Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • C V Anand Bose: দুর্গ রক্ষা বোসের! অস্থায়ী কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা শুরু

    C V Anand Bose: দুর্গ রক্ষা বোসের! অস্থায়ী কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর পদ সাংবিধানিক হলেও রাজ্য রাজনীতির আলোচনার বিষয়বস্তু এখন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) । অভিযোগ বনাম মিথ্যা অভিযোগের তরজার মাঝে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা শুরু হল। ২ মে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ করেন রাজভবনের এক অস্থায়ী কর্মী। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পর তদন্ত শুরু করে হেয়ার স্ট্রিট থানা।

    রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত কতটা আইনসঙ্গত

    দেশের বর্তমান আইন অনুসারে রাজ্যপালের  (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায় না। তথাপি ঘুরিয়ে নাক ধরার চেষ্টা করেছে কলকাতা পুলিশ। রাজ্যপালকে (Governer) ডেকে পাঠানো কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না জেনে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটে চেয়ে পাঠায় পুলিশ। এমনকি দুবার রাজভভবনে তদত করেছে পুলিশ। রাজভবনের ছয়জন কর্মীকে ধরানো হয়েছে নোটিশ। রাজ্যপালের অভিযোগ রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছে কলকাতা পুলিশ (KP)।

    রাজ্যপালের তৎপরতা (C V Anand Bose)

    যুবতীর অভিযোগ ও পুলিশের নোটিশের পর রাজভবনে কর্মরত ৪০ জন অস্থায়ী কর্মীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজভবনে কোন ট্রজেন ঘোড়া আছে কী না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজভবন সূত্রে খবর কোন কর্মচারী রাজভবনের কোন বিভাগে কাজ করেন, কতক্ষণ তারা রাজভবনে থাকেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে রাজ্যপালের  (C V Anand Bose) কাছে। রাজ্যপালের নির্দেশেই এই পর্ব চলছে বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু প্রতিপক্ষ চতুর তাই নিজের দুর্গ রক্ষা করতেই রাজ্যপালের এই তৎপরতা।

    বোসের হুংকার  (C V Anand Bose)

    প্রসঙ্গত কেরল থেকে ফিরেই বিমানবন্দরে রাজ্যপাল  (C V Anand Bose) জানিয়েছিলেন, তিনি দিদিগিরি সহ্য করবেন না। এরপর তিনি জানান পুলিশকে নয় সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে জনতাকে। আর ঠিক তারপরেই রাজভবনের অস্থায়ী কর্মচারীদের সম্পর্কে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল। তিনি নিজেই খতিয়ে দেখবেন রাজভবনের কর্মচারীদের হাবভাব। ইতিমধ্যেই শ্লীলতাহানির অভিযোগের পর কলকাতা পুলিশের একটি তদন্তকারী দল দুবার রাজভবনে এসে তদন্ত করে দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর রাজভবনের ৬ জন কর্মচারীকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে নোটিশ ধরানো হয়েছে।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    অস্থায়ী কর্মীদের আশঙ্কা

    পুলিশের এমন ভূমিকা রাজভবন আগে কখনও দেখেনি। এমনকি রাজভবনও তাঁর সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতার উব্যবহার করেনি। তবে রাজনৈতিক টানপোড়েনের মাঝে পড়ে যেতে পারেন অস্থায়ী কর্মীরা এই আশঙ্কা করছেন। কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের মনে। কারণ যেভাবে তাদের কাজের মূল্যায়ন হয়েছে এবং যেভাবে পুলিশের চাপ বাড়ছে তাদের উপর তা নজিরবিহীন। রাজনীতির যাঁতাকলে পড়ে কতক্ষণ তারা সুস্থভাবে কাজ করতে পারবেন সে শংকায় মাথায় ঘুরছে অস্থায়ী কর্মীদের। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য দেড় বছর হয়ে গেলেও রাজভবনের তরফে কখনই বোস  (C V Anand Bose) জমানায় তাঁদের কাজের পর্যালোচনা বা মূল্যায়ন করা হয়নি। যদিও এর আগে রাজভবনের এককর্মীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। তখনও কড়া মনোভাব দেখাননি বোস।

    রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু রাজভবন

    বর্তমানে রাজভবনের উপরে রাজ্য সরকারের যে কড়া নজর রয়েছে এবং রাজ্যপালকে (C V Anand Bose) বিপদে ফেলার ইঙ্গিত রয়েছে এই কথা জানিয়েছিলেন বোস। কেরাল গিয়ে তিনি একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন তাঁকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি চাপের কাছে নতিস স্বীকার করবেন না বলে জানিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল অপপ্রচার করতে এই সব ফেক ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল অপপ্রচার করতে এই সব ফেক ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্রজিৎ সিং আহলুওয়ালিয়া সমর্থনে হুট্ খোলা গাড়িতে বর্ণাঢ্য নির্বাচনী প্রচার করেন। এই  নির্বাচনী প্রচারটি বার্নপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে টাউন পূজা, বন্ধু মহল মাঠ, সুভাষপল্লী স্কুল হয়ে আবার বার্নপুর বাসস্ট্যান্ডে শেষ করা হয়। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জী, কৃষ্ণেদু মুখার্জী রাজ্য নেতা সহ বিজেপি নেত্রী এবং কর্মীসমর্থক। এই শোভাযাত্রা থেকে সুকান্ত, সন্দেশখালির ভুয়ো প্রচার নিয়ে ভিডিও প্রসঙ্গে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে তৃণমূল নেত্রী মমতাকে আক্রমণ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য অনেক কিছু করছে। নতুন কিছু না কিছু আরও ঘটবে। বীরভূমে আমরা দেখেছি বাবাকে বোমা মেরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছিল। সেই ছেলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রথমে বিস্ফোরক হয়েছিল। কিন্তু পরে অনুব্রতর চাপে খুন হওয়ার পিতার ছেলে নিজের বয়ান বদলাতে বাধ্য হয়েছিল। ফলে আমরা জানি কীভাবে বক্তব্য পাল্টাতে বাধ্য করে তৃণমূল। তৃণমূল এই ভোট প্রচারের বাজারে ফেক ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে।” আবার রাজভবন থেকে ভিডিও প্রকাশ সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, “মানুষ দেখে সব কিছুর সিদ্ধান্ত নেবেন। সময় সব কিছু বলবে।”

    আরও পড়ুনঃ মোদির নির্দেশের পরই বড় সিদ্ধান্ত, যোগ্য শিক্ষকদের জন্য চালু বিশেষ পোর্টাল

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “তৃণমূল অপপ্রচার করতে এই সব ফেক ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লাগিয়ে মোদি এবং অমিত শাহের ভিডিওতে ভয়েস দিয়ে ভুয়ো বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও কণ্ঠস্বর এআই দিয়ে এডিট করা হচ্ছে। আমি মানুষকে অনুরোধ করব এই সব ফেক ভিডিও থেকে যেন নিজেদের সাবধান করেন। এই চোরেদের ভালো করে চিনে রাখুন। এই চোরদের সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট নিজে মান্যতা দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল চাকরি চুরি করেছে। এসএসসি এক কথায় চোর। রাজ্য সরকার প্রাতিষ্ঠানিক চোর, মুখ্যমন্ত্রী প্রাতিষ্ঠানিক চোর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: মমতার মঞ্চে ওঠার মুখে দুবারের সাংসদ অপরূপাকে আটকে দিলেন কল্যাণ! কোন্দল চরমে

    Arambagh: মমতার মঞ্চে ওঠার মুখে দুবারের সাংসদ অপরূপাকে আটকে দিলেন কল্যাণ! কোন্দল চরমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর দুবার আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অপরূপা পোদ্দার। এবার দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। এবার প্রার্থী করা হয়েছে মিতালী বাগকে। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিদায়ী সাংসদ হিসেবে অপরূপা পোদ্দার সভায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, মঞ্চে তাঁর জায়গা হয়নি। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    এদিন মমতার সভা মঞ্চে উঠতে পারলেন না অপরূপা আরামবাগের (Arambagh) বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। মঞ্চে উঠার আগেই আটকে দেওয়া হয় তাকে। মঞ্চের পাশে বসেছিলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে ওঠার সময় পাশে একটি চেয়ারে বসেছিলেন অপরূপা। তাঁর দিকে তৃণমূল নেত্রী ফিরেও তাকাননি। এরপর সেখানে বসেই একাই  তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য শোনেন তিনি। পরে, মঞ্চে উঠতে না পারার জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাম না করে মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও করবী মান্নার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেয় অপরুপা। তিনি বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলিতদের বিরুদ্ধে। তিনি আর হরিপালের দাদা বউদি ( মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও করবী মান্নার) আমাকে মঞ্চে উঠতে বাধা দিয়েছে। মনে রাখতে হবে, আমি এখনও সাংসদ। আমাকে ইচ্ছা করেই আটকানো হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও ঘটনায় তৃণমূলের আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, সভার প্রোটোকল রয়েছে। সেই প্রোটোকলে বেশি জনের স্থান রাখা হয়নি সভা মঞ্চে।তবে তিনি অপরূপাকে আমি দেখতে পাইনি।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের এধরনের ঘটনা প্রায় ঘটে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে, এতদিনের সাংসদ, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে চিৎকার চেঁচামেচি করতেন, তাঁকে মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় আমারও খারাপ লাগছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “পিসি প্রাক্তন হবে, ভাইপো জেলে যাবে” নাম না করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পিসি প্রাক্তন হবে, ভাইপো জেলে যাবে” নাম না করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে অতীতের ভুল তথ্য পরিবেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আগামী দিনে মনীষীদের নিয়ে এই ধরনের ভুল তথ্য পরিবেশন না করার আবেদন করলেন শুভেন্দু অধিকারি। একইসঙ্গে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেম, “পিসি প্রাক্তন হবে। ভাইপো জেলে যাবে।” বুধবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তীতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ক্যানাল পাড় এলাকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    মমতা ও অভিষেককে শুভেন্দুর তোপ (Suvendu Adhikari)

    এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করার পর কাঁথি টাউন হলে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বাংলা, বাঙালি সহ ভারতের গর্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব কবিগুরু মারা গিয়েছিলেন ১৯৪১ সালে। নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে রেড রোডে দাঁড়িয়ে আপনি বলেছিলেন ১৯৪৭ সালে গান্ধীজিকে রবীন্দ্রনাথ ফলের রস খাইয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব এসব আর করবেন না।” তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “মাফলার জেলে গেছে। এবার হাওয়াই চটির পালা। কটা দিন সময় পেয়েছেন। এসি ঘরে থাকুন। হেলিকপ্টার নিয়ে ঘুরুন।”

    শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে সমস্যার জন্য মমতাকে দায়ী করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) 

    প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টে চলছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন শিক্ষকরা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যোগ্যদের জন্য বিজেপি লিগাল সেল তৈরি করবে। এসএসসি বলেছে যোগ্য অযোগ্য বেছে দিতে পারবে। অথচ এসএসসি হাইকোর্টে হলফনামা দিতে পারেনি। কেবলমাত্র ৪ হাজার অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য। উচ্চ আদালত অর্ডারে ২৪২ নম্বর অনুচ্ছেদে যোগ্যদের তালিকা না দেওয়ায় আমরা বাছাই করতে পারলাম না। তাই প্যানেল বাতিল হল বলে জানিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “৪ হাজার চাকরি বেআইনি করে পেয়েছে। ২০২২ সালের ৫ই মে চোরদের চাকরি রেগুলারাইজ করার জন্য মমতার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করেছিল। এর জন্য ক্যাবিনেট মিটিং হয়েছিল। আমরা ওদের জেলে দেখতে চাই। পিসি ভাইপোর উল্লসিত হওয়ার কোনও কারণ নেই (Suvendu Adhikari)।”

    আরও পড়ুন: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে কর্মীসভা (Suvendu Adhikari)

    বুধবার কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে কর্মীসভা আয়োজিত হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি সহ বিজেপির নেতা কর্মীবৃন্দ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram  এবং Google News পেজ।

  • Kokata Police: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়! মুখ্যমন্ত্রীর মিম-বিতর্কে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ

    Kokata Police: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়! মুখ্যমন্ত্রীর মিম-বিতর্কে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়ে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর মিম কে বানিয়েছে? তার উত্তর জানতে চায় পুলিশ। এ নিয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে পুলিশ।  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) নিয়ে মিম (Meme) বানানোয় কড়া হাতে ব্যবস্থা নেয় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ভোটের মাঝেই মমতাকে নিয়ে একটি মিম ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে স্পিটিং ফাক্টস নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে। যা রীতিমতো ভাইরাল। ওই ভিডিয়ো কলকাতা পুলিশের নজরে পড়তেই বিপত্তি। 

    পুলিশের পদক্ষেপ

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর, অমর্যাদাকর ভিডিও বানানোর জেরে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জারি করা হয় নোটিস। সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ তরফে। ওই ভিডিয়ো ডিলিট করার পাশাপাশি, আসল নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি না জানান তবে ৪২ সিআরপিসিতে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও করা হয়।

    এরপরই কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকী, পোস্টকর্তাদের আসল নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে যে হুমকি-ট্যুইট করেছিল কলকাতা পুলিশ, তার  জবাবে একজন পোস্ট করেন এই বার্তা—

    একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজেদের পোস্ট সরিয়ে নেয় কলকাতা পুলিশ।

    আরও পড়ুন: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    মোদির সহনশীলতা

    বাংলায় যখন এমন ভিডিওকে ঘিরে পদক্ষেপ চলছে তখনই ভাইরাল হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমনই এক ভিডিও। এক যুবক সেই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি এই ভিডিও পোস্ট করছি কারণ আমি জানি ‘একনায়ক’ এই ভিডিওর জন্য আমায় গ্রেফতার করাবেন না।’ পোস্টদাতার ওই বার্তার নাম না করে কটাক্ষ ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে ‘একনায়ক’ বলে আক্রমণ শানান প্রায়শই। সেই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, ‘নিজেকে নাচতে দেখে আপনাদের মতো আমিও সেই নাচ উপভোগ করেছি। নির্বাচনের মরশুমে এমন ‘শিল্প’ সত্যিই মনকে আনন্দ দেয়।’ এরপর যেন সমালোচনা আরও তীব্র হয়। 

    মালব্যর কটাক্ষ

    প্রধানমন্ত্রী নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করার পরই সরব হন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি মমতা ও মোদির দুটি ভিডিও এবং কলকাতা পুলিশের পোস্ট ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোস্টের একটি কোলাজ বানিয়ে তা পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডেলে। সেই সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘স্পট ‘দি ডিক্টেটর’। 

    এই প্রথম নয়

    তবে এই প্রথমবার নয়। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে নিয়ে নানারকম কার্টুন ও মিম তৈরির বিরুদ্ধে এর আগেও কড়া পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মিম বানানোয় একজন ইউটিউবারকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই অভিযোগে আরও সাতজনের নাম ছিল।

    ২০১৯ সালে মুখ্য়মন্ত্রীর একটি বিকৃত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির এক যুবনেতা। ২০১২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রফেসর অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মুখ্য়মন্ত্রী সম্পর্কিত একটি কার্টুনকে ফরোয়ার্ড করায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    PM Modi: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা ভোটের মরশুমে নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভিডিয়োটিতে তাঁকে একটি মঞ্চে নাচতে দেখা যাচ্ছে। যদিও ভিডিয়োটি সত্যিকারের নয়, এটি তৈরি করা। তবে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তাঁর এই নাচের ভিডিও দেখে ভারি মজা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেই সে কথা জানালেন মোদি। এক নেটব্যবহারকারীর তৈরি ২৮ সেকেন্ডের সেই অ্যানিমেনেড ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রী মোদির আদলের এক ব্যক্তিকে মঞ্চে পাগলু ডান্স করতে দেখা গিয়েছে। 

    ভিডিও শেয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে আলোচনায় পাগলু ডান্স। এবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দেবের সেই জনপ্রিয় নাচের অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো। তবে তৃণমূলের তারকা-সাংসদ দেব নন, সেখানে কুশীলব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! ভিডিয়োটি প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামের এক এক্স হ্যন্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। সঙ্গের ক্যাপশনে লেখা, “এই ভিডিয়োটি পোস্ট করছি, কারণ, আমি জানি এর জন্য ‘ডিক্টেটর’ আমায় গ্রেফতার করবে না।” এই ভিডিয়োটিই ফের শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে তাঁর সরস মন্তব্য, “আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভোটের আবহে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।” 

    যখন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা নিজেদের সমালোচনা শুনলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন সেই পরিস্থিতিতে ভোটের বাজারে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ‘স্পোটিং স্পিরিট’ প্রশংসা কুড়োচ্ছে অনেকেরই। সামাজিক মাধ্যমে মোদির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা। একই সঙ্গে এই ভিডিও শেয়ার করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এমনও মনে করছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    মমতাকে কটাক্ষ কঙ্গনার 

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের স্পুফ ভিডিয়োটি শেয়ার করার পর, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনের বিজেপির প্রার্থী তথা বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মমতা দিদি জি এটাকে বলে ‘টেকিং আ চিল পিল (মাথা ঠান্ডা রাখা)। আপনিও মাঝে মাঝে এটা ব্যবহার করুন। আপনি সবসময় রেগে থাকেন। কয়েকটা বাচ্চা ছেলে আপনার নাচের ভিডিয়ো বানিয়েছে। আপনি তাদের জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনি খুব রাগী এবং অনমনীয়।”

    কেন কটাক্ষ

    সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্পুফ ভিডিও শেয়ার করার দায়ে, কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিস পেয়েছেন দুই এক্স ব্যবহারকারী। এরপর কলকাতা পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাপোশের মতো আচরণ করছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (PM Modi) ব্যঙ্গ করে অশ্লীল পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ কেন করছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    মমতাকে নিশানা বঙ্গ বিজেপির

    রাজ্য বিজেপিও মোদির এই মিম-শেয়ারকে হাতিয়ার করে মমতাকে তুলোধনা করেছে। তারা জানিয়েছে, কী করে সবকিছু গ্রহণ করতে হয়, কী করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়, দুই নেতার মধ্যে বিস্তর ফারাক। একদিকে ভিডিও দেখে প্রধানমন্ত্রী আনন্দ উপভোগ করছেন। অন্যদিকে, মমতা পুলিশ ভিডিও মুছে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এই মর্মে একটি ট্যুইটও করেছে বঙ্গ বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির জবাব দিতে পাল্টা ভিডিও পোস্ট বিরোধী দলনেতার, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির জবাব দিতে পাল্টা ভিডিও পোস্ট বিরোধী দলনেতার, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি ভয় মুক্ত অবাধ নির্বাচন হয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম হারবে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। কারণ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতে সাধারণ মানুষকে জতুগৃহ করে রেখেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে ভোট লুট করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও মানুষ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আছে মামলা আর হামলা। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই তৃণমূলকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কোনও কর্মীর মাথা ফাটলে দায়িত্ব আমার (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, মথুরাপুর থানার ওসি আজ হাইকোর্টে শোকজ খেয়েছে। ভাইপোর পি এ কে চুরির টাকা দিয়ে মথুরাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি হালদার টিকিট নিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর স্ত্রীর চাকরি গিয়েছে আর ৪ তারিখে আপনি গো হারা হারবেন। অন্যদিকে তিনি জানান, এক তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট রয়েছে, আমি সকাল পাঁচটা থেকে জেগে থাকবো। প্রত্যেকটি বুথ স্তরের কর্মীদেরকে বলবো যেখানেই সিসিটিভির তার ছেড়ে দেবে ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দেবে অথবা গন্ডগোল করার চেষ্টা করবে সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলে আমাকে পাঠাবেন আমি পদক্ষেপ নেব। অন্যদিকে, তিনি এও বলেন, কোনও কর্মীর মাথা ফাটলে সেই দায়িত্ব আমার, আমি চৌকিদারের ভূমিকা পালন করব।

    সন্দেশখালির ভিডি ‘ডিপ ফেক’ ভিডিও

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বক্তব্য, সন্দেশখালির ভিডিও শুধু ‘ফেক’ই নয়, ‘ডিপ ফেক’ ভিডিও। আর সন্দেশখালির গঙ্গাধর কয়ালের ‘ডিপ ফেক’ ভিডিও প্রসঙ্গে জুড়ল ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকারের নাম। আর সে নাম শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে বিরাট কোহলির ভিডিও রয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিওটি ডিপ ফেক প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং ডিপফেকের যুগে প্রযুক্তিকে তো ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছেই। নাম না করে আই প্যাকের কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধেছেন তিনি।

    Every invention has two aspects, it can be used in a positive sense but its misuse can’t be ruled out either.

    In the age of Artificial Intelligence (AI), Deepfake and what not, crooks are misusing the technology for their vested interests.

    Deepfake videos of renowned… pic.twitter.com/RaREW6jnbx

    মমতাকে তোপ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মেদিনীপুর আর জঙ্গলমহলের ভোট হয়ে যাবে ২৫ তারিখ। একেবারে আমি পড়ব এখানে। আমি ২৬ তারিখ পাথরপ্রতিমায় সভা করব। কাকদ্বীপ, মন্দিরবাজার, রায়দিঘি, কুলপি, সবার সঙ্গে দেখা করে যাব। ওই দিন সবাইকে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে যাব। ভোটের দিন ভোর ৫টা থেকে আমি জেগে থাকব। শুধু বুথ নম্বর, পোলিং স্টেশনের নাম আর থানার নাম দিয়ে আমাকে শুধু পাঠাতে থাকবেন। এমন মার হবে, এবারের ভোট বুঝিয়ে দেব আমরা’। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পালটা গদ্দার বলে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘পিসি কালকে বলছে, পিসি – ভাইপো বলছে। নাম বলুক দেখে নেব। ক’দিন আগে আমাকে গদ্দার বলেছিল। আপনি তো সব থেকে বড় গদ্দার।আপনাকে চিনিয়েছে রাজীব গান্ধী, আপনি কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। আপনাকে আশ্রয় দিয়েছে অটল বিহারী বাজপেয়ী, আপনি বাজপেয়ীকে ছুরি মেরেছেন’। পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছেন, পিসি আর ভাইপোর নাম বলুন, হ্যাঁ আমি বলছি। পিসির নাম মমতা ব্যানার্জি, ভাইপোর নাম অভিষেক ব্যানার্জি। আপনার কী ক্ষমতা আছে করে নিন’। তিনি আরও বলেন, এই জেলায় রোহিঙ্গাদের ঢোকাচ্ছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বাংলায় অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক”, বিস্ফোরক অমিত শাহ

    Amit Shah: “বাংলায় অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক”, বিস্ফোরক অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক।” সোমবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এই মন্তব্য করেন। এর আগে কৃষ্ণনগরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রোড শো করেছিলেন তিনি।

    সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা (Amit Shah)

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, শাহজাহানকে জেলের পিছনে যাওয়া উচিৎ ছিল কি না? এখানকার মহিলার ধর্ষণ করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে যাঁরা অত্যাচার করেছে তাঁদের যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাতালেও লুকিয়ে রাখেন আমরা খুঁজে বের করে জেলে ভরব। এই বার আমরা ৩০ সিটের লক্ষ্য রাখছি। আপনারা জেতাবেন তো? ৪০০ পার করাবেন তো। সিএএ চালু হওয়া উচিত তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-র  যতই বিরোধ করুন আমরা হিন্দু ভাইদের নাগরিকত্ব দেবই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে বলছি দুর্গাপুরে জিতবেন না। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন ধান্দা খুলেছেন। অপরাধীদের জন্য এখানে কেউ কোনও কাজ করতে পারে না। এরা ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। এখানকার মন্ত্রীদের ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকার ক্যাশ মেলে। কালকে রাতেও ঝাড়খন্ডের এক মন্ত্রীর ঘর থেকে প্রচুর উদ্ধার হয়েছে। মমতা দিদির কথা মতো কংগ্রেস সরকার চলছিল। রোজদিন পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে আলিয়া- মালিয়া-জালিয়া চলে আসত। বোমাবাজি করত। ওরা ভোট ব্যাঙ্কের জন্য কিছুই বলে না। পুলওয়ামায় হামলার পরই নরেন্দ্র মোদি সার্জিকাল স্ট্রাইক করে পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের শেষ করেছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার দিনই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কিশোরের, উড়ল হাত, শোরগোল

    অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক

    এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। ওঁরা যাননি। কারণ ভোট ব্যাঙ্কের জন্য ভয় পায়। ওঁদের ভোট ব্যাঙ্ক কারা জানেন তো? যাঁরা বাংলায় অনুপ্রবেশকারী তাঁরাই ওদের ভোটব্যাঙ্ক। যাঁরা রামের বহিষ্কার করেছে দুর্গাপুরবাসী কি ভোট দেবে? এরপর কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দিলীপ ঘোষের নামে যখন বিজেপিকে ভোট দেবেন সেই সময় মনে রাখবেন আপনারা মোদিজিকে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী বানানো।

    নদিয়ায় রোড শোয়ে জনজোয়ার

    এদিন সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের হয়ে ভোট প্রচারে আসেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কৃষ্ণনগর সদর মোড় থেকে কৃষ্ণনগর এভি হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারেরও বেশি রোড শো করেন তিনি। এদিন অমিত শাহের পাশে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী অমৃতা রায় এবং কৃষ্ণনগর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। অমিত শাহ রোডশো চলাকালীন রাস্তার দুপাশে থাকা সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে হাত জোড়ো করেন এবং তাদের ওপর ফুল বর্ষণ করেন। রোড শো শেষ হওয়ার পর প্রায় তিন মিনিট বক্তব্য রাখেন তিনি। এদিন কৃষ্ণনগর শহর জুড়ে রোড শো নিয়ে রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়ে। প্রথমেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রদান করেন। এরপরই তিনি বলেন, “আজ সাধারণ মানুষ এবং কর্মীদের যা উৎসাহ দেখছি তাতে আমার মনে হচ্ছে অমৃতা রায় প্রচুর ভোটে জিতবেন।” পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে যে দুর্নীতি চলছে সেটা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে কাটমানি এবং ঘুষ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    SSC: “যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব”, শীর্ষ আদালতে জানাল কমিশন, নজর সোমবারের শুনানিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  এসএসসি’র (SSC) বক্তব্যে চাকরি হারাদের মধ্যে ফুটল আশার আলো। একই সঙ্গে তৈরি হল বিতর্ক। এসএসসি’র বক্তব্য, “অভিযোগহীন চাকরি প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সম্ভব।”

    যোগ্য অযোগ্য বাছাই সম্ভব?

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কমিশনের (SSC) সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার। তবে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা কমিশন আদালতে জমা দিবে কি না সেই প্রশ্ন আপাতত এড়িয়ে গিয়েছেন সিদ্ধার্থ বাবু। কমিশনের অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের (SC) কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আন্দোলনকারীদের মনে। একই সঙ্গে সিদ্ধার্থ বাবুর বক্তব্যে এই প্রশ্ন উঠেছে যে যদি কমিশনের কাছে অভিযোগহীন শিক্ষকদের তালিকা থাকে অর্থাৎ কমিশন যদি যোগ্য এববগ অযোগ্য শিক্ষক বাছাই করতে সক্ষম হয় তাহলে এতদিন সে বিষয়ে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন? এমনকি সেই তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি কেন?

    কমিশনের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত শুক্রবার চাকরিহারা শিক্ষকরা এসএসসি দফতরের (Acharya sadan) সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় চাকরিপ্রার্থীদের। কমিশনের দপ্তরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিনই কমিশনের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “আদালতে (Calcutta Highcourt) সাম্প্রতিক একটা রায়কে কেন্দ্র করে এসএসসি দফতরের সামনে একটা বড় জমায়েত হয়েছে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে আদালত। তাদের একটা অংশ যাদের সম্পর্কে কোন অভিযোগ নেই তাঁরা আজ জমায়েত হয়েছেন এবং আমার সঙ্গে ওদের আলোচনা হয়েছে। আমি তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। যারা যোগ্য তাদের পাশে রয়েছে কমিশন (Recruitment Scam)।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির প্রতিশ্রুতি

    প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সকলের জন্য চাকরি তৈরি রয়েছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ২ লক্ষ চাকরি তৈরি রয়েছে। একইসঙ্গে প্যানেল বাতিলের জন্য আদালত ও বিজেপিকে (BJP) দায়ী করেছিলেন তিনি। কিন্তু ওএমআর শিট কেন খোয়া গেল এনিয়ে কমিশন কিংবা মুখ্যমন্ত্রী কেউ রা কাটেনি। কমিশনের সভাপতি দাবি করেন, তাঁরা সুপ্রিমকোর্টকে আশ্বস্ত করতে একটি তালিকা প্রকাশ করবেন। যেই তালিকাতে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব (Recruitment Scam)। কিন্তু সেই যোগ্য অযোগ্য বিচারের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবং এই বাছাই পর্ব কিভাবে করা হবে সে বিষয়ে কমিশনের তরফে কিন্তু কোন উত্তর মেলেনি।

    প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া

    এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, “ওদের কাছে যদি যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থাকে, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে কেন ওরা জমা দেয়নি। সেই তালিকা ডিভিশন বেঞ্চ বারংবার জমা দিতে বলেছিল। অযোগ্যদের রক্ষা করতে গিয়ে যোগ্যদের বিপদের মুখে ঠেলেছে রাজ্য সরকার (Recruitment Scam)। এখন বিপদ বুঝে একটা তালিকা দেওয়ার কথা বলছেন” মন্তব্য আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। প্রসঙ্গত শীর্ষ আদালত জানতে চেয়েছিল যেহেতু ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গেছে তাই কী উপায়ে যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব।  আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন আদালতে কী বক্তব্য পেশ করে কমিশন সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের আবহ। আর এরই মধ্যে নির্বাচনী জনসভা থেকে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরে নেমেই বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে কাছে ডেকে বহরমপুর লোকসভা নির্বাচনে ইউসুফ পাঠান যাতে জয়লাভ করে সে বিষয়ে হুমায়ুন কবিরকে (Humayun kabir) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মেনেই বুধবার জনসভা করছিলেন হুমায়ুন কবির। 

    হুমায়ুন কবিরের মন্তব্য (Humayun kabir)

    এদিন তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কাদের কে বলেছে? কোন ধর্মস্থান ভাঙার কথা? যারা একথা বলে সম্প্রীতি নষ্ট করছে তাদের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কেন কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? ভোট আগামী ৭ তারিখ, তারপর সবাইকে এই শহরে থাকতে হবে। সেখানে কি করে রাজনীতির নেতৃত্বরা এরকম ভাবে হুমকি দেয়? তাদের ক্ষেত্রে কেন কোন পদক্ষেপ হবে না? কতদিন আর উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই হুমকি শুনবে। ভোটের জন্য উস্কানি মূলক ভাষণ দেবেন নেতারা। আর তার ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ কতদিন ধরে চলবে? মানুষ কবে সজাগ হবে? প্রশ্ন উঠেছে আজ।” 
    একই সঙ্গে এদিন বিজেপি কে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কত ধানে কত চাল হয়, দুঘণ্টার মধ্যে তোমাদের কেটে যদি ভাগীরথীর গঙ্গায় না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। এখানে তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো ৩০% লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আর আমরা ৭০%। এখানে কামনগরে তোমরা বেঁচে আছ বলে কাজীপাড়ায় মসজিদ ভাঙবে আর বাকি এলাকার মুসলমান ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনদিন হবে না। বিজেপিকে আমি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলছি কোনও দিন হবে না।”   
    অর্থাৎ যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কথা মুখে বলছে সব দলই আর কাজে করছেন অন্য, সেরকমই একটি চিত্র এবার ধরা পরল হুমায়ুন কবিরের (Humayun kabir) সভায়। আর হুমায়ুন কবিরের মন্তব্যের জেরে ফের উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে শক্তিপুরে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?  

    রামনবমীর দিনও উত্তেজনা 

    প্রসঙ্গত শক্তিপুরে এর আগে রামনবমীর দিনও মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছিলেন। শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। রামনবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নাকি হামলা চালানো হয়েছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুর্শিদাবাদের ডিআইজি সৈয়দ ওয়াকার রাজা। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয় শক্তিপুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share