Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY-G) নাম বদলে রাজ্য সরকার নাম দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। কিন্তু এই নাম ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না করলে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেবে না। যতক্ষণ না দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রকল্পের নাম ফের বদল হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্যে আবাস-প্লাস প্রকল্পে একটি ঘরও আসবে না। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রেই এখবর জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। 

    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। তার জেরে রাজ্যের প্রায় ১০-১২ লক্ষ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর কথায়,“পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়। যদি সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চলতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে তার নাম কেন বদল হবে। আসলে রাজ্য সরকারের ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার টাকা নেই, সেই কারণে গরিব মানুষের পাকা বাড়ি তৈরি্র যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদিজি (Modi) দেখিয়েছেন এ রাজ্যে তা পূরণ করতে দিচ্ছেন না মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা জানান, বাংলা আবাস যোজনা নাম বদলাতে রাজি নয় নবান্ন। সেই কারণেই জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।

    এইভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করেছে মমতা প্রশাসন

     

    কেন পাকা বাড়ির টাকা পাচ্ছে না রাজ্য?

    গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, গত ১২ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানান, ২০১৬-১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকার ৩২ লক্ষ বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি করেছে। দেশে এই প্রকল্পে প্রথম হয়েছে রাজ্য। তারপরেও কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০১১ সালের আর্থ সামাজিক জাতি সমীক্ষার পর বাংলায় ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০৮টি পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার। এই প্রকল্পে রাজ্যের তহবিলে ১৩৩৮ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। গত ২৪ মার্চেও আবাস যোজনার জন্য ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার সব কাজ শেষ করতে এই টাকা যথেষ্ঠ। 

    কেন রাজ্য সরকার ম্যাচিং গ্রান্টসহ উপভোক্তাদের টাকা পাঠাচ্ছে না সেই প্রশ্নও তুলেছে কেন্দ্রীয় কর্তারা। তবে ২০২১-২২ সাল থেকে আবাস-প্লাস (Awaas+) নামে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেও আরও অন্তত ১০-১২ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি হবে। কিন্তু ন্যাশনাল লেভেল মনিটররা রাজ্যে এসে এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়েছেন। কাটমানি খাওয়া, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার তাদের বাড়ি দেওয়া, রাজনৈতিক রং দেখে বাড়ি দেওয়া এবং পর্বত প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে দেখা যায় নাম বদলে দেওয়ার ঘটনাও।

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ২২ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল দুটি ডিও লেটার লিখে প্রকল্পের অনিয়মের ব্যাপারে ১ মে-র মধ্যে জবাব চেয়েছিলেন। তার কোনও জবাব দেয়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Ministry of Finance) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল হলে তার টাকা না দেওয়ার কথাও রাজ্যগুলিকে জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও নবান্ন (Nabanna) কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও (Ministry of Urban Development) জানিয়ে দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা বদলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করলে তবেই মিলবে গ্রামে পাকা বাড়ির তৈরির বরাদ্দ।

  • Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোড়ায় গলদ। তাই তাল কাটল শুরুতেই। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি (BJP)-বিরোধী বৈঠকে হাজিরই হলেন না আম আদমি পার্টির (AAP) কেউ। আসেননি টিআরএসের (TRS) কেউও। গরহাজির ছিল শিরোমণি অকালি দলও (SAD)। বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র তরফেও কেউ উপস্থিত হননি বৈঠকে। তার পরেও অবশ্য বৈঠক হয়েছে। তবে হয়েছে বিতর্কও। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই হয় অশান্তি। বিরোধী দলগুলি সাফ জানিয়ে দেয়, বৈঠক হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls) নিয়ে। সেখানে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব কেন?

    আরও পড়ুন : হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এককাট্টা করতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বুধবার বৈঠক ডাকেন মমতা। চিঠি দেওয়া হয়েছিল ২২ জন বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া (Sonia) গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আশ্বাস দিলেও, শেষ মুহূর্তে কেজরিওয়াল হাজির হননি বৈঠকে। কংগ্রেস থাকায় বৈঠকে গরহাজির ছিল টিআরএস এবং শিরোমণি দলও। আসেনি বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র কেউও। 

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। তবে সে চেষ্টা যে বিষম কঠিন, এদিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠকের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাতে উদ্যোগী হন মমতা। তবে তাঁর সে চেষ্টাও বৃথা যায়। কারণ উপস্থিত নেতারা জানিয়ে দেন, বৈঠকের মূল বিষয় যেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সেখানে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    এদিকে, বিরোধী শিবিরে রাষ্ট্রপতি পদে তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তিনি নেই। তাঁকে এখনও রাজি করানোর চেষ্টা চলছে বলছে সূত্রের খবর। তিনি নিতান্তই রাজি না হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী (Gopal Krishna Gandhi) ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) নাম বিবেচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।

  • Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীদের একজোট করার প্রচেষ্টায় বৈঠককে অপ্রাসঙ্গিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতকসহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপন্ড করেছেন। সেই কারণে বিধানসভার বাইরে ধর্না দেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, “ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই। জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না।”

    রাজ্য থেকে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীই বেশি ভোট পাবেন বলে নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতবার বিজেপির ৩ বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ ১৩ জনের ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। গতবার ২ সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত ১৮ জনের ভোট ঝুলিতে আসবে। সংখ্যাটা ১৮-র বেশিও হতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন সবাইকে লাড্ডু খাওয়াব।”

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    তৃণমূলনেত্রীর প্রচেষ্টাকে ‘বিগ জিরো’ বলেও এদিন কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।  বলেন,”উনি ১০ বছর ধরে দেশের নেত্রী হওয়ার বৃথা চেষ্টা করছেন।”  

    কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা নিয়েও এদিন মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু। প্রশ্ন করেন “স্টিকার লাগানোর ব্যবসা কতদিন চালাবেন?”
    হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লিখতে হবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে। আগে লিখতে হবে ‘জলজীবন মিশন’, তারপর পুলক রায় টাকা পাবেন। রাজ্যের দেওয়া নাম ‘জলস্বপ্ন’-এ টাকা দেওয়া হবে না।” 

    আরও পড়ুন: বিরোধীহীন অধিবেশন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এছাড়া এদিন আর্থিক তছ্রুপের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসেব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর একটা নারকেল গাছ কেনে ৪২ টাকা দিয়ে। আর কিষাণ কল্যাণী ফার্ম আড়াইশো টাকা করে ৩২ কোটি টাকার নারকেল গাছ সরবরাহ করেছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। পরে আর্থিক  তছরুপের তদন্ত হবে।”     

     

  • Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া যাওয়ার আগে গ্রেফতার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার। 

    [tw]


    [/tw]

    গতকাল হাওড়ায় বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির  (BJP State President)। সকালে, নিউটাউনের বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। জোর করে বেরনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। 

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সেই গার্ড রেল ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কির পর বাড়ি থেকে বেরোন সুকান্ত মজুমদার। এসএসকেএমের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপিরাজ্য সভাপতির গাড়ি। গাড়ি আটকানোয় রাস্তায় হাঁটতে থাকেন সুকান্ত। পরে গাড়িতে করে হাওড়া যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে যখন আসেন, তখন গ্রেফতার করা হয় সুকান্ত মজুমদারক। এর পর লালবাজারে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। হাওড়া সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া হিংসায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে হিংসার পরামর্শ মমতা দেওয়ার পরই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    এদিকে, সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি। অগ্নিমিত্রা পাল সহ দুই বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করে গেরুয়া শিবির। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় প্রতিবাদীদের। ধর্মতলায় ডিসি সেন্ট্রালের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জে বিক্ষোভ, কোচবিহারেও রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

  • Mamata Banerjee: “দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম”, জেলাশাসককে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    Mamata Banerjee: “দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম”, জেলাশাসককে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভরা প্রশাসনিক সভায় জেলাশাসককে ‘টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম’ বলে মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমন বেনজির আক্রমণের ও অসৌজন্যতার সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। প্রকাশ্য সভায় একজন আইএএস অফিসার, পদস্থ আধিকারিকের উদ্দেশ্যে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরণের ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী (chief minister) হওয়ার পর তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক (Purulia administrative meet) ছিল। সেখানেই ঘটে যায় এই অনভিপ্রেত ঘটনা। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলায় ইটভাটা থেকে আদায় হওয়া রাজস্ব গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এক তৃণমূল নেতা। জানান, কয়েকজনের পকেটে ঢোকে সেই টাকা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে বলেন, ‘ডিএম, শুনতে পাচ্ছো? এগুলো তৃণমূল করেনি। করেছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা। নিজেরাই টাকাটা খেয়ে নেয়। কী জেলা চালাচ্ছো তুমি? এতদিন জেলায় আছো। তোমার সম্পর্কে আমার ধারণাই বদলে গেল।’

    এরপরই জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এত কিছু দিচ্ছি। তবু কয়েকজন কেন এত লোভি হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সব সময় শাসন করি।’ স্বাভাবিকভাবেই, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এধরনের কথা আশা করেননি, ফলে বেশ জড়সড় হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। কেন তিনি নীচু তলার কর্মীদের এ ধরনের আচরণ কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, সে প্রশ্নও এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে শুনতে হয়েছে জেলাশাসককে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করে রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন জেলা শাসক, অবশ্যই আইএএস। তাঁকে প্রকাশ্য সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার দলের হলে টেনে এক থাপ্পড় মারতাম। এই না হলে মুখ্যমন্ত্রী! মুখ্যসচিব বা মুখ্যপরামর্শদাতা কি অপেক্ষা করছেন দুই থাপ্পড়ের অপেক্ষায়? হায় রে আত্মমর্যাদা বোধ! গুন্ডারানিকে এত ভয়?’

  • Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন হাজরা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর নগদ টাকা, সোনা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এর পরেই  চোর ধর, জেল ভর কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। শনিবার সেই কর্মসূচি পালন করতে গেলেই গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে।

    এদিনের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা শাখা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে হাজির হন সুকান্ত। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে ধরে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড়ও করতে শুরু করে। সুকান্তের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। আটক করা হয় সুকান্তকে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মমতা সরকারের মন্ত্রী, নেতাদের দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে। প্রশাসন ও শাসক দল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ফলে আন্দোলন করলেই গ্রেফতার বা আটক করা হচ্ছে। পুলিশ শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে। কিন্তু এতে সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না। সুকান্তের অভিযোগ, মহিলা পুলিশরাও গায়ে হাত দিয়েছেন তাঁর।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৫০ কোটি নগদ সহ বহুমূল্যের সোনা, রুপো, স্থাবর সম্পত্তির দলিল। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁর দল তৃণমূল। সাসপেন্ড করা হয়েছে দলীয় সব পদ থেকেও। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির প্রতিবাদেই সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই ‘হেনস্থা’র শিকার হন সুকান্ত।

    এদিকে, সুকান্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভানেত্রী সংঘমিত্রা চৌধুরীকেও আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি,  যেখানে বিজেপির কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল, সেখান থেকে সামান্য দূরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি। এলাকাটি হাই সিকিউরিটি জোন। তাই আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিক্ষোভরত বিজেপি নেতাকর্মীদের।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid) সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। ২ জুন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। রাখা হয়েছিল হোম আইসোলেসনে। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির (Delhi) গঙ্গারাম হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কংগ্রেস হাইকমান্ডের অবস্থা স্থিতিশীল।

    রাহুল গান্ধী বিদেশে থাকাকালীন সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোনিয়া। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনা সংক্রমিত। এর পরেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সর্বময় কর্ত্রীকে। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজওয়ালা জানান, করোনা সংক্রমিত কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাঁকে। যাঁরা ওঁর শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন, তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    এদিকে, সোনিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দুদিন আগেই মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সোনিয়া। কথা বলার সময় সোনিয়া কাশছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মমতা। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সোনিয়াকেও। সেই বৈঠকের আগেই তাঁকে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    প্রসঙ্গত, ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়ায় তিনি আপাতত হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে সোমবার ইডি দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। পায়ে হেঁটে গিয়ে ইডি দফতরে যান তিনি। তার আগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা।

     

     

  • TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালন হবে শহিদ দিবস (shahid dibas)। অথচ হাসপাতালগুলিকে (Hospitals) পরিকাঠামো প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, তৃণমূলের একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশে কী এমন ঘটবে, যে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে? ব্লাড ব্যাংকে (Blood Bank) মজুত রাখতে হবে রক্ত? 

    ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল যুব কংগ্রেস (Yuba Congress)। অভিযান হয়েছিল তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) নেতৃত্বে। তখন বাম আমল। অভিযান রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। খুন হন ১৩ জন। তাঁদের শহিদ আখ্যা দেয় কংগ্রেস। তার পর থেকে প্রতি বছর ওই দিনে শহিদ দিবস পালন করে কংগ্রেস। কংগ্রেস ভেঙে মমতা যখন তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন থেকে ফি বছর ২১ জুলাই ঘটা করে দিনটি পালন করেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছে তৃণমূলের প্রচারের হাতিয়ারে। ইদানিং শহিদরা চলে গিয়েছেন পিছনের সারিতে। সামনে চলে এসেছেন তৃণমূলের তারকারা। প্রতিবার যাদের দেখিয়ে ভোট কুড়োয় ঘাসফুল শিবির। 

    আরও পড়ুন : দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা

    এবারও ২১ জুলাই পালিত হবে শহিদ দিবস। সেই উপলক্ষে সরকারের তরফে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তাতেই সভা চত্বরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। মজুত রাখতে বলা হয়েছে প্রচুর রক্ত। যা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কি এবারের শহিদ দিবসে রক্ত ঝরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী? রাজ্য প্রশাসনের জোড়া চিঠিকে হাতিয়ার করে শাসক দলের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২১ জুলাই দিনটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে “জেহাদি” দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন শহিদ মিছিলের রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? তাঁর আরও প্রশ্ন, এটা দলের কর্মকাণ্ড না সরকারের? তাঁর মতে, এভাবে ক্ষমতায় থেকে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চরম অপব্যবহার করছে তৃণমূল। 

    [tw]


    [/tw]

    গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে দলীয় কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে সব দলেরই। তবে সেই কর্মসূচিকে ঘিরে যেভাবে রক্ত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত বিরোধীরা। 

  • Suvendu Attacks Mamata: রেলের টাকায় তৈরি সেতু উদ্বোধনে রেলই ব্রাত্য! মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Mamata: রেলের টাকায় তৈরি সেতু উদ্বোধনে রেলই ব্রাত্য! মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহভাগ টাকা খরচ করেছে রেল (railways)। অথচ হুগলির (Hooghly) কামারকুণ্ডুর ফ্লাইওভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি রেলের কোনও কর্তাব্যক্তি। রেলের কোনও প্রতিনিধি ছাড়াই এদিন সিঙ্গুর (singur) থেকে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। একাধিক ট্যুইট করে মমতাকে (Mamata) আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী।

    কামারকুণ্ডুর এই ফ্লাইওভারটির দাবি দীর্ঘদিনের। ফ্লাইওভার চালু হয়ে গেলে কমবেশি উপকৃত হবেন গোটা হুগলি জেলার মানুষ। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম পবিত্র তীর্থ তারকেশ্বর যাওয়াও হবে সুগম। শুক্রবার দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে এই প্রকল্পেরই উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : দু’বছর পর ফের চালু হল ভারত-বাংলাদেশ রেল পরিষেবা

    এদিন ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু (suvendu) বলেন, এই বিজ্ঞাপনে যে ফ্লাইওভারটি দেখতে পাচ্ছেন, তা মোটা টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। খরচের পরিমাণ ৪৪.৮৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রেল দিয়েছে ১৩.৩৫ কোটি টাকা। সম পরিমাণ টাকা দিয়েছে ভারত (India) সরকারের সংস্থা ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডও। আর রাজ্য দিয়েছে ১৮.১৬ কোটি টাকা। সিংহভাগ টাকা খরচ করেও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রেলের কোনও কর্তাব্যক্তিকে।

    [tw]


    [/tw]

    শুভেন্দু বলেন, “আজ সিঙ্গুর থেকে একতরফা ও অনৈতিকভাবে সেতুর উদ্বোধন করছেন। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য একা লাইমলাইট হগ করার লোভে তিনি সুবিধাজনকভাবে ফেডেরাল কাঠামো উপেক্ষা করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “মাননীয় রেলমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর সৌজন্যটুকুও দেখাননি মমতা। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনও প্রতিনিধিকেও।”

    আরও পড়ুন : শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    স্থানীয় জনগণের দাবির প্রতি রেল যে উদাসীন নয়, তাও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাঁদের সুবিধার জন্য একই জায়গায় একটি সাবওয়ে নির্মাণ করছে। এই সাবওয়েটি মানুষের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং কামারকুন্ডু স্টেশনে যাত্রীদের প্রবেশাধিকারও দেবে।”

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন শুভেন্দু। ট্যুইট বার্তায় বলেন, “যিনি সর্বদা আপনার চেয়ে পবিত্র দেখানোর চেষ্টা করেন এবং দেশের ‘ফেডেরাল স্ট্রাকচার’ সমুন্নত রাখার বিষয়ে প্রচার করেন, তিনি সেই একই ব্যক্তি যিনি ফেডারেল কো-অপারেটিভনেসকে শ্বাসরোধ করতে পিছপা হন না, যখন এটি তাঁর উপকারে আসে।আপনাকে ধিক! আপনি সিএম-চিফ ম্যানিপুলেটর।”

    [tw]


    [/tw]

    রেলকে বাদ দিয়ে রেলের প্রকল্পের উদ্বোধনের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই প্রথম নয়। অধীর চৌধুরী যখন রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তখনও একবার আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে ফের রেলের সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অধীর।

     

  • Nabanna: নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন? ৮ জেলার জেলাশাসককে বদলি নবান্নর

    Nabanna: নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন? ৮ জেলার জেলাশাসককে বদলি নবান্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার পরই বদলি করা হল পুরুলিয়ার (Purulia) জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। জেলা থেকে সোজা মিউনিসিপ্যালিটির দায়িত্বে। এবার থেকে আসানসোল পুরসভার অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব সামলাবেন প্রোমোটী আইএএস রাহুল মজুমদার। রাহুলের জায়গায় পুরুলিয়ার জেলাশাসক পদে এলেন রজত নন্দা। নবান্ন (Nabanna)-এর তরফে পুরুলিয়ার জেলাশাসক বদলের কথা ঘোষণা করা হয়। যদিও হঠাৎ করে পুরুলিয়ার জেলাশাসক বদলের কারণ স্পষ্ট করেনি রাজ্য প্রশাসন। তবে দিন তিনেক আগে পুরুলিয়া জেলা সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকেই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    গত ৩০ মে পুরুলিয়া সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠক থেকেই জেলাশাসক (Purulia District Magistrate) রাহুল মজুমদারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভূমি-রাজস্ব দফতর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে দুর্নীতির অভিযোগে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। প্রকাশ্য সভাতেই জেলাশাসককে “দলের লোক হলে টেনে ৪টে থাপ্পড় মারতেন” বলেও জানান মমতা।

    নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক সহ মোট ২৪ জন আমলাকে বদলি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন মৎস্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব, আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য সচিব, পর্যটন দফতরের মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সচিবও।

    আরও পড়ুন: ইউপিএসসি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় বাংলার মেয়ে, সাফল্য কলকাতারও

    সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তকেও। জেলায় মাওবাদী কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, তাঁর ওপর বেজায় চটে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক হয়ে এলেন খাদ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব সুনীল আগরওয়াল। তিনি উত্তরকন্যার অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। জয়সী দাশগুপ্তকে পাঠানো হল পশুপালন দফতরের বিশেষ সচিব করে।

    সরতে হল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রেশমী কমলকে। তাঁকে পাঠানো হল পশ্চিমবঙ্গ ল্যান্ড রেকর্ড সার্ভে দফতরের সচিব করে। রেশমী কমলের জায়গায় এলেন দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলানো আয়েশা রানী। গতমাসের প্রশাসনিক বৈঠকের পর্বে  জঙ্গলমহলের চার জেলায় একমাত্র বদলির রোষ থেকে বেঁচেছেন বাঁকুড়ার ডিএম কে রাধিকা আয়ার। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা সভাধিপতিকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন দলের নেতাদের কথায় তিনি জেলায় জেলায় ডিএম-এসপি বদল করবেন না। 

    এছাড়া দুই ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককেও বদল করা হয়েছে। এক ধাক্কায় আট জেলার জেলাশাসক বদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক পদে পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদীকে। আর উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথানকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের নতুন জেলাশাসক হয়েছেন প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব বিজিন কৃষ্ণ। মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রকে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পদে পাঠানো হয়েছে। মালদার নতুন জেলাশাসক হয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের কমিশনার নিতিন সিঙ্ঘানিয়া। ঝাড়গ্রামের নতুন জেলাশাসক হয়েছেন সুনীল আগরওয়াল।  

    আরও পড়ুন: রেলকে বাদ দিয়েই অনুষ্ঠান, মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যুইট বাণ শুভেন্দুর

    আচমকাই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের আমলা ও জেলাশাসক পদে বড়সড় রদবদল ঘটাল রাজ্য সরকার। সুন্দরবন বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব হয়েছেন অত্রি ভট্টাচার্য (Atri Bhattacharya)। রাজ্যের নয়া পর্যটন সচিব হয়েছেন সৌমিত্র মোহন (Soumitra Mohan)। কেএমডিএ’র নতুন সিইও হয়েছেন খলিল আহমেদ (Khalil Ahmed)। আবাসন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব হয়েছেন হৃদয়েশ মোহন (Hridyesh Mohan)। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের সচিব হয়েছেন সঞ্জয় বনসল (Sanjay Bansal)। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে জলি চৌধুরীকে (Jolly Choudhury)। 

    বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty) অপ্রচলিত শক্তি দফতরের পাশাপাশি জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দফতরের প্রধান সচিব পদে পাঠানো হয়েছে। অপ্রচলিত শক্তি দফতরের সচিব ছোটেন ডি লামাকে (Choten D Lama) আদিবাসী দফতরের সচিব করা হয়েছে। কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্যকে (Antara Acharya) পূর্ত সচিব পদে পাঠানো হয়েছে। আদিবাসী দফতরের প্রধান সচিব কে এস চিমাকে ডিজি, এটিআই পদে পাঠানো হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের প্রধান সচিব এ সুব্বাইয়া (A Subbiah) হয়েছেন কৃষি বিপণন দফতরের প্রধান সচিব। নবান্ন সূত্রে এটিকে রুটিন বদলি  বলা হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই রদবদল ইঙ্গিতবহ, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

LinkedIn
Share