ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন। ছোকরা ভক্তদের দেখিতেছেন ও আনন্দে বিভোর হইতেছেন। রাখাল এখন দক্ষিণেশ্বরে আসেন না। কয় মাস বলরামের সহিত বৃন্দাবনে ছিলেন। ফিরিয়া আসিয়া এখন বাটিতে আছেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) – রাখাল এখন পেনশন খাচ্ছে। বৃন্দাবন থেকে এসে এখন বাড়িতে থাকে। বাড়িতে পরিবার আছে। কিন্তু আবার বলেছে হাজার টাকা মাহিনা দিলে ও চাকরি করবে না। এখানে শুয়ে শুয়ে বলত, তোমাকেও ভালো লাগেনা। এমনই তার একটি অবস্থা হয়েছিল।
ভবনাথ বিয়ে করেছে কিন্তু সমস্ত রাত্রি স্ত্রীর সঙ্গে কেবল ধর্মকথা কয়। ঈশ্বরের কথা নিয়ে দুজনে থাকে, আমি বললাম পরিবারের সঙ্গে একটু আমোদ আহ্লাদ করবি। তখন রেগে রোক করে বললে কি আমরাও আমদ আহ্লাদ নিয়ে থাকব।
ঠাকুর এইবার নরেন্দ্রের কথা কহিতেছেন।
শ্রী রামকৃষ্ণ ভক্তদের প্রতি- কিন্তু নরেন্দ্রের উপর যত ব্যাকুলতা হয়েছিল এর উপর (ছোট নরেনের) তত হয় নাই।
(হরিপদর প্রতি)- তুই গিরিশ ঘোষের বাড়ি যাস?
হরিপদ- আমাদের বাড়ির কাছে বাড়ি প্রায় যায়।
শ্রীরামকৃষ্ণ- নরেন্দ্র চায়
হরিপদ- আজ্ঞে হ্যাঁ। কখন কখন দেখতে পায়।
শ্রীরামকৃষ্ণ- গিরিশ ঘোষ যা বলে তাতে ও কি বলে।
হরিপদ- তর্কে হেরে গেছেন
শ্রী রামকৃষ্ণ- না আসে বললে, গিরিশ ঘোষের এখন এত বিশ্বাস। আমি কেন কোন কথা বলবো।
জজ অনুকূল মুখোপাধ্যায় জামাইয়ের ভাই আসিয়াছেন
শ্রী রামকৃষ্ণ- তুমি নরেন্দ্র কে জানো?
জামাইয়ের ভাই- আজ্ঞে হ্যাঁ নরেন্দ্র বুদ্ধিমান ছোকরা।
শ্রী রামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)- ইনি ভালো লোক। যে কালে নরেন্দ্রের সুখ্যাতি করেছেন, সেদিন নরেন্দ্র এসেছিল। ত্রৈলোকের সঙ্গে সেদিন গান গাইলে কিন্তু ও গানটি সেদিন আলুনি লাগলো।