Tag: Madhyom

Madhyom

  • Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর রাতে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহর (Halisahar) পুরসভা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম অশোক যাদব। তিনি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Halisahar)

    সোমবার ছিল জন্মাষ্টমী উৎসব। হালিশহর (Halisahar) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয়দের উদ্যোগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদব থেকে শুরু করে দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এলাকার কয়েকশো সাধারণ মানুষও সেখানে হাজির ছিলেন। জন্মাষ্টমী উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ। অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা তৃণমূল কাউন্সিলর শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালান বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ‘‘আবদার রাখতেই গুলি চালিয়েছি’’

    বিরোধীদের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলর এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছেন। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদবের সাফাই, তিনি আবদার রাখতেই নাকি গুলি চালিয়েছেন! অশোক যাদব বলেন,  ‘‘এ বছর আমি রিভলভরের লাইসেন্স পেয়েছি। এটা কোনও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নয়। আমার ওয়ার্ডের দলের ছেলেরা আমাকে অনুরোধ করেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ফায়ার করার জন্য। ওরা বাজি ফাটাচ্ছিল, সঙ্গে ফায়ার করার জন্য অনুরোধ করে। তার জন্য আমাকে টাকাও দিতে চেয়েছিল। আমি তাদের কাছে কোনও টাকা পয়সা নিইনি। শুধু ওয়ার্ডের ছেলেদের আবদার রাখতেই আমি পর পর দু’রাউন্ড শূন্যে ফায়ার করেছি। কোনও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এ কাজ আমি করিনি। আর আমি ১২.০৫ মিনিট নাগাদ ফায়ারিং করি। তখন সেখানে খুব বেশি লোকজনও ছিল না। ফলে, ভয় দেখানোর কোনও প্রশ্নই নেই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসলে ওই তৃণমূল নেতার কাছে রিভলভর রয়েছে তা সকলকে জানাতে হবে। তাই, এভাবে তিনি প্রকাশ্যে গুলি চালালেন। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’ অন্যদিকে, হালিশহর (Halisahar) পুরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমি প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ভিডিও দেখেছি। কেন তিনি এভাবে গুলি চালালেন তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলব। তাছাড়া প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়িয়ে আগামিকাল, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্ধের  (Bangla Bandh) ডাক দিল বিজেপি (BJP)৷ মঙ্গলবার ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। এরপরই বন‍্ধের ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের দমনপীড়নের প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি বলে জানান সুকান্ত।

    বন‍্‍ধ সফল করার আহ্বান

    মঙ্গলবার দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, ‘‘আগামী পরশু থেকে আমরা ধর্না শুরু করব। এছাড়াও ছাত্র সমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিক্যাল সাহায্য দেওয়ার জন্য আজ থেকে পুনরায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করছি আমরা। এখানে ফোন করে আপনারা যে কোনও রকম আইনি সহায়তা কিংবা পরামর্শ চালাতে পারেন। আসুন, আগামী ৩০ অগাস্ট আমাদের মহিলা মোর্চার ডাকে সকল মহিলা, সকল মানুষ পথে নামুন। এই আন্দোলন বিজেপির নয়, এটা সমাজের আন্দোলন।’’

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘এই বন‍্‍ধকে (Bangla Bandh) সর্বাত্মক করুন৷ স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করুন৷ মানুষ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছেন না৷ এর প্রতিবাদ করতে, বাংলায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে, আগামিকালের বন‍্‍ধকে সবাই সফল করুন৷ শুধু বিজেপি কর্মীরা নন, সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন। ভেবে দেখুন, আজ আপনার পাশের বাড়ির ছেলের ওপর লাঠিচার্জ হয়েছে, কাল আপনার ছেলের ওপর হতে পারে। আজ পাশের বাড়ির ছেলের চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে তৃণমূল নেতারা, কাল আপনার ছেলে চাকরি বিক্রি হবে। আজ আরজি করের বোনটি যেমন অত্যাচারিত হয়েছে কাল আপনার বাড়ির মেয়ের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই বন‍্‍ধকে সর্বাত্মক করুন। এটা স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার বন‍্‍ধ।’’ 

    বাংলার গণতন্ত্র বিপন্ন

    এদিন সুকান্ত বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে কেন পুলিশ লাঠি চালাল? কেন কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল? এমনকী, মহিলা, বয়স্করাও ছাড় পায়নি। কোথাও পুলিশ লাঠি চালানোর আগে কেউ পাথর ছোড়েনি। কেমিক্যাল মেশানো জল স্প্রে করা হয়েছে এরকম অভিযোগও আমরা ছাত্রদের কাছ থেকে পাচ্ছি। এটা কী ধরণের আচরণ? বেকার যুবক – যুবতীরা কি বাংলায় জন্ম নিয়ে কোনও ভুল করেছেন? যে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতায় থাকতে এত দমন পীড়ন করতে হয় তার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। বাংলার মানুষকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।’’ বাংলার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সুরক্ষা সমস্ত কিছু বিপন্ন। তা রক্ষা করতে বাংলার মানুষকে একজোট হওয়ার কথা বলে বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘‘প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে’’, কন্টেনারকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    Nabanna Abhijan: ‘‘প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে’’, কন্টেনারকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনা একটা। তাকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় আন্দোলন। আরজি করকাণ্ডের ওই ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত সেই আন্দোলন রুখতে গিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ (Kolkata Police)। তার আগে অবশ্য নিজেই রেকর্ড গড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা স্বয়ং। চিকিৎসক খুনে দোষীর বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন তিনি! এটা যদি এক নম্বর রেকর্ড হয়, তাহলে দু’নম্বর রেকর্ডটা শুনলে হাসবেন না কাঁদবেন, তা বুঝতে পারবেন না।

    কন্টেনার যখন পুলিশের ঢাল (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই অভিযান উপলক্ষে ব্যাপক জমায়েত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নে পৌঁছতে না পারেন, তাই ব্যারিকেড হিসেবে পুলিশ ব্যবহার করল কন্টেনার (Nabanna Abhijan)। যে কন্টেনারে করে পণ্য পরিবহণ করা হয়, ক্রেনে করে সেই কন্টেনারটাই টেনে এনে ফেলা হল রাস্তায়। আন্দোলনকারীরা যাতে সুউচ্চ কন্টেনার টপকে নবান্নে ঢুকে পড়তে না পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। লোহার গার্ড রেলের পাশাপাশি এই কন্টেনারকে ঢাল করে পুলিশের আন্দোলন রোখার এই চেষ্টা রাজ্যে প্রথম। যেহেতু দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার রাস্তাগুলি দিয়ে নবান্নে আসা সহজ, তাই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ওঠার রাস্তাগুলি বন্ধ করতেই যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এহেন উদ্যোগে হাসির ছররা রাজ্যে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড

    এদিন হেস্টিংসের মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, লোহার গার্ডরেল ও ওয়াল দিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানেই দেখা গেল, ক্রেন নিয়ে বড় বড় কন্টেনার রাস্তার ওপর রেখে দিয়েছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নে পৌঁছতে না পারে, তাই প্রথমে গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে। তার আগে বসানো হয়েছে কন্টেনার। কন্টেনার রাখা হয়েছে কলেজ স্ট্রিট এবং এজেসি বোস রোডেও। হেস্টিংসে আবার ব্যারিকেডে লাগানো হয়েছে গ্রিজ। হাওড়া ব্রিজের দু’দিকেই রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি এবং অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড। সাঁতরাগাছিতে ১০ ফুটেরও বেশি উঁচু গার্ডওয়াল রাখা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, গার্ডরেলের ব্যারিকেড বড্ড পলকা। তাই অতীতে নবান্ন অভিযানের সময় রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মজবুত ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। তবে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই এবার আর গার্ডরেলের ওপর ভরসা করেনি পুলিশ (Kolkata Police), সাহায্য নিয়েছে পণ্যবাহী কন্টেনারের (Nabanna Abhijan)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘তিনজন ছাত্রের সাংবাদিক বৈঠক আর কয়েকজন ইউটিউবারের ডাকের কাছে প্রশাসন পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে। প্রতিবাদীদের আটকাতে গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার রাস্তায় বসানো হয়েছে, যা নজিরবিহীন। অরাজনৈতিক একটা কর্মসূচি ঠেকাতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার।’’ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ মেম্বার স্বপন দাশগুপ্ত এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘কলকাতার রাস্তায় পুলিশ কেন কন্টেনার রাখছে? পুলিশ কি ভাবছে বিক্ষোভকারীরা ট্যাঙ্ক নিয়ে নবান্নে হামলা করবেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ED: আরও চাপে সন্দীপ! আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নামছে ইডি?

    ED: আরও চাপে সন্দীপ! আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নামছে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের স্ক্যানারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। টানা ১১ দিন সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে সন্দীপকে। এমনকী সিবিআই তাঁর বাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালায়। বাড়ি থেকে সবুজ কাপড়ে ভরে নথিও নিয়ে আসে তারা। এবার আরও চাপে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরূপের অভিযোগের তদন্তে নামতে চলেছে ইডি (ED)। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগের নথিপত্র সংগ্রহ করে দিল্লি পাঠিয়ে দিয়েছেন কলকাতার ইডির আধিকারিকরা। দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত এলেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    দুর্নীতির তদন্তে ইডি! (ED)

    সিবিআই-এর পর এবার আরজি কর দুর্নীতিতে (RG Kar Scam) মামলা রুজু করল ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করা হয়েছে। এই ইসিআইআর হল, কোনও মামলায় অভিযোগ দায়ের করে ইডির (ED) নিজেরই সেই তদন্তের পথে পা বাড়ানো। বলা হয়, পিএমএলএ অ্যাক্টে (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) ব্যবস্থা গ্রহণের আগে সাধারণত ইডি এই ইসিআইআর দায়ের করে। সিবিআইয়ের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই এই ইসিআইআর দায়ের করেছে তারা। অভিযুক্ত হিসেবে প্রথম নামই সন্দীপ ঘোষের। কিছুদিন আগেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় ইডির তদন্ত চেয়ে মামলার আবেদন করেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন মেডিক্যাল) আখতার আলি। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে আর্জি জানান তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেয় কোর্ট। অন্যদিকে, আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলার পাশাপাশি এই আখতার আলিরই দায়ের করা দুর্নীতির মামলারও তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দু’টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই, এবার আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তভার ইডির হাতে যে কোনও সময়ই যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    নথি সংগ্রহ করেছে ইডি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে সোমবার সিবিআইয়ের কাছে থেকে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা। টালা থানায় গিয়ে আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এফআইআর-এর কপি সংগ্রহ করেছেন তাঁরা (ED)। সমস্ত নথি পাঠানো হয়েছে দিল্লির প্রবর্তন ভবনে। সেখানকার কর্তারা নির্দেশ দিলে কলকাতায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করবেন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সিবিআইকে আরজি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভার দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার, মানবদেহ পাচার, ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও ঘনিষ্ঠদের স্টল বিলির অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: হাতে জাতীয় পতাকা, জলকামান-টিয়ার গ্যাস উপেক্ষা করেই নবান্নর পথে প্রতিবাদীরা

    Nabanna Abhijan: হাতে জাতীয় পতাকা, জলকামান-টিয়ার গ্যাস উপেক্ষা করেই নবান্নর পথে প্রতিবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’, যাকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শহর কলকাতা ও হাওড়ার বেশকিছু এলাকা। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় (Protest March)। এদিকে নবান্নে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বিশাল ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অভিযান আটকাতে সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফরশোর রোড, লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। এর পর বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ছোড়ে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে ছত্রভঙ্গ করার পর আন্দোলনকারীদের ধরপাকড়ও শুরু করে পুলিশ। তার মধ্যে স্লোগান ওঠে, ‘দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। 

    আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে লাঠি চার্জ (Nabanna Abhijan) 

    নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় হাওড়ায়। জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল উপেক্ষা করে নবান্নর দিকে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন প্রতিবাদীরা (Protest March)। তাঁদের দাবি— মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। কারও হাতে প্ল্যাকার্ড, লেখা ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। আবার ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘উই ওয়াণ্ট জাস্টিস’। বৃহৎ মিছিল নিয়ে একাধিক জায়গা থেকে নবান্নের (Nabanna Abhijan) দিকে আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চেয়ে এগিয়ে চলেন। অপর দিকে পুলিশ জল কামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছেন আন্দোলনকারীরা (Protest March)। অপর দিকে হাওড়ায় আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে লাঠি চার্জ করলে পাল্টা জন সাধারণের সঙ্গে তুমুল ধুন্ধুমার বাঁধে। ইতিমধ্যে অনেক পড়ুয়া এবং সাধারণ মানুষ লাঠির আঘাত এবং কাঁদানে গ্যাসের কারণে আহত হয়েছেন। অপর দিকে এক পুলিশ কর্তার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। একই ভাবে কলেজ স্ট্রীট থেকে ছাত্র সমাজের আরও একটি মিছিল নবান্নের দিকে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ মিছিল আটকাতে রাস্তায় অত্যন্ত মরিয়া হয়ে উঠেছে।

    নবান্নর সামনে চলে এলেন প্রতিবাদীরা

    একদিকে, যখন আন্দোলনকারীদের (Protest March) ঠেকাতে মরিয়া মমতার পুলিশ, ঠিক সেই সময় নবান্নর একেবারে সামনে চলে আসেন প্রতিবাদীরা। নবান্ন (Nabanna Abhijan) থেকে ১০ মিটার দূরে হঠাৎই আন্দোলনকারীরা চলে আসেন। আন্দোলনকারীরা হঠাৎই চলে আসেন নর্থ গেটের থেকে ১০ মিটার দূরে। নবান্নের সামনে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা সত্ত্বেও চলে আসেন আন্দোলনকারীরা। ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন তাঁরা (Protest March)। বসে স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। জাতীয় পতাকা হাতে চিৎকার করতে শুরু করেন। বলতে থাকেন ‘দাবি এক, দফা এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। খানিকক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।

    সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা (Protest March)

    সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। একের পর এক ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে উপড়ে ফেলেন। আন্দোলনকারীরা (Nabanna Abhijan) মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবি করলে, পুলিশের সঙ্গে ছাত্র সমাজের ব্যাপক বাদানুবাদ বাঁধে। ব্যারিকেড তুলে ফেলতেই আন্দোলনকে দমন করতে একযোগে পুলিশ এবং র‌্যাফ নামে ঘটনাস্থলে। এরপর জল কামান থেকে শুর হয় জল বর্ষণ। পুলিশ সামনে এগিয়ে যেতেই আন্দোলনকারীরা কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে যান। এরপর আবার আন্দোলনকারীরা সামনে এগিয়ে যান।

    হাওড়ায় জল কামান বর্ষণ

    অপরদিকে হাওড়া ব্রিজের উপর আরও একটি দল নবান্নের দিকে যেতে ব্যারিকেডকে সরিয়ে ক্রমেই এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু পাল্টা পুলিশ বিশাল এই মিছিলের (Nabanna Abhijan) লোকজনকে আটকাতে অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আচমকা পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। একই ভাবে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। এরপর উত্তেজিত জনতার রোষ সামলাতে জলকামান থেকে শুরু করা হয় জলবর্ষণ। এখানে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সবকিছুকে অতিক্রম করে মানুষ আন্দোলনে এখনও অনড় হয়ে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    কলেজ স্ট্রীটের মিছিলে (Protest March) স্কুল পড়ুয়ারা

    আন্দোলন (Nabanna Abhijan) আটকাতে পুলিশ ব্যারিকেডের উপর মোবিল এবং গ্রিজ লাগিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। একই ভাবে রাস্তা আটকাতে শহরের একাধিক জায়গায় ক্রেনের মাধ্যমে বড় বড় কন্টেনার নামিয়ে দেয় পুলিশ। কলজে স্ট্রিট এবং এজসি বোস রোডে রাস্তার উপর কন্টেনার নামানো হয়। এগুলির সামনে বেশ কিছু ক্রেন রাখা ছিল। এদিকে কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ‘নবান্ন চলো’ ব্যানার লিখে একটি বড় মিছিল যাত্রা শুরু করে। এই মিছিলে স্কুল পড়ুয়ারাও যোগদান ছিলেন। এদিকে এই আন্দোলনকে সমর্থন করে কল্যাণীর বিজেপি নেতা অম্বিকা রায় যোগ দেন। একই সঙ্গে মিছিলে (Protest March) দেখা গিয়েছে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে। মানুষের একটাই দাবি, ‘নির্মম মমতার পদত্যাগ’। 

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আদালতে দেখা হবে…’’, ধৃত ৪ ছাত্রকে আইনি সহায়তার আশ্বাস, পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) গ্রেফতার হওয়া আন্দোলনকারী ছাত্রদের সবরকম সাহায্য করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন তিনি। তার জন্য যা আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন এবং যত অর্থ খরচ হয়, তা বহন করবেন তিনিই, জনালেন শুভেন্দু নিজেই। একই সঙ্গে শুভেন্দু এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনও আন্দোলনকারীকে পুলিশ মারে তাহলে তিনি পথে নামবেন, দরকার পড়লে অবরোধে বসবেন।

    চার ছাত্রকে ছাড়াতে সাহায্য 

    আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান করছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত চার ছাত্রের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর এদিন সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরে, বিরোধী নেতার কথাই সত্যি হয়। দেখা যায়, ওই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ওই চার ছাত্রের দায়িত্ব তিনি নেবেন। তাঁদের ছাড়ানো এবং আইনি সাহায্য তিনি করবেন। বিরোধী দলনেতা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘ছাত্রদের পরিবার মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওখানেই দেখা হবে।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘আজই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবীরা ওই মামলাটি পেশ করেছে। মামলা হবে মমতা পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বিনীত গোয়েল (কলকাতা পুলিশ কমিশনার) আর রাজীব কুমার (রাজ্যপুলিশের ডিজি) এবং প্রবীণ ত্রিপাঠী (হাওড়ার পুলিশ কমিশনার)-এর বিরুদ্ধে।’ 

    আন্দোলনকারীদের পাশে শুভেন্দু

    একই সঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনও আন্দোলনকারীকে পুলিশ মারে তাহলে তিনি পথে নামবেন, দরকার পড়লে অবরোধে বসবেন। শুভেন্দু জানান, তিনি হাওড়ায় রেলের গেস্ট হাউসে থাকবেন। নবান্ন চলোর (Nabanna Abhijan) ডাক দেওয়া ছাত্র সমাজের পাশেই তিনি রয়েছেন। আন্দোলন দমনের চেষ্টা হলে, কাউকে মারধর করা হলে রাস্তায় নেমে অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ইতিমধ্যেই ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজন ছাত্র নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের পরিবারকেও আগে খবর দেয়নি পুলিশ। সকলকে মুক্ত করানোর বিষয়ে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি যা করণীয় সব কিছুই করবেন। শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি কোনও আন্দোলনকারীকে পুলিশ মারে তাহলে তিনি পথে নামবেন, দরকার পড়লে অবরোধে বসবেন।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর আশঙ্কাই হল সত্যি, নবান্ন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চার ছাত্র গ্রেফতার

    রাজনৈতিক দল নামলে কী করবে?

    নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) আগে পুলিশ বেশ কিছু জায়গায় ধরপাকড় করেছে। সে প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, ‘‘অনেক জায়গায় গিয়েছে। শঙ্কর গুছাইত হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন। তাঁকেও টেনেহিঁচড়ে আটক করে নিয়ে গিয়েছে। মানুষ সব দেখছে। রাজ্য সরকার আজ ৪-৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। ভালো ভালো রাস্তা খুঁড়েছে। এমনকী, গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার এনে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে রেখেছে। এ রকম দেখেছেন কখনও? সবাই বলেছে অরাজনৈতিক মিছিল। তার পরেও এই সব। এর পরে রাজনীতির লোকেরা পথে নামলে কী করবে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে জোর দিয়েছি।” মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।” এর পরেই তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে।”

    মোদির শিরঃপীড়ার কারণ হিন্দু নিপীড়ন (PM Modi)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে হিংসার আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দুদের। ঘরবাড়ি জ্বালানোর পাশাপাশি করা হয় খুন। হিন্দু মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় হিন্দু পদাধিকারিদের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিংসা ওঠে চরমে। পড়শি দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিরঃপীড়ার কারণ, তার আঁচ মিলেছিল ১৫ অগাস্ট, ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। এদিন দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্খী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।”

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করল বাংলাদেশ সরকার

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত সব সময় শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।” ইউক্রেন ইস্যুতেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের বিশদ মত বিনিময় হয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বর্তমান (Bangladesh Crisis) যুগে যুদ্ধে যে কোনও সুফল মেলে না, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা, পুলিশ কমিশনারের ফোন বাজেয়াপ্ত করুক সিবিআই’, দাবি সুকান্তর

    RG Kar Incident: ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা, পুলিশ কমিশনারের ফোন বাজেয়াপ্ত করুক সিবিআই’, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের নির্দেশে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তও করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে রবিবার সাতসকালে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ করের বাড়ি সহ ১৫টি জায়গায় সিবিআই দল হানা দিয়েছিল। এবার দুর্নীতির তদন্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফলে, আরজি কর দুর্নীতির তদন্তে মমতাকে নিশানা করলেন সুকান্ত। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

     স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফোন বাজেয়াপ্ত করার দাবি (RG Kar Incident)

    সুকান্ত  (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, সিবিআই এই তদন্তের মধ্যে দিয়ে বাংলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় (RG Kar Incident) যে ঘুন ধরেছে, বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর হয়ে গিয়েছে, তাকে ঠিক করার দিকে অগ্রসর হবে। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালায় একটা দুষ্ট চক্র। এই চক্রে বেশ কিছু প্রভাবশালী ডাক্তার আছেন। সবাই মিলেই ডুববেন। চিন্তা নেই। বাংলার মানুষ দেখতে চাইছেন, কবে বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে সিবিআই রেড করবে। যাঁরা যাঁরা দুর্নীতিতে এবং চক্র চালানোতে জড়িত, তাঁদের সবার বাড়িতে সিবিআই পৌঁছবে। এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু, বারবার একটা কথাই বলছি, বাংলার মানুষের ইচ্ছা, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বাড়িতে সিবিআই যাক। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুক। নারায়ণ স্বরূপ নিগম সাহেবের ফোনটা, বিনীত গোয়েলের ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুক। দুজন যে মাথা রয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমার তাঁদের ফোনের তদন্ত হওয়া উচিত। এঁরা হলেন নাটের গুরু। তাঁরা দুজনে ওপরে বসে সমস্ত বুদ্ধিদাতার কাজ করেন।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপির একগুচ্ছ কর্মসূচি

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) দোষীদের শাস্তি এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আগামী সপ্তাহে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অবস্থান বিক্ষোভ সহ চাক্কা বন‍্ধের ডাক। জানা গিয়েছে, আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে ২৮ অগাস্ট ধর্মতলা থেকে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে ২৮ অগাস্ট রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে তালা লাগানোর কর্মসূচি রয়েছে। ২৯ অগাস্ট প্রতিটি জেলায় বেলা ১২টা নাগাদ জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর জেলার সমস্ত ব্লকে সকাল ১১টা থেকে এক দিনের অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে চাক্কা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: শুভেন্দুর আশঙ্কাই হল সত্যি, নবান্ন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চার ছাত্র গ্রেফতার

    Nabanna Abhijan: শুভেন্দুর আশঙ্কাই হল সত্যি, নবান্ন অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চার ছাত্র গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল (Nabanna Abhijan)। মধ্যরাতের পর হাওড়া স্টেশন থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন চার ছাত্র। পুলিশ এই চার ছাত্রকে আটক করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সমাজমাধ্যমে শুভেন্দুর পোস্টের পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই চার ছাত্রের পরিবার। তাঁরা আদালতে যাওয়ার পরই পুলিশের তরফে জানানো হয় গ্রেফতারির কথা। পুলিশের দাবি, খুন ও খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওই চারজন! কিন্তু প্রশ্ন হল ছাত্ররা যাই করুক তাঁদের গ্রেফতারির কথা কেন জানানো হল না পরিবারকে? বিরোধী নেতা যদি না সমাজমাধ্যমে ওই চারজনের পরিচয় জানিয়ে পোস্ট করতেন, তাহলে কেউ জানতেই পারতেন না।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, চার আন্দোলনকারীর নাম শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি ও প্রীতম সরকার। হাওড়ায় স্বেচ্ছাসেবকদের ফুড প্যাকেট বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন চার জন (Nabanna Abhijan)। হঠাৎ করে মধ্যরাত থেকে তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর। এমনকী, ফোনেও তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তাদের গ্রেফতার বা আটক করেছে। তাঁদের কিছু হলে সেই দায়িত্ব মমতার পুলিশকে নিতে হবে।’’

    আদালতের দ্বারস্থ পরিবার

    সমাজমাধ্যমে বিরোধী দলনেতার পোস্টের পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই চার ছাত্রের পরিবার। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিবারের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। পরিবারকে এই নিয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। বুধবার উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে রাজ্য পুলিশের হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Abhijan) ওই চার জন অশান্তি পাকানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    কেন ইনফর্ম করল না পুলিশ?

    মঙ্গলবার, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই আন্দোলনের সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে প্রবীর দাস, শুভঙ্কর হালদার ও সায়ন লাহিড়িকে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যে চার জনের কথা উল্লেখ করেছেন, তাঁরাও এই আন্দোলনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে দাবি। এদিনের অভিযানে (Nabanna Abhijan) বিপুল জমায়েতের আশঙ্কা করে অতি তৎপর পুলিশ প্রশাসন। তাই যে কোনও পন্থা অবলম্বন করছে মমতার পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন হল, ছাত্রদের গ্রেফতারের কথা আগে পুলিশ কেন জানাল না? বাড়িতে কেন ইনফর্ম করা হল না? নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতার হলে, বাড়ির লোককে জানাতে হবে সঙ্গে সঙ্গেই। সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হলেও, মঙ্গলবার বেলা গড়িয়ে গেল পুলিশের এই তথ্য খোলসা করতে। সেটাও, বিরোধী নেতা (Suvendu Adhikari) যদি না সমাজমাধ্যমে ওই চারজনের পরিচয় জানিয়ে পোস্ট করতেন, কেউ জানতেই পারতেন না। এমনকী, পরিবারও জানতে পারত না! ছাত্র সমাজ জানতে পারত না নিখোঁজ হয়ে গেল তাঁদের বন্ধুরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: ন্যায় বিচারের দাবিতে বুধবার ধর্মতলা অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Rape-Murder: ন্যায় বিচারের দাবিতে বুধবার ধর্মতলা অভিযানের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) চিকিৎসক তরুণীর হত্যাকাণ্ডে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সরাসরি এই আন্দোলনের ডাক না দিলেও, নৈতিক সমর্থন করে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলে থাকার বার্তা দিয়েছে। একই ভাবে বাংলার প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন করে আন্দোলনে যোগদানের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ন্যায় বিচারের (justice) দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার ধর্মতলা অভিযানের কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁরাও সমাজের সকল স্তরের আপামর জন সাধারণ মানুষকে পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

    দুপুর ১২ টায় শ্যামবাজার থেকে মিছিল (RG Kar Rape-Murder)

    সোমবার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন নাগরিক গণ কনভেনশনের বৈঠক হয়। সেখানে ‘অভয়া’র হত্যাকারীদের (RG Kar Rape-Murder) ফাঁসির দাবিতে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় শ্যামবাজার থেকে শুরু হবে ডাক্তারদের মিছিল। এই মিছিলে যে শুধু জুনিয়র ডাক্তাররাই থাকবেন তা নয়, বড় অংশের সাধারণ ছাত্র সমাজও থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন তাঁদের পরিবার-পরিজনরাও। একই ভাবে, বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু করে শিক্ষক, অভিনেতা, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমাজের একটা বড় অংশ আন্দোলনে যোগদান করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে

    কনভেনশনের বক্তব্যে এদিন উঠে আসে, ‘‘বিচার দাবি করে পাওয়া যাবে না, ছিনিয়ে আনতে হবে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অপরাধতন্ত্র চলছে। দুর্নীতি দেখেছিল বলেই তরুণী চিকিৎসককে খুন (RG Kar Rape-Murder) হতে হয়েছে। যে শাসক দল বলে খেলা হবে, সেই খেলাকে আমরা মানি না। হাসপাতাল হল প্রাণ বাঁচানোর জায়গা এখানে কোনও হত্যালীলা চলতে পারে না। আন্দোলন আরও চালিয়ে যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তাই প্রশ্ন তাঁকেও করতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোয়াধ্যায়কে জবাব দিতে হবে।’’

    আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা

    নাগরিক কনভেনশনের মঞ্চে (RG Kar Rape-Murder) এদিন নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের (justice) দাবিতে অনেক সিনিয়র ডাক্তার, গবেষকরা যোগদান করেছিলেন। একই ভাবে একাধিক বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেছেন। বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজলকৃষ্ণ বণিক, পুণ্যব্রত গুণ, বিনায়ক সেন প্রমুখ। একই ভাবে বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে ছিলেন সোহিনী সরকার, দেবলীনা দত্ত, জিতু কমল, মীর আলি-সহ আরও অনেকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে সকলেই সরব হয়েছেন এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share