Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনা নিয়ে উত্তাল সারা রাজ্য। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আগুন। মেয়েরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ এবং নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে ১৪ অগাস্ট রাতে বাংলা জুড়ে পথে নেমেছিলেন মেয়েরা। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামে ফের শুক্রবার রাতে হাতে মোমবাতি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ সামিল হলেন মহিলারা। এদিন মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় রাত দশটা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অসংখ্য মা-বোনেরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি (North 24 Parganas)

    এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মধ্যমগ্রাম (North 24 Parganas) ট্র্যাফিক মোড়ে ভিড় জমতে শুরু করে। রাত ৯টা থেকে মধ্যমগ্রাম ও আশপাশের অঞ্চলের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রথমে তাঁদের প্রতিবাদী শিল্পকলার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন। রাত ১১টার মধ্যে গোটা এলাকা চলে যায় মেয়েদের দখলে। মোমবাতি, মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে গান, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে সরব হয় হাজারো প্রতিবাদী কণ্ঠ। মানুষের ভিড়ে রোড কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মধ্যমগ্রাম ট্র্যাফিক মোড়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহিলাদের পাশাপাশি অসংখ্য যুবকের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিল থেকে একটাই দাবি ওঠে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, একজনের পক্ষে কখনও এই কাজ করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    সকল অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি

    নিহত চিকিৎসকের (North 24 Parganas) হয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রথম কোর্টে যিনি মামলা করেছিলেন, সেই মহিলা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যকে এদিনের এই প্রতিবাদী সভায় দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরাই সিবিআই চেয়ে কোর্টে মামলা করেছিলাম। আদালতের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তারা যেন অবিলম্বে শাস্তি পায় এবং সব থেকে আগে চাইব যারা যারা এই ঘটনায় ধরা পড়ছে তাদের যেন ডিএনএ টেস্ট হয়। এই ঘটনাটি একদিনে হতে পারে না। আর এর সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছে। আইনগত দিক থেকে যতটা যা করার আমরা তা করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: পোস্ট ডিলিটের ‘হুমকি’! নেটিজেনদের নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ, সরব বিজেপি

    RG Kar Incident: পোস্ট ডিলিটের ‘হুমকি’! নেটিজেনদের নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) রাজ্যজুড়ে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। বুধবার রাতে রাস্তায় নেমেছিলেন মহিলারা। শনিবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আইএমএ। আর লাগাতার এই আন্দোলনে চরম ব্যাকফুটে শাসকদল তৃণমূল। আন্দোলনেও সামিল হয়েছে নেটিজেনরা। সমাজ মাধ্যমে আরজি করকে সামনে রেখে একের পর এক জ্বালাময়ী পোস্ট তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। তাই, নেটিজেনদের মুখ বন্ধ করতে আসরে নেমেছে মমতার পুলিশ (Kolkata Police)। এমনিতেই রাজধানীর বুকে ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর থেকে তথ্য লোপাট করতেই ব্যস্ত ছিল পুলিশ। যতদিন পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে ছিল মূল অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্টে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে করা পোস্ট ডিলিট করতে তারা বাড়ি বাড়ি ছুটছে। এমনই অভিযোগ নেটিজেনদের। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

    লেখক শেফালি বৈদ্যকে হুমকি চিঠি পুলিশের! 

    বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘পোস্ট ডিলিট করে দিন। আর ভবিষ্যতে এরকম কাজ থেকে বিরত থাকবেন। সেটা মেনে না চললে আইনের নির্দিষ্ট ধারার আওতায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে (RG Kar Incident)। এমন কয়েকজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাঁরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করেছিলেন। লেখক শেফালি বৈদ্য অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে স্রেফ কয়েকটি প্রশ্ন করার জন্য কলকাতা পুলিশের থেকে হুমকি (Kolkata Police) দেওয়া চিঠি পেলাম। কলকাতা পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর যে দমিয়ে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেটার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটা।’’

    দুষ্কর্মের টাকার যেত তৃণমূল নেতাদের পকেটে!

    সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের নির্দেশে ‘ভয়’ পেয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন না। বরং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Incident) এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা হয়েছে, তারপর নিজের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পোস্ট মুছে দিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি। দেবায়ন সেন নামে এক ব্যক্তিকে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। যে পোস্টটি ডিলিট করতে বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাতে দেবায়নবাবু লিখেছেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যা প্রকাশিত হয়নি, নিহত চিকিৎসক আরজি কর মেডিক্যালে ড্রাগ, যৌন, ওষুধ ও অঙ্গ পাচার চক্রের ব্যাপারে জেনে ফেলেছিলেন। যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল। এই সব দুষ্কর্মের টাকার একাংশ তৃণমূল নেতাদের পকেটে যেত। এখন সঞ্জয় রায়কে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    কী বললেন সুকান্ত?

    সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট (RG Kar Incident) ডিলিট করতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছেন নোটিশ প্রাপকরা। শুক্রবার এক পোস্টে সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘নোটিশ পাঠিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের পুলিশ। যারা সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁদের প্রতি: আমরা তৃণমূলের পুলিশের হুমকিতে ভয় পাই না। আমরা লক্ষ্যে অবিচল অটল দৃঢ়তায় ন্যায়ের লক্ষ্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বাক স্বাধীনতা হরণ করতে কলকাতা পুলিশ নোটিশ পাঠিয়ে যাক।’’ সুকান্তবাবু তাঁর পোস্টে ৩ জনকে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার পাঠানো নোটিশ প্রকাশ করেছেন। সাইবার ক্রাইম থানার ডেপুটি কমিশনারের তরফে নোটিশগুলি প্রকাশ করা হয়েছে। পোস্ট ডিলিট না করলে তা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ গণ্য হবে বলে পুলিশের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে (RG Kar Incident)।

    To everyone demanding justice for #BengalDoctor :

    We will not be intimidated by TMC police. Our resolve remains unshaken. We will continue to fight for justice with unwavering determination.

    Let TMC police issue notices in an attempt to stifle free speech. pic.twitter.com/6MgYO1YiGx

    আক্রমণ শানিয়েছেন অমিত মালব্য

    এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের ভয় দেখানোর পরিবর্তে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে (RG Kar Incident) যদি মনোনিবেশ করত কলকাতা পুলিশ, তাহলে কাজে দিত। কলকাতা পুলিশ এবং তাদের মধ্যরাতের ছলচাতুরি কোনওদিন শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। রাত ১ টা ৩৭ মিনিটে লোকজনকে পোস্ট ডিলিট করতে বলছে। হাস্যকর।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি কর ইস্যুতে মমতার পদত্যাগের দাবি, নবান্ন অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    RG Kar Rape-Murder: আরজি কর ইস্যুতে মমতার পদত্যাগের দাবি, নবান্ন অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার চেয়ে আরও তীব্র আন্দোলনের পথে নামলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিক্ষোভ-ধর্না কর্মসূচি পালন করেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও এই রাজ্যের কোনও মা-বোন সুরক্ষিত নন। তাই মমতার অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (RG Kar Rape-Murder)?

    বিধানসভার সামনে বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আগামী সপ্তাহে নবান্ন, রাজভবন এবং স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে যাবো। এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকবে। স্বাস্থ্য এবং পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবিতে আমাদের কর্মকাণ্ড থাকবে।” বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বিজেপির মহিলা কর্মীরা থাকবেন। আবার শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের (RG Kar Rape-Murder) ঘটনাকে পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা পুলিশমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।”

    কন্যাশ্রী দিবস পালনকে তোপ

    শুভেন্দু, মমতার কন্যাশ্রী দিবস পালনকে তোপ দেগে বলেন, “গোটা রাজ্যের মানুষ তথা সমগ্র দেশ আরজি কর-এর নৃশংস (RG Kar Rape-Murder) অত্যাচার ও হত্যার ঘটনার তদন্তকে বাধাদানের নিন্দায় সরব হয়েছে। ঠিক এই মুহূর্তে যখন রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশের মানুষ, আর তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জতার সীমা ছাড়িয়ে ‘কন্যাশ্রী দিবস’ উৎসব করছেন। বাংলার কন্যার উপর পাশবিক অত্যাচার ও নৃশংস হত্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মাতৃশক্তি ক্রোধে ও যন্ত্রণায়  ক্ষুব্ধ, তখন চিকেন বিরিয়ানি সহযোগে ‘কন্যাশ্রী দিবস’ উৎসব পালন একমাত্র মমতা ব্যানার্জির পক্ষেই সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রী এতোটাই নির্লজ্জ যে নন্দীগ্রামে আমার কাছে পরাজিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে রয়েছেন। ওনার এই নির্লজ্জতা সর্বজনবিদিত। লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা।”

    আরও পড়ুনঃ “রাতের দখল নাও মেয়েরা”, আজকের অভিনব কর্মসূচিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল

    মামলার তদন্তে সিবিআই

    গত শুক্রবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Rape-Murder) চারতলার সেমিনার হলে মেলে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। অভিযোগ করা হয়, তাঁকে ধর্ষণ করে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে মমতা সরকার এবং পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশে উত্তাল হয়ে উঠেছে ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন। সকলের একটাই দাবি, নির্যাতিতার জন্য ন্যায় বিচার চাই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পুলিশকে ভর্ৎসনা করে মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়েছেন। সিবিআই তদন্তভার নিতে টালা থানা থেকে নথি সংগ্রহ করে কাজ শুরু করে দিয়েছে। ধৃত সঞ্জয়কে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে জেরাও শুরু করা হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে রাজ্যে নারীদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে রাজ্যে নারীদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Issue) হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। মঙ্গলবারই তিনি মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে রাজ্যে নারীদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে।’’ এই ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    কী বললেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)?

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের একজন তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। গোটা দেশ হতবাক হয়ে গিয়েছে এই ঘটনায়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এই অমানবিক ঘটনার। আরজি কর হাসপাতালে এমন ঘটনাকে আড়াল করার জন্য অপচেষ্টাও করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্যে পরিণত হয়েছে যেখানে আইনের শাসন নেই। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে মহিলাদের ওপর নির্যাতন বেড়েই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও।’’ 

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ঘটনায় অনেক কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে 

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ঘটনায় অনেক কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (JP Nadda) এবং তিনি বলেন, ‘‘আমি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি, সিবিআই তদন্ত হবে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে এর ফলেই সত্য উদঘাটিত হবে। গত দুদিনে অজস্র ডাক্তার সংগঠন আমাদের সঙ্গে দেখা করেছে এবং তাদের আমরা আশ্বাস দিয়েছি যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করবে যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে। ’’

    আইএমএ-এর সভাপতি কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর

    প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে আইএমএ-র প্রতিনিধি দল। তারা দাবি জানিয়েছে যে প্রতিটা হাসপাতালকে যেন সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থার (RG Kar Issue) সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যাঁরা তাঁদের জন্য কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে আইএমএ। আইএম-এর প্রেসিডেন্ট আরভি অশোকান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (JP Nadda) সঙ্গে বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘আমাদের প্রধান দাবি যে হাসপাতালগুলিকে সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং সেখানে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WB BJP: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    WB BJP: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ, বুধবার কলকাতায় ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি (WB BJP)। গেরুয়া শিবিরের এই মহা মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে পৌঁছাবে আরজি কর হাসপাতালে। বেলা দুটো থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলে ব্যাপক ভিড় হবে বলেই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই একাধিক কর্মসূচি নিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিকে (WB BJP)। ঘটনার পর পরই দলের যুব ও মহিলা সংগঠন বিক্ষোভে নামে। এর পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষদের দেখা যায় কলকাতাতে মোমবাতি মিছিল করতে। মঙ্গলবারই রাজ্যের জেলায় জেলায় এই ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মহিলা মোর্চা। এরপরে বুধবারে হতে চলেছে এই ধিক্কার মিছিল। ইতিমধ্যে ধিক্কার মিছিলের বিষয়ে সমাজ মাধ্যমের পাতায় প্রচারও দেখা যাচ্ছে। দলের রাজ্য নেতারা ধিক্কার মিছিলের একাধিক পোস্টার নিজেদের ফেসবুক অথবা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। যাতে লেখা, ‘নারী বিরোধী সরকার, আর নেই দরকার’, ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’।

    বুধবার সমস্ত হাসপাতালে বহির্বিভাগ বন্ধের ডাক (RG Kar Issue)

    অন্যদিকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে বহির্বিভাগে পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে, জয়েন্ট প্যাল্টফর্ম অফ ডক্টরস। জানা গিয়েছে, বাংলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ওপিডি পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস। জরুরি পরিষেবা ছাড়াও সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত আরজি করের ওই নারকীয় ঘটনা যে স্থানে ঘটেছে, তার উল্টোদিকের ঘরে ভাঙার কাজ চলছে। বলা হয়েছে, তা নাকি বক্ষ রোগ বিভাগের সংস্কারের কাজ। এমন পরিস্থিতিতে ওই চিকিৎসক সংগঠনের সন্দেহ, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে। আর সে কারণেই বুধবার ৮ ঘণ্টার কর্ম বিরতি ঘোষণা করেছে তারা। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

    মঙ্গলবার নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক, আজ বুধবার মুখমন্ত্রীর কাছে যাবে আইএমএ প্রতিনিধি দল

    অন্যদিকে, আরজি কর (RG Kar Issue) মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ-র প্রতিনিধি দল। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি। প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেছে প্রতিনিধি দল। তারা দাবি জানিয়েছে যে প্রতিটা হাসপাতালকে যেন সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পাশাপাশি চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যাঁরা তাঁদের জন্য কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে আইএমএ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    RG Kar Medical College: ঘরে-বাইরে চাপ! তাই কি আরজি করে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে সিবিআই-তে রাজি মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সরকারি হাসপাতালে নাইট ডিউটির সময় কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকের এ হেন পরিণতিতে বিস্মিত দেশ। এই ঘটনাকে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করেছেন অনেকে। মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। দিল্লির এইমস সহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের চাপে অবশেষে গাফিলতি মেনে নিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেও রাজ্যের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বিজেপির চাপ

    যেভাবে হাসপাতালের মধ্যে অর্থাৎ নিজের কর্মস্থলে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার নৃশংস মৃত্যু হয়েছে তাতে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে এবং অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে নেমেছেন একাংশ ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকৎসকরা। নির্ভয়া কাণ্ডের চেয়েও ভয়াবহ বলে নিন্দায় সরব হয়েছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরএসএস-পন্থী চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনাল মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই বিষয়ে চিঠি লিখেছে। তারা চিকিৎসকদের জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইনের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চাও।

    সিবিআই তদন্তে রাজি মমতা

    রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়েই সব দাবি মানছে রাজ্য। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যে কোনও এজেন্সি তদন্ত করলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই, বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর  কথায়, ‘‘আমাদের (রাজ্য সরকারের) উপর আস্থা না থাকলে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’

    পড়ুয়াদের ক্ষোভ সঙ্গত

    পড়ুয়াদের ক্ষোভকেও সঙ্গত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। আশপাশে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও বলেছেন, হাসপাতালের ভিতরের বিষয় দেখভালের জন্য সুপার, প্রিন্সিপালদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনও ফাঁকফোকর ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ফাঁসির পক্ষে আমি নই। তবে কোনও কোনও ঘটনায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরকম শাস্তি দরকার, যাতে আর কেউ করার সাহস না পায়। আমি নির্দেশ দিয়েছি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলা নিয়ে গিয়ে, দরকার হলে ফাঁসির আবেদন জানানো হোক। যে কালপ্রিট এটা করেছে, তার কোনও ক্ষমা নেই।”

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার

    আরজিকরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা্ করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। আরজি কর-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল আরও বলেন, ‘‘সারা রাত তদন্ত চালানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজনে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, পরিবার অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করতে চাইলে আপত্তি নেই। আমরা সহযোগিতা করব।’’

    চিকিৎসকদের বিক্ষোভ

    আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জরুরি পরিষেবা ব্যতীত চিকিৎসকরা একের পর এক হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। কর্মবিরতি সিএন‌এমসি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন‌আর‌এস, এস‌এসকেএম‌ও। কর্মবিরতি জেলার হাসাপাতালেও। আরজি করের ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে এমার্জেন্সি পরিষেবা সচল রেখে বাকি পরিষেবার ক্ষেত্রে কর্মবিরতি ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররাও। হাসপাতালের সুপার অফিসের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: তদন্ত কমিটিতে ইন্টার্ন! আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় সিবিআই দাবি শুভেন্দুর

    জল গড়িয়েছে দিল্লিতেও

    দেশের সব ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনকে এই ঘটনার প্রতিবাদে নামার আবেদন জানিয়েছে এইমস আরডিএ। ইতিমধ্যেই তাদের তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও এই ঘটনা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তাররা। পিজিআই চণ্ডীগড়ের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও উদ্বেগপ্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই ঘটনাকে যারা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং মহিলা চিকিৎসকদের শুধুমাত্র দিনের বেলায় ডিউটি দিতে হবে। পেডিয়াট্রিক সার্জারি অ্যাসোসিয়েশন এই ঘটনাকে নির্ভয়াকাণ্ডের থেকেও নৃশংস বলে দাবি করে মহিলা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশের দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হাসপাতালে বিক্ষোভ বাড়ছে, সার্বিক ভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে তা প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    R.G. Kar Medical College: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ‘ধর্ষণ করে খুন’! মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R. G. Kar Medical College) কর্তব্যরত মহিলার চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিজেপির নেতা অমিত মালব্যর দাবি, “ধর্ষণ করে মহিলা ডাক্তারকে খুন করা হয়েছে। মমতার সরকার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে।” ইতিমধ্যে জুনিয়র ডাক্তারেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র জরুরি বিভাগেই পরিষেবা চলছে। ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং হাসপাতালের প্রশাসন কাঠগড়ায়।

    পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে! (R. G. Kar Medical College)

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে বলেন, “কলকাতার শীর্ষস্থানীয় সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিউটি ​​রুম থেকে মহিলার নগ্নদেহ উদ্ধার হয়েছে। মমতার সরকার অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছে। কলকাতা পুলিশকে ধামাচাপা দিতে বলা হয়েছে। খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমেকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।” আবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “রাজ্যের কোনও মহিলা সুরক্ষিত নয়। রাজ্যের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কলেজের (R. G. Kar Medical College) সেমিনার হলে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে।” এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতে হাসপাতালের বাইরে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিরাট বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

    মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি খুন

    চিকিৎসকের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় তাঁর মেয়ের দেহ পড়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। মহিলা বলেন, ‘‘আমার মেয়েটাকে খুন করে ফেলেছে এরা। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল দেহ। গায়ে কাপড় ছিল না। চশমাটা ভেঙে গিয়েছিল। মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। রাতে ও একাই ছিল সেমিনার হলে। ভিতরে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই।’’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    হাসপাতালের (R. G. Kar Medical College) সুপার সঞ্জয় বশিষ্ট জানিয়েছেন, মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্ত করানো হবে। তবে ইতিমধ্যে ১১ জনের সদস্য নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের সময় ভিডিওগ্রাফি করা হবে। তবে তিনি ধর্ষণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অপর দিকে গোটা ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা উপস্থিত হয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম পৌঁছে গিয়েছেন। ঘটনা কীভাবে ঘটল সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    West Bengal: মমতার ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস! পাঁচ বছরে রাজ্য পেয়েছে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

    কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যকে (West Bengal) বঞ্চনা করছে, এমন অভিযোগ তুলে প্রায়ই সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে একেবারে উল্টো কথা। দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৫.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ মোদি সরকারের তথ্য সিলমোহর দিচ্ছে মমতার মিথ্যাচার ও কেন্দ্রের উন্নয়নকেই, এমনটাই বলছে অভিজ্ঞ মহল।

    গ্রামোন্নয়নে বিপুল টাকা! (West Bengal)

    পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, খাদ্যে ৮০ হাজার কোটি টাকা এবং সারের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় ভর্তুকিতে উপকৃত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী (West Bengal)। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যাচ্ছে, বিগত ৫ বছরে ৯৩ হাজার ১৭১ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ উন্নয়নে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে দিয়েছে ১১,৭৯২ কোটি টাকা, যা একটি অর্থবর্ষে দেওয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ। উল্লেখ্য, গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবারই সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর পাশাপাশি স্বচ্ছ ভারত মিশনে বিগত পাঁচ বছরে দেওয়া হয়েছে ২,১৫১ কোটি টাকা। নগর উন্নয়নে দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। শুধুমাত্র শহরের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ঘরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫৯টি। 

    জনজাতি উন্নয়ন

    পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী জনজাতিদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র বিগত ৬ বছরে বাংলাকে দিয়েছে ৮৩৪ কোটি টাকা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতি পড়ুয়াদের বৃত্তি প্রদান করেছে ২১ কোটি টাকারও বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃত স্টার্ট আপ বিগত ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে, ৪ হাজার ২৬টি, এর মধ্যে মহিলা পরিচালিত স্টার্ট আপের সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ৪১৫ কোটি টাকা।

    স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও ঢেলে অনুদান  

    স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত পাঁচ বছরে ইএসআইসি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আয়ুষ্মান যোজনার অধীনে হেলথ অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে ৩.২৪ কোটি। প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি প্রকল্পের মাধ্যমে অতি সুলভে উন্নতমানের ঔষধ প্রদানের কাজ চলছে বাংলায়। রাজ্যে এমন জন ঔষধি দোকান রয়েছে ৩৫৯টি। এই জন ঔষধির মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের সাশ্রয় হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে ১,১৪৬ কোটি টাকা। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে অবস্থিত এইম্‌সটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে কেন্দ্রের অনুমোদিত কর্মসূচি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ১১টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বীরভূম (রামপুরহাট), কোচবিহার, ডায়মন্ড হারবার, পুরুলিয়া এবং রায়গঞ্জে (উত্তর দিনাজপুর)। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই কলেজগুলি হবে বারাসত, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ, ঝাড়গ্রাম এবং তমলুকে।

    বিপুল অর্থ কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে

    কৃষি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে তিরিশ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি শুধুমাত্র সারে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৮,৪৯২ কোটি টাকা মোদি সরকার রাজ্যকে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার অধীনে। এর পাশাপাশিকিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা মূল্যের ঋণ ধার্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্পদ যোজনায় ২৩০ কোটি টাকার সহায়ক অনুদান দেওয়া হয়েছে। বিগত ৬ বছরে ২৮৩ কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছে মোদি সরকার পশপালন ক্ষেত্রের উন্নয়নে। এর পাশাপাশি নীল বিপ্লব ও প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনায় ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    নারীশক্তির উন্নয়নে বিপুল টাকা

    নারীশক্তি উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গকে বিপুল অনুদান দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত ৬ বছরে নারীশক্তির বিকাশে পশ্চিমবঙ্গকে মোদি সরকার দিয়েছে ৫,৭৪৪ কোটি টাকা। ১৭১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে মিশন বাৎসল্য যোজনায়। অন্যদিকে মিশন সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি যোজনায় বাংলা পেয়েছ ৫,২৩৯ কোটি টাকা। মিশন শক্তি যোজনায় কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা। জল জীবন মিশনের দ্বারা প্রতি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পে বিগত ছয় বছরে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ১৯,৫৯৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে রাজ্য থেকে ১৪ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে অটল পেনশন যোজনায় যুক্ত হয়েছেন ৪৮ লাখেরও বেশি মানুষ।

    ৭ লাখেরও বেশি আবেদন বিশ্বকর্মা যোজনায়, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেলুর মঠেও

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদনপত্র সংগৃহীত হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪টি, যার মধ্যে মহিলা আবেদনকারী সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৫৩০ জন। কেন্দ্রীয় সরকারের স্ফূর্তি যোজনায় ১৯টি নির্বাচিত গোষ্ঠী পেয়েছে ৪৫.৪৫ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সহায়তা। এর পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানের উন্নতিতেও নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেলুড় মঠের উন্নয়ন প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০.০৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ‘ইন্ট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের জীবনের মানোন্নয়ন, উন্নয়ন পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও

    উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে রাজ্যকে দিয়েছে ৬৭.৯ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা বাড়ানো হবে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যকে বিপুল অর্থ বরাদ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫,৬৭৫ কোটি টাকা। ২,২১৬ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ভারতমালা পরিযোজনায় বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা এবং খড়্গপুর-শিলিগুড়ি গ্রিনফিল্ড করিডর নির্মিত হচ্ছে। ভারতমালা পরিযোজনার প্রথম পর্যায়ের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) আনুমানিক ৩২,৯৩৭ কোটি টাকার মূলধনী ব্যয়ে ৮৭৪ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ অনুমোদন করা হয়েছে। রেলওয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯,৪৮৩ কোটি টাকা।

    সাগরমালা প্রকল্পে ১৬,৩০০ কোটি টাকা

    সাগরমালা প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে ১৬,৩০০ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের সামুদ্রিক পরিকাঠামো নির্মাণেও বিপুল টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে ৫৫৪৫.১ কোটি টাকা মূল্যের ৩৯টি প্রকল্পের কাজ চলছে সামুদ্রিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে। এর মধ্যে রয়েছে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত জাতীয় জলপথ তৈরি করার প্রকল্পও। যার দৈর্ঘ্য হল ১,৩৯০ কিলোমিটার। পণ্য সম্ভার পরিবহণে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরেরও ক্ষমতা বেড়েছে। অন্যদিকে ৩৭৪.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ফরাক্কায় নতুন নেভিগেশন লক গেট-এর উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

    ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও শিক্ষার উন্নয়নেও বিপুল টাকা

    রাজ্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণেও ব্যাপক জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত পাঁচ বছরে ৫৮.১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে গুরু-শিষ্য পরম্পরা প্রচারের ক্ষেত্রে। অন্যদিকে ৩৪.৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থাকে। বিজ্ঞানের প্রচারের জন্য ১৫.৬২ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র। রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে প্রদান করা হয়েছে ৫.০৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তরুণ শিল্পীদের বৃত্তি দেওয়া হয়েছে ৩.০৯ কোটি টাকা। বারাকপুরে গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়ের উন্নতি প্রকল্পে প্রদান করা হয়েছে ১৬.৩২ লাখ টাকা। শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৬৪৯ কোটি টাকা কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়েছে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে। তফসিলি পড়ুয়াদের ৬৯ লাখ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ১,৯১৬ কোটি টাকা।

    এতকিছুর পরেও মমতা বলছেন, রাজ্য বঞ্চিত!!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘এটা তূণমূলেরও ভবিষ্যৎ’’,  বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘এটা তূণমূলেরও ভবিষ্যৎ’’, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলেতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপির প্রবীণ এই নেতার দাবি, বাংলাদেশে এখন যারা অরাজকতা করছে, হিংসা চালাচ্ছে, তাদেরই মতো একদল ভারতে ঢুকে সিএএ পাস হওয়ার পর দিকে দিকে আগুন জ্বালিয়েছিল। লুট করেছিল। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে তারাই পশ্চিমবঙ্গের একাংশ দখল করে রেখেছে। বুধবার সকালে দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঘের পিঠে চড়েছেন। যেদিন নামবেন সেদিন সবার আগে ওনার ঘাড় মটকাবে। 

    তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি

    দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন,  ‘বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) যারা নৈরাজ্য চালাচ্ছে, তারাই ভোটের পরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিল।’ তাঁর দাবি, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে ভোট পরবর্তী হিংসা চালিয়েছিল এরাই। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করেছিল, খুন করেছিল। এদের মতোই লোকজন বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপর তৃণমূলের হয়ে হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি দিলীপের। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বললেন, ‘এরাই এখানে তৃণমূলকে দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ভাবছেন, এরা তাঁর পক্ষেই আছে, তাই মুখ বন্ধ রেখেছেন।’ দিলীপের সাবধানবাণী, ‘এক দিদি গিয়েছেন, আরেক দিদি হয়ত সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন। তৃণমূল ভবিষ্যৎ দেখে রাখুক, এই আগুন থেকে তারাও বাঁচবে না।’  

    আরও পড়ুন: কোনও দেশেই আশ্রয় চাননি হাসিনা, দাবি পুত্র জয়ের! ভারতেই থাকবেন?

    প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, এটা তার প্রমাণ। কিছু গণ্ডগোল হলেই ওখানে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার হয়। তারা পালিয়ে আসেন। আবার সেটা হচ্ছে। কিন্তু তাদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে।’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষের মত, ‘যারা সমাজ বিরোধী তারা কোনও দলের নয়। না হলে, তারা কী করে সংসদ ভবন লুট করতে পারে? প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি লুট করতে পারে? সেগুলো তো সব দেশেরই জিনিস।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    Dengue: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকার কেন ডেঙ্গির (Dengue) তথ্য লুকিয়ে রাখে? মঙ্গলবার রাজ্যসভায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। তাঁর প্রশ্নে এই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির এই সর্বভারতীয় সভাপতি। উল্লেখ্য, মমতার সরকারের বিরুদ্ধে করোনা কাল থেকেই সংক্রমণ রোগ বা মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঠিক কী বলেন জেপি নাড্ডা (Dengue)?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা আজ রাজ্যসভায় বাংলার সরকারের ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলা নিয়ে বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না? তথ্য গোপন করার কী আছে? আমি রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাই। তবে এই প্রশ্ন তোলার মধ্যে আমার কোনও রাজনৈতিক অভিপ্রায় নেই। সব পক্ষের কথা শোনার ধৈর্য এবং বলবার অবসর থাকা একান্ত প্রয়োজন।” এই বক্তব্যের ভিডিও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।

    ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের বৈঠক

    বর্ষার মরসুমে প্রত্যেক বছরই ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা যায়। রাজ্য সরকার প্রতিবছর ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড সহ একাধিক রোগের সঠিক তথ্যে কেন্দ্রকে যে পাঠায় না, সেই বিষয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বরাও সরব হয়েছেন। এদিকে রাজ্যে লাগাতার বর্ষণের ফলে বর্ষায় জল জমে একাধিক জেলায় ডেঙ্গি প্রকোপ মারাত্মক আকার নিয়েছে। কলকাতায়ও অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। একাধিক জেলা সহ কলকাতায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। রাজ্যের পুরসভাগুলির বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামী ৮ অগাস্ট ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যান এবং দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। একই ভাবে এই বৈঠকে থাকবেন কলকাতা স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলা এবং মহাকুমা শাসক, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ষার জমা জল এবং নিকাশি ব্যবস্থার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share