Tag: Madhyom

Madhyom

  • RG Kar Incident: ৪৩ প্রতিবাদী ডাক্তারকে বদলির নির্দেশ, ‘আগুনে ঘি ঢালছেন মমতা’, তোপ বিরোধীদের

    RG Kar Incident: ৪৩ প্রতিবাদী ডাক্তারকে বদলির নির্দেশ, ‘আগুনে ঘি ঢালছেন মমতা’, তোপ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) মুখ পুড়েছে সরকারের। রাজ্যের আইনের শাসন নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। ঘরের মেয়ে-বধূরা রাস্তা নেমে সরব হয়েছেন। রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র নিহত চিকিৎসকে নিয়ে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে চর্চা হচ্ছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে। তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের শাস্তির জন্যই রাজ্য তথা দেশজুড়ে সরব হয়েছেন সকলে। পথে নেমে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকরা। এই অবস্থায় সন্দীপ ঘোষকে পুরস্কৃত করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল সরকার। আর এখন প্রতিবাদকারী ৪৩ জন চিকিৎসককে বদলি করেছে তৃণমূল সরকার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল সরকারের আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের এই মুখ বন্ধ করার জন্য বদলির কৌশলের সিদ্ধান্তে নিন্দায় সরব হয়েছে সকলে। বিরোধীদের দাবি, এসব করে মমতা আখেরে আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢালছেন।তাদের বিশ্বাস, এতে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

     একদিনে এই সব বদলির নির্দেশিকা! (RG Kar Incident)

    আরজি কর (RG Kar Incident) আন্দোলনের আবহেই ৪৩ জন চিকিৎসককে বদলির নির্দেশ জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতর। শুক্রবার এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি বিধি মেনে সেই বিজ্ঞপ্তিতে ‘রাজ্যপালের ইচ্ছায় দায়িত্ব’ দেওয়ার বার্তা রয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পর পর তিনবার বদলি বাতিল করা হয়েছিল অজানা কারণে। আরজি করে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার পরও সন্দীপ ঘোষকে পুরস্কার হিসেবে ন্যাশনাল মেডিক্যালে বদলি করেছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু, আদালত আর আন্দোলনকারীদের চাপে সেটা সম্ভব হয়নি। তাই নিজেদের ক্ষমতা দেখাতেই সরকার একসঙ্গে প্রতিবাদী ৪৩ জন চিকিৎসকে বদলি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। একদিনে এই সব বদলির নির্দেশিকা। ইউনাইটেড ডক্টরস ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন এই অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব এই পদক্ষেপকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বলে কড়া সমালোচনা করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    নিন্দায় সরব চিকিৎসক সংগঠন

    চিকিৎসক (Doctor) সংগঠন ‘ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে বদলির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক্স পোস্টে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আমাদের প্রতিবাদ সমর্থনকারী সদস্যদের অন্যায়ভাবে বদলি করেছেন। এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কিন্তু ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার জন্য আমাদের দাবি স্তব্ধ করতে পারবে না। আমরা আমাদের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    We strongly condemns @MamataOfficial @BengalGovernor unjust transfer of faculty members who supported our protest.These punitive measures will not silence our demands for justice and security.We stand united and resolute in our fight.@ANI @PTI_News @HMOIndia @PMOIndia @AmitShah pic.twitter.com/Ueklz8P7pb

     

    অ্যাসোসিয়েশন অফ হেল্থ সার্ভিস ডক্টর্স-এর সাধারণ সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখন সব ডাক্তারই এই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছেন। তার মধ্যে কেউ কেউ বেশি সক্রিয়। আমাদের প্রোমোশন আটকে আছে। এই রকম পরিস্থিতি চলছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। তার মধ্যে আমাদের বদলির নির্দেশ কেন?”

    ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ’

    বাংলায় চিকিৎসক বদলি নিয়ে শনিবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব! দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুণেওয়ালা শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আজ যদি হিটলার, স্তালিন, ইন্দিরা গান্ধীর মতো স্বৈরাচারীরা থাকতেন তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাহবা দিতেন। যে চিকিৎসকেরা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালে (RG Kar Incident) মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন, তাঁদেরকে বদলি করে দেওয়া হল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCW: ‘প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা স্পষ্ট’, আরজি করকাণ্ডের রিপোর্টে দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    NCW: ‘প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা স্পষ্ট’, আরজি করকাণ্ডের রিপোর্টে দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Case) তদন্তে রাজ্যে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) দুই সদস্যের একটি দল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বছর একত্রিশের এক চিকিৎসককে। সেই ঘটনারই তদন্তে এসেছে ওই প্রতিনিধি দল। প্রাথমিক যে রিপোর্ট তাঁরা পেশ করেছেন, তাতে নিরাপত্তাহীনতা ও পরিকাঠামোর অভাবের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

    কী বলছে কমিশন? (NCW) 

    শুক্রবার কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের যে জায়গায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সেখানে হঠাৎ করেই সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কমিশনের প্রতিনিধি দলের দাবি, হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক, নার্স এবং ইন্টার্নদের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ন্যূনতম পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও নেই। রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকা ও আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের উচিত ছিল ঘটনাস্থল অবিলম্বে সিল করা।

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    তদন্তে ত্রুটি!

    ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আটক করেছে সিবিআই। চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। শনিবারও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। এহেন আবহে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল জানিয়ে দিয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে কিছু ত্রুটি রয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে শৌচাগারের অভাব, আলো এবং নিরাপত্তায় ফাঁক রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রেও অসম্পূর্ণতা ছিল বলে দাবি কমিশনের প্রতিনিধি দলের (NCW)। তাই দ্রুত পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আর্জি জানিয়েছে তারা। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তোলা হয়েছে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কেন মহিলা হস্টেলে মাত্র একটি সিসিটিভি, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, মহিলা কমিশনের (NCW) এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কমিশনের সদস্য দেলিনা খোন্দগাপ এবং আইনজীবী সোমা চৌধুরী। সোমাকে নিয়োগ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (RG Kar Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’’, ডায়েরিতে স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা

    RG Kar Incident: ‘‘গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’’, ডায়েরিতে স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিহত চিকিৎসক গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চেয়েছিলেন। নাইট শিফটে যাওয়ার আগে তাঁর সেই স্বপ্নের কথা ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন তিনি। সেই অভিশপ্ত রাতেই যে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি। অথচ সেই অভিশপ্ত রাতের আগে নিজের ডায়েরিতে যা লিখেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক, তা থেকে স্পষ্ট যে তাঁর দু’চোখে অসংখ্য স্বপ্ন ছিল।

    কী বললেন নিহত চিকিৎসকের বাবা? (RG Kar Incident)

    নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী (RG Kar Incident) ছিল। অত্যন্ত মেধাবী। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশুনা করত। প্রায় সারাক্ষণই বইয়ে ডুবে থাকত। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য মেয়ে কঠোর পরিশ্রম করত। ডাক্তার হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিল মেয়ে, সেটা পূরণের জন্য সে প্রচুর পরিশ্রম করেছিল। অভিভাবক হিসেবেও আমরাও অনেক আত্মত্যাগ করেছি। এমডি পরীক্ষায় মেয়ে গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চেয়েছিল। সে কথা ডায়েরিতে সে লিখেছিল। কিন্তু, সেই রাতেই সব শেষ হয়ে গেল। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু, আমি সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি। আর আশাবাদী হতে পারি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে সমর্থন করা হচ্ছে, তা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচুর সাহস জোগাচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    সিবিআইয়ের হাতে খাতা-ডায়েরি

    জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে ডায়েরি হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। সেই সঙ্গে একটি খাতাও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ডায়েরি নির্যাতিতার বলেই প্রাথমিক অনুমান সিবিআইয়ের। কী রয়েছে সেই ডায়েরিতে? এখন সেদিকেই নজর গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, ওই নির্যাতিতার খাতা ও ডায়েরিতে বেশ কিছু তথ্য লেখা রয়েছে। তবে, সেই ডায়েরি ও খাতায় যে হাতের লেখা রয়েছে তার সঙ্গে ওই নির্যাতিতার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখবেন সিবিআইয়ের হ্যান্ড-রাইটিং এক্সপার্টরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাম, পরিচয় পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, হাসপাতালের প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে অনেক কিছুই লেখা রয়েছে ওই ডায়েরি ও খাতায়। এমনটাই সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে জানতে পারা যাচ্ছে। তবে সঠিক কী লেখা রয়েছে তা এখনই স্পষ্ট করতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    BJP: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি থেকে আরজি কর। দুরত্ব বিস্তর। তবে সে কামদুনিই হোক, কিংবা চোপড়া বা আরজি কর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শাসনে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ‘নারী-শিকারে’র এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা। যার জেরে তোলপাড় রাজ্য। তৃণমূল-শাসনে রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলে নারী নির্যাতনের কড়া সমালোচনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।

    কী বলছেন ত্রিবেদী (BJP)

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যে সংবেদনশীল আচরণ করছে, তা উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির আচরণের মতোই। কনৌজ থেকে কলকাতা পর্যন্ত ঘৃণা, নারীদের প্রতি অবজ্ঞা ও অপরাধীদের সুরক্ষার বিপজ্জনক মানসিকতা রয়েছে।” তিনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর জবাব দেওয়া উচিত যে তাঁদের ‘মহব্বত কি দুকান’ শুধুমাত্র অপরাধী, দুর্নীতিবাজ ও ধর্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয় কিনা।” ত্রিবেদী বলেন, “অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্বৈরশাসক, অপরাধীদের রক্ষা করছেন।” তাঁর প্রশ্ন, “কংগ্রেস পার্টি এখনও কীভাবে তাঁর সঙ্গে জোটে থাকতে পারেন?”

    মৃত্যু মিছিল

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) (কু)শাসনের জেরে বাংলা নারীদের জন্য বিপজ্জনক জায়গায় পরিণত হয়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বর্ধমানের একটি মাঠে মেলে এক যুবতীর গলাকাটা দেহ। শক্তিগড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক প্রতিবন্ধী কন্যা। বিজেপির (BJP) দাবি, এই সব ঘটনা-শৃঙ্খল প্রমাণ করে তৃণমূলের জমানায় ভালো নেই বাংলা। 

    নৈরাজ্যের ঘাঁটি বাংলা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুন্ডুপাত করেছেন সাংসদ বিজেপির দীনেশ শর্মা। তাঁর ভাষায়, “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি।” তিনি বলেন, “বাংলায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে। আর প্রকাশ্যে কাজ করে বেড়ায় অপরাধীরা।” তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোনও শাসন নেই। সম্প্রতি এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা জাতির জন্য গভীর লজ্জার।” মমতার সরকারের ব্যর্থতাকেও ইস্যু করেন তিনি। মৌর্য বলেন, “ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার বদলে রাম এবং বামকে দুষেই হাত ধুয়ে ফেলছেন তিনি।” উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধর্মীয় ও রাজনৈতিক লাভের জন্য বাংলাকে হিংসায় নিক্ষেপ করেছে তৃণমূল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কন্যাদের কল্যাণকে উপেক্ষা করেছেন। মহিলা চিকিৎসকের ওপর যে নিদারুণ অত্যাচার হয়েছে, তা মেলে কেবল তৃণমূল সরকার যেভাবে তাঁর মর্যদাহানি করেছে তার সঙ্গেই।”

    ক্ষমতার মোহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার মোহে এতটাই অন্ধ যে তিনি রামকেও গালি দিতে দ্বিধা করেন না। মনে হয়, তিনি মা-মাটি-মানুষ নীতি পরিত্যাগ করেছেন। শ্রী রাম যখন শান্তি-সম্প্রীতি ও প্রেমকে মূর্ত করে তোলেন, তখন অন্যায় বিরাজ করলে তিনিও তাড়কা দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা মন্দের মোকাবিলা করেন এবং নির্মূল করেন।” বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “বাংলায় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থ। এরকম ঘটনা (আরজি করকাণ্ডের মতো) ঘটলে উর্দি পরা কর্মীদের সাংবিধানিক নীতিগুলি উপেক্ষা করতে চাপ দেওয়া হয়। চাপ দেওয়া হয় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের রক্ষা করতে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    কেন চুপ রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অজয় অলোক বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি বিরোধীরা। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যিনি ‘লাডকি হুঁ, লাড শক্তি হুঁ’ স্লোগানের পক্ষে ছিলেন, বাংলার ঘটনায় তিনি নীরব। চুপ করে রয়েছেন অখিলেশ যাদবও। কোনও কথা বলছেন না ইন্ডি জোটের নেতারা।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশকে বিশ্বাস করে না। তাই তদন্তটি সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “এই ঘটনার দায় নিয়ে কখন পদত্যাগ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)?”

    রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই!

    পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি বলেন, “সম্প্রতি সন্দেশখালি, চোপড়া এবং এখন কলকাতার মতো জায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা তুলে ধরেছে। পুলিশ এই ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িতদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি বলেন, “ইউপিএ সরকারের সময় দেশ নির্ভয়ার বিরুদ্ধে নৃশংসতা দেখেছিল। আর আজ কংগ্রেস বাংলার বিষয়ে নীরব রয়েছে।” তিনি বলেন, “সেই সময় জাতি যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে একত্রিত হচ্ছে (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনা নিয়ে উত্তাল সারা রাজ্য। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আগুন। মেয়েরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ এবং নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে ১৪ অগাস্ট রাতে বাংলা জুড়ে পথে নেমেছিলেন মেয়েরা। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামে ফের শুক্রবার রাতে হাতে মোমবাতি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ সামিল হলেন মহিলারা। এদিন মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় রাত দশটা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অসংখ্য মা-বোনেরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি (North 24 Parganas)

    এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মধ্যমগ্রাম (North 24 Parganas) ট্র্যাফিক মোড়ে ভিড় জমতে শুরু করে। রাত ৯টা থেকে মধ্যমগ্রাম ও আশপাশের অঞ্চলের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রথমে তাঁদের প্রতিবাদী শিল্পকলার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন। রাত ১১টার মধ্যে গোটা এলাকা চলে যায় মেয়েদের দখলে। মোমবাতি, মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে গান, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে সরব হয় হাজারো প্রতিবাদী কণ্ঠ। মানুষের ভিড়ে রোড কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মধ্যমগ্রাম ট্র্যাফিক মোড়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহিলাদের পাশাপাশি অসংখ্য যুবকের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিল থেকে একটাই দাবি ওঠে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, একজনের পক্ষে কখনও এই কাজ করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    সকল অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি

    নিহত চিকিৎসকের (North 24 Parganas) হয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রথম কোর্টে যিনি মামলা করেছিলেন, সেই মহিলা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যকে এদিনের এই প্রতিবাদী সভায় দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরাই সিবিআই চেয়ে কোর্টে মামলা করেছিলাম। আদালতের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তারা যেন অবিলম্বে শাস্তি পায় এবং সব থেকে আগে চাইব যারা যারা এই ঘটনায় ধরা পড়ছে তাদের যেন ডিএনএ টেস্ট হয়। এই ঘটনাটি একদিনে হতে পারে না। আর এর সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছে। আইনগত দিক থেকে যতটা যা করার আমরা তা করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Incident: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন তাঁরই সহকর্মী চিকিৎসকরা। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও মেয়েকে কেউ ডাকল না, এটা খুবই অবিশ্বাস্য লাগছে বলে সিবিআইকে জানালেন নির্যাতিতার বাবা। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) তদন্তে নেমেছে সিবিআই। কেস ফাইল নিয়ে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সিবিআইকে (CBI) সন্দেহভাজন কয়েকজনের নামও বলেছেন বলে খবর। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে। 

    কী বললেন নির্যাতিতার বাবা

    সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা নাকি নিজের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন সিবিআই-কে। মেয়ের খুন এবং নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় (RG Kar Incident) কারা জড়িত থাকতে পারে, তা নিয়ে নাকি তদন্তকারীদের কাছে মুখ খোলেন মৃত চিকিৎসকের বাবা। তিনি নাকি সিবিআই- (CBI) এর কাছে দাবি করেছেন, মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন তাঁরই সহকর্মী চিকিৎসকরা। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও তাঁর মেয়েকে কেউ ডাকেনি তাঁর সহকর্মী বা হাসপাতালের কেউ, বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেজনক লাগছে। ভোররাত ৩টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কারও তাঁকে ডাকার প্রয়োজন হল না? নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা নাকি সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে সকালে ৮টা ১০ নাগাদ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। তাঁর ওপিডি-তে ডিউটি ছিল তখন। শেষ বারের মতো রাত ১১টা ১৫ মিনিটে মাকে ফোন করেছিলেন সেই চিকিৎসক। সেই মেয়ের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা বলা তাঁদের। 

    আরও পড়ুন: ট্র্যাকে বোল্ডার! লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা, নাশকতার ছক?

    সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকা

    এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পরে এমন ব্যক্তির নাম ধরে ধরে নাকি সিবিআই-কে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে এমনিতেই হাসপাতালে (RG Kar Incident) সমস্যার সম্মুখীন হত। এই গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি আমি। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমর্থন আছে।’’ সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটনার রাতে যে ওয়ার্ড বয়, নার্সিং স্টাফ, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের ৯ জনকে তলব করেছে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা। সিবিআই শুক্রবার একটি রেজিস্টার খাতা বাজেয়াপ্ত করে। সেই খাতায় ওই রাতে যাঁদের ওই বিল্ডিংয়ে ডিউটি ছিল, সেই অনুযায়ী তলব করা হয়। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত কখন কখন ওই বিল্ডিংয়ে ঢুকেছে, কোন পথে গিয়েছে, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সিবিআই দফতরে পৌঁছন আরজি করের কর্মীরা। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁদের কাছে জানতে চায়,  ওই রাতে তাঁরা কে কোথায় ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতের ঘটনাক্রম তৈরি করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজিকর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bagdogra Airport: ঢেলে সাজানো হবে বাগডোগরা বিমানবন্দর, বরাদ্দ ১৫৪৯ কোটি, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Bagdogra Airport: ঢেলে সাজানো হবে বাগডোগরা বিমানবন্দর, বরাদ্দ ১৫৪৯ কোটি, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার। নতুন সিভিল এনক্লেভ নির্মাণে সিলমোহর দিল মোদি ক্যাবিনেট। যাত্রী সংখ্যার কথা মাথায় রেখে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নতুন সিভিল এনক্লেভ নির্মাণে ১৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    লক্ষ্য, বছরে এক কোটি যাত্রী পরিবহণ (Bagdogra Airport)

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির বৈঠক আয়োজিত হয়। ওই কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর ওই বৈঠকেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বাগডোগরা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) রানওয়ে সম্প্রসারণ এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৫৪৯ কোটি টাকার বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে তৈরি হবে ৭০ হাজার ৩৯০ স্কোয়ার মিটারের নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং। ব্যস্ততম সময়ে তিন হাজার যাত্রী সামলানোর ক্ষমতা থাকবে এই নতুন টার্মিনালের। সেইভাবেই তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন অংশকে। মনে করা হচ্ছে, এই সম্প্রসারণের পরে বছরে এক কোটি যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে এই নতুন সাজে সেজে ওঠা বাগডোগরা বিমানবন্দর। এ-৩২১ এয়ারক্রাফটের পার্কিংয়ের জন্য দশটি পার্কিং বে নির্মাণ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। বিমান চলাচলের জন্য দুটি ট্যাক্সিওয়েও তৈরি হবে। এছাড়াও মাল্টি লেভেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে সম্প্রসারিত বাগডোগরা বিমানবন্দরে। রানওয়ের সম্প্রসারণ-সহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

    <p

    ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলার এই বিমানবন্দরকে (Bagdogra Airport) আন্তর্জাতিক তকমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে, যে কোনও বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক বিমান চালাতে পারবে বাগডোগরা থেকে। সম্প্রতি রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছিলেন বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তারপরই এবার নতুন সিদ্ধান্তে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। হিমালয়ান হসপিটাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরে উন্নতির খুব প্রয়োজন ছিল। বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। প্রতি বছর এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করায় আমরা খুশি।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছে। যেহেতু বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, সেই জন্য প্রথম থেকেই পরিকাঠামগত উন্নয়নের খুব প্রয়োজন ছিল। আগামীতে এই বিমানবন্দর আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sabarmati Express: ট্র্যাকে বোল্ডার! লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা, নাশকতার ছক?

    Sabarmati Express: ট্র্যাকে বোল্ডার! লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা, নাশকতার ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোররাত লাইনচ্যুত হয়ে গেল সবরমতী এক্সপ্রেস (Sabarmati Express)। অন্তত ২০টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ট্রেনে ছিলেন প্রায় ১৩০০ যাত্রী। রেলের দাবি, লাইনে রাখা বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগেই লাইনচ্যুত হয় সবরমতী এক্সপ্রেস। প্রশ্ন উঠছে রেল লাইনে বোল্ডার কীভাবে এল? এর পিছনে নাশকতার ছক থাকতে পারে বলে অনুমান। 

    উদ্ধারে রেল, হেল্পলাইন নম্বর

    শনিবার ভোররাতে উত্তর প্রদেশের কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত হয়ে যায় সবরমতী এক্সপ্রেস (Sabarmati Express)। ট্রেনের নম্বর হল ১৯১৬৮। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। যাত্রীদের কানপুর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে রেল। ঝাঁসির দিকে যাওয়ার সময় ট্রেনটি আচমকা বোল্ডারে ধাক্কা খেয়ে বেলাইন হয়ে পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চালক। দুর্ঘটনার (Train Accident) ফলে সংশ্লিষ্ট লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বারাণসী থেকে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। গন্তব্য ছিল আমেদাবাদ। কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে রেলের তরফে। নম্বরগুলি হল- ০৫৩২-২৪০৮১২৮, ০৫৩২-২৪০৭৩৫৩, ০৫৩২-২৪০৮১৪৯।

    কী কারণে দুর্ঘটনা (Sabarmati Express)

    সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে বোল্ডারে ধাক্কা খায় চাকা। তাতেই ঘটে বিপত্তি।  উত্তর মধ্য রেলের তথ্য অনুযায়ী, গভীর রাতে রেললাইনের উপর থাকা বোল্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যাত্রিবাহী ট্রেনটির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রেনের প্রতিটি কামরা ঘুরে দেখেন পুলিশ এবং রেল আধিকারিকেরা। কোথাও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে রেল। দুর্ঘটনার (Train Accident) ফলে ওই লাইনে ট্রেন চলছে না। একাধিক ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে।

    নাশকতার ইঙ্গিত রেলমন্ত্রীর

    এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হঠাত করে রেল লাইনের উপর বোল্ডার কীভাবে এল তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। রেলের এক আধিকারিক জানান, বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ফলে, ট্রেনের সামনে থাকা ক্যাটল গার্ডের ক্ষতি হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কথাতেও নাশকতার ইঙ্গিত। এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ভারী ধাক্কার চিহ্ন রয়েছে। তথ্য সংগ্রহ ও রক্ষা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ছোট্ট ডাক্তার বোনটির আত্মা কষ্ট পেত’’, রাজভবনে কেন যাননি, জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘ছোট্ট ডাক্তার বোনটির আত্মা কষ্ট পেত’’, রাজভবনে কেন যাননি, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে পড়ুয়া চিকিৎসকের  ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। স্বাধীনতা দিবসে নারী সুরক্ষার দাবিই ছিল রাজ্যজুড়ে। পরোক্ষে এই ঘটনার জন্যই স্বাধীনতা দিবসের চা চক্রে রাজভবনে (Raj Bhawan) দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুক্রবার সেই অনুপস্থিতির কারণ জানালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । 

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বৃহস্পতিবারের সেই চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। তবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) না যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে বাড়ে জল্পনা। শুক্রবার শুভেন্দু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন “স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজভবনের চা চক্রে মাননীয় রাজ্যপাল আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু এদের (উপস্থিতি অতিথি) সঙ্গে দেখা হয়ে হলে আমার ছোট্ট ডাক্তার বোনটির বিদেহী আত্মা হয়তো কষ্ট পেত। তাই আমন্ত্রণ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।” চা চক্রের ছবির সঙ্গে আমন্ত্রণপত্রটিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট! পাশবিক অত্যাচার, গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন বাঙালি হিন্দুরা

    রাজভবনের চা-চক্র

    আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে নেমে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় জমায়েত চলছে। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্য তথা দেশ। তাই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অন্যান্যবারের মতো এবার স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়নি। তবে রাজভবনে (Raj Bhawan) প্রতিবারের মতো চা-চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে যাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য, ১৫ অগাস্টের চা চক্রে ১০ জনের প্রতিনিধি দলকে নিয়ে রাজভবনে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য পরে জানান, তাঁর রাজভবনে একা যেতে অসুবিধা ছিল তাই প্রতিনিধিদের নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে জলস্পর্শ করেননি। তবে রাজভবন সূত্রে খবর, কমিশনার এবং মেয়রকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি স্বাধীনতা দিবসের চা-চক্রে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরে পাকিস্তানের পতাকার ওপর হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণের হুমকি, শোরগোল

    Murshidabad: বহরমপুরে পাকিস্তানের পতাকার ওপর হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণের হুমকি, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালা বদলের পর হিন্দুদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্ব দরবারে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এপার বাংলায় প্রতিবাদ আন্দোলন হয়েছে। এই আবহের মধ্যে এবার পাকিস্তানের পতাকার ওপর হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়ল মুর্শিদাবাদে। শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর থানার হাতিনগর এলাকার একটি স্কুলের গেটে এই পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। এরকম ২টি পোস্টার পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। কে বা কারা এই ধরণের পোস্টার সাঁটল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    উদ্ধার হওয়া একটি পোস্টারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পোস্টারের ওপরে লেখা ‘পাকিস্তান (Pakistan) জিন্দাবাদ’। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পোস্টারগুলি খুলে নিয়ে যায়। ওদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন মহিলারা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার রাতে এই পোস্টার লাগিয়েছে কেউ বা কারা। তবে, কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা বলতে পারেনি কেউ। তদন্তে নেমে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা নেই। তাই মুর্শিদাবাদকে (Murshidabad) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক বা বিএসএফ অথবা কেন্দ্রীয় কোনও বাহিনীর ওপর নিরাপত্তার ভার দেওয়া হোক। তবে এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিধায়ক বিজেপির গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এই ধরনের কাজ যাঁরা করছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া উচিত। রাজ্যজুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন চুপ করে রয়েছে। এখানে আইনের শাসন নেই।” প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “কিছু শক্তি মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের ঘটনার পর এর প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। কারণ, বাংলাদেশে অনেক ভারত বিরোধী শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি, মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে। সেখানে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে।” এই নিয়ে বহরমপুর জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, “এই ঘটনা কোনওভাবেই অভিপ্রেত নয়। আমরা জেলা পুলিশকে জানিয়েছি। দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share