Tag: Maldives

Maldives

  • India Maldives Relation: সংঘাত অতীত, প্রতিরক্ষা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় ভারত ও মলদ্বীপ

    India Maldives Relation: সংঘাত অতীত, প্রতিরক্ষা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় ভারত ও মলদ্বীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ তাহলে গলল ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের (India Maldives Relation) বরফ? অন্তত শুক্রবারের পর তো এ কথা বলাই যায়। এদিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় (Defence Talks) অংশ নেয় নয়াদিল্লি ও মালে (মলদ্বীপের রাজধানী)। চলতি বছরের শুরুর দিকে মুইজ্জু প্রশাসনের নির্দেশ মেনে দ্বীপরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের। তার পর এদিন হল উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা।

    আলোচনায় ভারত-মলদ্বীপ (India Maldives Relation)

    আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রকল্প ও দ্বিপাক্ষিক সামরিক মহড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘পঞ্চম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আলোচনার নেতৃত্ব দেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানে এবং মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ইব্রাহিম হিলমি। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা প্রকল্পের ত্বরান্বিতকরণ, উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় এবং সক্ষমতা উন্নয়ন ভারতের পাশাপাশি সামরিক মহড়ার পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।’ ‘আলোচনা ফলপ্রসূ’ বলেও দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার লক্ষ্যেই এই আলোচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক

    ভারত-মলদ্বীপের বন্ধুত্বের (India Maldives Relation) সম্পর্ক বহু পুরানো। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ক্ষমতায় আসেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মুইজ্জু চিনপন্থী। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ভারত মলদ্বীপ সম্পর্কের অবনিত ঘটে। মলদ্বীপের অন্য রাষ্ট্রপ্রধানরা শপথ নিয়েই প্রথমে সফর করেন ভারত। আর মুইজ্জু প্রথম গিয়েছিলেন বেজিং। মলদ্বীপে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান মুইজ্জু। তার জেরে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। সেই মতো ১০ মার্চ থেকে ১০ মে-র মধ্যে প্রায় ৮০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “অনুচ্ছেদ ৩৭০ ইতিহাস, আর কখনও ফিরবে না”, স্পষ্ট করলেন শাহ

    পরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে সচেষ্ট হয় মলদ্বীপ। দ্বীপরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামির ভারত সফর করেন। এর ঠিক এক মাস পরে (Defence Talks) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুইজ্জু। তার পর এই হল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন মুইজ্জুর

    Mohamed Muizzu: মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক মাস ধরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) একের পর এক পদক্ষেপ তুলেছে সমালোচনার ঝড়ও। তবে, এবার মুইজ্জু বিরাট প্রতিক্রিয়া দিলেন। আগেই ভারতকে (India) মলদ্বীপের “সবথেকে কাছের বন্ধু”- হিসেবে বিবেচিত করেছিলেন তিনি। আর এবার মলদ্বীপের উন্নয়নে ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের ভূমিকা তুলে ধরে ভারতের লাইন অফ ক্রেডিট দ্বারা অর্থায়িত প্রকল্পগুলির সমর্থন করলেন মুইজ্জু।   

    কী জানিয়েছেন মুইজ্জু? (Mohamed Muizzu)

    মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহাম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপ এবং ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং ঘনিষ্ঠ সংযোগ জোরদার করার জন্য তার প্রশাসনের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু আরও জোর দিয়ে বলেছেন, ”ভারত সর্বদা মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে থেকেছে। মলদ্বীপের যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই সহায়তা প্রদান করেছে ভারত।”

    এ প্রসঙ্গে মুইজ্জু মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেছেন, ”মলদ্বীপের ২৮টি দ্বীপে জল সরবরাহের জন্য ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ভারত (India) সরকারের লাইন অফ ক্রেডিট দ্বারা অর্থের জোগান দেওয়া হয়েছিল। এই উদ্যোগটি মলদ্বীপের ওপর উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে উৎসাহিত করেছে যা দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এই প্রকল্পই ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল মাইলফলক।” মলদ্বীপের প্রতি এই বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)।   

    আরও পড়ুন: নতুন সম্প্রচার বিলের খসড়া প্রকাশ নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    বিদেশমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ 

    প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু গত শনিবার ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তাঁর সরকারের পূর্ণ অঙ্গীকারের বিষয়টি উপস্থাপিত করেছেন। তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করেছেন। তাঁরা ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র – অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, আবাসন, প্রতিরক্ষা, পর্যটন, ক্ষমতা উন্নয়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টার জন্য এস জয়শঙ্করের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: মোদিকে ধন্যবাদ চিন-প্রেমী মুইজ্জুর, দ্বীপরাষ্ট্রের হলটা কী?

    Mohamed Muizzu: মোদিকে ধন্যবাদ চিন-প্রেমী মুইজ্জুর, দ্বীপরাষ্ট্রের হলটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের প্রতি মোহভঙ্গ? নাকি মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভোলবদল? কী বলবেন একে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী (PM Modi) প্রশংসা করলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যে প্রকৃতই বন্ধু, তা ক্রমেই উপলব্ধি করতে পারছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তার ওপর পর্যটনে ভাঁটার টান হওয়ায় পেটেও টান পড়েছে দ্বীপবাসীর। সেই কারণেই মুইজ্জুর ভোল বদল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    মলদ্বীপ সফরে জয়শঙ্কর (Mohamed Muizzu)

    শুক্রবার তিনদিনের মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার ছিল এই সফরের দ্বিতীয় দিন।এদিন মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারায় আমি সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে।” সূত্রের খবর, বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জয়শঙ্কর আরও লিখেছেন, “আমাদের জনগণ এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    শনিবার মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে শুক্রবার জয়শঙ্কর বৈঠক করেন সে (Mohamed Muizzu) দেশের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরের সঙ্গে। পরে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী প্রথম নীতির অন্যতম ভিত্তিই হল মলদ্বীপ। ভারতের কাছে প্রতিবেশী হল অগ্রাধিকার। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে মলদ্বীপ হল আমাদের অগ্রাধিকার। দুদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কও খুব নিবিড়।”

    আরও পড়ুন: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে তিক্ততা

    মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’। মলদ্বীপের অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা যখন ক্ষমতায় এসে প্রথমে ভারত সফর করেছিলেন, রীতি ভেঙে মুইজ্জু চলে গিয়েছিলেন চিনে। ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানের পাশাপাশি তাঁর সরকারের তিন মন্ত্রী কটাক্ষ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয় বলেও অভিযোগ। তার জেরে মলদ্বীপ বয়কটের আওয়াজ তোলেন ভারতীয় পর্যটকরা। পেটে টান পড়ে দ্বীপবাসীর। তার পরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের ওপর জোর দেয় মুইজ্জু প্রশাসন।

    কী বললেন মুইজ্জু

    এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেলে মুইজ্জু লেখেন, “সব সময় মলদ্বীপকে সমর্থন করায় আমি ভারত সরকার বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের স্থায়ী অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হচ্ছে, নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দেশগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আমরা এক সঙ্গে এই অঞ্চলের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধতর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।”

    দ্বীপভূমে ইউপিআই পরিষেবা

    এদিকে, দ্বীপরাষ্ট্রে (Mohamed Muizzu) ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ বা ইউপিআই পরিষেবা চালু করতে চলেছে ভারত। এ সংক্রান্ত মউ-ও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, “মলদ্বীপে (এ) ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করার বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন ও মলদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাক্ষী হয়েছি।” ইউপিআই হল রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম। এটি মোবাইল মারফত তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাঙ্কের টাকা লেনদেনের সুবিধা দেয়। এদিন মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”

    ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়ান’

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে অবনতির পর মলদ্বীপই সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়। মলদ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সিংহভাগই ভারতীয়। তারা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বিপাকে পড়ে মুইজ্জু প্রশাসন। টান পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও। এর পরেই যে মুইজ্জু প্রশাসন ‘ইন্ডিয়া আউট’ আওয়াজ তুলে গলা ফাটাচ্ছিল, তারাই এখন ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়ান’ প্রচার শুরু করে। পর্যটক টানতে মুম্বই-সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় তারা এই প্রচার করে। দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী স্বয়ং এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর ভারত সফরের পরে পরেই এবার সে দেশে গেলেন জয়শঙ্কর।

    মলদ্বীপের ভারত-মুখী হওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। প্রতি বছর ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। এবার মলদ্বীপের জন্য সেই বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি টাকা। অভিজ্ঞমহলের মতে, পর্যটক কমে যাওয়ার পাশাপাশি বরাদ্দ কমে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে দ্বীপরাষ্ট্র। তার পরেই একটু একটু করে ভারতের (PM Modi) দিকে ঝুঁকতে শুরু করে মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) প্রশাসন।

    কথায় বলে না, ঠ্যালায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: রাষ্ট্রপতি ভারতে আসার পর এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কবে জানেন?

    S Jaishankar: রাষ্ট্রপতি ভারতে আসার পর এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে এবার ভারত- মলদ্বীপ সম্পর্কে (India-Maldives Relationship) বরফ কিছুটা গলতে শুরু করেছে। এবার মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দেশে তৃতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রী। সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার নিরিখে তাঁর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    কবে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী? (S Jaishankar)

    গত তিন থেকে চার মাসে মলদ্বীপের প্রচেষ্টার কারণেই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের (S Jaishankar) মলদ্বীপ সফরের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। মে মাসে বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির ভারত সফরে এসেছিলেন। তারপরে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু নিজে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল ভারতে রয়েছেন। মূলত, ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে যাওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। কারণ, পর্যটনের মাধ্যমে সবথেকে বড় বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হয় মলদ্বীপে। আর এতদিন ভারতীয়রা মলদ্বীপে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পরের মাসে মলদ্বীপ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে দুই থেকে তিন দিন তিনি থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি মলদ্বীপের প্রতিপক্ষ মুসা জমির এবং রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর সঙ্গে দেখা করবেন।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের সামনে লক্ষ্য, ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড়!

    মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী এবং ভারত-বিরোধী হিসাবে পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের (India-Maldives Relationship) অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মুইজ্জুর তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মুইজ্জু তার ভারত-বিরোধী এজেন্ডার অধীনে, ভারতের সঙ্গে একটি হাইড্রোগ্রাফিক চুক্তি বাতিল করে। ভারত বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও চিনা গুপ্তচর জাহাজগুলিকে মলদ্বীপের জলসীমায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপ চালানোর অনুমতি দেয়। তারপরই ভারতের সমাজমাধ্যমে মলদ্বীপ বয়কটের ডাক ওঠে। ভারতীয়দের অনেকেই মলদ্বীপে যাওয়ার টিকিট বাতিল করে দেন। যার ফলে দেশটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে চিনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন মুইজ্জু। এমনকী, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর নির্দেশও দেন তিনি। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এই আবহের মধ্যে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির ভারত সফর, পর্যটনমন্ত্রীর মলদ্বীপ যাওয়ার জন্য ভারতীয় পর্যটকদের আহবান জানানোর ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maldives: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে মুইজ্জু, ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তির তদন্ত শুরু মলদ্বীপের!

    Maldives: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে মুইজ্জু, ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তির তদন্ত শুরু মলদ্বীপের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন পিঠে ছোরা মারার সামিল! একদিকে, যেখানে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দিল্লিতে উপস্থিত রয়েছেন স্বয়ং মুইজ্জু, ঠিক সেই সময় ভারতের সঙ্গে অতীতে হওয়া একাধিক চুক্তি খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে তাঁরই প্রশাসন!

    মহম্মদ মুইজ্জু চিনপন্থী। এটা সকলের জানা। যে কারণে, মলদ্বীপের ক্ষমতায় বসেই তিনি দূরত্ব সৃষ্টি করতে শুরু করেছিলেন ভারতের সঙ্গে। কুর্সিতে বসেই তাঁর প্রথম নির্দেশ ছিল, মলদ্বীপে স্থিত ভারতীয় আধিকারিক ও কর্মীদের সেদেশ ছাড়তে বলা। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতও ছিলেন মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপ্রধান। এর পরেও যে, মলদ্বীপ ভারত-বিরোধী তদন্ত শুরু করতে চলেছে, তা বিস্ময়কর বটে! মঙ্গলবার মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলির আমলে ভারতের সঙ্গে হওয়া তিনটি চুক্তি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে মুইজ্জু-প্রশাসন। এর মধ্যে অন্যতম উথুরু থিলা ফালহু নৌঘাঁটি চুক্তি। ২০২১ সালে হওয়া এই নৌঘাঁটির বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল ভারত-মলদ্বীপের।

    ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি (Maldives)

    এই চুক্তিতে ভারতকে বিকাশ, সমর্থন এবং রক্ষণাবেক্ষণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ভারতের সঙ্গে যখন মলদ্বীপের (Maldives) এই চুক্তি হয়েছিল, তখন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মুইজ্জুর পূর্বসূরি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি। তিনি ভারতপন্থী হিসেবেই পরিচিত। মলদ্বীপে নৌঘাঁটি তৈরির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে মলদ্বীপের যে সংসদীয় প্যানেল, তারা আরও কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়গুলি মোদি-ইব্রাহিমের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। যার মধ্যে অন্যতম —মলদ্বীপ সংলগ্ন ভারত মহাসাগরের নাব্যতা ও সামুদ্রিক মানচিত্র তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় চুক্তিতে মলদ্বীপকে ভারত একটি সামরিক বিমান উপহার হিসেবে দিয়েছিল। নৌ-ঘাঁটির পাশাপাশি, এই দুই বিষয় নিয়েও তদন্ত শুরু করছে মুইজ্জু প্রশাসন।

    চুক্তি খতিয়ে দেখছেন মুইজ্জুর দলের নেতা

    মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে নির্বাচনে জিতেছিলেন আহমেদ আজান। ভারত-মলদ্বীপ সরকারের স্বাক্ষরিত এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি খতিয়ে দেখছেন মুইজ্জুর দলের ওই সংসদ সদস্য। প্রসঙ্গত, আজান যখন মালেতে (মলদ্বীপের রাজধানী) চুক্তি খতিয়ে দেখতে ব্যস্ত, তখন নয়াদিল্লিতে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন মুইজ্জু স্বয়ং। রাজনৈতিক বিশ্লষকদের মতে, মুইজ্জু এখন চিনা রোদচশমা চোখে চড়িয়ে রেখেছেন। যে কারণে তিনি এখন ভারতের বাড়িয়ে দেওয়া বন্ধুত্বের হাত দেখতে পাচ্ছেন না। তবে, যেদিন তিনি চিনা ঋণের ফাঁদে পড়বেন, সেদিন তাঁর চোখ থেকে এই রঙিন চশমা সরবে। সেদিন তিনি বুঝতে পারবেন, কোথায় তাঁর বড় ভুল হয়েছিল।

    আর পড়ুন: সুকান্ত জোড়া মন্ত্রক পেতেই মিষ্টি বিলিয়ে বাজি ফাটিয়ে খুশিতে মাতলেন বালুরঘাটবাসী

    গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রসারিত হয়েছিল ভারত-মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা। সেই সূত্রেই ভারত কোস্টাল রেডার সিস্টেম ইনস্টল করেছিল। এই সিস্টেমে ১০টি রেডার স্টেশন রয়েছে মলদ্বীপে। এর সাহায্যে ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালানো হয় অনায়াসে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মলদ্বীপের সোলি সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে উথুরু থিলা ফালহু নৌঘাঁটি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি মোতাবেক এই নৌঘাঁটিই দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তেছিল ভারতের ওপর (Maldives)। মুইজ্জুর আমলে এখন তা সঙ্কটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: সংঘাতের মধ্যেই মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য ভারতের

    India Maldives Relation: সংঘাতের মধ্যেই মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের সম্পর্কের এখনও সেভাবে উন্নতি হয়নি। তবে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাহায্য করেছে ভারত (India Maldives Relation)। সেই কারণে সোমবার মলদ্বীপের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ভারতকে। মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে শাখা রয়েছে, তার মাধ্যমেই ওই টাকা রোলওভার করার জন্য দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। তার জেরেই ধন্যবাদ প্রাপ্তি নয়াদিল্লির।

    ভারতের সাহায্য (India Maldives Relation)

    মলদ্বীপ সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত (India Maldives Relation) সরকার আজ মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট করেছে। ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্রেজারি বিল রোলওভার করতেই দেওয়া হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা। আরও এক বছরের জন্য ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। মালেতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে শাখা রয়েছে, তার মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে টাকাটা।’ নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করার পরেই ভারত ট্রেজারি বিল আরও একবছর রোলওভার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন জানান মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুশা জামির।

    কী বলছে মলদ্বীপ

    গত সপ্তাহেই তিনি এসেছিলেন নয়াদিল্লি সফরে। সেই সময়ই তিনি সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। সূত্রের খবর, অনুরোধ জানানোর পর্বটা সারা হয় সেখানেই। জামির বলেন, “ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ভারত সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাই মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটারি সাহায্য আরও একবছর বাড়ানোর জন্য। এটা শুভইচ্ছাশক্তির প্রকাশ। এ থেকে প্রমাণ হয় ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে ব্যর্থ মলদ্বীপের সেনা, বিপাকে মুইজ্জু প্রশাসন

    মলদ্বীপের অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার টি-বিল রোলওভারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশমন্ত্রী মুশা জামিরের অনুরোধে। তিনি এই অনুরোধ করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। ৮-১০ মে মুশা যখন ভারত সফরে গিয়েছিলেন, তখনই দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাৎ হয়।’

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মলদ্বীপ সরকারকে ভারত সরকার যে এই বাজেটারি সাপোর্ট করছে, ‘সেজন্য ভারতের এই উদার সাহায্যের প্রশংসা করছে মালে। ভারত সরকারের এই সাহায্যে পরিকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন এবং হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টাল প্রজেক্ট রূপায়ণ করা হবে। মলদ্বীপ সরকার দেশবাসীর সমৃদ্ধির জন্য সহযোগিতামূলক এই অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে থাকে (India Maldives Relation)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Relation: ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে ব্যর্থ মলদ্বীপের সেনা, বিপাকে মুইজ্জু প্রশাসন

    India Maldives Relation: ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে ব্যর্থ মলদ্বীপের সেনা, বিপাকে মুইজ্জু প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাঁস গয়্যা মলদ্বীপের মুইজ্জু প্রশাসন! ভারতের (India Maldives Relation) দেওয়া বিমান চালাতেই পারছেন না দ্বীপরাষ্ট্রের পাইলটরা। তাই বিমানগুলি নিয়ে কী করবে মুইজ্জু সরকার, তা ভেবে কূল পাচ্ছে না সে দেশের সরকার। তবে ভারতের দেওয়া তিন বিমান যে সে দেশের পাইলটরা চালাতেই পারছেন না, তা কবুল করে নিয়েছেন মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসন মামুন। প্রায় আড়াই মাস আগে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর নির্দেশে দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন ৭৬ জন প্রতিরক্ষা ব্যক্তিত্ব। তার পরেই তিন-তিনটি বিমান নিয়ে কার্যত অথৈ জলে পড়েছে মুইজ্জু প্রশাসন।

    কী বলছেন মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী? (India Maldives Relation)

    শনিবার প্রেসিডেন্টের অফিসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মামুন জানান, মলদ্বীপে যে ভারতীয় (India Maldives Relation) জওয়ানরা ছিলেন, মূলত তাঁরাই দু’টি হেলিকপ্টার ও একটি ডর্মিনিয়ার এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতেন। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “মলদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সে এমন কোনও সেনা জওয়ান নেই, যাঁরা ভারতের দান করা এই এয়ারক্র্যাফ্টগুলি চালাতে পারেন। আগের সরকারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক এঁদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছিল।” তিনি বলেন, “যেহেতু এটা ট্রেনিং, তাই অনেকগুলি ধাপ পার হতে হয়। কিন্তু নানা কারণে আমাদের জওয়ানরা সেই শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তাই এই মুহূর্তে আমাদের বাহিনীতে এমন কোনও জওয়ান নেই, যাঁরা ওই দুটি হেলিকপ্টার ও ডর্মিনিয়র এয়ারক্র্যাফ্টটি চালাতে পারেন।”

    আরও পড়ুুন: ২০২৫ সালেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চারে আসবে ভারত!

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে ফাটল

    চিনপন্থী মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে ফাটল ধরে। মলদ্বীপে থাকা ভারতীয় সেনাদের তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় মুইজ্জু প্রশাসন। তার আগের সরকার ছিল ভারতপন্থী। তাদের অনুরোধেই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সে দেশে পাঠানো হয়েছিল সেনা জওয়ানদের। মুইজ্জু প্রশাসন নির্দেশ দেওয়ার পরেই সেই সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। তার পরেই বিমান নিয়ে বিপাকে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। অথচ মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের আগেই মুইজ্জু প্রশাসনের কয়েকজন প্রবীণ আধিকারিক সে দেশের পূর্বতন সরকারের সমালোচনা করে বলেছিলেন মলদ্বীপের জওয়ানরাই ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে পারেন। প্রবীণ আধিকারিকদের সেই দাবির বেলুন চুপসে গেল খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্বীকারোক্তির পরেই (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maldives Foreign Minister: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রোল নেটিজেনদের

    Maldives Foreign Minister: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রোল নেটিজেনদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী (Maldives Foreign Minister) মুসা জমির আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সফরে এসেছেন। তাঁর এই সফর ঘিরে নেটাগরিকরা ব্যাপক ট্রোল শুরু করেছেন। কেউ কেউ লেখেন, মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। এদেশে রওনা হওয়ার আগে মুসা জমির একটি ট্যুইট করেন এবং যেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভারতের বিদেশমন্ত্রক জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়ে তিনি মুখিয়ে রয়েছেন।’’ ওই ট্যুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর লক্ষ্যে তাদের আলোচনা চলবে।’’

    নয়া দিল্লিতে নেমে কী জানালেন মুসা জমির

    অন্যদিকে, নয়া দিল্লিতে নেমে মুসা জমির (Maldives Foreign Minister) লেখেন,‘‘নতুন দিল্লিতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে এলাম। ইতিবাচক আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছি। দুই দেশের মধ্যে সন্ধি স্বাক্ষরিত হবে। এর পাশাপাশি ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে উপভোগ করব।’’

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ট্যুইট

    অন্যদিকে মলদ্বীপের মন্ত্রীর (Maldives Foreign Minister) এমন সফরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘মুসা জমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করা হবে।’’

    চিনপন্থী মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নামেন

    প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের (Maldives Foreign Minister) রাষ্ট্রপ্রধান চিনপন্থী মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে নামেন। মলদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা সরানোর পক্ষে সওয়াল করেন। এনিয়ে বিবিসি-কে সাক্ষাৎকারও দেন তিনি। এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত সামনে এসেছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় এসেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরেছে চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস। সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে সে দেশে। ক্ষমতায় আবারও এসেছে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একদা (India Maldives Relation) ‘পরমমিত্র’ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের নয়া সরকারের সম্পর্ক কী হবে? বিশেষত মুইজ্জুর চিন-প্রেমের পাশাপাশি ভারত-বিরোধিতা যেখানে জলের মতো স্পষ্ট।

    মলদ্বীপে নির্বাচন (India Maldives Relation)

    মুইজ্জুর সঙ্গে পিপলস মজলিশের দ্বন্দ্বের মধ্যেই মলদ্বীপে হয়েছে নির্বাচন। যার জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে তাঁর মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের নিয়োগ। তা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে জিতে ফের মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। ধরাশায়ী হয়েছে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি। উনিশের সাধারণ নির্বাচনে যে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি, প্রায় সেরকমই জনসমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। মুইজ্জুর দল যেখানে চিনপন্থী, সেখানে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি তাদের ভারত-প্রেমের জন্য জনপ্রিয় সে দেশে। মুইজ্জুর সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। ঘনিষ্ঠ হতে থাকে ড্রাগনের দেশের সঙ্গে। ভারতের পরিবর্তে চিনের অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রত্যাশী হয় মুইজ্জু সরকার। তবুও মলদ্বীপ সরাসরি ভারতের বিরোধিতা করতে পারেনি। কারণ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের রয়েছে ভৌগোলিক নৈকট্য।

    ভোট-বৈতরণী পার মুইজ্জুর দলের

    মনোহর পরিক্কর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের রিসার্চ ফেলো স্মূর্তি পট্টনায়েক বলেন, “যে নেতাই ক্ষমতায় আসুন না কেন, তাঁকে প্র্যাগমেটিক (বাস্তবপন্থী) হতেই হবে।” দক্ষিণ এশিয় এই বিশেষজ্ঞ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের বক্তৃতাগুলি ছিল আলাদা আলাদা।” গত নির্বাচনেই প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। ভারত-বিরোধিতাকেই হাতিয়ার করে তার দল পার হয়েছিল ভোট-বৈতরণী। প্রচার করতে গিয়ে তিনি জোর দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানে। ভারতের যে কয়েকজন সেনা জওয়ান মলদ্বীপে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁদেরও দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তোলেন। ভারতীয় এই সেনার সংখ্যাটা একশোরও কম। ভারত-বিরোধী হাওয়া জোরালো করে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন মুইজ্জু। তার পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় সে দেশে থাকা ভারতীয় জওয়ানদের।

    ভারত-মলদ্বীপ মন কষাকষি

    গত ডিসেম্বরে ভারতের সঙ্গে জলভাগের মানচিত্র চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৮ জুন, মোদির মলদ্বীপ সফরের সময়। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বলার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে চিনা জলযানকে রিসার্চ ওয়ার্কের জন্য নিজেদের জলসীমায় প্রবেশ করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মুইজ্জু সরকার। চিনের এই চর জাহাজ যাতে মলদ্বীপের জলসীমায় না ঢোকে সে জন্য নানাভাবে মুইজ্জু প্রশাসনকে চাপ দিতে থাকে ভারত। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে যাতে চিনের ওই গুপ্তচর জাহাজ (যাকে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত জাহাজ বলে দাবি করছে চিন) যাতে না নোঙর করে, সেজন্য নয়াদিল্লির তরফে অব্যাহত হতে থাকে মুইজ্জু প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। তা সত্ত্বেও ভারত মহাসাগরে মলদ্বীপের জলসীমানয় নোঙর করেছিল ওই চিনা চর জাহাজ।

    ভারতের নীতির পথে চিন কাঁটা

    ভারত-মলদ্বীপের এসব মন কষাকষির মধ্যেই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো প্রকাশ্যে চলে আসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য। পরে আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন সে দেশের মুইজ্জু সরকারের বরখাস্ত হওয়া এক মন্ত্রী। এসবের জেরেই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা পরিণত হয়েছে গভীর ফাটলে। অথচ নয়াদিল্লির ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’ অনুযায়ী ভারতের কাছে মলদ্বীপের গুরুত্ব কম নয়। কারণ ভারত মহাসাগরে এই দেশটির অবস্থান। ভারতের (India Maldives Relation) সঙ্গে মলদ্বীপের এথনিক, লিঙ্গুইসটিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং বাণিজ্যিক বিষয়-আশয় আদান-প্রদান হয়। সেই কারণেই ভারত বরাবর মলদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। মুইজ্জু প্রশাসনের ভারত-বিরোধিতার মাঝেও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চালিয়ে মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতের এই প্রচেষ্টায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অত্যধিক চিন-প্রীতি।

    আরও পড়ুুন: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    ভারত মহাসাগরের একটি দেশ হওয়ায় মলদ্বীপকে যতটা প্রয়োজন ভারতের, দ্বীপরাষ্ট্রেরও তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ভারতকে। সেই কারণেই তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নিতে পারছে না মুইজ্জু প্রশাসন। এর একটা কারণ যদি হয়, ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের ভৌগোলিক দূরত্ব, তবে অন্য কারণটি অবশ্যই পর্যটনগত। চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের যা দূরত্ব, তার চেয়ে ঢের কম ভারতের সঙ্গে দূরত্ব। তাছাড়া, পর্যটন শিল্প নির্ভর দেশ মলদ্বীপ। প্রতি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপে বেড়াতে আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। তাই ভারতকে সমঝে চলাই দস্তুর বলে মনে করে মলদ্বীপ প্রশাসন। সর্বোপরি, মলদ্বীপ প্রশাসনের মাথার ওপর রয়েছে বিপুল দেনার বোঝা। ২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতকে ৪০০.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ফেরানোর কথা ছিল মুইজ্জু সরকারের। বছর পেরিয়ে গিয়ে নতুন বছরের মাঝামাঝি হতে চলল, সে ঋণ শোধ করেনি মালে (মলদ্বীপের রাজধানী)। এসবের জেরেই মলদ্বীপ প্রশাসনের পক্ষে তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। তাই ভারতের মুখেপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই মুইজ্জু সরকারের সামনে (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Relation: ‘মলদ্বীপে বেড়াতে আসুন’, ভারতীয়দের কাতর আর্জি দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রীর

    India Maldives Relation: ‘মলদ্বীপে বেড়াতে আসুন’, ভারতীয়দের কাতর আর্জি দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে টান পড়েছে পর্যটনের পেটে। যেহেতু দেশটির বাসিন্দাদের রোজগারের প্রধান উৎস পর্যটন, তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ করলেন দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী (India Maldives Relation)। সোমবার মলদ্বীপের তরফে ভারতীয়দের কাছে এই অনুরোধ করেন সে দেশের মন্ত্রী।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে অবনতি (India Maldives Relation)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু সরকারের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মুইজ্জ প্রশাসন। তাতেও গলেনি সম্পর্কের বরফ। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই বরখাস্ত হওয়া তিন মন্ত্রীর একজন আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েও একপ্রস্ত দূরত্ব তৈরি হয় ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের। এসবের জেরে মলদ্বীপের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যান দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন (India Maldives Relation)।

    মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন শিল্প

    কারণ ফি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপ ঘুরতে যান, তাঁর আশি শতাংশই ভারতীয়। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক মলদ্বীপে না যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে সে দেশের পর্যটন শিল্প। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সল বলেন, “ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নয়া সরকার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজও করতে চায়। আমরা সর্বদা শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রোমোট করি। আমাদের সরকার এবং নাগরিকরা ভারতীয় পর্যটকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে আমি ভারতীয়দের বলতে চাই, দয়া করে মলদ্বীপে আসুন, মলদ্বীপ পর্যটনের অংশীদার হোন।” কাতর কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।”

    আরও পড়ুুন: “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের

    পর্যটনমন্ত্রকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর ৪ মে পর্যন্ত মলদ্বীপে বেড়াতে এসেছেন ৪৩ হাজার ৯৯১ জন পর্যটক। অথচ গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল এই চার মাসে মলদ্বীপে ঘুরতে এসেছিলেন ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন পর্যটক। চলতি বছর এই চার মাসে দ্বীপরাষ্ট্রে এসেছিলেন ৪২ হাজার ৬৩৮ জন (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share