Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার (Saokat Molla) ফের বেফাঁস মন্তব্য “জিনা হারাম করে দেব”। একজন জনপ্রতিনিধি, তাও আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রসের বিধায়ক! এমন মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? ভাঙড়ে এক প্রকাশ্য সভায় দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে গোলমাল হলে বিরোধী দলের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন তিনি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে গণতন্ত্র নেই বলে রোজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, আর সেখানে তাঁর দলেরই এক বিধায়ক বিরোধী দলের কর্মীদের এই রকম হুমকি দিচ্ছেন! এই ঘটনা ভাঙড় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে উস্কানি দিচ্ছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    কেন করেছেন এমন মন্তব্য(Saokat Molla)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) প্রতিবাদ সভার নামে এই মন্তব্য করেন। ভাঙড়ের বোদারা অঞ্চলের খড়গাছিতে একটি প্রকাশ্য সভায় এই রকম হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূল এবং বিরোধীদের মধ্যে দলের পতাকা লাগানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এবং সেই সঙ্গে শাসক-বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এরপর বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। 

    ঠিক কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত (Saokat Molla) বলেন, “প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে এই এলাকার মানুষ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। বোদরা এলাকায় তাদের জিনা হারাম করে দেব। এই কথা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি।” এই বক্তব্যে এলাকায় শাসক দলের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় যে ফুটে উঠেছে সে কথা রাজ্যের বিরোধী দলের কর্মীরা মনে করছেন। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে মালাদা জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “বিরধিতা করলে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে গ্রামছাড়া করা হবে।” আর এই মন্তব্যে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    ঘটনায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে একযোগে অত্যাচার করা হচ্ছে।” ঘটনায় আইএসএফের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে শওকত মোল্লারা (Saokat Molla) এই সব কথা বলেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ভাঙড়ে তৃণমূল একটাও ভোট পাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার মুর্শিদাবাদ সফরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে আসার পর সেখান থেকে বহরমপুর খাগড়া এলাকার স্থানীয় একটি জগন্নাথ মন্দিরে সাফাই অভিযান করেন তিনি। মন্দিরে ঢুকে নিজেই ঝাড়ু হাতে নিয়ে মন্দির চত্বর পরিষ্কারের কাজ করেন।

    এরপর বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সাটুই বাজারে বিজেপির বিশাল জনসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “ইন্ডি জোট ভারতবর্ষের পিন্ডি চটকাচ্ছে, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হব না।” আবার অভিষেককে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, “চোরেদের এনার্জি হল অভিষেক ব্যানার্জি”। একই ভাবেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেসের মৃত কর্মীদের বাড়িতে নিয়ে যান রাহুল গান্ধীকে।”

    তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে আক্রমণ (Sukanta Majumdar)?

    মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সভায় গিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল নেতা সুজিত বসু এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। পুজোর সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি অতিথি নিয়ে আসেন। এত টাকার উৎস কোথায়? একটা সময় কম বয়সে এগরোল বিক্রি করতেন। এখন এত সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন। তাই ইডি তদন্ত করছে।” পাশাপাশি মোদির চা বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মোদি চা বিক্রি করে লোকের টাকা চুরি করেননি। তাঁর পরিবারের লোকজন এখনও পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতারা শুধু চুরি করেন।” বালু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বালুকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিরপাত্তায় রাখা দরকার। কারণ ওঁর কাছে অনেক তথ্য রয়েছে।”

    কংগ্রেসকে আক্রমণ

    বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরিকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “অধীরদাকে বলব যদি এখনও লড়াই করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বাংলায় আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান। তৃণমূলের যে দুষ্কৃতীরা যে কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, লুটপাট করেছে, খুন করেছে, সেই সব পরিবারে নিয়ে যান পাপ্পুকে। শুধু দিল্লিতে ইন্ডি জোটের নামে ফিস ফ্রাই খেয়ে মিটিংয়ের নামে চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আপনাদের অন্যায় যাত্রা বন্ধ করুন।”

    আক্রান্ত সাধুদের সমর্থনে  কী বললেন?

    এই রাজ্যে গৈরিক বসনধারী সাধুদের আক্রান্ত হতে হয়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এই কথা বলে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “রাজ্যে পালঘরের মতো আরও একটা সাধু হত্যার ঘটনা ঘটতে চলেছিল। কিন্তু আমাদের সজাগ দৃষ্টি তা হতে দেয়নি।” আবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, “দিদির শাহজাহান এখন তাজমহল বানাতে গিয়েছেন। সরকার এবং পুলিশ দোষীদের আড়াল করছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশিপুরে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। পরে, কাশিপুর থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো শুক্রবার রাত্রে কাশিপুরে গিয়ে থানা থেকে তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে আসেন। শনিবার তাদের পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জেলা বিজেপি সূত্রে খবর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন সাধু উত্তরপ্রদেশ বেরিলির বাসিন্দা। সেখান থেকেই একটি গাড়ি করে বাংলায় এসেছিলেন। তাঁদের যাওয়ার কথা গঙ্গাসাগরে। সেখানে যাওয়ার পথে রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেন তাঁরা। এরপর পুরুলিয়ায় (Purulia) ঢোকেন। কাশিপুরের কাছে গোবরডিঙ্গা গ্রামে আনোয়ার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুজব তৈরি করে এলাকার মানুষদের খেপিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। তাঁদের উপর শারীরিকভাবে চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত সাধুরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ জানতে পেরে আক্রান্ত সাধুবাবাদের উদ্ধার করে কাশিপুর থানায় নিয়ে যায়।

    আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলত, বললেন আক্রান্ত সাধুবাবা

    আক্রান্ত সাধুবাবা মধুর মহারাজ বলেন, আমরা কোনও ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। তাঁর আগেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ কয়েক মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে আসলে ওরা আমাদের পিটিয়ে মেরে দিত। আমাদের কী দোষ তা আমরা বুঝতেই পারিনি। অকারণে আমাদের ওপর ওরা হামলা চালাল। গাড়ি ভাঙচুর করা হল।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ট্যুইট করলেন অমিত মালব্য

    এই ঘটনার পর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়। মাফিয়াদের কাছে সাধু সন্তরাও নিরাপদ নন বলে দাবী করেন। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, শেখ আনোয়ারের নেতৃত্বে এই গুজব ছড়িয়ে সাধুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এক তৃণমূল নেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্ট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গেরুয়া পোশাক পড়ে আছে বলেই বিজেপি তকমা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা আইটি সেলের সর্বভারতীয় ইনচার্জ  অমিত মালব্য মমতার পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। আনোয়ার নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের নেতৃত্ব এই হামলা হয়েছে বলে ট্যুইটও করেন।

     

     

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া অবশ্য এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দল এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। সাধুদের পুলিশ রক্ষা করেছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

    জেলা পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুজবকে কেন্দ্র করেই সাধুদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: বিজেপি বিধায়কের চেষ্টায় হল্টের জন্য তোড়জোড় শুরু করল রেল

    Asansol: বিজেপি বিধায়কের চেষ্টায় হল্টের জন্য তোড়জোড় শুরু করল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিপাহাড়ি ও রানীগঞ্জের মাঝামাঝি কুমাডিতে হল্ট স্টেশন করার দাবি স্থানীয়দের অনেক দিনের। এলাকার মানুষের দাবি, কর্মক্ষেত্রে যেতে যোগাযোগের সুবিধা প্রয়োজন। এই এলাকায় আশেপাশে বহু গ্রাম রয়েছে যেমন – টিরাত, চাপুই, রতি বাটি, চেলোদ, কুমাডি, হাড়ভাঙ্গা, নিমচা। এই অঞ্চলের গরিব মানুষকে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য প্রত্যেকদিন যেতে হয় রানিগঞ্জ, নয় কালিপাহাড়ি অথবা আসানসোলে (Asansol)। এছাড়াও মহিলাদের ট্রেন ধরতে অনেক অসুবিধা হয়। এবার রেলের আধিকারিকরা পরিদর্শনে এলেন। বিজপি বিধায়কের চেষ্টায় হল্টের জন্য তোড়জোড় শুরু করল রেল। উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল দাবি করেন, “কুমাডিতে একটি হল্ট স্টেশন হলে এখানকার মানুষের অনেক সুবিধা হবে। সেই কথা অনুযায়ী আসানসোলের ডিআরএম–এর কাছে হল্ট স্টেশনের প্রস্তাব রেখেছি।”

    কী বলল রেল?

    আসানসোল (Asansol) রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, “এলাকার অনেক দিনের যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে হল্টের দাবি জানানো হয়েছিল। আমরা আজ এলাকা পরিদর্শন করেছি। এরপর আমরা ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষের কাছে  রিপোর্ট জমা করবো।”

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক (Asansol)?

    প্রস্তাব অনুযায়ী শুক্রবার বিধায়ক ও রেল কর্তৃপক্ষ সরজমিনে পরিদর্শনে আসেন। সব কিছু দেখার পর উচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Asansol) এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই অঞ্চলের আশেপাশের মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা, এখানে একটি লোকাল ট্রেনের হল্ট স্টেশন হোক। আর তা হলে এখানকার সাধারণ মানুষ ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন। তাই তাঁদের অসুবিধার কথা শুনে আমরা রেলের উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষকে জানাই। এরপর সেই অনুযায়ী এখানকার রেলের কর্তৃপক্ষ সমস্ত বিষয় দেখেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর উপর আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। যদি কোনও বড় সমস্যা না হয় তাহলে হল্ট স্টেশন খুব দ্রুত সম্পাদন করা হবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে এই অঞ্চলের (Asansol) তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিনোদ নুনিয়া বলেন, “অনেকে এসেছেন আবার অনেকে চলেও গিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এর আগেও বাবুল সুপ্রিয় যখন বিজেপিতে ছিলেন, তখন বলেছিলেন হল্ট স্টেশন এখানে হবে, কিন্তু তা হয়নি। এবার বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এসেছেন। সামনে ভোট, এলাকা গরম করতে এসেছেন বিজেপির নেত্রী। এর আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে। বিজেপি শুধু যখন ভোট আসে তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দেয় কাজের কাজ কিছু হয় না। যদি হয়, তা হলে ভালোই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দুপুর ২ টোর সময় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা কার্তিকপুর খেলার মাঠে বিজেপির বারাসত জেলা বুথকর্মী সম্মলেনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। সন্দেশখালির পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে ইডির কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন তিনি। তিনি বলেন, “শাহজাহান যদি রাজ্য পুলিশের কাছে ধরা দেয়, তবে তাঁকে লাশ করে দিতে পারে, কারণ মমতার সরকার এখন মুসলিম লাশ খুঁজছে।”

    গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি অভিযান চালানোর সময় তাঁদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হামলায় ইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিক আহত হন। আর তারপর থেকেই পলাতক শাহজাহান শেখ। ঘটনার চারদিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও তাঁর টিকি খুঁজে পায়নি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “শাহজাহান কোথায় আমি জানি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেড়মজুর-১ থেকে ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। অথচ পুলিশ জানে না। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহানকে বলেছে সারেন্ডার করুন। কিন্তু আমি তাঁকে বলছি আপনি ইডি’র কাছে সারেন্ডার করুন। সব স্বীকার করুন। আপনি রাজ্য পুলিশের কাছে ধরা দিলে আপনাকে লাশ করে দিতে পারে, কারণ মমতার সরকার মুসলিম লাশ খুঁজছে।”

    মমতা জালি হিন্দু

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আকাশ রানি’ হিসাবে কটাক্ষ করে তাঁর ধর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “সকলেই জানে আপনি জালি হিন্দু। আপনি সংখ্যালঘুদের কিছু করেননি। আপনি পীর সাহেবের পরিবারের ছেলেকে ১৪ দিন লালবাজারে রেখেছেন, তাঁর টুপি ধরে টেনেছেন, আমডাঙায় বিস্ফোরণে মুসলিমদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন।” এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও অভিযোগ করে বলেন, “আপনি মুসলিমদের তেজপাতা হিসেবে গণ্য করেন। তেজপাতা যেমন রান্নার কাজে লাগে অথচ খাওয়া যায় না, মুসলিমদেরও আপনি ঠিক তেমনটি ভাবেন। কিন্তু আমরা এটা করি না।”

    রোহিঙ্গাদের বসিয়েছে শাহজাহান

    এদিনের সভা থেকে সিএএ, রেশন দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কোনও ইসলাম দেশ নেয়নি। ৫৫ টা মুসলমান রাষ্ট্র আছে, তারা বলেছে, নিজের দেশে যাও। কিন্তু এই শাহজাহানরাই জমি কেড়ে নিয়ে তাদের বসার জায়গা করে দিচ্ছে।” এদিনের সভা থেকে অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে নিশানা করে তিনি বলেন “বালু (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) জেলে গেছে। নারায়ণ গোস্বামী আপনি লাফালাফি করবেন না। আমার কাছে দুর্নীতির রিপোর্ট আছে। অভিজিৎ ব্যানার্জিকে সাথে নিয়ে গরু পাচার করে অনেক কামিয়েছেন আপনি। সব চোর জেলে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের দিকে এগিয়ে আসছে সাগর, বিপদের হাতছানি?

    Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের দিকে এগিয়ে আসছে সাগর, বিপদের হাতছানি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপজ্জনক অবস্থায় গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সাগর ক্রমশ এগিয়ে আসায় এই বিপদের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। গতবারের মেলায় সাগরের যা দূরত্ব ছিল, এবার এই দূরত্ব ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরের আগ্রাসন ঠেকাতে পাঁচ ফুটের শালবললি, জিও ব্যাগ, ইট-বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হিয়েছে। রবিবার রাজ্যের সেঁচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় এসেছিলেন গঙ্গাসাগরে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মেলার উদ্বোধন করেছেন গতকাল সোমবার। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাগর পাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তৎপর হয়েছে উপকূলরক্ষীও।

    স্থানীয় ঠিকাদার কর্মীর বক্তব্য (Gangasagar)

    বাঁধের কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদার কর্মী মানিক খাঁড়া বলেন, “ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে এখানে কাজ করছি। যেভাবে সমুদ্র এগিয়ে আসছে তাতে আগামী দিনে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আরও একটি মন্দির (Gangasagar) সমুদ্র গর্ভ চলে গিয়েছে। এবার কি এটাও যাবে?” আবার কপিল মুনির আশ্রমের সামনে ২ নম্বর গেটে ফুচকা বিক্রি করেন সুকেশ মণ্ডল বলেন, “আমরা ছোট বেলা থেকে দেখেছি আশ্রম থেকে এক ঘণ্টা পায়ে হেঁটে সমুদ্রের জল পায়ে ঠেকাতে হত। এখন মাত্র ২ মিনিট হেঁটে গেলেই সমুদ্রের জল। উত্তরের হাওয়ার দাপট, বর্ষার সময় পূবালী হাওয়ায় এখন সমুদ্রের ঢেউ প্রবল করে হিয়েছে। সাগরের আগ্রাসনে আমরা অনেক আতঙ্কে রয়েছি।”

    ৩০ কিমি বাই ১১ কিমি আয়তন সাগর তট

    গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির (Gangasagar) আশ্রমের সমুদ্র সৈকতের বিস্তৃতি হল ৩০ কিমি বাই ১১ কিমি। এলাকার হারাধনপুরের এক স্থানীয় ঝরু জানা বলেন, “আমার বয়স এখন ৫৫। ছোটবেলা থেকে দেখছি সাগর ক্রমশ এগিয়ে এগিয়ে আসছে। গত ২ বছরে প্রায় ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে জলের স্তর। ফলে দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের ঢেউয়ের দাপট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    তৎপর উপকূলরক্ষী বাহিনী

    মন্দিরকে (Gangasagar) ঘিরে সমুদ্রের আগ্রাসনের রীতিমতো তৎপর রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। বাহিনীর পক্ষ থেকে জেমিনি ক্রাফট দিয়ে টহল দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে এলাকায় ৬ জন করে ডুবুরি নজর রেখে চলেছেন। একই ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে হোভারক্রাফট। চলছে আকাশ পথ থেকে বিশেষ নজরদারি। ২ নম্বর ঘাটের কাছে বিপজ্জনক বলে সতর্ক বার্তা লেখা হয়েছে। আগত পুণ্যার্থীরা বলেছেন সাগরের এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য আগে দেখা যায়নি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সহায়ক মূল্যে চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে! চাঞ্চল্য

    South 24 Parganas: সহায়ক মূল্যে চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে চাষিদের থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা চলছে। এনিয়ে ঘটা করে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারও চালানো হচ্ছে। কিষাণ মান্ডিতে কাউন্টার খুলে চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনা হয়। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলায় চাষিদের থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এই জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের গঞ্জের বাজার কিষাণ মান্ডিতে চাষিরা ধান বিক্রি করতে চরম তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন। চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের গঞ্জের বাজার কিষাণ মান্ডিতে সরকারি উদ্যোগে সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে ধান কেনা চলছে। সেই মতো এই ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাষিরা ধান নিয়ে এসে সেখানে হাজির হয়েছেন। চাষিদের সকাল থেকে বসিয়ে রেখে ব্যবসায়ীদের ধান আগে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বস্তায় অতিরিক্ত মাপের ধান আনলে চাষিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাষিদের থেকে ধান নেওয়ার কথা বলা হলেও ফড়ে, ব্যবসায়ীদের থেকে বেশি করে ধান কেনা হচ্ছে।

    চাষিরা কী বললেন?

    বাবলু জানা, তপন বারিক, সুমিত মণ্ডল নামে চাষিদের বক্তব্য, সকাল থেকে আমরা ধান বিক্রয় কেন্দ্রে বসে রয়েছি। ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে। আমাদের মতো চাষিরা কেউ ধান বিক্রি করতে পারছে না। আগে অতিরিক্ত ধান নেওয়া হত। রাজ্য জুড়ে চাষিরা আন্দোলন করার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখন তা বন্ধ হয়েছে। তবে, ধান কেনা নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। অনেকে ধান বিক্রি করতে না পেরে ফের বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

    কর্তৃপক্ষ কী সাফাই দিলেন?

    ধান বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রকাশ মণ্ডল বলেন, ৫০ কেজির বেশি হলে শ্রমিকরা অনেক সময় টাকা দাবি করছেন। অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চাষিদের সঙ্গে কিছু ব্যবসায়ী হয়তো আসছেন। তবে, চাষিদের আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। ধান কেনার ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি করা হচ্ছে না।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে

    North 24 Parganas: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকহীন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে। সন্দেশখালি, বনগাঁর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও কোর কমিটির কেউই এদিন তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি লোকসভা  নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওপরেই এদিন জোর দিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।

    প্রথম বৈঠকে গরহাজির জেলার একাধিক শীর্ষ নেতা (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) চাকলায় দলের কর্মীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক বৈঠকের পর মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার। আগের বৈঠকে সোমনাথ শ্যামের আসার পরেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের পর সংঘাত শুরু হয়েছিল সাংসদ ও বিধায়কের মধ্যে। দু’জনের এই দ্বন্দ্ব অনেকদূর গড়িয়েছিল। দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকেও আসতে হয়েছিল নৈহাটিতে। সেই বৈঠকও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এদিনের বৈঠকে অবশ্য অর্জুন-সোমনাথ দু’জনেই সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অর্জুন সিং, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দাস, সুজিত বসু, তাপস রায়ের মতো জেলার শীর্ষ নেতারা গরহাজির ছিলেন।

    বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির নির্দেশ

    দু’ঘণ্টার বৈঠকে কীভাবে এই জেলার কোর কমিটি আরও সফলভাবে কাজ করতে পারে, দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় ১৬ জন সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। এ-নিয়ে দু’টি প্রস্তাব উঠে এসেছে। একটা হল, চার সাংগঠনিক জেলার সকলকে নিয়ে কনফারেন্স করতে হবে। অন্যটি হল, লোকসভার আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি বেশি করে দলের কর্মীদের তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বনগাঁর শংকর আঢ্য, সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের মতো জেলায় বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি করতে হবে বলেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠক নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘গোটা ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের দুর্নীতি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য কর্মীদের বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা থেকে বহু প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করছে। এটা আমাদের কাছে চিন্তার। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, পুরো বিচার না করে কোনও ভোটারের নাম তালিকা থেকে যেন বাদ না যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দলকে দুদিনের সময় বেঁধে দিলেন মনোরঞ্জন, তারপর কী পদক্ষেপ নেবেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Hooghly: দলকে দুদিনের সময় বেঁধে দিলেন মনোরঞ্জন, তারপর কী পদক্ষেপ নেবেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুক লাইভ করে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটানোর কথা বলেছিলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ৭ জানুয়ারি আর তিনি লাইভ হননি। তবে, ফেসবুক পোস্ট করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুদিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন। তাতে দাবিপূরণ না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন বিধায়ক? (Hooghly)

    রবিবার ফেসবুকে ফের হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুনকে আক্রমণ করে তৃণমূল বিধায়ক লিখেছেন, যাঁর বিরুদ্ধে আমার মুখ খোলার কথা ছিল, সেই বালি মাফিয়া, মাটি মাফিয়া, জুয়ার বোর্ড চালানো, গাঁজা পাচারকারী, গরু ব্যবসায়ী ও হরেক রকমের দুর্নীতিকারীদের সহায়ক। তাঁরা আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। আমার কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছিল। সঙ্গে এক পঞ্চায়েত সদস্যার ঘর বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। তৃণমূল নেত্রী বললে এক মুহূর্তেই আমি বিধায়ক পদ ‘বিসর্জন’ দিয়ে দেব। তবে, ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে থাকব। পারলে আমাকে হারিয়ে দেখাক। আমি কথা দিচ্ছি- আগের চাইতেও বেশি ভোটে জিতে দেখাব।

    মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কী লিখলেন বিধায়ক?

    বিধায়ক লেখেন, দিদির প্রতি অনুগত, যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অনুগত। যাঁরা আমার সঙ্গে আছেন, তাঁদের ওই ফুলন দেবী আর তাঁর স্বামী, কিছু পোষা গুন্ডার সামনে- সেই হিংস্র হায়নার সামনে ফেলে কিছুতেই পালাবো না। আমি লড়ছি। আর আগামীদিনেও অবশ্যই লড়াই করব। দলের দিকে তাকিয়ে দেখব আর একটা-দুটো দিন। সঠিক বিচার না পেলে তার পর দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করব ‘বলাগড় বাঁচাও’, ‘দুষ্কৃতী হঠাও’, ‘জনজাগরণ আন্দোলন’। তৈরি থাকুন!

    আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করে দিয়েছেন বিধায়ক

    মনোরঞ্জন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মোট ১৭টি অঞ্চল জুড়ে পদযাত্রা করা হবে। থানার সামনে, বিডিও আফিসের সামনে বিক্ষোভ হবে। ‘চাক্কা জ্যাম’ হবে। আমি গ্রেফতার হতেও রাজি। দুদিন অপেক্ষা করার পরই বিধানসভা জুড়ে লাগাতার আন্দোলন চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ফের রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি বেপাত্তা। তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    শাহজাহানের মতো অপরাধীর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন (Siddiqullah Chowdhury)

    শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া গ্রন্থমেলায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘ শেখ শাহজাহান দলের জন্ডিস- ক্যান্সার। তবে, ক্যান্সার(Siddiqullah Chowdhury)তো দুরারোগ্য, মরে যাবে, আর জন্ডিস সারবে না, জন্ডিস না সারলে সে মরবে আর দশজন মরবে, ওরা দলের জন্ডিস। পাশাপাশি মন্ত্রী বলেন, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেই সময় এই শাহজাহান আমাকে পুলিশের সামনে হেনস্থা করেছিলেন। শাহজাহান সিপিএম-এর জমানায় হার্মাদ বাহিনী থেকে এই দলে এসেছে। সেই বদ রক্তের কারণে ক্ষতিটা আরও বেশি হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি চাই এরকম অপরাধীদের শাস্তি হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে ভালো মানুষেরা দল করতে পারেন।’

    ইডি-র আধিকারিকদের ওপর হামলা করা ঠিক হয়নি

    ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) বলেন, আমি বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, এই হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল না। শাহজাহান নিজের শক্তির বড়াই দেখাতে গিয়ে ফেঁসেছে। দল দলের জায়গায় কাজ করুক, দল তাঁর সঙ্গে নেই। কেউ যদি মনে করে আমি আইনের ঊর্ধ্বে, তবে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। মারধর করে অন্যায় করেছে। আর এসবের জন্য তৃণমূল দল দায়ী নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক দায়ী নন, যে করেছেন তিনি দায়ী। ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও পর্যন্ত চলতে পারতো। অফিসারদের এইভাবে মারধর করা বৈধ কাজ নয়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share