Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kalyan Singh: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    Kalyan Singh: ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ পালন বিজেপির, কার সম্মানে পালন হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২১ অগাস্ট। ১৯২১ সালের এই দিনেই প্রয়াত হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ (Kalyan Singh)। তাঁর মৃত্যুদিনটিকে ‘হিন্দু গর্ব দিবস’ হিসেবে পালন করল বিজেপি। কল্যাণের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠান পালিত হয় ইন্দিরা গান্ধী প্রতিষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র সিংহ, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী, এমপি এবং এমএলএরা।

    আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী (Kalyan Singh)

    যে মানুষটিকে নিয়ে এত অনুষ্ঠানের আয়োজন সেই কল্যাণ সিংহ ছিলেন একজন (Ram Mandir) আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, এমন রাজ্যপাল যিনি তাঁর কথাকে সব সময় কাজে পরিণত করতেন। তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক, পরিশ্রমী নেতা। আদর্শের সঙ্গে কখনও আপোশ করেননি কল্যাণ। রাম জন্মভূমি আন্দোলন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “সরকার থাকুক কিংবা যাক, মন্দির (রাম মন্দির) নিশ্চিতভাবেই তৈরি হবে।” রাজ্যপাল হিসেবে কল্যাণ সিংহ গ্রামীণ সম্প্রদায়, ছাত্র এবং অন্যদের আত্মোন্নতি এবং দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। রাজনীতির কারবারিদের মতে, কল্যাণ সিংহ ইতিহাসের অংশ নন, তিনি ছিলেন ইতিহাস রচয়িতা।

    আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাবান

    ১৯৩৫ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন কল্যাণ (Kalyan Singh)। ছোট থেকেই নীতি এবং আদর্শের প্রতি নিষ্ঠাবান ছিলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে তিনি ছিলেন লয়্যাল, নেতা হিসেবে দৃঢ়। দক্ষ সংগঠকও ছিলেন কল্যাণ। একজন আদর্শ মুখ্যমন্ত্রীর যেমন হওয়া প্রয়োজন, কল্যাণ ছিলেন তেমনই। রাজ্যপাল হিসেবেও তিনি ছিলেন অননুকরণীয়। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের কাঠামো ভাঙার সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ। এই সময়টা ভারতীয় ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৯২ সালের ৬ অগাস্ট অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কল্যাণ ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। লিবারহান কমিশন যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, করসেবকরা মসজিদ ভাঙছে দেখেও গুলি না চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন?

    আরও পড়ুন: কার বিরুদ্ধে পথে? আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ মমতার, কী কী?

    গুলি না চালানোর নির্দেশ

    নির্ভীক কল্যাণের উত্তর, “আমি তো সব সময়ই বলে এসেছি যে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যা ঘটেছিল, তার পুরো দায় আমার। করসেবকদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশ আমিই দিয়েছিলাম।” মসজিদের কাঠামো ভাঙার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন কল্যাণ। তার আগেই অবশ্য তাঁকে বরখাস্ত করেছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে জেনেও কল্যাণ যেভাবে করসেবকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতে তিনি একজন বহুলচর্চিত রাজনীতিক হয়েই থেকে গেলেন (Ram Mandir)। কল্যাণ প্রয়াত হয়েছেন তিন বছর আগে। তবে রেখে গিয়েছেন তাঁর উত্তরাধিকার।

    রাম জন্মভূমি ইস্যু

    রাম জন্মভূমি ইস্যুটি কল্যাণের রাজনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৯১ সালে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় কল্যাণকে। দ্রুত তিনি নিজেকে জাতীয় নেতা হিসেবে গড়ে তোলেন। শপথ নেন উত্তরপ্রদেশকে অপরাধমুক্ত করার। রাম জন্মভূমি এলাকার বিভিন্ন বাধা অপসারণের অঙ্গীকারও করেছিলেন কল্যাণ। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে অ-বিতর্কিত ৪২ একর জমি হস্তান্তর করেছিলেন কল্যাণ। অতিরিক্ত ২.৭৭ একর জমিও অধিগ্রহণ করেছিলেন। কল্যাণের জমি হস্তান্তরের এই সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়েছিল কেন্দ্র। এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শঙ্কররাও চ্যবন। চ্যবন তাঁকে (Kalyan Singh) এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, যদি উত্তরপ্রদেশ সরকার কেন্দ্রের নির্দেশ না মানে, তাহলে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী সরকারকে বরখাস্ত করা হবে।

    মন্দির নির্মাণ হবেই

    জমি হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে যখন কল্যাণ এবং কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব চলছে, তখন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছিলেন, “সরকার থাকুক কিংবা যাক, মন্দির নির্মাণ হবেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুমকি থেকে এটা স্পষ্ট, রাম মন্দির নির্মাণ এখন দাঁড়িয়েছে জনগণের বাধ্যবাধকতা বনাম সংবিধানের ৩৫৬ ধারার প্রশ্ন। যদি সরকার ও মন্দিরের মধ্যে আমায় যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়, আমি মন্দিরটাই বেছে নেব।” জমি হস্তান্তর প্রসঙ্গে তাঁর (Kalyan Singh) যুক্তি, রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে যে ৪২ একর জমি হস্তান্তর করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। অতিরিক্ত যে ২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তার বৈধতা বহাল রেখেছিল হাইকোর্ট। ১৯৯১ সালের ২ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশ সরকার অধিগৃহীত জমির দখল নেয়। জমির মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সম্মতি নিয়েই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল অধিগৃহীত জমির নির্মাণ। কল্যাণ বলেছিলেন, “অযোধ্যায় যা কিছু হচ্ছে, তা আইন মেনেই।”

    ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করসেবকরা এসে ভিড় করতে থাকেন অযোধ্যায়। ৪ তারিখে কেন্দ্রের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন সিংহ বলেছিলেন, “অযোধ্যার ঘটনাবলীর ওপর নিবিড় নজর রাখছে কেন্দ্র। সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষায় প্রযোজনীয় যা কিছু করার, তা করা হবে।” এর ঠিক দু’দিন পরেই ভাঙা হয় তৎকালীন ‘বিতর্কিত’ কাঠামো।

    কল্যাণ (Kalyan Singh) নেই। বিতর্কের অবসান শেষে হয়েছে রাম মন্দিরও। দেবালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে (Ram Mandir) কল্যাণের। যদিও তা দেখে যেতে পারেননি গর্বিত এই হিন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজারে ধর্নায় বসেছে বিজেপি। ধর্নামঞ্চ থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্যে আনলেন বিস্ফোরক তথ্য। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পাঁচ দিন ধরে বিজেপি-র ধর্না চলবে বলেও জানান তিনি। আগামিকাল স্বাস্থ্যভবন অভিযান রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সরব হওয়ার দাবিও জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    ওষুধ পাচার চক্র জেনে যাওয়াতেই খুন! (Suvendu Adhikari)

    ধর্নামঞ্চ (RG Kar Protests) থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনায় শুধুমাত্র উপাচার্য বদল করা হয়নি, ভিসেরা, রক্তের নমুনাও পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আরজি করের ঘটনা একজনের কাজ নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত। ওষুধ পাচার চক্রের কথা জেনে যাওয়াতেই নির্যাতিতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার পর মুছে দেওয়া হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ। ঘটনার রাতের রোস্টারও খাতা থেকে ছিঁড়ে ফেলে হয়েছে। চার-পাঁচ দিনে মমতা এবং তাঁর গুন্ডারা সব তথ্য সাফ করে দিয়েছে। মমতা অপকর্ম লুকোতে চাইছেন।’’

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কল রেকর্ড পরীক্ষার দাবি

    সাধারণ মানুষের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যাঁকে সততার প্রতীক বলতেন, হাওয়াই চটির উল্লেখ হত, মা-মাটি-মানুষের পূজারিণী বলা হত, চরিত্রের উদাহরণ দেওয়া হত, কত শত বিশেষণ জুড়ত, আসলে প্রদীপের নীচের অন্ধকারটা প্রকাশিত হতে চলেছে। তদন্তকারী সংস্থা, সর্বোচ্চ আদালতের কাছে দাবি, অবিলম্বে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, শ্যামাপদ দাস এবং সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নেওয়া হোক। চেক করা হোক ওঁদের কল রেকর্ড।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘটনার পর নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবা টাকা নেননি। জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের আচরণ ঠিক নয়। এক নয়, অনেকে যুক্ত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

    বামেদের আক্রমণ

    এদিন বামেদেরও আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বামপন্থীরা সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়। সারা বছর ‘বিচার চাই’, ‘চোর ধরো’, ‘জেল ভরো’ বলবে, আর ভোটের সময় বলবে, ‘নো ভোট টু মোদি’, ‘নো ভোট টু বিজেপি’। এদের কাজ হচ্ছে, হিন্দু ভোট কাটো। চোর মমতা, ধর্ষকদের নেত্রী মমতা, খুনিদের নেত্রী মমতা, রাজ্যকে রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়া মমতাকে ক্ষমতায় রাখার কাজটাই করে বামেরা। এই মাকু-সেকুদের থেকেও সাবধান থাকতে হবে। লোকসভা ভোটেও ১২টি আসন তৃণমূলকে উপহার দিয়েছে ওরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দু নির্যাতনের খবর করায় ‘সময় টিভি’-র সম্প্রচারে স্থগিতাদেশ, ব্যাপক ক্ষোভ!

    Bangladesh Crisis: হিন্দু নির্যাতনের খবর করায় ‘সময় টিভি’-র সম্প্রচারে স্থগিতাদেশ, ব্যাপক ক্ষোভ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু নির্যাতনের খবর করে বিপাকে বাংলাদেশের ‘সময় টিভি’! বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে খবর করায়ও ‘সময় টিভি’ (Samay TV) নামে ঢাকা কেন্দ্রিক সংবাদ চ্যানেলকে ৭ দিনের জন্য সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। সময় টিভি লিমিটেডের পরিচালক শম্পা রহমানের করা আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে গভর্নর, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ উচ্চপদস্থ হিন্দু পদাধিকারিকদের পদত্যাগে বাধ্য করেছে বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীরা। 

    হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার খবরেই কী রোষ (Bangladesh Crisis)?

    হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, “হিন্দুদের ওপর নৃশংসতার বিষয়ে ব্যাপকভাবে খবর করা হয়েছিল। আগের সরকারের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এই চ্যানেলটি (Samay TV)। তাই আগামী ৭ দিনের জন্য সব রকম সম্প্রচার বন্ধের (Bangladesh Crisis) নির্দেশ দেওয়া হল।” মামলাকারীর আইনজীবী আহসানুল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “চ্যানেল সম্পাদকের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট, পূর্ববর্তী হাসিনা সরকারের পক্ষাবলম্বন করে ব্যাপক ভাবে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের বৈধতা নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।” ইতিমধ্যে সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিসেবে শম্পা রহমানের জায়গায় আনা হয়েছে আহমেদ জোবায়েরকে। শম্পাকে সরানো অবৈধ বলে মনে করছে আইনজীবীদের একাংশ। 

    মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ নয়

    নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে আহমেদ জোবায়ের বলেন, “এই মামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। মামলা দায়ের করা হলেও আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার জন্য আমরা আপিল বিভাগে যেতে চাই।” এদিকে জোবায়েরের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “আমাদের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করা হবে না। এই টিভির মালিকানা ও পরিচালনা সংক্রান্ত একটি মামলা এখনও হাইকোর্টের (Bangladesh Crisis) বেঞ্চে চলছে। এই বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ অগাস্ট ধার্য করা হয়েছে। চ্যানেলটি বন্ধ করার চেষ্টা আগেও হয়েছিল।”

    আরও পড়ুনঃবাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়ন চলছেই, হিন্দু শিক্ষাবিদদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হুমকি স্বরূপ

    আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যে নৃশংস অত্যাচার সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে প্রচুর খবর করে সময় টিভি (Samay TV)। চ্যানেলটির ২ কোটিরও বেশি দর্শক রয়েছে। এদিকে গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সময়ের সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে চক্রান্ত করা হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “আমরা এর সম্প্রচার বন্ধ করার পক্ষে নই।” ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিল (ডিএসইসি) সময় টেলিভিশনের সম্প্রচার স্থগিত করার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে। ডিএসইসি সভাপতি মুক্তাদির অনীক এবং সাধারণ সম্পাদক জওহর ইকবাল খান, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর সময় টিভি-সহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া হাউসে হামলার (Bangladesh Crisis) ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ইকবাল বলেন, “এ ধরনের হামলা গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ। অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 22 August 2024: কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 August 2024: কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতা দেখালে কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) দিনটি ভালো কাটবে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজে অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষায় সাফল্য পাবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) কিছু কেনার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monkey Pox: মাঙ্কিপক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি এইমস, কী আছে তাতে?

    Monkey Pox: মাঙ্কিপক্স নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি এইমস, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্সের (Monkey Pox) উপসর্গ নিয়ে রোগীর খোঁজ মিললে, সেক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন, মঙ্গলবার তার নির্দেশিকা প্রকাশ করল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস (AIIMS Delhi)। যদিও ভারতে এখনও কোনও এই ধরনের আক্রান্তের খবর  নেই। জানা গিয়েছে, আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

    এইমসের ডাক্তাররা কী বললেন?

    এইমস (AIIMS) ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে, মাঙ্কিপক্স একটি ‘ভাইরাল জুনোসিস’, যার লক্ষণগুলি গুটিবসন্তের মতো, যদিও কম গুরুতর। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই রোগ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তা রোধ করার জন্য উচ্চতর সচেতনতা, দ্রুত সনাক্তকরণ এবং কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হু’।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?

    হু (WHO)-এর জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে মান্যতা দিয়ে সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি এইমস (AIIMS)। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা রূপরেখা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের কার্যপ্রণালিতে। প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ফোলা লিম্ফ নোড, ঠান্ডা লাগা, ক্লান্তি এবং ত্বকের ক্ষত। সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য পাঁচটি শয্যা মনোনীত করা হয়েছে।

    এইমসের জারি হওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যতক্ষণ না সন্দেহজনক এমপক্স আক্রান্তদের জন্য মনোনীত হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এইমসে চিকিৎসা করা হবে। উপসর্গ থাকা রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হবে।  অন্যান্য রোগী এবং কর্মীদের সঙ্গে যথাসাধ্য যোগাযোগ কম করে তা নিশ্চিত করতে হবে। কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং সঠিক ডকুমেন্টেশন পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে বজায় রাখতে হবে। পরবর্তীকালে, সন্দেহজনক রোগীদের সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হবে। সেখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা করার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

    পরিকাঠামো নিয়ে কী বললেন চিকিৎসকরা?

    সফদরজং হাসপাতালের মাঙ্কিপক্সের নোডাল অফিসার ডাঃ সুশ্রুত কাঠুরিয়া বলেন, সমস্তরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন জরুরি ব্লকে একটি ঘর এই ধরনের রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে। সুপারস্পেশালিটি ব্লকে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে। আরএমএল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অজয় শুক্লা বলেন, একটি ১০-শয্যার ওয়ার্ড মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। আর হাসপাতালের মেডিসিন এবং চর্মরোগ বিভাগের দুজন নোডাল অফিসার পরিস্থিতির তদারকি করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Undersea Cable Projects: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    Undersea Cable Projects: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India’s Internet Capacity) ডিজিটাল বিপ্লব ঘটতে চলেছে। তিনটি উল্লেখযোগ্য আন্ডারসি কেবল প্রকল্প (Undersea Cable Projects) চলতি বছরের অক্টোবর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি হল ‘২ আফ্রিকা পার্লস’, ‘ইন্ডিয়া-এশিয়া-এক্সপ্রেস’ (IAX) এবং ‘ইন্ডিয়া-ইউরোপ-এক্সপ্রেস’ (IEX)। এই প্রকল্পগুলির রূপায়ণ হলে ভারতের ইন্টারনেট ক্ষমতা চারগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।

    আন্ডারসি কেবল

    আন্ডারসি (Undersea Cable Projects) বা সাবমেরিন যোগাযোগ কেবলগুলি হল ফাইবার-অপটিক কেবল। মহাদেশগুলির মধ্যে ডেটা প্রেরণের জন্য এগুলি মহাসাগরের নীচে স্থাপন করা হয়। এগুলি বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের ভিত মজবুত করে। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এই ধরনের কেবলের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। 

    ২ আফ্রিকা পার্লস

    ‘২ আফ্রিকা পার্লস’ প্রকল্পটি দীর্ঘতম আন্ডার-সি কেবল সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি। ৪৫,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। এখানে বিনিয়োগ করেছে ভারতী এয়ারটেল এবং মেটা। এই বিশাল কেবল নেটওয়ার্কের ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষমতা ১৮০ টেরাবিট প্রতি সেকেন্ড (tbps)। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার ৩৩টি দেশকে সংযুক্ত করবে এই কেবল। এক্ষেত্রে এয়ারটেলের মুম্বই ল্যান্ডিং স্টেশন একটি প্রধান নোড হিসাবে কাজ করবে।

    ভারত-এশিয়া ও ভারত ইউরোপ এক্সপ্রেস

    এছাড়াও, ইন্ডিয়া-এশিয়া-এক্সপ্রেস (IAX) এবং ইন্ডিয়া-ইউরোপ-এক্সপ্রেস (IEX) কেবলগুলি ভারতের সংযোগ ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে। সূত্রের খবর, রিলায়েন্স জিও-র সমর্থনে এই সিস্টেমগুলির প্রতিটি ২০০ টিবিপিএস-এরও বেশি ক্ষমতা যোগ করবে। আইএএক্স কেবলটি ১৬,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে বিস্তৃত হবে। এটি মুম্বইকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান হাব সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুক্ত করবে। একইভাবে, আইইএক্স কেবলটি প্রায় ৯,৭৭৫ কিমি দূরত্বে বিস্তৃত হবে। পারস্য উপসাগরের মাধ্যমে ভারতকে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করবে।

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?

    আন্ডারসি কেবলের সুবিধা

    টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুসারে, ২০২৩ পর্যন্ত, এই নেটওয়ার্কের মোট ক্ষমতা ছিল ১৩৮.৫৫ টিবিপিএস, যার মধ্যে ১১১.১১ টিবিপিএস সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। নতুন কেবলগুলি (India’s Internet Capacity) যোগ করার ফলে এই ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ইন্টারনেট ক্ষমতার বৃদ্ধি পরিষেবার মান উন্নত করবে। বিশেষ করে, ৫জি ভিডিও স্ট্রিমিং, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইস, এআই-ভিত্তিক পরিষেবা এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পগুলি নয়া দিগন্ত খুলে দেবে। দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫ বছরে প্রথম। পোল্যান্ডে পা দিলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৯৭৯ সালে পোল্যান্ড গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। তার পর কেটে গিয়েছে ৪৫ বছর। এবার গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     রাজধানী ওয়ারশর বিমানবন্দরে নামতেই রাজকীয় অভ্যার্থনা জানানো হয় নমোকে। বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওয়ারশর বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানানো হয়। এর পর হোটেলে পৌঁছে পোল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয়দের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

     

    পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে এদিন বেলায় ২ দেশের সফরে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরের বিশেষ আকর্ষণ অবশ্যই তাঁর ইউক্রেন সফর। ২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী যাবেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। বুধবার রওনা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নিজের ভাবনাচিন্তা ভাগ করে নেওয়ার জন্য উন্মুখ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    এদিন সকালে জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ও ইউক্রেনে একটি আনুষ্ঠানিক সফর শুরু করছি। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমার পোল্যান্ড সফর। পোল্যান্ড মধ্য ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের প্রতি আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি আমার বন্ধু প্রাইম মিনিস্টার ডোনাল্ড টাস্ক ও প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ। আমি পোল্যান্ডের প্রাণবন্ত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করব।”

    ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান!

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, “পোল্যান্ড থেকে আমি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে ইউক্রেন সফর করব। এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউক্রেন সফর। আমি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি এবং চলমান ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেব। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত প্রত্যাবর্তনের আশা করি।” প্রধানমন্ত্রীর আশা, তাঁর এই সফর দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক যোগাযোগের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা হিসেবে কাজ করবে এবং আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত সম্পর্কের ভিত্তি তৈরিতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: কার বিরুদ্ধে পথে? আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ মমতার, কী কী?

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী কিভ (Ukraine) সফরে (ইউক্রেনের রাজধানী) শিক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে (PM Modi)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?

    Jay Shah: সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান! আইসিসি-র সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বোর্ডের সচিবের পদ ছেড়ে এবার বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ (ICC) পদে বসতে চলেছেন জয় শাহ (Jay Shah)। মঙ্গলবার রাতেই নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে জানিয়ে দিয়েছেন, আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে আর লড়বেন না। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে জয় শাহকে নিয়ে। আইসিসি চেয়ারম্যান পদে জয় শাহ বসলে, তিনিই হবেন সর্বকনিষ্ঠ আইসিসি চেয়ারম্যান।

    দৌড়ে নেই বার্কলে

    আগামী ৩০ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বার্কলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২৭ অগাস্টের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। যদি একের বেশি মনোনয়ন জমা পড়ে, তা হলে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে, ১৬টি ভোটের মধ্যে ৯টি ভোট পেলেই চলবে জয় শাহের (Jay Shah)। আইসিসি (ICC) চেয়ারম্যান পদে কোনও ব্যক্তি দু’বছর করে সর্বোচ্চ তিন বার ক্ষমতায় থাকতে পারেন। ২০২০ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন বার্কলে। ২০২২ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। হিসেব মতো আরও দু’বছর পদে থাকতে অসুবিধা ছিল না। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তাই বার্কলে আর দাঁড়াচ্ছেন না। 

    কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান

    আইসিসি-র (ICC)  ইতিহাসে কনিষ্ঠতম চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ রয়েছে জয় শাহের (Jay Shah) কাছে। অতীতে ভারত থেকে জগমোহন ডালমিয়া  (১৯৯৭-২০০০), শরদ পাওয়ার (২০১০-২০১২), এন শ্রীনিবাসন (২০১৪-২০১৫) এবং শশাঙ্ক মনোহর (২০১৫-২০২০) আইসিসি-র চেয়ারম্যান হয়েছেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন জয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘বেফাঁস বলে এখন নাটক করছেন’’! সৌরভের আরজি কর প্রতিবাদকে ‘ট্রোল’ নেটপাড়ার

    জয় শাহ-র প্রভাব

    এখন আইসিসি-র (ICC) অর্থ এবং বাণিজ্যিক কমিটির প্রধান জয় শাহ (Jay Shah)। তাঁর পক্ষে সমর্থন রয়েছে একাধিক দেশের। তাঁকে সমর্থন জানাবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে জয় শাহের আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি আইসিসি চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বিপক্ষ হয়তো কেউ না-ও দাঁড়াতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আইসিসি-তে চলে যাবেন জয় শাহ। আইসিসি-তে গেলে বোর্ডের পদ ছাড়তে হবে তাঁকে।

    বিসিসিআই থেকে পদত্যাগ

    লোধা কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের পর বাধ্যতামূলক কুলিং-অফে চলে যেতে হবে জয় শাহকে। তাই বোর্ডের পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি আইসিসি-র চেয়ারম্যান হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। জয় যদি আইসিসির চেয়ারম্য়ান হয়ে যান, তা হলে আবার বোর্ডে ফিরতে অসুবিধা হবে না। একই সঙ্গে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে থাকা মানে ভারত নানা দিকে সুবিধাও পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: সন্দীপের আমলে ‘আর্থিক দুর্নীতি’! ইডি তদন্ত চেয়ে আবেদন, মিলল মামলার অনুমতি

    RG Kar Incident: সন্দীপের আমলে ‘আর্থিক দুর্নীতি’! ইডি তদন্ত চেয়ে আবেদন, মিলল মামলার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনায় সিবিআই নজরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বুধবার ষষ্ঠবার তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছেন। এবার কি আরও বিড়ম্বনায় সন্দীপ? কারণ, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি নিষ্ক্রিয়তা এবং ইডি (ED) তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসপাতালেরই এক প্রাক্তন পদাধিকারী। বুধবার বিষয়টিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিল হাইকোর্ট।

    সন্দীপের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা (RG Kar Incident)

    আরজি করে (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছেন সন্দীপ। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি হাসপাতালের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। মূলত তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। আখতারের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি হাইকোর্টে বলেন, ‘‘আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।’’ বুধবার ওই আবেদন করা হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। আখতার তাঁর নিরাপত্তার আবেদনও করেন। বিচারপতি ভরদ্বাজ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।

    এর পরেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে দ্বিতীয় আবেদনটি জমা পড়ে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের এজলাসে। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। হাইকোর্টে তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের ওই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার একটি সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছে ঠিকই। কিন্তু, সেই সিট গঠন করা হয়েছে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য। আদতে তারা তদন্তের কাজ করছে না। তাই হাইকোর্ট এই বিষয়ে পদক্ষেপ করে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করুক।’’ বক্তব্য শোনার পর মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    প্রাক্তন ডেপুটি সুপার কী বলেছিলেন?

    আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এক মাসের বেশি সময় ওঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্ররা। আমি স্পষ্টবক্তা। আরজি করে (RG Kar Incident) ঘুঘুর বাসা ভেঙেছি। সন্দীপের হরেক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সরব হয়েছি। আমার অনেক শত্রু।’’ তাঁর মতে, সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সব জানেন বলেই তিনি মনে করেন। আশা করেন যে, সন্দীপকে জেরা করে অনেক তথ্য জানতে পারবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ (Made in India) প্রকল্পের বড় জয়। শীঘ্রই ভারতে শুরু হতে চলেছে আইফোনের প্রো মডেলের ফোনের উৎপাদন। এই প্রথমবার, আইফোনের যে কোনও প্রো মডেলের উৎপাদন চিনের বাইরে শুরু করতে চলেছে অ্যাপল। আর তা হতে চলেছে ভারতে। জানা গিয়েছে, প্রথমে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro) সিরিজের ফোনগুলি উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে, আইফোন ১৭ প্রো সিরিজের ফোনগুলি শুধুমাত্র ভারতেই উৎপাদিত হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।এর ফলে, মোবাইল উৎপাদনে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চিনের একাধিপত্যে বিরাট বিরাট ধাক্কা দিল ভারত। সেইসঙ্গে, ভারতীয় বাজারে কোম্পানির প্রভাবকে বিশেষভাবে প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

    অ্যাপলের গ্লোবাল প্রোডাকশন ভারতে (iPhone 16 Pro models)

    জিএসএম (GSM) এরিনার একটি রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী আত্মপ্রকাশের পরপরই ভারতে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro models) এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স (iPhone 16 Pro Max) এর উৎপাদন শুরু করতে চলেছে ফক্সকন (Foxconn India)৷ এতদিন পর্যন্ত, শুধুমাত্র চিনেই এই উৎপাদন গত ৭ বছর ধরে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ভারতে উৎপাদন করে ম্যানুফাকচারিং বেসের গণ্ডি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে অ্যাপল। চলতি বছরের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী, অ্যাপলের মোট আইফোন উৎপাদনের প্রায় ১৪ শতাংশ তৈরি হয়েছিল ভারতে। আগামী বছরের মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে বছরে ২৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরসঙ্গে, আইফোন ১৬ প্রো-র (iPhone 16 Pro) সিরিজ যুক্ত হলে, এই পরিসংখ্যান আরও বৃদ্ধিপাবে। 

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    বৃহত্তর শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে

    ভারতে (Made in India) অ্যাপলের (Apple) আইফোন (iPhone 16 Pro models) উৎপাদনের বিষয়টি দেশের বৃহত্তর শিল্প প্রবণতাকে আরও সুনিশ্চিত করবে। আবার একই সঙ্গে ভূ-রাজনীতির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কোম্পানিগুলি উৎপাদনের জন্য একক ভাবে কোনও দেশের উপর খুব বেশি নির্ভর করার ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। ভারতে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনায় অ্যাপল দেশের ক্রমবর্ধমান বাজার সম্ভাবনাকে পুঁজি করে আরও শক্তিশালী হতে চাইবে। ফলে ভারতে এই আইফোন উৎপাদন সম্প্রসারণের ফলে শুধু অ্যাপলেরই নয়, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিরও উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share