Tag: Madhyom

Madhyom

  • Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনও দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলে ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে (SSC)।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অযোগ্যদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার জেরেই এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত। এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “যদি অভিযোগকারীর আইনজীবী প্রমাণ করতে পারেন যে আবারও অযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাহলে আপনাদের কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।”

    প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল (Supreme Court)

    এর পরেই তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে অযোগ্য (এঁরাই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।) প্রার্থীদের তালিকা রয়েছে। আপনারা যদি ওই প্রার্থীদের ছাড় দেন, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য কেন হাইকোর্টে গিয়েছে এসএসসি? যদি না কিছু মন্ত্রী চান যে ওই প্রার্থীরা থাকুন, তাহলে কোনও যুক্তিই এর জন্য যথেষ্ট নয়।” শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল, কারণ কিছু মন্ত্রী চেয়েছিলেন তাঁদের প্রার্থীরা থাকুক। ত্রুটিপূর্ণ বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড, এসএসসি এবং রাজ্য সরকার দায়ী।” বিচারপতি বলেন, “আপনাদের জন্যই যোগ্যরা চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। আপনারাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন, আর আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, এটা কি ঠিক?” বিচারপতি বলেন, “এসএসসির কাজের ওপর কড়া নজর রাখছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নিয়ে কারচুপি করা হলেই হস্তক্ষেপ করবে সুপ্রিম কোর্ট।”

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

    এর আগের শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল। এখন দাগিরাও আবেদন করছেন, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।” এর পরেই এসএসসিকে (SSC) সতর্ক করে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন (Supreme Court)। প্রশ্ন তোলা হয়, “কেন এখনও অযোগ্যদের নাম প্রকাশ করেনি এসএসসি? কেন অযোগ্যদের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন? এর পরেই সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে অযোগ্যদের তালিকা। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এসএসসির তরফে আইনজীবী তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যেই যাতে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সে ব্যাপারে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময় সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ ওরা জানে, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তাঁদের (SSC) নাম প্রকাশ্যে এলে ঘোর বিপদ। তাই কোনও কাজই ওরা সততার সঙ্গে করবে না (Supreme Court)।”

  • PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    PM Modi in Japan: ভূমিকম্পেও লাইনচ্যুত হবে না! মোদির জাপান সফরে আলোচনার কেন্দ্রে কোয়াড ও বুলেট ট্রেন প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছে যাওয়া যাবে পাঁচ ঘণ্টায়। এমনই এক বুলেট ট্রেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi in Japan) দেখাতে চলেছে জাপান। ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ অগাস্ট সন্ধ্যায় জাপান সফরে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই সফরে ভারত ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলি। ২৯ ও ৩০ অগাস্ট জাপানে থাকবেন মোদি। জাপান সফর শেষে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (Modi’s Big Japan Agenda)।

    শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে জাপানে

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এর আগে সাতবার জাপানে গিয়েছেন মোদি (PM Modi in Japan)৷ এটি তাঁর অষ্টম সফর ৷ তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বদলের পর এই প্রথমবার সূর্যোদয়ের দেশে যাবেন তিনি৷ দীর্ঘদিন দেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শিগেরু ইশিবা৷ তাঁর অনুরোধে ১৫তম ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এবার জাপান সফরে যাচ্ছেন মোদি৷ শুক্রবার টোকিও-তে শুরু হচ্ছে ভারত-জাপান (India-Japan) শীর্ষ সম্মেলন। ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, ব্যবসা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুটি দেশ একে অপরকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে কথা বলবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কয়েকটি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন দুই নেতা ৷

    বুলেট ট্রেন নিয়ে আলোচনা

    বুলেট ট্রেন তৈরিতে গোটা বিশ্বে এক নম্বর স্থান বহু বছর জাপানের (Japan) দখলে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেই ট্রেনকে রকেটের গতি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) এই সফরে জাপান সরকার এমনই একটি বুলেট ট্রেন (Bullet Train) তাঁকে দেখাতে চলেছে যেটি সে দেশে এখনও চলাচল শুরু করেনি। কারখানায় নির্মীয়মান অবস্থায় আছে। শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিয়াগিতে যাবেন। সেখানে ইস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানিতে তৈরি হচ্ছে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন। ওই ট্রেন জাপানে চালু হওয়ার পর পরই ভারতে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে চলাচল শুরু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ২০১৫ সালের জাপান সফরে মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর চুক্তি হয়েছিল। তখন কথা হয় জাপান তাদের ই-৫ সিরিজের বুলেট ট্রেন ভারতকে সরবরাহ করবে। এখন তারা সিদ্ধান্ত বদলে ই-১০ সিরিজের বুলেট ট্রেন সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রাথমিক আলোচনায় দু-দেশের আধিকারিকেরা ওই ট্রেন নেওয়ার আলোচনা সেরে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (Modi’s Big Japan Agenda) সরাসরি কারখানায় নিয়ে গিয়ে ই-১০ সিরিজের নির্মীয়মান ট্রেন দেখাতে চান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

    কত কোটি বিনিয়োগ

    জাপানের বুলেট ট্রেনগুলি (Japan’s Bullet Train) ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। অর্থাৎ কলকাতা-দিল্লি রুটে চলাচল করলে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ১৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব। মুম্বই-আমেদাবাদের মধ্যে সময় লাগবে বড়জোর দু-ঘণ্টা। এই প্রকল্পে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (JICA) প্রায় ৮৮,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে, যা মোট ১,০৮,০০০ কোটির প্রকল্পের প্রায় ৮১ শতাংশ। বাকি অর্থ কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট রাজ্য সরকার মিলে বিনিয়োগ করবে।

    দুর্ঘটনার সম্ভাবনাই নেই

    ই-১০ সিরিজের (E-10 series) যে নতুন ট্রেন তৈরি হচ্ছে সেটির বৈশিষ্ট হচ্ছে তা সাইক্লোন তো দূরের কথা, ভূমিকম্পেও বেলাইন হবে না। এমনকী মুখোমুখি সংঘর্ষেও নয়। ক্ষয়ক্ষতি যা হওয়ার সামনের কামরার হবে। সেই কামরাই যাবতীয় ধাক্কা সামলে নেবে। কারও মারা যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ইঞ্জিনে কোনও চালক থাকবেন না। জাপান এই নতুন ট্রেনের মহড়া চালাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষী রেখে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি

    ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, ভারত-জাপান সম্পর্কের সর্বোচ্চ স্তরের সংলাপ মঞ্চই হল এই সম্মেলন। তাঁর কথায়,“গত দশকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের পরিধি ও উচ্চতা অনেক বেড়েছে। এই সফরে নতুন কিছু যৌথ উদ্যোগের সূচনা হতে পারে, যা পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে।” এই সফরে ২০০৮ সালের ‘জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন অন সিকিউরিটি কো-অপারেশন’ (Joint Declaration on Security Cooperation) নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি নতুন ‘অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ’ (Economic Security Initiative) প্রসঙ্গে কথা হবে। এতে সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), টেলিযোগাযোগ এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

    কোয়াড ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা

    দুই নেতার আলোচনায় কোয়াড জোটও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের এই জোট ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাবের মোকাবিলায় একটি কৌশলগত গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক টানাপোড়েন—বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত—কোয়াডের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তবুও ভারত এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    ব্যবসায়ী সম্মেলন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Japan) তাঁর এই সফরকালে একটি বিজনেস লিডারস ফোরামেও অংশ নেবেন, যেখানে ভারত ও জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সম্প্রতি গুজরাটে মোদির উপস্থিতিতে সুজুকি মোটর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে ইভি উৎপাদন শুরু করেছে, যা এই সফরের প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য। এই সফর শুধু ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়, গোটা এশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে কূটনৈতিক মহলের অভিমত।

  • Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ (US GDP) শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs) করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে চিড় ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে নিজেই উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও একবারও ফোন ধরেননি ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ভারত-মার্কিন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ভারতকে চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।

    ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়়া শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ২৭ অগাস্ট সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকেই এই নয়া শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতিতে। এর ফলে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, এটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করলেও, বড় ধাক্কা দিতে পারে প্রবৃদ্ধিতে। এসবিআইয়ের রিসার্চের একটি নোটে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মূল্যস্ফীতির চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা মূলত সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও দুর্বল ডলারের প্রভাব থেকে উদ্ভূত। বিশেষ করে আমদানি-নির্ভর খাতগুলি যেমন ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি এবং টেকসই ভোগ্যপণ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে (Trumps Tariffs)।”

    এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া শুল্কহারের কারণে আমেরিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে ৪০-৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুধু তাই নয়, দুর্বল মার্কিন ডলার ও ব্যয়মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে মুদ্রাস্ফীতিও। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ। তবে এই হার তার চেয়েও অনেক বেশি হতে চলেছে। এর মূল কারণ চড়া হারে শুল্ক চাপানোর প্রভাব।

    জানা গিয়েছে, মার্কিন পাইকারি দামের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে জুলাই মাসে লাফিয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। বছরে ৩.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স। শুল্ক-সংবেদনশীল আমদানি করা পণ্য যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে (US GDP) সব চেয়ে তীব্র দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে (Trumps Tariffs)।

  • Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trumps Tariffs)। তার পরেই মার খেতে পারে ভারতের বস্ত্রশিল্প (Textile Exports)। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি বিশ্বের ৪০টি দেশে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর। সরকারি এক আধিকারিক জানান, এই ৪০টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ব্রিটেন। তাঁর মতে, এই ৪০টি দেশে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা হল এমন একটি কৌশল গ্রহণ করা যেখানে নিজেদেরকে উচ্চমানের, টেকসই ও উদ্ভাবনী বস্ত্রপণ্যের নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। অর্থাৎ, এক ঢিলে দুই পাখি! একদিকে ট্রাম্পের শুল্ক-নীতির মোকাবিলা করা হবে। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় বস্ত্রকে তুলে ধরাও হবে।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য (Trumps Tariffs) 

    তিনি বলেন, “ভারতীয় শিল্পখাতের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা (যার মধ্যে ইপিসিএস এবং ওই দেশগুলিতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলিও অন্তর্ভুক্ত) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। জানা গিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই ২২০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে রফতানি সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে যে ৪০টি দেশের জন্য বিশেষ যোগাযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলিই বহুমুখীকরণের প্রকৃত চাবিকাঠি ধরে রেখেছে। প্রশ্ন হল, কেন এই ৪০টি দেশকেই বেছে নেওয়া হয়েছে? সরকারি ওই আধিকারিক বলেন, “এই ৪০টি দেশ একসঙ্গে টেক্সটাইল ও পোশাক আমদানিতে ৫৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভারতের জন্য বাজার অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভারতের অংশীদারিত্ব মাত্র প্রায় ৫-৬ শতাংশ (Trumps Tariffs)। বিষয়টি উপলব্ধি করে সরকার এই ৪০টি দেশের প্রতিটিতে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী বাজারের পাশাপাশি উদীয়মান বাজারকেও।”

    মার্কিন চড়া শুল্ক হার

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের শুল্ক, যা ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে, ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রফতানিকে প্রভাবিত করবে। আধিকারিকদের মতে, ভারতের এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলস্‌ (ইপিসিএস) হবে বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের মেরুদণ্ড (Textile Exports)। তারা বাজারের মানচিত্র তৈরি করবে, উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন পণ্য চিহ্নিত করবে এবং সুরাট, পানিপথ, তিরুপুর ও ভদোহির মতো বিশেষ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ৪০টি দেশের সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করবে। ইপিসিএসের কাছ থেকে আরও আশা করা হচ্ছে যে, তারা ভারতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা এবং ক্রেতা-বিক্রেতা বৈঠকে অংশগ্রহণে নেতৃত্ব দেবে। একইসঙ্গে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ ধারণার অধীনে বিভিন্ন খাতে প্রচারও করবে। কাউন্সিলগুলি রফতানিকারকীদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) ব্যবহারের উপায়, টেকসই মানদণ্ড পূরণ এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেশন পাওয়ার বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেবে। তিনি বলেন, “এই ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে এফটিএ এবং আলোচনার ফলে ভারতীয় রফতানি প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং এই খাতে প্রবৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে (Trumps Tariffs)।”

  • Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর। শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম নদী। জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মঙ্গলবারের ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের (Heavy Rains in Himachal-Jammu) জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (SDMA) তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত উত্তর ভারতের ২ রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৩৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুগুলির মধ্যে, বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনা যেমন- ভূমিধস, হড়পা বান, মেঘভাঙা বৃষ্টি, ডুবে যাওয়া, বজ্রপাত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া এবং অন্যান্য আবহাওয়াজনিত কারণে হয়েছে। শুধু প্রাণহানিই নয়, বহু টাকার সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টিতে ভাসছে পাঞ্জাবও। দিল্লি-কাটরা বন্দেভারত-সহ ১৮টি ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।

    বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ, ২৪ জনের দেহ শনাক্ত

    দুর্যোগে জম্ম-কাশমীরে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই পুণ্যার্থী। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার জম্মুর রেইসি জেলায় অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। ওই ধসের জেরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জম্মুর ডোডা জেলায় বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৈষ্ণোদেবীর পথে ধসে নিহতদের দেহ কাটরা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ রয়েছে।

    নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তা

    ধস নেমে পূণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে মোদি লেখেন, ‘বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে সহায়তা করছে। সকলের নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করি।’ কাটরার এক হাসপাতালে ১৩ জন আহত পুণ্যার্থী ভর্তি রয়েছেন। বুধবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিং। আহতদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। তাঁদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তারও ঘোষণা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

    জম্মুতে রেকর্ড বৃষ্টি

    জম্মুতে গত ১১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার। আধিকারিক সূত্রে খবর, জম্মুতে মঙ্গলবার ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১৯১০ সালে জম্মুতে বৃষ্টিপাত পরিমাপের ব্যবস্থা শুরু হয়। তার পর থেকে সেখানে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি দেখা যায়নি। এর আগে ১৯৮৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৭০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল জম্মুতে। জম্মুতে তাওয়ি নদীর উপর এক সেতু হড়পা বানে ভেঙে গিয়েছে। শ্রীনগরে ঝিলম নদী প্রায় কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে ২০১৪ সালের বন্যার কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে শ্রীনগরের প্রশাসনও।

    উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

    হড়পা বান এবং ভূমিধসের কারণে জম্মু-পাঠানকোট, জম্মু-শ্রীনগর এবং বাতোতে-ডোডা-কিশ্তওয়ার সংযোগকারী জাতীয় সড়কেও কিছু কিছু অংশে যান চলাচলও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। গত তিন দিনের ভারী বর্ষণের জেরে জম্মুর বেশ কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উদ্ধার অভিযানে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিশ এবং সেনা। আটকে পড়া মানুষদের নৌকায় করে উদ্ধার করা হচ্ছে। জম্মুর বিভিন্ন নীচু এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের সব স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    হিমাচলে হাহাকার

    এ বছর দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যে রাজ্যে। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াসে। চরম বৃষ্টির জেরে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। হাইওয়ে সব গিলে খেয়েছে নদী। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক ব্যবস্থা। কোথাও ভেঙে পড়েছে পাহাড়ের একাংশ। কোথাও দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে পাহাড়। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, সে রাজ্যের প্রায় ৩৭৪টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ৫২৪টি ট্রান্সফরমার এবং ১৪৫টি জল সরবরাহের পাইপলাইন অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও, ভূমিধসের কারণে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

    চলবে বৃষ্টি

    উত্তর ভারতে বৃষ্টির জেরে নানা ভাবে চলতি বছরে ৩৬৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুর্যোগে সরকারি সম্পত্তির মোট আনুমানিক ক্ষতি ২.৪৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, ৩২৪টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩৯৬টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার দোকান, গোয়ালঘর এবং অন্যান্য কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্টে ১,৮৪৬টিরও বেশি গবাদি পশু এবং ২৫,৭৫৫টি হাঁস-মুরগির ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী দুই তিন দিন মানালি ছাড়াও আবহাওয়া দফতর কাংরা উপত্যকা, চাম্বা ও লাহুল-স্পিতি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও উনা, হামিরপুর, বিলাসপুর, সোলান, মান্ডি, কুলু ও শিমলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের অন্য প্রান্তে জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা।

  • National Ayurveda Day: ধনতেরসে নয়, এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জতীয় আয়ুর্বেদ দিবস

    National Ayurveda Day: ধনতেরসে নয়, এবার থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জতীয় আয়ুর্বেদ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক পরিসরে আয়ুর্বেদকে আরও স্বীকৃতি দেওয়া এবং উদযাপনের তারিখে ধারাবাহিকতা আনার লক্ষ্যে, ভারত সরকার ঘোষণা করেছে যে এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ‘আয়ুর্বেদ দিবস’ হিসেবে পালিত হবে। জাতীয় আয়ুর্বেদে (National Ayurveda Day) দিবস পালন করা হয় আয়ুর্বেদের শক্তি ও অন্যান্য চিকিত্‍সা নীতিগুলির উপর ফোকাস করার জন্য। আয়ুর্বেদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ থেকে কঠিন রোগের সমস্যা মেটাতেই এই উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে আয়ুর্বেদ চর্চা হয়ে আসছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে নানান জটিল রোগের সমাধান করতে সক্ষম এই চিকিত্‍সা পদ্ধতি। ইমিউনিটির সঙ্গে জড়িত সব রোগেরই সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে এখানে।

    কেন দিন পরিবর্তন

    পূর্বে এই দিবসটি ধনতেরস উপলক্ষে উদযাপন করা হতো, যা হিন্দু চন্দ্র পঞ্জিকার উপর নির্ভর করে প্রতিবছর ভিন্ন তারিখে পড়ে। সাধারণত ধনতেরস অক্টোবর-মধ্য থেকে নভেম্বরের মধ্যে পড়ে, যার ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো পরিকল্পনা করতে অসুবিধা হতো। এই সমস্যার সমাধানে আয়ুষ মন্ত্রক একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে এবং স্থায়ী তারিখ নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন সম্ভাব্য বিকল্প বিশ্লেষণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখটি নির্ধারিত হয়, যেটি শরৎকালীন বিষুব (Autumnal Equinox)-এর কাছাকাছি, যখন দিন ও রাত প্রায় সমান হয়। এই প্রাকৃতিক ভারসাম্যই আয়ুর্বেদের মূল দর্শনের প্রতীক—শরীর, মনের ও আত্মার মধ্যে ভারসাম্য।

    আয়ুর্বেদের গুরুত্ব

    আয়ুষ মন্ত্রক (Aayush Mantrac) দেশের সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা ২৩শে সেপ্টেম্বর আয়ুর্বেদ দিবস (National Ayurveda Day) হিসেবে পালন করেন এবং এই প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যপরিসরে আরও সুদৃঢ়ভাবে তুলে ধরতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে, তেমনি প্রতিরোধমূলক ও টেকসই স্বাস্থ্যচর্চা হিসেবেও এর ভূমিকা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত এমন অনেক ভেষজ রয়েছে, যা কমপক্ষে ১০০ ধরনের রোগের চিকিত্‍সা ও প্রতিরোধের জন্য একাই একশো। যদিও আয়ুর্বেদের ভেষজগুলির কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ১০-১৫ দিনে ব্যবধানে খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, কোনও ভেষজ গ্রহণ করার আগে আয়ুর্বেদে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

  • Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “বিশ্বের সামনে থাকা আধুনিক সব সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত”, আরএসএসের শতবর্ষে দাবি ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উগ্রবাদ বাড়ছে। ওকিজম আজকের বিশ্বের অন্যতম বড় হুমকি। পরিবেশ ধ্বংসও মানুষের অশান্তি থেকে জন্ম নেওয়া একটি গুরুতর উদ্বেগ। এর সমাধান ধর্মে নিহিত, যা কোনও সংকীর্ণ অর্থে ধর্ম নয়। ধর্ম বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এর মধ্যে পরিবেশের প্রতিও শ্রদ্ধা অন্তর্ভুক্ত। ধর্ম ভারসাম্যের কথা বলে। আর ভারতই এই আধুনিক সমস্যার সমাধান করতে পারে, যা আজ বিশ্বের সামনে রয়েছে।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘ যাত্রার ১০০ বছরের (RSS Centenary) দ্বিতীয় দিনেও বক্তব্য রাখেন সরসংঘচালক ভাগবত। সেখানেই তিনি আরএসএসের ভারতের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। আরএসএস প্রধান বলেন, “আজ ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে। তবে একজন স্বয়ংসেবক ভাবেন, ইতিবাচকতা মানে থেমে যাওয়া নয়,  তাকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করা, এমনকি যদি মতবিরোধ থাকে, তাহলেও। সংঘে কোনও ব্যক্তিগত প্রণোদনা নেই, কিন্তু স্বয়ংসেবকরা আনন্দ নিয়ে কাজ করেন। কারণ তাঁরা জানেন তাঁদের কাজ বিশ্বকল্যাণের জন্য নিবেদিত।”

    হিন্দু ধর্ম (Mohan Bhagwat)

    হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভাগবত বলেন, “আমাদের ধর্ম হল বিশ্বধর্ম। এটি পৃথিবীতে শান্তি আনতে সক্ষম। ধর্ম কখনও অন্যকে জোর করে নিজের দিকে টানতে চায় না। ভারতীয় জীবনধারা সারা বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ হতে পারে।” তিনি বলেন, “ভারত সবসময় সাহায্য করেছে নিজের স্বার্থের কথা না ভেবেই। এমনকি তাদেরও সাহায্য করেছে, যারা ভারতের বিরোধিতা করেছিল। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পরিবেশগত সমস্যাগুলি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই ভারতীয় সমাজকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।”

    সংঘের দায়িত্ব

    সংঘের দায়িত্বের প্রসঙ্গে আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হল চরিত্র গঠন করা এবং আরও দেশপ্রেমিক সমাজ গড়ে তোলা। আমরা যা সংঘে করি, তা গোটা সমাজে বিস্তার করতে হবে।” তিনি বলেন, “দেশের সবচেয়ে দরিদ্র থেকে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, প্রত্যেক গ্রাম ও প্রতিটি পরিবারের মানুষ এর বাইরে নয়। তাদের সংঘ শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। যারা সমাজের জন্য কাজ করছে, তাদেরও শাখার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্য রয়েছে। অনেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও মতবাদ বাইরের দেশ থেকে এখানে এসেছে। তারা আজও আমাদের দেশে আছে। মতবাদ বাইরে থেকে আসতে পারে, কিন্তু সমাজে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, তা মেটাতে হবে, এবং দেশের ঐক্য আরও দৃঢ় করার পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যেখানেই বাস করি বা কাজ করি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে এবং তাঁদের (RSS Centenary) আপনজন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। জল, শ্মশান ও মন্দির সবার জন্য, এখানে কোনও ভেদাভেদ চলবে না।” তিনি বলেন, “মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা এটা যখন হবে, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন আসবে।”

    স্বদেশীর অর্থ

    সরসংঘচালকের মুখেও এদিন শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথার প্রতিধ্বনি। প্রধানমন্ত্রীর মতোই ভাগবতও বলেন, “স্বদেশীর অর্থ হল, যেসব জিনিস আমাদের দেশে আছে বা সহজেই তৈরি করা সম্ভব, তা বাইরে থেকে আমদানি না করা। বাইরে থেকে জিনিস আমদানি করলে দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ চায় ভারতীয় সমাজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছক, যা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে।” হিন্দুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “হিন্দুত্বকে দুটি শব্দে বোঝানো যায় — সত্য ও প্রেম। মানবসম্পর্ক কেবল চুক্তি বা ব্যবসার ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের মানুষের উচিত জীবনের পাঠ ভারত থেকে শেখা।” তিনি বলেন, “হিন্দুস্থানের উদ্দেশ্য হল বিশ্বকল্যাণ। সংঘে যোগ দিলে কিছুই লাভ হয় না, বরং যা আছে তাও হারাতে হতে পারে। একজন স্বয়ংসেবক এই মনোভাব নিয়েই কাজ করেন – আত্মমুক্তি ও বিশ্বকল্যাণের জন্য।”

    আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন

    ভাগবত বলেন, দাদরাও পরমার্থ একবার বলেছিলেন,  “আরএসএস হল হিন্দু জাতির জীবনমিশনের এক বিবর্তন।” তিনি বলেন, “ভোগবাদ ও বস্তুবাদের কারণে সাতটি সামাজিক পাপ বাড়ছে – সম্পদহীন কাজ, বিবেকহীন ভোগ, চরিত্রহীন জ্ঞান, নীতিহীন বাণিজ্য, মানবতাহীন বিজ্ঞান, ত্যাগহীন ধর্ম এবং নীতিহীন রাজনীতি।” সরসংঘচালক বলেন, “ধর্মে কোনও ধর্মান্তর নেই। ধর্ম হল শাশ্বত সত্য, যার ভিত্তিতে সবকিছু চলে। একে (RSS Centenary) বলা হয় স্বভাব ও কর্তব্য। ধর্ম কখনও দুঃখ সৃষ্টি করে না। ধর্ম সর্বদা আনন্দদায়ক এবং সামঞ্জস্য রক্ষাকারী। বিবেকানন্দ বলতেন, ভারত একটি ধর্মকেন্দ্রিক জাতি, সময়ে সময়ে তাকে বিশ্বকে ধর্ম দিতে হয়। সর্বজনের কল্যাণ – এটাই আমাদের দর্শনের সারমর্ম।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “হিন্দু ধর্মই সেই শক্তি, যা বিশ্বশান্তি আনতে পারে। শত্রুতা জন্মায় অহংকার থেকে। হিন্দুস্থান অহংকারের ঊর্ধ্বে। আমাদের অগ্রাধিকার হল পারিবারিক সংস্কৃতি রক্ষা করা। ভারতের অধিকাংশ প্রতিবেশী দেশ একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। মানুষ ও ভূগোল একই। আমাদের প্রথম কর্তব্য হল তাদের সঙ্গে ফের সম্প্রীতির বন্ধনে যুক্ত হওয়া।” তিনি বলেন, “আত্মনির্ভরতা হল সব কিছুর মূল। আমাদের জাতিকে আত্মনির্ভর হতে হবে। একজনকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই বাঁচতে হবে জাতির জন্য। আমরা থাকি বা না থাকি, ভারতকে থাকতে (RSS Centenary) হবে, এবং বিশ্বকেও থাকতে হবে।”

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপাল, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল, ডেনমার্ক, চিন, আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা (Mohan Bhagwat)।

  • Jiban Krishna Saha: ভোটে ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ!

    Jiban Krishna Saha: ভোটে ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। অথচ তাঁরই অ্যাকাউন্টে কিনা জমা রয়েছে লাখ লাখ টাকা! এই টাকা তৃণমূল নেতা জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) অ্যাকাউন্টে এল কোথা থেকে আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর (Poll Campaign) হাতড়ে বেড়াচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। তৃণমূলের এই বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে এল জীবনকৃষ্ণের ভোট-খরচের হিসেব। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই তিনি নির্বাচনী কাজে ব্যয় করছিলেন ২৫ লাখ টাকা। যা জেনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারী আধিকারিকদের। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়কের দাবি, এই টাকা তাঁর জমানো টাকা। তদন্তকারীদের একাংশের প্রশ্ন, একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কত মাইনে যে সংসার খরচ সামলেও, ব্যাংকে জমা হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা!

    জীবনকৃষ্ণের পিসি (Jiban Krishna Saha)

    তৃণমূলের এই বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তদন্তকারীরা জীবনকৃষ্ণের পিসি মায়া সাহা-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের নামে প্রচুর জমি কেনার নথি উদ্ধার করেছেন। তার পরেই বীরভূমে বিধায়কের পিসির বাড়িতেও সেদিন তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এই পিসিও তৃণমূলেরই কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট মায়াকে সিজিওতে তলব করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া। মায়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ঢুকতে গিয়েছিলেন সাঁইথিয়া থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর দীনেশ মুখোপাধ্যায়। তাঁকে প্রথমে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে দীনেশের বডি ক্যাম খুলিয়ে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয় মায়ার বাড়িতে।

    তৃণমূল নেত্রীর দাবি

    তৃণমূল নেত্রীর দাবি, সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েও তাঁর বাড়ি থেকে কিছুই পাননি ইডির আধিকারিকরা। ভাইপো জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কেও কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর মায়া। যদিও জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) বাবা কিন্তু প্রথম থেকেই ছেলে এবং বোনের বিরুদ্ধে তুলেছিলেন অভিযোগের আঙুল। এদিকে, ৬ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। গ্রেফতারির আগে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন তৃণমূলের এই কীর্তিমান নেতা। সূত্রের খবর, চাকরি বিক্রির জন্য কাদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তার উল্লেখ রয়েছে ইডির নথিতে। ইডির দাবি, আমরা যা-ই জিজ্ঞাসা করেছি (Poll Campaign), তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি জীবনকৃষ্ণ, দেখাতে পারেননি প্রয়োজনীয় নথিও (Jiban Krishna Saha)।

  • Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারোত্তোলনে কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে (Commonwealth Weightlifting Championship) দেশকে জোড়া সোনা এনে দিলেন দুই বঙ্গ সন্তান। মেয়েদের ৫৩ কেজি বিভাগে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাংলার মেয়ে ১৭ বছরের কোয়েল বর। ছেলেদের যুব ৬৫ কেজি বিভাগে মোট ২৩৮ কেজি ভারোত্তোলন করে সোনা জিতলেন অনিক মোদি। সার্বিকভাবে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ভালোই পারফর্ম করছেন ভারতীয়রা। এই প্রতিযোগিতা দিয়েই ভারোত্তোলন সার্কিটে কামব্যাক করেছেন মীরাবাঈ চানু। আর কামব্যাক ম্যাচেই মহিলাদের ৪৮ কেজি বিভাগে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে মোট ১৯৩ কেজি (৮৪+১০৯ কেজি) ওজন তুলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছেন তিনি।

    রেকর্ডর পর রেকর্ড

    চলতি বছর গুজরাটে ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে। এখানেই তিনটি বিশ্বরেকর্ড করেছে হাওড়ার ১৭ বছরের মেয়ে কোয়েল বর। মঙ্গলবার ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক করেন বঙ্গের কোয়েল। মোট ১৯২ কেজি ওজন তুলে যুব ভারোত্তোলনে বিশ্বরেকর্ড করেন কোয়েল। সেই সঙ্গে জিতে নেন সোনাও। যুব ভারোত্তোলনে ৫৩ কেজি বিভাগে আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল ১৮৮ কেজি। কোয়েল সহজেই তা ভেঙে দেন। ক্লিন অ‍্যান্ড জার্ক বিভাগে ১০৭ কেজি ওজন তোলেন কোয়েল। এই বিভাগে বিশ্বরেকর্ড ছিল ১০৫ কেজি। স্ন্যাচে ৮৫ কেজি ওজন তুলে বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেন কোয়েল।

    বাবাই অনুপ্রেরণা

    হাওড়ায় মুরগির মাংস বিক্রেতার মেয়ে কোয়েল ইউথ ছাড়াও জুনিয়র বিভাগেও সোনা জিতেছে। রেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক, জোড়া সোনা। তার পরেও নির্বিকার কোয়ল বলে, “বিশ্বরেকর্ড করাই আমার লক্ষ‍্য ছিল। অনুশীলনের সময়ে ১০৭-১০৮ কেজি ওজন আমি নিয়মিত তুলেছি। ফলে, বিশ্বরেকর্ডের কাছাকাছি ছিলামই। রেকর্ড হতই। আমি ১০৯ কেজি তুলতে পারতাম। কিন্তু অল্পের জন্য পারলাম না।” কী ভাবে এই সাফল্য এল তা বলতে গিয়ে কোয়ল বলে, “বাবাকে দেখে ২০১৮ সালে ভারোত্তোলন শুরু করি। বাবা নিয়মিত জিমে যেত। বিজয় স্যারের (বিজয় শর্মা, কোয়েলর প্রশিক্ষক) কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত দু’বছরে আমার পারফরম্যান্সে অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে সব মিলিয়ে ১৪৭ কেজি তুলতে পারতাম। এখন ১৯২ কেজি তুলছি।”

    কেন্দ্রের সহায়তায় অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট

    কথায় বলে,জহুরি জহর চেনেন। কোয়েলকে একঝলক দেখে জাতীয় দলের প্রধান কোচ বিজয় শর্মা বুঝে গিয়েছিলেন এই মেয়ে একদিন সোনা জিতবেন। লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি। বাংলার মেয়েটিকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন বিজয় শর্মা। কোয়েলকে স্কাউট করেন তিনি। বিজয় বলেছেন, “কোয়েলকে দেখে আমার শারীরিক দিক থেকে শক্তিশালী বলেই মনে হয়েছিল। তাই অলিম্পিকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করছিলাম। অলিম্পিক্সের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘকালীন লক্ষ‍্যে বেশ কয়েক জন খুদেকে নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনই কোয়েল আমার নজরে পড়ে। প্রথমেই অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে ওর টেকনিকের উপর জোর দিয়েছিলাম। বাচ্চাদের কী করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তার জন্য অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট খুবই সাহায্য করছে।”

  • PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    PM Modi: “কার টাকা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কিন্তু উৎপাদনে যেন আমার দেশের মানুষের ঘাম থাকে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কার টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে – সেটা ডলার হোক কিংবা পাউন্ড, কালো টাকা হোক বা সাদা – তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কিন্তু সেই টাকায় যে উৎপাদন হবে, তার ঘাম যেন আমার দেশের মানুষের হয়।” এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কিনতে আগেও উদ্বুদ্ধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ফের একবার গুজরাটের আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার চেতনার (US Tariffs) আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানান। এদিন হানসালপুরে মারুতি সুজুকির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ই-ভিটারা উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিশ্ব এখন এমন বৈদ্যুতিক গাড়ি চালাবে, যেগুলি তৈরি হবে ভারতে।” দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগ কারা করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল বিষয় হল, যে পরিশ্রম করে পণ্যটি তৈরি হচ্ছে, তা যেন ভারতীয়দের হয়।” এভাবে মারুতি সুজুকিও একটি স্বদেশি কোম্পানি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুজুকি মোটরসের প্রতিশ্রুতি (PM Modi)

    সুজুকি মোটরস আগামী পাঁচ থেকে ছ’বছরে ভারতে ৭০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিনিধি পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি। তিনি বলেন, “গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুজুকি ভারতের চলাচলের যাত্রায় গর্বের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভারতের টেকসই সবুজ পরিবহণের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করতে এবং বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) নির্মাণে অবদান রাখতে।” এর ঠিক একদিন আগে সোমবার এই আমেদাবাদেই একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সবার উচিত মেড ইন্ডিয়া পণ্য কেনার মন্ত্র অনুসরণ করা।” তিনি (PM Modi) বলেন, “ব্যবসায়ীদের উচিত তাঁদের দোকান বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া, যেখানে লেখা থাকবে যে তাঁরা শুধু স্বদেশি পণ্যই বিক্রি করেন।” এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের আমলে দেশকে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছিল শুধুমাত্র আমদানি কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য (US Tariffs)।”

    মার্কিন শুল্কহারের চোখ রাঙানি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি, রাশিয়ান তেলের অব্যাহত আমদানির কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানাও আরোপ করা হয়েছে, যা বুধবার ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PM Modi) দুই দেশের মধ্যে আলোচনা বাস্তবায়িত না হওয়ার একটি কারণ হল, আমেরিকান দুগ্ধজাত পণ্য এবং জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল আমদানিকে ঘিরে দুই দেশের মতভেদ। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে কৃষকদের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তিনি বলেন, “মোদির কাছে কৃষক, পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু আমরা সবটাই সহ্য করব (US Tariffs)।”

    অপারেশন সিঁদুর

    অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে (এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নটি ঘাঁটিতে আঘাত হানে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত আর জঙ্গি ও তাদের প্রভুদের ছেড়ে কথা বলে না। অপারেশন সিঁদুর আমাদের সেনাদের বীরত্ব এবং সুদর্শন চক্রধারী মোহনের ভারতের দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। আজ আমরা জঙ্গি এবং তাদের প্রভুদের ছেড়ে দিই না, সে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন।”

    উন্নয়ন যজ্ঞ

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আমেদাবাদে ৫,৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে মহেসানা–পালানপুর রেলপথ ডাবল লাইন, কালোল–কাড়ি–কাটোশন এবং বেচরাজি–রানুজ রেলপথের গেজ পরিবর্তন, এবং কাটোশন রোড থেকে সবরমতী পর্যন্ত নতুন যাত্রিবাহী ট্রেন চালুর সূচনা। তিনি রামাপীর নো টেকরোয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় বস্তি পুনর্নির্মাণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন এবং গান্ধীনগরে রাজ্য-স্তরের ডেটা স্টোরেজ সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও সারদার প্যাটেল রিং রোড প্রশস্তকরণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন (US Tariffs)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দিল্লির কুর্সিতে বসেই প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র। প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নানা প্রোডাক্ট উৎপাদন করছে ভারত থেকে। ফলে ক্রমেই জনপ্রিয়তা বাড়ছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রোডাক্টের। মঙ্গলবার মারুতি সুজুকির ই-ভিটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মেড ফর ওয়ার্ল্ডে’র স্লোগানও দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

LinkedIn
Share