Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আঙ্গারিবন গ্রামে গ্রাম সম্পর্ক অভিযান করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি নিজে হাতে গ্রামের বেশ কয়েকজন বৃদ্ধের পা ধুয়ে দেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমি কুশমন্ডির আঙ্গারিবন গ্রামে এসেছি গ্রাম সম্পর্ক অভিযানে। এখানে এসে মানুষের ভালো সাড়া পেয়েছি। এদিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির হানা নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত আমি বলি এর আগে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি যখন তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, তখন ইডি অফিসারদের ওপর তৃণমূলের হার্মাদরা হামলা করে। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের মাথায় অশোকস্তম্ভ থাকে। অশোকস্তম্ভের সিংহকে আঘাত করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। সেই সিংহ এখন জেগে উঠেছে। সেই চুনোপুটি পোকামাকড়রা গর্তে লুকিয়ে রয়েছে। শাহজাহান এখন গর্তে গর্তে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। চিন্তা নেই, এই সিংহ জাগলে অনেক ইঁদুর পোকামাকড়কে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। শাহজাহানকে বেরিয়ে আসতে হবে।

    অনুব্রত ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি

    প্রসন্নকুমার রায়কে ইডি-র তলব নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রসন্ন রায়ের নাম এর আগেও উঠে এসেছে। তিনি পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি। তদন্ত হওয়া উচিত। তাঁর কী অপরাধ আছেে, তা সব তদন্ত করে দেখে যদি অপরাধী হয় তাকে কান ধরে জেলে ঢোকানো উচিত। কালীঘাটে মমতার বৈঠকের পর সাংসদ শতাব্দী রায় সাংগঠনিক বৈঠকে আলোচনার বিষয়টি মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন। অনুব্রত মণ্ডলকে সম্মান দেওয়ার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে জেলায় ফিরলে তাঁকে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সাংসদ জানান। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন অনুব্রত মণ্ডল যদি জেলের ভেতরে মুখ খুলে দেন, তাহলেই তার সাধের ভাইপো আর জেলের বাইরে থাকবে না। তাই, কেষ্টকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আসলে ভাইপোকে বাঁচাতে অনুব্রতকে সম্মান দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন মমতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোট (Indi Alliance) গঠন করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বপ্ন দেখছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই জোট এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে, গুয়াহাটিতে রাহুলের বক্তব্যের পরে বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নিয়ে খানিকটা ‘ইতিবাচক’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল। কিন্তু, বুধবার মমতার বক্তব্যের পরে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও জোট বা আসন সমঝোতা হচ্ছে না। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে রাহুল ঠিক কী বলেছিলেন? (Indi Alliance)

    মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে রাহুল বলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আসন বোঝাপড়ার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা চলছে। তার ফলাফল আসবে। ওই বিষয়ে আমি এখানে কোনও মন্তব্য করব না। মমতাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও দলের সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কেউ কিছু বলে দেন। ওঁদের কেউ কিছু বলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, এতে আসন বোঝাপড়ায় কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

    রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কী বললেন মমতা?

    দুদিন আগে পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে মমতা ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) সমালোচনা করেছিলেন। কংগ্রেসের নাম না করে বলেছিলেন, “আমি বলেছিলাম, যে রাজ্যে, যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা সেই রাজ্যে লড়ুক। আর আপনারা ৩০০ আসনে একা লড়াই করুন। আমরা সাহায্য করব। বাকি আসনে আমরা লড়়াই করব। তারা বলছে, তাদের মর্জিমতো হবে।” বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যাওয়ার আগে মমতাকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ মমতা জানিয়ে দেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “আমার কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমার প্রস্তাব প্রথম দিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে! আমার সঙ্গে কারও কোনও আলোচনা হয়নি। অ্যাবসলিউটলি মিথ্যা কথা!” তিনি আরও বলেন, “এই যে আমাদের রাজ্যে আসছে, আমাকে তো একবারও বলেনি!” মমতা বলতে চেয়েছেন রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র কথা। অসম থেকে রাহুল তাঁর যাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবারেই কোচবিহার দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করবেন। তার এক দিন আগে মমতার কথায় স্পষ্ট যে, ইন্ডিয়া’র শরিক হিসেবে তৃণমূল ওই যাত্রায় অংশ নেবে না। দুদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় সব আসনে লড়াই করার জন্য দলীয় নেতাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অধীর চৌধুরীকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রভু রামের জন্মস্থান দখল করতে ১ দিনে ১ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে মোঘল সম্রাট বাবর। রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”এমন ভাবেই কটাক্ষ করে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দী গ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে যোগদান করে রাজ্যের তৃণমূলনেত্রীকে তোপ দাগলেন।

    ঠিক কী বলেলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা দেখতে দেখতে চেয়েছিলেন এই রাজ্যের সনাতন ধর্মের ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে হিন্দুরা নিজের নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সাক্ষী হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। আর তাই কেন্দ্রের মোদি সরকারের তরফ থেকে বেলা হয় ২টো ৩০ মিনিটের পর যেন অফিস বা দফতরে যান। উল্লেখ্য এই দিন তো ইতিহাসে বার বার আসবে না। ৩ লক্ষ রাম ভক্ত হিন্দু প্রাণ দিয়েছেন রাম মন্দিরের আন্দোলনে। একদিনে মুসলমান শাসক বাবর ১ লক্ষ হিন্দুকে কেটেছেন, রামের জন্মস্থান দখল করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামাতঙ্করোগে ভুগছেন। তাই তিনি ছুটি না দিয়ে বাংলার হিন্দুদের মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকতে দেননি। সবটাই চক্রান্ত।”

    নেতাজি সম্পর্কে কী বললেন?

    মমতা বারবার অভিযোগ করেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে কেন্দ্র সরকার ভুলে গিয়েছে। আর এই কথাকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নেতাজিকে সব থেকে বেশি সম্মান যদি কেউ করে থাকেন তাহলে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লির প্রাণ কেন্দ্র ইন্ডিয়া গেটের কাছে কর্তব্য পথে বসানো হয়েছে নেতাজির মূর্তি। একই ভাবে কংগ্রেস সরকার যা করেনি বিজেপি সরকার নেতাজির সম্পর্কে ভারত সরকারের গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে।”

    সংহতি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে পালটা মমতার সংহতি যাত্রার পার্কসার্কাসের ভাষণকে সমালোচনা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গতকাল মমতা হিন্দুদের কাফের বলেছেন, মুসলমানরা সহ্য করছেন কীভাবে? বলছেন আল্লহর কসম! আল্লাহকে রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন। উনি সব পারেন। নন্দী গ্রামের মানুষ চিনেছে। কলকাতার মানুষ এবার ভালো করে চিনুক।” তিনি মমতাকে চোর সম্বোধন করে আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে চোর বানিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। এখন শুধু জেলে যাওয়া টাই বাকি। চোর মমতাকে আমরা জেলে দেখতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Midnapore: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে নিজের এলাকার মন্দিরেই তালা! পুজো দিতে পারলেন না দিলীপ

    Midnapore: প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে নিজের এলাকার মন্দিরেই তালা! পুজো দিতে পারলেন না দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই মেদিনীপুরে (Midnapore) পুজো দিতে পারলেন না রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একদিকে যেমন অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান চলেছে, ঠিক তেমনি রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রভু শ্রীরামের আরধনা, ভজন, কীর্তন, প্রসাদ বিতরণ চলেছে। কিন্তু মেদিনীপুর শহরের গান্ধীঘাটের রাম-সীতা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরের গেটে তালা মারা। বিজেপি’র এই সাংসদের অভিযোগ, “মন্দিরে যাতে পুজো না করতে পারি, সেজন্যই এভাবে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে।”

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ(Midnapore)?

    এই গান্ধীঘাটের (Midnapore) রাম-সীতা মন্দিরের বাইরে লাগানো ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সেই সঙ্গে পোস্টার লাগানো ছিল সংহতি মিছিলের। মন্দির চত্বরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ। অপর দিকে ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে রামলালার অভিষেক উপলক্ষে এই রাম-সীতা মন্দিরের বাইরে প্রদীপ প্রজ্বলন, আতশবাজি প্রদর্শনী করা হয়। একই ভাবে বিশেষ রাম কথা এবং ভাষণ পর্ব চলে। দিলীপ তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে বলেন, “পুজো যাতে না দিতে পারি, তাই প্রশাসন থেকে এসে তালা মারা হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূলের মেদিনীপুরের (Midnapore) স্থানীয় বিধায়ক জুন মালিয়া বলেন, “মন্দির সকলের, সকলকে সব সময় মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। যেহেতু তিনি বিজেপি সাংসদ, তাই তাঁকেও সব সময় মন্দিরে আসার জন্য আমন্ত্রণ রইল।” উল্লেখ্য গতকাল কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পাল্টা সংহতি যাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একই ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী সকাল সকাল শ্রী রামের মন্দিরের গিয়ে পুজো করেন। আবার উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব নিজের হারমনিয়ামে রামের ভজন সঙ্গীত করেন। মালদায় হরিশচন্দ্রপুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপির শ্রী রামের শোভাযাত্রায় পায়ে পা মিলিয়ে গৈরিক বসন পরে অংশ গ্রহণ করেন। সবটা মিলিয়ে রাম নামে এখন বঙ্গের হাওয়ায় এখন বেশ উত্তেজনায় পূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “রাম সকলের”, বিজেপির শোভাযাত্রায় গেরুয়া পোশাকে লাল তিলক কেটে তৃণমূল নেতারাও!

    Malda: “রাম সকলের”, বিজেপির শোভাযাত্রায় গেরুয়া পোশাকে লাল তিলক কেটে তৃণমূল নেতারাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনে গেরুয়া পোশাক পরে বিজেপির সঙ্গে শোভাযাত্রায় পা মেলালেন তৃণমূল কর্মীরাও। এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে। সেখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আরও তৃণমূল নেতা নিজে থেকেই যোগদান করেন শোভাযাত্রায়। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। রাজ্যে যেখানে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপিকে লক্ষ্য করে পাল্টা সংহতি যাত্রা করেছেন, সেখানে তাঁরই দলের সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীরা রাম মন্দির উদ্বোধনের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন! দলের মধ্যেই এখন তাই চরম অস্বস্তি।

    তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য

    প্রায় ৫০০ বছর অপেক্ষার পর আজ অযোধ্যায় শ্রীরামের জন্মস্থানেই নবনির্মিত গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ হিন্দু সমাজের কাছে উচ্ছ্বাসের দিন। তাই এদিন বিজেপির মিছিলে যোগদান করে মালদার (Malda) তৃণমূলের কর্মীরা বলেন, “রামলালাকে ঘিরে মানুষের আবেগকে অস্বীকার করা যাবে না। আমরা হিন্দু, এখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সকলে আমরা রামভক্ত। রাম সকলের, কোনও দলের সঙ্গে যোগ নেই শ্রীরামের। আমরা আমাদের মতো সমাজের জন্য কাজ করব।”

    বিজেপির গৈরিক পতাকার নীচে তৃণমূল (Malda)

    মালদায় (Malda) বিজেপির সঙ্গে গৈরিক পতাকার নীচে তৃণমূলের কর্মীরা। একই সঙ্গে পরনে গেরুয়া বস্ত্র, গেরুয়া উত্তরীয়, কপালে লাল তিলক, মাথায় গেরুয়া কাপড় বাঁধা। একই সঙ্গে হাত উঁচু করে কণ্ঠে ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে মিছিল করেছেন। এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন এলাকার শত শত হিন্দু ধর্মের মানুষ।

    পুজোর স্থান কোথায় ছিল?

    আজ যখন অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, ঠিক তেমনি বাংলার জেলায় জেলায় হিন্দু সমাজের মন্দিরে মন্দিরে পুজো-অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। আজ একই ভাবে মালাদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে একটি অস্থায়ী মন্দির বানিয়ে প্রভু রামের একটি মূর্তি নির্মাণ করে তাতেই পুজো করা হয়। এরপর একটি বিরাট শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) থেকে এলাকার গড়াগড়ি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সম্পন্ন করা হয়। এই শোভাযাত্রার শুরু এবং শেষ স্থানে ব্যাপক রামভক্তদের সমাগম হয়। একই ভাবে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে যোগদান করেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়নগরের সভার পাল্টা সভা জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের রেল মাঠে করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এই পাল্টা সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি। মূলত বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এই সভার আয়োজন করা হয়।

    মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোডিয়াম-পটাশিয়ামের গন্ডগোল পুনরায় হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কপিল মুনির আশ্রম তিনি বানিয়েছেন, এমনকী কালিঘাট-তারাপীঠও তিনি বানিয়েছেন। কি আর করা যাবে? কথাবার্তার কোনও ব্যালান্স নেই। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ৪৭ সালে বেলেঘাটায় এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান্ধীজিকে ফলের জুস খাইয়েছেন। রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন বলে তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন। দেশে আমরা আছি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাথার ঠিক নেই।

    ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো

    সন্দেশখালি তৃণমূল নেতা শাহজাহানের প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, শাহজাহান ফেরার নয়, তাঁকে পুলিশ নিয়ে নিয়েছে। তাই, শাহজাহানকে কোনওদিন ধরতে পারবে না। এছাড়াও তিনি চাঞ্চল্যকর দাবি করেন শাজাহান কোথায় রয়েছে সেই খবর আমরা জানি, সরবেরিয়া থেকে ধামাখালির মধ্যে আত্মগোপন করে রয়েছে শাহজাহান। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতা অগ্নিশ্বর নস্করকে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। অথচ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছেন। আর পুলিশ ধরতে গেলে কিছু পুলিশ রয়েছে তারাই শাহজাহানকে জানিয়ে দিচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই চোর মমতাকে আপনারা পাল্টাবেন, ততক্ষণ আপনাদের এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। যেদিন মমতা প্রাক্তন হবেন, আর চোর ভাইপো জেলে যাবেন, সেদিন মানুষ শান্তি পাবেন। তার আগে কোনও শান্তি পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমাদের লড়াই চলছে। তিনি আরও বলেন, সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা চোর নর্দমার কিট (কুণাল ঘোষ) সে তো বলে পিসি হল রামকৃষ্ণ দেব আর কয়লা ভাইপো হল স্বামী বিবেকানন্দ। আমার মনে হয়, ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি হলেন পিসি আর ভাইপো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন!’ বেফাঁস হুমায়ুন

    Murshidabad: ‘অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন!’ বেফাঁস হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের একটা অংশের বিরোধ রয়েছে। প্রকাশ্যেই দলের সাংসদ আবু তাহের সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের রোষে পড়েন। শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বেশি কথা বলার জন্য ধমক দেন। কিন্তু, বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সুর চড়িয়েছেন। এবার তাঁর সরাসরি আঙুল অভিষেকের অফিসের দলীয় এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

     অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন! (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, ‘কোনও চ্যাং-ব্যাং, ২৭-২৮ বছরের ছেলেরা ৬০, ৬২, ৭০ বছরের নেতৃত্বকে অবহেলা করবে, তাঁদের কর্তৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করবে, ভুল ট্রিটমেন্ট করা, মূল্যায়ন করা, মেনে নেওয়া যায় না। সেটা আমি সব মানব না!’ এসব বলার পাশাপাশিই অভিষেকের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘অভিষেক সত্যিই যোগ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছেন। তিনি শুধু ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নন। পাশাপাশি তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মমতার পরেই তাঁকে মানি। নবীনদের মধ্যে যদি প্রতিভা থাকে, তাঁরা নেতৃত্ব দিতেই পারেন। যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর নাম করে তাঁর অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন। নিজে নিজের ব্লক সভাপতি ঠিক করে দিচ্ছেন। তা হলে আমাদের রাজনীতি করার মানে কী? অভিষেককে আমি নেতা মানি। তাঁর হুইপ মানতেও রাজি। কিন্তু, তাঁর নাম করে কেউ অনৈতিক কাজ করবে, সেটা মানা সম্ভব নয়। তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে বলেন, দলনেত্রী মমতা আমাকে দায়িত্ব দিলে লোকসভা ভোটে বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে দু’লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেখিয়ে দেব।’

    মমতার ধমক নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    শুক্রবার দলীয় বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো সকলের সামনেও হুমায়ুনকে ধমক দেন। সেই প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন,’ ধমকের কোনও বিষয় নয়। প্রবাদবাক্য রয়েছে, শাসন করার অধিকার তাঁরই থাকে যিনি ভালবাসেন। সোহাগ করতে জানেন। দিদি আমাকে স্নেহ করেন। তাই কোনও সময়ে ভুল করলে বকুনিও দেন। আমি মনে করি, গুরুজনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রাজনীতির ময়দানে তিনি গুরুজন। তাঁর কথায় কিছু মনে করি না। তাঁর প্রতি বলার কিছু নয়। যোগ্য নেতৃত্ব বলে মনে করি।’ এরপরই তিনি চেনা ঢঙে বলেন, ‘আমাকে চমকিয়ে-ধমকিয়ে লাভ নেই। আমি বহিষ্কার বা ওই ধরনের শাস্তির ভয় পাই না। তাঁর কথায়, দল ছাঁটাইয়ে প্রস্তুত আছে। কিন্তু দল ছাঁটাই করবে কি না দলকে ভাবতে হবে। ছাঁটাই করলে কোথায় রাস্তা খুঁজতে হয়, সঠিক মূল্যায়ন করতে হয় আমি জানি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সম্প্রীতির মিছিলের নামে মমতা দাঙ্গা লাগাতে চাইছেন’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সম্প্রীতির মিছিলের নামে মমতা দাঙ্গা লাগাতে চাইছেন’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । পুলিশের খাতায় তিনি এখনও ফেরার। তবে, যতদিন যাচ্ছে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। এরইমধ্যে সামনে এসেছে তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেও জমি কেলেঙ্কারি! আর পিছনেও রয়েছে শাহজাহান। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। প্রায় দুসপ্তাহের কাছাকাছি তিনি এলাকা ছাড়া থাকায় এলাকার মানুষ এবার ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

    শহিদ পরিবারের জমিও রেকর্ড করে নিয়েছে শাহজাহানের পরিবার! (Sheikh Shahjahan)

     তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেই জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির বেড়মজুর পঞ্চায়েত এলাকায় তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। জমি আন্দোলনে যুক্ত থেকে প্রাণ হারানো কৃষকদের জন্য রয়েছে শহিদ বেদীও। অভিযোগ, সেই বেদী সংলগ্ন গরিব চাষিদের জমি শাহজাহানের প্রত্যক্ষ মদতে তাঁর ভাই বেড়মজুরের অঞ্চল সভাপতি সিরাজউদ্দিন শেখ দখল করে নিয়েছেন। শহিদ বেদীর অবস্থা তথৈবচ। ভেঙে পড়ছে চাঙর। শহিদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, বেদীর দু’পাশে জমি ৯১১ নম্বর খতিয়ান, আরেকপাশে ২২২৩ ও ২২২৪ নম্বর খতিয়ানের জমি এখন সিরাজউদ্দিনের দখলে রয়েছে। অথচ এই জমি আমাদের বাবাদের নামে। আমরা এখানে চাষবাস করে খাই। হঠাৎ করে দেখি এই জমি ওঁদের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। আমাদের জমি দখল হয়ে যায়। আর দাদার দাপটে এলাকায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। কারণ, কেউ জমি দখলের বিষয়ে মুখ খুললে বিপদ। বাড়িতে এসে ভাঙচুর করবে, মারধর করবে। পাশেই দাঁড়িয়ে গ্রামেরই আরেক বৃদ্ধা বললেন,ধমক-চমক দেখায়। অন্য জমি থাকলেও, তা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে। কোনও দিনই বিচার পাইনি, পাব বলে আশাই করি না। ইডি-র হামলার পর থেকে যদিও গ্রামে এখন আপাতত শেখ শাহজাহান কিংবা শেখ সিরাজউদ্দিন কারোরই টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বুকে বল নিয়ে সাহস করে এসব কথা বলে শাহজাহানের জমানায় অত্যাচারিত হওয়া পরিবারের লোকজন সুবিচার চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজের দাবি, অভিনব আন্দোলনে বিশিষ্টজনেরা

    Balurghat: বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজের দাবি, অভিনব আন্দোলনে বিশিষ্টজনেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাটে (Balurghat) মেডিক্যাল কলেজের দাবি জোরাল হতে শুরু করেছে। শাসক, বিরোধী সব নেতা মন্ত্রীদের পাশাপাশি এবারে জেলার বিশিষ্টজনেরাও এই আন্দোলনে শামিল হতে চলেছেন। প্রতিদিন ১০ জন করে জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা( নাট্যকর্মী, কবি, সাহিত্যিক আইনজীবী প্রমূখ) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মেডিক্যাল  কলেজের দাবিতে চিঠি দেবেন। এদিন থেকে সেই চিঠি পাঠানোর কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজের দাবি নিয়ে জেলায় লাগাতর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অরাজনৈতিক সংস্থা প্রত্যুষ ও ইকো ফ্রেন্ড অর্গানাইজেশন। এদিন বালুরঘাট হেড পোস্ট অফিসে এসে সেই চিঠিগুলি প্রদান করা হয়।

    বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজের দাবি (Balurghat)  

    দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্ত জেলা  হিসেবে বরাবরই পিছিয়ে পড়া জেলা। এই জেলার সদর হাসপাতালে বহু রোগের চিকিৎসা হয় না। যার ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সামান্য জটিলতা দেখা দিলে ভিন জেলা বা রাজ্যে ছুটতে হয়। এছাড়াও জেলা থেকে প্রতিবার বহু ছেলেমেয়ে বাইরে ডাক্তারি পড়তে যায়। এই জেলায় যে শুধুমাত্র চিকিৎসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা নয়,  ওয়াকিবহালের মতে অর্থনীতিক ক্ষেত্রেও মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজন রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলার হিলি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ কলকাতা বা চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যায়। এই জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হলে বাংলাদেশীরাও চিকিৎসা করতে আসবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বালুরঘাট (Balurghat) জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে ৩৩.৭২ একর জমি রয়েছে। যা মেডিক্যাল কলেজের জন্য পর্যাপ্ত বলেই দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই মেডিকেল কলেজ স্থাপনে কোনও উচ্চবাচ্য না থাকা নিয়ে সরব হয়ে হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী। লোকসভা ভোটের আগে যা নিয়ে সরগরম হতে চলেছে জেলা রাজনীতি।

    ১০টি করে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিদিন চিঠি পাঠানো হবে

    প্রত্যুষ ও ইকো ফ্রেন্ড অর্গানাইজেশনের সম্পাদক কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন,  এই জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো না। এখানে গরিব  ও নিম্নবিত্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজ অতি প্রয়োজনীয়। সব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হলেও এই জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে না।তাই মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের দাবি জানিয়ে আমরা আজ থেকে প্রতিদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১০ টি করে চিঠি পাঠাবো।  যতদিন না পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজ ঘোষণা হচ্ছে,ততদিন শহরের বিশিষ্টজনেরা এই চিঠি পাঠাবেন।

    বিজেপি বিধায়কের কী বক্তব্য?

    বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক তথা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া জেলা। তিন দিক বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঘেরা একটা প্রত্যন্ত এলাকা। কলকাতা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এই জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাল নয় বললেই চলে। কিন্তু, সরকারের একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে এখানে। সেটিকেই যদি মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করা যায় বা কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প রয়েছে যে প্রতিটা জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এখানে যেমন মানুষ চিকিৎসা পাবেন,তেমনি  এখান থেকে পড়াশুনা করে ডাক্তারও অনেকে হবেন।

    রাজ্যের মন্ত্রী কী বললেন?

    রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজ হওয়ার কথা চলছে। তবে যখন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ পেল, তখনই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। আমি রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি, সব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হলে এখানে কেন হবে না? আমার ধারণা, মুখ্যমন্ত্রী এই জেলায় এসে বিষয়টি দেখবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ”সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মমতা’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ”সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মমতা’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনই ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করতে চলেছে তৃণমূল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই আবহের মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ২২ জানুয়ারি ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসায় উস্কানি দিতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের উচিত হিংসায় উস্কানি দেওয়ার পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেওয়া। জানা গিয়েছে, এই মিছিলের জেরে রাজ্যে সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে, এমন দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই মনে করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।

    ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা (Sukanta Majumdar)

    বুধবার হুগলির ধনেখালিতে বিজেপির রাজ্য চিকিৎসক সেলের কো-কনভেনার ড. অরূপকুমার দাস বাড়িতে আসেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি আপনারা জানেন যে রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। হিন্দু সমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেদিন মন্দিরে মন্দিরে পুজো করবে। ভগবান রামের আরধানা করবে এবং যে দেবতার মন্দির, তাঁর আরাধনা করবে। এই পরিস্থিতিতে এই মিছিলের ডাক দিয়ে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানি দিয়ে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা আদালতের উচিত ভেস্তে দেওয়া।

    লাদেনের শেষ পরিণতির মতো খুঁজে পাওয়া যাবে না শাহজাহানকে!

    এ দিন তিনি শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না বলাটা ঠিক নয়। আসলে পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এই নাটক করছে।  সত্যের অপলাপ হচ্ছে। বিচারপতি তো আর অত খুলে বলতে পারবেন না। বলা সম্ভবও নয়। পুলিশ জানে শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছে। দরাদরি চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। তবে এটা ঠিক একবার যখন ইডির গায়ে হাত দিয়েছে, অত সহজে ছাড় পাবে না। গুহায় লুকিয়ে থেকে লাদেন একসময় অডিয়ো – ভিডিয়ো বার্তা পাঠাত। লাদেনের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল সবাই জানে। কোথায় তাকে কবর দেয়া হয়েছিল কেউ জানে না। শেখ শাহজাহানেরও সেই রকমই একটা পরিণতি হবে। খুঁজে পাওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share