Tag: madrasa

madrasa

  • UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    UP Madrasas Survey: মাদ্রাসাগুলির উচিত সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা, মত দারুল উলুমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমোদনহীন মাদ্রাসারগুলির (Madrasa) উপর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সমীক্ষা শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh)। সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়ও বেধে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট জমা দিতে হবে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে। এ নিয়ে মুসলিম মহলে যথেষ্ট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এবার উল্টো সুরে কথা বলল উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দের দারুল উলুম। দেওবন্দের দারুল উলুমের (Darul Uloom Deoband) অধ্যক্ষ মৌলানা আরশাদ মাদানি (Maulana Arshad Madani) এই সমীক্ষায় কোনও অন্যায় দেখছেন  না। বিভিন্ন মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি রবিবার দারুল উলুমের কনভেনশনে অংশ নেন। সেখানে এই সমীক্ষার বিষয়টিও উত্থাপিত হয়। সেই আলোচনার পর মৌলানা আরশাদ মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলির উপর সমীক্ষা করার অধিকার সরকারের রয়েছে। তাই তাদের সমীক্ষাটি শান্তিতে করতে দিন। আমি এর মধ্যে কোনও ভুল দেখছি না।” অবশ্য মৌলানা আরশাদ মাাদানি দাবি করেন, মাদ্রাসাগুলোতে কোনও ধরনের অবৈধ কাজ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “জমি দখল করে যদি কোনও মাদ্রাসা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়ে থাকে, তাহলে সরকার যদি তা ভেঙে দেয় তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। আমাদের কিছু বলার নেই।”     

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম   

    তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসাগুলো সম্পর্কে সরকারকে তথ্য দিতে মুসলিম সমাজের কোনও সমস্যা নেই। সরকার জাতীয় স্বার্থে সব কিছু করতে পারে। কিন্তু মুসলমানদের নিশানা করা করা উচিত নয়। যদিও দেশজুড়ে সর্বত্র এমন একটি বার্তা পাঠানো হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে যে আমরা মাদ্রাসার উপর সমীক্ষার বিরোধিতা করছি।” মৌলানা মাদানি বলেন, “মাদ্রাসাগুলো হাজার হাজার বছর ধরে জ্ঞানার্জন ও ভালোবাসা কেন্দ্র। আমাদের ধর্মীয় চাহিদা পূরণের জন্য মাদ্রাসাগুলো আছে। লক্ষ লক্ষ মসজিদের জন্য ইমামদের প্রয়োজন। তারা এসব মাদ্রাসা থেকে এসেছেন। মাদ্রাসাগুলিকে বলেছি, সরকারের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। মাদ্রাসার জমি বৈধ হওয়া উচিত। মাদ্রাসা যাঁরা পরিচালনা করেন, তাঁদের বলা হয়েছে, মাদ্রাসাগুলিতে যেন স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।” উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টিকে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত।         

    আরও পড়ুন: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • UP Madrassa Grant: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর

    UP Madrassa Grant: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসা বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার অনুদানে কাঁচি যোগী (Yogi Adityanath) সরকারের!

    এখন থেকে উত্তর প্রদেশে (Uttar pradesh) আর কোনও অনুদান পাবে না নতুন করে তৈরি হওয়া মাদ্রাসাগুলি (Madrassa)। সম্প্রতি এই মর্মে ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।এর পর থেকে সরকারের তরফে অনুদানের তালিকায় নয়া মাদ্রাসাগুলির নাম অন্তর্ভুক্ত না করার প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয় ওই বৈঠকে।

    ওই ক্যাবিনেট বৈঠকে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের তরফে রাজ্যে নয়া মাদ্রাসাগুলিকে অনুমোদন না দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়। ধ্বনিভোটে পাশও হয়ে যায় প্রস্তাব। এই বৈঠকেই ২০১৬ সালে অখিলেশ যাদব সরকারের মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়ার নীতিও অবলুপ্ত করা হয়। অখিলেশ জমানার নীতি অনুযায়ী, আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন জানাতে হত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে। ওই জমানায় অনুদান পেত ১০০-রও বেশি মাদ্রাসা।

    যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার সিংহাসনে বসেই সেই অনুদান বন্ধ করে দেয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। সম্প্রতি যোগী সরকারের তরফে মাদ্রাসাগুলির কাজকর্ম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়, রাজ্যে একাধিক ভুয়ো মাদ্রাসা রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অনুদান পেয়ে আসছে। সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট পেয়েই অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার।

    উত্তর প্রদেশে বর্তমানে সাত হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা রয়েছে। গত বাজেটেই উত্তর প্রদেশের সরকারের তরফে মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্পের জন্য ৪৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে নতুন করে আর কোনও মাদ্রাসাকে আর্থিক অনুদান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিজেপি (BJP) সরকার। উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু মন্ত্রী দানিশ আনসারি এই প্রস্তাব পাশ করিয়েছেন।

    আরও পড়ুন :”বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    গত সপ্তাহেই মাদ্রাসাগুলিতে ক্লাস শুরুর আগে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে যোগী সরকার। এবার করল ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার মূলে কুঠারাঘাত।

    ভোট কুড়োতে বিজেপি-বিরোধী বিভিন্ন দলের সংখ্যালঘু তোষণ নতুন নয়। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই যোগী-পূর্ববর্তী বিভিন্ন সরকার মাদ্রাসা গঠনে রাশ টানেনি। ভোটের স্বার্থে চালানো হয়নি নজরদারিও। যার জেরে রাজ্যের যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে মাদ্রাসা। এই সব মাদ্রাসার একাংশে দেশবিরোধী কার্যকলাপে মদত দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই ‘জঙ্গিপনা’য় রাশ টানতেই নয়া গজিয়ে ওঠা মাদ্রাসার অনুদানে(madrasa grant) কোপ যোগী মন্ত্রিসভার।

     

  • Assam CM on Madrasa: মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার 

    Assam CM on Madrasa: মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসার (Madrasa) অবলুপ্তি ঘটানো উচিত। মুসলমানেরা (Muslims) আগে হিন্দু (Hindu) ছিলেন। দিল্লিতে আরএসএসের (RSS) একটি অনুষ্ঠান ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam CM Himanta Biswa Sarma)। তবে বাড়িতে কোরান পড়ানো যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন হিমন্ত।  

    রবিবারের ওই সভায় হিমন্ত বলেন, “মাদ্রাসাগুলি ধর্ম শিক্ষা দিতে পারে। কিন্তু কখনওই আধুনিক শিক্ষা দিতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের যাতে ভবিষ্যতে কিছু করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, সেজন্য স্কুলগুলিতে নিয়ে গিয়ে আধুনিক শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।” তাঁর মতে, যে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে এমন বয়স হওয়া উচিত, যেখানে ব্যক্তিরা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

    আরএসএসের ওই অনুষ্ঠানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের যদি বলা হয় পড়াশোনা শেষ করার পর তারা ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না, তাহলে তারা আর মাদ্রাসায় যেতে চাইবে না।” এ ধরনের ধর্মীয় বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠানো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলেও মনে করেন হিমন্ত।

    আরও পড়ুন : একদিনে প্রায় ২৩ হাজার নিয়োগপত্র বিলি আসাম সরকারের

    এর পরেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাদ্রাসা শব্দটির অবলুপ্তি ঘটানো উচিত। যতক্ষণ এই মাদ্রাসা শব্দটি মনে থাকবে, ততক্ষণ শিশুরা কখনওই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না।”  

    প্রতিটি শিশুই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের যোগ্য বলেও মনে করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, “আপনি চাইলে বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোরান শেখান। কিন্তু স্কুলে একটি শিশুকে বিজ্ঞান এবং গণিত শেখানো হোক। প্রতিটি শিশুকে বিজ্ঞান, গণিত এবং আধুনিক শিক্ষার অন্যান্য শাখার জ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে।”

    আরও পড়ুন : যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাদ্রাসায় পড়া কোনও শিশু যদি মেধাবী হয়, তবে তা তার হিন্দু ঐতিহ্যের কারণে।” তিনি বলেন, “এক সময় সব মুসলমান হিন্দু ছিল।”

    বক্তব্যের স্বপক্ষে আসামের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন হিমন্ত। বলেন, আসামের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ মুসলিম। এরা তিনভাগে বিভক্ত। আদিবাসী মুসলমান, যাঁদের সংস্কৃতি আমাদের মতো, ধর্মান্তরিত মুসলমান, আমরা তাঁদের দেশি মুসলমান বলে ডাকি। তাঁরা এখনও উঠোনে তুলসি গাছ রাখেন। আর রয়েছে অভিবাসী মুসলমান, যাঁরা নিজেদের মিয়া মুসলিম বলে পরিচয় দেন।

    হিমন্ত বলেন, লাচিত বোরফুকনের মতো বীরদের সাহসিকতার কারণে আসাম অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারেনি ইসলামিক আক্রমণকারীরা। যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল ইসলামিক সভ্যতার দ্বারা অস্পৃশ্য থেকে যায়, আসামকে তার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া উচিত বলেই মন্তব্য করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।

     

LinkedIn
Share