Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন বালু” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন বালু” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেজুরির বাঁশগোড়া বাজার কমিটি আয়োজিত “শ্রীশ্রী কালীপুজো ও দীপাবলি” উৎসবের শুভ সূচনা করে সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বালুর শরীর খারাপ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে চাইছেন।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “সনাতনকে রক্ষা করতে পারলেই আমাদের উদ্বাস্তু হতে হবে না।”

    বালুকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমি মারা যাবো, অবস্থা খুব খারাপ।” এরপর বালুর শরীর খারাপ প্রসঙ্গে  শুভেন্দু বলেন, “এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁয়াড়। সেখানেই যেতে চাইছেন। ওখানে গেলে আদর-যত্ন ভালো পাবেন। আর এই জন্যই এমন করছেন। ওসব নাটক ছাড়া কিছুই নয়। ওঁর কিচ্ছু হয়নি।”

    খেজুরি নিয়ে কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    খেজুরিতে কালীপুজোর শুভ সূচনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১০ সালে তৎকালীন সিপিএমের হার্মাদরা মানুষের গণতন্ত্রকে লুট করে গোটা খেজুরিতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে দিয়েছিল। সেই দিন আমি এলাকার রাস্তায় নেমে পদযাত্রা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের চোর-গুন্ডারা সনাতন ধর্মের উপর আক্রমণ করলে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। পুজো উদ্যোগতাদের বলব বাজারের খুচরো ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্সের টাকা যেন বৃদ্ধি না করা হয়। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ২ কোটি বেকার তৈরি করেছেন। এই রাজ্যের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়েছেন।”

    সনাতন ধর্ম নিয়ে কী বলেন শুভেন্দু?

    কালীপুজোর উদ্বোধন করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সনাতন ধর্মকে বারবার অপমান করেছেন। দুর্গাপুজোয় দেবী পক্ষের আগেই উদ্বোধন করে হিন্দু ধর্মের সম্মানহানি করেছেন তিনি। মন্ত্রের পাঠ এবং উচ্চারণ ভুল করে বিকৃত করছেন। তথাকথিত সেকুলারদের সনাতন ধর্মের উপর আক্রমণ করার সুযোগ করে দেন মাননীয়া। তাই বঙ্গে ভারতীয় সনাতনী মূল্যবোধ গীতা, উপনিষদ, বেদ, রামায়ণ, মহাভারতকে রক্ষা করতে হবে। ধর্মকে রক্ষা না করলে, ধর্মও মানুষকে রক্ষা করবে না।

    সনাতন ধর্ম রক্ষা এবং উদ্বাস্তু নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আফগানিস্তানে তালিবান শাসন চলছে। যাঁরা ধর্ম সংরক্ষণ করেছেন তাঁদের অনেককেই ভারতে পুনর্বসতি দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা ধর্ম ত্যাগ করেছেন তাঁদেরকে ধর্মও ত্যাগ করেছে। তাই এই কার্তিক মাসে আমাদের হিন্দু সনাতনী ভাবনার মূল্যবোধকে রক্ষা করতে হবে। দামোদর মাস, হরিনাম, বৈষ্ণব ভোজন, পূজা-পার্বণ করতে হবে। সেই সঙ্গে সনাতনীদের উপর আক্রমণ হলে সকলকে একত্রিত হতে হবে। এই কাজ করতে পারলেই ভারত কখনও ইউক্রেন, প্যালেস্টাইন বা লেবাবান হবে না। তাই আমরা সনাতনকে রক্ষা করলেই আর উদ্বাস্তু হবো না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • State Advocate General: মমতা সরকারের সঙ্গে সংঘাত? ইস্তফা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের

    State Advocate General: মমতা সরকারের সঙ্গে সংঘাত? ইস্তফা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (State Advocate General) পদ ছাড়লেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ইমেইল মারফত নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। কোনও কোনও মহলের দাবি, সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে লাগাতার সংঘাত চলছিল নবান্নের। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। আবার আইনজীবীদের একাংশের মতে, সৌমেন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন সংবিধান সম্পর্কিত মামলা ছাড়া আর কিছু তিনি কিছু লড়তে যাবেন না। সম্প্রতি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ সরকারি আইনজীবীরা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করেন সৌমেন্দ্রনাথবাবুও। এরপরেই শাসক দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল।

    কে হচ্ছেন নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল?

    সূত্রের খবর, নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) হতে চলেছেন আইনজীবী কিশোর দত্ত। রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরে মুখ্যসচিব এবং আইনমন্ত্রীকেও পদত্যাগ পত্র পাঠাবেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এমনটাই জানা গিয়েছে। চলতি মাসের ৭ তারিখেই সরিয়ে দেওয়া হয় পাবলিক প্রসিকিউটার শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হন দেবাশিষ রায়। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে অ্যাডভোকেট জেনারেল পদেও বদল আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত যে কিশোর দত্তের নাম আবার অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে উঠে আসছে তিনি এর আগেও ওই দায়িত্বে ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে তাঁকে সরিয়ে দেয় মমতা সরকার।

    অ্যাডভোকেট জেনারেলদের ইস্তফার ইতিহাস 

    তৃণমূল জমানায় এর আগে একাধিক অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) ইস্তফা দিয়েছেন। সেই ইতিহাসটাও একবার জেনে নেওয়া যাক। ২০১৩ সালে অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন বিমল চট্টোপাধ্যায়। অনিন্দ্য মিত্রের পরেই বিমলবাবু ওই পদে বসেছিলেন। ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তখনই অনিন্দ্য মিত্রকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল করা হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন বিমল চট্টোপাধ্যায়। এর পরবর্তীকালে দেখা যায় ২০১৭ সালের তৎকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্রও ইস্তফা দেন। সে সময় কারণ হিসেবে উঠে আসে সরকারের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) পদে নিয়োগ করা হয় কিশোর দত্তকে। ২০২১ সালে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Holiday List 2024: ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজ্যের, পুজোর মরসুমে ১৬ দিন টানা ছুটি

    Holiday List 2024: ২০২৪ সালের সরকারি ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ রাজ্যের, পুজোর মরসুমে ১৬ দিন টানা ছুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে ছুটির তালিকা সামনে এল, এদিনই তা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। ওই তালিকায় (Holiday List 2024) দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালে বেশ কিছু ছুটির দিন রবিবারেও পড়ে গিয়েছে। আবার দুর্গাপূজার সময় সরকারি কর্মচারীদের একনাগাড়ে ১৬ দিন ছুটি থাকছে। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে মমতা সরকার। এমনিতেই রাজ্য সরকারের অফিসগুলি নিয়ে জনসাধারণের অভিযোগ কম কিছু নয়। সঠিক পরিষেবা মেলে না, বারবার চক্কর কাটতে হয়। রাজ্য সরকারি অফিসের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ব্লক অফিস থেকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত সর্বত্রই। এরই মাঝে পুজোর মরসুমে ১৬ দিনের ছুটি নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।

    মোট ৪৫ দিন ছুটি থাকবে….

    আগে আগে পঞ্চমী থেকে ছুটি ঘোষণা করা হতো কিন্তু এবারে তা চতুর্থী থেকেই। স্বাভাবিকভাবে এই সময় যে সরকারি অফিসগুলোতে কাজকর্ম শিকেয় উঠবে একথা বলছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ২০২৪ সালের হিসেব অনুযায়ী ন্যাশনাল ইম্পর্ট্যান্স অ্যাক্ট বাই এনআই অ্যাক্টে ২০২৪ সালে ছুটি থাকার কথা ২২ দিনের এবং তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের ছুটি ২৩ দিন। অর্থাৎ জরুরী পরিষেবাকে বাদ দিলে বছরে মোট ৪৫ দিন ছুটি থাকবে। রাজ্য সরকারের দফতরগুলিতে (Holiday List 2024) অবশ্য বেশ কিছু বাতিলও হয়েছে। কারণ দুটো ছুটি একই দিনে পড়েছে।

    নতুন দুটি ছুটি..

    যেমন, ২০২৪ সালের বাংলা নববর্ষ ১৪ এপ্রিল এবং ডঃ বি আর আম্বেদকর এর জন্মদিন একই দিনে। আবার ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন এবং সরস্বতী পুজো একই দিনে পড়েছে। বিরসা মুন্ডার জন্মদিন এবং গুরু নানকের জন্মদিনও ১৫ নভেম্বর একই দিনে (Holiday List 2024) পড়েছে। রথযাত্রা, ভাইফোঁটা সমেত বেশ কিছু ছুটি বাংলার এরকম ভাবে বেশ কিছু ছুটি মারও গিয়েছে। দুটো নতুন ছুটির সংযোজনও হয়েছে ৬ এপ্রিল শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন এবং ১৩ জুলাই কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। নিয়ম মেনে জমি অধিগ্রহণ করে টাটা গোষ্ঠী হুগলির সিঙ্গুরে (Singur) ন্যানো কারখানা তৈরি করছিল। ৯০ শতাংশ কারখানা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। দো-ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না, এই অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের বন্ধু হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের আন্দোলনে পিছু হটতে বাধ্য হয় টাটা গোষ্ঠী। সিঙ্গুর আন্দোলনের উপর ভর করে রাজ্যে বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর এক যুগ কেটে গিয়েছে। এবার সেই সিঙ্গুর, সেই জমির গেরো! আর তাতেই মমতা সরকারের আমলে জুয়েলারি হাবের ভবিষ্যৎ শিকেয়। আপাতত হন্যে হয়ে জমি খুঁজছে হুগলি জেলা প্রশাসন। এলাকার মানুষের বাধায় জুয়েলারি হাব করার জন্য তৃণমূল সরকার সিঙ্গুরে জমি পায়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত এই কাজ করা হবে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Singur)

    এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সিঙ্গুরে (Singur) নসিবপুর পঞ্চায়েতে সরকারি খাস জমিতে ০.২৩ একর জমিতে সিঙ্গুর ইমিটেশন জুয়েলারি ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, সেখানে ৩৮টি ইউনিট থাকবে। এর মাধ্যমে হাজার পাঁচেক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ পাবেন, মিলবে নানা ধরনের সুবিধা। গত মার্চ মাসেই সরকারি কর্তারা জমি মাপতে এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁরা বাধা পান। টাটাদের যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে এলাকার মানুষ সরকারি ওই আধিকারিকদের বাধা দেন। ব্লক প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা পৌঁছলেও জট কাটেনি। এলাকার মানুষ সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়ে বলেছিলেন, এই জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসন বহু চেষ্টা করেও চাষিদের মন জয় করতে পারেনি। আর তাই বছরের প্রায় প্রথম দিক থেকে জমি নিয়ে এই হাব তৈরিতে সমস্যা হলেও বছর শেষেও এই সমস্যা মিটল না। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টুম্পা ঘোষ বলেন, ‘জায়গাটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’ বিরোধীদের বক্তব্য, এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে সিঙ্গুরেও মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। চাষিরাও আর দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না। এই সিঙ্গুর তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছে, এই সিঙ্গুরই তৃণমূলকে ডোবাবে।

    কী বললেন জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার?

    জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুমনলাল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গুরে (Singur) জুয়েলারি হাবের জন্য আগে যে জমি দেখা হয়েছিল সেখানে কিছু সমস্যা আছে। আমরা নতুন জমি খুঁজছি। আমরাও চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব জমি খুঁজে এই ক্লাস্টারের কাজ চালু করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বাজার এলাকায় বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের একের পর এক মন্ত্রীরা সবাই জেলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করছেন। নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের আগলে রাখতে এবং নির্দোষ প্রমাণ করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু, যতই ভয় দেখাক না কেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না। রাজ্য সরকারের যে পাহাড় সমান দুর্নীতি, সেই দুর্নীতির মুখোশ এবার সাধারণ মানুষের সামনে খুলে গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার রাজনীতিতে অবদান হল অশিক্ষিত লোকেদের রাজনীতিতে আনা। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেন “কাজের সময় কাজী, আর কাজ ফুরালেই পাজি”। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন, তাদেরকে জেরা করা প্রয়োজন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলছেন, তিনি কিছু জানেন না। দশ বছর ধরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চুরি করে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী জানেন না এই কথা বললে আর কেউ বিশ্বাস করবে না।

    দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কর্মীদের চাঙা করতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি প্রার্থী ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবে। মানুষ এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে আর দেখতে চাইছে না। বিজেপি একমাত্র পারবে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়ে তুলতে। তাই, জোটবদ্ধ হয়ে কর্মীদের এখন থেকে লড়াই করার ডাক দিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Viswa Bharati: মেয়াদের শেষলগ্নে মমতাকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের, দিলেন দুর্নীতি ইস্যুতে খোঁচাও

    Viswa Bharati: মেয়াদের শেষলগ্নে মমতাকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের, দিলেন দুর্নীতি ইস্যুতে খোঁচাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়াদের শেষলগ্নে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ওই চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য লেখেন, ‘‘আমার প্রতিটা মুহূর্ত আমি সুন্দরভাবে কাটিয়েছি বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে।’’ চিঠিতে বিশ্বভারতীর অন্দরকে দুর্নীতির আখড়া বলে উল্লেখও করেছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবেই দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন উপাচার্য। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মতে, ‘‘যারাই বিশ্বভারতীর দুর্নীতিকে সাফ করার কথা চিন্তাভাবনা করে, তাদের প্রত্যেককেই সহজ লক্ষ্য বানানো হয়।’’

    রবীন্দ্রনাথের অনুগামীর ভান করে অনেকে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করেন

    এক্ষেত্রে উপাচার্য উদাহরণ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও। যিনি ছিলেন প্রথম উপাচার্য বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati)। রবীন্দ্রনাথের পুত্রকেও বাধ্য হয়ে উপাচার্যের পদ ছাড়তে হয়েছিল বলে এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন উপাচার্যের আরও দাবি করেছেন, ‘‘যাঁরা নিজেদেরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুগামী বলেন, তাঁরাই ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সদা কাজ করেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনকে এখানে একটা ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করেন তাঁরা যা কিনা ব্যক্তি স্বার্থকে চরিতার্থ করতে কাজে লাগে।’’

    আজই শেষ হচ্ছে উপাচার্যের মেয়াদ 

    প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর শেষ হচ্ছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ। তার আগে মঙ্গলবারই সামনে এল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা তাঁর পাঁচ পাতার চিঠি। এদিন যে চিঠিতে উপাচার্য লেখেন,  “সবশেষে বিশ্বভারতীতে (Viswa Bharati) পরিবর্তন হচ্ছে, তাই যারা এর থেকে ফায়দা নিতেন, তারা ভীত এবং প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে, তাই তারা এবার শেষ কামড় দিচ্ছেন।”  প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ২০১৮ সালের নভেম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এটি। বিশ্বভারতীর আচার্য খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পায় বিশ্বভারতী। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এর পুরো কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ঠিক এই কারণে বারবার উপাচার্যকে তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে  নন্দকুমারে ” বিজয়া সম্মিলনী”র আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা আগেই জেলে গিয়েছে, এবার গিয়েছে খাদ্য। এদের মাথায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় চোর। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। আসল চোরকে ধরতে হবে। এই চোরকে জেলে না পাঠানো পর্যন্ত আমাদের নিস্তার নেই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। কোভিডের সময় কোটি কোটি টাকা মাস্ক সহ অন্যান্য জিনিসের টাকা লুট হয়েছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মৌসুমী বলে একজন ভাইপোর শ্যালিকার শ্বশুর পবন অরোরা মিলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। এই পবন অরোরা সবুজ সাথি সাইকেল রাজ্যে সরবরাহ করেন। প্রতিটি সাইকেলে ৪০০ টাকা করে কমিশন খান। তাই. শুধু শিক্ষা, খাদ্য নয় স্বাস্থ্যকে জেলে ঢোকাতে হবে।

    কুণাল ঘোষকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শিশিরের সম্পত্তি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, কে মন্তব্য করেছে? আমি ওর কথার উত্তর দিইনা। ও একটা নেড়ি। রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। ভাইপো এই সব বলার জন্য মাসে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে। তাই এই সব বলছে। শিশির অধিকারী একজন লিজেন্ড। তাঁর বিরুদ্ধে যারা আঙ্গুল তুলবে তারা ধ্বংস হবে।

    বন দফতরে বালুর টাকা তোলা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন  মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের সাবধান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বালু জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বন দফতরের প্রতিটি রেঞ্জ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হত। গত মাসেও এই টাকা দেওয়া হয়েছে। সব বন দফতরের আধিকারিকদের বলছি, এখনও সময় আছে বন্ধ করুন। না হলে খাপ খুলব। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির প্রার্থী দিয়ে ভাপোকে হারাবোই। পাশাপাশি  তমলুক ও কাঁথি লোকসভায় দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জয়লাভ করবো কথা দিচ্ছি। আগামী ২৯ তারিখে কলকাতায় সমাবেশে জেলা থেকে বেশি সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের এখন ল্যাজেগোবরে অবস্থা। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলের ঘাঁনি টানছেন। এরমধ্যেই তৃণমূলের কাটমানি খাওয়া আর তোলাবাজি করা নিয়ে সারা রাজ্যে চর্চা চলছে। এবার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিজের দোকান বিক্রি করতে গিয়ে তৃণমূলের তোলাবাজির শিকার হলেন উৎপল বারিক নামে এক গরিব মানুষ। রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩১ নম্বর বুথের রাধানগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mamata Banerjee)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল বারিকের স্ত্রীর কঠিন অসুখের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী কমিটি ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায়  নিজের দোকান বিক্রি করেছিলেন। আর সেখানেই থাবা বসায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া ও পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই পঞ্চানন পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ পার্টির বিল ছাপিয়ে একরকম জোর করে ৭ হাজার টাকা তোলা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী আশরাফিল খানসহ গ্রামের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে একজন দোকান বিক্রি করার জন্য কারও কাছে এভাবে তোলা নেওয়া যায়। উৎপলবাবু বলেন, ইচ্ছে না থাকলেও আমাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া  বলেন, আমরা কোনও তোলাবাজি করিনি। আমাদের দলের এক সমর্থক পার্টি ফান্ডের জন্য ৭ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছেন। আমি সেই টাকা নেওয়ার  পার্টির রসিদ দিয়েছি। রসিদে মমতা (Mamata Banerjee) -অভিষেকের ছবি রয়েছে। ফলে, কোথাও কোনও কারচুপি করা হয়নি। এতে অন্যায় কিছু নেই। তোলাবাজি করলে তো পুরো টাকাটি রসিদ না দিয়ে পকেটে রেখে দিতে পারতাম। সেটা করিনি। ফলে, কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অরুনাভ দাস বলেন, পিসি-ভাইপোর ছবি দেওয়া চালান দিয়ে তোলা আদায়ের কৌশল অভিনব। তৃণমূল দলটাই তো কাটমানি, তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে। তাই, একজন অসহায় মানুষের কাছে থেকে তোলা আদায় করতে এদের হাত কাঁপে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মমতা সরকারের প্রচারের শেষ নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাজ্য যে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে, তা দেখাতে রীতিমতো নির্দেশিকাও বের করা হয়। রাজ্যের হুঁশিয়ারি, সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেফার করা যাবে না! এনিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্য সরকারকে স্বাস্থ্যসাথী ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে লেখেন, ‘ভোটের আগে বলেছিলেন স্বাস্থ্যসাথী হল বিশ্ব মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা (Swasthya Sathi)। বেসরকারি হাসপাতালে কার্ড গ্রহণ করতেই হবে, না হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল। ভোট শেষ, দেখলেন ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’। অমনি নির্দেশিকা বদল, এবার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) নিলে সেই হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে!’

    শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেন, এই রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল এমন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীরও চিকিৎসা হয় না! সাধারণ মানুষের ভাগ্যে তো এই দুর্গতি সামান্য। প্রসঙ্গত, বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেফার করা যাবে না বা করলেও কোন পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রেফার করলেন তার কারণ দর্শাতে হবে। এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরেই স্বাস্থ্য মহলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে নয়া নির্দেশিকা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে না। তবে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সেই সুযোগ মিলবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে। শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো না থাকলে তবেই বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা যাবে।

    রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তোপ খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীরই!

    এদিকে, বুধবারই রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ তুলেছেন ভুল চিকিৎসারও। প্রসঙ্গত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন  মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার তত্ত্বকে টেনে এনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও জানাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    প্রসঙ্গত নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করেন মমতা। সেই মন্তব্যের একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘‘এসএসকেএম হাসপাতালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যের সবথেকে উচ্চমানের সরকারি হাসপাতালকে চোর ডাকাতদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানানোর অপচেষ্টার কারণে চিকিৎসার এই অবস্থা হয়েছে।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘এই অপদার্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আমলে এখানকার ডাক্তারবাবুরা চিকিৎসা কম করছেন। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপের শিকার হয়ে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরিতে বেশি মনোনিবেশ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’ যদিও তৃণমূলের তরফে এখনও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শাসকদল আগামী দিনে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার (Swasthya Sathi)।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSKM: রাজ্যবাসীর হয়রানির আরেক নাম এসএসকেএম! রোগীদের অভিযোগেই সিলমোহর মুখ্যমন্ত্রীর

    SSKM: রাজ্যবাসীর হয়রানির আরেক নাম এসএসকেএম! রোগীদের অভিযোগেই সিলমোহর মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় গাফিলতির পর প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের পরিষেবা! যা নিয়ে এবার বিরোধীরা নয়, প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই সরাসরি জানিয়ে দিলেন, এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। যার জেরে তাঁর বাড়তি ভোগান্তি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সরকারি হাসপাতালে (SSKM) মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় গাফিলতি হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কতখানি হয়?

    কী ধরনের হয়রানি হয় ভুক্তভোগীদের? (SSKM) 

    ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, এসএসকেএমে বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। বিশেষত যাঁরা জেলা থেকে আসেন, তাঁদের রাত থেকেই বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হয়। তারপরেও চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করা যায় না। 
    প্রয়োজনেও হাসপাতালে ভর্তি হতে একাধিক সমস্যা হয়। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতালে জরুরি পরিস্থিতিতেও ভর্তির সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দালালদের সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। হৃদ সমস্যা কিংবা স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। যা রোগীদের ভোগান্তি বাড়ায়। 
    এর পাশপাশি অস্ত্রোপচার নিয়ে একাধিক সময় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরোপুরি সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে। অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবন হয় না। পাশপাশি, একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। অধিকাংশ চিকিৎসক রোগীর সমস্যা ঠিকমতো বোঝা কিংবা তার সমাধান বোঝানোর সময় বরাদ্দ করেন না, এমনই অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM) অধিকাংশ চিকিৎসক রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তাই সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় একাধিক গাফিলতির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি খোদ মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলায় কার্যত রোগীদের অভিযোগে সিলমোহর পড়ল বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। 
    এসএসকেএম হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছিল, কবে সাবলম্বী হবে এসএসকেএম হাসপাতালে? কেন অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসায় এখনও পিছিয়ে সরকারি হাসপাতাল?! ঠিকমতো সংক্রমণ রুখতে পারে না এসএসকেএম, এমন অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। আর সেই কারণেই জটিল অস্ত্রোপচারের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী নানা সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত হন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতাল থেকেই এই সংক্রমণ ঘটে।

    কী বলছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ? (SSKM)

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি এসএসকেএম হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। তবে, সাধারণ মানুষের হয়রানি প্রসঙ্গে তাঁরা বলছেন, রোগীর ভরসা এসএসকেএম। হাসপাতালে কলকাতার পাশপাশি গোটা রাজ্যের মানুষ চিকিৎসা করান (SSKM)। তাই রোগীকে অপেক্ষা করতে হয়। রোগী অনুপাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি গোটা দেশেই। তাঁদের দাবি, চিকিৎসা পরিষেবার মান যথেষ্ট উন্নত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share