Tag: Make in India

Make in India

  • BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মন্ত্রকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক ব্রহ্মস এয়ারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৭০০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নৌসেনার জন্য মিসাইল কিনতেই এই চুক্তি। মন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতি জারি করে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌ সেনার শক্তি আরও বাড়াবে এই মিসাইল। আসলে এই ধরনের মিসাইল যেমন স্থলভাগ থেকে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিক্ষেপ করা যায়। আবার একইভাবে জলেও শত্রুপক্ষের জাহাজে আঘাত হানতে এটি সক্ষম।

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সাধারণত তিন ধরনের ব্রহ্মস মিসাইল রয়েছে। যা স্থল, জল, ও আকাশে আঘাত হানতে পারে। কিছুদিন আগেই সুখোই-৩০ বিমান থেকে ভারত ব্রহ্মস মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। কয়েকদিন আগে মহড়ার সময় বঙ্গোপসাগরে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পেরেছিল এই মিসাইল। এই সাফল্য একেবারে গেম চেঞ্জার, বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। 

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    ইন্দো রাশিয়ান যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই মিসাইল। এটির পাল্লা মোটামুটি ২৯০ কিমি। এটিকে বিশ্বের দ্রুততম গতি সম্পন্ন মিসাইল বলে গণ্য করা হয়। প্রায় শব্দের গতিবেগের চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিবেগে এটি ছুটতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে যে মিসাইল রয়েছে তার পাল্লা প্রায় ৪৫০-৫০০ কিমি পর্যন্ত। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রসারিত পাল্লায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম। সমুদ্রের ওপর বিপক্ষের বড়সড় প্রতিরক্ষাকে ভেঙে দিতেই ব্রহ্মস বেশি কার্যকরী। তাই নৌসেনার জন্য এই মিসাইল আরও বেশি করে কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    সূত্রের খবর, ভারত আরও দূর পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করতে চাইছে। সেই মিসাইলের পাল্লা বৃদ্ধি করে প্রায় ৮০০ কিমি করা হতে পারে। সেই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Defence MSME: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

    Defence MSME: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বি টু জি (B2G) পোর্টাল গভর্নমেন্ট ইমার্কেটপ্লেসে (Government eMarketplace), ক্ষুদ্র ও মাঝারি ও কুটীর শিল্পোদ্যোগ (MSME) এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবা কেনার (Defence Procurement) পরিমাণ চলতি অর্থবর্ষে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ শতাংশ বেড়েছে। শনিবার মন্ত্রকের একটি বিবৃতি অনুসারে, জিইএম-এর মাধ্যমে চলতি অর্থবর্ষে ১৫,০৪৭.৯৮ কোটি টাকার পণ্য ক্রয় হয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড।
      
    মন্ত্রকের কথায়, পুরনো টেন্ডার প্রক্রিয়াকে পুনর্গঠন করতে এবং ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ২০১৬ -র অগাস্ট মাসে শুরু হয়েছিল জিইএম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অল্প সময়ের মধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ডিজিটাল ড্রাইভের পথ অনুসরণ করেছে। প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সাফল্য লাভ করেছে সরকারের এই পদক্ষেপ। 

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কুটীর শিল্প মন্ত্রকের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২০ অর্থবর্ষের মাঝামাঝি সময় অবধি প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর ইউনিটগুলিকে সরবরাহকারী মোট এমএসএমই বিক্রেতার সংখ্যা ছিল ১০,৫০৬। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল  ৮,৬৪৩ এবং ২০১৮-এ ৭,৫৯১। ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে ১২,০০০-এ পৌঁছয়। ফলস্বরূপ, এমএসএমই থেকে ডিপিএসইউ- র অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ২০১৯ অর্থবর্ষে ৪৮৪২.৯২ কোটি টাকা থাকলেও তা ২০২১ অর্থবর্ষে বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪৬৩.৮২ কোটি টাকা।   

    ২০২০ সালে সরকার প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া (DAP) ‘মেক প্রজেক্ট’ (Make Projects) চালু করে, যাতে সরকারি তহবিল এবং শিল্প তহবিল উভয়ের মাধ্যমেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের দেশীয়করণ এবং উন্নয়ন সম্ভব হয়। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) পোর্টাল অনুসারে, মেক  প্রকল্পগুলি প্রতিরক্ষায় এমএসএমইর ভূমিকাকে আরও জোরাল করতে সাহায্য করেছে। এই সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির ৪০ শতাংশ অর্ডার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প সংস্থাগুলির জন্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ১০০০ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে এমএসএমই সংস্থাগুলোর জন্যে।

    ইতিমধ্যে, জিইএম-এর সামগ্রিক ৪২.৩৫ লক্ষ বিক্রেতা এবং মন্ত্রকের ৬০,০০০ সরকারি বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকার কেনাবেচা হয়েছে। মোট বিক্রেতার সংখ্যার মধ্যে ৭.৭০ লক্ষই ক্ষুদ্র এবং ছোট উদ্যোগ থেকে আসা। জিইএমের তথ্য অনুসারে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র এবং ছোট উদ্যোগের সংস্থাগুলিই ৫৬%  ব্যবসা করেছে এই পোর্টালে।

     

     

LinkedIn
Share