই সন্দীপকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। সন্ধেয় সেখানেই গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। গত ১২ অগাস্ট আরজি করকাণ্ডের নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন সন্দীপ। এর কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল প্রাইজ পোস্টিং (Sandip Ghosh)। তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল (RG Kar incident)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Paralympics 2024: প্যারালিম্পিক্সে দ্বিতীয় সোনা ভারতের, ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন নীতেশ

    Paralympics 2024: প্যারালিম্পিক্সে দ্বিতীয় সোনা ভারতের, ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন নীতেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা না এলেও প্যারালিম্পিক্সে দ্বিতীয় সোনা এল ভারতে। পুরুষদের ব্যাডমিন্টনের সিঙ্গলসে এসএল থ্রি ইভেন্টে সোনা জিতলেন নীতেশ কুমার। ফাইনালে তিনি গ্রেট ব্রিটেনের ড্যামিয়েল বেথেলকে হারালেন ২১-১৪, ১৮-২১, ২৩-২১ ব্যবধানে। এখনও পর্যন্ত মোট ৯টি পদক জিতেছে ভারত। পদকজয়ী অ্যাথলিটদের কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    সোনার ছেলে নীতেশ

    প্যারালিম্পিক্সে নীতেশকে সোনার স্বপ্ন দেখেছিল ভারত। এসএল থ্রি বিভাগে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন শীর্ষ বাছাই। ফাইনালে তাঁকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন দ্বিতীয় বাছাই ব্রিটেনের বেথেল। প্রথম গেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন নীতেশ। দ্বিতীয় গেমে কড়া টক্কর দেন ব্রিটিশ তারকা। প্রথম দুই গেম ১-১ হওয়ার পর তৃতীয় গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দু’জনের। পাল্লা দিয়ে পয়েন্ট জিতেছেন দুই প্রতিপক্ষ। খুব বেশি লিড নিতে পারেননি কেউই। একটা সময় স্কোর ছিল ২১-২১। শেষে বাজিমাত করলেন নীতেশ। পর পর ২ পয়েন্ট জিতে গেম, ম্যাচ এবং সোনার পদক ছিনিয়ে নিলেন। লক্ষ্য সেন, পিভি সিন্ধুরা যা পারেনি তা করলেন ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারানো নীতেশ।

    রুপো যোগেশের

    এদিন প্যারালিম্পিক্স অ্যাথলেটিক্স থেকে চতুর্থ পদক আসে ভারতের ঝুলিতে। সোমবার ডিসকাস থ্রোয়ে রুপো পান যোগেশ কাঠুনিয়া। টোকিয়োর পর প্যারিস প্যারালিম্পিক্সেও দেশকে গর্বিত করলেন ২৭ বছরের ক্রীড়াবিদ। নীতেশের জয়ের ফলে ভারতের ঝুলিতে এল ২টি সোনা, ৩টি রুপো এবং ৪টি ব্রোঞ্জ। প্যারিস প্যারালিম্পিক্সের পদক তালিকায় ২২ নম্বরে রয়েছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Army Cantonments: সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে স্থানীয় সংস্থার হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র

    Army Cantonments: সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে স্থানীয় সংস্থার হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে (Army Cantonments) স্থানীয় সংস্থার হাতে দিতে চলেছে কেন্দ্র। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে বলে খবর। যে ক্যান্টনমেন্টগুলিকে (Civil Authorities) স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে মার্জ করা হবে সেগুলি হল দেরাদুন, দেওলালি, নাসিরাবাদ, বাবিনা, আজমেড়, রামগড়, মথুরা, শাহজাহানপুর, ক্লিমেন্ট টাউন এবং ফতেগড়।

    ৬২টি ক্যান্টনমেন্টকে বাতিলের পরিকল্পনা (Army Cantonments)

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড, দক্ষিণ পশ্চিম কমান্ড এবং দক্ষিণ কমান্ড উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রক দেশের ৬২টি ক্যান্টনমেন্টকে বাতিল করার পরিকল্পনা করেছে। এগুলোকে পুরানো ঔপনিবেশিক ধারা বলে অভিহিত করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্টের সামরিক এলাকাগুলোকে মিলিটারি স্টেশনে রূপান্তরিত করা হবে। এখানকার অসামরিক এলাকাগুলোকে স্থানীয় পুরসভা কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করা হবে। সূত্রের খবর, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল মার্চ মাসে।

    বর্জ্য-ভূমি মুক্ত করার উদ্যোগ সেনার

    সিভিল এলাকাগুলিকে ১০টি ক্যান্টনমেন্ট (Army Cantonments) থেকে অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। প্রথমে হিমাচল প্রদেশের ইয়োল ক্যান্টনমেন্ট ৯ কর্পসের সদর দফতর সিভিল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলির সম্পদ এবং দায়ও পুরসভায় হস্তান্তরিত হবে। সামরিক স্টেশন ও ক্যান্টনমেন্টগুলি শহরের ঐতিহ্যগত সবুজ ফুসফুস এবং কার্বন শোষক হওয়ায় সেনাবাহিনীও আগামী পাঁচ বছরে ৩০৬টি সামরিক স্টেশনকে বর্জ্য-ভূমি মুক্ত করতে শুরু করেছে অভিযান।

    আরও পড়ুন: জেলাশাসকের অফিস ঘেরাওকে ঘিরে তুলকালাম, গ্রেফতার নিশীথ

    ক্যান্টনমেন্টগুলি গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ যুগে। সেগুলি সেবাকর্মী ও তাঁদের পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা। বর্তমানে ক্যান্টনমেন্ট লাগোয়া এলাকায় বসবাস করছেন বহু অসামরিক লোক। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার সময় দেশে ক্যান্টনমেন্ট ছিল ৫৬টি। স্বাধীনতার পর যোগ হয় আরও ৬টি। সব মিলিয়ে ক্যান্টনমেন্টের সংখ্যা ৬২টি। এগুলি বিস্তৃত রয়েছে ১.৬১ লাখ একর এলাকায়। প্রসঙ্গত, গত বছরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সংসদে জানানো হয়েছিল, ক্যান্টনমেন্টের সিভিল এলাকা ও পার্শ্ববর্তী রাজ্য পুরসভা এলাকার সিভিল এলাকাগুলিকে কিছু ক্যান্টনমেন্টের সিভিল এলাকা অপসারণ করে সেগুলিকে পাশের পুরসভার (Civil Authorities) সঙ্গে একত্রীকরণের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে (Army Cantonments)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আদিবাসী নির্যাতিতার বাড়িতে সুকান্ত, ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি

    Sukanta Majumdar: আদিবাসী নির্যাতিতার বাড়িতে সুকান্ত, ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার রেশ মেলায়নি এখনও। এরই মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারীতে তেরো বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করেছিলও ওই অভিযুক্ত। যা নিয়ে উত্তাল গোটা জেলা। সোমবার বিকেলে  বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ওই গ্রামে যান। যদিও নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।

    অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি (Sukanta Majumdar)

    গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কথা বলেন সুকান্ত। গ্রামবাসীরা সুকান্তর (Sukanta Majumdar) কাছে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানান। ওই গ্রাম থেকে বেরিয়ে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবা-মা ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ওইদিন রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক বলেন, সাংসদের সঙ্গে আমরা কথা বললাম। আমরা তাঁর কাছে অভিযুক্তর ফাঁসির দাবি জানালাম।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যা শুরু, তারাপীঠে দেবীর ভোগে আজ থাকছে বিশেষ পদ

    কী বললেন সুকান্ত?  

    গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “২০২০ সালে শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযুক্তকে এর আগেও পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আবার ধর্ষণের অভিযোগ। নির্যাতিতা কিশোরীর মায়ের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেখা করতে যাচ্ছে, দেখা করতে যাচ্ছে ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা। এমনকী পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় একটা ডাক্তারের জীবনের দাম ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন। আর যেহেতু এটা একটা ছোট গ্রাম, তাই এখানে একটা জীবনের দাম ৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share