Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh Crisis: সম্পাদক সুরাবর্দির উত্তরসূরি! তাই কি হিন্দু নিধনের খবর চাপল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’?

    Bangladesh Crisis: সম্পাদক সুরাবর্দির উত্তরসূরি! তাই কি হিন্দু নিধনের খবর চাপল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) চলেছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। সে দেশের বেশ কিছু সংবাদপত্র সে খবর ‘চেপে’ গিয়েছে বলে অভিযোগ। পাছে সরকারের রোষে পড়তে হয়, তাই খবর চাপা হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারের ধামাধরা পত্রপত্রিকাগুলো তো আবার হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হয়নি বলেই দাবি করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ও। সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেই নৃশংসতা হোয়াইটওয়াশ করতে চেষ্টার ত্রুটি করেনি ‘ঢাকা ট্রিবিউন’। বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই দৈনিকের সম্পাদক পদে রয়েছেন জাফর শোভন (Zafar Sobhan)। তিনি হুসেন সইদ সুরাবর্দির বংশের উত্তরসূরী। এই সুরাবর্দিকে সবাই চেনেন ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে। তাঁর জন্যই স্বাধীনতার আগে আগে প্রাণ খোয়াতে হয়েছিল অখণ্ড ভারতের বহু হিন্দুকে।

    ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র প্রতিবেদন (Bangladesh Crisis)

    গত ২৩ অগাস্ট, শুক্রবার একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’। শিরোনাম ছিল ‘টেন থিংস ইন্ডিয়া নিডস টু নো অ্যাবাউট বাংলাদেশ’। এই প্রতিবেদনে জাফর সে দেশে নৈরাজ্য ও অনাচারের পরিণতি হিসেবে হিন্দুদের ওপর হামলাকে যুক্তিযুক্ত বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। প্রতিবেদনের শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দুরা বিপদে নেই। হ্যাঁ, শেখ হাসিনার পালানোর পর প্রাথমিক বিশৃঙ্খলায় অল্প সময় দেশে অরাজকতা ও অনাচার ছিল। এবং হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যবশত, যাদের টার্গেট করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু সদস্যও ছিল।’ নিজের দাবি সত্য বলে প্রতিপন্ন করতে ভারতের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক। ভারতে এটি ‘রেগুলার ইভেন্ট’ বলে দাবি করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘এরকম সময় যাদের টার্গেট করা হয়েছে, তারা প্রায়ই সব চেয়ে ক্ষমতাহীন ও আমরা সবাই জানি দক্ষিণ এশিয়ায় দুঃখজনকভাবে সংখ্যালঘুরা সব সময়ই অরক্ষিত থাকে।’

    হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা আড়ালের চেষ্টা 

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা আড়াল করতে পত্রিকা সম্পাদক উন্মত্ত মুসলমান জনতা দ্বারা সংঘটিত হিংসাকে রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুর পরিণতি হিসেবে মানতে রাজি নন। হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার নেপথ্যে যে ধর্মীয় উদ্দেশ্যই ছিল, তাও স্বীকার করেননি তিনি। সম্পাদক লিখেছেন, ‘হিন্দুরা যে গণহত্যার লক্ষ্যবস্তু ছিল, এটা সম্পূর্ণ ভুল। এটা ছিল বিপ্লবেরই একটা অংশ। তাদের লক্ষ্যবস্তু ও ক্ষমতাচ্যুত করা আসলে বিপ্লবেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল নিছকই একটি কল্পকাহিনি।’ বস্তুত, এর আগে প্রায় একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিল ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা বিবিসি। তারাও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণকে লঘু করে দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ।

    পরিস্থিতি শান্ত!

    হিন্দুদের ওপর সে দেশের মুসলমানরা কতটা সহমর্মী, তা প্রমাণ করতে ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক (Zafar Sobhan) দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কীভাবে বাংলাদেশে হামলাকারীদের হাত থেকে হিন্দুদের মন্দির রক্ষা করছেন মুসলমানরা, সেই ছবি। প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, ‘পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে শান্ত হয়েছে। হিন্দুদের ওপর হামলার পাশাপাশি কীভাবে হিন্দু-মুসলমান হাত ধরাধরি করে মন্দির রক্ষা করেছে, সেটাও উল্লেখযোগ্য বই কি!’ তাঁর দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভারতের চেয়ে ঢের বেশি সুরক্ষিত রয়েছেন। সংখ্যালঘুদের অধিকারের ক্ষেত্রে বিষয়গুলি বাংলাদেশে নিখুঁত নয় বলেও ওই প্রতিবেদনে স্বীকার করে নিয়েছেন ‘ঢাকা ট্রিবিউনে’র সম্পাদক।

    কিন্তু, প্রশ্ন হল, ভারতে যদি সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত না হন, তবে মুসলমান জনসংখ্যা কীভাবে বাড়ছে? স্বাধীনতার সময় যে দেশে মুসলমান জনসংখ্যা ছিল ৯.৮৪ শতাংশ, সেখানে ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেল তাদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। এটা কীভাবে হল, তার কোনও ব্যাখ্যা ওই প্রতিবেদনে নেই। যেমন ছিল না বাংলাদেশে কীভাবে দিন দিন কমছে হিন্দু জনসংখ্যা, তার কৈফিয়ত।

    জাফর শোভনের এই ‘মিথ্যাচারে’র কারণ

    জাফর শোভনের এই ‘মিথ্যাচারে’র কারণ রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। মনে রাখতে হবে, জাফরের শরীরে বইছে ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’-এর মাস্টারমাইন্ডের রক্ত। জাফর বাংলাদেশি সমাজকর্মী তথা আইনজীবী সালমা শোভনের ছেলে। এই সালমার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বাংলার ঘাতক হুসেন সইদ সুরাবর্দির। ১৯৪৬ সালের ৬ অগাস্ট কলকাতা চাক্ষুষ করেছিল ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’। মুসলিম লিগ নেতা মহম্মদ আলি জিন্নার নির্দেশে এটা কার্যকর করা হয়েছিল। এই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুরাবর্দি। তাঁর নির্দেশেই হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে মুসলমানরা (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    সুরাবর্দির কীর্তি

    সুরাবর্দি মুসলমান জনতার উদ্দেশে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেন। হিন্দুদের আক্রমণ করতে উৎসাহিতও করেছিলেন তিনি। সুরাবর্দি পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। তাই অত্যাচারিত হয়ে, সাহায্য চাইলেও, হিন্দুদের ডাকে (Zafar Sobhan) সাড়া দেয়নি পুলিশ। প্রসঙ্গত, ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-র সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কট্টরপন্থী মুসলমানরা নোয়াখালি হিংসার মতো হত্যাকাণ্ড চালাতে থাকে। সুরাবর্দির এই ‘ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে’-ই ইতিহাসে ‘দ্য গ্রেট কিলিং ডে’ হিসেবে বিখ্যাত (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India’s Rail Network: ভারতে প্রায় ১০০ শতাংশ রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ সম্পন্ন, যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ১%!

    India’s Rail Network: ভারতে প্রায় ১০০ শতাংশ রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ সম্পন্ন, যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ১%!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হল ভারতীয় রেল। দেশের সমস্ত ব্রডগেজ লাইনে ইলেক্ট্রিফিকেশনের কাজ শেষ করতে উদ্যোগী ভারত। ভারতীয় রেলে ইলেক্ট্রিফিকেশন বা বৈদ্যুতিকরণের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯২৫ সালে। তখন দেড় হাজার ভোল্ট ডিসি লাইনের বৈদ্যুতিক লাইন বসানো হয়েছিল। পরে তা তিন হাজার ভোল্টে রূপান্তরিত হয়। ১৯৫৭ সালে রেল মন্ত্রক সব বৈদ্যুতিক লাইনকে ২৫ কিলোভোল্ট এসি ট্রাকশনে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যমাত্র নেয়। দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন চলেছিল সেন্ট্রাল রেলওয়েতে। বম্বে টার্মিনাস (এখন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস) থেকে কুরলা পর্যন্ত চলেছিল সেই ট্রেন। এখন দেশে অধিকাংশ ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন বা ইএমইউ ট্রেন চলে। গত কয়েক বছর ধরেই প্রতি বছর ৬ হাজার কিলোমিটার রেলপথে ইলেক্ট্রিফিকেশন করা হয়েছে।  বর্তমানে এটি ৯৬ শতাংশেরও বেশি বিদ্যুতায়িত। এর বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্রে এই হার মাত্র ১ শতাংশ!

    ভারতের নেট-জিরো লক্ষ্য

    ভারতীয় রেলওয়ে, ২০৩০ সালের মধ্যে নেট-জিরো অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১০০ শতাংশ ব্রডগেজ লাইন বৈদ্যুতিক করবে রেল। সম্প্রতি রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশের ৯৬ শতাংশ ব্রডগেজ লাইনে ইলেক্ট্রিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৪ শতাংশ কাজও খুব শীঘ্রই শেষ করা হবে। গত কয়েক বছর ধরেই রেললাইনে ইলেক্ট্রিফিকেশনের কাজে জোর দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। সেই লক্ষ্যে কাজও চলছে নিরন্তর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, ভারতীয় রেলওয়ে ১৪,৫০০টি ট্রেনের মধ্যে ১০,০০০টিরও বেশি বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিচালনা করছিল। কিছু ক্ষেত্রে, পুরানো ডিজেল ট্রেনগুলোকে বৈদ্যুতিক ট্রেনে রূপান্তরিত করা হয়েছিল, তবে বেশিরভাগই ছিল নতুন। গত বছর ১,৩০০টি নতুন বৈদ্যুতিন লোকোমোটিভের জন্য একটি অর্ডার ছিল, যা সিমেন্স মবিলিটি তাদের বৃহত্তম অর্ডার হিসেবে উল্লেখ করেছে।

    কেন বিদ্যুতায়ন

    ডিজেল ট্রেনের ব্যবহার বন্ধ করার প্রধান উদ্দেশ্য শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা নয় বা দূষণ থেকে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানো নয়। বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো সস্তাও। এসব ট্রেন বেশি পরিমাণ মাল বহন করতে পারে বা ডিজেল লোকোমোটিভগুলোর চেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহণ করতে সক্ষম। এছাড়া এই পরিবর্তন দেশের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেয়। “ডিজেল রেল সিস্টেম থেকে বিদ্যুতায়িত রেল সিস্টেমে দ্রুত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভারত একটি চমৎকার উদাহরণ” বলেছেন পরিবেশ সংরক্ষণে নিবেদিত অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান আর্থজাস্টিস-এর সিনিয়র অ্যাটর্নি ইয়াসমিন আগেলিডিস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি দুর্দান্ত মডেল হতে পারে ভারত, এমনই দাবি তাঁর। একসময় ভারতেও প্রচুর ডিজেল ট্রেন ছিল, এখন যুক্তরাষ্ট্রে সেই একই পরিস্থিতিতে রয়েছে।

    ভারত কীভাবে এগিয়ে গেল

    ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে ১২,০০০ মাইল রেলপথ বিদ্যুতায়িত হয়েছিল, এবং ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আরও ১২,০০০ মাইল রেলপথ বিদ্যুতায়িত করা হয়েছে। এর জন্য সবরকম সাহায্য করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। আগেলিডিস-এর কথায়, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি দেশের ১০০ শতাংশ রেলপথ বিদ্যুতায়িত চান। আমি মনে করি এই স্পষ্ট নির্দেশনা এবং নীতিগত লক্ষ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” রেলপথ সরকারের মালিকানাধীন হওয়ার কারণে এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। সরকার ভূমি, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট অ্যাক্সেস এবং নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউআরআই ভারতের পরিবহণ কর্মসূচির প্রধান পাওয়ান মুলুকুটলা। 

    আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

    আমেরিকা কেন পিছিয়ে

    যুক্তরাষ্ট্রে, বেশিরভাগ রেলপথ বেসরকারি মালিকানাধীন, সেখানে বৈদ্যুতিক অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রতি কম আগ্রহ দেখা গিয়েছে। আগেলিডিস বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, বৈদ্যুতিক রেল আসলে ডিজেলের চেয়ে সস্তা হতে পারে কারণ এটি একটি অনেক সস্তা জ্বালানি উৎস।”  তাঁর দাবি, “এটি একটি বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারীও বটে। তবে আমি মনে করি বেসরকারি রেলওয়ের মডেলটি শুধু স্বল্পমেয়াদী লাভের দিকে তাকিয়ে আছে এবং তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কী দিতে পারে তার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। এটি একটি বড় সমস্যা, কারণ এটি শেয়ারহোল্ডারদের মুনাফাকে জনস্বাস্থ্য এবং আমাদের জলবায়ু লক্ষ্যগুলোর চেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান কলকাতার ক্লাবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অনুদান (Durga Puja donation) ফেরত দিল কলকাতার একটি নামী ক্লাব। এর আগে, হুগলির চারটি ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে, এই প্রথম কলকাতার কোনও ক্লাব একই পথে হাঁটল। এই বছর দুর্গাপুজোয় আয়োজক ক্লাবগুলিকে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদানের কোথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Rape-Murder) এবার এই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করল গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’ উদ্যোক্তারা।

    মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর বক্তব্য (RG Kar Rape-Murder)

    গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আরজি কর হাসপাতলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান (Durga Puja donation) করা হচ্ছে। নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য এই সিদ্ধান্ত। পুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা প্রতিবাদ স্বরূপ গ্রহণ করলাম না।’’ একই ভাবে এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিবছর আমরা মা দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আমরা দেখছি বর্তমান তৃণমূল সরকার মাকে নিয়ে আসার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছে, আর বিসর্জনের জন্য ১০ লক্ষ টাকার কথা বলা হচ্ছে। আমরা নির্যাতিতার বিচার চাই। একজন মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”

    আমারা সরকারি অর্থে পুজো করব না

    আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে আগেই উত্তরপাড়ার তিনটি ক্লাব তৃণমূল সরকারের পুজোর অনুদান প্রত্যাখান করেছে। উত্তরপাড়ার মহিলাদের পুজো ‘বৌঠান সঙ্ঘ’,  ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’, ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’— এই তিনটি ক্লাব অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে। তিনটি ক্লাবের বক্তব্য, “আমরা সরকারি অর্থে পুজো করব না। আগে মহিলা চিকিৎসক খুনের ন্যায় বিচার চাই।” ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে চিঠি করা হয়েছে। এরপর কোন্নগরের ক্লাব ‘মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি’ একই পথে হেঁটেছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, “প্রতিবাদের ফলে যদি পরের বছর রাজ্য অনুদান (Durga Puja donation) না দেয়, তাহলেও আমাদের পুজো আটকাবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রীর দায়!

    উল্লেখ্য, রাজ্যে মমতার সরকার প্রতি বছর রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দিয়ে থাকে। আগে টাকার পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বেড়ে হয় ৬০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে অনুদানের পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ৭০ হাজার টাকা। এই বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে সেই অঙ্ক ৮৫ হাজার টাকা করেছেন। একই ভাবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খরচ মকুব করেছেন। প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতলে শিক্ষানবিশ-চিকিৎসককে ধর্ষণ (RG Kar Rape-Murder) করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতা হওয়ায় ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পরেন না, এমনটাই দাবি তুলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে নেমেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কি তবে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)? অন্তত এমনই জল্পনা দানা বেঁধেছে। কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সরকারিভাবে পাকিস্তানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে শেহবাজ শরিফের সরকার। জানা গিয়েছে, এ বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। সম্মেলন হবে অক্টোবরের মাঝামাঝি। এই সম্মেলনেই (SCO Summit) যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।

    কী বলছে পাকিস্তান? (PM Modi)

    পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, “এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে সব সদস্য দেশের সরকারকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। ইসলামাবাদে এসসিও-র সদস্য দেশগুলোর সরকারের প্রধানদের নিয়ে কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের বৈঠক হবে।” এসসিও সম্মেলনে যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, দিন দুই আগেই তা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তান অবশ্যই এই আঞ্চলিক বৈঠকে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) আমন্ত্রণ জানাবে।” অক্টোবরের ১৫ ও ১৬ এই দুদিন ধরে সম্মেলন হবে ইসলামাবাদে।

    কী বলছে ভারত?

    গত বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সম্মেলন হয় জুলাই মাসে। সেবার ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তানকে। তার আগে মে মাসে গোয়ায় বৈঠকে বসেন এসসিও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। এই বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী বিলওয়াল জারদারি ভুট্টো। ভুট্টো এলেও, এসসিও-র মূল সম্মেলনে আসেননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে যান কিনা, সেটাই দেখার। যদিও বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে, ‘পাকিস্তানে এসসিও-র বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন না। বা বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানে এই এসসিও বৈঠকে যাবে। স্পষ্ট করে দেওয়া ভালো যে, বিদেশমন্ত্রক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। এই জাতীয় খবরগুলো উপেক্ষা করা উচিত।’

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৫ জুন প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় এসসিও-র। প্রথমে সদস্য দেশ ছিল পাঁচটি। বর্তমানে সদস্য দেশ ৯টি। এগুলি হল, ভারত, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, চিন, রাশিয়া এবং ইরান। ফি বছর একটি করে (PM Modi) দেশ আয়োজন করে সম্মেলনের (SCO Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে চমক, বারাণসীর ধাঁচে দ্বারকাতীরে হবে আরতি

    Kaushiki Amavasya 2024: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে চমক, বারাণসীর ধাঁচে দ্বারকাতীরে হবে আরতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই কৌশিকী অমাবস্যায় (Kaushiki Amavasya 2024) তারাপীঠে (Tarapith) ভক্তদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। পুণ্যার্থী, ভক্ত এবং পর্যটকদের জন্য দ্বারকা নদীর পাড়ে বিশেষ গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যার অন্ধকার রাতে দ্বারকার পাড় এবার নতুন করে সেজে উঠবে। এই নিয়ে তারা মায়ের ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা দিয়েছে।

    আরতির প্রস্তুতি শুরু (Tarapith)

    বীরভূম জেলাশাসক এই আরতির বিষয় নিয়ে তারাপীঠ (Tarapith) উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, এই বছর কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya 2024) থেকে শুরু হবে দ্বারকার নদীতে আরতি। তাকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। নদীর পাড় বাঁধানোর কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে আরতির জায়গা ঠিক করা হয়েছে। অত্যন্ত তৎপর হয়ে প্রশাসন কাজ করেছে। তবে এতো দিন পর্যন্ত মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর আটলা মন্দির, বীরচন্দ্রপুর ছাড়া আর তেমন কোনও জায়গা ছিল না দেখার মতো। এবার থেকে আরতি একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    মন্দির কমিটির বক্তব্য (Kaushiki Amavasya 2024)

    হাতে যেহেতু মাত্র আর কয়েকটা দিন তাই দ্রুত কাজ করছে টিআরডিএ। তারাপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘাট বাঁধানোর কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। শ্মাশান ঘাটে রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের জন্য বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। টাইলস দিয়ে সব কাজে সৌন্দর্যায়ণ চলছে। সেই সঙ্গে লাগানো হয়েছে রঙ্গিন ফুলের গাছ।”

    আরও পড়ুনঃ “সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা, গুরুর উপদেশ এই সব প্রয়োজন, তবে চিত্তশুদ্ধি হয়, তাঁর দর্শন হয়”

    পঞ্চপ্রদীপ হাতে আরতি (Tarapith)

    বারাণসীর মতো দ্বারকাতেও আরতির দর্শন করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। পঞ্চপ্রদীপ হাতে তারা মায়ের সেবাইতরা প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতি (Kaushiki Amavasya 2024) করবেন। সারা বছর যেমন কাশীর গঙ্গার ঘাটে আরতি হয়, ঠিক সেই ভাবে আরতি করা হবে। তবে ভক্ত, পর্যটক, পুণ্যার্থীদের আগ্রহ এবং উৎসাহকে মাথায় রেখে আগেই কলকাতার গঙ্গাতীরে সন্ধ্যারতি শুরু হয়েছে। এবার তারা মায়ের মন্দিরকে আরও আকর্ষণীয় করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ও পরের দিন বিজেপির ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধে পুলিশি অত্যাচার (Police Atrocities)। এই জোড়া অত্যাচারের প্রতিবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নোটিশ পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। নোটিশ পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন সৌমিত্র। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আরও পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? (Saumitra Khan)

    চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত একটি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় গোটা দেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিবাদের পাশাপাশি ন্যায় বিচারের দাবিও জানানো হচ্ছে। এই কাণ্ডের ফলে রাজ্য সরকারের আসল চেহারা বাইরে বেরিয়ে এসেছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চালিত এক রাজ্যে মহিলারা যে সুরক্ষিত নন, তাও প্রকাশ্যে এসেছে।’ চিঠিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) লিখেছেন, ‘আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের জন্য গত ২৭ অগাস্ট বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক যোগসূত্র ছাড়া সকলে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটছিলেন। পুলিশের (Kolkata Police) তরফে এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।’

    সৌমিত্রদের অভিযোগ

    সৌমিত্রদের (Saumitra Khan) অভিযোগ অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানে ২০০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ (Kolkata Police) তাঁদের ওপর যে নির্যাতন করেছে, তা নৃশংস, নিষ্ঠুর। এতে তাঁদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। মানুষের অধিকারের প্রতি পুলিশের যে অশ্রদ্ধা, নবান্ন অভিযানের ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে পুলিশের অত্যাচারই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তা গুরুতর। সুপ্রিম কোর্টও পর্যবেক্ষণে এটা জানিয়েছে। পুলিশ (Kolkata Police) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (NHRC) ব্যর্থ হয়েছে। তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আপনার ভাইরাও নানা পদে’’, জয় শাহকে কটাক্ষ করায় মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আপনার ভাইরাও নানা পদে’’, জয় শাহকে কটাক্ষ করায় মমতাকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় অমিত শাহকে (Amit Shah) ‘খোঁচা’ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) পাল্টা জবাব দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    মমতার পোস্ট

    সদ্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জয় শাহ (Jay Shah)। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার একদিন পরে অমিত শাহকে ‘খোঁচা’ দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা পোস্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯ অগাস্ট করা ওই পোস্টে জয় শাহের নাম না নিয়েই মমতা লিখেছিলেন, ‘‘আপনার ছেলে রাজনীতিবিদ হয়নি। কিন্তু তার থেকেও আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছে। অভিনন্দন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আপনার পুত্র রাজনীতিবিদ না হলেও আইসিসির চেয়ারম্যান হয়েছেন। এই পদটি অধিকাংশ রাজনৈতিক পদের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পুত্র সত্যিই অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছেন। ওঁর এই সাফল্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।’’ 

    শুভেন্দুর জবাব

    মমতার (Mamata Banerjee) পাল্টা হিসেবে সোশ্যাল সাইটে ‘শুভেচ্ছা বার্তা’ পাল্টা পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘বাংলার ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন। আপনার ভাইয়েরা রাজনীতিবদ হননি। পরিবর্তে তাঁরা হয়েছেন— অজিত বন্দোপাধ্যায় (ষষ্ঠী) আইএফএ (বাংলার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা) সভাপতি। বাবুন বন্দোপাধ্য়ায় (স্বপন) বাংলা অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি, মোহনবাগান ফুটবল ক্লাবের মাঠ সচিব, পশ্চিমবঙ্গ হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ অ্যামেচার বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। ক্রীড়া প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের এই পোস্টগুলি পাওয়ার আকাঙ্খা অনেক রাজনীতিবিদেরই থাকে। আপনার ভাইয়েরা নিঃসন্দেহে ভীষণ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং তাঁদের এই সাফল্যে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। কুর্নিশ।’’

    এর আগেও অমিত শাহের ছেলে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের পদাধিকারী হওয়ায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা এবং তৃণমূল নেতারা। আর এবার আইসিসির কনিষ্ঠতম সভাপতি হয়েছেন জয় শাহ। যা নিয়ে অমিত শাহকে ‘খোঁচা’ মেরে অভিনন্দন জানান মমতা (Mamata Banerjee)। আর তারই পালটা জবাব দিয়ে মমতার ভাইদের পদ নিয়ে পোস্ট করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    PM Modi: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় একাধিক দুর্নীতির টাকা ফেরত দেওয়া হবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি কথা রাখলেন। টাকা ফেরাতে শুরু করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হল। অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটিকে ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতের নির্দেশেই টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল।

    মোদির প্রতিশ্রুতি

    লোকসভা ভোটের প্রচারে একাধিকবার বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেই প্রচার সভা থেকেই টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “এতদিন পর্যন্ত আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই টাকা বাংলার মানুষের হাতে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তারই আইনি উপায় খুঁজছি আমরা। ক্ষমতায় ফিরলে, আইনি উপায়েই বাংলার মানুষকে সেই ৩০০০ কোটি টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” রাজ্যে দুর্নীতির টাকা ফেরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবারই রোজভ্যালি মামলায় বাজেয়াপ্ত করা ১৯.৫০ কোটি টাকা ফেরাল ইডি। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রথম ধাপ হিসেবে এই টাকা তুলে দেওয়া হল বিশেষ কমিটির হাতে। 

    আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

    দ্রুত পদক্ষেপ ইডির

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, সংস্থার তিন উচ্চপদস্থ অফিসার, স্পেশাল ডিরেক্টর সুভাষ আগরওয়াল, জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ শেওরান এবং ডেপুটি ডিরেক্টর অজয় লুহাচ অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির অফিসে যান। সেখানে জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রোজভ্যালির যে টাকা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তার মধ্যে থেকে ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে মাথায় রেখে আগেই এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তারাই এবার আমানতকারীদের ফেরত দেবে ওই টাকা। আমানতকারীরা বৈধ কাগজ দেখালে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে ওয়েবসাইটও খোলা হয়, যেখানে নিজেদের নথিপত্র জমা দিয়ে টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করতে পারেন আমানতকারীরা। সেই নথি যাচাই করে আমানতকারীদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। ইডি (ED) সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে বাজেয়াপ্ত করা আরও টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • INS Arighat: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

    INS Arighat: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার নতুন সদস্য ‘আইএনএস অরিঘাত’ (INS Arighat)। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে নৌসেনার (Indian Navy) নতুন সদস্য হিসাবে যোগ দিল পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে এই ডুবোজাহাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এর ধারণা থেকে নকশা, নির্মাণ এবং একীভূত করা – সবটাই হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে। এটি দেশের দ্বিতীয় পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ। এই ডুবোজাহাজ সাধারণ সাবমেরিনের তুলনায় অনেক বেশিক্ষণ জলের নীচে ডুবে থাকতে পারে। ফলে, শত্রুর চোখকে ফাঁকি দিতে এর জুড়ি মেলা ভার।

    ঘুম ছুটবে চিনের

    ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমে দুই বিশাল জলসীমা। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর। দুই সাগর দক্ষিণে এসে মিশেছে ভারত মহাসাগরে। ফলে দেশের পূর্ব-পশ্চিমের দুই জলসীমাই যাতে সমান সুরক্ষিত থাকে সে জন্য নৌসেনার (Indian Navy) চাহিদা ছিল অন্তত ২টি বিমানবাহী রণতরী। আইএনএস বিক্রমাদিত্যর পর আইএনএস বিক্রান্ত এসে যাওয়ায় সে প্রয়োজন মিটেছে। একইভাবে নৌসেনার দাবি ছিল চিনের বিপদের কথা মাথায় রেখে অন্তত ২টো পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ চাই-ই চাই। এতদিন ভারতের হাতে ১টা পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে আইএনএস অরিহন্ত। এবার তার সঙ্গেই নৌ-সেনায় এসে গিয়েছে আইএনএস অরিঘাত (INS Arighat)। পাকিস্তানের একটা বড় অংশ ও চিনের ইউনান প্রদেশ চলে আসছে এর আওতায়।

    নৌসেনার প্রশংসায় রাজনাথ

    অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানান, দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ভারত উপমহদেশীয় অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আইএনএস অরিঘাত। দেশীয় এই সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ডিআরডিও-র ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং। এ প্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর মন্ত্রকে স্মরণ করে রাজনাথ বলেন, “আজকের এই কৃতিত্ব আত্মনির্ভরতার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। ভারত একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রতিরক্ষা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের দ্রুত এগোতেই হবে। বিশেষ করে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটা অপরিহার্য। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি, আমাদের একটা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী লাগবে। যাতে আমাদের সৈন্যরা ভারতের মাটিতে তৈরি সেরা মানের অস্ত্র এবং প্ল্যাটফর্মগলি পায়, আমাদের সরকার তার জন্য অভিযানে নেমেছে।”

    অত্যাধুনিক সাবমেরিনে নতুনত্ব

    সূত্রের খবর, ‘আইএনএস অরিঘাত’-এ (INS Arighat) ১২টি কে-১৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ১,৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে অনায়াসে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। পরমাণু শক্তিকে ব্যবহার করে এই জাহাজ সমুদ্রের উপরে ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে চলবে। সমুদ্রের নীচে ঘণ্টায় এর গতিবেগ ৪৪ কিলোমিটার। ১১৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজ সমুদ্রের ৯৮০ থেকে ১৪০০ ফুট নীচ দিয়ে চলতে পারে। কে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি এই জাহাজে চারটি কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। যেগুলি ৩,৫০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ক্ষেপনাস্ত্র ছাড়াও ২১ ইঞ্চির চারটি টর্পিডো লঞ্চার টিউব রয়েছে এই ডুবোজাহাজে। নতুন ডুবোজাহাজে দরকারে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোও যাবে।

    নৌসেনার পরিকল্পনা

    চিন ও পাকিস্তানকে ঠেকাতে ভারতের নৌসেনার (Indian Navy) পরিকল্পনা এখানেই শেষ নয়। আগামী বছর নৌসেনায় যোগ দেবে আরও একটা পরমাণু শক্তিধর সাবমেরিন। যার নাম ‘আইএনএস অরিদমন’। যাতে থাকবে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। আর দেশে চার নম্বর নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরির কাজ এখন চলছে। সূত্রের খবর, এই ৪টি ছাড়া আরও ২টি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন নির্মাণের পরিকল্পনা এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির ছাড়পত্রের অপেক্ষায়। এটা সহজেই অনুমেয়, সবকটা জাহাজ হাতে চলে এলে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে চিনের চোখ রাঙানোর দিন শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই কিছুটা ব্যাকফুটে খেলতে শুরু করেছে চিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা, ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বংশীহারীতে তেরো বছরের এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ওই স্কুলপড়ুয়া। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    নির্যাতিতার পরিবার (Dakshin Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবাচ-মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে, মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার মা বলেন, “পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম। আমরা আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছি। যেই এসেছি, অমনি ও আমাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেল।” এদিকে, রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুকান্ত

    এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতার বাড়ি যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই বিষয় নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, তৃণমূল নেতার ছেলে এক আদিবাসী নাবালিকাকে শুধু ধর্ষণই করেনি, তাকে খুন করারও চেষ্টা করেছিল। সে নিজেও একজন তৃণমূল কর্মী।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এই ঘটনা নতুন নয়। তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করতে চেয়েছিল। আমরা এনিয়ে আন্দোলনে নামব। পাল্টা তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, আইন আইনের পথে হাঁটবে। তা সে অভিযুক্তর পরিবার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হলেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share