Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh Crisis: ‘আপনারাও সমান অধিকার পাবেন’, বাংলাদেশে ঢাকেশ্বরী মন্দির দর্শনে গিয়ে সংহতির বার্তা ইউনূসের

    Bangladesh Crisis: ‘আপনারাও সমান অধিকার পাবেন’, বাংলাদেশে ঢাকেশ্বরী মন্দির দর্শনে গিয়ে সংহতির বার্তা ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মানবাধিকার এবং বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকাররে প্রধান লক্ষ্য। হিন্দুরাও সরকারের কাছে সমান সাংবিধানিক অধিকার চাইতে পারেন, এমনই অভিমত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus)। মঙ্গলবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ঢাকেশ্বরী মন্দির দর্শনে গিয়ে সংহতির বার্তা দেন ইউনূস। তিনি বলেন, ‘‘দেশে মানবাধিকার এবং বাক স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’ 

    ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ইউনূস

    শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ (Bangladesh) ছাড়ার পরই সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের উপর প্রতিদিন আক্রমণ হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ঢাকার (Dhaka) বিখ্যাত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান ইউনূস (Muhammad Yunus Visits Dhakeshwari Temple)। মন্দিরে গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।  হিন্দুদের উদ্দেশে ইউনূস বার্তা দেন, ‘‘নিজেদের আলাদা ভাববেন না। সব পরিচয়ের ঊর্দ্ধে উঠে নিজেদের মানুষ বলে মনে করুন। দেশের সন্তান বলে মনে করুন। এগুলো আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার, যা আমরা সুনিশ্চিত করবই।’’ তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আর্জি জানান। তাঁর কথায়, ‘দেশে এখন সংকট চলছে। সবাইকে একজোট হয়ে থাকতে হবে।’ একইসঙ্গে হিন্দুদের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে রায় দেওয়ার আগে ধৈর্য্য ধরার আবেদনও করেন ইউনূস।

    ঘরে-বাইরে চাপ সামলাতে বৈঠক

    হাসিনার সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের ৫২টি জেলায় হিন্দুদের উপর কমপক্ষে ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। সেখানে বাড়িঘরে হামলা চালানোর পাশাপাশি একাধিক মন্দিরেও ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছেন হিন্দুরা। আন্তর্জাতিক স্তর থেকেও চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। ভারতও বারবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। এরপরই ঘরে-বাইরে চাপ সামলাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইউনূস। তাঁর কথায়, ‘এমন একটা বাংলাদেশ গঠন প্রয়োজন যেখানে সবাই যেন এক ছাতার তলায় থাকতে পারেন। একটা পরিবারের মতো বসবাস করতে পারেন। সেখানে ভেদাভেদের কোনও জায়গা নেই। সবাই শান্তিতে থাকবেন। শান্তি যাতে রক্ষিত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে একজোট হয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ 

    আরও পড়ুন: টোকিও ৭, প্যারিস ৬! এবার লক্ষ্য লস অ্যাঞ্জেলস! পাশে থাকার বার্তা মোদির

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর এবং সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা। সর্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে ছিলেন জয়ন্তকুমার দেব এবং তাপসচন্দ্র পাল। এ ছাড়াও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য সভার পক্ষ থেকে ছিলেন কাজল দেবনাথ এবং মণীন্দ্রকুমার নাথ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা ইউনূসের সামনে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন বলে জল্পনা। এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে হামলার (Bangladesh Crisis) ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া, সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা মন্ত্রক তৈরি করা ইত্যাদি। জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। প্রয়োজনে সেখানে ফোন করে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। বলা হয়েছে মন্দির, গির্জা বা কোনও ধর্মীয় স্থানে হামলা হলে ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই নম্বরে ফোন বা এসএমএস করে জানানো যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WB BJP: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    WB BJP: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ, বুধবার কলকাতায় ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি (WB BJP)। গেরুয়া শিবিরের এই মহা মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে পৌঁছাবে আরজি কর হাসপাতালে। বেলা দুটো থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলে ব্যাপক ভিড় হবে বলেই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই একাধিক কর্মসূচি নিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিকে (WB BJP)। ঘটনার পর পরই দলের যুব ও মহিলা সংগঠন বিক্ষোভে নামে। এর পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষদের দেখা যায় কলকাতাতে মোমবাতি মিছিল করতে। মঙ্গলবারই রাজ্যের জেলায় জেলায় এই ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মহিলা মোর্চা। এরপরে বুধবারে হতে চলেছে এই ধিক্কার মিছিল। ইতিমধ্যে ধিক্কার মিছিলের বিষয়ে সমাজ মাধ্যমের পাতায় প্রচারও দেখা যাচ্ছে। দলের রাজ্য নেতারা ধিক্কার মিছিলের একাধিক পোস্টার নিজেদের ফেসবুক অথবা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। যাতে লেখা, ‘নারী বিরোধী সরকার, আর নেই দরকার’, ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’।

    বুধবার সমস্ত হাসপাতালে বহির্বিভাগ বন্ধের ডাক (RG Kar Issue)

    অন্যদিকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে বহির্বিভাগে পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে, জয়েন্ট প্যাল্টফর্ম অফ ডক্টরস। জানা গিয়েছে, বাংলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ওপিডি পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস। জরুরি পরিষেবা ছাড়াও সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত আরজি করের ওই নারকীয় ঘটনা যে স্থানে ঘটেছে, তার উল্টোদিকের ঘরে ভাঙার কাজ চলছে। বলা হয়েছে, তা নাকি বক্ষ রোগ বিভাগের সংস্কারের কাজ। এমন পরিস্থিতিতে ওই চিকিৎসক সংগঠনের সন্দেহ, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে। আর সে কারণেই বুধবার ৮ ঘণ্টার কর্ম বিরতি ঘোষণা করেছে তারা। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

    মঙ্গলবার নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক, আজ বুধবার মুখমন্ত্রীর কাছে যাবে আইএমএ প্রতিনিধি দল

    অন্যদিকে, আরজি কর (RG Kar Issue) মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ-র প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি। প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেছে প্রতিনিধি দল। তারা দাবি জানিয়েছে যে প্রতিটা হাসপাতালকে যেন সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যাঁরা তাঁদের জন্য কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে আইএমএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 14 August 2024: কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 14 August 2024: কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ৩) দিনটি অনকূল।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন। 

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) কাজে সাফল্য আসবে।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) সবাই প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে। 

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: মামলায় অহেতুক নাম জড়িয়ে টাকা চেয়ে পুলিশের লাগামছাড়া চাপ! মৃত্যু বিজেপি নেতার

    Dhupguri: মামলায় অহেতুক নাম জড়িয়ে টাকা চেয়ে পুলিশের লাগামছাড়া চাপ! মৃত্যু বিজেপি নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের লাগামছাড়া চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বিজেপি (BJP) নেতার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি (Dhupguri) এলাকায়। মৃত বিজেপি নেতার নাম দীপু রায়। তিনি ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। বাড়ি জুড়াপানি এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri)

    কিছুদিন আগে হিন্দু মন্দির ভাঙা নিয়ে ধূপগুড়িতে (Dhupguri) একটি গন্ডগোল হয়েছিল। অভিযোগ, সেই গন্ডগোলে না থাকলেও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করে। তাঁর নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ওই মামলার আইও চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হবে বলে দফায় দফায় তাঁর কাছে টাকা দাবি করতে থাকেন বলে অভিযোগ। লাগাতার চাপ সৃষ্টি করায় সহ্য করতে না পেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। শববাহী গাড়িতে মৃতদেহ নিয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্য সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    বিজেপি কর্মীরা কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরা বলেন, “প্রায় তিন মাস আগের ধূপগুড়ির একটি ঘটনায় দীপু রায় যুক্ত না থাকলেও জোর করে তাঁর নাম চার্জশিটে ঢোকানো হয়। আর চার্জশিট থেকে নাম কাটানোর জন্য ধূপগুড়ি থানার এক পুলিশ অফিসার টাকার দাবি করেন। অনবরত দীপু রায়কে ফোন করে থানায় দেখা করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। মৃতের দাদা অপু রায় থানায় এসে পুলিশের সঙ্গে দেখাও করেন। আর গোটা বিষয়য়টি সোমবার দীপু রায়কে জানান তাঁর দাদা। ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন দীপু। এর পরেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এরজন্য পুলিশই দায়ী।”

    পুলিশের সঙ্গে বচসা বিজেপি কর্মীদের

    ধূপগুড়ির থানা রোডে বিরাট পুলিশ বাহিনী মৃতদেহ সহ বিজেপি নেতা-কর্মীদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। দাবি তোলা হয় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে দ্রুত এই থানা থেকে বদলি করতে হবে। যদি তাঁকে সরানো না হয় তবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। ধূপগুড়ি (Dhupguri) থানার আইসি-র আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে। পরে, রাতেই বিজেপি নেতার দেহ সৎকার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবারও কর্মবিরতি চলল রাজ্যের ২১টি হাসপাতালে, দুর্ভোগ চরমে

    RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবারও কর্মবিরতি চলল রাজ্যের ২১টি হাসপাতালে, দুর্ভোগ চরমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে তোলপাড়় চলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছেন। জানা গিয়েছে, কর্মবিরতি পালনের ডাক দেয় ২১টি হাসপাতাল। এর মধ্যে কলকাতার সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল তো রয়েছে, পাশাপাশি জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালগুলিতেও কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকেরা। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আউটডোর চিকিৎসা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে, কিছু কিছু হাসপাতালে রোগীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে কর্মবিরতিতে রাশ টানা হয়। এক ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করার পরে আবার স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।

    জেলায় জেলায় কর্মবিরতি (RG Kar Protest)

    উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাটে স্বাস্থ্য জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল থেকে নার্স এবং চিকিৎসকদের কর্মবিরতি (RG Kar Protest) শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা  বলেছেন, “আমাদের এক সহকর্মীকে খুনের প্রতিবাদে আমরা ১ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি।” এদিন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালেও চিকিৎসকেরা এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদ জানান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন ডাক্তাররা। হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথি কলেজে আন্দোলন অব্যাহত। হুগলি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ওপিডি-তে কাজ করছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিনিয়ররা পরিষেবা চালু রেখেছেন। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত ‘পেন ডাউন’ করেন হাসপাতালের সব চিকিৎসক। তাতে যোগ দেন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবারও কালো ব্যাজ পরে হাতে পোস্টার নিয়ে স্লোগান দেন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে আউটডোর বিভাগে চিকিৎসার জন্য রোগীদের টিকিট দেওয়া শুরু হলেও পরে কয়েক জন জুনিয়র চিকিৎসক এসে কাউন্টার বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন চতুর্থ দিনেও অব্যাহত।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে ডাক্তাররা

    নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ (RG Kar Protest) শুরু করেন পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মেডিক্যাল কলেজের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। বন্ধ থাকে আউটডোর পরিষেবা, বন্ধ ডাক্তারি পঠনপাঠন।  অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। আউট ডোরের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান করেন জুনিয়র ডাক্তার-সহ ছাত্র-ছাত্রীরা। চিকিৎসক না আসায় বালুরঘাট হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক বালকের। সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করানো হলেও সকাল ৭টা পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেননি। তবে এর সঙ্গে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

    বারাসতে নেই কর্মবিরতি

    রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি, এমার্জেন্সি-নন এমার্জেন্সিতে কর্মবিরতি চলছে, সেইসময় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিবাদ তারা জানাচ্ছে। তবে কর্মবিরতির পথে হাঁটছে না। বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, আমরা রোগী ফেরাচ্ছি না। আসলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন রোগীরা। তাঁরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাবেন, এটা সম্ভব নয়। আর বিভিন্ন হাসপাতালে এখন যেহেতু কর্মবিরতির কারণে পরিষেবা সমস্যায় পড়ছে, তাই চেষ্টা করছি রোগীকে অন্যত্র ট্রান্সফার না করে যথাসাধ্য এখানেই চিকিৎসা দিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arshad Nadeem: অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী নাদিমের সঙ্গে লস্কর-যোগ! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    Arshad Nadeem: অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী নাদিমের সঙ্গে লস্কর-যোগ! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার এক নেতার সঙ্গে দেখা গেল প্যারিস অলিম্পিক্সে জ্যাভলিনে সোনা জয়ী পাক তারকা আরশাদ নাদিমকে (Arshad Nadeem)। সম্প্রতি সোশ্যাল সাইটে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে, নাদিম মিলি মুসলিম লিগের যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ হারিস দারের সঙ্গে কথা বলছেন। মিলি মুসলিম লিগকে লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ধরা হয়। 

    নাদিমের সঙ্গে সম্পর্ক

    এই মুহূর্তে পাকিস্তানের ক্রীড়াজগতে আলোচনার কেন্দ্রে আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। অলিম্পিক্সে দেশকে প্রথম ব্যক্তিগত সোনা এনে দিয়েছেন এই জ্যাভলিন থ্রোয়ার। অলিম্পিক্স রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন তিনি। ৯২.৯৭ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোড়েন নাদিম। তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দিয়েছে পাকিস্তান। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নাদিমকে অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) ওই নেতা। নাদিমের এই জয় পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের মাথা উঁচু করেছে বলে মত প্রকাশ করেন মিলি।

    প্রশ্নের মুখে পাক প্রশাসন

    এই ঘটনার পর থেকেই সন্দেহের ছায়া পড়েছে আরশাদ নদিমের (Arshad Nadeem) ওপর। তাঁর সঙ্গে হারিস দারের সম্পর্ক কী ধরনের ছিল, সেই নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার এই বিষয়ে কতটা সচেতন, সেই প্রশ্নও তোলা হচ্ছে। হারিস দারের বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেছেন, ভারতকে কাশ্মীর ছেড়ে যেতে হবে। এই ঘটনার পর থেকে ভারতেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ক্রীড়া জগতকেও প্রভাবিত করতে পারে। লস্কর-ই-তৈবা একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন। ২০১৮ সালে আমেরিকা সরকার মিলি মুসলিম লিগকেও জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে। মহম্মদ হারিস দার সেই সময় থেকেই জঙ্গি তালিকায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) স্টুডেন্ট উইং আল-মহম্মাদিয়া স্টুডেন্টসের একজন নেতা ছিলেন। এই সংগঠনটিকেও আমেরিকা সরকার ২০১৬ সালে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

     

  • RG Kar Incident: কর্মক্ষেত্রে কতটা নিরাপদ ডাক্তাররা? আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রশ্ন চিকিৎসক মহলে

    RG Kar Incident: কর্মক্ষেত্রে কতটা নিরাপদ ডাক্তাররা? আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রশ্ন চিকিৎসক মহলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় (Doctor Rape Murder) পরতে পরতে রহস্য। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই দাবি করছেন, এই ঘটনায় একাধিক জন জড়িত থাকতে পারে। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Incident) এক ৩২ বছর বয়সি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ফোর্ডা) জানিয়েছে, সারা দেশে হাসপাতালের নির্বাচনী সেবা বন্ধ থাকবে। সব মেডিক্যাল কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তারও দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 

    চিকিৎসকদের দাবি

    আর জি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (আরডিএ) ঘোষণা করেছে যে, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রতিবাদ বন্ধ করবে না। হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, “আমরা চারটি দাবি তুলেছি: বিচার বিভাগীয় তদন্ত, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা, মহিলার পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ, পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতি নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে।” কলকাতার ২৬ একর জুড়ে এই প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি। এখানে এরকম ঘটনায় বাকরুদ্ধ বাংলা তথা দেশ।

    সিসিটিভি ক্যামেরার অভাব

    আন্দোলনকারীরা  জানিয়েছেন যে, হাসপাতালের সংবেদনশীল স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরার অভাব রয়েছে। ডাক্তারদের জন্য আলাদা শৌচালয় নেই। যে কোনও লোক রাতে হাসপাতালে প্রবেশ করে যান। যা রাতের হাসপাতালকে বিপজ্জনক করে তোলে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, যে সেমিনার রুমে চিকিৎসকের দেহ মিলেছিল সেখানে কোনও সিসিটিভি নেই। ফ্লোর ওয়ার্ড বা করিডরেও কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে অপরাধী অপরাধ করার আগে ভাবত। এনআরএস হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় আগে আরজি কর-এ (RG Kar Incident) কর্মরত ছিলেন। তাঁর কথায়, “শুধুমাত্র ভবনের মূল ফটকে সিসিটিভি আছে। আপনি যে বেশিরভাগ সিসিটিভি দেখেন তা কাজ করে না।”

    বিশ্রাম কক্ষ নেই

    আরজি করের (RG Kar Incident) জুনিয়র ডাক্তারদের মতে, মহিলা ডাক্তারদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় নির্যাতিতা সেমিনার রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেমিনার রুমে কোনও ওয়াশরুম নেই। রাতের ডিউটিতে বেশিরভাগ সময় চিকিৎসকরা সেমিনার রুম বা সোনোগ্রাফি রুম ব্যবহার করেন। 

    বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে প্রবেশ

    একজন চিকিৎসকের মতে আরজি করের (RG Kar Incident) “সবচেয়ে বড় সমস্যা” হল বিনা অনুমতিতে মাঝে মাঝেই লোক হাসপাতালে প্রবেশ করেন। তিনি বলেন, “প্রায়শই একজন রোগী ১১-১২ জন আত্মীয়ের সঙ্গে আসে। শুধুমাত্র আইডি কার্ডধারীদেরই ওয়ার্ডে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত। এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড দেখুন, যেখানে ভিআইপি ও রাজনীতিবিদরা থাকেন। সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম রয়েছে।” এছাড়াও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাতে হাসপাতালের বাইরে কোনও নিরাপত্তা নেই। একজন মহিলা সাফাইকর্মী জানান, “একজন রোগীর সঙ্গে ১৫-২০ জন পর্যন্ত জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ে। আমরা জরুরি বিভাগে মাতাল লোকদেরও দেখতে পাই।”

    আরও পড়ুন: একজনের কাজ নয়, দাবি চিকিৎসকদের! আরজি কর কাণ্ডে কাকে আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে?

    পর্যাপ্ত পুলিশের অভাব

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, হাসপাতালে (RG Kar Incident) পর্যাপ্ত পুলিশ থাকা উচিত। তাঁদের মতে, রাতে ফ্লোরে কোনও নিরাপত্তাই থাকে না। এই হাসপাতালটিতে আঘাতজনিত রোগীর প্রচুর ভিড় হয়। ডাক্তার-রোগীর অনুপাত খুব কম। যদি কেউ চিকিৎসককে অপমান করে, তবে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না। হাসপাতালের নিজস্ব প্রাইভেট সিকিউরিটি রয়েছে ঠিকই তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেছেন যে, রাত ৯টার পর প্রাইভেট সিকিউরিটি গায়েব হয়ে যায়। রাতে হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক বা নার্স এমনকী ছেলেরাও অন্ধকার, নির্জন জায়গা দিয়ে হাঁটতে ভয় পান। কারণ হাসপাতাল চত্বরে নানা ধরনের বেআইনি কাজ হয়।  অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে অনেক সময়ই মত্ত যুবকদের উৎপাত লক্ষ্য করা যায় হাসপাতাল চত্বরে। করিডর থেকে শুরু করে সিঁড়ি, রোগীদের ওয়ার্ড সর্বত্রই ঢিলেঢালা নিরাপত্তা। তাই সবসময়ই নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তারই মূল্য চোকাতে হল নির্যাতিতাকে (Doctor Rape Murder)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Hospital: চার বার নিহতের নাম নিয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ! পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মহিলা কমিশনের

    RG Kar Hospital: চার বার নিহতের নাম নিয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ! পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (RG Kar Hospital) পরিদর্শনে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। হাসপাতালের পরিকাঠামোর অবস্থা খতিয়ে দেখে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে কার্যত তুলোধনা করেন তাঁরা। নিহত চিকিৎসের নাম নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।

    ঠিক কী বলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা? (RG Kar Hospital)

    শহরে (Kolkata) আসার পরে প্রথমেই জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি সোজা যান লালবাজারে। সেখানে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। লালবাজারের (Kolkata) পরে  নিহত মহিলা চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়িতেও যান তাঁরা। কমিশনের অন্যতম সদস্য ডেলিনা খনডুপ বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রিন্সিপাল (RG Kar Hospital) সন্দীপ ঘোষ নিহত তরুণীর প্রতি যথেষ্ট অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন। এমনকী, মেয়েটির নামও নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হবে।’’

    মঙ্গলবার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন৷ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্য়ে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে৷ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এই পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ কমিশনের সদস্য বলেন, ‘‘আমরা এই নৃশংস ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি ভাল করে খতিয়ে দেখব। পাশাপাশি রাজ্যের গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কমিশনকে জানাব। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে আমরা জাতীয় মহিলা কমিশনে জমা দেব। আসল অপরাধীকে আড়াল করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, প্রয়োজন হলে আরও অতিরিক্ত দিন থেকে গোটা ঘটনার সবদিক থেকে খতিয়ে দেখব।’’

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে আজ পথে বুদ্ধিজীবীরা, বিচারের দাবিতে নাগরিক মিছিল রুখল পুলিশ

    নিহত চিকিৎসকের চারবার নাম নেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ!

    আরজি করের (RG Kar Hospital) জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় উঠেছে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ। সোমবার সেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সন্দীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমপক্ষে চার বার নাম উল্লেখ করেছেন মৃত চিকিৎসকের। আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ‘এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

    নির্যাতিতার নাম প্রকাশ হলে কী শাস্তির বিধান আছে?

    ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার মতো ঘটনায় নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে এসে গেলে প্রভাব পড়তে পারে বিচার ও তদন্তের ক্ষেত্রে। তাই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যায় না। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ আছে। পাশাপাশি, ভারতীয় আইনেও বাধ্যবাধকতা আছে। নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে সব নথিতে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আসতে পারে, সেগুলি মুখবন্ধ খামেই আদান-প্রদান করতে হয় পুলিশকে। নাম গোপন রাখতে হয় আদালত ও তদন্তকারী সংস্থাকেও। নির্যাতিতার (RG Kar Hospital) মৃত্যু হলে বা অচৈতন্য থাকলে, তাঁর আত্মীয় যদি নাম প্রকাশ করতে চান, তাহলে শুধুমাত্র সেশন কোর্টেই আবেদন জানাতে পারেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনে আছে, নির্যাতিতা অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে, তার পরিচয় যদি প্রকাশ করার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে বিশেষ আদালত অনুমোদন দিতে পারে।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কী বলা আছে?

    আগে, ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (IPC)- এর ২২৮এ ধারায় ছিল এই সম্পর্কিত বিধান আছে। সেই ধারা অনুযায়ী, ধর্ষিতা বা যৌন হেনস্থার শিকার নির্যাতিতার নাম, পরিচয় প্রকাশ্যে আনলে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। ধার্য করা হতে পারে জরিমানাও। বর্তমানে ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে আনা হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। সেখানেও এই সম্পর্কিত শাস্তির কথা বলা আছে। ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’র ৭২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনেন, তাহলে জেল হতে পারে। জেলের মেয়াদ হতে পারে ২ বছর পর্যন্ত। এছাড়া ধার্য করা হতে পারে জরিমানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন মুইজ্জুর

    Mohamed Muizzu: মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক মাস ধরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) একের পর এক পদক্ষেপ তুলেছে সমালোচনার ঝড়ও। তবে, এবার মুইজ্জু বিরাট প্রতিক্রিয়া দিলেন। আগেই ভারতকে (India) মলদ্বীপের “সবথেকে কাছের বন্ধু”- হিসেবে বিবেচিত করেছিলেন তিনি। আর এবার মলদ্বীপের উন্নয়নে ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের ভূমিকা তুলে ধরে ভারতের লাইন অফ ক্রেডিট দ্বারা অর্থায়িত প্রকল্পগুলির সমর্থন করলেন মুইজ্জু।   

    কী জানিয়েছেন মুইজ্জু? (Mohamed Muizzu)

    মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহাম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপ এবং ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং ঘনিষ্ঠ সংযোগ জোরদার করার জন্য তার প্রশাসনের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু আরও জোর দিয়ে বলেছেন, ”ভারত সর্বদা মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে থেকেছে। মলদ্বীপের যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই সহায়তা প্রদান করেছে ভারত।”

    এ প্রসঙ্গে মুইজ্জু মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেছেন, ”মলদ্বীপের ২৮টি দ্বীপে জল সরবরাহের জন্য ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ভারত (India) সরকারের লাইন অফ ক্রেডিট দ্বারা অর্থের জোগান দেওয়া হয়েছিল। এই উদ্যোগটি মলদ্বীপের ওপর উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে উৎসাহিত করেছে যা দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এই প্রকল্পই ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল মাইলফলক।” মলদ্বীপের প্রতি এই বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)।   

    আরও পড়ুন: নতুন সম্প্রচার বিলের খসড়া প্রকাশ নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    বিদেশমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ 

    প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু গত শনিবার ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তাঁর সরকারের পূর্ণ অঙ্গীকারের বিষয়টি উপস্থাপিত করেছেন। তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করেছেন। তাঁরা ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র – অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, আবাসন, প্রতিরক্ষা, পর্যটন, ক্ষমতা উন্নয়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টার জন্য এস জয়শঙ্করের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই দিল্লি থেকে এলেন গোয়েন্দারা

    RG Kar Rape-Murder: আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই দিল্লি থেকে এলেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকায় চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে বলেন, “রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য এবং নথি সিবিআইকে দিতে হবে। সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ অবিলম্বে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে এবং সেই দিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা করতে হবে।” এদিকে আদালতের নির্দেশের পরই তদন্তভার নিতে সিবিআই পৌঁছে যায় টালা থানায়। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফলে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল (RG Kar Rape-Murder)?

    মঙ্গলবারের শুনানিতে মৃতার পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, পরিবারের কাছে প্রথমে কেউ ফোন করে বলেছিল আপনার মেয়ে অসুস্থ। তারপর আবার আরেকজন ফোন করে বলে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পাল্টা সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, পরিবারের বক্তব্য সঠিক। দু’বার ফোন করা হয়েছিল। তবে হাসপাতালের সহকারী সুপারই ফোনে সংবাদ দিয়েছিলেন। তবে কেউ অভিযোগ না করায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর (RG Kar Rape-Murder) মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করে বলেন, “এটা আশা করা যায় না। মৃতদেহ কি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে? কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল। হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষ রয়েছেন। প্রিন্সিপালকে পুরস্কৃত করলেন। কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হল না? এই যুক্তি একদম দেখানো উচিত নয়।” উল্লেখ্য মামলাকারীদের অবশ্য দাবি ছিল রাজ্যের প্রভাব থাকবে না এমন কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। হাসপাতালের প্রত্যকে তলার প্রবেশ পথে যেন সিসিটিভি লাগানো হয় সেই দাবিও তোলা হয়।

    কোর্টের গুঁতো

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে অন্য কোনও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাক্ষের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। আজ হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সন্দীপের ভূমিকায় আদালত ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “সারানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরস্কৃত করা হল অধ্যক্ষকে। পুরস্কৃত অধ্যক্ষকে ছুটিতে যেতে বলুন। তা না হলে আমরা নির্দেশ দেব।” কিন্তু আদালতের নির্দেশের কিছু সময়ের পর জানা যায় সন্দীপ ছুটির আর্জি করেছেন। ঘটনা ঘটার পর কেন হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি, এই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। সন্দীপ ছুটির আর্জি করলে নাকচ করে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

    আরও পড়ুনঃ‘‘এত পাওয়ারফুল লোক’’! ‘পুরস্কৃত’ সন্দীপকে লম্বা ছুটিতে পাঠাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    চাপে রাজ্য সরকার

    সন্দীপের সময়কালে কেন একজন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের শিকার হয়ে খুন (RG Kar Rape-Murder) হতে হল, এই নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনের চাপে পড়ে রাজ্য সরকার সোমবার অধ্যক্ষ পদ থেকে সরালেও আবার সঙ্গে বদলি করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে। এরপর সেখানেও বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন সেখানকার পড়ুয়ারা। অবশেষে লাগাতার আন্দোলনের চাপে কলেজের দায়িত্ব সন্দীপকে না দিয়ে অজয় রায়ের হাতেই রেখেছে রাজ্য সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share