Tag: Maldives

Maldives

  • Maldives: কেলেঙ্কারির পাঁকে ডুবে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! গদি খোয়াতে চলেছেন চিনপন্থী মুইজ্জু?

    Maldives: কেলেঙ্কারির পাঁকে ডুবে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! গদি খোয়াতে চলেছেন চিনপন্থী মুইজ্জু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি খোয়াতে চলেছেন মলদ্বীপের (Maldives) চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু! রবিবার এই দ্বীপরাষ্ট্রে রয়েছে সংসদীয় নির্বাচন। তার আগেই পর্দা ফাঁস প্রেসিডেন্টের কেলেঙ্কারির। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি রিপোর্ট। তাতেই দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মুইজ্জু। রিপোর্ট ফাঁস হতেই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেছেন সে দেশের বিরোধী নেতারা। দাবি জানিয়েছেন ইমপিচমেন্টেরও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুইজ্জু।

    কী বলছে রিপোর্ট? (Maldives)

    ২০১৮ সালের ওই গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুইজ্জুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। অন্ততপক্ষে ১০টি আর্থিক তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। এই রিপোর্টেই ইঙ্গিত মিলেছে, রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ও সরকারি তহবিলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই কেলেঙ্কারিতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। পরম মিত্র ভারতের পাশ থেকে সরে গিয়ে চিন-প্রীতি দেখানোয় এমনিতেই প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষিপ্ত মলদ্বীপের বিরোধীরা। তাঁদের হাতেই অস্ত্র তুলে দিয়েছে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এই রিপোর্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠার পাশাপাশি তদন্তের দাবি জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার বিরোধী দুই দল এমডিপি এবং পিএনএফ। প্রাক্তন (Maldives) ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জামিল আহমেদ দাবি তুলেছেন, ইমপিচমেন্ট করা হোক প্রেসিডেন্টকে। রবিবার মলদ্বীপে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় বিপাকে চিনপন্থী মুইজ্জু।

    কারা চালায় নজরদারি?

    মলদ্বীপের অর্থনৈতিক বিষয়ে নজরদারি চালায় সরকারি সংস্থা মলদ্বীপজ মানিটারি অথরিটিজ-এর গোয়েন্দা শাখা। এই শাখা এবং মলদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস যৌথভাবে তৈরি করেছে ওই রিপোর্ট। এক্স হ্যান্ডেলে ফাঁস হয়ে যায় সেই রিপোর্ট। রিপোর্টটি উদ্ধৃত করে পোস্টে লেখা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রশাসনের একাধিক স্তরে দুর্নীতি হয়। মুইজ্জুর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। অর্থ তছরুপ-সহ মোট দশটি বিষয়ে দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে হইচই ফেলে দেওয়া ওই রিপোর্টটিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘এই নির্বাচন উন্নত জীবনযাত্রার নির্ণায়ক’, ভোটের আগে এনডিএ প্রার্থীদের বিশেষ চিঠি মোদির

    ভারত-মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে ইতি টেনেছিলেন এই চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট। কুর্সিতে বসার পরেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তিনি। মুইজ্জু সরকারের জুনিয়র তিন মন্ত্রী আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করে মুইজ্জু প্রশাসন। এঁদের মধ্যেই একজন আবার ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এসব নিয়েই সংসদ তোলপাড় করেন বিরোধীরা। এহেন আবহে রবিবার হতে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্রে সাধারণ নির্বাচন (Maldives)।

    মুইজ্জুর গদি টিকবে তো!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Relationship: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    India Maldives Relationship: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। যার ফলস্বরূপ, প্রবল চাপে সাসপেন্ড করা হয় তিনজনকে। তার পর কোটি কোটি ঢেউ ভেঙেছে ভারত মহাসাগরের বুকে। ক্রমেই তলানিতে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক (India Maldives Relationship)। মলদ্বীপের চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের অনুরোধে ইদের ‘তোফা’ পাঠিয়েছে ভারত। তার জেরে দুই দেশের ভাঙা সম্পর্ক যখন জোড়া লাগতে চলেছে, তখন ফের ভারতের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠল সাসপেনসনে থাকা এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন মারিয়ম শিউনা নামে ওই মন্ত্রী। তাতে অবশ্য নেভেনি বিতর্কের আগুন (India Maldives Relationship)।

    মারিয়মের কীর্তি! (India Maldives Relationship)

    ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। নির্বাচনী প্রচার সূত্রে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন মারিয়ম। সে দেশের বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পোস্টটিতে তিনি ভারতের পতাকার ছবি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁর ওই পোস্টের স্ক্রিনশট। তার পরেই দেশে তো বটেই, ভারতেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন মলদ্বীপের প্রেডিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকারের ওই সাসপেন্ডেড মহিলা মন্ত্রী। পরে এক্স হ্যান্ডেলে মারিয়ম লেখেন, “আমার সাম্প্রতিক একটি পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি শুনলাম, এমডিপিকে নিয়ে আমার পোস্টে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকার মিল রয়েছে। আমি এটুকু পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। এ থেকে যে ভুল বোঝাবুঝির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

    ভারতের অপমান!

    এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষমা চাইলেও, সমস্যা মেটেনি। কারণ, বিরোধীদের খোঁচা দিতে গিয়ে মারিয়ম যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, অভিযোগ, সেখানে দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে বসিয়েছিলেন ভারতের জাতীয় পতাকার অশোকচক্রের ছবি। সঙ্গে মলদ্বীপের মন্ত্রী লিখেছিলেন, “এমডিপি (মলদ্বীপের বিরোধী দল) একটা বড়সড় পতনের দিকে এগোচ্ছ। মলদ্বীপের জনগণ তাদের সঙ্গে পতনের দিকে এগোতে চায় না।” ঘটনাচক্রে এমডিপি ভারতপন্থী দল হিসেবেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই মলদ্বীপের অনুরোধে সে দেশে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, ডিমের মতো কিছু অতি প্রয়োজনীয় জিনিস রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (India Maldives Relationship)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relationship: মলদ্বীপের ‘অনুরোধে’ সাড়া, চিনপন্থী মুইজ্জুর দেশে ইদের ‘তোফা’ ভারতের  

    India Maldives Relationship: মলদ্বীপের ‘অনুরোধে’ সাড়া, চিনপন্থী মুইজ্জুর দেশে ইদের ‘তোফা’ ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার প্রতিবেশীর প্রতি উদারতা দেখাল নরেন্দ্র মোদি সরকার (India Maldives Relationship)। মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক। ভারতের এক সময়ের ‘পরম মিত্র’ দেশ মলদ্বীপের ওপর ক্রমেই প্রভাব বিস্তার করছে চিন। চিনপন্থী প্রেসিডেন্টের আচরণের জেরেই এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।

    রফতানিতে ছাড়পত্র (India Maldives Relationship)

    এহেন আবহে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজের মতো প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস রফতানিতে অনুমোদন দিল ভারত। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি ইসলামি রাষ্ট্র মলদ্বীপেও (India Maldives Relationship) পালিত হবে খুশির ইদ। পুরানো বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ ইদের আগেই ‘তোফা’ পাঠিয়ে দিল ভারত। বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই সব পণ্য (চাল, গম) মলদ্বীপে রফতানির ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ভারত তার প্রতিবেশী আগে নীতির অংশ হিসেবে মলদ্বীপে মানবকেন্দ্রিক উন্নয়নে সমর্থন দিতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    কী কী রফতানির অনুমতি?

    কেন্দ্রের এই ছাড়পত্রের ফলে মলদ্বীপে ভারত রফতানি করবে ১ লাখ ২৪ হাজার ২১৮ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ ৯ হাজার ১৬২ জন আটা, ৬৪ হাজার ৪৯৪ টন চিনি, ২১ হাজার ৫১৩ টন আলু, ৩৫ হাজার ৭৪৯ টন পেঁয়াজ, ৪২৭ কোটি ৫০ লাখ ডিম, ১০ লাখ টন পাথরের টুকরো এবং ১০ লাখ টন নদীর বালি। প্রসঙ্গত, ফি বার লোকসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাল-ডালের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেলাগাম হয়ে যায়। তা রুখতেই এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে চাল, গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। মলদ্বীপের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য রফতানিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক বহু পুরানো। গত বছর মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর চিন-প্রীতি এবং ভারত-বিরোধী নানা মন্তব্যের জেরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী অবমাননাকর মন্তব্য করায় দুই দেশের দূরত্ব বাড়ে। সম্প্রতি মলদ্বীপের তরফে অনুরোধ আসায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে সে দেশে পণ্য রফতানিতে (India Maldives Relationship)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Maldives: ভারত বিরোধিতাই কাল, মলদ্বীপে মেয়র নির্বাচনে পরাজিত মুইজ্জুরের দল

    Maldives: ভারত বিরোধিতাই কাল, মলদ্বীপে মেয়র নির্বাচনে পরাজিত মুইজ্জুরের দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিরোধিতার কারণে মলদ্বীপের (Maldives) মেয়র নির্বাচনে হেরে গেল প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জুরের দল পিএনসি। জয়যুক্ত হলেন ভারতপন্থী দলের নেতা। শনিবার রাজধানী মালের স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা অ্যাডাম আজিম। সম্প্রতি মোদি লাক্ষাদ্বীপ সফরে যেতেই মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করেন। এরপর ভারত মলদ্বীপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়।

    ভারত বিদ্বেষী দলের পরাজয় (Maldives)

    মলদ্বীপের (Maldives) গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভারত বিদ্বেষী পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস অর্থাৎ পিএনসি মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে এবং সেই সঙ্গে ভারতপন্থী মলদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা অ্যাডাম আজিম জয়যুক্ত হয়েছেন। এমডিপি নেতা ইব্রাহিম সোলি অবশ্য মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন, ভারতের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেছিলেন পিএনসি দলের নেতা মহম্মদ মুইজ্জুর। এমডিপি নেতা অ্যাডাম যে পদে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই পদে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন মুইজ্জু। মুইজ্জু অবশ্য নির্বাচনের আগে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে ক্ষমতায় ছিলেন বলে জানা যায়। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে মেয়রের পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পদে মেয়র হিসেবে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হন অ্যাডাম আজিম।

    ৫ হাজারের বেশি ভোট ভারতপন্থীর

    জানা গিয়েছে, ভারতপন্থী মলদ্বীপের (Maldives) এমডিপি নেতা অ্যাডাম আজিম মেয়র নির্বাচনে ৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর দিকে ভারত বিরোধী পিএনসি দলের মুইজ্জরের সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন আইশাঠ আজিমা। মেয়র নির্বাচনে হার ভারত বিদ্বেষী ভাবনার পাল্টা মলদ্বীপের প্রভাব ফলে মনে করেছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    হুঙ্কার বৃথাই গেল প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    সম্প্রতি মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ৫ দিনের চিন সফর করে এসেছেন। ঠিক তারপরই শনিবার এক সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “হতে পারি আমরা ক্ষুদ্র। কিন্তু তাই বলে কাউকে চমকানোর ছাড়পত্র দিয়ে দিইনি আমরা।” এই প্রসঙ্গে নাম না করে ভারতের উদ্দেশে বলেন, “ভারত মহাসাগর কোনও নির্দিষ্ট দেশের অংশ নয়। যদিও এই সাগরের দ্বীপে আমাদের ছোট ছোট অংশ রয়েছে। আমাদের কাছে আছে ৯০০,০০০ বর্গকিমির একটি বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। আমরা কারও এলাকার মধ্যে নেই। আমাদের দেশ সার্বভৌম দেশ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারকে সামনে রেখে, ভারত বিরোধী আবেগ তৈরি করে মলদ্বীপে (Maldives) ক্ষমতায় এসেছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর ভারত বিদ্বেষের খেসারত প্রতিদিন দিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র। ধাক্কা খেয়েছে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা। যা এই ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এবার মুইজ্জুর ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছে সেখানকার শিশু থেকে তরুণ প্রজন্ম। মলদ্বীপে (India Maldives Relation) এখন শিক্ষক-সংকট। মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে দলে দলে মলদ্বীপ ছাড়ছেন সেখানকার ভারতীয় শিক্ষকরা। বিষয়টি সেই দেশের সংসদেও তুলেছে মলদ্বীপের বিরোধী দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মুইজ্জু সরকার।

    কেন এই শিক্ষক সংকট

    মূলত বেজিংকে খুশি করতেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি অবলম্বন করেছে চীনপন্থী মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সরকার। আর যার ফল এখন ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। মুইজ্জুর ঘৃণা সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়েছেন একাধিক শিক্ষক। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষক সেই দেশে যান শিশুদের পড়াতে। বলা যেতে পারে ভারতীয় শিক্ষকরাই সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চালান। কিন্তু, মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে, তাঁর ভারত বিরোধী প্রচারের কারণে, দলে দলে ভারতীয় শিক্ষকরা মলদ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে, গভীর শিক্ষা সংকট তৈরি হয়েছে মলদ্বীপে।

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    দেশেই প্রশ্নের মুখে মুইজ্জু সরকার

    সংসদে ভারতীয় (India Maldives Relation) শিক্ষকদের মলদ্বীপ ছাড়ার প্রসঙ্গ তুলে মুইজ্জু সরকারের ব্যাখ্যা চেয়েছে সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল, মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি। ওই পার্টির (এমডিএম) সাংসদ মহম্মদ শহিদ প্রশ্ন করেন, “ইন্ডিয়া আউট প্রচারের কারণে বহু শিক্ষক দেশ ছেড়েছেন। এর ফলে দেশে শিক্ষকের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শিশুদের লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই গুরুতর সমস্যা মোকাবিলায় সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?” এই প্রশ্নের মুখে সংসদে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুইজ্জু সরকার। শিক্ষকের ঘাতটি আছে বলে মেনে নিলেও, মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইসমাইল শফিফু শিক্ষা সংকটের দাবি মানেননি। তিনি বলেন, “ভারতীয় শিক্ষকরা অনেক সময়ই মলদ্বীপ ছেড়ে চলে যান। এতে কয়েক সপ্তাহের জন্য শিশুদের পড়াশোনায় সমস্যা হয়। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। এর আগেও আমাদের দেশে এমনটা ঘটেছে। গত ৩০ বছরের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ভারত থেকে এই ছোট্ট দ্বীপে অনেক সময় শিক্ষকরা এসে এক মাস থেকে আবার চলে যান। দেশে কোনো ধরনের শিক্ষা সংকট তৈরি হয়নি।” তবে মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী যতই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন সমস্যা রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। হয়তো সেই কারণেই চিনের হাত ধরলেও ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’বলতে বাধ্য হয়েছেন মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    India Maldives Relation: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ (India Maldives Relation)। নয়াদিল্লির কাছে ঋণ মকুবের আর্জি জানিয়ে এই কথা বলেন ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। ক্রমশই বাড়ছিল ভারত-মলদ্বীপ কুটনৈতিক জটিলতা৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা বাড়িয়েছিল। কিন্তু ভারত কখনওই প্রতিবেশীর হাত ছাড়েনি। এবার তা মেনে নিল মলদ্বীপও।

    কী বললেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

    গত বছরের শেষে ভারত থেকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল মলদ্বীপ (India Maldives Relation)। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৯০০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) জানান, মলদ্বীপকে সাহায্যের বিষয়ে ভারত অগ্রগণ্য। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছে। পূর্বসূরিদের আমল থেকে। সে কারণে আমরা আলোচনা করছি, যাতে ঋণ মেটানোর ক্ষেত্রে নরম পদক্ষেপ করা হয়।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এর প্রভাব যাতে কোনও ভাবেই কোনও প্রকল্পে না পড়ে। প্রেসিডেন্টের আশা, ভারত এই ঋণ মেটানোর বিষয়টি আরও সহজ করবে। এই নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারত মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থাকবে। এই নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। মুইজ্জু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, আমি কোনও বর্তমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে চাই না। বরং সেগুলি আরও মজবুত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।’’

    আরও পড়ুন: ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ড্রাক গ্যালপো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    দিনকয়েক আগে সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) জানিয়ে দেন, কোনও পোশাকেই ভারতীয় সেনা সেদেশে থাকতে পারবে না ৷ ফলে আরও কঠিন হয়েছিল ভারত-মলদ্বীপ (India Maldives Relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক৷ তারপরেই আচমকা সুরবদল৷ একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে মুইজ্জু জানিয়ে দিলেন, ভারতই মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ’ সঙ্গী৷ ভারতীয় সেনাদের একটি দল ইতিমধ্যে মলদ্বীপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। তার পরেই মুইজ্জুর মুখে প্রশস্তি। গত কয়েক বছর ধরে মলদ্বীপে রয়েছে ভারতের দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান। অসুস্থদের এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে নিয়ে যায় সেগুলি। জরুরিকালীন পরিষেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। সেগুলি চালনার জন্য মলদ্বীপে মোতায়েন ছিল ভারতীয় সেনা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পেও সাহায্য করেছে ভারত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives News: সেনা সরাতে শুরু করেছে ভারত, দাবি মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমের

    Maldives News: সেনা সরাতে শুরু করেছে ভারত, দাবি মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের মিত্র দেশ মলদ্বীপ (Maldives News) থেকে ধাপে ধাপে সেনা সরাতে শুরু করল ভারত। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনা সেখানে পর্যবেক্ষক বিমান চালনা করত। ওই জওয়ানদেরই সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মলদ্বীপের স্থানীয় সংবাদপত্র মিহারু-তে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ জন ভারতীয় সেনা ১০ মার্চের আগেই এলাকা ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে ভারতীয় সেনা যাতে কোনওভাবেই মলদ্বীপে না থাকে তার সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে সেখানকার সরকার।

    চিনের উসকানি!

    মলদ্বীপে ভারতের দেওয়া দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমানও ছিল। সূত্রের খবর, এই জোড়া কপ্টার ও বিমানের সাহায্যে ভারত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রত্যন্ত বহু এলাকায় অত্যাবশ্যক চিকিৎসাসামগ্রী, খাদ্য ও পণ্য যেমন সরবরাহ করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এমনকী, প্রয়োজনে অসুস্থদের এয়ারলিফ্‌ট করে রাজধানী মালেতে যাতায়াত করা বা দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও জরুরি ছিল ভারতের দেওয়া ফ্লাইট সার্ভিস। সেগুলি এ বার থেকে চালনা করবেন অসামরিক ভারতীয় কর্মীরা। তারা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চিনের উসকানিতেই মলদ্বীপ এই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

    ১০ মে-র মধ্যে সরাতে হবে সেনা

    মলদ্বীপের সংবাদপত্র মিহারুর দাবি, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দিল্লিতে বৈঠকে বসে দুই দেশ যা স্থির করেছিল, তা-ই করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছেন চিনের অত্যন্ত কাছের মানুষ মহম্মদ মুইজ্জু (Maldives News)। তার পরই তিনি ঘোষণা করেন, সে দেশ থেকে সরিয়ে নিতে হবে ভারতীয় সেনা। ফেব্রুয়ারির ওই বৈঠকে স্থির হয়, ১০ মে-র মধ্যে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেবে ভারত। প্রথম ধাপে সেনা সরানোর কথা ওই বৈঠকে ১০ মার্চ বলা হয়। সেই মতোই সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল। যদিও এই নিয়ে ভারত বা মলদ্বীপ সরকার কোনও মন্তব্য করেনি।

    লাক্ষাদ্বীপে সেনা জড়ো করছে ভারত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই চিনের সঙ্গে সামরিক সাহায্য নেওয়ার চুক্তিতে সই করেছে মলদ্বীপ। চিন ঘনিষ্ঠ মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এতে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হবে। চুক্তি অনুসারে তাঁদের সেনাবাহিনীকেও প্রশিক্ষণ দেবে চিন। ভারত মহাসাগরে চিন দাদাগিরি করতেই মলদ্বীপকে (Maldives News) ব্যবহার করছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তবে মোদি সরকারও বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে। গত মাসেই ভারত সরকার জানিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপে এখন নৌবাহিনী জড়ো করা হচ্ছে। সেখান থেকেই নজরদারি চালানো হবে ভারত মহাসাগরে। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ। নৌবাহিনী সূত্রে আরও খবর, লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয়তে বাহিনী জড়ো করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: চিন-প্রেমই হল কাল! মলদ্বীপে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট, বলছে আইএমএফ

    Maldives: চিন-প্রেমই হল কাল! মলদ্বীপে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-প্রেমই কাল হতে পারে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপের (Maldives)। অবশ্য আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার একথা বলেনি। তবে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে পারে মলদ্বীপ। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল আর এক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এই একই কারণে পথে বসেছিল ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও।

    দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট!

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জু সরকারের অতিরিক্ত চিনা প্রেমই কারণ হতে পারে সে দেশের দুর্দশার। আইএমএফ (IMF) জানিয়ে দিয়েছে, যেভাবে মলদ্বীপ সরকার বিদেশ থেকে ঋণের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে, তাতে দেশটিতে দেখা দিতে পারে ঋণ সঙ্কট। গত নভেম্বর মাসে ভারতপন্থী মহম্মদ সোলিকে সরিয়ে মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট হন চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু। তার পরেই ভারত নয়, মুইজ্জুর চিন-প্রীতি বেআব্রু হয়ে পড়ে।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    ক্ষমতায় আশার পর প্রথা মেনে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে যান পরম মিত্র দেশ ভারত দর্শনে। পরে অন্য কোনও দেশে। দীর্ঘ দিনের সেই প্রথা ভেঙে ক্ষমতায় এসেই মুইজ্জু চলে যান চিন সফরে। সম্প্রতি মুইজ্জু সরকারের তিনি মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। দ্বীপরাষ্ট্র প্রধানের সরকারের এহেন দুই আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। ফলশ্রুতি হিসেবে, পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছে তলানিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    মুইজ্জু সরকার গঠনের পর (Maldives) উন্নয়নের স্বার্থে মলদ্বীপকে অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চিনের জিনপিং সরকার। জানা গিয়েছে, চিনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ নিয়েছে মুইজ্জু সরকার। চিন থেকে মুইজ্জু সরকার কত অর্থ নিয়েছে, তা জানায়নি আইএমএফ। তবে বিদেশি ঋণ নিয়ে মলদ্বীপ সরকারের যে জরুরি নীতি সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমফের তরফে জানানো হয়েছে, উল্লেখযোগ্য নীতিগত পরিবর্তন ছাড়াই মলদ্বীপের সামগ্রিক রাজস্বে ঘাটতি এবং ঋণ বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে।

    মলদ্বীপ বিদেশি ও সামগ্রিক ঋণ সঙ্কটের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার। দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রককে উদ্ধৃত করে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২১ সালের হিসেবে চিনের কাছ থেকে ঋণ বাবদ মলদ্বীপের নেওয়া ৩০০ কোটি ডলারের ৪২ শতাংশ মেটানো বাকি ছিল। এমতাবস্থায় ফের আশঙ্কার কথা শোনা গেল আইএমএফের মুখে (Maldives)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Maldives: চিনপন্থী মুইজ্জুকে গদিচ্যুত করতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু মলদ্বীপে!

    Maldives: চিনপন্থী মুইজ্জুকে গদিচ্যুত করতে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু মলদ্বীপে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে মলদ্বীপের (Maldives) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধীরা। মলদ্বীপের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মলদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি। ইমপিচমেন্ট আনতে প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন এই দলের নেতারা।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    মুইজ্জুর চিন-প্রেমকে ভালো চোখে দেখেননি সে দেশের বিরোধীরা। ভারতের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছে মুইজ্জু প্রশাসন, তাকেও বিষনজরে দেখছেন তাঁরা। এহেন আবহে চিনা চর জাহাজকে রাজধানী মালের বন্দরে স্বাগত জানানোয় মুইজ্জুর ওপর বেজায় চটেছেন বিরোধীরা। তার পরেই শুরু হয়েছে মুইজ্জুকে ইমপিচমেন্ট করার প্রক্রিয়া। গত নির্বাচনে মলদ্বীপের (Maldives) ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী নেতা মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।

    মলদ্বীপের রাজনৈতিক হাওয়া

    মলদ্বীপের রাজনৈতিক মহলও ভাগ হয়ে গিয়েছে দু’ ভাগে। একদল মুইজ্জুপন্থী। আর অন্য দল ভারতপন্থী। মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারা মুইজ্জু সরকারের চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। ‘পরম মিত্র’ দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের জন্য তাঁরা দুষছেন মুইজ্জু প্রশাসনকে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। চাপে পড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করা হলেও, উন্নতি ঘটেনি ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের। এহেন আবহে রবিবার দ্বীপরাষ্ট্রের (অ)সংসদীয়কাণ্ডের ছবি ভাইরাল। এদিন সংসদের ভেতরে সাংসদদের মধ্যেই চলল লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, বাঁশি বাজিয়ে অধ্যক্ষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া সবই। হাতাহাতির জেরে জখম হন বেশ কয়েকজন সাংসদ।

    আরও পড়ুুন: ক্ষমতায় ফিরছে এনডিএ, ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

    রবিবারের এই ঘটনার পর মুইজ্জু সরকারকে হঠাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছেন বিরোধীরা। চিন নয়, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার পক্ষপাতী মলদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের দল এমডিপি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি দল। তারা চাইছে, ফের চাঙা হোক ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক।

    মলদ্বীপে শিক্ষা সহ নানা ক্ষেত্রে ভারতের অবদান প্রচুর। তাই সে দেশে ভারতপন্থী মানুষের অভাব নেই। গত বছরের শেষের দিকে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতকে দূরে ঠেলে চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে উদ্যোগী হন মুইজ্জু। নির্বাচিত হওয়ার পর মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতিরা প্রথমে আসেন ভারত সফরে। দীর্ঘদিনের এই প্রথা ভেঙে মুইজ্জু গিয়েছিলেন চিনে। ভারতের বদলে চিনকে তিনি মিত্র দেশ বলে ঘোষণা করেন। তার পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রের জনমত ঘুরে গিয়েছিল মুইজ্জুর (Maldives) দিক থেকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Maldives: মলদ্বীপে মৌষল-পর্ব, সংসদের অন্দরে ‘মল্লযুদ্ধ’, ভাইরাল ভিডিও

    Maldives: মলদ্বীপে মৌষল-পর্ব, সংসদের অন্দরে ‘মল্লযুদ্ধ’, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌষল-পর্ব শুরু হয়ে গেল মলদ্বীপে (Maldives)। রবিবারের দুপুরে তামাম বিশ্ব সাক্ষী রইল বেনজির এক সংসদীয়কাণ্ডের। সংসদের ভেতরেই চলল লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, বাঁশি বাজিয়ে অধ্যক্ষের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া সবই। হাতাহাতির জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংসদ। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। মুইজ্জু সরকার ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় কার্যত দু’ ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে সে দেশের রাজনৈতিক মহল। তার জেরেই এদিন সংসদ পরিণত হল মল্লযুদ্ধের আখড়ায়।

    মহম্মদ মুইজ্জু

    গত নির্বাচনে দ্বীপরাষ্ট্রের (Maldives) ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। মলদ্বীপের রাজনৈতিক মহলও ভাগ হয়ে গিয়েছে দু’ ভাগে। একদল মুইজ্জুপন্থী। আর অন্য দল ভারতপন্থী। মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারা মুইজ্জু সরকারের চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। ‘পরম মিত্র’ দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের জন্য তাঁরা দুষছেন মুইজ্জু প্রশাসনকে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। চাপে পড়ে তাঁদের সাসপেন্ড করা হলেও, উন্নতি ঘটেনি ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের। এহেন আবহে ঘটল রবিবার (অ)সংসদীয়কাণ্ড।

    বিশেষ অধিবেশন

    মুইজ্জু সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে ২২ জন মন্ত্রীর। তাঁদের সংসদীয় (Maldives) অনুমোদনের জন্যই ডাকা হয়েছিল বিশেষ অধিবেশন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন জোট জয়ী হলেও, সংসদে তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। সেখানে দাপট রয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের দল এমডিপির। এদিন মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার ২২ জন মন্ত্রীর নামের মধ্যে ১৮ জনকে অনুমোদন দেয় সংসদ। এমডিপি আপত্তি জানায় চারজনের নামে। তার পরেই দু’ পক্ষে শুরু হয় হাতাহাতি। জখম হন বেশ কয়েকজন সাংসদ।

     

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, এমডিপি সাংসদ ঈশা এবং পিএনসি সাংসদ আবদুল্লা শাহীম আবদুল হাকিমের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। ঈশার পা ধরে টেনে ফেলে দিচ্ছেন শাহীম। ঈশা পড়ে যান। শাহীমের ঘাড়ে লাথি মেরে তাঁর চুল টেনে ধরেন। জখম হন শাহীম। অন্য একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, অধ্যক্ষের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য মুইজ্জুর দলের সাংসদরা, তাঁর আসনের পাশে দাঁড়িয়ে ভেঁপু বাজাচ্ছেন। সংসদে কথা বলার জন্য যে মাইক রাখা থাকে, সেই মাইক তুলে হাতাহাতির উপক্রম হয়। এর পরেই মলদ্বীপের (Maldives) সংসদ ভবন থেকে সব মাইক সরিয়ে নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: নীতীশকে শুভেচ্ছা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share