Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংগঠিত শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে কেবলমাত্র শাসক দল তৃণমূল নেতার ‘শালা-ভাইপোদের’ চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এইরকম স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেও তুলেছিল। এবার দুর্গাপুরের (Durgapur) পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর গলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগের কথা শোনা গেল। 

    কী বলেলন তৃণমূল বিধায়ক (Durgapur)?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) সরকারি-বেসরকারি কারখানাগুলিতে শ্রমিক নেওয়া নিয়ে বিরোধীদল হিসাবে বিজেপি আগেও অভিযোগ তুলেছিল। এবার একই অভিযোগের কথা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখে। তিনি এদিন দুর্গাপুরের এক সভায় বলেন, “দলের পুরনো কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সুযোগ নেই। দুর্গাপুরের কোনও মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন না কাজে। জিজ্ঞেস করলেই শুনতে পাচ্ছি তৃণমূলের নেতাদের অমুকের শালা এবং অমুকের ভাইপো, ভায়রাভাইয়েরাই চাকরি পাচ্ছেন। স্থানীয় কোনও ভূমিপুত্ররা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ কথা ছিল ডিএসপি-তে যাঁরা চাকরি পাবেন তাঁরা দুর্গাপুরের লোক হবেন।” উল্লেখ্য তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। শ্রমিক নিয়োগে শাসক দলের স্বজনপোষণের কথা বলে তিনি যে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এতদিন শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও এবার তা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখেই।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    এই ডিএসপিতে (Durgapur) শ্রমিক নিয়োগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা শুধু মুখে প্রকাশ করলেই হবে না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে আরও পরিষ্কার করে তৃণমূল নেতাদের নামের উল্লেখ করতে হবে।”

    উল্লেখ্য রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে, কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের মেয়ের চাকরি বাতিলের ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রীতিমতো তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মিথ্যা বলছেন, তা প্রমাণ করলেন। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন?

    সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘রাজ্যে কর্মসংস্থানের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গোটা দেশে কমেছে কর্মসংস্থান, তবে বাংলায় কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে। বাংলায় মোট ৪২ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্যেই রাজ্যে কর্মসংস্থান অনেকটাই বেড়েছে। যা গোটা দেশের সামনে নজির তৈরি করছে। দেশে সার্বিকভাবে গত কয়েক বছরে বেকারত্বের পরিমাণ বাড়লেও রাজ্য কর্মসংস্থানের দিক থেকে উল্টো রাস্তায় হাঁটছে বলেই শিল্পপতিদের সামনে তিনি ব্যাখ্যা করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের পিছনে এজেন্সি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিল্পপতিরা ভয়াবহ বাতাবরণের মধ্যে রয়েছেন।’

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি যে মিথ্যা তার তথ্য প্রমাণ দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘রাজ্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মদিবস তৈরির দিক থেকে এক নম্বরে ছিল। অর্থাৎ, কতদিনের কাজ আছে সেই দিক থেকে এক নম্বরে ছিল। তার মানে পশ্চিমবঙ্গে কাজ নেই। সেই কারণেই মানুষ একশো দিনের কাজ করে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী আগেও মিথ্যা কথা বলেছিলেন, এখনও মিথ্যা কথা বলছেন। গোটা ভারতবর্ষে ইপিএফের ডেটা বলছে দেশে মানুষের কাজের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে।’ আর শিল্পপতিদের পিছনে এজেন্সি লাগানো প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা সৎভাবে কাজ করছে। টাটা, আম্বানি, আদানি, উইপ্রোদের কাছে তো এজেন্সি যায় না। যদি কেউ টালির চালের বাড়িতে থেকে শিল্পপতি হয়ে যান তাহলে ইনকাম ট্যাক্স তো ধরবে। জিজ্ঞেস করবে যে এত টাকা কোথায় থেকে এসেছে?’

    পুলিশ-প্রশাসনকে তোপ বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘পুলিশ তো নিজের মেরুদন্ড বিক্রি করে রেখেছে।’ পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শওকত মোল্লা। সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর কটাক্ষ, ‘ যা অবস্থা তাতে তিনি চাইলে পুলিশকে ডেকে বাথরুম পরিষ্কার করাতে পারেন। ‘

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical College: ডাক্তার বলেছিলেন পায়ের এমআরআই, করা হল মাথার! ব্যাপক শোরগোল

    North Bengal Medical College: ডাক্তার বলেছিলেন পায়ের এমআরআই, করা হল মাথার! ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন। আর এই পরীক্ষা করতে গিয়েই বিরাট গোলমালের ঘটনা ঘটল। ডাক্তার দিয়েছেন পায়ের এমআরআই করতে, আর মেডিক্যাল করেছে মাথার এমআরআই। এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (North Bengal Medical College)। ঘটনায় রোগীর পরিবার ইতিমধ্যেই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? রীতিমতো ঘটনায় তোলপাড় হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    রোগীর বক্তব্য (North Bengal Medical College)?

    রোগী আবুবক্কর সিদ্দিকি বলেন, “হাসপাতালে (North Bengal Medical College) গেলে চিকিৎসক আমাকে দেখে ভর্তির কথা বলেন। এরপর আমাকে এমআরআই করতে বলেন। কিন্তু প্রথমে আমি তারিখ পাইনি। এরপর আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরলেও পরীক্ষার জন্য তারিখ মিলছিলনা। এরপর আমি বাইরের এক দালালকে কিছু টাকা দিলে অবশেষে তারিখ পাই। গত ১৫ তারিখে ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, এটা পায়ের নয় মাথার প্লেট।” সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ায় রোগীর বাড়ি। তিনি একটি মাদ্রাসার মৌলবি।

    রোগীর আত্মীয়র বক্তব্য

    রোগীর ভুল পরীক্ষার কারণে, হাসপাতালের (North Bengal Medical College) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের আবুবক্করের আত্মীয় হাকিমুল ইসলাম বলেন, “আমরা দোষীর শাস্তি চাই। টাকা ছাড়া এখানে কোনও কাজ হয় না। ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর থেকে আরও অসুবিধার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। হাসপাতালে যদি এমন হয়, আমরা তাহলে কোথায় যাবো?”

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    ভুল রিপোর্টের কথা স্বীকার করে হাসপাতাল (North Bengal Medical College) কর্তৃপক্ষের আসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম দাস বলেন, “নাম নথিভুক্ত করার সময় ভুল করা হয়েছে। দালাল চক্রের বিষয়ে আমরা খোঁজ নেবো। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হয় তো তিনি কোনও প্রকার খপ্পরে পড়ে ছিলেন।”

    উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার সময় হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষিত নন, সেখান সাধারণ মানুষের কী অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে খোলামুখ খনিতে অবৈদ্ধ কয়লা কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করলেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বিকালে নারায়ণকুড়ি এলাকায় এসে তিনি বলেন, “অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী, সেদিনের ঘটনায় ৭ জনের মধ্যে তিনজনকে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে, বাকি ৪ জনকে কোন ডেথ সার্টিফিকেট দেননি।” এক মাসের কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পরিবারগুলির সাথে সরকারি কোনও আধিকারিক দেখা করতে আসেননি। তাই রাজ্য সরকারের মৃত্যু নিয়ে এই আচরণ বৈমাত্রেয় সুলভ বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সরব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Asansol)

    এই দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রানিগঞ্জে (Asansol) বলেন, “এই এলাকা একটা সময় শিল্পাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের নীতি না থাকায় বর্তমানে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এখানে কেবলমাত্র কয়লা চুরির ঘটনায় কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এই চুরির জন্য অনেকে জেলে গিয়েছেন আবার অনেকে জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু উল্লেখ্য এলাকায় সিবিআই এতো বড় দুর্নীতির তদন্ত করলেও এলাকার প্রশাসনের মদতে চলছে নতুন গেলাসে পুরাতন মদ। এলাকায় পুলিশের মদতে নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। স্থানীয় শাসক দলের নেতার পুলিশের সহযোগিতায় এই চুরির কারবারি চালাচ্ছেন। এলাকায় যাঁরা খনি অঞ্চলের কাজ করেন তাঁদেরকে কাজ দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে এলাকায় লোক ভাড়া করে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষের কর্ম সংস্থান নেই।”

    মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি

    খোলামুখ খনি এলাকায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, “খনি অঞ্চলে (Asansol) ইএসএল কর্তৃপক্ষ এলাকার শাসক দলের চাপে সম্মিলিত ভাবে তৃণমূলের কাজকে সমর্থন করছেন। বিজেপি জেলা সভাপতির বাপ্পা এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হয়। ধসের কারণে যাঁদেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। আজ যদি এলাকার মানুষেরা কাজের সুযোগ পেতেন তাহলে এই রকম বিপত্তি ঘটতো না। পশ্চিমবঙ্গে করোনা হোক, ডেঙ্গি হোক মৃতের সংখ্যা কম দেখানো এই মুখ্যমন্ত্রীর একটা রোগ। এতো মৃত্যু দেখালে সারা দেশে প্রচার হবে তাই মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মারা গেছেন ৭ জন আর নাম পাঠানো হয়েছে ৩ জনের। তিনটে চেক এসেছে কিন্তু বাকি চারটে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি পরিবারকে। আমরা আগামী ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রের কয়লা মন্ত্রীকে এই এলাকায় আসার জন্য অনুরোধ করব। এলাকার সমস্যা সমাধানে আমরা সকালের পাশে আছি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী এখন গেরুয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ভোগীদের চোখে গেরুয়া আগুন লাগবেই। কারণ, গেরুয়া হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক। আর তিনি এখন ভোগী হয়ে গেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোগী বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার এক বর্ধিত সাধারণ সভার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে এই কথা বলেন তিনি।  

    ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়া নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের তালিকা আগে প্রকাশ করুক সরকার। তৃণমূলের হয়ে বোম মারতে গিয়ে যারা মারা গেছেন তাদেরকে সুবিধা দিতে সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা, যারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের আত্ম বলিদান দিয়েছেন তাদের নাম হয়তো এই তালিকায় থাকবে না। এমনই আশঙ্কা করেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের যে তালিকা আছে তার ভিত্তিতেই সরকারি সুবিধা বা চাকরি দেওয়া হোক। এছাড়াও তিনি বলেন, এই সামান্য বেতনের অস্থায়ী হোম গার্ডের চাকরি না দিয়ে রাজ্য সরকার ভোট পরবর্তী হিংসায় শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরেও যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের একজনকে স্থায়ী সরকারি চাকরি দিক। লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন। এমনই অভিযোগ করেন তিনি।

    আইনমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    মলয় ঘটককে ইডি-র তলব নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লাকাণ্ডের ডায়েরিতে এমজি বলে একটি নাম লেখা ছিল। তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা মাসে দিতে হত। এই এম জি কে তা সবাই জানেন। মলয় ঘটকের পিএ-র স্ত্রী নিউ টাউন, আসানসোলে কত সম্পত্তি রয়েছে তা সকলেই জানেন। আমরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে খুব শীঘ্রই আমরা অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দেখতে চাই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘জার্সির রঙ গেরুয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী কি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন’’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘জার্সির রঙ গেরুয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী কি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন’’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে ভারতীয় দল গেরুয়া জার্সি পরে কেন প্র্যাকটিস করবে? শুক্রবার পোস্তাতে ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পূজার উদ্বোধনে এই প্রশ্ন তোলেন মমতা। এ নিয়ে শনিবারই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘ভারতীয় টিমের জার্সির রঙ যদি গেরুয়া হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কি গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেবে নাকি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন?  এদেশকে গেরুয়া হিসেবে লোকে চেনে। ভারতের জার্সির রং গেরুয়াই করা উচিত। এতদিন কেন করেনি সেটাই প্রশ্ন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শুধু বলতেই পারেন কিছু করার ক্ষমতার ওনার নেই।’’

    আরও পড়ুুন: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    দলীয় কাজে মুর্শিদাবাদে দিলীপ ঘোষ

    প্রসঙ্গত দলীয় সংগঠনের কাজে এখন মুর্শিদাবাদের রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালেই প্রাত ভ্রমণে বের হন বিজেপি নেতা। তখনই বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি (Dilip Ghosh) এবং সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘হল্যান্ডের লোকেরাও তো গেরুয়া পরে ওটা কি হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে গেছে নাকি? উনি শুধু কটাক্ষই করতে পারবেন। আর কিছু পারবেন না।’’

    আরও পড়ুন: ব্যক্তিস্বার্থে নয়, সমষ্টির জন্য কাজ করাকেই ধর্ম বলে, জানালেন আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্য

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইস্যু পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জার্সির রঙের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক দূরদূরান্ত পর্যন্ত নেই। কারণ ২০১১ সালে লাল জার্সি পরে প্র্যাকটিস করত ধোনি বাহিনী। সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় দল। খুব স্বাভাবিকভাবে এখন যদি কেউ প্রশ্ন তোলেন জার্সির রঙ লাল কেন? তা অবান্তর প্রশ্ন ছাড়া কিছুই নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দুর্নীতি ইস্যুতে কোনঠাসা মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও ইস্যু খুঁজে না পাওয়াতেই শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের গেরুয়াকরণ নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন মাননীয়া। কোনও কোনও মহলের মতে, এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য বোর্ডের সচিব জয় শাহ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেয়নি মমতা সরকার! অভিযোগ শুনতে কল-সেন্টার চালু করছে বিজেপি?

    BJP: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেয়নি মমতা সরকার! অভিযোগ শুনতে কল-সেন্টার চালু করছে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। ঠিক তার আগে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে জনসংযোগ বাড়িয়ে নিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে রাজনৈতিক রং দেখেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা মেলে। গ্রামবাংলায় শাসকদলের কর্মী হলেই পাওয়া যায় আবাস যোজনার ঘর, অথবা যেকোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতরা নিজেদের সমস্যার কথা এবার সরাসরি হেল্পলাইহেল্পলাইনে জানাতে পারবেন রাজ্য বিজেপিকে (BJP)। সমস্যাগুলি সমাধানের যাবতীয় চেষ্টাও করবে গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এরকম কল সেন্টার খোলার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত এখনও সেভাবে কিছু জানা যায়নি।

    ধর্মতলায় বিজেপির সমাবেশ

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে রাজ্য সরকার নিজেদের বলে তা চালাচ্ছে, এনিয়ে যেন সাধারণ মানুষ তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন করেন, এমন পরামর্শও দিতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদেরকে নিয়ে বড়সড় সমাবেশও করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় সেই সমাবেশে হাজির থাকতে পারেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে, এই অভিযোগে দিল্লিতে গত অগাস্টেই এক প্রস্থ নাটক করে অভিষেক ও তাঁর দলবল। তারই পাল্টা এই সমাবেশ হচ্ছে। এমন সমাবেশ যে হতে চলেছে তার ইঙ্গিত তখনই পাওয়া গিয়েছিল যখন অভিষেক রাজভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলেন। রাজ্য সরকারকে লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে চেপে ধরতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

    গ্রামে গ্রামে দুর্নীতি

    বিজেপি নেতৃত্ব বার বারই দাবি করে এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে মমতা সরকার। গ্রামস্তরে দুর্নীতির টাকার ভাগ নিয়ে শাসক দলের গোষ্ঠীবিবাদও আর অজানা নয়। কাটমানি দিলে মিলবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা, এমন অলিখিত নিয়ম (BJP) পশ্চিমবঙ্গের সব গ্রামেই চালু রয়েছে। শাসক দলের এমন দুর্নীতিতে মানুষের ক্ষোভ চরমে রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে শাসক দলের নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করেছিল সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rejinagar Industrial Area:  বুদ্ধদেবের আমলে শিলান্যাস, মমতার আমলেও খাঁ খাঁ করছে রেজিনগর শিল্পতালুক!

    Rejinagar Industrial Area: বুদ্ধদেবের আমলে শিলান্যাস, মমতার আমলেও খাঁ খাঁ করছে রেজিনগর শিল্পতালুক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক দশক অতিক্রান্ত! কিন্তু শিল্পের দেখা নেই রেজিনগর শিল্পতালুকে (Rejinagar Industrial Area)। বুদ্ধদেবের আমলে শিলান্যাস, মমতার আমলেও খাঁ খাঁ করছে রেজিনগর শিল্পতালুক। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর আসার কথা ছিল ‘কৌশিস ই মিবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেড’-এর। ‘ই-বাস’ নির্মাণ কারখানা গড়ে তোলা হবে বলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরও হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে কারখানার নির্মাণ কোথায়? এই বছর আবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হবে, কিন্তু শিল্পের দেখা কি সত্যিই মিলবে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের মনে। শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকার কতটা ইচ্ছাশক্তি রাখে, তাও প্রশ্নের সম্মুখীন। তাই জেলার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনে সুযোগ পেলে বিষয়টি তুলে ধরবেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শিল্পতালুকে বিদ্যুৎ এবং জল নেই, জনমানুষের অভাব, খাঁ খাঁ করছে শিল্পতালুক। কারখানা হলে কিছু কর্মসংস্থান হত। তাই কবে কারখানা হয়, তাই এখন দেখার।

    মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বক্তব্য 

    জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “গত বারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রেজিনগর শিল্প তালুকে (Rejinagar Industrial Area) ই-বাস তৈরির কারখানার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এবছর আরও একটি সম্মেলন আসতে চলেছে, কারখানার কোনও দেখা মেলেনি। মুর্শিদাবাদ জেলার বহু মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন কাজের জন্য। জেলায় কোনও শিল্প নেই, তাই এই জেলায় শিল্প হলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হতো।”

    জেলা শিল্পকেন্দ্রের বক্তব্য (Rejinagar Industrial Area)  

    এই জেলার শিল্পকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আহমোদুল্লা তালিব বলেন, “আগামী ২১-২২ নভেম্বর কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ সম্মেলন হবে। দুই দিন দুই পর্বে আমাদের জেলার বিভিন্ন বিভাগের ৩০ জন উদ্যোগী ব্যবসায়ী উপস্থিত থাকবেন। জেলা কেন্দ্রে আগামী শনিবার এই নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে।” আবার রেজিনগর প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমি সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। রেজিনগর শিল্পতালুকে (Rejinagar Industrial Area) ই-বাস তৈরির কারখানার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”

    জেলা প্রশাসনের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৮ সালে তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রেজিনগরে ১৮৭ একর জমিতে শিল্পতালুকের শিলান্যাস করেছিলেন। সেই সময় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছেই এই শিল্পতালুক (Rejinagar Industrial Area)।  কিন্তু তারপর আর কিছু এগোয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারকে উৎখাত করতে হবে। রাজ্যে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। এটা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার কোনও বক্তব্য নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার ঘনিষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নারায়ণ (জহর) মজুমদার এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি একথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান ওই তৃণমূল নেতা? (Alipurduar)

    নিজের হাতে তৈরি করা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপের বিতশ্রদ্ধ হয়ে এদিন মমতা সরকারকে উৎখাত করতে আমজনতাকেও জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন জহরবাবু। জহরবাবু একসময় বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি আইনজীবীও ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে জহরবাবুর মতো একজন ৮২ বছরের বর্ষীয়ান নেতার এ ধরনের মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্যান পালন দফতরে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত কিছুই হয়নি। উলটে কেন তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারজন্য প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সরকারি আর্থিক তছরুপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুবিচার হয় না। এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে ফেরাতে বিরোধী সব দলকে সব মানুষকে একজোট হতে হবে। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেই দলকে শক্তিশালী করে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। জহরবাবু দাবি করেন, দলে পুরানোদের কোনও মর্যাদা নেই। যারা শাসক দলে এখনও রয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশ মানুষও এই দলের উপর তিতিবিরক্ত হয়ে রয়েছেন। ওই মানুষগুলো সামনের লোকসভা ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।

    কী বললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক  বলেন, জহর বাবু শ্রদ্ধেয় মানুষ। তিনি ঠিক কি বলেছেন, তা আমার জানা নেই। তাই তাঁকে নিয়ে আগেভাগে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর থিমেও ভরপুর রাজনীতির ছোঁয়া। বর্ধমানে সেই রকম একটি কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত দেখা দিয়েছে। কালীপুজোর প্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর সাজে। তিনি স্বয়ং লালাকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিল তৃণমূল কীভাবে? আর এই থিমের বিষয় নিয়েই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি বলেছেন, এই থিম সনাতনী বিরোধী।

    থিমে রাজনীতি (Kali Puja 2023)

    কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে জেলায় জেলায় তীব্র উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। সকল ক্লাব, বারয়ারি, এবং ব্যবসায়ী সমিতির কালীপুজোগুলি অমাবস্যার রাতে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। কোথাও কেদারনাথ, কোথাও দক্ষিণ ভারতের মন্দির আবার কোথাও ধরা পড়েছে ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চিত্র। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রমী বর্ধমানের (Kali Puja 2023) এক কালীপুজোর থিম। এই দিন দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মডেল রূপে সাজানো হয়েছে। বিতর্ক এখানেই যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লালকেল্লায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। যদিও এই কালীপুজোর মণ্ডপের থিম লালাকেল্লা, তার একজায়গায় লেখা রয়েছে ইন্ডিয়া ১৫ অগাস্ট, ২০২৪।

    কালীপুজোর কমিটির বক্তব্য

    বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু বলেন, “বিজেপির ধর্মীয় বাতাবরণে দেশে বিভেদের রাজনীতি চলছে। সেই জায়গা থেকে বাংলার এই থিম (Kali Puja 2023) মানুষকে মুক্তির বার্তা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনের ইচ্ছাকে এই থিমের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সকলেই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার বিজেপির পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই থিমের (Kali Puja 2023) বিরোধিতা করে বলেছেন, “সনাতনধর্মের মানুষদের একটা প্রধান পুজো হল কালীপুজো। কালীপুজোর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। এই ধরনের থিমের আমদানীতে সনাতনী সমাজের মনে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন কোনও দিনই পূরণ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের, এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share