Tag: Madhyom

Madhyom

  • Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত স্থগিত হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফর। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষেই রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলায় (BJP) আসছেন না। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকার কারণেই তাঁর বঙ্গ সফর স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে, পরবর্তী তারিখের ব্যাপারেও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

    ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)

    উল্লেখ্য চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাতে রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। এর ঠিক পরের দিন ৩০ মার্চ রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। তবে বিজেপির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাস নাগাদ অমিত শাহের নতুন সফর সূচি জানানো হতে পারে।

    ৩০ মার্চ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল

    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছিল, আগামী ৩০ মার্চ সারাদিন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই সময় কথা হবে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে তা পিছিয়ে গেল। বিজেপির সূত্রে শোনা যাচ্ছে, মার্চের বদলে আগামী এপ্রিল – অর্থাৎ – পরের মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন অমিত শাহ। কিন্তু এখনও সেই শাহী সফরের দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি। এনিয়ে তবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    নয়া সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন শাহ?

    দলীয় সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, নয়া রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর ছাব্বিশের বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি কেবলমাত্র যেকোনও একটি পদেই থাকতে পারবেন। বর্তমান বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রে মোদি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদেও তাঁর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

  • Justice Varma: সম্পূর্ণ হাস্যকর! তিনি বা পরিবারের কেউ টাকা রাখেননি, জানালেন জাস্টিস বর্মা

    Justice Varma: সম্পূর্ণ হাস্যকর! তিনি বা পরিবারের কেউ টাকা রাখেননি, জানালেন জাস্টিস বর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Varma) বাড়ি থেকে সম্প্রতি উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি, ভিডিও সহ মামলার পুরো অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। হোলির রাতে বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে আগুন নেভানোর অভিযানের ছবি ও ভিডিও রয়েছে ওই ২৫ পাতার রিপোর্টেই। তবে এমন অভিযোগ উঠতে যশবন্ত বর্মা এই গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিচারপতি জাস্টিস বর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য কখনও বাড়ির স্টোর রুমে কোনও নগদ টাকা রাখেননি। অর্থাৎ যে বিপুল নগদ উদ্ধার হয়েছে, তা তাঁদের নয় বলেই জানিয়েছে জাস্টিস বর্মা।

    কী বলছেন জাস্টিস বর্মা (Justice Varma)?

    এই বিষয়ে জাস্টিস বর্মা (Justice Varma) বলেন, ‘‘এই নগদ টাকা আমাদের কাছে রাখা ছিল বা তা আমাদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, এমন ধারণা সম্পূর্ণ হাস্যকর। স্টাফ কোয়ার্টারের কাছাকাছি আউটহাউস এমন ঘরে নগদ জমিয়ে রাখা হবে, এটা অনুমান করা অবিশ্বাস্য। সেখানে সহজেই যে কেউ যাওয়া আসা করতে পারে। এই ঘরটি আমাদের থাকার জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি বাউন্ডারি প্রাচীরের মাধ্যমে আমাদের থাকার জায়গার থেকে সেই আউটহাউসটি আলাদা করা আছে। আমি শুধু চাই মিডিয়া আমাকে অভিযুক্ত না করুক এবং মানহানি করার আগে তদন্ত করুক।’’ তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর বাসভবনের কোনও সদস্যকে দেখানো হয়নি যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বরং তাঁকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিচারপতির বর্মা।

    তদন্ত রিপোর্ট জমা করেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায়

    এই ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্টের (HC Judge) প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় জাস্টিস বর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্টে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেছি এবং বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Varma) জবাবও শুনেছি। এর থেকে আমি বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। পুলিশ কমিশনার তাঁর ১৬.৩.২০২৫ তারিখের রিপোর্টে বলেছেন যে বিচারপতি বর্মার বাসভবনে নিযুক্ত প্রহরী নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, ১৫.৩.২০২৫ সকালে যে ঘরে আগুন লেগেছিল সেখান থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং অন্যান্য আংশিক পোড়া জিনিস সরানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বাংলোর বাসিন্দা, গৃহকর্মী, মালি ও সিপিডব্লিউডি কর্মী ছাড়া অন্য কেউ ওই কক্ষে প্রবেশ করেননি। আমি মনে করি, পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া দরকার।’’

  • Shaheed Diwas 2025: আজ শহিদ দিবস, এদিনই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তিন দেশপ্রেমিককে

    Shaheed Diwas 2025: আজ শহিদ দিবস, এদিনই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তিন দেশপ্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ মার্চ। প্রতি বছর দিনটি পালিত হয় শহিদ দিবস (Shaheed Diwas 2025) হিসেবে। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দান করেছিলেন, দেশবাসী এই দিনে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এই দিনে ব্রিটিশ সরকার আমাদের জাতির তিন বীর – ভগৎ সিং, শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপারকে ফাঁসিতে লটকে দিয়েছিল (Bhagat Singh)।

    শহিদ দিবস (Bhagat Singh)

    ভারতে অবশ্য শহিদ দিবস বিভিন্ন তারিখে পালিত হয়। ৩০শে জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে শহিদ দিবস পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি সন্ধ্যার প্রার্থনার সময় বিড়লা হাউসে নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত হন তিনি। মহাত্মার স্মরণে দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

    যাইহোক, ভগত সিং, তাঁর সহযোগী শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপারের সঙ্গে তাঁদের সাহসী অভিযানের জন্য দেশের যুব সমাজের কাছে একটি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন। ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল, ভগত সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির কেন্দ্রীয় অ্যাসেম্বলি হলে বোমা নিক্ষেপ করেন। “ইনকিলাব জিন্দাবাদ!” ধ্বনি দেন। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ভগত সিং ও তাঁর বিপ্লবী সহযোগী রাজগুরু ও সুখদেবকে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

    ভগৎ সিং

    ভগৎ সিংয়ের জন্ম ১৯০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, ফয়সলাবাদ জেলার বঙ্গা গ্রামে, শিখ পরিবারে। এলাকাটি (Shaheed Diwas 2025) বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত। শৈশব থেকেই ভগৎ সিং তাঁর পরিবারের দেশপ্রেমের চেতনায় প্রাণিত হয়েছিলেন। তাঁর জন্মের সময়, তাঁর বাবা কিষান সিং কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারণ তিনি ক্যানাল কলোনাইজেশন বিল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কর্তার সিং সরাভার ফাঁসি তরুণ ভগৎ সিংয়ের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এর পরেই তিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন।

    গ্রামের স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করার পর, ভগৎ সিং লাহোরের দয়ানন্দ অ্যাংলো-বেদিক স্কুলে ভর্তি হন। মহাত্মা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতাদের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বয়কটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, তিনি তাঁর স্কুল ছেড়ে লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন। বাড়িতে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে ভগৎ সিং (Bhagat Singh) বাড়ি ছেড়ে কানপুরে চলে যান। চাকরি নেন প্রতাপ প্রেসে। কয়েক মাস পরে তিনি ফেরেন লাহোরের বাড়িতে। ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে নওজওয়ান ভারত সভা গঠিত হয়। ভগৎ সিং ছিলেন এর প্রধান সংগঠকদের একজন। তিনি হন এর সচিব। ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর, পুলিশ তাঁর দেহ গোপনে হুসাইনিওয়ালায় দাহ করে এবং দেহাবশেষ ফেলে দেয় শতদ্রু নদীতে।

    ১৯৫০ সালে, ভগৎ সিং ও তাঁর সহযোগীদের দাহ করা জমি পাকিস্তানের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া পুরানো স্মৃতিসৌধটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। ভগৎ সিংকে শাহিদ-ই-আজম, অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ হিসেবে স্মরণ করা (Shaheed Diwas 2025) হয়।

    রাজগুরু

    ১৯০৮ সালের ২৪ আগস্ট মহারাষ্ট্রের খেদেতে এক মরাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজগুরু। মাত্র ছবছর বয়সেই বাবাকে হারান তিনি। পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর দাদা দিঙ্করের ওপর। অল্প বয়সেই তিনি সেবা দলে যোগ দেন। তিনি ঘাটপ্রভায় ডক্টর এনএস হার্ডিকার পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন।

    রাজগুরু হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। তিনি ভগৎ সিং ও সুখদেব থাপারের সহকর্মী হয়ে ওঠেন। এক ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারকে হত্যা করেন তিনি। তাঁর সম্মানে তাঁর জন্মস্থান খেদের নাম পরিবর্তন করে রাজগুরুনগর রাখা হয়। রাজগুরুনগর মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার খেদ তহসিলের একটি জনগণনা নগর (Shaheed Diwas 2025)।

    সুখদেব

    ১৯০৭ সালের ১৫ মে লুধিয়ানার নৌঘরায় জন্মগ্রহণ করেন সুখদেব। তাঁর শৈশব ছিল চ্যালেঞ্জিং। অল্প বয়সে বাবা রাম লাল থাপরকে হারানোর পর, সুখদেবকে তাঁর মা এবং কাকা লালন-পালন করেন। সুখদেব ছিলেন হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তিনি পাঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশে বিপ্লবী কোষ গঠন করেন। সুখদেব লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে যুবকদের শিক্ষা দিতেন (Bhagat Singh) এবং তাঁদের ভারতের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করতেন।

    ১৯২৬ সালে সুখদেব অন্যান্য বিখ্যাত বিপ্লবীদের সঙ্গে লাহোরে ‘নওজওয়ান ভারত সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবকদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করতে এবং সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় এই সভার। সুখদেব বেশ কয়েকটি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পুরোভাগে ছিলেন। ১৯২৯ সালের জেল হাঙ্গার স্ট্রাইক ছিল জেলখানায় বন্দিদের প্রতি অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ (Bhagat Singh)। সুখদেব মাত্র ২৪ বছর বয়সে শহিদ হন। আত্মত্যাগ, বীরত্ব এবং সাহসের জন্য সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি (Shaheed Diwas 2025)।

  • Daily Horoscope 23 March 2025: চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 March 2025: চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যার পরিমাণ বাড়তে পারে।

    ৩) সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) মায়ের সঙ্গে বিবাদ ও মনঃকষ্ট।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় অশান্তি হতে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    ধনু

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) নিজের অজান্তেই এমন কিছু কাজ করবেন, যাতে সকলের প্রীতিলাভ সম্ভব হবে।

    ২) বন্ধুরা আপনাকে ঠকাতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) ভ্রমণের ব্যাপারে বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাধতে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩)  ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-চাকরি দশা। অথচ দুয়ারে ভোট (২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন)। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অতএব, ব্যবস্থা করতে হবে কর্মসংস্থানের (Protests)। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবং যাবতীয় ‘শ্রী’-র টোপ দিয়ে ভোট কুড়োনো নাও যেতে পারে (BJP)। তাই মহিলাদের ক্ষমতায়নের নামে মদের দোকানে চাকরির ব্যবস্থা করতে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার! তার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে বউবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স (BJP)

    রাজ্যজুড়ে ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স। তার জেরে অলিগলিতে খুলেছে ‘অফ শপ’ এবং ‘অন শপ’। এই সব শপে এতদিন কাজ করতেন পুরুষরা। এবার থেকে কাজ করতে পারবেন মহিলারাও। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে নয়া সংশোধনী নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৫ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান হল, এবার থেকে ‘অন শপ’ (চলতি কথায় বার)-এ কাজ করতে পারবেন মহিলারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন কলকাতায় মিছিল করে পদ্ম শিবির। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়ন করতে হলে তাঁদের মদের দোকানে কাজ করতে বলা কি ক্ষমতায়ন? মহিলারা মদ পরিবেশন করে ক্ষমতাবান হবেন? আমরা এই ধরনের ক্ষমতায়ন চাই না।”

    মর্যাদা হানির চেষ্টা করছে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া বেঙ্গল ফাইন্যান্স বিল ২০২৫-এ এই সংশোধনী পাশ হয়। আগে ‘অন শপ’ লেখা মদের দোকানে কাজ করতে পারতেন না মহিলারা। সেখানে মহিলাদের কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে দিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নামক ঢাল দিয়ে আদতে তাঁদের মর্যাদা হানি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রসঙ্গত, দোলের দিন (BJP) গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শুক্রবার তমলুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। কর্মসূচি শেষে পদ্ম-নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, “বাংলার সনাতনী সমাজ মুক্তি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হলে। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬ (পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা আসন), রাজ্যে হবে অন্তত ১৮০ এবং মমতাকে প্রাক্তন করব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে যে বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, তা আঁচ করতে পারছেন শাসক দলের ভোট ম্যানেজাররাও। তাঁদের ‘পরামর্শে’ই এবার মহিলাদের দলে টানার চেষ্টা করছে (Protests) তৃণমূল। সেই কারণেই মহিলাদের বারে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের (BJP)।

  • Economic Corridors: দুটি অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্বে বাড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ

    Economic Corridors: দুটি অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্বে বাড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। তাই ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে আন্তঃসীমান্ত করিডর বাস্তবায়নের কাজ। এজন্য প্রয়োজন শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, রেগুলেটরি অনুমোদন এবং লজিস্টিক সমন্বয় (Economic Corridors)। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অশান্ত বাংলাদেশের পক্ষে যা করা এই মুহূর্তে একপ্রকার অসম্ভব। তাই কঠিন হয়ে উঠছে (Northeast India) আন্তঃসীমান্ত করিডর বাস্তবায়নের কাজ।

    ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা (Economic Corridors)

    ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার কারণে পরিকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর, যা “চিকেনস নেক” নামে পরিচিত, এই সংকীর্ণ ভূখণ্ডটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রধান পথ। এর ফলে এই অঞ্চলে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। অঞ্চলটি নানা দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিবহুল এবং সংবেদনশীল। তবে, নয়া দুটি প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর— হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক করিডর ও ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর (B3) করিডর— এই অঞ্চলের সংযোগ, বাণিজ্য ও নিরাপত্তায় বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই দুটি করিডরের কাজ বাস্তবায়িত হলে উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে যাতায়াতের সময়, কমবে খরচ, বাড়বে অর্থনতৈক সুযোগ। আরও একটা লাভ হবে। সেটি হল ঐতিহ্যবাহী শিলিগুড়ি রুটের চাপ কমা।

    হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ করিডর

    হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ করিডর একটি উচ্চকাঙ্খী প্রকল্প। এর মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের মাধ্যমে মেঘালয় এবং বৃহত্তর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সড়ক ও রেল সংযোগকে আরও শক্তিশালী করা। পশ্চিমবঙ্গের হিলি এবং মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চলের মহেন্দ্রগঞ্জ—উভয়ই বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে, যা এই করিডরকে একটি কৌশলগত (Economic Corridors) আন্তঃসীমান্ত রুটে পরিণত করেছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, “এই ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর ভ্রমণের সময় এবং খরচ ২৫-৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।” বর্তমানে, কলকাতা থেকে মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অসমের বরাক ভ্যালিতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহার করতে হয় চিকেনস নেক। এই রুটে যাতায়াত সময় এবং খরচ সাপেক্ষ। এই করিডর চালু হলে ভ্রমণের দূরত্ব একধাক্কায় কমে যাবে ৬০০-৭০০ কিলোমিটার। এতে লাভবান হবেন ব্যবসায়ী এবং ভোক্তা উভয়েই। কারণ পরিবহণ খরচ কমলে প্রত্যাশিতভাবেই কমে যাবে পণ্যের দরও (Northeast India)।

    এনএইচআইডিসিএল

    ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ইতিমধ্যেই সড়ক সংযোগ বিশ্লেষণের কাজ শেষ করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্যও শেয়ার করেছে। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, করিডরের পরিকল্পনা এখনও বাতিল হয়নি। এছাড়াও, ভারতীয় রেলওয়ে হিলি থেকে মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ি এবং গাইবান্ধার মধ্যে দিয়ে একটি আন্তঃসীমান্ত রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ফাইনাল লোকেশন সার্ভে অনুমোদন করেছে। যদিও এর বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে, তবুও এই পদক্ষেপ করিডর সম্ভাবনা বাস্তবায়নের দিকে ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত (Economic Corridors) দেয়।

    ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক

    তবে, এই দুই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্ভর করবে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের আগে, এই করিডর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ার পর এই দুই করিডর রূপায়ণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। জানা গিয়েছে, এই করিডর একটি প্রধান অর্থনৈতিক ধমনী হিসেবে কাজ করবে, যা মেঘালয়, বরাক ভ্যালি, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের ব্যবসায়ীদের পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আরও দক্ষ বাণিজ্যে সক্ষম করবে। পণ্য দ্রুত চলাচলের মাধ্যমে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। সুযোগ বাড়বে নয়া কর্মসংস্থানের (Northeast India)।

    ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর

    দ্বিতীয় প্রস্তাবিত করিডর হল—ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর—এটি একটি কৌশলগত উদ্যোগ যা অসম ও মেঘালয়ের মাধ্যমে ভুটানকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে। এই করিডরের উদ্দেশ্য হল বাণিজ্য ও পরিবহণকে আরও অনায়াস করা এবং ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। বড়োল্যান্ড, অসমের জোগিঘোপা এবং মেঘালয়ের ফুলবাড়ি এই বি-থ্রি করিডরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে কাজ করবে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত ফুলবাড়ির অবস্থান এই করিডরের সম্ভাবনাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। কারণ এটি জলপথে পণ্য পরিবহণের সুযোগ দেয়। এর ফলে সড়ক, রেল ও জলপথের সমন্বয়ে পরিবহণ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার

    ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা এই করিডরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভুটান আমদানি ও রফতানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। উন্নত পরিকাঠামো এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক বিনিময়কে আরও বৃদ্ধি করবে। উন্নত সংযোগ ভুটানের জলবিদ্যুৎ, কৃষিপণ্য ও হস্তশিল্পের মতো রফতানিগুলিকে উপকৃত করবে। এর পাশাপাশি ভারতকে ভুটানের বাজারে আরও ভালো প্রবেশাধিকার দেবে (Economic Corridors)। এছাড়াও, ঐতিহাসিকভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রভাবিত বড়োল্যান্ড, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য নেটওয়ার্কে (Northeast India) একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে। এই করিডর পরিকাঠামো, লজিস্টিক এবং শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে, যা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে।

    বাংলাদেশের বন্দরগুলিতে ভারতের প্রবেশাধিকার

    এই করিডর বাংলাদেশের বন্দরগুলিতে ভারতের প্রবেশাধিকারের সম্পূরক হিসেবেও কাজ করবে। দু’বছর আগে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে। এই চুক্তির ফলে কলকাতা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি, বিশেষ করে ত্রিপুরার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিমি কমিয়েছে। বি-থ্রি করিডরের মাধ্যমে, ভারত বাংলাদেশের জলপথগুলিকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে, যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যকে আরও মসৃণ ও সাশ্রয়ী করে তুলবে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃজাতীয় অর্থনৈতিক করিডর এবং ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর ভারতের পূর্বাঞ্চলের জন্য, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে। বর্তমানে, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে ৯৫ শতাংশ রফতানি শিলিগুড়ি করিডরের মাধ্যমে সড়কপথে পরিবহণ করা হয়। বাকি ৫ শতাংশ নির্ভর করে রেলের ওপর (Economic Corridors)। এই সংকীর্ণ করিডরের ওপর অত্যধিক নির্ভরতা লজিস্টিক বাধা তৈরি করে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। প্রস্তাবিত করিডরগুলি বিকল্প বাণিজ্য ও পরিবহণ (Northeast India) রুট দেওয়ার মাধ্যমে চিকেনস নেকের বোঝা কমাতে সাহায্য করবে।

    সীমান্ত শেয়ার

    প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি চিন, মায়ানমার, ভুটান ও বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে। দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, বিশেষ করে তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র মাধ্যমে, ভারতের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। প্রস্তাবিত করিডরের মূল অংশীদার বাংলাদেশ এবং ভুটান, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে চিনা বিনিয়োগ ক্রমবর্ধমানভাবে প্রত্যক্ষ করেছে। উন্নত যোগাযোগ এবং পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা বেজিংয়ের উপস্থিতির ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং এই অঞ্চলে নয়াদিল্লির নেতৃত্ব পুনর্নিশ্চিত করবে।

    কৌশলগত দুর্বলতা হ্রাস

    এই প্রকল্পগুলি কৌশলগত দুর্বলতা হ্রাস করার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে। শিলিগুড়ি করিডরে কোনও বিঘ্ন ঘটলে—প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, অথবা নিরাপত্তা হুমকির কারণে—এই নতুন করিডরগুলি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। সর্বোপরি, এই করিডরগুলির দ্বারা প্রদত্ত বর্ধিত অ্যাক্সেসযোগ্যতা অনিশ্চিত আশপাশের এলাকায় কোনও নিরাপত্তা হুমকির (Northeast India) ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দ্রুত একত্রিত করার অনুমতিও দেবে (Economic Corridors)।

  • RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় পাশ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ওই প্রস্তাবে সাফ বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া আক্রমণগুলিকে রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’ আরএসএসের মতে, ‘‘অশান্ত বাংলাদেশে হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।’’ তাই এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করেছে আরএসএস। এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপেরও দাবিও জানিয়েছে আরএসএস।

    বাংলাদেশের হিংসা হিন্দু বিরোধী নয়, ভারত বিরোধীও বটে

    আরএসএস (RSS) নিজেদের প্রস্তাবে আরও জানিয়েছে, কেবল সরকারকে স্মারকলিপি দিলেই এক্ষেত্রে কাজ মিটবে না। সংঘ সর্বদা সমাজের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সমাজে যখনই কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন সমগ্র সমাজের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর সমাধান খুঁজে বের করা। সংঘের ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে যে ধরনের হিংসা চলছে তা কেবল হিন্দু-বিরোধী নয় বরং ভারত-বিরোধীও বটে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশে হিন্দু ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’’

    হিন্দু মঠ-মন্দিরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ (RSS)

    আরএসএসের (RSS) ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশে (Bangladesh) উগ্র ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই ধরনের হামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মঠ, মন্দির, দুর্গাপুজো প্যান্ডেল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দুদের সম্পত্তি লুটপাট, নারীদের অপহরণ, শ্লীলতাহানি এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার মতো অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন বাংলাদেশে, বলছে পরিসংখ্যান

    সংঘের (RSS) ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতিদের উপর এমন নির্যাতন নতুন কিছু নয়।’’ এপ্রসঙ্গে সংঘের দাবি, ‘‘বাংলাদেশে ১৯৫১ সালে যেখানে ছিল ২২ শতাংশ হিন্দু, সেখানে আজ তা ৭.৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’’ সংঘের মতে, ‘‘এই ক্রমহ্রাসমান হিন্দু জনসংখ্যাই বলে দিচ্ছে, সনাতনীরা সেদেশে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন।’’

    সংঘের প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি

    সংঘের তরফ থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতি সংঘের হস্তক্ষেপও চাওয়া হয়েছে। আরএসএসের ওই প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ‘‘রাষ্ট্রসংঘ সমেত বিশ্বজুড়ে থাকা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির উচিত বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনাগুলিতে গুরুত্ব সহকারে দেখা।’’ এর পাশাপাশি, হিংসা বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত বলেও মনে করছে সংঘ। একই সঙ্গে আরএসএস বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও আহ্বান জানিয়েছে।

    আন্তর্জাতিক চক্র অস্থির করতে চাইছে ভারতকে

    সংঘের (RSS) প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চক্র ভারতে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য চক্রান্ত করছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অবিশ্বাস ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। আরএসএস মনে করে, ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক বন্ধন রয়েছে প্রতিবেশী দেশের। এই কারণে যেকোনও অস্থিরতা সমগ্র অঞ্চলে উদ্বেগ তৈরি করছে।’’

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার

    আরএসএসের মতে, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ সাহসিকতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, সম্মিলিত এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে হিংসার প্রতিবাদ করছে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ঘটনা।’’ আরএসএসের প্রস্তাবে বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদি সরকারের যে ভূমিকা, তার ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত সরকার বাংলাদেশের হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বিষয়টি উত্থাপন করেছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা ভারত সরকারকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা, মর্যাদা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

  • Grok: মাস্কের এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’কে ভেবেচিন্তে প্রশ্ন করতে হবে! নয়তো পড়তে পারেন আইনি সমস্যায়

    Grok: মাস্কের এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’কে ভেবেচিন্তে প্রশ্ন করতে হবে! নয়তো পড়তে পারেন আইনি সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইলন মাস্কের এআই চ্যাটবট গ্রোক (Grok)। এ নিয়ে ইলন মাস্ক (Elon Musk) আগেই ঘোষণা করেছেন যে তাঁর এই চ্যাটবট ওপেন আই-এর চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির সঙ্গে জোর টক্কর দেবে। বারবার গ্রোক খবরের শিরোনামে থেকেছে এর বিশ্লেষণ, যুক্তি ও বিতর্কের কারণেও। ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে হিন্দিতে গালি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে গ্রোক-এর বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু প্রতিবেদন অনুসারে খবর সামনে এসেছে যে, গ্রোককে বিতর্কিত বা উস্কানিমূলক প্রশ্ন যদি কোনও ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হতে পারে। ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে এক্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেও। প্রসঙ্গত, এক্স (পূর্বে ট্যুইটার)-এর মাধ্যমেই গ্রোক (Grok) উপস্থাপিত হয়। ভারত সরকারের কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের সংস্থার মামলা চলছে। ঠিক এই সময় এমন সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৭ মার্চ। ইতিমধ্যে এক্স মাধ্যমে তরফ থেকে বলা হয়েছে যে সরকার নাকি তাদের বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে।

    কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে মাস্কের সংস্থা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে ইলন মাস্কের সংস্থা ‘এক্স কর্প’। কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩) (বি) ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এই সংস্থা। তাদের দাবি, এই আইনের নাকি কোনও বৈধতাই নেই। এর ফলে এমন এক সেন্সরশিপ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে তাদের কন্টেন্ট ব্লক হচ্ছে (Grok)। এতে প্ল্যাটফর্মটির কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছে, পদক্ষেপ করা হবে পদ্ধতি মেনেই। সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই সংক্রান্ত আইন মানতেই হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ৭৯(৩) (বি) ধারা অনুসারে যে কোনও পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের কোনও কনটেন্টকে ব্লক করে দিতে পারে সরকার। আর এতেই আপত্তি তুলছে ইলন মাস্কের এক্স। তারা এ নিয়ে দাবি তুলেছে, কোনও কনটেন্ট সরাতে গেলে তার কারণ জানাতে হবে এবং সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে একটি শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া সরকার কোনও কনটেন্ট সরিয়ে দিলে বা ব্লক করে দিলে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার আইনি অধিকারও থাকতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে।

    একাধিক প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র গ্রোককে (Grok) নিয়ে

    প্রসঙ্গত, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি একাধিক প্রশ্ন তুলেছে এক্সের চ্যাটবট গ্রোককে নিয়ে। ওই চ্যাটবটটির ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। দাবি, অনেক সময়ই অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছে গ্রোক। কেন এআই চ্যাটবটটিকে এভাবে নির্মাণ করা হল তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নীতি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছে এক্স। যদিও সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে ইন্টারনেটে ‘আপত্তিকর’ কনটেন্ট সরানোর ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়াকে আইন মেনে চলার কথাই জানাচ্ছে। সূত্রের দাবি তেমনই। হিন্দিতে গালিগালাজের অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রের নজরে আসে ইলন মাস্কের সংস্থার তৈরি কৃত্রিম চ্যাটবটের কার্যকলাপ। সম্প্রতি এই ধরনের উস্কানিমূলক শব্দের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এক্স-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে খবর। কেন্দ্রের তরফ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উস্কানিমূলক হিন্দি শব্দ ব্যবহার করছে গ্রোক?

    চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনির মতো এআই মডেলের বিকল্প হিসেবে ২০২৩ সালে কৃত্রিম মেধা গ্রোক তৈরি করে মাস্কের সংস্থা। পরে গ্রোককে জুড়ে দেওয়া হয় এক্স-এর সঙ্গে। তবে অভিযোগ ওঠে, গ্রোক-এ কোনও কিছু নিয়ে খোঁজ চালানোর সময় অকথ্য এবং উস্কানিমূলক হিন্দি শব্দ ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে এই কৃত্রিম মেধা। এক্স-এর চ্যাটবট ব্যবহার করার সময় ‘গ্রোক’ গ্রাহকদের অশ্লীল এবং আপত্তিকর শব্দে গালাগালাজও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    সম্প্রতি ভাইরাল হয় একটি পোস্ট

    সম্প্রতি, এক জন এক্স ব্যবহারকারী এবং ‘গ্রোক’-এর কথোপকথনের পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই হইচই পড়ে যায়। ব্যবহারকারী কৃত্রিম মেধার কাছে একটি বিষয়ে জান চান। কিন্তু চ্যাটবট তাৎক্ষণিক ভাবে উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। এর পরেই ব্যবহারকারী কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। পাল্টা ‘গ্রোক’ও অশ্লীল ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানায়। তখনই হতবাক হয়ে যান ওই ব্যবহারকারী। এরপর এ রকম আরও কয়েকটি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র।

  • Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সীমান্ত অঞ্চলে দুটি নতুন কাউন্টি (এক অর্থে জেলা) প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছে চিন। এর একটা অংশ আবার ভারতের লাদাখে পড়েছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার সংসদে সরকার জানিয়েছে, এই বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে গুরুতর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে (Illegal Chinese Occupation)।

    কী বললেন কীর্তি বর্ধন (Illegal Chinese Occupation)

    লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর চিনের অবৈধ দখলদারি ভারত সরকার কখনওই মেনে নেয়নি। নতুন কাউন্টি তৈরি করা ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানকে প্রভাবিত করবে না। কারণ এই অঞ্চলের ওপর ভারতের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। এটি চিনের অবৈধ ও জবরদস্তিমূলক দখলদারিকে বৈধতা দেবে না।’’ চিনের এই ঘোষণার জেরে চিন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এটি ইতিমধ্যেই একটি সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ স্পষ্ট করে দেয় যে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের অবস্থান অনড় এবং কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়।

    দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠা

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার আর একটি অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিদেশমন্ত্রককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তারা কি চিন কর্তৃক হোতান প্রিফেকচারে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অবগত, যেখানে লাদাখের ভারতীয় অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কৌশলগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। চিনের শি জিনপিং সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত কোনও প্রতিক্রিয়া সহ এই কাউন্টিগুলি তৈরির বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিবাদ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল (Illegal Chinese Occupation)।

    বিদেশমন্ত্রকের উত্তর

    এসব প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই কাউন্টিগুলি নির্মাণের বিরুদ্ধে ভারতের দায়ের করা প্রতিবাদ এবং চিনা সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার বিশদ বিবরণও চাওয়া হয়েছিল। আকসাই চিন অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত কাজকর্মের মোকাবিলায় সরকার দীর্ঘমেয়াদি কোনও কৌশল প্রণয়ন করেছে কিনা, তাও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চিনের হোতান প্রিফেকচারে দুটি তথাকথিত নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চিনা পক্ষের ঘোষণা সম্পর্কে ভারত সরকার অবগত। এই তথাকথিত কাউন্টিগুলির এক্তিয়ারের কিছু অংশ ভারতের লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। সরকার এও জানে যে চিন সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি যত্নশীল ও বিশেষ মনোযোগ দেয়, যাতে এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহজতর হয় এবং ভারতের কৌশলগত ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা যায়।”

    সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি

    জানা গিয়েছে, গত দশকে সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) একাই আগের দশকের (India) তুলনায় তিন গুণ বেশি ব্যয় করেছে। মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত সড়ক সংস্থা একাই গত দশকের তুলনায় তিনগুণ বেশি খরচ করেছে। কীর্তি বর্ধন বলেন, সড়ক যোগাযোগের দৈর্ঘ, সেতু ও টানেলের সংখ্যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উন্নত সরবরাহ দিতে সাহায্য করেছে।” তিনি বলেন, “সরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো উন্নতির দিকে নজর দিচ্ছে। এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও সহজ করা হচ্ছে। এর ফলে কৌশলগত ও সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনগুলিও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে (Illegal Chinese Occupation)।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    মন্ত্রী বলেন, “সরকার ভারতের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব উন্নয়নের ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে, সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এ বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে রাজি হয়েছে চিন। তবে তার পদ্ধতি এখনও স্থির করা হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তীর্থযাত্রা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে যে গঠনমূলক বিনিময় হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আমেরিকা সফরে গিয়ে এক মার্কিন পডকাস্টারকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে (India)। তাঁর সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসে দিন কয়েক আগে। তার পরেই ফের প্রকাশ্যে এল চিনের ‘দখলদারি’র খবর (Illegal Chinese Occupation)।

  • Weather Update: কিং-বাদশার দ্বৈরথে বৃষ্টির চোখ রাঙানি! ইডেনে কী হবে আইপিএলের উদ্বোধন?

    Weather Update: কিং-বাদশার দ্বৈরথে বৃষ্টির চোখ রাঙানি! ইডেনে কী হবে আইপিএলের উদ্বোধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শনিবার সন্ধেয় ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) আইপিএলের (IPL 2025) উদ্বোধনী ম্যাচ (KKR vs RCB Match)। এবছর আঠারোয় পা দিল আইপিএল। ফলে বলা যেতে পারে, ২০০৮ সালে  জন্ম নেওয়া এই মারকাটারি বিনোদন ক্রিকেট এতদিনে সাবালক হল। এ বারের আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ ঘিরে সকলের উন্মাদনা তুঙ্গে। মুখোমুখি কেকেআর ও আরসিবি (Weather Update)। অধিনায়ক না হলেও আরসিবি-র মধ্যমনি বিরাট কোহলি। কিং কোহলির ব্যাট দেখতে মুখিয়ে শহরের ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর কেকেআর মানে তো বরাবরই বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এদিকে শুক্রবার সন্ধে থেকেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া (Weather Update)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধে থেকে শুরু হওয়া বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    জেলায় জেলায় ঝড়-বৃষ্টি

    ঝড় বৃষ্টির দৌলতে কলকাতায় উধাও গরমের দাপট। উল্টে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমে গিয়েছে ৬ ডিগ্রি। যার জেরে ফিরেছে খানিকটা শীতের শিরশিরানি। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করবে, এবং পরবর্তী দুই-তিন দিনের মধ্যে ‘চার থেকে ছয় ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে যাবে’ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। শনিবার কলকাতা সহ দুই বঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হবে। ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা— বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে। এই চার জেলায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে, সঙ্গে শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। এখানে ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ৫০ কিলোমিটার। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়, বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কলকাতায় বৃষ্টি

    শনি ও রবিবার কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মাঝে মধ্যেই চলছে ধারাপাত। বেলা ১টা বেজে গেলেও বৃষ্টি কমেনি। ১৮ বছরের আইপিএলে কখনও প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়নি। শনিবার সেই আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়েছে দুই দলের অনুশীলনও। এই পরিস্থিতিতে সকল ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইছেন বরুণদেব যেন আজকের ম্যাচে নজর না দেন। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যা আশা জাগাচ্ছে সকলের মনে। ভরসা দিচ্ছে ইডেনের নিকাশি ব্যবস্থাও। পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে ভারী বৃষ্টি হলেও তা থামার পর খুব বেশি সময় লাগবে না ম্যাচ শুরু করতে।

    বৃষ্টি হলে ম্যাচের ভবিষ্যত

    ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল আইপিএল। প্রথম বছর কেকেআর এবং আরসিবি-ই প্রথম ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু এ বারে ম্যাচ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা থেকে গিয়েছে। লিগের ম্যাচে কোনও রিজার্ভ দিনও থাকে না। ফলে বৃষ্টির জন্য সময় নষ্ট হলে প্রথমে চেষ্টা করা হবে ওভার কমিয়ে ম্যাচ করানোর। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা সন্ধ্যে ৭টা ৩০ থেকে। বৃষ্টির কারণে ওভার কমলেও কমপক্ষে ৫ ওভারের ম্যাচ করতেই হবে। নিয়ম অনুযায়ী, রাত ১২.০৬ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ করতেই হবে। যে কারণে ৫ ওভারের ম্যাচ করতে হলে সেটা শুরু করতে হবে রাত ১০.৫৬ মিনিটের মধ্যে। একান্তই যদি খেলা না হয় তা হলে দুই দল এক পয়েন্ট করে পাবে।

    উদ্বোধন ঘিরে চমক

    ক্রিকেট এবং বিনোদনের মেলবন্ধন ঘটায় আইপিএল (IPL 2025)। ক্রিকেটের নন্দনকাননে আজ উদ্বোধনী ম্যাচ সঞ্চালনা করার কথা শাহরুখ খানের। তাঁর অ্যাকশনের পাশাপাশি মঞ্চে পারফর্ম করবেন সুরের জাদু ঝরানো শ্রেয়া ঘোষাল। তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব দিশা পাটানির নাচ মুগ্ধ করবে সকলকে। সঙ্গে থাকছেন করণ অউজলা। একটা জমকালো ওপেনিং সেরেমনির অপেক্ষায় লক্ষ লক্ষ ক্রিকেট প্রেমী। যারা ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের টিকিট পেয়েছেন, নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন।

    কী কী চমক

    শনিবার সন্ধ্যা ঠিক ৬.১১-তে মাঠে প্রবেশ করবেন শাহরুখ। তিনিই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। অনুষ্ঠানের শুরুতে ঠিক ২ মিনিট বক্তব্য রাখবেন তিনি।
    ৬.১৩-য় মঞ্চে উঠবেন শ্রেয়া ঘোষাল। যিনি বলিউড থেকে শুরু করে টলিউড -একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভক্তদের।
    ৬.১৩ থেকে ঠিক ১৬ মিনিট গান শোনাবেন শ্রেয়া। ১৬ মিনিটে মোটামুটিভাবে ৫-৬টি গান গাইবেন শ্রেয়া।
    ঠিক সাড়ে ছটায় মঞ্চে উঠবেন দিশা পাটানি। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাচের তালে মাঠ মাতাবেন।
    দিশার ৪ মিনিটের পারফরম্য়ান্সের পর মঞ্চে আসবেন গায়ক কর্ণ আউজলা। ৮ মিনিট গান গাইবেন। তাঁর শেষ গানের সময় ফের মঞ্চে উঠবেন দিশা।
    পৌনে সাতটা থেকে ৬.৫৩ পর্যন্ত ফের মঞ্চে শাহরুখ। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথোপকথন হবে কিং খানের। তারপর সমস্ত বোর্ড কর্তা ও সেলিব্রিটিদের মঞ্চে ডাকবেন শাহরুখ।
    তারপর উদ্বোধনী ম্যাচের দুই অধিনায়ক মাঠে প্রবেশ করবেন। সব অধিনায়কদের সঙ্গেই কথোপকথন হবে শাহরুখের।
    বিরাটকে ভীষণ পছন্দ করেন শাহরুখ। গত আইপিএলে ইডেনেই ঝুমে যো পাঠান গানের তালে নাচিয়েছিলেন কোহলিকে। বিরাট এখন আর আরসিবি-র অধিনায়ক নন। তবে শাহরুখ তাঁর সঙ্গেও মঞ্চ থেকে কথা বললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
    সব শেষে থাকবে আইপিএল ১৮ লেখা কেক কাটার পর্ব, বেলুন ওড়ানো ও ড্রোন শো। ট্রফি নিয়ে সকলের ফটোশ্যুট। আতশবাজি ফাটানো হবে। শুরু হয়ে যাবে আইপিএল।

LinkedIn
Share