Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Malda: রাহুলের ন্যায় যাত্রার দিনেই মমতার সভা, ইন্ডি জোট ফের প্রশ্নের মুখে

    Malda: রাহুলের ন্যায় যাত্রার দিনেই মমতার সভা, ইন্ডি জোট ফের প্রশ্নের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাস্তবের মাটিতে দেশে মোদি বিরোধী জোট কতটা সম্ভব, তা এই রাজ্যের রাজনীতির প্রবাহকে দেখলেই স্পষ্ট হয়। পাটনা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতে একাধিকবার বৈঠক হলেও আসন নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয়নি বললেই চলে। এদিকে রাম নামের ঢেউয়ে নীতীশ ফের এনডিএ জোটে বিজেপির হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন। সামনেই লোকসভার ভোট, জমি ছাড়তে নারাজ সব রাজনৈতিক দল। আগামী ৩১ তারিখ মালদায় রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা প্রবেশ করবে। অন্যদিকে ওই দিনেই মালদার (Malda) ডিএসএ ময়দানে পাল্টা সভা করছেন মমতা। ইন্ডি জোট প্রশ্নের মুখে আরও একবার। ফলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় ইন্ডি জোটের পিণ্ডি যে চটকে গিয়েছে, একথা আরও একবার প্রমাণ হল।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Malda)

    কংগ্রসের স্পষ্ট বক্তব্য, “আমাদের রাহুল গান্ধীর প্রোগ্রাম পূর্ব ঘোষিত। এই যাত্রাকে ভঙ্গ করতে মালদায় ওই দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা সভা করছেন। ৩১ জানুয়ারি বিহারের কাঠিয়ার থেকে মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর, রতুয়া হয়ে ইংরেজবাজারে আসবেন রাহুল গান্ধী। তাঁর যাত্রা মালদার সুজাপুর থেকে ১ লা ফেব্রুয়ারিতে মুর্শিদাবাদে পৌঁছাবে। কিন্তু এই সময় ইংরেজবাজারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন।” জেলা কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, “তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদের কর্মসূচিকে বানচাল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পালটা জেলা (Malda) তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বাংলায় কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। রাহুল গান্ধী তাঁর যাত্রা নিজের মতো করে করবেন। দুজনের সভা পাশপাশি চলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান আগেই ঠিক হয়েছে, তাঁর নিরাপত্তার জন্য এতোদিন সূচি প্রকাশ করা হয়নি। রাহুলের অনুষ্ঠানকে বানচাল করার কোনও ইচ্ছে নেই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মালদা (Malda) দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক আম্লান ভাদুবির সমালোচনা করে বলেন, “সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক থেকে তৃণমূল সরে যাচ্ছে। তাই কংগ্রেস এই কর্মসূচিকে ধরে সেই ভোট ব্যাঙ্ককে আবার পেতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই কেলেঙ্কারি! রাস্তায় হাত দিতেই উঠে যাচ্ছে সিমেন্ট-বালি!

    Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই কেলেঙ্কারি! রাস্তায় হাত দিতেই উঠে যাচ্ছে সিমেন্ট-বালি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২ বছর পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) যাচ্ছেন। আগামী মঙ্গলবার তাঁর সভা। বালুরঘাট পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যস্ততার সঙ্গে রাস্তা সারাই করার কাজ চলছে। কিন্তু নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহার করা সামগ্রী অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য খারাপ সামগ্রী ব্যবহারের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ।

    ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা (Dakshin Dinajpur)

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালীপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ, ‘নতুন রাস্তা থেকে পুরাতন রাস্তা অনেক ভালো ছিল। রাস্তাটি আবার তৈরি করে দিতে হবে। রাস্তার উপরের দেওয়া মশলা এমনি এমনি উঠে যাচ্ছে। রাস্তার মধ্যে হাত দিলে সিমেন্ট, বালি, পাথর, উঠে যাচ্ছে।” অভিযোগ শুনে পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়, অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    রাস্তার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভার পক্ষে এই রাস্তার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বারদ্দ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এই রাস্তার সিমেন্ট-পাথর-বালি এখনও পর্যন্ত জামাট বাঁধেনি। মোট ৪ ইঞ্চি ঢালাই রাস্তা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা করা হয়নি। ঠিক কত টাকার রাস্তা, সেই বিষয়ে কোনও রকম পোস্টার দিয়ে জনসাধারণকে জানানো হয়নি। ফলে এখানেই টাকা নয়ছয় করে কাটমানির অভিযোগ জোরালো হয়েছে। রাস্তায় চলাচল তো দূরের কথা, হাত দেওয়া মাত্রই সব উঠে যাচ্ছে।

    কী বললেন কাউন্সিলর?

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভার কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ বলেন, “রাস্তা নির্মাণে খারাপ মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ারকে দেখালে রাস্তা কেন এমন হল সেই কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে।” আবার পুরসভার চেয়ারম্যান আশোককুমার মিত্র বলেন, “রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রীর বিষয়টি নজরে আসেনি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। যদি তেমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ঠিক হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে কোনও সুস্থ মাথার মানুষ যাঁরা রাজনীতি এবং মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চান, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এসে কাজ করতে হবে।” রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রসঙ্গ টেনে ইন্ডি জোটকে কড়া সমালোচনা করে মমতাকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের টেট এবং শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক বিষয়ে সরকারকে নিশানা করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের বক্তব্য শোনার পর নন্দীগ্রামে আজ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ইন্ডি জোট হল ছন্নছাড়া দশা।” বিহাররের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ দলের জাতীয় স্তরে দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই এই বিষয়ে দেখছেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলাটা ঠিক হবে না। সুস্থ রাজনীতি করতে গেলে মোদিজির সঙ্গে কাজ করতে পারেন। দেশকে যাঁরা ভালোবাসেন, পরিবারবাদ, দুর্নীতি এবং তোষণনীতিকে যাঁরা মান্যতা দেন না, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির কাছেই এসে কাজ করতে হবে। এটাই একমাত্র ভবিতব্য।”

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে কী বললেন?

    এদিন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “নবান্নে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদব এবং নীতীশ কুমারের সাংবাদিক বৈঠকটা ছেড়ে দেবো। সব রেডি করা আছে। সুপ্রিম কোর্টে প্যানেল জমা পড়লেই তৎপরতা বাড়ে। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় কত জন চাকরি পেয়েছে? ১৫০ টাকার ফর্ম হয়েছে ৫০০ টাকা। বেকারদের কাছ থেকে এই তৃণমূল সরকার ২৭ কোটি টাকা তুলেছে। ২ কোটি টাকা খরচ করেছে পরীক্ষার জন্য। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ফিস দিতে খরচ করা হচ্ছে। বেকারদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে তৃণমূল। ২০২২ সালের টেট আবেদনকারী ছিলেন ১০ লাখ আর ২০২৩ সালে সেই টেট আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ লাখ। চাকরি যে নেই সেটা বাংলার যুবক যুবতীরা ধরে ফেলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) পিন্ডি চটকে যাওয়ার মতো অবস্থা! এর আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর জন্য সভামঞ্চ খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে রাহুলের কর্মসূচিতে আসা কংগ্রেস কর্মীদের থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তা নাকচ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে এবার জুড়ল জলপাইগুড়ির নাম। রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। টিম রাহুলের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই অশান্তির মাঝেই শহরে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। মমতার পুলিশের এহেন আচরণে চরম ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Indi Alliance)

    জলপাইগুড়িতে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। আর এদিন রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একাধিক পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে। শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। সাড়ে এগারোটায় বাগডোগরায় নেমেছেন রাহুল। এদিন সকালে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে ন্যায় যাত্রার বাস ঢুকতেই বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। ফলে, কংগ্রেস কর্মীরা ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে বাধা পান বলে অভিযোগ। কংগ্রেস কর্মীদের বত্তব্য, পরিকল্পনামাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার ধূপগুড়ির একাধিক এলাকায়  রাহুল গান্ধীর একাধিক পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বার বার এই ঘটনায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে কংগ্রেসকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে তৃণমূল রাজি নয়, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ন্যায় যাত্রায় রাহুল

    এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে রাহুল সোজা যান জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখান থেকে চলে যান জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এই কর্মসূচি শেষ করে সেখান থেকে অসম মোড়, ফাটাপুকুর, ফুলবাড়ি হয়ে রাহুল গান্ধী পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার হরিপালের সভা থেকে তিনি মমতার প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন। এমনকী অভিষেককে তাঁর খাসতালুকে তৃতীয় করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ! (Suvendu Adhikari)

    শনিবার হরিপালের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে ১৮ থেকে কুড়ি হাজার বিজেপি কর্মীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে যারা সক্রিয় কর্মী তাঁদের নাম বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে গরমিল করা হয়েছে।” তিনি  হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা এটা ছাড়ব না। এসব চলবে না। ফলতার বিডিওকে বলে রাখলাম, দরজা পরিষ্কার করে রাখুন আপনার কাছে যাচ্ছি, যে কোনও দিন। ভাইপো কে ওখানে হারাবো। বিজেপি জিতবে, ভাইপো থার্ড হবে।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভোটার তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সারা রাজ্যের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রেও ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সেই ভোটার তালিকায় মমতার প্রশাসন কতটা গরমিল করেছে তা দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কলকাতায় সংহতি মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতা বলেছিলেন, “বিজেপি রাম নিয়ে এত উচ্ছ্বাস দেখালেও সীতা দেবীকে নিয়ে কোনও কথা বলে না। বিজেপি নারী বিরোধী বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।” সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এসব চপবাজি কেউ খাবে না। পশ্চিমবঙ্গের সীতাদের খোঁজ নিতে বলুন, হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ, রামপুরহাটের সীতারা কি অপরাধ করেছে? শিখল তুলে পুড়িয়ে মেরেছেন লজ্জা লাগেনা?” প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারে এবারেও বড় অঘটন না ঘটলে প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিজেপিও প্রভাবশালী কাউকে দাঁড় করাবেন বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূলের যুবরাজের আসনেই তাঁকে হারানার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান রামের বিজয় হল অধর্ম ও অসত্যের বিনাশের সংকেত। যিনি রামচন্দ্রের অপমান করছেন, অধর্মের সাথ দিচ্ছেন, অসত্যের পথে হাঁটছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশাসন কতদিন চলে দেখব। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় সাংগঠনিক  বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি। মধ্য হাওড়ার সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের অশান্তির ঘটনার জন্য কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)। তিনি বলেন, অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি স্থাপন নিয়ে যখন আনন্দ-সমারোহ হচ্ছিল, তখন হাওড়ায় এই ওয়ার্ডে শিব মন্দিরে পাথর ছোড়া হয়। রাম ভক্তদের ওপর হামলা হয়। রামের ছবি ছেঁড়া হয়। যে গুন্ডারা এই কাজ করেছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয় পায়।

    এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)

    সনাতন ধর্মে ইন্ডি জোট ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা নেই, রয়েছে বিদ্বেষ। হামলার সময় পুলিশ ছিল না। কিন্তু জাতীয় ভোটার দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবার সময় পুলিশ টিভি বন্ধ করতে হাজির হয়। এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি ইরানি। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে ইন্ডি জোটের নেতারা আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে, সেখানে রামচন্দ্রের প্রতি অপমান আছে, এটা পরিষ্কার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই। পুলিশ চুপচাপ তামাশা দেখেছে। কেন নরেন্দ্র মোদির প্রতি রাগ, কেন ভগবান রামের প্রতি অপমান-এর জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। এদিন ডুমুরজলার সাংগঠনিক বৈঠকে এসে টিকিয়াপাড়ার ঝামেলায় আক্রান্তদের সাথে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাদের পাশে থাকার ভরসা দেন। তাঁর (Smriti Irani) আশ্বাসে খুশি আক্রান্তরা।

    অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল (Smriti Irani)

    স্মৃতি ইরানি বলেন, মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী শিখদের উৎসব উদযাপন করছিলেন। আমিও মদিনায় গিয়েছিলাম। অনেক অহিন্দু প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। পার্সিদের প্রধান পুরোহিতও অযোধ্যায় ছিলেন। কিন্তু সনিয়া গান্ধী গেলেন না। স্মৃতি (Smriti Irani) বলেন, অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল। ভারতীয় হিন্দুরা ১৮৮০র দশক থেকে এই নিয়ে লড়াই করেছেন। ঈশ্বরের ইচ্ছায় এই ভাবে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সব হিন্দুই সুযোগ পেলে অযোধ্যা যেতেন। আস্থার এই জায়গাটিই কেউ কেউ বোঝেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ

    Anubrata Mondal: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের জেলা নেতৃত্বকে জেলায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর অনুগামীদের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকী জেল থেকে বীরভূমে ফিরলে সব দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ফলে, অনুব্রত অনুগামীদের দলে গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশই সার। দলীয় সুপ্রিমোর নির্দেশকে অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। বীরভূম জেলার কোর কমিটির ঘোষণা হতেই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অনুব্রতের খাসতালুক। অনুব্রত গোষ্ঠী ও কাজল গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণের অভিযোগ তুলছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের নাহিনা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Anubrata Mondal)

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গোষ্ঠীর চার তৃণমূল কর্মী বোলপুরে খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার পথেই কাজল গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। যদিও কাজল শেখ গোষ্ঠীর সদস্যদেরও একই অভিযোগ। বোমা, গুলি নিয়ে হামলা করা হয়েছে বলেই দাবি দুপক্ষের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটেছে ও পা ভেঙেছে। সাতজনেরও বেশি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বোলপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    নতুন কোর কমিটি গঠনের পরই কোন্দল প্রকাশ্যে

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই বীরভূমের ৯ সদস্যের কোর কমিটি ভেঙে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন হয়। কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ। নানুরের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ স্বাভাবিক নিয়মে পদাধিকার বলেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়ার পরই ফের কাজল-অনুব্রত অনুগামীদের দ্বন্দ্বে শাসক দলের ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কাজল শেখ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) এ কী হাল! জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের হাইকমান্ড রাহুল গান্ধী বাংলা সফরে আসছেন। সেখানে জোটের আর এক শরিক তৃণমূল তাঁকে স্বাগত জানাবে, এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। তাঁর জন্য নানা ব্যবস্থা করে সৌজন্য দেখাবে, এমনটাও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু, কোথায় কী! রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র আগেই হোঁচট। রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস কর্মীরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাতে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পুলিশ দিয়ে হেনস্থা! (Indi Alliance)

    বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের রাজ্য সফর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমাকে কি বলে বাংলায় আসছে?” এভাবেই রাহুলের আসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই পুলিশ দিয়ে হেনস্থার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে অসম সীমানায় রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস যে মঞ্চ তৈরি করেছিল, তা পুলিশের আপত্তিতে খুলে অন্যত্র সরাতে বাধ্য হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে অনুমতি না নিয়ে মঞ্চ তৈরি করায় আপত্তি জানায় তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বক্সিরহাট দিয়ে রাহুলের রাজ্যে আসার কথা ছিল। ২৮ জানুয়ারি ছিল তাঁর জলপাইগুড়ি শহরে পৌঁছনোর কথা। সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, সেখানে এবিপিসি এবিপিসি মাঠে মধ্যাহ্নভোজ করবেন তিনি। কিন্তু, সেদিন পুলিশের একটি পরীক্ষা রয়েছে। তাই জেলা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়, রাহুল যেন দুপুর দু’টোর পরে শহরে ঢোকেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই মতো সূচি বদলানোর প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের জায়গাও বদলানোর তোড়জোড় করছিলেন।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা রাহুলকে স্বাগত জানাব বলে সভা মঞ্চ করেছিলাম। পুলিশ সভামঞ্চ খুলে দেয়। পরে, রাস্তার ঠিক উল্টো দিকে এক ব্যক্তির জমিতে আমরা মঞ্চ তৈরি করি। পুলিশ দিয়ে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।

     রাহুলের সভা নিয়ে তৃণমূল নেতারা চুপ!

    রাহুল আসার আগে প্রস্তুতি দেখতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, রাহুলের কর্মসূচিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কী করবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছিল। বেশিরভাগ তৃণমূলের জেলা নেতা এই নিয়ে অবশ্য চুপ ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা যাত্রায় যোগ দেবেন। যদিও শেষ মুহূর্তে রাহুল গান্ধী এই কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘শাহজাহানের সব কিছু রয়েছে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘শাহজাহানের সব কিছু রয়েছে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী গত ১৩ বছরে ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করেছেন। বুধবার বিকালে মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক বিজেপি জেলার পক্ষ থেকে লালবাগে নাকুড়তলাতে বিধানসভা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যোগ দেন। রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন। একইসঙ্গে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শেখ শাহজাহানের টাকা, নথি সহ সব কিছু রয়েছে সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে। সেখানে তল্লাশি চালালেই সব পেয়ে যাবে ইডি।

    ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, গত ১৩ বছরে তৃণমূল সরকার আশা কর্মী আর চুক্তিভিক্তিক কিছু চাকরি ছাড়া আর কিছু করেনি। নতুন করে চাকরি দেওয়ার কোনও সংস্থান করেনি এই সরকার। আমি নিজে ক্যাবিনেটে ছিলাম। গত ১৩ বছরে এই সরকার ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করেছে। লক্ষ লক্ষ পদে নিয়োগ নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই শূন্য পদে নিয়োগ হবে। আর অবলুপ্ত হওয়া পদ ফিরিয়ে আনা হবে। মেধার ভিত্তিতে প্রকৃত যোগ্যদের চাকরি দেওয়া হবে।

    শেখ শাহজাহান ইস্যুতে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, মমতার নির্দেশে বুধবার সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়েছে। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ১৯দিন পড়ে গেলে আর কিছুই পাওয়া যাবে না। শাহজাহানের বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে তোলাবাজ তৃণমূল নেতা শাসসুল সর্দারের বাড়িতে গেলে সব কিছু পাওয়া যাবে। শাহজাহানের বাড়ি থেকে সব টাকা শামসুলের বাড়িতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওর বাড়িতে এখন গেলে ২৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

    ডবল ই়ঞ্জিন সরকারের পক্ষে ফের সওয়াল করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    দলীয় সভা মঞ্চ থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এক সুরে বেঁধে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অধীরবাবু এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিশাল চিৎকার করেন। দিল্লি গিয়ে ভাইপোর সঙ্গে ডিনার করেন। প্রধানমন্ত্রীতে নর্দমার সঙ্গে তিনি তুলনা করেছিলেন। আরে অধীর চৌধুরীকে জিতিয়েছিলেন হিন্দুরা। আর এবার আমি হিন্দু ভাইদের বলব, এই ভুলটা আর মুর্শিদাবাদে করবেন না। আমরা মানুষের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছি কেন্দ্রে যে দলের সরকার আছে, সেই দল রাজ্যে না হলে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরবেন না। বেকার সমস্যার সমাধান হবে না। পশ্চিমবঙ্গকে চোর মুক্ত করতে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেও একই সরকার গঠন করতে হবে। এটা একমাত্র সম্ভব ডবল ইঞ্জিনের সুফল। উত্তর প্রদেশ থেকে আসাম সর্বত্র পাবেন যেটা পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না। পাঁচ কোটি লোক দূরারোগ্য ব্যাধিতে চিকিৎসা সুযোগ পাচ্ছেন, কেন পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতের সুযোগ নেই একমাত্র রাজ্যে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share