Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Waqf Act: “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে দেশ ভাগ হবে”, হুমকি রাশিদির

    Waqf Act: “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে দেশ ভাগ হবে”, হুমকি রাশিদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর রেখে যাওয়া ‘গ্যাঁজ’ উপড়ে ফেলতে সচেষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ আইন (Waqf Act) ১৯৯৫ সংশোধন করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। আর তার পরেই হুমকি ধেয়ে এল মওলানা সাজিদ রশিদির দিক থেকে (Maulana Sajid Rashidi)। তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে ভারতকে আর একটি বিভাজনের সম্মুখীন হতে হবে।” অবশ্য এই প্রথম নয়, রাশিদি মাঝেমধ্যেই হুমকি দেন ভারত ও হিন্দুদের।

    ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন (Waqf Act)

    ১৯৫৪ সালে ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন করে নেহরু সরকার। পরে সেই আইন বার দুয়েক সংশোধন করা হয়। শেষবার সংশোধনী আনা হয় ১৯৯৫ সালে। সেটাই ফের সংশোধন করতে সোমবারই লোকসভায় পেশ হয়েছে বিল। এই বিলে চল্লিশটিরও বেশি বদল আনা হয়েছে। ২ অগাস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার পরে বিলটি পেশ হয় লোকসভায়। এতদিন যে কোনও জমিকে ওয়াকফ বোর্ড তাদের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করতে পারত। নয়া বিলে ওয়াকফ বোর্ডের এই ক্ষমতাই সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটাই গাত্রদাহের কারণ মওলানা সাহেবের। সেই কারণেই দেশে যাতে অশান্তির আগুন জ্বলে, তাতে ইন্ধন জোগাতে শুরু করেছেন তিনি।

    মওলানার হুমকি

    চাকরিতে সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ভারতের জনসংখ্যারও একটা বড় অংশ মুসলমান। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই হুমকি দেওয়ার জন্য এই ‘সন্ধিক্ষণ’-টিকেই বেছে নিয়েছেন রাশিদি। রাশিদি অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। বিলের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এবার মুসলমানরা রাস্তায় নামবে। তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করবে।” বিল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিদি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকেও। তিনি বলেন, “একের পর এক বিভাজনমূলক ইস্যু এনে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে চাইছে বিজেপি। রাম মন্দিরের পর তারা কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বনাম জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ও শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ভার্সেস মথুরার ইদগাহের মতো নয়া বিভাজনমূলক সমস্যা খুঁজে পেয়েছে।” এর পরেই হুমকির সুরে এই মওলানা বলেন, “কৃষকরা যেভাবে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে তিনটি আইন বাতিল করেছে, একইভাবে এখন মুসলমানরাও রাজপথে নামবে। লড়াই করবে তাদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য।”

    বিজেপিকে নিশানা

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমান সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য সরকার সাংবিধানিকভাবে মুসলমানদের ওয়াকফের অধিকার দিয়েছে।” ফের একবার হুমকির সুরে রাশিদি বলেন, “এই মুহূর্তে মুসলমানরা নীরব। আমাদের সম্পত্তির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানাধীন। মুসলমানরা যদি তাদের অধিকার দাবি করতে শুরু করে, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। তাই উদ্বেগে প্রশাসন।” অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেবলই মুসলমানদের টার্গেট করছে। সেই রকমই বিল আনছে।” তিনি বলেন, “যে হিন্দুরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও ভাবতে হবে এই সরকার তাঁদের জন্যই বা কী করেছেন।” মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে এই সরকার উচ্চবাচ্য করে না বলেও দাবি রাশিদির।

    মওলানার গুণপনার শেষ কই!

    মওলানা সাহেবের (Maulana Sajid Rashidi) গুণপনার শেষ নেই! এমন হুমকি এই প্রথম নয়, তিনি আগেও দিয়েছেন। অযোধ্যায় রাম মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য (Waqf Act) মুসলমানদের উসকানি দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল ২০২০ সালের অগাস্টে। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের একদিন পর তিনি বলেছিলেন, “অযোধ্যায় যে রাম মন্দির এখনও তৈরি হয়নি, তা ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হবে মসজিদ।” বিতর্কিত এই মন্তব্যের দু’বছর পরে রশিদি ফের বেফাঁস মন্তব্য করেন ২০২২ সালে। উত্তরাখণ্ড সরকার সে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে আধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই মওলানা সাহেব বলেছিলেন, “প্রত্যেক রাজ্যে একটি করে মাদ্রাসা বোর্ড রয়েছে। মাদ্রাসাগুলি সরকারের অধীন। এই মাদ্রাসাগুলিতে সরকার ড্রেস কোড দিতে পারে, সিনেমা কিংবা গানও চালাতে পারে, যা খুশি তাই করতে পারে। কেউ তাদের বাধা দিতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    এরপর তিনি বলেন, “তবে আপনাকে প্রাইভেট মাদ্রাসায় কিছু করতে দেব না। ভারতীয় মুসলমানরা প্রাইভেট মাদ্রাসা থেকে ৪ শতাংশ শিশুকে ধরে রেখেছেন মৌলভী ও মওলানা হওয়ার জন্য। তাই যদি তারা সেইসব মাদ্রাসায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে, তবে সব ভারতীয় মুসলমান এর বিরোধিতা করবে। আমরা এই প্রাইভেট মাদ্রাসায় হস্তক্ষেপ করতে দেব না।” রাশিদি বলেন, “আমরা কখনওই সরকারের কাছ থেকে কিছু নিই না। আমাদের কারও কাছ থেকে কিছু নেওয়ার দরকারও নেই।…সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাগুলিতে যা খুশি তাই করুন। তবে প্রাইভেট মাদ্রাসাগুলিকে স্পর্শ করবেন না।” তাঁর (Maulana Sajid Rashidi) হুমকি, “ভারত আগুনে পুড়ে যাবে।” ২০২২ সালেই ফের একবার ভারতীয় মুসলমানদের ওসকানোর চেষ্টা করেছিলেন রাশিদি। এই বছর রাজ্যের সাড়ে ৭ হাজার অস্বীকৃত মাদ্রাসায় সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। তখন মওলানা সাহেব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, “রাজ্যের তরফে যাঁরা সমীক্ষা করতে যাবেন, তাঁদের চপ্পল এবং জুতো দিয়ে স্বাগত জানান। ২০০৯ সালের আইন দিয়ে তাঁদের মারধর করুন।”

    কাঠগড়ায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিদির এই মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন প্রশয়। এই দুই রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিরন্তর করে চলেছে তোষণের রাজনীতি। কেন্দ্রে কংগ্রেস জমানায় এবং বাংলায় তৃণমূল জমানায় প্রকাশ্যে মুসলমান তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে। ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন করে যে বিষবৃক্ষের বীজ পুঁতেছিলেন নেহরু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিণত হয়েছে মহীরুহে। বস্তুত মুসলিম তোষণ করেই দশকের পর দশক ধরে দিল্লিশ্বর সেজে বসেছিল কংগ্রেস। উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামিয়েছিলেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কান্ডারি নরেন্দ্র মোদি। তার জেরেই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার।

    কংগ্রেস-তৃণমূল

    কেন্দ্রে যেমন তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেস, তেমনি মুলমান সেন্টিমেন্টে নিরন্তর সুড়সুড়ি দিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। ইমামদের ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। মুসলমানদের স্বার্থে যাতে ঘা না লাগে, তাই রামনবমীর মিছিলে মুসলিমরা হামলা চালালেও, সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। কংগ্রেস এবং তার ‘নাড়ি ছেঁড়া ধন’ তৃণমূলের এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে একদিকে যেমন বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে মুসলমানদের, তেমনি সাহস বাড়ছে রাশিদির (Maulana Sajid Rashidi) মতো মানুষদের।

    মোদি সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত মওলানার

    রাশিদি যখন ভারতীয় মুসলমানদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন, তখন মোদি সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিয়া আলেম মওলানা ইয়াসুব আব্বাস। ওয়াকফ অ্যাক্টের সংশোধনীগুলিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আইনের পরিবর্তনগুলি ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনবে। প্রবর্তন করবে জবাবদিহির। দুর্নীতির অবসানও ঘটবে। এবং এই জাতীয় সম্পত্তির আয় বাড়বে।” ইয়াসুব আব্বাস সাহেবের কথায় স্পষ্ট, ওয়াকফ সম্পত্তিতে দুর্নীতি হয় এবং তার অবসানও ঘটানো প্রয়োজন। সেই চেষ্টাই করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এহেন আবহে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে মুসলমানদের খেপিয়ে তুলছে চাইছেন রাশিদি! যার বিপদ সম্পর্কে হয় তিনি জানেন না, নয়তো না জানার ভান করে রয়েছেন।

    কথায় বলে, শহরে আগুন লাগলে পিরের বাড়িও বাদ যায় না (Waqf Act)। অতএব, আগুন নিয়ে না খেলাই ভালো, তাই নয় কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: নথি জাল করে রামকৃষ্ণ আশ্রমের ১৪০ কোটির জমি দখল ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ জমি মাফিয়াদের

    Siliguri: নথি জাল করে রামকৃষ্ণ আশ্রমের ১৪০ কোটির জমি দখল ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ জমি মাফিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের একাংশের মদতেই শিলিগুড়িতে (Siliguri) জমি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেবক হাউজের পর এবার মাটিগাড়ায় রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের জমি হাতানোর অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এক বা দুবিঘা নয়, ৯.৯০ একর জমি, যার বাজার মূল্য ১৪০ কোটি টাকা। বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    জাল নথি করে মিউটেশন! (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) সাহুডাঙ্গি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের সন্ন্যাসীদের মাটিগাড়ায় উপনগরীর কাছে মাল্লাগুড়িতে ৯.৯০ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে ১০ বিঘা জমি ১৯৭৬ সালে আশ্রমের কেনা। বাকি জমি দানে পেয়েছিল আশ্রম কর্তৃপক্ষ। ওই জমিতে দাতব্য চিকিৎসালয় এবং স্কুল করার কথা ছিল। কিন্তু, এখন জমির সিংহভাগই দখল হয়ে গিয়েছে। দখলদাররা নিজেদের নামে জমির নথি তৈরি করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে জমিটির মিউটেশনের জন্য আবেদন করা হলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। যদিও সম্প্রতি আশ্রমের মহারাজরা জানতে পারেন, এরই মাঝে ওই জমির জাল নথির মাধ্যমে খতিয়ান বদলে অন্য কারও নামে জমির মালিকানা চলে গিয়েছে। জমি জবরদখল করে সেখানে গোডাউন গড়ে উঠেছে। আর এসবই জমি মাফিয়াদের হাতে ধরেই বেদখল হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (Trinamool Congress) মদতেই এসব হয়েছে বলে এলাকায় চর্চা রয়েছে। সম্প্রতি, শিলিগুড়ি পুরনিগমে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউজ  ১০০ কোটি টাকার একটি জমি দখলের অভিযোগ ওঠে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। পরে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাতারাতি জমির মিউটেশনের কাগজ মিশন কর্তৃপক্ষের হাতে গিয়ে তুলে দিয়েছিলেন খোদ মেয়র গৌতম দেব। ফের জমি হাতানোর ঘটনায় চরম বিড়ম্বনা পড়েছে শাসক দল।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    আশ্রমের মহারাজ কী বললেন?

    ওই বিপুল পরিমাণ জমি পুনরুদ্ধারের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেবকে চিঠি দেয় রামকৃষ্ণ আশ্রম কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পুরনিগম ভবনে রামকৃষ্ণ আশ্রম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র গৌতম দেব। জমি জবরদখল প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ আশ্রমের সম্পাদক স্বামী বিনয়ানন্দ মহারাজ বলেন, “আমরা আমাদের জমি উদ্ধারের জন্য মেয়রের কাছে আবেদন করেছিলাম। ওই জমি উদ্ধারে সাহায্য করার তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।”

    মেয়র কী সাফাই দিলেন?

    মেয়র গৌতম দেব তাঁর বক্তব্যের মধ্যে বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের আমলে কিছু হয়নি। সবই আগে হয়েছে। তিনি বলেন, “১৯৭৬ সালের জমি। ১৯৯০ সাল থেকে সেখানে স্থায়ী, অস্থায়ী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তৈরি হতে শুরু করে। অনেকটা জমি। তবে, জমির দলিল রামকৃষ্ণ আশ্রমের নামে রয়েছে। তাই তাঁরা নথি তৈরির জন্য আবেদন করছেন। আমরা সেসব কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: মমতার দেওয়া পুজোর অনুদানের টাকা ঢুকল তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টে!

    Titagarh: মমতার দেওয়া পুজোর অনুদানের টাকা ঢুকল তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজোয় সরকারি অনুদান দেওয়া নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি সামনে এল। সরকারি অনুদানের টাকা তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় (Titagarh) পুরসভা এলাকায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি সরব হয়েছে। এমনকী, হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধী দল।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Titagarh)

    মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পুজোর অনুদানের টাকা টিটাগড় (Titagarh) বিবেকনগর পুজো কমিটির বদলে কমিটির জেনারেল সেক্রেটারির ব্যক্তিগত কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে অভিযোগ। পুজো কমিটির সেক্রেটারির নাম দেবব্রত ভট্টাচার্য। তিনি আবার তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী ভট্টাচার্যের স্বামী। তাঁর কোম্পানির অ্যাকাউন্টে সরকারি টাকা ঢুকেছে। দেবব্রত বলেন, “কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলে জেনারেল সেক্রেটারির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ঢোকে। সেখান থেকে খরচ করা হয়। এটা সর্বজনীন। যদি প্রোটোকল না থাকত, আমাকে তো চেক দিতই না ট্রেজারি থেকে। আমাকে ম্যালাইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

    দেবব্রতর স্ত্রী কাউন্সিলর মৌসুমি ভট্টাচার্য বলেন, “যে সমস্ত পুজো কমিটির অ্যাকাউন্ট নেই, সেক্রেটারি বা কারও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা আসে। টিটাগড় থানা থেকে এবার একটা অর্ডার এসেছে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত পুজো কমিটি নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা নিত, ২০২৪ থেকে তা হবে না। পুজো কমিটির অ্যাকাউন্টেই টাকা নিতে হবে। গতবার নিয়ম ছিল। অনেকে বিষয়টার ভিতরে ঢুকছে না। ভাবছে সেক্রেটারির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, সেক্রেটারি টাকা নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু, সবটাই ভুল। সঙ্গে সঙ্গে পুজোর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    দলীয় কাউন্সিলরও সরব হয়েছেন

    কাউন্সিলর বা তাঁর স্বামী যা সাফাই দিন না কেন, তা মানতে নারাজ দলেরই একাংশ। এ প্রসঙ্গে বিবেকনগরের পুজো কমিটির সঙ্গে এক সময় যুক্ত এবং টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা প্রশান্ত চৌধুরী বলেন “আমাদের প্রতিটা পুজো কমিটির সঙ্গে দীর্ঘদিন আমি জড়িত। প্রতিটি পুজো কমিটিরই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত এই পুজোর সঙ্গেও ছিলাম। ২০২২ থেকে আমি খুব একটা জড়িত নই। যেহেতু অন্য জায়গায় কাউন্সিলর হয়েছি, সেখানে পুজো হয়। এটা কী করে হল আমার মাথায় আসছে না। একটা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে দেখলাম।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা দুর্গাপুজোর ক্লাবগুলিকে সরকারি টাকা অনুদান দেওয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই এর প্রতিবাদ করে আসছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির, একাধিকবার দাবি করেছে, দুর্গাপুজোর আড়ালে এভাবে দলের একাংশের তুষ্টিকরণ করা হচ্ছে। সেই দাবি যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ ফের একবার মিলল এদিন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘‘সরকারি অনুদানের টাকা এভাবে ব্যক্তিগত কারও অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে না। এর তদন্ত হওয়া দরকার। আমি সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেব। হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Minister: ‘জানোয়ার, বেয়াদপ’ বলে মহিলা আধিকারিককে গালি মমতার মন্ত্রীর, রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড়

    TMC Minister: ‘জানোয়ার, বেয়াদপ’ বলে মহিলা আধিকারিককে গালি মমতার মন্ত্রীর, রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মন্ত্রী (TMC Minister) অখিল গিরি (Akhil Giri) সর্বসমক্ষে বন দফতরের এক মহিলা আধিকারিককে জানোয়ার-বেয়াদব বলে গালি দিলেন। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে মমতা মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি ওই আধিকারিককে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন মমতা সরকারের মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় কোনওভাবেই অনুতপ্ত হতেও দেখা যায়নি অখিল গিরিকে (Akhil Giri)। সাধারণ মানুষজন বলছেন, ‘‘অখিল গিরির কাছে এ আবার নতুন কী? এটাই তো ওনার মুখের ভাষা! মহিলাদের নিয়ে কটূক্তি তিনি করেই থাকেন। কখনও তাঁর লক্ষ্যে থাকে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কখনও থাকে বন দফতরের আধিকারিক।’’ আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘তৃণমূলের তো এটাই সংস্কৃতি। গালিগালাজের এই রাজনীতি রাজ্যজুড়ে করে চলেছে তৃণমূল (TMC Minister)। এতে আবার নতুন কী রয়েছে।’’ আশ্চর্যজনকভাবে অখিল গিরি আবার এমন দাবিও তুলেছেন যে বন দফতরের দুর্নীতির বিষয়ে তিনি নাকি অনেক কিছুই জানেন, সেটা ফাঁস করবেন বিধানসভায়। এতেই উঠছে প্রশ্ন! মমতা মন্ত্রিসভার দফতরগুলি যদি এভাবেই নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবে কখন? এদিকে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, এই ঘটনায় দলের অন্দরে অখিলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তোলেন বলে সূত্রের খবর। তিনিও আবার ঘুরিয়ে তির ছুড়েছেন মন্ত্রিসভার সহকর্মীর দিকেই।

    ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বেলার দিকে (TMC Minister) 

    ঘটনার সূত্রপাত শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে। বন দফতরের জায়গা থেকে যে সমস্ত হকারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, সেখানে যান অখিল গিরি। সেখানেই হাজির ছিলেন কাঁথি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ সহ অন্যান্য কর্মীরা। সে সময়ে অখিল গিরি বন দফতরের ওই অফিসারকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকেন। আঙুল নাচিয়ে অখিল গিরি বলেন, “২৫ ফুট আমরা নিলাম। এর ভিতরে যদি আপনি আসেন, আপনি ফিরে যেতে পারবেন না। বেশি কথা বলবেন না আপনি একদম। এরকম জানোয়ার, বেয়াদপ রেঞ্জার আসেনি কখনও।”

    বিজেপি বলল, ওনাদের দলীয় শিক্ষা, নীরব থাকলেন ফিরহাদ 

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “অখিলবাবুকে তো বিধানসভায় দেখেছি। এটা ওনাদের দলীয় শিক্ষা। ফলে এইভাবেই ওনারা কথা বলবেন যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন।” তবে একজন মহিলা আধিকারিককে এভাবে গালিগালাজ করা যায় কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে নীরব থেকেছেন রাজ্যেরই অপর এক মন্ত্রী (TMC Minister) তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি শুধু বলেন, “আমি এটা জানি না।”  এতে কেউ কেউ বলছে নীরবতাই কি সম্মতির লক্ষণ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Minister: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    Railway Minister: মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্ঘটনা কত ছিল! পরিসংখ্যান তুলে আক্রমণ বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে ঠিক কী বলেছিলেন! সেই তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁকে তুলোধনা করলেন বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সম্প্রতি, ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে রেলমন্ত্রককে (Railway Minister) কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নিয়েই রীতিমতো তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নেন বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বৃহস্পতিবার সংসদে ট্রেন দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগের একের পর এক জবাব দিতে থাকেন তিনি। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রেন দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তিনি এই সংসদে দাঁড়িয়েই বলতেন, দেশে ট্রেন দুর্ঘটনা ০.২৪ শতাংশ থেকে কমে ০.১৯ শতাংশ হয়েছে। তখন এখানে বাকিরা হাততালি দিতেন। আর এখন, যখন দেশের ট্রেন দুর্ঘটনার পরিমাণ ০.১৯ থেকে কমে ০.০৩ শতাংশ হয়েছে, তখন তাঁরা উল্টে আমাকে দোষারোপ করছেন! এ ভাবে কি দেশ চলবে?’’

    আক্রমণ কংগ্রেসকেও (Railway Minister)

    রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেস তার দলবল নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিথ্যা দাবি করছে। এই দেশে প্রতি দিন দু’কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাঁদের সকলের মনে কি বিরোধীরা এ ভাবে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চাইছে?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁরা এখানে বেশি চিৎকার করছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করা উচিত, ৫৮ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন তাঁরা এক কিলোমিটারেও ‘স্বয়ংক্রিয় রেলসুরক্ষা’ (এটিপি) চালু করতে পারেননি?’’ চালকরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘লোকো পাইলটদের গড় কাজ এবং বিশ্রামের সময়গুলি ২০০৫ সালে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হয়। ২০১৬ সালে, কয়েকটি বিধি সংশোধন করে এবং লোকো পাইলটদের আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা রিল তৈরি করে সহানুভূতি দেখান, তাঁদের এই তথ্য জানা উচিত।’’

    বাড়ছে জেনারেল কোচের সংখ্যা

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই লোকসভায় রেলমন্ত্রী (Railway Minister) জানিয়েছেন যে মেইল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে এবার থেকে বাড়ছে জেনারেল কোচের সংখ্যা। রেলমন্ত্রী (Railway Minister) আরও জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলি জানানো হচ্ছে যাত্রীদের তরফ থেকে এবং সেই দাবিকেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে সমস্ত এক্সপ্রেস মেল ট্রেনের ক্ষেত্রে দুই-তৃতীয়াংশ জেনারেল কোচ ও এক ভাগ এসি কোচ থাকে। জেনারেল কোচের চাহিদা যে বাড়ছে সে কথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নতুন প্রায় আড়াই হাজার মতো জেনারেল কোচ তৈরি করা হবে। আগামী দিনে দশ হাজার জেনারেল কোচ তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।

     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Donation: দুর্গাপুজোয় দরাজহস্ত মমতা, কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে? মামলা হাইকোর্টে

    Durga Puja Donation: দুর্গাপুজোয় দরাজহস্ত মমতা, কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে? মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান (Durga Puja Donation) দেওয়ার ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৫,০০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনুদান। আগামী বছর থেকে দেওয়া হবে এক লক্ষ টাকা, এমনই ঘোষণা করেছেন মমতা। শুধু অনুদান নয়, ক্লাবগুলিকে বিদ্যুতেও ছাড় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। ৬৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের কর ছাড়। অনুদানের টাকা কোথা থেকে আসছে জানতে চেয়ে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে (High Court) । সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি এর আগেও মামলা করেছিলেন আদালতে। সেই মামলাতেই এবার নতুন করে আবেদন করা হল।

    অনুদান ঘিরে জনস্বার্থ মামলা (Durga Puja Donation)

    বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারের তরফে দুর্গাপুজোয় যে অনুদান দেওয়া হচ্ছে, সেই খরচ নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন সৌরভবাবু। কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর আবেদন জানানো হয়েছে। জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই (Durga Puja Donation) টাকার উৎস কি? সরকারের কোন ফান্ড  থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। ক্লাবগুলি সেই টাকা গাইডলাইন মেনে খরচ করেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা দরকার দাবি সৌরভের। যদিও এ বিষয়ে আগেও মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে (High Court)। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত, কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। আদালতে এমনটাই সূত্রের খবর।

    অনুদানের প্রয়োজনীয়তা ঘিরে প্রশ্ন (High Court)

    বাঙালি সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজো ইউনেস্কো হেরিটেজ পাওয়ার পর থেকে সারা পৃথিবীর এখন আকর্ষণ দুর্গাপুজো ঘিরে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শহরের বিভিন্ন পূজোর আড়ম্বর। ধীরে ধীরে বাড়ছে রাজ্য সরকারের অনুদান। কিন্তু প্রথম থেকেই অনুদানের (Durga Puja Donation) প্রয়োজনীয়তা ঘিরে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে।

    আরও পড়ুন: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    পুজো কমিটিগুলি এলাকা থেকে চাঁদা তোলে। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞাপন ও অনুদান দিয়ে পুজো কমিটিগুলোকে সাহায্য করে থাকেন। তারপরেও সরকারিভাবে অনুদান কেন, এই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquor Price Hike: মমতার সরকার ফের বাড়াচ্ছে মদের দাম! লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তোলার ফন্দি?

    Liquor Price Hike: মমতার সরকার ফের বাড়াচ্ছে মদের দাম! লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তোলার ফন্দি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই রাজ্যে বাড়তে চলেছে মদের দাম। ১৪ অগাস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গে এক ধাক্কায় প্রায় কয়েক শতাংশ দাম বাড়তে পারে মদের। ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকার এবং বিদেশে তৈরি মদের দাম গড়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে।  দেশি মদের দাম বোতল পিছু বাড়তে পারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু হঠাতই কেন মদের দাম বাড়ছে রাজ্যে? সরকার কি তাহলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথীর মতো প্রকল্পের জন্য টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছে? বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সরকার তাঁর নানা প্রকল্পের খরচ তুলতেই এইদাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

    কেন দাম বাড়ছে

    মূলত আবগারি শুল্কবৃদ্ধির কারণেই এই মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শেষবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে মদের দাম বেড়েছিল ২০২১ সালে। এরপর ২০২২ সালে রাজ্যে দাম কমেছিল বিয়ারের। এবার ফের এক দফায় বাড়তে চলেছে মদের দাম। তথ্য অনুযায়ী, ৬০০ মিলিলিটারের দেশি মদের বোতলের দাম বর্তমানে ১৫৫ টাকা, তা বেড়ে ১৬০ টাকা হতে পারে। ৩০০ ও ৩৫০ মিলিলিটারের ছোট বোতলের দাম ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ এবং ৯৫ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা হতে পারে। যে সব বিয়ারের বোতলের দাম বর্তমানে ১৩৫ টাকা করে, তা একলাফে ১৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকারের বোতলের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। 

    আরও পড়ুন: ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে বাড়ছে লিভারের সমস্যা, কেন জানেন?

    সরকারের আয়

    গত অর্থবর্ষে মদ বেচে রেকর্ড আয় করেছিল রাজ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। কর আদায় হয়েছিল ১১ হাজার কোটির মত। ২০২২ সালে তা বেড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি করেছিল রাজ্য সরকার। তার থেকে কর আদায় হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে আয় বেড়ে হয় ২৩ হাজার কোটি টাকা। কর আদায় হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প, জয় বাংলা পেনশন স্কিম বা ক্লাবে ক্লাবে পুজো অনুদান। এসবের খচর মেটাতে গিয়েই রাজ্যের কোষাগার প্রায় শূন্য। তাই কোষাগার ভরাতে এখন ভরসা আবগারি শুল্ক। অন্তত তেমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মমতার নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়িতে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা তৃণমূল নেতার

    Siliguri: মমতার নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়িতে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল নেতা দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে। তিনি আবার শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্যও। সাধারণত এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযানে বিরোধীরাও এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন, সেখানে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার এই ভূমিকা দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাজার টাকা ভাতা, রেশন লাগবে না (Siliguri)

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির (Siliguri) চম্পাসারি মোড়ে বাজার উচ্ছেদ অভিযানে যান শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মীরা। তৃণমূল নেতা দিলীপ বর্মন সেই উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন। উচ্ছেদ না করেই ফিরে যান পুরসভার কর্মীরা। ব্যবসায়ীরা সাফ বলেন, মাসে মাসে হাজার টাকা ভাতা, রেশন কিছুই লাগবে না। ডালরুটি খেয়েই আমাদের চলবে। ছেলেমেয়ে মানুষ করা ও সংসার চালাতে দোকান  করার জন্য একটু জায়গা ভিক্ষা চাই। 

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হয়ে উচ্ছেদ আটকে দেন দিলীপ বর্মন। ডাকাবুকো মেজাজে মেয়র গৌতম দেব ও  তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, পুনর্বাসন দিয়েই উচ্ছেদ করতে হবে। তার জন্য আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাস্তায় বসব। এর জন্য দল আমাকে বাদ দিলে, কাউন্সিলর পদ কেড়ে নিলে আমি তা মেনে নেব। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের জন্য এই লড়াই থেকে সরব না। আমি এখানে কাউন্সিলর হওয়ার পর ২০২২ সালে চম্পাসারিতে সাড়ে ১১ বিঘা জমি উদ্ধার করে দিয়েছি। সেই জমি আজও পুরসভা নিজের দখলে নেয়নি। একদিকে কেউ সরকারি জমি নিয়ে ব্যবসা করবে, অন্যদিকে উচ্ছেদের নামে গরিব মানুষকে পথে বসাবে, এটা আমি হতে দেব না। পুরসভার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন এর দায় তাকে নিতে হবে।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) চম্পাসারি মোড়ে এই বাজারে ১৩৯ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। কেউ ৩১ কেউ বা ৩৫ বছর ধরে এখানে দোকান করে আসছেন।  এদিন তাঁরা তৃণমূলের পতাকা নিয়েই পুরসভার অভিযানের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।  শ্রীরাম সাহানি,মাম্পি সাহা, দুর্গাদেবীরা বলেন, পুনর্বাসন দিয়েই উচ্ছেদ করতে হবে। আমরা ডাল রুটি খেয়ে থাকতে চাই। দোকান করার মতো একটু জায়গা ভিক্ষা চাই।

     কী বললেন মেয়র?

    দলের মেয়র পরিষদ সদস্য এভাবে পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছেন মেয়র (Trinamool Congress) গৌতম দেব। তিনি বলেন, জোর করে কিছু করব না। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই  উচ্ছেদ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভার রাজনীতিকরণের অভিযোগে স্পিকারে অনাস্থা বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বিধানসভার রাজনীতিকরণের অভিযোগে স্পিকারে অনাস্থা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা (No Confidence) আনল বিজেপি। মঙ্গলবার বিধানসভার সচিবের সঙ্গে দেখা করে বিমান বাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বিজেপি বিধায়করা। অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার সময় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু বাবু জানিয়েছেন, পক্ষপাতিত্তের অভিযোগে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তাঁরা।

    বিধানসভাকে দশকর্মা ভান্ডারে পরিণত অভিযোগ শুভেন্দুর (No Confidence)

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিধানসভাকে দশকর্মা ভান্ডারে পরিণত করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিধানসভা কার্যত দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়ে গেছে। আমরা ফিরহাদ হাকিমের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলাম। আমাদের মুলতবি প্রস্তাব পড়তে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। উল্টে আমাদের প্রতিবাদ, স্লোগানকে বাধা দেওয়ার জন্য দুই মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। লোকসভা ভোটে যিনি তৃণমূলের প্রচার করেছেন, তাঁকে বিজেপির সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন স্পিকার। যাহা মুখ্যমন্ত্রী তাহাই বিমান দা। মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাই অধ্যক্ষের (No Confidence)  অপসারণ চাই। এই দলতন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি চাই।”

    অহেতুক প্রসঙ্গে বিধানসভায় আলোচনার অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবে (No Confidence) মোট ১৮ টি নির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কোনও আলোচনা হয় না। বিধানসভায় সব সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা হয়। বিধানসভা এবং রাজ্য সংক্রান্ত বিষয়ের তুলনায় অন্যান্য রাজ্য এবং কেন্দ্র নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। এহেন কর্মকাণ্ড বিধানসভার রীতি নয়। প্রধানমন্ত্রীকে অপমানজনক মন্তব্য করা হয় বিধানসভা থেকে। রাজ্যের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে, বিরোধীদের সেই আলোচনা করতে দেওয়া হয় না। উল্টে মনিপুর, উত্তরপ্রদেশের অবাঞ্ছিত ঘটনার উদাহরণ দেওয়া হয়। প্রতি সোমবার বিধানসভায় পুলিশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ বারিক ট্রাকচালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক! উল্কার গতিতে উত্থান কোন পথে?

    কিন্তু পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ওই আলোচনা সময় বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ (Suvendu Adhikari) বিজেপি বিধায়কদের।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত, কটাক্ষ রাজু বিস্তার

    Raju Bista: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত, কটাক্ষ রাজু বিস্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত। সংসদে এভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) । একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের উপর ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়েছে তৃণমূল (TMC) । তাঁর আরও অভিযোগ পরিকল্পনা মাফিক দার্জিলিংয়ে বদলে দেওয়া হচ্ছে জনসংখ্যার বিন্যাস। দার্জিলিং, ডুয়ার্স এবং তরাই এলাকায় এই ঘটনা ঘটছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্র সরকারকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান তিনি।

    বাংলার অর্থনৈতিক অধঃপতনের জন্য দায়ী তৃণমূল (Raju Bista)

    দার্জিলিঙে দু-বারের সংসদ রাজ্যের শাসক দলকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেন এবং এদিন (Raju Bista) সংসদে বলেন, “প্রত্যেকটি সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি করছে শাসক দলের লোকেরা। স্বচ্ছ ভারত মিশন, গ্রাম সড়ক যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এই রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এদিন কটাকে সুরে দার্জিলিং-এর সাংসদ বলেন, “যখন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন ‘বেস্ট বেঙ্গল’ ছিল আর আজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির জন্য তা ‘ওয়োর্স্ট বেঙ্গল’-এ পরিণত হয়েছে। সংসদের বাজেটের উপর আলোচনা চলাকালীন এই অভিযোগ করেন তিনি।

    ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা (TMC)

    রাজ্যের শাসক দলকে (TMC) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে রাজু। তাঁর অভিযোগ, “যেভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে লুট করার জন্য এদেশে এসেছিল, শাসক দল একইভাবে জনগণের টাকা লুট করছে। রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, স্বচ্ছ ভারত, এমজিনারেগা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, বর্ডার এরিয়া ডেভলপমেন্ট ফান্ড প্রত্যেক প্রকল্পে তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ দার্জিলিংয়ের সাংসদের (Raju Bista)।

    রাজ্যের ঋণ ৭ লক্ষ কোটি

    রাজ্য যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মত ঋণ নিচ্ছে তারও সমালোচনা করেন তিনি। (Raju Bista) বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছর রাজত্ব করে ১.৯০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এবং শাসক দল মাত্র ১ দশকে সেই ঋনের বোঝা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে। রাজ্যকে দেনার দায়ে ডুবিয়ে দিতে চাইছে মমতাজ সরকার। তাঁর অভিযোগ বর্তমান (TMC) সরকারের আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে না। রাজ্য শুধু পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রতি ব্যক্তি আয় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির তুলনাতেও কম। একটা সময় ছিল যখন ভারতবর্ষের ৩০% উৎপাদন পশ্চিমবঙ্গ থেকে হত। এখন তা কমতে কমতে ৩% এসে ঠেকেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে আধার লিঙ্ক করে দুর্নীতি কিছুটা ঠেকানো গিয়েছে বলে দাবি রাজুর। তাঁর দাবি রাজ্যে আগে ৩.৮৮ কোটি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের উপভোক্তা ছিলেন। আধার লিঙ্ক করিয়ে দেখা যায় সেই সংখ্যা কমে ২.৫ কোটিতে এসে ঠেকেছে।  অর্থাৎ রাজ্যে ১কোটি ৩৩ লক্ষ ফেক এমজিনারেগা কার্ড বানানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: বাংলায় দিন বদল হবেই, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন মোদি

    যেগুলি বাংলাদেশিরা ব্যবহার করছিলেন। একইভাবে রাজ্যে যত দুর্নীতি যেমন চিটফান্ড দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনায় দুর্নীতি, গরু পাচার, বালি চুরি, কয়লা পাচার সবেতেই তৃণমূল নেতাদের যোগ প্রকাশে এসেছে।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share