Tag: Make in India

Make in India

  • PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    PM Modi: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ২০১৪ সালের ২৬ মে। ওই বছরেরই ২৫ সেপ্টেম্বর সূচনা করলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India) উদ্যোগের। বৃহস্পতিবার ১০ বছর পূর্ণ করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এই উদ্যোগ। সেই উপলক্ষে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে কী বললেন মোদি (PM Modi)

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্তিষ্কপ্রসূত। এই উদ্যোগে সরকার কোম্পানিগুলিকে ভারতে পণ্যের বিকাশ, উৎপাদন ও উৎপাদনে উৎসর্গীকৃত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। এই উদ্যোগ সফল হওয়ায় দেশবাসীকে অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রভাব এটা স্পষ্ট করল যে ভারত অপ্রতিরোধ্য।” তিনি বলেন, “একটা লক্ষ্য নিয়ে দশ বছর আগে এর পথচলা শুরু হয়েছিল। পণ্য উৎপাদনে ভারতের অগ্রসরের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিভাশালী এই দেশ শুধুমাত্র আমদানিকারক দেশ হিসেবে না থেকে যাতে রফতানিকারক দেশ হয়, তা নিশ্চিত করতে এই পথ চলা শুরু।”

    সাফল্যের খতিয়ান

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে সারা দেশে মাত্র দুটি মোবাইল তৈরির কারখানা ছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০। মোবাইল রফতানি ৭৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি বলেন, “এখন ভারতে ব্যবহৃত মোবাইলের ৯৯ শতাংশই দেশে তৈরি হয়। বিশ্বে মোবাইল উৎপাদনে ভারত উঠে এসেছে দুনম্বরে।” খেলনা উৎপাদনেও ভারতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গত দশ বছরে খেলনা রফতানি বেড়েছে ২৩৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    ইস্পাত শিল্পেও ব্যাপক উন্নতি করেছে ভারত। ২০১৪ সালের চেয়ে দেশে ইস্পাতের উৎপাদন বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী জানান, সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে দেশে দেড় লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। পাঁচটি প্ল্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলি থেকে প্রতিদিন ৭ কোটি চিপ তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, গত দশ বছরে ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। সামরিক সরঞ্জাম রফতানি হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। ভারত এখন বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক সঙ্গে আমরা এমন ভারত গড়ে তুলতে পারি, যা শুধু নিজের প্রয়োজন মেটাবে (Make In India) না। একই সঙ্গে বিশ্বের কাছে উৎপাদনের পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Foxconn: চিনের উপর আর নির্ভর নয়, ভারতেই স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফক্সকন

    Foxconn: চিনের উপর আর নির্ভর নয়, ভারতেই স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফক্সকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের স্মার্টফোন কোম্পানিগুলির একচেটিয়া আধিপত্য দূর করতে উঠে পড়ে লেগেছে ভারত। মোদি সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের উপর ভর করে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে দেশ। বহু দেশ-বিদেশি সংস্থা ভারতে বিনিয়োগ করছে। এবার ফক্সকন তামিলনাড়ুতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে। এই টাকা কাজে লাগিয়ে তারা একটি স্মার্টফোন ডিসপ্লে মডিউল অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই প্ল্যান্ট তৈরি হলে ভারত চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     বিশেষজ্ঞদের মত

    সম্প্রতি, বিখ্যাত বই চিপ ওয়ার-এর লেখক ক্রিস মিলার জানান, ভারতীয় কোম্পানিগুলি খুব সহজে চিনকে হারাতে পারবে। যার জন্য একটি সঠিক কৌশল থাকতে হবে। ক্রিস মিলারের কথায়, ভারত ইলেকট্রিক গাড়ি ও চিকিৎসা প্রযুক্তি খাতে যা করে দেখিয়েছে তার সঙ্গে অন্য কেউ লড়াই করতে পারবে না। তবে এ কথা ঠিক চিনের স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে, ভারত তার জবাব দিতে পারবে না।

    মেক ইন ইন্ডিয়ার সুফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প আসার পরই নানা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভারতে অ্যাসেম্বেল করা শুরু করেছে। আইফোন, স্যামসাংয়ের মতো জনপ্রিয় কোম্পানি দেশে স্মার্টফোন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় কোম্পানিগুলিও ধীরে ধীরে বাজারে জমি শক্ত করতে শুরু করেছে। রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন হাব হতে চলেছে ভারত। গত বছর,২০২৩ সালে ২৪৫ কোটি স্মার্টফোন তৈরি হয়েছে ভারতে। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক বড় নাম যেমন অ্যাপল, শাওমি, ওপো এবং ভিভো। ২০২৩ সালে স্মার্টফোন তৈরি করে ৪.১ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার। যা ২০১৪-১৫ সালে ছিল ১৮ হাজার,৯০০ কোটি টাকা। 

    চিন নির্ভরতা কমানো লক্ষ্য

    স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে চিন নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সংস্থা অ্যাপল। তাই ভারতই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্থান তাদের কাছে। পাশাপাশি স্যামসাংও ভারতকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। দুই কোম্পানির ক্ষেত্রেই একটি বড় বাজার ভারত। স্মার্টফোনের পাশাপাশি আরও একাধিক ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস বিক্রি করে তারা। যার মধ্যে স্যামসাং এগিয়ে রয়েছে। আগামীদিনে অ্যাপল এবং স্যামসাং হাই-এন্ড মেক ইন ইন্ডিয়া স্মার্টফোন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতে আইফোন তৈরি করা শুরু করেছে অ্যাপল। ভারতীয় কোম্পানি টাটা গ্রূপের সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে অ্যাপল।

    আরও পড়ুন: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    ফক্সকনের বিনিয়োগ

    আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপলের থেকে বরাত নিয়ে পণ্য তৈরি করে তাইওয়ানের ফক্সকন। তামিলনাড়ুর কারখানাটি ভারতে তাদের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র। এখানেই তারা স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলের কথা ভাবছে। ফক্সকনকে সাহায্য করবে পেগাট্রন এবং টাটা ইলেকট্রনিক্স। কবে থেকে ফক্সকন ভারতে স্মার্টফোন অ্যাসেম্বল বৃদ্ধি করবে তা সঠিকভাবে এখনও বলা না গেলেও কোম্পানিটি “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব” কাজ শুরু করবে। ফক্সকন অরগাডাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড লজিস্টিক্স পার্কে প্রায় ৫০০,০০০ বর্গফুট স্থান বেছে নিয়েছে। এখানেই তারা স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলি ইউনিট খোলার কথা ভাবছে। ফক্সকন ভারতে স্মার্টফোন উৎপাদনের উপস্থিতি বিস্তৃত করতে এবং আইসিটি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি এবং সেমিকন্ডাক্টরের মতো অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। 

    দৌড়চ্ছে ভারত

    ভারতে ডিসপ্লে মডিউলগুলির স্থানীয় অ্যাসেম্বলি করা গুরুত্বপূর্ণ। এখনও এই উপাদানগুলির জন্য ব্যাপকভাবে আমদানির উপর নির্ভরশীল ভারত। যা দেশের খরচ বাড়ায় এবং সরবরাহ চেনে জটিলতা সৃষ্টি করে। প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ ডিসপ্লে মডিউল চিন থেকে আমদানি করা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করে। সেখান থেকে ২০-২৫ শতাংশ নিয়ে আসা হয়। ভারতে যদি স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোনগুলি অ্যাসেম্বল করা যায়, তাহলে খরচ কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    India’s Defence Exports: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্য, এক দশকে অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের পর বছর অস্ত্র-বাজারে একচেটিয়া ‘রাজ’ করে আসছিল পশ্চিমী দেশগুলি। সেখানেই এবার নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ভারত (India’s Defence Exports)। গত এক দশকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি প্রায় ৩০ গুণ বাড়িয়েছে ভারত। ২০১৪ সাল থেকে চলতি অর্থবর্ষ পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হয়েই আত্মনির্ভর ভারত-এর স্লোগান তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের কথা। এখন তারই সুফল পাচ্ছে দেশ। 

    রফতানি কত বাড়ল?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্লোগানে ভর করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে, পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট। এক সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ভারত বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি (India’s Defence Exports) করছে। বেসরকারি অর্থানুকূল্যে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য জানাচ্ছে ২০২৪-২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে রফতানি প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিল-জুন মাসে প্রতিরক্ষা রফতানি বেড়ে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা হয়েছে। আগের অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) প্রথম ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।

    স্বাধীন ভারতে প্রথমবার

    চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (India’s Defence Exports) করা হয়েছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় এবার ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। টাকার অঙ্কে যা ২১ হাজার ৮৩ কোটি। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা রফতানির অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। টাটা, মাহিন্দ্রা বা কল্যাণী গ্রুপের মতো শিল্পগোষ্ঠীর হাত ধরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগের জোয়ার এসেছে। রফতানির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ইন্দো-এমআইএম। 

    আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ক্ষমতা বাড়বে চারগুণ! রূপায়নের পথে তিনটি আন্ডারসি কেবল প্রকল্প

    ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ফিলিপিন্সের সঙ্গে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের চুক্তি হয় ভারতের (India’s Defence Exports)। যেখানে টাকার অঙ্ক ছিল ৩৭ কোটি ডলার। সামরিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণে দেশের প্রতিরক্ষা রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। বর্তমানে ৮৫টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে চলছে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রফতানি। দেশের শতাধিক সংস্থা প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের কাজে হাত লাগিয়েছে। উৎপাদনের তালিকায় রয়েছে ফাইটার প্লেন, মিসাইল, রকেট লঞ্চার ইত্যাদি। মূলত আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি ভারতীয় অস্ত্রের ক্রেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    Su 30 Fighter Jet: দেশেই তৈরি হবে সুখোই যুদ্ধবিমান, রফতানি করবে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুখোই ফাইটার (Su 30 Fighter Jet) জেট রফতানি করবে ভারত। ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড (HAL) তৈরি করবে এই সুখোই যুদ্ধবিমান। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এই সংস্থা এবার থেকে সুখোই ৩০ ফাইটার জেট তৈরি করবে এবং বিদেশে রফতানি করবে। ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতার এটি একটি অসাধারণ নিদর্শন। রাশিয়ার এই বিমান পৃথিবীর বহু দেশে বিমান বাহিনীতে ব্যবহার হচ্ছে। ভারতের নিজস্ব ভান্ডারেও ২৫০-র বেশি সুখোই-৩০ ফাইটার জেট রয়েছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ফাইটার জেট তৈরি নয়, ফাইটার জেটের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি ও রফতানি করা হবে।  

    ফাইটার জেট রফতানি করবে ভারত (Su 30 Fighter Jet)

    ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং হ্যালের মধ্যে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা হয়েছে। এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে ভারত প্রতিরক্ষা রফতানির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। এর আগে ভারত শুধুমাত্র ছোটখাটো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করত। এবার থেকে ভারত বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় (Su 30 Fighter Jet) প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হবে। সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্ত আত্মনির্ভর ভারতকে আরও মজবুত করবে।

    নাসিকে তৈরি হবে যুদ্ধ বিমান (HAL)

    সূত্রের খবর (HAL) নাসিকে এই ফাইটার জেট তৈরি করা হবে। এর জন্য রাশিয়ার তরফেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। রাশিয়া এই বিমানের আসল নির্মাতা। রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করায় ভারত নিজ দেশেই বিমান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যৌথ উদ্যোগে বিমানগুলি তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। তারপরেই দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে ২১ কিমি টানেলের মধ্যে দিয়ে ছুটবে বুলেট ট্রেন! সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী

    ভারত এবং রাশিয়া উভয়পক্ষই যৌথ উদ্যোগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এই (Su 30 Fighter Jet) রাশিয়ান বিমান তৈরি করবে। দুই দেশের বিমান বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় লড়াকু বিমান তৈরি করার পাশাপাশি তৃতীয় কোনও বন্ধু রাষ্ট্রকেও এই বিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Make in India: মেক ইন ইন্ডিয়ায় সাড়া, ভারতেই আইপ্যাড তৈরি করবে ফক্সকন

    Make in India: মেক ইন ইন্ডিয়ায় সাড়া, ভারতেই আইপ্যাড তৈরি করবে ফক্সকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের প্রসার ঘটছে প্রতিদিন। এবার ভারতে উৎপাদন বাড়াতে চলেছে ফক্সকন। অ্যাপলের সাপ্লায়ার এই সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছে। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে তাঁদের কারখানায় অ্যাপলের জনপ্রিয় ট্যাবলেট, আইপ্যাড তৈরি করা হতে পারে। ফক্সকন (Foxconn) দেশে শুধু আইফোন তৈরি করে এবার তারা আইপ্যাড তৈরিতে হাত লাগাবে বলে খবর।

    দক্ষিণে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে ফক্সকন

    ধীরে ধীরে দক্ষিণ ভারতে উৎপাদন ইউনিট বাড়িয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে ফক্সকনকে (Foxconn)। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ফক্সকন দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে উৎপাদন সংক্রান্ত ইউনিটে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছে, চেন্নাইয়ে শ্রীপেরাম্বুদুরে ফক্সকন যে ইউনিট খুলতে চলেছে, সেই বিষয়ে তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে সংস্থার কথা চলছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ‘এখন পর্যন্ত তাদের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো, এবং তারা পূর্ণ শক্তি নিয়ে আসছে। তারা আগামী কয়েক বছরে তাদের যা আছে তা দ্বিগুণ করবে, যার মধ্যে আইফোন, আইপ্যাড এবং অন্যান্য কিছু পণ্যও রয়েছে।’ সূত্রের খবর, ২০২৫ সালের শেষভাগ থেকে ভারতে আইপ্যাড তৈরি শুরু হতে পারে। এতে ফক্সকন আইটি হার্ডওয়্যারের জন্য ভারতের উৎপাদন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিমের সুবিধা পাবে, যার মধ্যে ট্যাবলেটও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেরল থেকে সাইকেলে প্যারিস! ৩০টি দেশ ঘুরে অলিম্পিক্সের আসরে নীরজ-ভক্ত

    চিনের বাইরে কাজ

    চিনের বাইরে আরও বেশি পণ্য উৎপাদনের প্রসার ঘটাতে চাইছে অ্যাপল। সেক্ষেত্রে ভারত অ্যাসেম্বলড পণ্যের নিরিখে বড় নাম। গত বছরই আইপ্যাডের একটি অংশ তৈরির জন্য অ্যাপল তার একটি অংশ ভিয়েৎনামে নিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এয়ারপড ওয়্যারলেস চার্জিং কেস প্রভৃতির উৎপাদন ভারতে আরও বাড়াতে চাইছে অ্যাপল। ভারতে (Make in India) এই ধরনের জিনিস বেশি করে উৎপাদিত হলে তা চিনের অর্থনীতিকে ধাক্কা দেবে বলাই যায়। এক্ষেত্রে ফক্সকনের (Foxconn) নয়া প্রয়াস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিশ্বেমঞ্চে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জয়জয়কার, সাফল্যকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: বিশ্বেমঞ্চে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জয়জয়কার, সাফল্যকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র (Make In India) আওয়াজ তুলেছিলেন তিনিই। তারপর যমুনা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। সাফল্যের মুখ দেখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভারতীয় অর্থনীতির জয়গাথা গাইছে এই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। প্রত্যাশিতভাবেই যারপরনাই খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর একটি পোস্ট রিপোস্ট করেছে ‘মাইগভইন্ডিয়া’। তাতে বলা হয়েছে, কীভাবে ভারতে তৈরি হস্তশিল্প প্রভাব ফেলছে তামাম বিশ্বে।

    ‘মাইগভইন্ডিয়া’র পোস্ট (PM Modi)

    বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন তুলে ধরে ‘মাইগভইন্ডিয়া’র পোস্টে লেখা হয়েছে, “ফ্রম লোকাল ক্র্যাফ্ট টু গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট: দ্য মেড ইন ইন্ডিয়া সাকসেস স্টোরি। মেড ইন ইন্ডিয়ার উদ্যোগ দেখিয়ে দিচ্ছে ভারতে তৈরি বিভিন্ন প্রোডাক্টের ব্যাপক সাফল্য। ভারতীয় সাইকেল থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট, ভারত তার প্রোডাক্ট দিয়ে বিশ্বে ঝড় তুলেছে। মেড ইন্ডিয়ার যাত্রা সম্পর্কে জানুন। কারণ এটি আন্তর্জাতিক বাজার ধরে ফেলেছে, আকর্ষণ করেছে বিশ্বের নজর।”

    আমূলের জনপ্রিয়তা

    সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে ‘মাইগভইন্ডিয়া’ জানাচ্ছে, রাশিয়ান সৈনরা ব্যবহার করছেন মেড ইন্ডিয়া বুট। বিশ্বে (PM Modi) কাশ্মীরি উইলো ব্যাটের কী বিপুল জনপ্রিয়তা, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের প্রথম কো-অপারেটিভ সোশ্যাইটি কীভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তা-ও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘আমূল ভারতের ইউনিক ফ্লেভার তুলে ধরেছে বিশ্বে। তারা আমেরিকায়ও প্রোডাক্ট লঞ্চ করছে। এই যে আন্তর্জাতিক প্রসার, এটা প্রমাণ করে ভারতীয় ডেয়ারি প্রোডাক্টের বিশ্বজনীন আবেদন। বিশ্বজুড়ে ভারতের স্বাদ ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে আমূল।’

    আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিক্সের সুরক্ষায় ভারতের সারমেয়কুল, কেন জানেন?

    ইউনিফায়েড পেমেন্ট সিস্টেমেরও জয়গান গাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘ইউপিআই সিস্টেম বর্তমানে একটি বৈশ্বিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে চলছে ডিজিটাল লেনদেন।’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর লঞ্চ হয় মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগ। বিনিয়োগ, আবিষ্কার, উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি ভারতকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং, ডিজাইন এবং ইননোভেশন হাবে পরিণত করাই ছিল এর উদ্দেশ্য।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্যগাথার কথা শোনা গিয়েছিল মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গ নিউজেও। তারা জানিয়েছিল, মার্কিন কোম্পানি অ্যাপলের প্রতি সাতটা আইফোনের মধ্যে একটি তৈরি হচ্ছে ভারতেই (Make In India)। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে অ্যাপলের আইফোন ১২ থেকে আইফোন ১৫ মডেল তৈরি হচ্ছে ভারতেই (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়ল ভারতে (India) বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন (Defence Production)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই উৎপাদন গড়েছে রেকর্ড। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেই জানানো হয়েছে একথা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১.২৭ লাখ কোটি টাকা। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামেই উৎপাদন ছুঁয়েছে এই মাইলস্টোন।” ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। একলপ্তে সেটাই বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য (Defence Production)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম বছরের পর বছর নতুন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে। আমাদের শিল্পকে অনেক অভিনন্দন যার মধ্যে রয়েছে ডিপিএসইউ, অন্যান্য পিএসইউএস যারা প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে এবং ব্যক্তিগত শিল্প। ভারতকে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার আরও সহায়ক ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রতিরক্ষা (Defence Production) খাতে ভারতের এই বিকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “এই যাত্রায় যাঁরা শামিল হয়েছেন, তাঁদের অবদান অস্বীকার করা যায় না। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমরা পুরোপুরি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারতকে আমরা বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের নেতৃত্বস্থানীয় হাবে পরিণত করব।”

    আর পড়ুন: পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই মিলল মধ্যযুগের ইতিহাস, জনতার ভিড়

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে অসাধারণ অবদান রেখেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি ছুঁয়েছে ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকার রেকর্ড। যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৫ শতাংশ বেশি। গত বছর টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।’ বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শতাংশের বিচারে (India) এই বৃদ্ধির হার ৬০ (Defence Production)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Defence Exports: প্রথমবার ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি ছাড়াল ২১ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি

    India Defence Exports: প্রথমবার ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি ছাড়াল ২১ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য রেকর্ড পরিমাণ প্রতিরক্ষা সামগ্রী (India’s Defence Exports) রফতানি করল ভারত। সোমবার এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানিয়েছেন ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করেছে ভারত যা আগে কখনও হয়নি।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ট্যুইট 

    এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন রাজনাথ সিং। সমাজ মাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, ‘‘সবাইকে জানাতে পারে আমি আনন্দিত যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানি এক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য ২১ হাজার (India’s Defence Exports) কোটি টাকারও বেশি প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করা গিয়েছে।’’

    আগের অর্থবছরে তুলনায় এই রফতানির পরিমাণ ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

    কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আরও জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ভারত ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকার (India’s Defence Exports) প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করতে পেরেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর মতে, আগের অর্থ বছরে তুলনায় এই রফতানির পরিমাণ ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে নাইজেরিয়াতে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি সম্মেলনে যোগদান করেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার কথা বলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, প্রতিরক্ষা রফতানিতে অগ্রগতির (India’s Defence Exports) লক্ষ্যে ভারতের স্লোগান হল, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া-মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড।’’

    আরও পড়ুন: ভোটের উত্তাপে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, বাড়ল দিনও, কবে থেকে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    Make in India: ‘মেক-ইন-ইন্ডিয়া’র বড় সাফল্য, দেশেই তৈরি হবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ৩টি প্ল্যান্টের অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পিউটার অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর চিপ তৈরিতে এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এই সমস্ত দেশগুলির একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। তবে মোদি সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া (Make in India) কর্মসূচিতে এবার সফ্টওয়ারের পাশাপাশি হার্ডওয়ারেও দিশা দেখাবে ভারত। এবার দেশেই তৈরি হবে চিপ। গতকাল বৃহস্পতিবারই ৩টি সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মোদি সরকার।

    ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি চিপ ফ্যাবরিকেশন প্লান্ট

    জানা গিয়েছে, এই ৩টি প্ল্যান্ট “ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টরস অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া”-র অধীনে অনুমোদিত হয়েছে। তিনটি প্ল্যান্টের মধ্যে দু’টি হবে পশ্চিম ভারতের গুজরাটে এবং অপরটি উত্তর পূর্ব ভারতের ১টি অসমে। ৩টি চিপ প্ল্যান্টের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই চিপ প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান ১ লাখ মানুষের হবে বলেই জানা গিয়েছে (Make in India)। এনিয়ে ট্যুইট সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। তিনি এটিকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতা বলে উল্লেখ করেছেন।

    গুজরাটে ২টি প্ল্যান্ট কোথায় কোথায় হবে?

    জানা গিয়েছে, টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ৯১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গুজরাটের ধলেরাতে (Make in India) একটি চিপ ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে। টাটা গ্রুপ ছাড়াও, সিজি পাওয়ার, জাপানের রেনেসাস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এবং থাইল্যান্ডের স্টার মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের যৌথ উদ্যোগে গুজরাটের সানন্দ অপর প্ল্যান্টটি তৈরি হবে। সানন্দের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টটি ৭,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    অসমের মরিগাঁওয়ে হবে প্ল্যান্ট

    এছাড়াও টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড অসমের (Make in India) মরিগাঁওয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এটির প্রতিদিন ৪.৮ কোটি চিপ উৎপাদন করবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব স্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম বাণিজ্যিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবরিকেশন প্ল্যান্টটি টাটা এবং পাওয়ারচিপ-তাইওয়ানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হবে। যার কারখানা হবে গুজরাটের ধলেরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার দেশে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে তাদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশনের সঙ্গে সহযোগিতায় গুজরাটে একটি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যেটি হবে ধলেরায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Google Smartphone: ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল-৮ স্মার্টফোন! উৎসবের আবহে বড় ঘোষণা গুগলের

    Google Smartphone: ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল-৮ স্মার্টফোন! উৎসবের আবহে বড় ঘোষণা গুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগে শামিল হয়ে এ বার ভারতের মাটিতেই স্মার্টফোন তৈরি করতে চলেছে গুগল (Google Smartphone)। ‘গুগল ফর ইন্ডিয়া’র অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতিতে এই ঘোষণা করলেন গুগলের যন্ত্র এবং পরিষেবা বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক ওস্টারলো।

    কী জানালেন গুগুল সিইও

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করে ভারতের ডিজিটাল অগ্রগতিতে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন গুগল সিইও (Google CEO) সুন্দর পিচাই। এবার ভারতে পিক্সেল স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪-এর মধ্যে পিক্সেল-৮ স্মার্টফোনের (Pixel-8 smartphone) প্রথম ডিভাইস বাজারে আনার কথাও ঘোষণা করল গুগল। 

    কী বললেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ার দিকেই প্রায় ৯০ লক্ষ পিক্সেল ৮ স্মার্টফোন বাজারে এনেছে গুগল (Google Smartphone)। ভারতে তৈরি পিক্সেল ৮ স্মার্টফোন বাজারে আসবে ২০২৪ সালে। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে যে, ভারতে নির্মিত স্মার্টফোন শুধু দেশের মধ্যে নয় বিদেশের বাজারেও জায়গা করে নিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ন’বছর আগে দেশে খুব সামান্য মোবাইল ফোন তৈরি হত, কিন্তু আজ প্রায় ৩৭০ কোটি টাকার মোবাইল তৈরি হয়, যার মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মোবাইল ফোন রফতানি করা হয়।

    আরও পড়ুন: পুজোর সময় রোল-চাউমিন! রাস্তার ধারে খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখেছেন?

    গুগলের প্রতিশ্রুতি

    গুগল (Google Smartphone) সিইও সুন্দর পিচাই সমাজ মাধ্যমে জানান, ভারতের ডিজিটাল অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত পার্টনার হিসাবে গুগল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতে স্থানীয়ভাবে পিক্সেল স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনা করছে গুগল এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রথম পিক্সেল-৮ ফোন ২০২৪-এ ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যেভাবে সমর্থন জানাচ্ছেন, তার প্রশংসাও করেছেন টেক-জায়ান্টের সিইও।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র অধীনে ভারতের মোবাইল ফোনের প্রোডাকশন এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তা ২ বিলিয়ন ইউনিট অতিক্রম করেছে। অর্থাৎ এর চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক বৃদ্ধির হার (CAGR) হল ২৩ শতাংশ। বিপুল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং সরকারি উৎসাহ এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ, বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের কোথায় পিক্সেল স্মার্টফোন তৈরির কারখানা হবে এবং প্রথম দফায় কতকগুলি ফোন বাজারে আনা হবে, কী কী ফিচার থাকবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি গুগল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share