Tag: Madhyom

Madhyom

  • Midnapore Medical College: মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করা হতো! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা

    Midnapore Medical College: মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করা হতো! অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য সহ গোটাদেশ এখন তোলপাড়। সর্বত্র একটাই আওয়াজ উঠছে, অবিলম্বে দোষীর শাস্তি চাই। ঠিক এর মধ্যেই এবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মূল অভিযুক্ত টিএমসিপি (TMC student leader) ইউনিটের প্রভাবশালী নেতা মুস্তাফিজুর রহমান এবং তার অনুগামীরা। ইতিমধ্যে হবু চিকিৎসকরা আন্দোলনে নেমেছেন, তাঁদের দাবি একটাই, বহিষ্কার করতে হবে এই টিএমসিপি নেতাকে।

    প্রতিবাদ করলেই প্রাণে মারার হুমকি (Midnapore Medical College)

    মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, এই তৃণমূল ছাত্রনেতা মুস্তাফিজুর রহমান (TMC student leader) মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের আইটেম গানে নাচ করতে বাধ্য করত। বেছে বেছে সুন্দরী পড়ুয়াদের নাচ করতে বলা হতো। এর প্রভাব এতটাই যে কলেজে পাশ কে করবে, আর ফেল কে করবে, তাও ঠিক করত এই অভিযুক্ত। প্রতিবাদ করলেই প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হতো। আবার ওই তৃণমূল ছাত্রনেতা আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। তাদের একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে অভিযুক্ত মুস্তাফিজুরকে কলেজে আসতে বারণ করা হয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি অভিযুক্তকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। ইতিমধ্যে কলেজের কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগের বিষয় নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    মুখ খুলতে সাহস দেখান না কেউ!

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালের (Midnapore Medical College) ছাত্রনেতা (TMC student leader) মুস্তাফিজুর রহমান এতটাই প্রভাবশালী যে কলেজের চিকিৎসকেরাও মুখ খুলতে সাহস দেখান না। এই বিষয় নিয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমি নন্দীও কিছু বলতে চাননি। হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ, অভিযুক্ত এই তৃণমূল ছাত্র নেতার কলেজে আসার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্বীকার করেছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashtrapati Award: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন শ্যামনগর শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    Rashtrapati Award: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন শ্যামনগর শালবাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি পুরস্কার (Rashtrapati Award) পেতে চলেছেন শ্যামনগর শালবাগান জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মারিক। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জাতীয় শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেতে চলেছেন তিনি। তাঁর বাড়ি ইছাপুর বিধানপল্লি এলাকায়। তাঁর এই পুরস্কার পাওয়ার খবর জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া গোটা এলাকায়।

    প্রধান শিক্ষককে সংবর্ধনা (Rashtrapati Award)

    শিক্ষক দিবসে (Teachers Day) প্রতি বছরেই কেন্দ্রের তরফে দেশের সেরা শিক্ষকদের পুরস্কৃত (Rashtrapati Award) করা হয়। এ বছর জাতীয় শিক্ষক সম্মানের জন্য সারা দেশ থেকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেছে নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিশেষ শিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের জন্য সম্মানিত করেন রাষ্ট্রপতি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবছর দেশের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে শ্যামনগরের শালবাগান জিএসএফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০ বছর ধরে তিনি শিক্ষকতা করছেন। শালবাগান জিএসএফপি স্কুলে তিনি ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাবার খবরে খুশির জোয়ার গোটা শ্যামনগর জুড়ে। শুক্রবার বেলায় জাতীয় শিক্ষককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন ভাটপাড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্মৃতি ধর ও তাঁর স্বামী রতন ধর-সহ বিশিষ্ট জনেরা। স্কুল পড়ুয়া এবং অন্যান্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    প্রধান শিক্ষকের জন্য গর্বিত সহকর্মীরা

    শ্যামনগর (Shyamnagar) শালবাগান জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সহকর্মীরা বলেন, প্রশান্তবাবুর মতো শিক্ষকের অনেক আগেই এই পুরস্কার পাওয়ার দরকার ছিল। তাঁর মতো শিক্ষক সকলের কাছে আদর্শের। শুধু পড়াশুনা করানো নয়, প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা তিনি দেন। তাঁর মতো শিক্ষকের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমরা চরম খুশি। তিনি শুধু স্কুলের নয়, গোটা এলাকার মানুষের কাছে গর্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medinipur Medical College Hospital: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    Medinipur Medical College Hospital: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও মেলায়নি। এই আবহে এবার খবরে চলে এল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Medinipur Medical College Hospital)। এখানে কাঠগড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Chatra Parishad) এক নেতা। নাম মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক। ঘটনাচক্রে তিনি আবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জুনিয়র ডাক্তাররা বৃহস্পতিবার করলেন অবস্থান বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন চিকিৎসক মহম্মদ সিবি।

    কী বলছেন প্রতিবাদীরা? (Medinipur Medical College Hospital)

    তিনি জানান, তিন বছর আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই গ্র্যাজুয়েশন করেছেন মোস্তাফিজুর। পড়াশোনা শেষ হয়ে গেলেও, হস্টেল ছাড়েননি। সিবি বলেন, “তিনি (মোস্তাফিজুর) প্রতিনিয়ত আমাদের হ্যারাস করেন। হস্টেল থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন। আমরা যখন বলি, যে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব, তিনি বলেন স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করলেও, তাঁর কিছু হবে না।” এই জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেন মোস্তাফিজুর।

    মোস্তাফিজুর গুণাবলী

    তৃণমূলের এই নেতার বিরাট ক্ষমতা বলেও জানান আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। মহম্মদ সিবি বলেন (Medinipur Medical College Hospital), “এই তৃণমূল নেতা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। ফেল করা স্টুডেন্টদের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছু।” মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে তোলা আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে। মহম্মদ সিবি বলেন, “মোস্তাফিজুর প্রত্যেক জুনিয়র ডাক্তারের কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে নেন। জোর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের খাতায় নাম লিখিয়ে নেন।” তিনি বলেন, “একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই কলেজ হাসপাতালে তাঁরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন।”

    আরও পড়ুন: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    শ্রেয়া মণ্ডল নামে আর এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “প্রথম যেদিন আমরা এই কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম, শিক্ষকরা ক্লাস ছেড়ে চলে গেলেন। এই ইউনিট এসে দরজা বন্ধ করে দিল। মুস্তাফিজুরের রাস্কেলরা এসে আমাদের র‍্যাগ করে।” মেয়েদের আইটেম সং নাচতেও বাধ্য করা হত বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের (Trinamool Chatra Parishad) ওই নেতাকে অবিলম্বে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা (Medinipur Medical College Hospital)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুলস্থুল কাণ্ড কেদারনাথে। মাঝ আকাশ থেকে মন্দাকিনীর ধারে ছিঁড়ে পড়ল বিকল হেলিকপ্টার (Helicopter Crash in Kedarnath)। শনিবার সকালে কেদারনাথ ধামে অবতরণের সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিকল হয়ে গিয়েছিল একটি হেলিকপ্টার। সেটিকে এয়ারলিফ্‌ট করে ফিরিয়ে আনছিল উদ্ধারকারী এমআই-১৭ চপার। সেটির সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসা হচ্ছিল বিকল হেলিকপ্টারটি। সেই সময়েই মাঝ আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়ে ওই হেলিকপ্টার। ভাগ্যক্রমে সেই হেলিকপ্টারে কেউ ছিল না। ওই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুর্ঘটনার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

    কখন, কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

    প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, কেদারনাথ ও গৌচরের মাঝে ভীমবালির কাছে লিঞ্চোলিতে দুর্ঘটনাটি (Helicopter Crash in Kedarnath) ঘটেছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “কেদারনাথ থেকে এয়ারলিফ্‌ট করে আনার পথে একটি হেলিকপ্টার চেন থেকে ছিঁড়ে লিঞ্চোলিতে থারু শিবিরের কাছে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। অল্প দূরত্ব পার করতেই এমআই-১৭ ভারসাম্য হারায়, হাওয়ার ধাক্কায় স্ট্রাপ ছিঁড়ে যায়। স্থানীয় থানা থেকে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছে সেই তথ্য যায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।” জানা গিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারটি একটি বেসরকারি সংস্থার। 

    এই ধরনের হেলিকপ্টারে (Helicopter Crash in Kedarnath) করেই কেদারনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই থেকে আচমকাই কেদারনাথ ধামে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি এবং ট্রেকিংয়ের রুটে ঘনঘন ধস নামার কারণে মন্দিরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি নন অনেকেই। সম্প্রতি নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ যাওয়ার পথে বহু মানুষ আটকে পড়েন। ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক এবং M-17 চপারের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক বেসরকারি চপারও। চলতি বছর ১০ মে শুরু হয়েছিল চারধাম যাত্রা। এখনও পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ পুণ্যার্থী কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী গিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sada Bonde: কামারপুকুরের ‘সাদা বোঁদে’ স্বাদে অনন্য, ঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রিয় ছিল এই মিষ্টান্ন

    Sada Bonde: কামারপুকুরের ‘সাদা বোঁদে’ স্বাদে অনন্য, ঠাকুর রামকৃষ্ণের প্রিয় ছিল এই মিষ্টান্ন

    হরিহর ঘোষাল

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিষ্টির দোকানে রঙীন বোঁদে দেখে অভ্যস্ত আম বাঙালি। তবে, সাদা বোঁদের চল শুধু কামারপুকুর ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। কামারপুকুরে ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মভিটেতে গিয়েছেন আর ঠাকুরের প্রিয় সাদা বোঁদে খাননি, এরকম ভক্ত নেই বললেই চলে। তাই, কামারপুকুরের সাদা বোঁদের (Sada Bonde) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। 

    সাদা বোঁদের ইতিহাস (Sada Bonde)

    কামারপুকুরের সাদা বোঁদে কে কবে প্রথম প্রস্তুত করেছিলেন তার সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। আদিতে কামারপুকুরে এই সাদা বোঁদে তৈরি করত কয়েকটি হাতে গোনা পরিবার। জানা গিয়েছে, ১৭৯৩-৯৪ সাল নাগাদ কামারপুকুরে সাদা বোঁদে তৈরি করতেন জনৈক মধুসূদন মোদক। অতীতে কামারপুকুরের স্থানীয় চাষিরা বরবটি চাষ করে পাকা বরবটির বীজের জোগান দিতেন। সেই বরবটির বীজ কলাইকে প্রথমে জলে ধুয়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নেওয়া হত। এর পর সেই শুকনো কলাইকে পিষে বেসন তৈরি করা হত। কামারপুকুরের সাদা বোঁদের প্রধান উপাদান হল রমা কলাইয়ের বেসন এবং আতপ চালের গুঁড়ো। তার সঙ্গে লাগে গাওয়া ঘি বা বনস্পতি ঘি ও চিনির রস।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    ঠাকুর রামকৃষ্ণ-মা সারদার প্রিয় ছিল সাদা বোঁদে

    রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম ভিটে ছিল কামারপুকুরের মোদক বাড়ির পাশেই। একটি মত অনুসারে, মধুসূদন মোদকের পুত্র দুর্গাদাসের বাল্যবন্ধু ছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ। বালক গদাধর (ঠাকুর রামকৃষ্ণ) তাঁর বন্ধু দুর্গাদাসের বাড়িতে গেলেই সাদা বোঁদে (Sada Bonde) খেতেন। অন্য মতে, গদাধর দুর্গাদাস মোদকের পুত্র সত্যকিঙ্করের দোকান থেকে সাদা বোঁদে কিনে খেতেন। সেই থেকে আজীবন কামারপুকুরের সেই সাদা বোঁদে খেতে খুব ভালোবাসতেন ঠাকুর। রামকৃষ্ণ কথামৃতে কামারপুকুরের সাদা বোঁদের উল্লেখ রয়েছে। কামারপুকুর মঠ ও মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকৃষ্ণ সাদা বোঁদে খেতে ভালবাসতেন, এমন কোনও নথি মিশনের কাছে নেই। তবে, সারদা দেবীর সাদা বোঁদে ভীষণ প্রিয় ছিল। তিনি দুর্গাদাস মোদকের পুত্র সত্যকিঙ্কর মোদকের দোকানের বোঁদে খুব ভালবাসতেন। তিনি ভক্তদের সাদা বোঁদে বা জিলিপি খেতে দিতেন। সেই থেকেই কামারপুকুরের সঙ্গে সাদা বোঁদে আর মোদক পরিবারের নাম জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্ম ভিটে অধিগ্রহণ করে নেন। ক্রমে কামারপুকুর ঠাকুরের ভক্তদের জন্য একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয় এবং ভক্তদের মাধ্যমে ঠাকুরের স্নেহধন্য কামারপুকুরের সাদা বোঁদের জনপ্রিয়তা দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

    কীভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি?

    আতপ চাল এবং রমা কলাই আজও ঢেঁকির সাহায্যে গুঁড়ো করা হয়। আগে ঘি দিয়েই তৈরি হত। এখন সেটি সাদা তেলে তৈরি হয়। সেই থেকে একটি মিশ্রণ তৈরি হয়, যাকে খামি বলে। এটিকে ৪৫ মিনিট মতো মিষ্টির রসে ভিজিয়ে রাখা হয়। তাহলেই তৈরি হয়ে যায় সাদা বোঁদে (Sada Bonde)। গরমে ৫-৭ দিন বাইরে রাখলেও এই মিষ্টি নষ্ট হবে না।

    পরমহংসের ভোগে সাদা বোঁদে

    সারা বছর দেশ-বিদেশ থেকে কামারপুকুর-জয়রামবাটিতে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। ভক্তরা ভ্রমণ শেষে এই কামারপুকুরের সাদা বোঁদে (Sada Bonde) সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যান। তাঁরা মনে করেন, তা না করলে ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কামারপুকুরের বাসিন্দারা সাদা বোঁদে নিয়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ। কামারপুকুরের বাসিন্দারা বাড়িতে অতিথি এলে সাদা বোঁদে দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন। বিবেকানন্দ মঠে রামকৃষ্ণ পরমহংসের (Ramkrishna Paramhans) ভোগে কামারপুকুরের সাদা বোঁদে দেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মিষ্টির খোঁজে ঠাকুরের অনেক ভক্তরাই ছুটে এসেছেন, তার মধ্যে শ্রীম (কথামৃতের লেখক) অন্যতম। এই মিষ্টির চাহিদা এতটাই বেশি, যে মানুষ এসে খালি হাতে ফিরবেন না, এটি নিয়েই যাবেন। এমনকী কামারপুকুরে উৎসব, অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি সবকিছুতেই এই বোঁদের (Sada Bonde) চাহিদা খুব বেশি।

    বর্তমান অবস্থা

    জানা গিয়েছে, কামারপুকুরে মিষ্টির দোকানের সংখ্যা মোট কুড়িটি। তার মধ্যে তিনটি দোকান রামকৃষ্ণ পরমহংসের সমসাময়িক সত্যকিঙ্কর মোদকের বংশধরদের। দোকানগুলি মঠ চত্বর, লাহা বাজার ও কামারপুকুর চটি এই তিনটি অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটি মিষ্টির দোকানেই এই সাদা বোঁদে পাওয়া যায়। শীতের সময় অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চ কামারপুকুরের পর্যটক সংখ্যা সব চেয়ে বেশি হয়। তখন চাহিদা মেটাতে মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকরা সাদা বোঁদের উৎপাদন বাড়িয়ে দেন। এই সময় প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ টন সাদা বোঁদে (Sada Bonde) তৈরি হয়। বছরের বাকি সময়টা দৈনিক ২-৩ টন সাদা বোঁদে উৎপাদন হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদিকে দেওয়া মমতার চিঠিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে, সাফ জানাল কেন্দ্র

    PM Modi: মোদিকে দেওয়া মমতার চিঠিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে, সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে দ্বিতীয় চিঠিটি দিয়েছেন, তাতে তথ্যগত ভুল রয়েছে।” শুক্রবার এ কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। তাঁর মতে (PM Modi), এটি রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু করার ক্ষেত্রে যে অযথা দেরি হচ্ছে, তা ঢাকা দেওয়াই এই চিঠির লক্ষ্য।

    কী বলছেন মমতা? (PM Modi)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই চিঠিটি এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পরে। ওই চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য ছিল, মামলাগুলির বিষয়ে কঠোর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের জন্য তাঁর প্রথামিক আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় হতাশ তিনি। তাঁর চিঠিতে মমতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগের চিঠি মারফত দেওয়া উত্তরকে অপর্যাপ্ত ও সাধারণ বলে সমালোচনা করেছিলেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তোপ

    রাজ্যকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘যেমন দেখা যাচ্ছে, আপনার চিঠিতে থাকা এ সংক্রান্ত তথ্য ফ্যাকচুয়ালি ইনকারেক্ট। রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু করার ক্ষেত্রে যে দেরি হচ্ছে, সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই এটি একটি পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।’ ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু না করায়ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিন্দে করেন অন্নপূর্ণা। তিনি জানান, রাজ্যে বকেয়া রয়েছে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ এবং পকসো মামলা। কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সব মিলিয়ে নিষ্পত্তি হয়নি ৮১ হাজার ১৪১টি মামলার। এই পরিসংখ্যান গত ৩০ জুন পর্যন্ত। রাজ্যে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ এবং পকসো মামলা বকেয়া রইলেও, রাজ্য এখনও ১১টি অতিরিক্ত ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট চালু করেনি। অথচ পকসো কোর্ট কিংবা ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে এই আদালত এক্সক্লুসিভ হতে পারে।’

    আরও পড়ুন: সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিল হাইকোর্ট, স্বাগত জানালেন শুভেন্দু

    ভারতীয় (PM Modi) ন্যায় সংহিতার অধীনে ইতিমধ্যেই কঠোর আইন রয়েছে বলেও চিঠিতে (Mamata Banerjee) মনে করিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজারও সংস্থান রয়েছে বলেও জানান (PM Modi) মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? তারাপীঠে পুজো কবে, জানেন?

    Kaushiki Amavasya: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? তারাপীঠে পুজো কবে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে (Hinduism) বিভিন্ন তিথিতে দেবী কালী মায়ের (Goddess Kali) নানা রূপের আরধানা করা হয়ে থাকে। শক্তি রূপে দেবীর আরাধনা বাংলায় বেশ জনপ্রিয়। ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা পড়ে, তাই কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) রূপে পালন করা হয়। এদিন ভক্তরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে মায়ের পুজো করে থাকেন।

    কবে পড়েছে অমাবস্যা?

    এই বছর কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) পড়েছে ১ সেপ্টেম্বর, রবিবার (বাংলা তারিখ ১৫ ভাদ্র)। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার (বাংলা তারিখ ১৬ ভাদ্র) অহরাত্র থাকবে এই কৌশিকী অমাবস্যা। ছাড়বে ৩ সেপ্টেম্বর (বাংলা তারিখ ১৭ ভাদ্র) সকাল ৬টা ২৯ মিনিটে।

    পৌরাণিক সূত্র

    এই কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amavasya) সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। মার্কণ্ডেয় পুরাণ সূত্র থেকে জানা যায়, মহাপরাক্রমী দৈত্য ভ্রাতৃদ্বয় শুম্ভ ও নিশুম্ভ ব্রহ্মাদেবের পরম ভক্ত ছিলেন। সাধনায় তুষ্ট হয়ে ভগবান ব্রহ্মা (Lord Brahma) তাঁদের বর দিয়ে বলেন, “তোমরা ত্রিভুবনে অবধ্য হবে। তবে কখনও যদি কোনও অযোনিসম্ভবা নারীর সঙ্গে তোমাদের সংঘাত ঘটে তবে ওই নারীর দ্বারাই তোমরা বধ হবে। তাই এই কথাগুলি স্মরণে রেখো।” ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভ ভাবতে শুরু করেন, ত্রিভুবনে কোনও নারীই  মাতৃগর্ভজাত না হয় জন্মলাভ করতে পারবেন না, তাই আমরা অমর। আমাদের মৃত্যু ভয় নেই। এই অসুরদ্বয় প্রথমেই স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করেন। দেবকুল তখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহাদেবের শরণাপন্ন হন।

    দেবী কৌশিকীর জন্ম

    মহাদেব (Lord Shiva) ঠাট্টার ছলে ঘোর কৃষ্ণবর্ণা পার্বতীকে (Goddess Parvati) ডেকে বলেন, ‘হে কালীকে, তুমি এই বিপদ থেকে দেবতাদের রক্ষা করো।’ জনসমক্ষে পতিমুখে কালীকে সম্বোধন শুনে দেবী পার্বতী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তৎক্ষণাৎ মানস সরোবরে গিয়ে নিজেকে অভিষিক্ত করে নিজ গাত্রের সকল কৃষ্ণবর্ণ কোষগুলিকে পরিত্যাগ করে এক অসামান্যা সুবর্ণ রূপ ধারণ করে নিজেকে প্রকট করেন। অপর দিকে, পার্বতীর দেহ থেকে ফেলে দেওয়া কোষ থেকে আর এক দেবী আবির্ভুত হন। সেই দেবীর নাম কৌশিকী (Kaushiki Amavasya)। দেবী কৌশিকীর আবির্ভাবের পর দেবী ভগবতী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন এবং দেবী কালিকা বা কালী নামে পরিচয় লাভ করেন।

    অমাবস্যায় অসুর বধ

    দেবী কৌশিকী (Kaushiki Amavasya) অযোনিসম্ভবা ছিলেন, সেই কারণে কৌশিকী দেবীই শুম্ভ-নিশুম্ভকে বধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে দেবী কৌশিকীর শরীর থেকে হাজারও যোদ্ধা সৃষ্ট হয় এবং তারাই সমগ্র অসুরকুলকে ধ্বংস করে দেন। এই ঘটনাটি ভাদ্র মাসের প্রথম অমাবস্যায় ঘটেছিল। পরবর্তীকালে এটি কৌশিকী অমাবস্যা নামে ধরাধামে খ্যাত হয়।

    বিশ্বাস, তন্ত্রমত ও শাস্ত্র মতে পুজো করা হয়

    ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথি যে সকল মানুষ ধর্ম, তন্ত্র, মন্ত্র, সাধনা এবং ঈশ্বর বিশ্বাসী তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। কৌশিকী অমাবস্যার সঙ্গে তারাপীঠের অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক। বিশ্বাস, তন্ত্রমত ও শাস্ত্র মতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেবীর পুজো করলে অশুভ শক্তির বিনাস ঘটে। তন্ত্রশাস্ত্র মতে গুপ্ত সাধনায় এই দিনে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়।

    বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়েছিলেন

    কথিত আছে, ওই অমাবস্যা তিথিতেই বামাক্ষ্যাপাকে দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে তারাপীঠ (Tarapith) মহাশ্মশানে দর্শন দিয়েছিলেন। অমাবস্যার এই বিশেষ তিথিতে সাধক বামাক্ষ্যাপা (Sadhak Byamakhyapa) তারাপীঠের মহাশ্মশানের শিমূল গাছের তলায় মা তারার (Tara Maa) আরাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। লোকমুখে প্রচলিত কাহিনি সূত্রে শোনা যায়, দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে ওই বিশেষ অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে বিরাজিতা থাকেন। সেই কারণে তারাপীঠ মহাশ্মশানে ওই দিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাবেশ ঘটে। ভক্তগণের বিশ্বাস, ওই দিন মাকে পূজা করলে ভক্তগণের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়

    দেবী কৌশিকী এবং তারা মা অভিন্ন বলে বিশ্বাস ভক্তদের। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়। এই স্নান কুম্ভস্নানের সমতুল্য। বিশেষ এই তিথিতে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন। কৌশিকী অমাবস্যার (Kaushiki Amavasya) দিন বাড়ি রাখুন পরিচ্ছন্ন। পুরনো ছেঁড়া কোনও জামাকাপড় থাকলে তা ফেলে দিন। সন্ধ্যের পর বাড়ির তুলসী মঞ্চে তিলের প্রদীপ জ্বালালে তা সংসারে কোনও নেতিবাচক শক্তিকে প্রবেশ করতে দেয় না। এই তিথি কেবলমাত্র হিন্দুশাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: “আপনার মুখোশ খুলব”, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    RG Kar Incident: “আপনার মুখোশ খুলব”, আরজি কর কাণ্ডে মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ ও ধর্ষককে দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য আগামী মঙ্গলবার থেকে বসতে চলেছে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দেবেন বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলায় বিজেপি ধর্না মঞ্চ (Dharmatala Dharna Mancha) থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মতলায় বিজেপি ধর্না মঞ্চে (Dharmatala Dharna Mancha) শুভেন্দু বলেন, “আপনার মুখোশ আমি খুলব। আগামী মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে দেব। আর আগামী সোমবার আবার তথ্য তুলে ধরব সবার সামনে। আপনাকে বলছি, ব্যাগ গোছান আপনি।” তিনি আরও বলেন, “২৭ তারিখে রাজ্যের মানুষ সাড়ে তিন ঘণ্টা নবান্নকে নড়িয়েছে। ওই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় থরথর করে কেঁপেছিলেন। বাধাপ্রাপ্ত হওয়া সত্বেও মহিলা মোর্চার সদস্যরা মহিলা কমিশনের বাইরে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে এসেছে। এবার রাজ্য সরকারকে বিজেপি সিনেমা দেখাবে। একদিন নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাট অভিযানের ডাক দেওয়া হবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পুজো কবে আসবে, সেই দিন গুনছেন। তাহলেই তো মানুষ পুজোয় মেতে যাবে, আর আন্দোলনটা বন্ধ হয়ে যাবে”।

    আরও পড়ুন: ৯৩ ডাক্তারকে শোকজ! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামার শাস্তি?

    সুকান্তর সওয়াল

    বিজেপির ধর্না মঞ্চে (Dharmatala Dharna Mancha) এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন বিজেপি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, তাপস রায়-সহ আরও অনেকেই। গত ৭২ ঘণ্টায় রাজ্যে যে ছয়টি শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচ জনই নাবালিকা। বালুরঘাটে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে একজন নাবালিকার ধর্ষণের (RG Kar Incident) অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই জেলার হরিরামপুর অঞ্চলের আদিবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সময় থাকতে তিনি যেন বুঝে যান যে, এই রাজ্যের মানুষ আর তাঁকে চাইছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পায় ৷ তাই ধর্না মঞ্চ করতে দিতে চাইছিলেন না” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘পুলিশি স্লোগানে’র নেপথ্যে কে জানেন, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘পুলিশি স্লোগানে’র নেপথ্যে কে জানেন, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) স্লোগান দিতে হল খোদ পুলিশকে! অবশ্য রাস্তায় নামেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনতার পাল্টা স্লোগান দিয়ে পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর গুডবুকে থাকতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের স্লোগান দেওয়ার নেপথ্যে কে রয়েছেন, হাটে হাঁড়ি ভেঙে সে কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, পুলিশের এহেন পোস্টের জন্য নির্দেশ রয়েছে আইপিএস সুপ্রতীম সরকারের।

    নজির ভেঙে স্লোগান পুলিশের (Suvendu Adhikari)

    ঘটনার সূত্রপাত নবান্ন অভিযানের দিন। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সেই কর্মসূচি পালনের সময় জনতা স্লোগান দেয়, ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’। এর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সমাজ মাধ্যমে বেনজিরভাবে স্লোগান দেয় পুলিশ। উর্দিধারীদের পদস্থ একাধিক কর্তা জনতার স্লোগানের ধাঁচে লেখেন, ‘পুলিশের মেয়ের চিন্তা ছাড়ো, সে লড়াই করেই হচ্ছে বড়।’ পুলিশের এই পাল্টা স্লোগানেরই উৎস সন্ধানে নেমে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর দাবি

    শুক্রবার তিনি দাবি করেন, এহেন পোস্টের নেপথ্যে রয়েছেন সুপ্রতীম। শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর বিডিও অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে পেটাতে পেটাতে চ্যাংদোলা করে তুলে এনেছিলেন যিনি, সিপিএমের সেই ব্লু আইড বয় সুপ্রতীম সরকার এখন এই বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “কাল আমি ১৫-২০ জন আইসি, ওসির কাছ থেকে প্রথম খবর পাই, তাঁরা আমায় কনফিডেন্সিয়াল ফোন করে বলেন, স্যর ক্ষমা করে দেবেন, করতে বাধ্য হচ্ছি। সুপ্রতীম সরকারের নির্দেশ।”

    ‘জায়েন্ট কিলার’(বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পরে সবাই শুভেন্দুকে চেনেন এই নামেই।) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ওপর নির্ভর করেই রয়েছেন। যে সব আইপিএস নিজের ভালো পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেন, নিজের ছেলেমেয়েদের ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন, আরামে থাকছেন, নিজেদের বিলাসবহুল লাইফ লিড করছেন, পুলিশের সেই শ্রেণির অফিসাররা নিচুতলার কর্মীদের বাধ্য করছেন এই ধরনের পোস্ট করতে।”

    আরও পড়ুন: ‘বিষ্ণু সহস্রনাম’ পাঠে চারপাশে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়, বদলে যায় জীবন

    প্রসঙ্গত (Suvendu Adhikari), সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হেডকোয়ার্টার মিরাজ খালিদ-সহ কয়েকজন পদস্থ কর্তার পাশাপাশি (RG Kar Incident) নিচুতলার অনেক পুলিশ কর্মীও (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rally:  ‘চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, আটকাতে পারবেন?’, রাজ্যকে প্রশ্ন অমৃতা সিনহার

    RG Kar Rally: ‘চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, আটকাতে পারবেন?’, রাজ্যকে প্রশ্ন অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে বুদ্ধিজীবী-আইনজীবীদের মিছিল (RG Kar Rally) করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  শান্তিপূর্ণ মিছিলে যে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না, সেই বার্তা আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার কলকাতায় আরও একটি মিছিলের অনুমোদন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামতে চেয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। কিন্তু কলকাতা পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি বলে আদালতে দ্বারস্থ হতে হয়। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। অবশেষে আদালত মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে।

    মিছিল করা নিয়ে আদালতে আবেদন! (RG Kar Rally)

    নির্যাতিতার মা-বাবা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, “যেভাবে এক একটা দিন চলে যাচ্ছে তাতে মেয়েটা সুবিচার পাবে তো?” সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই ৩ সেপ্টেম্বর মিছিল (RG Kar Rally) করতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানান বুদ্ধিজীবী ও আইনজীবীদের একাংশ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মিছিল করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। রবীন্দ্রসদন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করতে চান তাঁরা। ‘কালচারাল অ্যান্ড লিটারারি বেঙ্গল’-এর তরফে এই মিছিল হওয়ার কথা। আদালতে  শুনানি শুরু হলে, রাজ্য জানায় যে মিছিলের সময় নিয়ে আপত্তি আছে তাদের। সংগঠনের তরফে আইনজীবী বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। ৩ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র সদন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত এক হাজার জনের মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুধু সময় বদলাতে চাইছে রাজ্য, কারণ ওই সময় অফিস ছুটি হয়। পরে, সময় ছাড়া রাজ্য কোনও আপত্তি না করায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে অনুমোদন দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: আরজি করের ‘সন্দেহজনক’ মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিয়েছেন?

    মিছিলের (RG Kar Rally) অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, “মিছিলের কারণে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। জয়েন্ট কমিশনার আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমতি দেবেন। ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবেন তাঁরা। চারিদিকে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, শুধু সময় বেঁধে দিয়ে আপনি কি সেটা আটকাতে পারবেন?”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share