Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta on SSC Scam: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    Sukanta on SSC Scam: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অথচ বহাল তবিয়তে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পদে রয়েছেন বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূলে (TMC) আসা পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)। এতেই ক্ষুব্ধ পদ্ম শিবির। বিজেপির (BJP) দাবি, বরখাস্ত করতে হবে পরেশ অধিকারীকেও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি পরেশকে নিশানা করেছেন অমিত মালব্যও। 

    এসএসসিকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই, ইডি। ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে কোটি কোটি টাকা। এই টাকার উৎস খুঁজতে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ এবং অর্পিতাকে। 

    ইডি পার্থকে গ্রেফতার করতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তৃণমূল। কেড়ে নেওয়া হয় পার্থের মন্ত্রিত্ব। তদন্ত শেষ না ইস্তক পার্থকে সাসপেন্ড করা হয় দল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ এই তদন্ত এখনই শেষ হয়ে যাবে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। পার্থের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এলেও, দিব্যি চেয়ারে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মেয়ে অঙ্কিতাকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    এ ব্যাপারেই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটে প্রশ্ন তোলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি স্কুলে মেয়েকে শিক্ষিকার চাকরি দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাঁর মেয়ের চাকরি বাতিল করেছে। কিন্তু তিনি এখনও মন্ত্রী পদে রয়েছেন। 

     

    West Bengal MoS Education Paresh Adhikari misused his office and appointed his daughter as a teacher in govt school.

    High court removed her in illegal appointment but he still continues to be the Minister.

    When will @MamataOfficial take action against him? She has to answer. pic.twitter.com/nx8VyT9VcX

    — Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) July 29, 2022

    The rot of SSC Scam is so deep that Calcutta HC had to cancel illegal appointment of Ankita Adhikari, daughter of Paresh Adhikari (an FIR has been filed against him), who is the MoS Education in Mamata Banerjee’s cabinet. Why has he not been sacked?

    Will Mamata Banerjee explain?

    — Amit Malviya (@amitmalviya) July 29, 2022

    [/tw]

    একই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনি নিয়োগ বাতিল করেছে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরও হয়েছে। তাহলে কেন তাঁকে মন্ত্রিপদ থেকে বরখাস্ত করা হবে না?  

     



     
    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে ২২ জুলাই পরেশের মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। হাইকোর্টের নির্দেশে খোয়া গিয়েছে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি। কোচবিহারেরই ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। ইডির তল্লাশির সময় বাড়িতেই ছিলেন অঙ্কিতা। তদন্তকারীরা তাঁকে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদও করেন বলে সূত্রের খবর। তার পরেও পরেশ স্বপদে বহাল থাকায় বিস্মিত বিজেপি। 

    আরও পড়ুন : তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    বাম-সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে পরেশকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। তাই কি এখনও চেয়ার খোয়াননি পরেশ?

  • Sealdah Metro Inauguration: মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রিত হলেও মেট্রোর উদ্ধোধন স্মৃতি ইরানির হাতেই, জানিয়ে দিল পূর্ব রেল

    Sealdah Metro Inauguration: মুখ্যমন্ত্রী আমন্ত্রিত হলেও মেট্রোর উদ্ধোধন স্মৃতি ইরানির হাতেই, জানিয়ে দিল পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল দেশের জাতীয় সম্পদ। রেলের কোনও প্রকল্প উদ্ধোধনে নিয়মমাফিক প্রকল্প এলাকার সকল জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে। নিয়ম মেনেই আগামীকাল সোমবার সেক্টর-ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্ধোধনে তৃণমূলের এমপি-এমএলএদের ডাকা হচ্ছে। তবে ১০০ ভাগ কেন্দ্রীয় অর্থে নির্মিত এই প্রকল্পের প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় বস্ত্র ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। তিনিই প্রকল্পের সূচনা করবেন। বাকিরা রেলের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসলে যথাযথ সম্মান পাবেন। তবে সাধারণ অতিথি হিসাবেই তাঁদের মঞ্চে জায়গা দেওয়া হবে। পূর্ব রেল সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই উদ্বোধন শিয়ালদহ মেট্রোর, যাত্রী নিয়ে কবে থেকে ট্রেন চলবে জানেন?

    পূর্ব রেলের এক সিনিয়র অফিসারের কথায়, কামারকুণ্ডু রেলওয়ে ওভারব্রিজ রাজ্য এবং রেলের আধাআধি টাকায় তৈরি হয়েছে। অথচ রেলকে কিছু না জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ওভারব্রিজটির উদ্ধোধন করে দিয়েছিলেন।শুধু এই প্রকল্পটিই নয়, এর আগেও রেলের সঙ্গে আলোচনা না করে বহু প্রকল্প রাজ্য সূচনা করে দিয়েছে। তা নিয়ে কখনও রেল কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। পূর্ব রেলের ওই কর্তা জানান, মেট্রো প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী অথবা রেলমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্ধোধন করানোর পরিকল্পনা ছিল। তাঁদের সময় না মেলায় অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে দিয়ে প্রকল্পটির সূচনা হবে। এটা ১০০ শতাংশ রেলের টাকায় তৈরি। তার পরেও রেল নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, রাজ্যের আধিকারিক, স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

    রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, প্রকল্পটি কলকাতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে প্রয়াত বাম জমানার পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী (Subhash Chakraborty)এবং তৎকালীন পরিবহণ সচিব সুমন্ত্র চৌধুরির (Sumantra Chaudhuri) অবদান ছিল। পরবর্তীকালে প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের আর এক আমলা সুব্রত গুপ্তর (Subrata Gupta) ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। পরে লাইন পাতার নকশা পরিবর্তন, জমি জট তৈরি করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নেতিবাচক ভূমিকার কথাও জানাচ্ছেন রেলের কর্তারা। বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বিজেপির মন্ত্রী থাকাকালীন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জট ছাড়াতে সক্রিয় হয়েছিলেন। সফলও হয়েছিলেন। সেই সময়ের ঝালমুড়ি রফার কারণেই তাঁকে বিদ্রুপের শিকারও হতে হয়েছিল। রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকারের ভূমিকা কেমন ছিল তা এখন তৃণমূল বিধায়ক বাবুলই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: দেশে এই প্রথম সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী অ-মুসলিম, অতিরিক্ত দায়িত্ব স্মৃতি ইরানিকে

    শত বাধা পেরিয়ে সেক্টর-ফাইভ-শিয়ালদহ রেল চলাচল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত ধরে হবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলেই জানিয়েছেন কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল পূর্ব রেলের আমন্ত্রণ মেনে অনুষ্ঠানে এলে স্বাগত-সম্মান দুই করা হবে। রেলের বক্তব্য, তারা বার্তা দিতে চায়, কামারকুণ্ডুর ঘটনা অভিপ্রেত নয়। তাই সেই ঘটনা রেলের পক্ষে অসম্মানের হলেও দেশের স্বার্থে, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের খাতিরে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় অর্থে নির্মিত এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রতি সৌজন্য দেখানো হবে। তবে কৃতিত্বের ভাগে দখলদারি মানা হবে না।    

  • Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teachers Recruitment) দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগের তদন্তে কোমর কষে নামল সিবিআই (CBI)। ওই দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলতি মাসের ১৬ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (Primary Education Board) তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে হবে। সেই কারণে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা কৃতকার্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teachers) চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় ১০টি তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এগুলি হল— নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি, চাকরিতে যোগদানের নথি, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য, সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে), প্যারাটিচার এনগেজমেন্ট লেটার, আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার শংসাপত্র এবং ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, তাও।

    শিক্ষক নিয়োগে যে ‘ভুল’ হয়েছে, বিধানসভায় তা স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টি ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘স্বীকারোক্তি’কে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাতেও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধীদের শাস্তি চাই।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী বলেন, আমাদের দাবি, যাঁরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নয়, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিতে হবে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে গতি এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    এদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এবার পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)।

     

  • Presidential Polls: জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    Presidential Polls: জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস রচনা করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi murmu)। রাষ্ট্রপতি (President) পদে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাঁর জয়ে উল্লসিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা পা রাখতে চলেছেন রাইসিনা হিলসে (Raisina Hills)। দ্রৌপদীর ঐতিহাসিক জয়ের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata)। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

    রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএর প্রার্থী হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। যশবন্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে দল ছেড়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হন। বৃহস্পতিবার ফল বেরিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান মমতা। শুভেচ্ছাবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত দ্রৌপদী মুর্মু অভিনন্দন জানাতে চাই। সংবিধানের আদর্শ রক্ষা করার জন্য ও গণতন্ত্রের রক্ষক হওয়ার জন্য দেশ আন্তরিকভাবে আপনাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখবে। দেশের গণতন্ত্র যখন একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলেছে তখন আপনার ওপরে মানুষের আশা অনেক।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপির অমিত মালব্য (Amit Malviya)। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, দুই টিএমসি সাংসদ ও একজন বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। দুই টিএমসি সাংসদ ও ৪ জন বিধায়কের ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী ঐক্যের স্ব-নিযুক্ত সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর নিজের বিধায়কদের ওপরই রাশ টানতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে, ভয় দেখানো সত্ত্বেও সমস্ত বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধায়ক শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদীকে ভোট দিতে পারব না, মোদির দূতকে বললেন মমতা

    এদিকে, দ্রৌপদীর জয়ে উল্লসিত জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, এদিকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধামসা-মাদল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। রাষ্ট্রপতি পদে যশবন্তকে প্রার্থী করার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর। শরদ পাওয়ার, ফারুখ আবদুল্লা এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি না হওয়ায় শেষমেশ যশবন্তকে প্রার্থী করা হয়। ভোটের ফলে দেখা যায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন যশবন্ত। শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপির দ্রৌপদী।

  • PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY-G) নাম বদলে রাজ্য সরকার নাম দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। কিন্তু এই নাম ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না করলে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেবে না। যতক্ষণ না দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রকল্পের নাম ফের বদল হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্যে আবাস-প্লাস প্রকল্পে একটি ঘরও আসবে না। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রেই এখবর জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। 

    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। তার জেরে রাজ্যের প্রায় ১০-১২ লক্ষ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর কথায়,“পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়। যদি সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চলতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে তার নাম কেন বদল হবে। আসলে রাজ্য সরকারের ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার টাকা নেই, সেই কারণে গরিব মানুষের পাকা বাড়ি তৈরি্র যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদিজি (Modi) দেখিয়েছেন এ রাজ্যে তা পূরণ করতে দিচ্ছেন না মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা জানান, বাংলা আবাস যোজনা নাম বদলাতে রাজি নয় নবান্ন। সেই কারণেই জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।

    এইভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করেছে মমতা প্রশাসন

     

    কেন পাকা বাড়ির টাকা পাচ্ছে না রাজ্য?

    গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, গত ১২ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানান, ২০১৬-১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকার ৩২ লক্ষ বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি করেছে। দেশে এই প্রকল্পে প্রথম হয়েছে রাজ্য। তারপরেও কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০১১ সালের আর্থ সামাজিক জাতি সমীক্ষার পর বাংলায় ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০৮টি পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার। এই প্রকল্পে রাজ্যের তহবিলে ১৩৩৮ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। গত ২৪ মার্চেও আবাস যোজনার জন্য ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার সব কাজ শেষ করতে এই টাকা যথেষ্ঠ। 

    কেন রাজ্য সরকার ম্যাচিং গ্রান্টসহ উপভোক্তাদের টাকা পাঠাচ্ছে না সেই প্রশ্নও তুলেছে কেন্দ্রীয় কর্তারা। তবে ২০২১-২২ সাল থেকে আবাস-প্লাস (Awaas+) নামে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেও আরও অন্তত ১০-১২ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি হবে। কিন্তু ন্যাশনাল লেভেল মনিটররা রাজ্যে এসে এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়েছেন। কাটমানি খাওয়া, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার তাদের বাড়ি দেওয়া, রাজনৈতিক রং দেখে বাড়ি দেওয়া এবং পর্বত প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে দেখা যায় নাম বদলে দেওয়ার ঘটনাও।

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ২২ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল দুটি ডিও লেটার লিখে প্রকল্পের অনিয়মের ব্যাপারে ১ মে-র মধ্যে জবাব চেয়েছিলেন। তার কোনও জবাব দেয়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Ministry of Finance) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল হলে তার টাকা না দেওয়ার কথাও রাজ্যগুলিকে জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও নবান্ন (Nabanna) কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও (Ministry of Urban Development) জানিয়ে দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা বদলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করলে তবেই মিলবে গ্রামে পাকা বাড়ির তৈরির বরাদ্দ।

  • Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোড়ায় গলদ। তাই তাল কাটল শুরুতেই। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি (BJP)-বিরোধী বৈঠকে হাজিরই হলেন না আম আদমি পার্টির (AAP) কেউ। আসেননি টিআরএসের (TRS) কেউও। গরহাজির ছিল শিরোমণি অকালি দলও (SAD)। বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র তরফেও কেউ উপস্থিত হননি বৈঠকে। তার পরেও অবশ্য বৈঠক হয়েছে। তবে হয়েছে বিতর্কও। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই হয় অশান্তি। বিরোধী দলগুলি সাফ জানিয়ে দেয়, বৈঠক হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls) নিয়ে। সেখানে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব কেন?

    আরও পড়ুন : হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এককাট্টা করতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বুধবার বৈঠক ডাকেন মমতা। চিঠি দেওয়া হয়েছিল ২২ জন বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া (Sonia) গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আশ্বাস দিলেও, শেষ মুহূর্তে কেজরিওয়াল হাজির হননি বৈঠকে। কংগ্রেস থাকায় বৈঠকে গরহাজির ছিল টিআরএস এবং শিরোমণি দলও। আসেনি বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র কেউও। 

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। তবে সে চেষ্টা যে বিষম কঠিন, এদিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠকের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাতে উদ্যোগী হন মমতা। তবে তাঁর সে চেষ্টাও বৃথা যায়। কারণ উপস্থিত নেতারা জানিয়ে দেন, বৈঠকের মূল বিষয় যেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সেখানে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    এদিকে, বিরোধী শিবিরে রাষ্ট্রপতি পদে তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তিনি নেই। তাঁকে এখনও রাজি করানোর চেষ্টা চলছে বলছে সূত্রের খবর। তিনি নিতান্তই রাজি না হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী (Gopal Krishna Gandhi) ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) নাম বিবেচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।

  • Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীদের একজোট করার প্রচেষ্টায় বৈঠককে অপ্রাসঙ্গিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতকসহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপন্ড করেছেন। সেই কারণে বিধানসভার বাইরে ধর্না দেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, “ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই। জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না।”

    রাজ্য থেকে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীই বেশি ভোট পাবেন বলে নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতবার বিজেপির ৩ বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ ১৩ জনের ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। গতবার ২ সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত ১৮ জনের ভোট ঝুলিতে আসবে। সংখ্যাটা ১৮-র বেশিও হতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন সবাইকে লাড্ডু খাওয়াব।”

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    তৃণমূলনেত্রীর প্রচেষ্টাকে ‘বিগ জিরো’ বলেও এদিন কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।  বলেন,”উনি ১০ বছর ধরে দেশের নেত্রী হওয়ার বৃথা চেষ্টা করছেন।”  

    কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা নিয়েও এদিন মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু। প্রশ্ন করেন “স্টিকার লাগানোর ব্যবসা কতদিন চালাবেন?”
    হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লিখতে হবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে। আগে লিখতে হবে ‘জলজীবন মিশন’, তারপর পুলক রায় টাকা পাবেন। রাজ্যের দেওয়া নাম ‘জলস্বপ্ন’-এ টাকা দেওয়া হবে না।” 

    আরও পড়ুন: বিরোধীহীন অধিবেশন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এছাড়া এদিন আর্থিক তছ্রুপের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসেব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর একটা নারকেল গাছ কেনে ৪২ টাকা দিয়ে। আর কিষাণ কল্যাণী ফার্ম আড়াইশো টাকা করে ৩২ কোটি টাকার নারকেল গাছ সরবরাহ করেছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। পরে আর্থিক  তছরুপের তদন্ত হবে।”     

     

  • Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া যাওয়ার আগে গ্রেফতার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার। 

    [tw]


    [/tw]

    গতকাল হাওড়ায় বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির  (BJP State President)। সকালে, নিউটাউনের বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। জোর করে বেরনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। 

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সেই গার্ড রেল ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কির পর বাড়ি থেকে বেরোন সুকান্ত মজুমদার। এসএসকেএমের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপিরাজ্য সভাপতির গাড়ি। গাড়ি আটকানোয় রাস্তায় হাঁটতে থাকেন সুকান্ত। পরে গাড়িতে করে হাওড়া যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে যখন আসেন, তখন গ্রেফতার করা হয় সুকান্ত মজুমদারক। এর পর লালবাজারে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। হাওড়া সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া হিংসায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে হিংসার পরামর্শ মমতা দেওয়ার পরই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    এদিকে, সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি। অগ্নিমিত্রা পাল সহ দুই বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করে গেরুয়া শিবির। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় প্রতিবাদীদের। ধর্মতলায় ডিসি সেন্ট্রালের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জে বিক্ষোভ, কোচবিহারেও রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

  • Mamata Banerjee: “দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম”, জেলাশাসককে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    Mamata Banerjee: “দলের লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম”, জেলাশাসককে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভরা প্রশাসনিক সভায় জেলাশাসককে ‘টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম’ বলে মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমন বেনজির আক্রমণের ও অসৌজন্যতার সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। প্রকাশ্য সভায় একজন আইএএস অফিসার, পদস্থ আধিকারিকের উদ্দেশ্যে মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরণের ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী (chief minister) হওয়ার পর তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুরুলিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক (Purulia administrative meet) ছিল। সেখানেই ঘটে যায় এই অনভিপ্রেত ঘটনা। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলায় ইটভাটা থেকে আদায় হওয়া রাজস্ব গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এক তৃণমূল নেতা। জানান, কয়েকজনের পকেটে ঢোকে সেই টাকা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে বলেন, ‘ডিএম, শুনতে পাচ্ছো? এগুলো তৃণমূল করেনি। করেছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা। নিজেরাই টাকাটা খেয়ে নেয়। কী জেলা চালাচ্ছো তুমি? এতদিন জেলায় আছো। তোমার সম্পর্কে আমার ধারণাই বদলে গেল।’

    এরপরই জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এত কিছু দিচ্ছি। তবু কয়েকজন কেন এত লোভি হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সব সময় শাসন করি।’ স্বাভাবিকভাবেই, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এধরনের কথা আশা করেননি, ফলে বেশ জড়সড় হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। কেন তিনি নীচু তলার কর্মীদের এ ধরনের আচরণ কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, সে প্রশ্নও এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে শুনতে হয়েছে জেলাশাসককে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের নিন্দা করে রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন জেলা শাসক, অবশ্যই আইএএস। তাঁকে প্রকাশ্য সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার দলের হলে টেনে এক থাপ্পড় মারতাম। এই না হলে মুখ্যমন্ত্রী! মুখ্যসচিব বা মুখ্যপরামর্শদাতা কি অপেক্ষা করছেন দুই থাপ্পড়ের অপেক্ষায়? হায় রে আত্মমর্যাদা বোধ! গুন্ডারানিকে এত ভয়?’

  • Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন হাজরা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর নগদ টাকা, সোনা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এর পরেই  চোর ধর, জেল ভর কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। শনিবার সেই কর্মসূচি পালন করতে গেলেই গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে।

    এদিনের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা শাখা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে হাজির হন সুকান্ত। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে ধরে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড়ও করতে শুরু করে। সুকান্তের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। আটক করা হয় সুকান্তকে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মমতা সরকারের মন্ত্রী, নেতাদের দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে। প্রশাসন ও শাসক দল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ফলে আন্দোলন করলেই গ্রেফতার বা আটক করা হচ্ছে। পুলিশ শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে। কিন্তু এতে সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না। সুকান্তের অভিযোগ, মহিলা পুলিশরাও গায়ে হাত দিয়েছেন তাঁর।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৫০ কোটি নগদ সহ বহুমূল্যের সোনা, রুপো, স্থাবর সম্পত্তির দলিল। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁর দল তৃণমূল। সাসপেন্ড করা হয়েছে দলীয় সব পদ থেকেও। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির প্রতিবাদেই সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই ‘হেনস্থা’র শিকার হন সুকান্ত।

    এদিকে, সুকান্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভানেত্রী সংঘমিত্রা চৌধুরীকেও আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি,  যেখানে বিজেপির কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল, সেখান থেকে সামান্য দূরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি। এলাকাটি হাই সিকিউরিটি জোন। তাই আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিক্ষোভরত বিজেপি নেতাকর্মীদের।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

LinkedIn
Share