Tag: Maldives

Maldives

  • Maldives: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    Maldives: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল তাদের ‘‘পরম মিত্র’’ দেশ। চিনপন্থী নেতা মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর তলানিতে ঠেকে ভারত-মলদ্বীপ (Maldives) সম্পর্ক। পুরানো বন্ধু-দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবার সুর চড়াল দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্রেটিক পার্টি ও ডেমোক্র্যাটস। যৌথ বিবৃতিতে এই দুই বিরোধী দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের পরম মিত্র।

    পরম মিত্র ভারত

    ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই ছিল পরম মিত্রের মতো। গত নির্বাচনে মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসে মুইজ্জু সরকার। তার পর থেকেই চড়তে থাকে মলদ্বীপ-চিনের সখ্যের পারা। প্রত্যাশিতভাবেই আলগা হতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বাঁধন। এই বাঁধন ছিন্ন হয়ে যায় সম্প্রতি একটি ঘটনাকে ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে সাসপেন্ড করা হয় ওই মন্ত্রীদের। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালের সম্পর্কের।

    চিনা চর জাহাজকে স্বাগত

    সম্পর্কের এই আবহে ঘৃতাহুতি দেয় চিনা চর জাহাজকে মুইজ্জু সরকারের (Maldives) স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে। ভারত মহাসাগরে নোঙর করবে জাহাজটি। এরই কিছুদিন আগে চিন সফরে গিয়ে বেজিংকে বন্ধু বলে ঘোষণা করেছিলেন মুইজ্জু স্বয়ং। চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের ভারত-বিরোধী এহেন অবস্থান মেনে নেয়নি মলদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ভারতকেই পুরানো বন্ধু বলে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতি দেয়। মুইজ্জু সরকার চিনা গুপ্তচর জাহাজকে স্বাগত জানানোয়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই দুই রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: বকেয়া ডিএ, চলছে আমরণ অনশন, রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর

    দ্বীপরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি প্রথা ছিল, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হবেন, তিনি প্রথমে সফর করবেন পরম মিত্র দেশ ভারতে। সেই প্রথা ভেঙে মুইজ্জু সফর করেন তুরস্কে। এনিয়েও ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রশাসন ভারত-বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। তবে এমডিপি এবং দ্য ডেমোক্র্যাটস বিশ্বাস করে, দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতিতে দীর্ঘ পুরানো মিত্র দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে। নয়াদিল্লি-মালে সম্পর্কের উন্নতিতে এদিন বারংবার জোর দিয়েছেন এমডিপির চেয়ারপার্সন ফৈয়জ ইসমাইল, পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সালিম, ডেমক্র্যাটস পার্টির প্রেসিডেন্ট হাসান লতিফ এবং পার্লামেন্টারি গ্রুপ লিডার আলি আজিম (Maldives)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতকে চাপে রাখার কৌশল চিনের! এবার অবশ্য শ্রীলঙ্কা নয়, চিনা গুপ্তচর জাহাজ ঘাঁটি গাড়তে চলছে নয়া বন্ধু মলদ্বীপের (Maldives) রাজধানী মালেতে। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’ নামের ওই গুপ্তচর জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছে গিয়েছে।

    ভারত মহাসাগরে আসছে চিনা চর জাহাজ

    ৮ ফেব্রুয়ারি সেটি মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছবে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তবে চিনা চর জাহাজটি যে সামরিক উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরে নোঙর করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে মলদ্বীপের চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু সরকারের তরফে। দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিনা গুপ্তচর জাহাজটি মলদ্বীপের জলভাগে কোনও গবেষণা করবে না। এর আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ঘাঁটি গেড়েছিল চিনা চর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এ নিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা মন কষাকষি হয়। তার পরেই চিনা গুপ্তচর জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’-ও হাম্বানটোটায় নোঙর করতে চেয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কায়ও নোঙর করেছিল চিনা গুপ্তচর

    শ্রীলঙ্কার আপত্তিতে (Maldives) জাহাজটি ভিড়তে পারেনি হাম্বানটোটা বন্দরে। তবে ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ চিনের এই দুটি গুপ্তচর জাহাজ নোঙর করেছিল হাম্বানটোটায়। পরবর্তীকালে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনা গুপ্তচর জাহাজকে সে দেশের বন্দরে পা রাখতে দেয়নি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সরকার। মলদ্বীপের প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজটি এলে মলদ্বীপের সঙ্গে তার সঙ্গী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে। বন্ধু দেশ থেকে আসা জাহাজকে স্বাগত জানানোটা এ দেশের শতাব্দী-প্রাচীন একটি ঐতিহ্য।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। গত নির্বাচনে দেশের রশি যায় চিনপন্থী মুইজ্জুর হাতে। তার পর থেকে তিনি একের পর এক ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ সাসপেন্ড করা হয় ওই তিনজনকে। তাতে অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালে (Maldives) সম্পর্কের। কারণ সেই চিনপন্থী মুইজ্জু। তাঁর এই চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। এহেন আবহে চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মুইজ্জু সরকার (Maldives)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে মলদ্বীপকে দিয়ে চর জাহাজকে স্বাগত জানানোর কৌশল আসলে বেজিংয়েরই ব্রেন চাইল্ড।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    Maldives India Row: ভারতীয় বিমান ব্যবহারে না মুইজ্জু সরকারের, মলদ্বীপে বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্টের একগুঁয়ে মনোভাবের বলি কিশোর! শনিবার দ্বীপরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে বছর চোদ্দর ওই কিশোরের (Maldives India Row)। তাকে এয়ারলিফ্টের জন্য ভারতের দেওয়া ডর্নিয়ার বিমান ব্যবহার করার অনুমতি দেয়নি মহম্মদ মুইজু প্রশাসন। তার জেরেই অসুস্থ ওই কিশোরটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

    মুইজ্জু সরকার

    গত নির্বাচনে দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে চিনপন্থী মুইজ্জুর সরকার। তার পর থেকে পরম মিত্র ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে মলদ্বীপের। দুই দেশের সম্পর্ক যখন প্রায় তলানিতে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে বসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার পরে ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কে আক্ষরিক অর্থেই ফাটল ধরে। বিশ্ব নেতা মোদিকে কক্ষাট করায় ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে যায় মুইজ্জু প্রশাসন। বাধ্য হয়ে (Maldives India Row) সাসপেন্ড করে অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। তার পরেও অবশ্য উন্নতি হয়নি দুই দেশের সম্পর্কের। এহেন আবহে অসুস্থ বালককে ভারতীয় বিমান ব্যবহারের অনুমতি না দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মুইজ্জুর সরকার।

    বেঘোরে মৃত্যু কিশোরের

    জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের ব্রেন টিউমার ছিল। স্ট্রোক হওয়ার পর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তার পরিবারের তরফে বাড়ি গাফ আলিফ ভিলিংগিলি থেকে রাজধানী মলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ করা হয়। অভিযোগ, অসুস্থ কিশোরের পরিবারের অনুরোধে কান দেয়নি মুইজ্জু সরকার। যার জেরে কার্যত বেঘোরে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। ঘটনার জেরে শোকে মুহ্যমান মৃতের পরিবার। কান্না সামলে কোনওরকমে ওই কিশোরের বাবা বলেন, “ছেলের স্ট্রোকের পরেই আমরা তাকে মালেতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইল্যান্ড অ্যাভিয়েশনকে কল করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কলের উত্তর দেয়নি।”

    আরও পড়ুুন: বাঙালি শিল্পীর কণ্ঠে গাওয়া, নজরুলের লেখা ‘রাম বন্দনা’ ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মেডিক্যাল ইভাকুয়েশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থা আসান্ধা কোম্পানি লিমিটেডের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি কিশোরটির অকাল প্রয়াণ দুর্ভাগ্যজনক। ১৮ জানুয়ারি ছেলেটিকে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল ইভাকুয়েশন দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। আসান্ধা কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট ও স্টাফেরা শোকন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও আল্লার কাছে কিশোরটির আত্মার শান্তি কামনা করি (Maldives India Row)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India-Maldives Relationship: ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

    India-Maldives Relationship: ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যেই উগান্ডার কাম্পালায় জোট নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর (ন্যাম) বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে মলদ্বীপের (India-Maldives Relationship) বিদেশমন্ত্রী মুসা জমিরের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরার নিরিখে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। আর বৈঠক বেশ ফলপ্রসুও হয়েছে। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এস জয়শংকর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে ‘খোলামেলা আলোচনা’ হয়েছে তাঁদের মধ্যে। 

    জয়শঙ্করের বার্তা

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে বৈঠকের ছবি দিয়ে জয়শঙ্কর জানালেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে ‘ন্যাম’ সম্পর্কিত বিষয় নিয়েও।” কূটনৈতিক শিবিরের মতে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সচিবালয় ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনাদের মলদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্করের আজকের পার্শ্ববৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক দ্বৈরথের পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে মলদ্বীপবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টাও করা হচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে সামরিক কুচকাওয়াজে আমন্ত্রিত দেশ হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মলদ্বীপের (India-Maldives Relationship) যুবা ক্যাডেটরা। পাশাপাশি ওই রাষ্ট্রের এক ঝাঁক যুবা আমলা হায়দরাবাদে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পঞ্চায়েত রাজ’-এ কয়েক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ নেবেন।

    শুক্রবার থেকেই উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় শুরু হচ্ছে নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (NAM) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন। দু’দিন ধরে চলবে এই সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই কাম্পালায় গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মলদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াই চলছে। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করার কথাও বলেছে সে দেশের সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ভারত ও মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে। তখনই দুই দেশের মধ্যে আলাচনা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Maldives Relationship: মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানো নিয়ে কী জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক?

    India-Maldives Relationship: মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানো নিয়ে কী জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপে বিমান চলাচল করতে পারে এমন পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারস্পরিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে ভারত। মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) থেকে সেনা সরানো নিয়ে এমনই বিবৃতি দিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। চিন ঘেঁষা দ্বীপ রাষ্ট্রের মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার মলদ্বীপ থেকে সেনা সরানোর জন্য ভারতকে ‘আর্জি’ জানিয়েছে। রীতিমতো সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

    নয়াদিল্লির বিবৃতি 

    মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) থেকে ভারতের সেনা সরানোর বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে,  “মলদ্বীপের মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে ভারতীয় বিমানগুলির চলাচল জারি রাখা জরুরি। এই কাজের পরিবেশ বজায় রাখতে উভয় পক্ষই একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।” মলদ্বীপ এবং ভারতের সম্মতিক্রমে একটি নির্দিষ্ট দিন বেছে নিয়ে পরবর্তী আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। নভেম্বর মাসে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মুইজ্জু বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমরা ফেরত পাঠাব।’’ এ ক্ষেত্রে মুইজ্জু নাম না-করলেও স্পষ্ট ভাবেই ভারতকে নিশানা করেন। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় সেনা।

    আরও পড়ুুন: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মলদ্বীপ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    মলদ্বীপ (India-Maldives Relationship) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘পলিটিক্স ইস পলিটিক্স। আমরা এটা গ্যারান্টি দিতে পারি না যে রোজ প্রতিটি দেশ আমাদের সমর্থন করবে অথবা আমাদের কথায় একমত হবে। কখনও এটা ভালো না হতে পারে।’ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে ‘মলদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ’ বিতর্ক। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই মোদি এবং ভারতকে নিয়ে আপত্তিজনক কিছু মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী। এরপর থেকেই ওঠে মলদ্বীপ বয়কটের রব। এই আবহে চিন সফরে যান মুইজ্জুর। চিন থেকে দেশে ফিরেই শনিবার মুইজ্জু হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, কাউকে ধমকানোর ছাড়পত্র দেয়নি তার সরকার। এমনকী ১৫ মার্চের মধ্য়ে ভারতকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথাও বলা হয়। তারপরই পদক্ষেপ করল দিল্লি। বিদেশমন্ত্রী জানান, কোনও দেশের সরকারের সঙ্গে মতবরোধ হলেও ভারত সে দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেই কাজ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    Maldives: মলদ্বীপে বাড়তে পারে মৌলবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাদক পাচার, বলছেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক। তার জেরে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি জোরালো হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রে। দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে মুসলমান অধ্যুষিত এই দেশে মাথাচাড়া দিতে পারে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেড়ে যেতে পারে মাদক পাচারের মতো ঘটনাও।

    একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর ডেরা 

    মলদ্বীপে ইরাক এবং সিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের ডেরা রয়েছে। ঘাঁটি গেড়েছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা। এই অঞ্চলে মাদক পাচারকারীদের অন্যতম বড় আখড়াও এই দ্বীপরাষ্ট্র। গোয়েন্দাদের দাবি, মলদ্বীপের নির্জন দ্বীপগুলিতে মাদক কারবার চলে রমরমিয়ে। দ্বীপরাষ্ট্রের জেলগুলিতে বসে ব-কলমে এগুলি চালায় গ্যাংস্টারেরা। ভারত মহাসাগরের বুকের এই দ্বীপরাষ্ট্রে (Maldives) ইসলামিক মৌলবাদের রমরমা। এই মৌলবাদীরাই ফান্ডিং করছে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে।

    ফান্ডিং করছে চিন, পাকিস্তান

    দেশের শাসনের রাশ যাতে ভারতের মতো মিত্র দেশপন্থী কোনও নেতার হাতে চলে না যায়, তাই এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নানাভাবে প্রলোভিত করছে চিনা সরকার এবং পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা এখানে আখড়া গড়ে চালাচ্ছে গ্লোবাল কার্যকলাপ। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে ঘটে ২৬/১১-র ঘটনা। তার ঠিক দু’ বছর পরে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তখনই তিনি মলদ্বীপ সরকারকে লস্করকে ঠাঁই না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কয়েক বছর সেসব বন্ধ থাকার পর মলদ্বীপে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী।

    আরও পড়ুুন: “এই কংগ্রেস নেহরুর, গান্ধীর নয়”, অযোধ্যার আমন্ত্রণ ফেরানোয় ‘হাত‘কে নিশানা পদ্মের

    সূত্রের খবর, মলদ্বীপের কুর্সিতে চিনপন্থী মুইজ্জু বসতেই বাড়তি ইন্ধন পায় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। তারপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে রমরমা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ এশিয়ায় মাদক পাচার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হাত ধরাধরি করে চলে। আইএসআইএস-কে-র অন্যতম মাথা উমর নাসির ভাট গ্রেফতার হয়েছিল ২০২১ সালে। গোয়েন্দাদের জেরায় এই জঙ্গি নেতা কবুল করেছিল, বাংলাদেশ ও মলদ্বীপ ভিত্তিক মুসলমান আমিরদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এদের মাধ্যমে সে সন্ত্রাসবাদী প্রচার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলত। গোয়েন্দারা জেনেছেন, জঙ্গি নাসির মলদ্বীপের সেনাবাহিনীতে চাকরি নিতে গিয়েছিল স্রেফ মলদ্বীপ ভিত্তিক আইএসআইএসের চাঁইকে মেটিরিয়াল সরবরাহ করবে বলে। তবে ধরা পড়ে যাওয়ায় সে স্বপ্ন আর সফল হয়নি নাসিরের (Maldives)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    India Maldives Row: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য মুইজ্জু মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রীর। তার জেরে গদি টলোমলো মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (India Maldives Row)। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবিও উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্রে।

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    মলদ্বীপের সাংসদ তথা পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতা আলি আজিম ওই দাবি জানিয়েছেন। মোদির অপমান সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রী মুশা জামিরকে কেন জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে পার্লামেন্টকে প্রশ্ন করতে বলছেন মলদ্বীপের আর এক সাংসদ মিকালী নাসিম। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘটনার জেরে মলদ্বীপ সফর বাতিল করেন ভারতীয়রা।

    অশনি সঙ্কেত দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

    মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়া হয় ভারতীয় পর্যটকদের তরফে। যেহেতু মলদ্বীপের সিংহভাগ পর্যটকই ভারতীয় এবং তারা মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় অশনি সঙ্কেত দেখেন সে দেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষ। তাঁরাও ভারতের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। ভারতের কাছে (India Maldives Row) ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন মলদ্বীপের ভারতপন্থী নেতারাও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে মুইজ্জু সরকার। তা সত্ত্বেও কমেনি ক্ষোভের আঁচ। তার পর থেকে মলদ্বীপে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি। আজিম বলেন, “মুইজ্জুকে পদ থেকে সরাতে যা করতে হয়, করব। তাঁকে অপসারণের জন্য আমরা অনাস্থা প্রস্তাব আনব।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা চাই দেশের বিদেশনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। কোনও প্রতিবেশী দেশকে কোণঠাসা করার চেষ্টা বন্ধ হোক।”

    আরও পড়ুুন: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা চিনপন্থী মুইজ্জুকে দুষে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষত মেরামতের ডাক দিয়েছেন মলদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান ফয়াজ ইসমাইলও। মুইজ্জুর বিরুদ্ধে মলদ্বীপ-ভারত সম্পর্ক নষ্ট করার অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ দিদি। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতাও। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা করেছিলেন মলদ্বীপের দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও। ওই মন্ত্রীদের মন্তব্য ঘৃণার্হ্য বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    India Maldives Row: মুইজ্জুর ভারত সফরে আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পরে পরে ভারত সফরে আসতে চেয়েছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু (India Maldives Row)। তবে ভারত বিশেষ আগ্রহ না দেখানোয় ভারত-দর্শন হয়নি মুইজ্জুর। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মলদ্বীপের জুনিয়র তিন মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করায় দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে এসে ঠেকেছে।

    উদাসীন ভারত

    অথচ ভারত মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। এহেন এক দেশের শাসকের ভারত সফর নিয়ে নয়াদিল্লির ‘শৈত্য’ বুঝিয়ে দেয়, চিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় মুইজ্জুর প্রতি ভারত উদাসীন। সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে সেখানকার কিছু ছবি ও ভিডিও আপলোড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারই কয়েকটি ছবির কমেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করে সরকার। তার পরেও অবশ্য মলদ্বীপের প্রতি ভারতের ক্ষোভের আঁচ স্তিমিত হয়নি এতটুকুও। যার প্রমাণ,  অতি সম্প্রতি মলদ্বীপের বিভিন্ন হোটেলের ১৪ হাজার টিকিট বাতিল করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা।

    জানুন কারণ

    কী কারণে মলদ্বীপের (India Maldives Row) নয়া শাসকের প্রতি এই শৈত্য প্রদর্শন ভারতের? আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ তিনটি। প্রথম কারণটি হল, মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় বসেই মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় সেনাদের দেশে ফিরে যেতে বলে মুইজ্জু সরকার। দ্বিতীয় কারণটি হল, ক্ষমতা দখল করতে গিয়ে মুইজ্জু লাগাতার ভারত-বিরোধী প্রচার করে চলেছিলেন। সর্বোপরি, প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই মুইজ্জু প্রথা ভেঙে ভারতের পরিবর্তে তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর পূর্বসূরিরা প্রথমে ভারত সফর করতেন। পরে যেতেন অন্যত্র।

    আরও পড়ুুন: ব্যর্থ চিন! ভুটানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ‘ভারতের বন্ধু’ শেরিং তোবগে, শুভেচ্ছা মোদির

    এই তিন কারণে নয়াদিল্লি বুঝে যায়, ভারতের প্রতি মুইজ্জু সরকারের মনোভাব কী। তাই তুরস্ক এবং আরব আমিরশাহি সফর সেরে মুইজ্জু যখন ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নেন, তখন আর বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি নয়াদিল্লি। অগত্যা চিন সফরের সিদ্ধান্ত নেন মুইজ্জু। এই সফরের মধ্যেই মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য তাঁর তিন মন্ত্রীর। যার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন হাজার হাজার ভারতীয়। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপে যাঁরা বেড়াতে যান, তাঁদের সিংহভাগই ভারতীয় (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    India Maldives Row: ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা, এবার চিনকে পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ মলদ্বীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে বিপাকে মলদ্বীপ সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করায় হাজার হাজার ভারতীয় পর্যটক বয়কট করতে শুরু করেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপকে (India Maldives Row)। বিমান-হোটেলের টিকিট বাতিল করতে থাকেন শ’য়ে শ’য়ে ভারতীয় পর্যটক। নিত্যদিন সেই সংখ্যার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। যার জেরে পর্যটন ব্যবসা ভয়ঙ্করভাবে মার খাবে বলে ইঙ্গিত পেয়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    চিনা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ

    ঠেলায় পড়ে মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অনুরোধ জানালেন আরও বেশি করে পর্যটক পাঠানোর। বর্তমানে পাঁচ দিনের চিন সফরে রয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই পর্যটক-ভিক্ষে করেছেন মুইজ্জু। কেবল তাই নয়, মলদ্বীপে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ার জন্য চিনের সঙ্গে ৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেন মুইজ্জু। মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশের একটি বিজনেস ফোরামে বক্তৃতা (India Maldives Row) দেন মুইজ্জু। তিনি বলেন, “প্রাক অতিমারি পর্বে চিন আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী ছিল। আমরা আবার সেই পরিস্থিতিতে ফিরতে চাই।” এর পরেই মলদ্বীপে আরও বেশি করে চিনা পর্যটকরা যাতে যান, সেই আবদার করেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। 

    বিপাকে মলদ্বীপ সরকার

    সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ, এর পরেই মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মাজিদ কয়েকটি ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে পুতুল ও জোকার বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। এর পরেই আক্ষরিক অর্থে মলদ্বীপ বয়কটের হিড়িক পড়ে যায়। দলে দলে ভারতীয় পর্যটক মলদ্বীপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। মলদ্বীপ বয়কটের ডাকও দেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যায় মলদ্বীপ সরকার।

    আরও পড়ুুন: বছরে মিলবে ১২ হাজার টাকা! মহিলা কৃষকদের নগদ বৃদ্ধির ভাবনা কেন্দ্রের

    ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে মুইজ্জু সরকার। বাধ্য হয়ে সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকে। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন মলদ্বীপেরই দুই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি ও মহম্মদ নাসির। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে (India Maldives Row)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান, মলদ্বীপকে জবাব অমিতাভ-সেওয়াগের

    India Maldives Relation: আত্মনির্ভর ভারতের জয়গান, মলদ্বীপকে জবাব অমিতাভ-সেওয়াগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। লাক্ষাদ্বীপের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে মলদ্বীপকে (India Maldives Relation) মোক্ষম জবাব দিলেন অমিতাভ। ঘটনার সূত্রপাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর থেকে। লাক্ষাদ্বীপের সৈকতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেখে মলদ্বীপের নেতা-মন্ত্রীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, ভারতের সমুদ্র সৈকতগুলোকে নোংরা, দুর্গন্ধে ভরা বলেও বিদ্রুপ করেন। ওই মন্ত্রীদের বরখাস্ত করা হলেও ভারতীয়দের রাগ কমছে না। মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে।

    অমিতাভের জবাব 

    দেশ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অপমানের বদলায় অমিতাভ বচ্চন এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন। আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে একইসঙ্গে দেশের জয়গান গেয়েছেন আর অন্যদিকে প্রতিপক্ষকে কড়া জবাব দিয়েছেন। মলদ্বীপ নিয়ে বীরেন্দ্র সেওয়াগের প্রতিবাদী ট্যুইটের প্রেক্ষিতে বিগ বি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এটা খুবই প্রাসঙ্গিক। আমাদের নিজেদের দেশেই সবথেকে ভালো জায়গা রয়েছে ঘোরার। আমি নিজেও লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামানে গিয়েছি। এবং লোকেশন হিসেবে দারুণ অভূতপূর্ব জায়গা। অসাধারণ নীল জলরাশি, সমুদ্র সৈকত এবং সমুদ্র গভীরে জলের তলায় যে অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার, তা এককথায় অবিশ্বাস্য‍! আমরা ভারত। আমরা আত্মনির্ভর। আর আমাদের আত্মনির্ভরতাকে হুমকি দেবেন না। জয় হিন্দ।”  

    সেওয়াগের বার্তা

    প্রসঙ্গত, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে চারটি ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে সেই জায়গাগুলির নাম ও তাঁর বিশেষত্ব তুলে ধরেন। প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার লিখেছেন, ‘উদুপির সৈকত, পুদুচেরির প্যারাডাইস বিচ, আন্দামানের নীল দ্বীপ ও হ্যাভলক আরও অনেক সুন্দর সৈকত রয়েছে আমাদের দেশে। ভারতে এমন অনেক অজানা জায়গা রয়েছে। সামান্য পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুললে, এই জায়গাগুলিতে পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।’ সেওয়াগ আরও জানান, ভারত প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়। তিনি লেখেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অপমান আমাদের জেদ বাড়াবে। আমরা দেশের অনেক অজানা জায়গাকে আরও সুন্দর করে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যা আমাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।’ তিনি সকলকে অনুরোধ করেন দেশের এমন অনেক অজানা জায়গাগুলির খোঁজ দেওয়ার জন্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share