Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Mamata Banerjee: বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা মমতার, কে বাদ যাবেন, কে ঠাঁই পাবেন?

    Mamata Banerjee: বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা মমতার, কে বাদ যাবেন, কে ঠাঁই পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশিত ছিলই। বিশেষ করে, এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ইডি-র (ED) হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জোর জল্পনা ছিল। এবার আর কোনও জল্পনা নয়। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখে জানিয়ে দিলেন, আগামী বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল (Bengal Cabinet Reshuffle) হতে চলেছে। 

    এদিন নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওইদিন বিকেল চারটে নাগাদ মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেছেন, “কামরাজ মডেলে মন্ত্রিসভা ভাঙার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে।” একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে রাখলেন, দায়িত্বে আসছেন ৫-৬ জন নতুন মুখ। বাদ যাবেন ৪-৫ জন।

    প্রসঙ্গত, দুই বর্ষীয়ান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় মারা গিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার পরেই মন্ত্রী পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। ফলে, জল্পনা ছিল হয়তো আজই হয়ত রদবদলের কোনও ঘোষণা হবে। এদিন সেরকম কোনও ঘোষণা না হলেও রদবদলের কথা নিজেই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিন মমতা বলেন, ‘সুব্রতদা মারা গিয়েছেন। সাধন পান্ডে মারা গিয়েছেন। পার্থদা জেলে রয়েছেন। এদের কাজগুলো কে করবে। কাউকে না কাউকে তো কাজগুলি করতে হবে। অনেকগুলি দফতর ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আমার পক্ষে একা সবটা নিজের ঘাড়ে রাখা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘পরশুদিন আমরা একটা ছোট্ট রদবদল করব। বিকেল চারটে।’

    এদিকে, একাধিক জেলায় দলের জেলা সভাপতি বদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বনগাঁয় গোপাল শেঠকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল বিশ্বজিৎ দাসকে। শ্রীরামপুরে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হল অরিন্দম গুঁইকে। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল পার্থ ভৌমিককে। নতুন সভাপতির নাম পরে জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: গাড়ি ভর্তি টাকা! হাওড়ায় আটক ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত 

    এছাড়া, কোচবিহারে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল পার্থপ্রতিম রায়কে। পার্থপ্রতিমের বদলে নতুন জেলা সভাপতি হলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। দক্ষিণ দিনাজপুরের নতুন জেলা সভাপতি হলেন মৃণাল সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি ছিলেন উজ্জ্বল দে বসাক। 

  • Calcutta HC on Mamata: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে…”, কী প্রেক্ষিতে বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী?

    Calcutta HC on Mamata: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে…”, কী প্রেক্ষিতে বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে কারও মন্তব্যে ভেঙে পড়বে…।” মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা সমালোচনার প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    রবিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসেই এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam)  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) শুনানি হয়। সেই শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ভুবনেশ্বর এইমস-এ (Bhubaneswar AIIMS) করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তী রায়ে বিবেক চৌধুরী বলেছিলেন, ভুবনেশ্বরের এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম পরীক্ষা করবেন। চিকিৎসক দলে থাকবেন, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রিনোলজির, রেসপিরেটরি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

    প্রসঙ্গত, তাঁর এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সোমবার সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের মহাসচিব তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিচারব্যবস্থা বিজেপি প্রভাবিত বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “পার্থকে কেন ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হল? আমার লজ্জা লাগছে, বাংলায় এত ভালো ভালো হাসপাতাল থাকতেও পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হল! কেন ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হল? কেন্দ্রের ছোঁয়া আছে বলে?”

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    মমতার এই মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল উল্লেখ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালত এই আবেদন গ্রহণ না করলেও, বিচারপতি বিবেক চৌধুরী তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড শক্ত রয়েছে। মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে কারও মন্তব্যে ভেঙে পড়বে। ফলে কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। বিবেক চৌধুরী বলেন, “ওই মন্তব্যের কেন প্রতিবাদ করব? ওই মঞ্চে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। তিনি তো কোনও প্রতিবাদ করলেন না।”

    বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, “আদালতের বাইরে করা এই মন্তব্যকে অবমাননা বলে ধরছি না। তাছাড়া ওই মন্তব্যের জেরে রায়ের কিছু এসে যাবে না। সব মামলাকারীকে চিনিও না। আমার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেউ যদি উচ্চ আদালতে যেতে চায় যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমি মামলার মেরিট বিচার করি। সামনে কে রয়েছে, তা দেখি না। তাই রাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে পারি।” তবে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী মনে করেন, বিচারব্যবস্থা নিয়ে যে সৌজন্যবোধ দেখা যেত, এখন তা ক্রমশ উধাও হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আগে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে একটা সৌজন্যবোধ ছিল। বিচারব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলা হত না। এখন সেটা ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে, এখন প্রকাশ্যেই সমালোচনা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

  • Vice-President Poll: ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোট নয়! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল

    Vice-President Poll: ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোট নয়! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে বিরত থাকবে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি ভোটে (Vice-President Poll 2022) তৃণমূল (TMC) কোন দিকে ঝুঁকছে তা নিয়ে বেশ কৌতুহল ছিল রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সব জল্পনার অবসান। তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটে অংশগ্রহণই করবে না তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীঘাটের দলীয় বৈঠকের (TMC Party Meet) পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস সভার পরেই যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসবে তৃণমূল, সে ইঙ্গিত আগেই ছিল। আর সেই মতো সন্ধেবেলা এল এই সিদ্ধান্ত। 

    এদিন কালীঘাটে দলীয় সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দুটি কারণ দেখান। তিনি জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ-র মনোনীত প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) কোনওভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে না।

    অন্যদিকে, মার্গারেট আলভাকে সমর্থন না করার বিষয়ে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, বিরোধী প্রার্থী হিসেবে কার নাম ঘোষণা করা হবে সেই সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। যেহেতু তৃণমূলকে এই আলোচনায় রাখাই হয়নি সেই কারণে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত প্রার্থীকেও সমর্থন করার ক্ষেত্রেও বিশেষ কোনও যুক্তি দেখতে পায়নি তৃণমূল। ফলে এমতাবস্থায়, ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।

    প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    যদিও, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তৃণমূলের ভোটে অংশগ্রহণ না করা মানে বকলমে বিজেপিকেই (BJP) সাহায্য করা। কারণ, জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে গেল না তৃণমূলের ভোট। আখেরে লাভ হল ধনখড়ের। আর বিরোধী প্রার্থী তৃণমূলের ভোট থেকে বঞ্চিত হলেন। তাহলে কি ধনখড়ের উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পথকে আরও সহজ করতেই ঘাসফুল শিবিরের এই পদক্ষেপ? যদিও, তৃণমূল তা মানতে নারাজ।

    জগদীপ ধনখড়ের বাংলার রাজ্যপাল পদে বসা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata) সঙ্গে তিক্ততার সম্পর্ক বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি বদলেছিল সম্পর্কের সেই সমীকরণ। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই এখন শোনা যায় মমতা নরম হচ্ছেন ধনখড়ের প্রতি। কিছুদিন আগেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর জগদীপ ধনখড়ের বৈঠক হয়। মমতার দার্জিলিং সফরে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন ধনখড়। তারপরেই পাড়ি দেন দিল্লিতে।

    আরও পড়ুন: মোদিকে পাশে বসিয়ে মনোনয়নপত্র জমা জগদীপ ধনখড়ের

    এরই মধ্যে বুধবার জল্পনা উস্কে দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “জগদীপ ধনখড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় অনুরাগী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জখম হয়েছিলেন তখন তিনি দেখতে গিয়েছিলেন। উনি আমাদের বলেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই আন্তরিক। কিন্তু প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আমার কথা শোনেন না।” কুণালের এই মন্তব্যে জগদীপ ধনখড়ের প্রতি যে তৃণমূলের সুর কিছুটা নরম তা গতকাল অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর আজ এই সিদ্ধান্ত। তাহলে কী ‘ফ্যান’ – কে তুষ্ট রাখতেই এই সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে। 

    প্রসঙ্গত,  বিজেপির উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জগদীপ ধনখড় এবং অন্যদিকে ১৭টি বিরোধী দলের প্রার্থী মার্গারেট আলভা। ৬ অগাস্ট হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যাতে থাকবে না অন্যতম প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। 

     

  • BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) উপলক্ষে শহর কলকাতা ছয়লাপ বিজেপির (BJP) পোস্টারে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বরূপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আখ্যা দেওয়া হয়েছে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী (Anti Tribal) হিসেবে। পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দেখা যাচ্ছে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) সঙ্গে। তারই নীচে একটি ছবি দেওয়া হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে জনজাতির দুই মহিলা গ্লাভস পরে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এখানেই আপত্তি বঙ্গ বিজেপির।

    রাত পোহালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ-র তরফে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। যশবন্ত তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রসিডেন্ট। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁকে টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী এই দুই প্রার্থীর ফারাক বিস্তর। দ্রৌপদী জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। যশবন্ত উচ্চবর্ণের। সেই দ্রৌপদীকে তৃণমূল সমর্থন করছে না বলেই এখনও পর্যন্ত খবর। একেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    শহর ছেয়ে যাওয়া পোস্টারে রয়েছে দুটি ছবি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী। আর তারই নীচে জনজাতি দুই মহিলার সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনজাতির প্রতিনিধি ওই দুই মহিলার হাতে গ্লাভস। ছবিটি আলিপুরদুয়ার জেলার একটি অনুষ্ঠানের খণ্ডচিত্র। কিছুদিন আগেই ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল। দেখা যাচ্ছিল, গণবিবাহের অনুষ্ঠানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নাচার সময় তিনি যাদের হাত ধরলেন, তাদের হাতে গ্লাভস পরা। এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি , নাচের তালে পা মেলানোর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে নিছকই ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। চমক জাগানোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য। খতিয়ে দেখলেই তাঁর স্বরূপ বেরিয়ে আসে। আর এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আসলে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী।   

    আরও পড়ুন : পাখির চোখ ২৪ , দুর্বল বুথে শক্তি বাড়াতে নতুন কৌশল বিজেপি-র

    তবে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর হয়ে তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে ভোট চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও দ্রৌপদীকে সমর্থনের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ভাঙন ধরেছে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী এসবিএসপি এবং আরজেডির জোটসঙ্গী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের কাকা শিবপাল সিং যাদবও সমর্থন করছেন দ্রৌপদীকেই।

    সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোটকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা শাসক, বিরোধী দুই শিবিরেই। জয়ের পাল্লা ভারী দ্রৌপদীর দিকেই। হার নিশ্চিত বুঝে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করতেন। তবে দেশে এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা যখন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন, তখন তাঁকে সমর্থন নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে, মুখ্যমন্ত্রী এটাই বুঝিয়ে দিলেন যে কোনটা তাঁর মুখ, কোনটা মুখোশ। আর একের পর এক এমন ঘটনা তুলে ধরেই রাজ্য বিজেপি স্পষ্ট করে দিল আদিবাসী সম্পর্কে মমতার স্বরূপ।  

     

  • Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    Partha Chatterjee: মন্ত্রিত্ব থেকে দলীয় পদ, সবকিছু থেকেই পার্থকে ছেঁটে ফেললেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে মন্ত্রিত্ব, তারপর পদ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সবকিছু হারালেন একদা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলা ভালো, এসএসসি কেলেঙ্কারির দায় মাথায় চাপিয়ে পার্থকে দল থেকেই ছেঁটে ফেলল তৃণমূল। বিকেল পাঁচটার বৈঠকের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, দল থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ, পার্থ আর তৃণমূলের মহাসচিব থাকছেন না। থাকছেন না তৃণমূল মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকের পদেও। পাঁচটি পদ থেকেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

    ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মা মাটি মানুষের সরকারে কার্যত দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলেও ছিলেন মহাসচিব পদে। কিন্তু টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়াতেও মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর আর ঝুঁকি নিতে পারল না দল। আজ বিকেলেই তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক বসে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, তদন্ত যতদিন না শেষ হবে, ততদিন দল থেকে সাসপেন্ড থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজেকে যেদিন নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন , সেদিনই দল তাঁর ওপর শাস্তি অপসারণ নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা করবে। 

    বিকেলের এই সিদ্ধান্তের আগে আজ দুপুরেই মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর হাতে থাকা তিনটি দফতরই আপাতত থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তবে শিল্প দফতর নিজের হাতে রেখে বাকি দুটি দফতর বন্টন করে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে, তথ্য প্রযুক্তি পেতে পারেন ব্রাত্য বসু। পরিষদীয় মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাপস রায়ের। নবান্ন সূত্রে অবশ্য নির্মল ঘোষের নামও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে ভেসে উঠছে। পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সরকারি নোটিফিকেশন আজই জারি হয়।  ২৮জুলাই থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে সরকারি নোটিফিকেশনে বরখাস্ত শব্দটি ব্যবহার না করে অব্যাহতি শব্দটি লেখায় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যেভাবে কামিনীকাঞ্চন যোগ সামনে এসেছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে দায় এড়াতে পারে না, বিরোধীরা বারবার সেই প্রসঙ্গ সামনে এনেছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠেছে, একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি এই কোটি কোটি টাকা তুলতে পারেন? নাকি সঙ্গে আছে দলের আরও অনেকে? খোদ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ও ইডির জেরার মুখে জানিয়েছেন, এই টাকা তোলার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে। এই অভিযোগ আর মানুষের মনে ওঠা প্রশ্ন , ভাবাতে শুরু করেছে তৃণমূলকে। তাই যে মুখ্যমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছিলেন, এটা ষড়যন্ত্র কিনা দেখতে হবে, এখন তিনিও বুঝতে পারছেন, শিয়রে সমন। তাই আপাতত পার্থকে বলি দিতে পিছু হঠলেন না তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যে সমস্ত ছবি সামনে আসছে, তার প্রেক্ষিতেই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে  সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব ছাড়াও দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ইডি তল্লাশির ৪৮ ঘণ্টা পর প্রথমবার মুখ খুলেছিল তৃণমূল। তখনও এই দ্বন্দ্ব ছিল। ৭২ ঘণ্টা পর মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তখন মন্ত্রী পার্থ নয়, নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিলেন দলনেত্রী। বলেন আমার হাতেও আলকাতরা আছে, আমাকে বদনাম করলে আমিও আলকাতরা লাগাতে পারি। কোন ওয়াশিং মেশিন তা ধুতে পারবে না।

    সময়ই বলবে, এসএসসি কেলেঙ্কারিতে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধারে কারা কারা জড়িত। তবে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে মানুষের বিশ্বাস একেবারেই হারিয়েছে, তা দোকানে-বাজারে কান পাতলেই বোঝা যাচ্ছে। 

     

  • Draupadi Murmu: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    Draupadi Murmu: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক দিনের ঝটিকা সফরে দার্জিলিংয়ে আসছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। দার্জিলিংয়ে আগেই পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Dhankhar) পৌঁছেছেন দার্জিলিং রাজভবনে। জল্পনা তুঙ্গে, তা হলে দার্জিলিংয়ে এত কাণ্ড কেন?

    সূত্রের খবর, আজ কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা-হিমন্ত বৈঠক হতে পারে। তারপরেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। জনজাতি মহিলা প্রার্থী দ্রৌপদীদেবী কলকাতায় এসে প্রচারে রাজ্যের ২৯৪ বিধায়ক এবং ৪২ লোকসভা এবং ১৬ রাজ্যসভা সাংসদের ভোট পাওয়ার আশা করেছিলেন। পরের দিনই হিমন্তের মমতা দর্শন রাজনৈতিক কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চান সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতুন সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের এই মহিলা মুখ। এনডিএ নেতারা সেই কারণেই সব দলকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও ঘোষণা করেছেন, শিবসেনা দ্রৌপদীদেবীকেই ভোট দেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সমর্থন চেয়ে উদ্ধবকে ফোনও করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : দলীয় সাংসদদের চাপে বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করছে শিবসেনা?

    মমতাকে ফোন করে সমর্থন চান দ্রৌপদীদেবী স্বয়ং। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যুগ্মভাবে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তারপরেই মমতা জানান, আগে এনডিএ প্রার্থীর কথা জানলে তিনি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দিতেন না। ঘটনাচক্রে যশবন্ত সিংহ তৃণমূলেরই সহ-সভাপতি ছিলেন। অনেকের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থী হওয়ায়  সারা দেশে জনজাতি সমাজে বিজেপির পক্ষে হাওয়া উঠেছে। মমতা তা বিলক্ষণ বোঝেন। তাই দ্রৌপদীদেবীর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলে আসলে সেই আদিবাসী সমাজকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন : খ্যাতির বিড়ম্বনা! দ্রৌপদী মুর্মুর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে ছেয়ে গেছে ট্যুইটার

    এর মধ্যেই হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দূত হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ। তাঁর একটাই অনুরোধ, দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এমন ঐতিহাসিক সময়ে একজন আদিবাসী প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার ভুল যেন তৃণমূল না করে। দেশের বাকি বিরোধী দলগুলির কাছে শেষ দুদিন দূত পাঠিয়ে একই অনুরোধ জানাবে বিজেপি। অনুরোধ মেনে দ্রৌপদীদেবীকে ভোট দিলে উনি রেকর্ড ভোটে জিতে রাষ্ট্রপতি পদে বসবেন। তৃণমূল ভোট না দিলে বিজেপি প্রচার করবে আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে চায়নি তৃণমূল।এমন আবহে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হতে চলেছে মমতা-হিমন্তের নজরকাড়া বৈঠক।

    রাজ্যের বিধায়কদের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সুকান্ত-শুভেন্দু জুটি। মমতার কাছে নম্বর বাড়াতে ফিরহাদ হাকিম এবং নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় তা গ্রহণ করেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মমতা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নতুন কি অবস্থান নেবেন, তাতে ফিরহাদ- নয়নাকে আফশোস করতে হবে কি না, তা সময়ই বলবে।

     

  • Mamata on Droupadi Murmu: দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    Mamata on Droupadi Murmu: দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) দূতের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Elections) দেশের প্রথম জনজাতি মহিলা প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) ভোট দিতে অক্ষম তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল দার্জিলিং (Darjeeling) রাজভবনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Hemant Biswasarma) জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিজেপির (BJP) প্রার্থীকে ভোট দেবেন না। বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকেই (Yashwant Sinha) ভোট দেবে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতুন সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের এই মহিলা মুখ। এনডিএ নেতারা সেই কারণেই সব দলকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতেই মোদির দূত হিসেবে রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার দার্জিলিঙের রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) উপস্থিতিতে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই, হেমন্ত মমতাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী চান দেশের সামনে যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করার সুযোগ এসেছে তখন সমস্ত রাজনৈতিক ভেদাভেদ সরিয়ে রেখে তৃণমূলেরও উচিত তাঁকে সমর্থন করা। কারণ দ্রৌপদী মুর্মু তৃণমূল ভোট না দিলেও রাষ্ট্রপতি হবেন। সে কথা বুঝেই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরেও দ্রৌপদীদেবীকে ভোট দিতে চলেছেন। মমতা বৈঠকে জানান, দ্রৌপদীদেবীর নাম জানিয়ে আগে প্রস্তাব দিলে ভাবা যেত। এখন আর সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    আসলে মমতার কাছে দূত পাঠিয়ে দ্রৌপদীদেবীর জন্য ভোট চাওয়ার পিছনেও রাজনীতিও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আদিবাসী মহিলা প্রার্থীকে ভোট দিলে বিজেপি জাতীয় স্তরে প্রমাণ করতে পারত বিরোধী নেত্রী হিসাবে মমতা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। এখন ভোট না দিলে বিজেপি বলতে পারে, রাজনৈতিক আকচাআকচির মধ্যেও এক জন আদিবাসী মহিলাকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসাতে সমস্ত ইগো বিসর্জন দিয়ে বিজেপি মমতার কাছে ভোট চাইতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু মমতা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আদিবাসী প্রার্থীকে ভোট দেননি।

    এর আগে, মমতাকে ফোন করে সমর্থন চান দ্রৌপদীদেবী স্বয়ং। রাজ্য বিজেপির সভাপতি (BJP State President) সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী যুগ্মভাবে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তারপরেই মমতা জানান, আগে এনডিএ প্রার্থীর কথা জানলে তিনি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দিতেন না। ঘটনাচক্রে যশবন্ত সিংহ তৃণমূলেরই সহ-সভাপতি ছিলেন। অনেকের মতে, দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থী হওয়ায় সারা দেশে জনজাতি সমাজে বিজেপির পক্ষে হাওয়া উঠেছে। মমতা তা বিলক্ষণ বোঝেন। তাই দ্রৌপদীদেবীর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলে আসলে সেই আদিবাসী সমাজকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “দ্রৌপদীদেবীর জয় নিশ্চিত, তা সত্ত্বেও…”, মমতাকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির

    এদিকে, দার্জিলিং রাজভবনে মমতা-হেমন্ত এবং রাজ্যপালের একটি ছবি ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিভিন্ন হ্যান্ডেল থেকে প্রচার করা হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হচ্ছে এমন ধারণা তৃণমূলই সর্বত্র ছড়াতে চাইছে। অনেকেই মনে করছেন, নানা দুর্নীতির মামলায় যেভাবে সিবিআই, ইডি একের পর এক টিএমসি নেতাদের তলব করছে তাতে নিচুতলার কর্মীরা আর সক্রিয়ভাবে দল করতে চাইছেন না। তাঁদেরই টিএমসি বার্তা দিয়ে জানাতে চাইছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরে ভাল সম্পর্ক রয়েছে মমতার। ফলে ইডি-সিবিআইকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

    এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আদিবাসী মহিলার জন্য আমরা মুসলিম লিগের কাছেও ভোট চেয়েছি। এনডিএ প্রার্থী যাতে সর্বোচ্চ ভোট পান, তার জন্য সব কৌশলই নেওয়া হবে। কিন্তু তৃণমূল প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা আদিবাসী সমাজের উত্থান চায় না। আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি যারা চুরি-জোচ্চুরি করেছে তাদের ডাকবে এবং জেলে ঢোকাবে। এ নিয়ে কারও ধোঁয়াশা রাখা উচিত নয়।

  • Bengal SSC scam: মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন পার্থ! কোন মন্ত্রক কার হাতে জল্পনা, একটু পরেই তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

    Bengal SSC scam: মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন পার্থ! কোন মন্ত্রক কার হাতে জল্পনা, একটু পরেই তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আপাতত ইডি হেফাজতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারির পর থেকেই দলের অভ্যন্তরে তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই নিয়েই আজ বিকেলে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগেই পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, দলনেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, পার্থ আর তাঁর মন্ত্রিসভায় নেই।

    তৃণমূল সূত্রে খবর, পার্থকে শিল্পমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর শিল্প দফতর নিজের হাতেই রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে আনা হতে পারে ব্রাত্য বসুকে। অন্যদিকে পরিষদীয় মন্ত্রী হতে পারেন তাপস রায় বা নির্মল ঘোষ। এদিন বিকেল ৫টায় তৃণমূল ভবনে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর নাকতলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত ১০ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ। 

    আরও পড়ুন: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    গত শনিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ। গ্রেফতারির পর ছ’দিন কেটে গেলেও তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবির এবং দলের অন্দরে দাবি উঠছে, পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে গেরুয়া শিবির।

    [tw]


    [/tw]

    তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার পার্থকে দল থেকেই বহিষ্কারের দাবি তোলেন। নিজের ট্যুইটার একাউন্টে তিনি লিখেছেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব এবং সমস্ত দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা উচিত। তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। যদি এই বক্তব্য ভুল বলে মনে করা হয়, তাহলে আমাকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার দলের রয়েছে। আমি দলের একজন সৈনিক হিসাবে লড়াই চালিয়ে যাব’। যদিও, পরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবিতে আগের ট্যুইট সরিয়ে নেন কুণাল ঘোষ। দ্বিতীয় ট্যুইটে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লেখেন, আগের ট্যুইটে ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছিলাম। দল এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ডেকেছেন। আমাকেও বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। দল বিষয়টি গ্রহণ করায় আমার ব্যক্তিগত পোস্ট মুছে দিচ্ছি।

     

  • Electricity Bill: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য?

    Electricity Bill: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta Highcourt)। কিন্তু, একের পর এক “শ্রী”-প্রকল্পে বিপুল অর্থ খয়রাতি ও অনুদান দিতে গিয়ে রাজ্যের কোষাগারে আগে থেকেই ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। ফলস্বরূপ, আদালতের নির্দেশমতো রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ সময়মতো মেটাতে পারেনি নবান্ন (Nabanna)। যার জেরে, আদালতের নির্দেশে বেতন আটকে যায় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের শীর্ষ কর্তাদের। রোষে পড়তে হয়েছে রাজ্যকেও। 

    এর পরই টনক নড়ে মমতা (Mamata) প্রশাসনের। কিন্তু টাকা, সেটা আসবে কোথা থেকে? এই পরিস্থিতিতে বকেয়া মেটানোর টাকা তুলতে এবার রাজ্যবাসীর ওপরই কোপ ফেলল রাজ্যের শাসক শিবির (TMC)। চুপচাপ গ্রামে-শহরে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের পকেট কাটার ব্যবস্থা করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার (Bengal Government)।

    আরও পড়ুন: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

    সাধারণত, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (পিডিসিএল)-এর থেকে বিদ্যুৎ কিনে তা গ্রাহকদের সরবরাহ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা সংক্ষেপে ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL)। এর জন্য ইউনিট প্রতি পিডিসিএলকে ৪ টাকা করে দেয় ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

    ২০২০ সাল থেকে নিজস্ব কয়লাখনি থেকে উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে পিডিসিএল। ফলে, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায়, পিডিসিএল ইউনিট প্রতি দাম ৫১ পয়সা কমিয়ে বিক্রি শুরু করে। কিন্তু, গ্রাহকদের কোনও সুবিধা হয়নি। উল্টে এখন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি মাশুল চাপাল ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

    প্রকাশ্যে আসা Tariff অনুযায়ী, গ্রামে ১০২ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.২৬ টাকা। এখন তা হচ্ছে ৫.৪৯ টাকা। শহরে এই পরিমাণ বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.৩০ টাকা। এখন হল প্রতি ইউনিট ৫.৫৩ টাকা। অর্থাৎ, সাধারণ পরিবারগুলির জন্য প্রতি ইউনিটে ২৩ পয়সা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। দাবি, দাম বাড়ার ফলে সংস্থার ৯৪২ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হবে। নবান্ন চাইছে, এই টাকা দিয়ে বকেয়া ডিএ মেটাতে। 

    আরও পড়ুন: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    শুধু ডিএ বা মহার্ঘভাতাই আটকে রয়েছে তেমন নয়। বিদ্যুৎকর্মীদের একাংশের আরও অভিযোগ, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ-এর টাকাও নাকি ঠিকমতো জমা পড়ছে না। এক্ষেত্রেও, কর্মীদের হকের টাকা জমা না করার দায়ে কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সম্প্রতি, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে গিয়ে রাজ্য সরকার দাবি করেছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির দাবি করেছে। সরকারের যুক্তি, কর্মীদের বেতন দিতে গিয়েই নাকি সব টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এখানেই, দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন আন্দোলনকারী বিদ্যুৎকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কেনার খরচ কমে যাওয়ার পরেও, বিদ্যুৎকর্মীদের টাকা মেটানো হচ্ছে না। উল্টে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত মাশুল চাপিয়ে অতিরিক্ত আয় করছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। 

    তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে টাকাটা যাচ্ছে কোথায়?

LinkedIn
Share