Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar: ‘স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট’ কি সব হাসপাতালেই সক্রিয়? কাদের দাপটে চলছে এই সিন্ডিকেট?

    RG Kar: ‘স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট’ কি সব হাসপাতালেই সক্রিয়? কাদের দাপটে চলছে এই সিন্ডিকেট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ ছড়িয়েছে সর্বত্রই! অন্তত এমনই অভিযোগ তুলছে রাজ্যের চিকিৎসক মহল। দুর্নীতির শিকড় (Health Syndicate) নাকি গভীরে পৌঁছে গিয়েছে! আরজি কর (RG Kar) হাসপাতাল ব্যতিক্রম নয়, রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজেই চলছে এমন দুর্নীতি। এমন অভিযোগ তুলেই সরব হয়েছে রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক কলেজ কাউন্সিল অভিযুক্ত চিকিৎসক ও পদাধিকারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে! এমনটাই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।

    স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট কী?

    রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজেই এক অসাধু চক্র সক্রিয় রয়েছে। কলেজের হস্টেলে ঘর পাওয়া থেকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি, এমনকী পাশ করানোর ক্ষেত্রেও দুর্নীতির এই চক্র সক্রিয় থাকে। তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা না করলে পড়ুয়াদের পাশ করানো হবে না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়। পাশপাশি অভিযোগ, ইন্টার্ন কিংবা হাউজ স্টাফদের হুমকি দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা না দিলে ওই পড়ুয়ার এমবিবিএস সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হবে। এমনকী এমবিবিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেরও ‘দাম’ নির্ধারিত রয়েছে। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের একাংশ জানাচ্ছে, নির্দিষ্ট দাম দিতে পারলে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া যায়। এমনকী পরীক্ষার সময়ে অবাধে বই দেখে লেখার সুযোগও পাওয়া যায়।

    কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের কয়েকজন প্রভাবশালী চিকিৎসক এই স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের মাথায় রয়েছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস হাসপাতাল, এমনকী খোদ স্বাস্থ্য ভবনেও রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ কিছু চিকিৎসকের ছবি দিয়ে পোস্টার আটকেছে চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ওই চিকিৎসক নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য দুর্নীতি চলছে। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়, শাসক ঘনিষ্ঠ এই তিন চিকিৎসক রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নানান অসাধু চক্র চালাচ্ছেন।

    কেন উঠছে অভিযোগ?

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পরেই রাজ্যের চিকিৎসক মহল সরব হয়। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার পাশপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দুর্নীতি নিয়েও নানান অভিযোগ উঠছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর (RG Kar) পিছনে এই দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করার কারণও থাকতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। 
    আর তার সঙ্গেই জোরালো হচ্ছে রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালেও দুর্নীতির আঁতুরঘরের অভিযোগ। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট নিয়ে সরব হন পড়ুয়া ও চিকিৎসকদের একাংশ। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই হাসপাতালের আরও তিনজন চিকিৎসক-শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের হেনস্থা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওঠে। এরপরেই দ্রুত কলেজ কাউন্সিলের তরফে ওই তিন জন চিকিৎসক-শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত কলেজের কোনও কাজ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজেও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে নানান অভিযোগ উঠছে। অসৎ উপায়ে পরীক্ষা নেওয়া এবং পাশ করানোর অভিযোগও উঠেছে। যদিও ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। আর এই সব ঘটনার জেরেই জোরালো হচ্ছে রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্য সিন্ডিকেটের অভিযোগ।

    কী বলছেন অভিযুক্তরা?

    রাজ্যের স্বাস্থ্য সিন্ডিকেট নিয়ে মূলত তিনজন চিকিৎসকের নাম বারবার সামনে আসছে। এই নিয়ে অবশ্য স্বাস্থ্য ভবন মুখ খুলতে চায়নি। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের (Health Syndicate) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এই বিষয়ে কিছুই বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন। আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সুহৃতা পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনের উত্তর দেননি। সুদীপ্ত রায় অবশ্য জানান, তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সোমবার রাতে এ খবর জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। এ বছরই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে চম্পাই গেরুয়া খাতায় নাম লেখালে ঝাড়খণ্ডে যে শাসক দল ঝড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পাইকে সরতে হয় (Champai Soren)

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তখনই হেমন্তর স্ত্রীকে ওই পদে না বসিয়ে বসানো হয় চম্পাইকে। হেমন্ত জামিন পাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয় চম্পাইকে। তখন থেকেই জেএমএম-এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে চম্পাইয়ের (Champai Soren)। তাঁর অভিযোগ, দলের নেতারা তাঁকে অসম্মান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল চম্পাইয়ের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চম্পাইয়ের সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাল গেরুয়া শিবির।

    কবে যোগ চম্পাইয়ের?

    দিন কয়েক আগে ক্ষুব্ধ চম্পাই জানিয়েছিলেন, নতুন দল গঠন করছেন তিনি। বছর সাতষট্টির চম্পাই কবে নয়া দল গড়বেন, তা নিয়ে জল্পনার আবহেই সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমি চাই চম্পাই সোরেন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিন। আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করুন।” সোমবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন চম্পাই। তার পরেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে হিমন্ত লেখেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আদিবাসী নেতা চম্পাই সোরেন। ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বিজেপিতে (BJP)।” এ ব্যাপারে অবশ্য চম্পইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, ঝড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বাবা শিবু সোরেনকে রাজনৈতিক ‘গুরু’ বলে মনে (Himanta Biswa Sharma) করেন চম্পাই। সেই ‘গুরু-পুত্র’র সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই চম্পাই (Champai Soren) নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া (BJP) খাতায়। তাও আবার এমন একটা সময়, যখন শিবু-হেমন্তের রাজ্যে দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল, নাকি গরু চরার মাঠ’’, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তুলোধনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল, নাকি গরু চরার মাঠ’’, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তুলোধনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনে ইতিমধ্যেই যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন তাঁরা। এই আবহে সোমবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।

    আন্দোলন জোরদার করার ডাক (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘রবিবার ধর্না মঞ্চ থেকে জানিয়েছিলাম, আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করব তাঁর বাবা, মা’র সঙ্গে। সেই মতো নির্যাতিতার বাড়িতে এসে তাঁদের সমবেদনা জানালাম। ওর বাবা, মা অত্যন্ত মর্মাহত। তাই বেশি সময় আমি ছিলাম না। ওঁরা সবাইকে অনুরোধ করেছেন আন্দোলন চালিয়ে যেতে যাতে ন্যায়বিচার হয়। কী কারণে মেয়ের এই পরিণতি হল? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কোনও ধর্ষিতা এই রাজ্যে ন্যায় পাচ্ছে না। সব থেকে বড় উদাহরণ কামদুনি। তখন আইজি সিআইডি ছিলেন বিনীত গোয়েল। এখন উনিই কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাই, পরিবারের সন্দেহ, আন্দোলন থেমে গেলে ন্যায়বিচার হবে না। সে জন্য আমিও আবেদন জানাচ্ছি সকলের কাছে। রাজনৈতিক রং দূরে সরিয়ে সকলে সামিল হন আন্দোলনে। যেভাবে আন্দোলন চলছে, তার থেকেও তীব্র প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    নবান্ন অভিযান নিয়ে হুঁশিয়ারি

    নবান্ন অভিযানে পুলিশের অনুমতি না-থাকা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে আছেন। কোনও অভিযানের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয় না। নবান্ন অভিযান অরাজনৈতিক। এর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আগেও বলেছি সেখানে যাব না। তবে, এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় যেখানে আমাদের পথে নামতে বাধ্য করা হয়। নবান্ন অভিযানে পুলিশ দমন-পীড়ন করলে, বিজেপি পাল্টা নবান্ন অভিযানের ডাক দেবে।’’

    ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ!

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘ওটা ক্রাইম স্থল নাকি গরু চরার মাঠ! সেটাই তো বোঝা দায়! দেখে মনে হচ্ছে, নাটকের পুরো স্ক্রিপ্ট রচিত হয়েছে আগেই। ওই ভিডিওতে সবকিছু প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দেখে মনে হয়েছে, কী করতে হবে। কী বলতে হবে। সেই চিত্রনাট্য যেন আগে থেকেই তৈরি। অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না বলে মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। কারণ, প্রমাণ গায়েব করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ ছিল মৃতদেহ। স্থানীয় বিধায়ক শ্মশান ও লোকাল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অন্য মৃতদেহ টপকে নির্যাতিতার দেহ দাহ করেছে। এরকম ঘটনা অন্য কোনও রাজ্যে ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। এখন তো আমার মনেও সন্দেহ, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে আদৌ অপরাধী কি?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    Nabanna Abhijan: নবান্ন অভিযান নিয়ে শঙ্কিত পুলিশ! ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কীসের ভয় মমতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এর আগে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ। গত ১৪ অগাস্ট আরজি করে (RG Kar Incident) ছলে-বলে-কৌশলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল। সে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা পুলিশকে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়। তাই মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানকে (Paschimbanga Chhatra Samaj) ভয় পাচ্ছে মমতা প্রশাসন। নানারকম অপপ্রচারও চলছে। প্রশ্ন উঠছে, মঙ্গলবারের অভিযান (Nabanna Abhijan) নিয়ে পুলিশের কাছে প্রচুর তথ্য অথচ, আরজি করে হামলার আগে পুলিশের কাছে এরকম তথ্য কেন ছিল না? নবান্ন অভিযানে দমন নীতি প্রয়োগের পরিকল্পনাও নিয়েছে মমতা সরকার। কিন্তু স্বাধীনতার আগের রাতে আরজি কর হামলার সময়ে এই বীর পুলিশ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল কেন?

    নবান্ন অভিযান ঘিরে অপ্রচার

    যে কোনও প্রতিবাদকে এখন ভয় পাচ্ছে মমতা প্রশাসন। তাই ছক কষে, আগাম অপপ্রচার চালিয়ে, বদনাম রটিয়ে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে রোধ করাই মমতার প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই অপপ্রচারের অঙ্গ হিসেবে দুটি ভাইরাল অডিও-ভিডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) আটকাতে তৎপর মমতার পুলিশ। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ দাবি করে, নবান্ন অভিযানে দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে গন্ডগোল পাকানো হবে। দাবির স্বপক্ষে গত ২ দিন ধরে অডিও-ভিডিও ভাইরাল ক্লিপ প্রকাশ করা হয় পুলিশ-প্রশাসন, এমনকী তৃণমূলের তরফে। কোথাও আবার আন্দোলেনর মুখ হয়ে ওঠা ছাত্র প্রতিনিধিদের চরিত্র-হননেও নেমে পড়েছে শাসক দল ও উর্দিধারীরা। বিরোধীদের দাবি, এর উদ্দেশ্য একটাই— গণ-আন্দোলনকে খাটো করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কারণ, ছাত্রদের পুলিশ ভয় পেয়েছে। ছাত্রদের প্রশাসন ভয় পেয়েছে। তাঁদের দাবি, ভয় পেয়েছে বলেই ৬০০০ পুলিশ নামানো হচ্ছে, ১৯টি পয়েন্টে ব্যারিকেড করা হচ্ছে, নামানো হচ্ছে ২৬ জন ডিসিকে। জলকামান, বডি প্রোটেকটিভ গিয়ার, টিয়ার গ্যাসেরও প্রস্তুতি থাকছে। বিদ্যাসাগর সেতুর দু’পাশে অর্থাৎ কলকাতা ও হাওড়া দুই দিকেই ব্যারিকেড থাকছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    বিজেপির দাবি, শুভেন্দুর শুভেচ্ছা

    নবান্ন অভিযানের ঠিক আগে আচমকা ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার বিষয়টাকে সন্দেহজনক বলছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, ‘‘এখন তো দেখছি ভিডিও অন ডিমান্ড! যখনই দরকার হচ্ছে, একটা করে ভিডিও চলে আসছে। এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এটা ভুয়ো কি না, জানতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনি লড়াই চালাব। বিজেপির পরিকল্পনা অথচ শীর্ষ নেতৃত্ব জানেন না, আর মণ্ডল সভাপতি জেনে গেলেন?’’ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটও দাবি করেছেন, “তৃণমূল মিথ্যা ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়াচ্ছে। আসলে স্বতঃফূর্ত আন্দোলনের ঝাঁঝ দেখে ভয় পাচ্ছে ওরা।”

    উল্লেখ্য, সোমবার শাসকদলের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, তাদের দাবি সেটা গেরুয়া শিবিরের যেখানে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে অশান্তি ছড়ানোর ছক কষা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে ছাত্রদের (Paschimbanga Chhatra Samaj) শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ছাত্রদের আটকাতে যুদ্ধের প্রস্তুতি পুলিশের!

    অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyan) ঘিরে পুলিশ কতটা তটস্থ, তার প্রমাণ মিলেছে প্রশাসনের নিরাপত্তার বহর দেখেই। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানকে আটকাতে যেন যুদ্ধে নামছে মমতার পুলিশ। চারজন আইজি র‍্যাঙ্কের পুলিশ অফিসার ছাড়াও থাকছেন ডিআইজি এবং এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সুপার, ডিসিপি বা কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ১৩ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এডিসিপি পদের ১৫ জন, ডেপুটি পুলিশ সুপার বা এসিপি পদের ২২ এবং ২৬ জন ইনস্পেক্টর নবান্ন অভিযান ঠেকাতে মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি র‌্যাফ, ইএফআর, স্ট্রাকো বাহিনীর জওয়ান-সহ প্রায় ৬,০০০ পুলিশকর্মী নিযুক্ত থাকবেন। তাঁদের লাঠি থেকে শুরু করে হেলমেট, বডি প্রটেক্টিভ গিয়ার রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    মিছিল আটকাতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। থাকছে জল কামান এবং ড্রোনের ব্যবস্থা। নবান্নর সামনে ৭ ফুট উঁচু উঁচু গার্ডরেল জুড়ে দেওয়া হয়েছে নাট-বল্টু দিয়ে। তার সামনে রাখা হয়েছে বালির বস্তা। এছাড়াও লোহা দিয়ে মাটির সঙ্গে দৃঢ় ভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।  কলকাতা থেকে সেকেন্ড হুগলি ব্রিজে ওঠার আগেই রাস্তায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক লোহার ও বাঁশের ব্যারিকেড। প্রতিটি ব্যারিকেডের সামনে লাগানো হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ, মনে হচ্ছে যেন ছাত্রদের মিছিল ঠেকাতে নয়, কোনও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্যের পুলিশ! অবশ্য, যে পুলিশ আরজি করের হামলার সময় ভয়ে পালিয়ে যায়, তাদের কাছে এটা তো যুদ্ধ হবেই! তারা বলছেন, মমতা কতটা ভয় পেয়েছেন, তা এর থেকেই প্রমাণিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    Nabanna Abhijan: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠতার কণ্ঠরোধ করা নয়।’’ মঙ্গলবার ছাত্রদের নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) আগে রাজ্যকে সতর্কবার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Incident) চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ওই কর্মসূচিকে সোমবার ‘পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। 

    রাজ্যপালের সতর্কবার্তা

    রাজভবন থেকে ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও-বার্তায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে রাজ্যপাল বোসের (CV Ananda Bose) মন্তব্য, ‘‘বাংলার ছাত্রদের তরফে যে প্রতিবাদ কর্মসূচি (Nabanna Abhijan) নেওয়া হয়েছে তা ঠেকাতে সরকার বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে বলে আমি খবর পেয়েছি। আমি রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী ছিল তা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বলতে চাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের দমন করতে পশ্চিমবঙ্গে যেন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করা না হয়। মনে রাখবেন, গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে নীরব করে দেওয়া নয়।’’ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না বা প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আদালত মনে করিয়ে দেয়, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে। তবে যতক্ষণ তার প্রয়োজন না পড়ছে, যতক্ষণ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ কোনও বাধা দেওয়া যাবে না।’’ সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এই কথাই নবান্নকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে মদ্যপ পুলিশ, মহিলাকে হেনস্থা! তুমুল বিক্ষোভ

    পুলিশের দমননীতি

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) এর আগে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির তিক্ত স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শহর জুড়ে প্রতিটি এলাকাতেই রাস্তার মোড়ে বড় বড় জমায়েত হয়েছিল। পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেছিলেন, এই সব জমায়েত নেতৃত্ববিহীন ছিল। ফলে কোথায় কত লোকের জমায়েত হতে পারে তা আন্দাজ করা মুশকিল ছিল। ২৭ তারিখের মিছিল নিয়েও তেমনই উদ্বেগে রয়েছে সরকার। তাই নবান্নের (Nabanna Abhijan) নিরাপত্তায় থাকছেন প্রায় ১০০ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। ২ হাজার কনস্টেবল। এছাড়াও কলকাতা ও হাওড়া ঘিরে রাখবে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 27 August 2024: সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 August 2024: সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত আশার জন্য বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির ব্যাপারে আইনি সাফল্য আসতে পারে।

    ২) বাড়িতে বিরোধী মনোভাব ত্যাগ করাই ভালো হবে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) কোনও বিবাদ মারামারি পর্যন্ত যেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) সকালের দিকে অশান্তির জন্য মন ভালো থাকবে না।

    ২) কর্মজগতে জনপ্রিয়তা পেতে পারেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) বাড়িতে সুসংবাদ আসতে পারে।

    ২) নতুন কাজের সন্ধান করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) কাজের চাপে ক্লান্তি আসতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর দ্বারা ব্যবসায় উপকার পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) উদ্বেগের জন্য কোনও কাজ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের চিকিৎসার কাজে অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে আত্মত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) সঙ্গীতে নাম বাড়তে পারে।

    ২) অতিরিক্ত লোভ আপনার জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) বন্ধুদের থেকে একটু সাবধান থাকুন, অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) কারও সমালোচনা করতে যাবেন না, সমস্যা হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধির যোগ আছে।

    ২) উপকারের বিনিময়ে অপমানিত হতে হবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) বিশেষ ব্যক্তির দ্বারা সংসারে উন্নতির যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ২) সন্তানদের পরীক্ষার ফল ভালো হবে। 

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Halisahar: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে মদ্যপ পুলিশ, মহিলাকে হেনস্থা! তুমুল বিক্ষোভ

    Halisahar: আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে মদ্যপ পুলিশ, মহিলাকে হেনস্থা! তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার সন্ধ্যায় হালিশহরে (Halisahar) ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা মিছিল বের করেন। তাঁদের প্রিয় ফুটবল দলের পতাকা ও জার্সি গায়ে হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। সেই মিছিলেই মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করার অভিযোগ উঠল হালিশহর থানার এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, ওই পুলিশ কর্মীকে ধরে স্থানীয় লোকজন তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Halisahar)

    রবিবার সন্ধ্যায় বীজপুর থানা মোড় থেকে হালিশহর (Halisahar) বাগমোড় পর্যন্ত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সুবিচারের দাবিতে মিছিল বের হয়। প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য সেখানে হাজির ছিল হালিশহর থানার পুলিশ। অভিযোগ, এক কনস্টেবল সেখানে মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করছিলেন। কাজ থেকে ফেরার পথে বিষয়টি এক মহিলার নজরে আসে। তিনি তার প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মী উল্টে ওই মহিলাকে হেনস্থা করেন। এমনকী গালিগালাজ করেন। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ওই পুলিশ কর্মীকে ঘিরে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। সহকর্মীরা কোনওভাবে সেখান থেকে ওই পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরে, ওই মহিলাসহ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা হালিশহর থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    মহিলা কী বক্তব্য?

    মহিলার বক্তব্য, আমি কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। আরজি কর (RG Kar Incident) নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল দেখে আমি তাতে সামিল হতে যাই। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ কর্মী বেসামালভাবে হাঁটছিলেন। আমি তার প্রতিবাদ করতেই তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। আমাকে হেনস্থা করেন। আমি ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে হালিশহর (Halisahar) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন। আন্দোলনে সামিল হয়েছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। এই আবহের মধ্যে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। নিজেদের অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছে তারা। তবে, কোনও রাজনৈতিক দল চাইলেই সমর্থন করতে পারে তাদের কর্মসূচিকে। ছাত্র সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। এরমধ্যে আবার ২৭ অগাস্ট যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজনীতির রং লাগছে বলে এদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশের কর্তারা। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Nabanna Abhijan)

    এমনিতেই সিপিএম প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই কর্মসূচিতে নেই। তবে, অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ছাত্রদের অধিকার আছে যে পথেই হোক প্রতিবাদ করার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে (Nabanna Abhijan) দেখে ভয় পেয়েছেন। তাই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে তির চালাচ্ছেন। সামনে এসে লড়ার সৎ সাহস নেই, পুলিশকে সামনে রেখে এসব অভিযোগ করছে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আমরা উদ্যোক্তা না হলেও আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে।” এদিন সুকান্ত দাবি করেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে সীমান্তে যত না ব্যারিকেড করা হবে, তার থেকে বেশি ব্যারিকেড রাজ্য পুলিশ দিচ্ছে। ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ, তৃণমূল একইসুরে কথা বলছে। উভয়ই বলছে, অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হবে। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। আইজি আইনশৃঙ্খলা তো আইজি বেআইন ও উচ্ছৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    ‘নবান্ন অভিযানকে ঘিরে কাঁপছে সরকার’

    এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) ঘিরে সরকার কাঁপছে। বলেন, আসলে পুলিশ ভয় পাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা দেওয়া চলবে না। যেভাবে রাত দখলে রাত দখলে লাখ লাখ মানুষ নেমে পড়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও মানুষ নামবে। আর তাই সিপিএমের একটা অংশ, পুলিশ এবং তৃণমূল মিলে বোঝাতে চাইছে, এটা এবিভিপি, এটা বিজেপি। আরে বিজেপি হোক, এবিভিপি হোক সমস্ত সাধারণ মানুষ, যাই রাজনৈতিক পরিচয় হোক না কেন, তাঁরা একসঙ্গে নামবে। মাথায় রাখবেন বাঙাল-ঘটি মিশে গেছে।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    Chickpeas Benefits: সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা! নিমেষেই কাবু কোন কোন রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল। আর ঠিক তার পরেই রাতের ভেজানো ছোলা। এই খাবার খেয়েই কি দিন শুরু করেন? তাহলে কিন্তু একাধিক রোগকে সহজেই কাবু করা সম্ভব! পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তার উপরে খালি পেটে ভেজা ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত ভিজে ছোলা খেলে কোন রোগকে কাবু করা সম্ভব?

    স্থূলতা কাবু সহজেই (Chickpeas Benefits)

    সকালে খালি পেটে ভিজে ছোলা খেলে স্থূলতা সহজেই কাবু হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। পাশপাশি ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই অল্প পরিমাণ ছোলা খেলেও পেট ভরে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার ঝুঁকি কমে (Empty Stomach)। স্থূলতার সমস্যাকেও সহজেই এড়ানো যায়।

    কাবু ডায়াবেটিসও

    ছোলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার। এর জেরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এর জেরেই টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ যেমন কমে, তেমনি ডায়াবেটিস আক্রান্তরাও নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে তাঁদের সহজেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

    আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, মহিলাদের আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়‌। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। আয়রনের ঘাটতির জেরে কার্যক্ষমতাও কমে। নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে (Empty Stomach) আয়রনের ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, গর্ভবতী মহিলারা এবং সদ্যোজাতের মায়েরা নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে বাড়তি উপকার পাবেন‌। অ্যানিমিয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে (Chickpeas Benefits)

    ভেজানো ছোলা সকালে নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ছোলায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এই ধরনের উপাদান হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ভেজানো ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক থাকে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে‌।

    চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, ভেজানো ছোলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায়। হজম শক্তি বাড়ায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের সমস্যা কমে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হজমের গোলমালের জেরেই অধিকাংশের চুল ও ত্বকের সমস্যা হয়। শরীরে নানান রকম অ্যাসিড তৈরি হয়। তার ফলেই ত্বকে নানান সমস্যা হয়‌। চুল পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই নিয়মিত ছোলা (Chickpeas Benefits) খেলে এই ধরনের সমস্যা কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের অনুমোদন থাকলেও ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে এখনও পর্যন্ত  উদ্যোগ নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই চিঠির জবাব দেয় কেন্দ্র। সেই চিঠিতে অন্নপূর্ণা জানালেন, ধর্ষণ ও শিশুদের উপর নির্যাতনের মামলার দ্রুত শুনানির জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তার মধ্যে বেশিরভাগের কাজ শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা ও শিশুদের সমস্যা দূরীকরণে কেন্দ্র একটি ন্যাশনাল হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা চালু করেনি।

    কেন্দ্রের চিঠিতে কী বলা হল

    আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গত ২২ অগাস্ট চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষকদের শাস্তি দিতে কঠোর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের আবেদন জানান। এইসব ঘটনার দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের কথাও বলেন তিনি। তাঁর চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী চিঠি লিখে জানান, ১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লাগু হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে অন্নপূর্ণা দেবী লিখেছেন, এই ধরনের আদালত গঠনের জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র একটি প্রকল্প শুরু করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, “চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৭৫২টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত কাজ করছে। তার মধ্যে ৪০৯টি পকসো আদালত। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এইসব আদালতে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২০টি শুধু পকসো আদালত। কিন্তু, ২০২৩ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই আদালতগুলির কাজ শুরু হয়নি।”

    আরও পড়ুন: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা

    কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এই আবহে কেন্দ্রের চিঠিতে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য। কেন্দ্রের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, তারা বার বার অনুরোধ করে মনে করালেও রাজ্যে মহিলা (১৮১) এবং শিশু (১০৯৮)-দের সাহায্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়নি। চালু করা হয়নি ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম’ও। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলা এবং শিশুরা। চিঠির শেষে অন্নপূর্ণা আশাপ্রকাশ করেছেন, রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতনের পথ বন্ধ করে সুরক্ষা দেওয়া হোক। লিঙ্গবৈষম্য দূর করার অনুরোধও করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share