Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Mamata Banerjee: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে বাজেট-বরাদ্দ ১০ কোটি, মমতা দেবকে দেবেন ১২৫০ কোটি!

    Mamata Banerjee: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে বাজেট-বরাদ্দ ১০ কোটি, মমতা দেবকে দেবেন ১২৫০ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত ১২ ফেব্রুয়ারি আরামবাগ সফরে গিয়ে ঘোষণা করলেন, ১২৫০ কোটি টাকা দেবেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে। তাঁর এই ঘোষণার পরই অভিমানী দেব গলে জল হয়ে গেলেন, যিনি মাত্র ৪ দিন আগেও বেঁকে বসেছিলেন। জানা গেল, ফের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন দীপক অধিকারী ওরফে অভিনেতা দেব! কিন্তু মমতার এই ঘোষণার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ১০ বছরের সাংসদ দেব কি জানতেন না, ২০২৪-২৫-এর রাজ্য বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১০ কোটি! তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২৫০ কোটি পাবেন কোথা থেকে? নাকি ছেলে ভোলানোর মতো ১২৫০ কোটির টোপ দিয়ে দেবের মান ভাঙালেন! 

    ভোট বৈতরণী পারের বরাবরের হাতিয়ার (Mamata Banerjee) 

    ২০১১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে জিততে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকেই হাতিয়ার করেছিলেন। তিনি এই প্রকল্প নিয়ে দু’হাতে প্রতিশ্রুতি বিলিয়েছিলেন। অথচ বাস্তব সত্য হল, গত ১২ বছরে যে বাজেট হয়েছে, তার মধ্যে ৮ বার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কোনও বরাদ্দই ছিল না। রাজ্য বাজেটে ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে বরাদ্দ (Mamata Banerjee) ছিল শূন্য। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হলেন অভিনেতা দেব। এরপর শুরু হল আবার প্রতিশ্রুতি বিলানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, দেব কেউ বাদ যান না। একের পর সভায় ঘোষণা করলেন, সংসদে তৃণমূলের প্রার্থী জিতলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবেই। ঘাটালের মানুষকে আর ফি বছর বন্যায় ভাসতে হবে না। দেব জিতলেন, অথচ ২০১৪-১৫ বাজেট বরাদ্দেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শূন্য!

    বাজেট ঘোষণার অর্ধেকও বরাদ্দ হয় না

    ২০১৯-এ ফের লোকসভা নির্বাচন। ঘাটালের ভোটাররা যে ব্যাপক ক্ষুব্ধ, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি মমতার। ২০১৮-১৯ সালে প্রথমবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কপালে শিকে ছিঁড়ল বাজেটে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৪ ২৫ সালের মধ্যে বাজেটে এই প্ল্যানের জন্য মোট অর্থ বরাদ্দ ঘোষিত হল ৪৭০ কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবে দেওয়া হল অর্ধেকও নয়, মাত্র ২০৭ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। এর মধ্যে কত টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, তার কোনও হিসেবও নাকি জমা পড়েনি অর্থ দফতরে (Mamata Banerjee)।

    সরকারি মিথ্যাচার? (Mamata Banerjee) 

    ২০২১ এবং ২০২২ পরপর দু’বছর ব্যাপক বন্যা হয়েছিল ঘাটাল এলাকায়। ক্ষতির পরিমাণও কম ছিল না। ফলে সেচ দফতর বাজেট বরাদ্দ হিসেবে আগের থেকে কিছুটা বেশি টাকাই পেয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনেতা দেবের বাড়ির কাছে পায়ের পাতা ভেজানো জলে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছিলেন ওই বরাদ্দ এবং জানিয়েছিলেন, তিনি ঘাটালের পাশে আছেন। ঠিক তার পরের বছর থেকে শুরু হয়ে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারি তামাশা! বাজেট বরাদ্দই নেমে আসে এক লাফে ১০ কোটিতে।

    ফলে সরকারি মিথ্যাচারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান! এমনটাই মনে করছেন রাজ্যবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: চুরি-ডাকাতি-ধর্ষণ-শ্লীলতাহানি, মাদক পাচারের গড় মালদা! আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

    Malda: চুরি-ডাকাতি-ধর্ষণ-শ্লীলতাহানি, মাদক পাচারের গড় মালদা! আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ- শ্লীলতাহানি, মাদক পাচার, চোরাচালান, জাল নোটের কারবারের গড় হয়ে উঠছে মালদা (Malda)। একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে এই জেলায়। সঙ্গে রাজনৈতিক হানাহানি তো রয়েছে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্নপত্র ফাঁসে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে সেই মালদা জেলার নাম। এই ঘটনাকে সামনে রেখে মালদার মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সদস্যরা আতঙ্কিত। তাঁরা মালদহের জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Malda)

    মালদায় (Malda) সীমান্ত রয়েছে এই জেলা ঘিরে। তাই বিভিন্ন সময় দেখা যায়, গরুপাচার, নারীপাচার, অস্ত্রপাচার, জালনোট পাচার, এমনকী ওষুধ পাচার পর্যন্ত চলে। একের পর এক সোনার দোকানে লুট হয়েছে। ব্যবসায়ীর ওপর দুষ্কৃতী হানা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের এই তান্ডবে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আতঙ্কিত সাধারণ মানুষরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, “আমরা খুব আতঙ্কিত। সবসময় একটা ভয় কাজ করছে। এই যে সরস্বতী পুজো গেল বুধবার। প্রতিবছর বাচ্চাদের কী ভিড় হয় রাস্তায়। এবার কিন্তু সেই উদ্দীপনাটা পর্যন্ত নেই। প্রতিদিন কিছু না কিছু ঘটে চলেছে। অভিভাবকরা ভীত, সন্ত্রস্ত। জানি না কোথায় এর শেষ হবে। আমরা বাড়ি থেকে কী বেরোব, বাচ্চাদের কী স্কুলে পাঠাব, ভয় লাগছে। মাদকের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে জেলাটা।”

    ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তা কী বললেন?

    মালদার (Malda) মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, “গত এক বছরে ১৩-১৪টা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সারা জেলায় মাদকদ্রব্য বিক্রি চলছে। চাঁচল, গাজোল, কালিয়াচক সমস্ত ব্লকে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও আমরা চিঠি পাঠালাম। সারা জেলাজুড়ে একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেই চলেছে।  প্রশাসনকে বারবার বলেছি এটা বন্ধ হওয়া দরকার। জেলায় সোনার দোকানে ডাকাতি বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। আমরা খুবই আতঙ্কিত। পুলিশ সক্রিয় না হলে এই জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Malda: ভুট্টাক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

    Malda: ভুট্টাক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) গলা কেটে নাবালিকা খুনকাণ্ডের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের মর্মান্তিক ঘটনা। ভুট্টাক্ষেত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার হল এক যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারবর্গের। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের জেলা সফর কর্মসূচির সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদায় থাকাকালীন এক নাবালিকাকে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু প্রথমে পুলিশ খুনিকে গ্রেফতার করতে পারেনি, পরিবারের লোকজনই পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। ইতিমধ্যে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন মৃতার বাড়িতে এসে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। রাজ্যের পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কমিশনের সদস্যরা। পাশপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “রাজ্যের কোনও মেয়ে সুরক্ষিত নয় এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে।”

    মৃত নাবালিকার পরিচয় (Malda)?

    এই ঘটনাকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার সাত সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার হামিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম জল্পনা মণ্ডল, বয়স ২৫ বছর। বাড়ি মোথাবাড়ি থানার শ্রীপুর কলোনি এলাকায়।

    পরিবারের অভিযোগ

    মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতার কারণে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। সরস্বতী পুজোর দিনে সবজি কাটতে হাঁসুয়া নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল বলে দাবি বাড়ির লোকজনের। এরপর বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে বাড়ির (Malda) সদস্যরা। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও কোনও ভাবেও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে আজ সকালে খবর আসে ভুট্টার ক্ষেতে এক যুবতী নগ্ন মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মোথাবাড়ি (Malda) থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মালদা জেলায় লাগাতার এমন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা এবং সামজিক সুরক্ষার বিষয় নিয়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আইসিইউ-তে ভর্তি সুকান্ত, বুকে-কোমরে ব্যথা, চলছে স্যালাইন, জানালেন শুভেন্দু

    Sukanta Majumdar: আইসিইউ-তে ভর্তি সুকান্ত, বুকে-কোমরে ব্যথা, চলছে স্যালাইন, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের অত্যাচারে সাধারণ মহিলারা সোচ্চার। আর তাই এই তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবিতে জনআন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কিন্তু টাকিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়, এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত বসিরহাট থেকে কলকাতায় বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসা চলছে তাঁর। গতকাল তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আইসিইউতে রয়েছেন সুকান্ত। বুকের পাঁজর এবং কোমরের ব্যথা রয়েছে তাঁর। স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারেননি। সুকান্তর বমি ভাব রয়েছে, বিশ্রাম নিলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।”

    হাসপাতাল সূত্রে খবর (Sukanta Majumdar)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের (Sukanta Majumdar) সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। তবে এখনও সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। একই ভাবে তাঁর এমআরআই সংক্রান্ত কিছু প্রয়োজনীয় স্ক্যান করা হবে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাঁকে ইতিমধ্যে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। 

    বিজেপি সূত্রে খবর

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। শরীরে ব্যথা রয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাপক ধস্তাধস্তি হলে পড়ে যান। এরপর তাঁকে কোলে করে নীচে নামানো হয়। ফলে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখন শরীরের ভিতরে কোনও অংশে আঘাত লেগেছে কিনা তাই পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসেকরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “অসুস্থ অবস্থায় যখন সুকান্তবাবুকে নিয়ে আসা হচ্ছিল সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে এক বারের জন্যও চোখ খোলেননি। তাকানোর মতো কোনও পরিস্থিতি ছিল না তাঁর। কোমরে এবং বুকে ব্যথা রয়েছে। গাড়িতে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে টাকি থেকে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।”

    এসপি অফিসে চলছিল ঘেরাও

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে। গত মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনায় বিজেপির ৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ধর্না শুরু করেন তিনি। পরে আবার রাতে তাঁকে আটক করলে কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর বুধবার সকাল থেকেই আবার সরস্বতী পুজো করে আন্দোলনে যোগদান করলে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা রয়েছে বলে রাস্তায় বাধা দেওয়া হয়, এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ওই সময় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অবশ্য জ্ঞান ফেরে। এরপর দ্রুত হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান ফেরার। তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ শিবু হাজরা আর উত্তম সর্দারের নেতৃত্বে চলত তাণ্ডব। আর তার জেরেই গত তিনদিন ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আর এই সব ঘটনার জন্য আদতেই মুখ পুড়ছিল তৃণমূলের। তাই, তড়িঘড়ি শনিবার সকালে সাসপেন্ড করা হল উত্তমকে। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। গত তিনদিন ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা উত্তমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন।

    সাসপেন্ডের পরই গ্রেফতার উত্তম (Sandeshkhali)

    শনিবার দুপুরে রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ছ’বছরের জন্য তৃণমূল থেকে উত্তমকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরই এবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। আর দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন উত্তম। তবে, সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ৭ জানুয়ারি জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। উত্তমকে ধরে ফেলেছিলেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে, ছেড়ে দেয়। তারপর থেকে রহস্যজনকভাবে তিনি ফেরার ছিলেন। কেউ তাঁর আর হদিশ পাচ্ছিলেন না। অনেকের মতে, পুলিশের নিরাপত্তায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন উত্তম। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই উত্তম গ্রেফতার হয়ে যায়।

    গ্রামবাসীদের জমি দখল করে উত্তমের ভেড়ি!

    শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধেও এলাকায় ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ রয়েছে। পার্টি অফিসে সুন্দরী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালানো হত। প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেতাদের এই অত্যাচারের বিষয়ে মহিলারা গর্জে ওঠেন। উত্তম-শিবুর গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা, ঘেরাও করা হয় থানা। বিক্ষোভে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মহিলারা। বাঁশ, কাটারি, দা, হাতা, খুন্তি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অলিগলিতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পোলট্রি ফার্ম, বাগানবাড়িতে। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করে ওই ফার্ম তৈরি করেছিলেন উত্তমেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৯০ শতাংশ ভেড়ি গ্রামবাসীদের জমি দখল করে তৈরি করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ছিল না মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার! বাড়ির কম বয়সী বউদের তুলে নিয়ে যেত তৃণমূলের নেতারা। এরপর পার্টি অফিসে রাতভর চলত বাড়ির মাহিলাদের উপর অমানবিক পৈশাচিক অত্যাচার। যৌনশোষণ করে তৃণমূল নেতাদের মন ভরলে তবেই ছাড় মিলত।” এই ভাবেই অভিযোগ করেন জেলিয়াখালির গ্রামবাসীরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ অনুগামি উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা ব্যাপকভাবে সরব হওয়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথমে লাঠি, ঝাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে এবং শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাতভর প্রতিবাদী মহিলাদের টার্গেট করে ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হত!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের বক্তব্য বলেন, “তৃণমূল পার্টির লোকেরা আগে এসে দেখে যাবে কোন বাড়ির বউ বেশি সুন্দরী। এরপর তাঁদের মধ্যে যে কম বয়সী তাঁর বাড়িতে হুমকি চলে আসত। বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হতো তাঁদের হাতে। তুমি স্বামী হতে পারো, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার ছিল না। তুলে নিয়ে চলে যেত তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এক দিনের জন্য নয়, রাতের পর রাত ভোগ করত নেতারা। ততক্ষণ পর্যন্ত রেহাই নেই ঠিক যতক্ষণ পর্যন্ত নেতাদের মন না ভরত। সারারাত পার্টি অফিসে রেখে, ভোর বেলায় ছেড়ে দেওয়া হতো বউদের। ঠিক এই ভাবে দিনের পর দিন আমাদের গ্রামবাসীর উপর অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চালাতো সন্দেশখালির কুখ্যাত নেতা শাহজাহান বাহিনী।”

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআর করা হয়েছে। প্রধান অভিযোগ হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। মানুষের সম্পত্তি জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে প্রাণের ভয় দেখানো হত। আর তাই জেলিয়াখালিতে মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে শুক্রবার উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “চোর মমতার বিরুদ্ধে বাংলায় হিন্দু সমাজের জনজাগরণ ঘটেছে। বাংলার মায়েরাই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ, ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর-এর দাবি করলেন শুভেন্দু

    Purba Medinipur: পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ, ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর-এর দাবি করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বিরুদ্ধে ফের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “ওসির বিরুদ্ধে জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের কাছে এফআইআর করার দাবি জানাবো।” পুরাতন মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে বিজেপি সমর্থক পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল খোদ ওসির বিরুদ্ধেই। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুর-২ ব্লকের জুখিয়া পঞ্চায়েতের এক্তারপুর গ্রামে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Purba Medinipur)?

    গত রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এক্তারপুর গ্রামের ভূপতিনগর থানার পুলিশ গত বছর এলাকায় ঘটা একাধিক অশান্তির ঘটনায় বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুজিত দেবনাথকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পুলিশ এরপর সোমবার দুপুরে এলাকায় তল্লাশি করে। শুধু তাই নয় এলাকার আরও দুই বিজেপি নেতা অনুপ দেবনাথ এবং মঙ্গল দেবনাথ নামক দুই ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ পরিবারের মানুষের খাবার ছুড়ে ফেলে দেয়। বাধা দিতে গেলে বাড়ির মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুলিশ।

    স্থানীয় বিজএপির বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে। চক্রান্ত করে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক, বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছে। পুলিশ পরিবারের খাবারের থালা ছুড়ে মেরেছে।”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের দলিতেরা সুরক্ষিত নন। মমতার পুলিশ আইন ভেঙে তফশিলি জাতির মানুষের উপর হামলা করেছে। মারধর করা হয়েছে। অনুপ দেবনাথ ও মঙ্গল দেবনাথের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে। এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। ওসির (Purba Medinipur) বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি জানাই।” উল্লেখ্য আজ বুধবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যান শুভেন্দু।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের জেলা (Purba Medinipur) সভাধিপতি বলেন, “এলাকায় যারা সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে, পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। বিধায়ক এবং বিরোধী দলনেতার অভিযোগ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান”। কার্যত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এমন মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের সূচনা হবে। আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিজেপির বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার অনুমতি না মেলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে চোর চোর শুনলে রেগে যেতেন, এখন ক্যাগ শুনলে রেগে যান। চোর শব্দ শুনলে মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওঁর ঘুম ছুটে যায়। এখন ক্যাগ শব্দ শুনলে মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দল লাফালাফি করছে। আমাদের প্রতিবাদ এবং সোচ্চারে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্যাগ রিপোর্টে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর তথ্য রয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রচুর মানি ডাইভারশনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের আজ বিধানসভায় ক্যাগ নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি।”

    এফআইআর করার দাবি

    বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আমরা ৮ তারিখ বাজেটে অংশগ্রহণ করব। এরপর ৯ তারিখ রাজ্যপালের কাছে যাব। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্যাবিনেটকে পার্টি করে এফআইআর করার দাবি জানাব।”

    বাজেটে শুভেন্দুর প্রত্যাশা

    পাশাপাশি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) প্রত্যশা করে বলেন, “টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনবে সরকার।” সেই সঙ্গে আরও বলেন, “আগামী বাজটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে পারবে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করবে সরকার। আশা করবো রান্না এবং পেট্রোপণ্যের যে কর রাজ্য সরকার নেয় তা বাজটে মুকুব করবে। সিভিক পুলিশ এবং আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করবে। সরকারি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ রিপোর্টে (CAG Report) ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আগামী ১৯ তারিখের পর শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ বিধানসভায় ওই একই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে (CAG Report)

    ক্যাগ বা সিএজির রিপোর্টে (CAG Report) রাজ্যে হিসেবের গোলমাল মিলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেবের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। রাজ্যের পুর, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট মামলায় এবার দ্রুত শুনানির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের হিসেব নিয়ে কেন্দ্র যে সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট পাঠিয়েছে, সেখানে অনিয়ম রয়েছে।” এবার একে সামনে রেখেই আজ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    বিধানসভায় বিজেপির আনা আলোচনার প্রস্তাবকে স্পিকার বাতিল করলে শুভেন্দু বলেন, “ক্যাগের রিপোর্টে সর্বত্র দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউণ্টের তথ্য মিলেছে। ভয়ঙ্কর সব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের ক্যাগ-আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা শুনেই তৃণমূল লাফাচ্ছে।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, “শুভেন্দু গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতা এবং দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। কী আলোচনা হয়েছে বলছেন না। আগামী দিনে ইডি, সিবিআইকে পরিচালনা করা হবে। মমতা ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি করেছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্টকে (CAG Report) ঘিরে সোচ্চার হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁরা আলোচনার দাবিতে সরব হলে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন বিধানসভার স্পিকার। এরপর বিজেপি বিধায়করা সভার বাইরে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিএজি রিপোর্টে কী বলা হয়েছে (CAG Report)?

    সিএজি (CAG Report) অর্থাৎ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার কোনও রকম খরচের হিসাব দেয়নি রাজ্যে মমতার সরকার। ফলে রাজ্যের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য শাসক দলের পক্ষ থেকে এই সিএজি রিপোর্টকে অস্বীকার করা হয়েছে। এবার আজ মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি এই আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে আলোচনার দাবি জানায়। এরপর বিধানসভায় ব্যাপক হট্টগোলের কারণে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।

    সিএজি নিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির

    সিএজি (CAG Report) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, আলোচনার কথা বলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা করে বিজেপি। বিজেপির এই পরিষদীয় দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ ওঁরাও, শঙ্কর ঘোষ সহ মোট ছয় জন বিধায়ক। তাঁদের দাবি ছিল, সিএজি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। কিন্তু এই আলোচনায় সম্মতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    চোর চোর স্লোগান

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে আলোচনার অনুমতি না পেয়ে বিজেপি বিধায়কেরা সভার অন্দরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর শাসক দলের উদ্দেশ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে শাসক দলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে স্লোগান দেওয়া হয়।

    বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “সিএজির রিপোর্টে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদি কেউ কিছু করে না থাকেন তাহলে ভয় কিসের? স্পিকার তো নিরপেক্ষ, ওঁর উচিত ছিল আলোচনার অনুমতি দেওয়া।” উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আর্থিক খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবার মোদি রাজ্যের মমতার সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার শংসাপত্র দেখায়নি। অবশ্য মমতা পালটা চিঠি লিখে জানান, ২০০২-৩ সালের হিসাব চাওয়া হয়েছে। সেই সময় তৃণমূল ছিল না রাজ্যে। সিএজি নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share