Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Lok Sabha Election 2024: এনডিএ পেতে পারে ৩৫৮-৩৯৮ আসন, ইন্ডি জোট ১১০-১৩০, বলছে টাইমস-নাও সমীক্ষা

    Lok Sabha Election 2024: এনডিএ পেতে পারে ৩৫৮-৩৯৮ আসন, ইন্ডি জোট ১১০-১৩০, বলছে টাইমস-নাও সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, এমনই তথ্য উঠে এল ‘টাইমস নাও-ইটিজি রিসার্চ’- এর যৌথ সমীক্ষায় (Opinion Poll)। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, ফের একবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। সমীক্ষা মোতাবেক এনডিএ জোট পেতে চলেছে ৩৫৮ থেকে ৩৯৮টি আসন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনডিএ জোটকে ৪০০ আসনের (Lok Sabha Election 2024) লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। ‘টাইমস নাও-ইটিজি রিসার্চ’- এর (Times Now-ETG Research Survey) যৌথ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম হবে গেরুয়া শিবির।

    ইন্ডি জোট কত আসন পাবে (Opinion Poll)? 

    অন্যদিকে এই সমীক্ষা অনুযায়ী ইন্ডি জোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে পেতে চলেছে ১১০ থেকে ১৩০ আসন। যেখানে জগনমোহন রেড্ডির ‘ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি’ পেতে পারে ২১ থেকে ২২ আসন। নবীন পট্টনায়কের ‘বিজু জনতা দল’ পেতে পারে (Lok Sabha Election 2024) ১০ থেকে ১১ আসন এবং অন্যান্যরা ১১ থেকে ১৫ আসন জিততে পারে। প্রসঙ্গত ‘ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি’ বা ‘বিজু জনতা দল’- এই দুটি রাজনৈতিক দল এনডিএ বা ইন্ডি কোনও জোটের মধ্যেই নেই। তবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দলই বিজেপি সরকারের পাশে থাকে।

    ২০১৯ সালে করা নিজেদের রেকর্ডই ভাঙবে বিজেপি (Lok Sabha Election 2024)!

    সমীক্ষায় (Opinion Poll) যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি, ২০১৯ সালে তাদের নিজেদের রেকর্ডকেই ভাঙতে চলেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩ আসন। ‘টাইমস নাও’ এবং ‘ইটিজি রিসার্চ’-এর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেতে পারে ৩৩৩ থেকে ৩৬৩ আসন।

    ভয়ঙ্কর ভরাডুবি কংগ্রেসের 

    শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলকে এবারও আটকে যেতে হবে ৫০-এর নীচে। এমনটাই দেখা যাচ্ছে ওই সমীক্ষায়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ আসন। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পায় ৫২ আসন। এবারে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় হতে চলেছে কংগ্রেসের। এমনটাই উঠে এসেছে ওই সমীক্ষায় (Opinion Poll) এবং দেখা যাচ্ছে ২৮ থেকে ৪৮ আসনে জিততে পারে শতাব্দী প্রাচীন এই দল (Lok Sabha Election 2024)। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে পেতে পারে ২৪ থেকে ২৮ আসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারে ১৭ থেকে ২১ আসন এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি ৫ থেকে ৭ আসন জিততে পারে।

    ইন্ডি জোটের আভ্যন্তরীণ বিবাদ

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মনে করা হচ্ছে ভোট হবে এপ্রিল এবং মে মাসে বেশ কয়েক দফায়। বিজেপি বিরোধী অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এক ছাতার তলায় আসার জন্য গত বছর থেকে প্রয়াস চালিয়েছে এবং তৈরি করেছে ইন্ডি জোট। এই জোটের মূল কারিগর ছিলেন বিহারের জেডিইউ নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সম্প্রতি তিনিও ফিরেছেন এনডিএ জোটে। অন্যদিকে, রাজ্যে রাজ্যে ইন্ডি জোট শরিকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদ চলছেই। পশ্চিমবঙ্গে কোনওরকম জোট না করার কথা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে একই ছবি দেখা দিয়েছে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির ক্ষেত্রেও।

    কেন ৩৭০ আসনের (Lok Sabha Election 2024) লক্ষ্যমাত্রা বাঁধলেন মোদি

    গতমাসের ১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বসে বিজেপি জাতীয় সম্মেলন। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা ভোটের প্রচারে সুর বেঁধে দেন। বিজেপিকে টার্গেট দেন ৩৭০ আসনের (Lok Sabha Election 2024)। প্রসঙ্গত, ৩৭০ সংখ্যা বাছার কারণ সংবিধানের বাতিল হওয়া ধারা ৩৭০-এর জন্যই। ২০১৯ সালে ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে এই ধারা তুলে দেয় বিজেপি সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিলের দাবিতেই আন্দোলন করতে গিয়ে কাশ্মীরে গ্রেফতার হয়ে মৃত্যু বরণ করে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই প্রধানমন্ত্রী ৩৭০ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সিবিআই-এর খাঁচায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’, রাতেই কি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ?

    Sheikh Shahjahan: সিবিআই-এর খাঁচায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’, রাতেই কি শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) হেফজতে নিল সিবিআই। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা, ৬টার পর শেখ শাহজাহানকে ভবানী ভবন থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েই ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  হেফাজতে নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে। জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শেখ শাহজাহানকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআই। রাতেই এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে একদা সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। 

    বাধ্য হয়ে সিবিআই-এর হাতে

    আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরোন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট মামলার কাগজপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সিআইডি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত এখন সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, শাহজাহানকেও সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে। বুধবার সারাদিন লুকোচুরি খেলার পর এক প্রকার বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে শাহজাহানকে তুলে দেয় রাজ্য। উল্লেখ্য, বুধবারই সিবিআই সন্দেশখালিকাণ্ডে তিনটি এফআইআর করেছে। তার মধ্যে একটিতে সন্দেশখালির অশান্তিতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে শাহজাহানের।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ইডি আধিকারিকদের। তারপর থেকে দীর্ঘ ৫৫ দিন নিখোঁজ ছিল শাহজাহান। তারপর আদালতের কড়া নির্দেশে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এবারও হাইকোর্টে ধাক্কা, সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তি, তাও দু’দিনের টানাপোড়েন চলল শাহজাহানকে নিয়ে। কিছুতেই শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে রাজি হচ্ছিল না রাজ্য। “অভিযুক্তকে আড়াল করতেই কি লুকোচুরি খেলছিল পুলিশ?” কার নির্দেশেই বা শাহজাহানকে সামলে রাখা হচ্ছিল। প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    আরও পড়ুন: ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির তালিকায় শাহজাহানের কোন কোন জমি?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। ছাড়লেন বিধায়ক পদও। সোমবার বিধানসভায় পৌঁছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন ইস্তফাপত্র। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাপস। বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তাপস বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।”

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাপসের

    পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ (Tapas Roy) বলেন, “কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে ফোন করেনি। এর পেছনে আমার দলের কেউ কেউ রয়েছে। আজ কুণাল ঘোষ আমায় বোঝাতে এসেছিল। ও আমার সামনে শোকজ হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যাঁদের শোকজ বা সাসেপেন্ড হওয়ার কথা, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।” তাপস বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    ব্যর্থ চেষ্টা, হাতছাড়া তাপস

    তাপসকে দলে ধরে রাখতে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। এদিন সাতসকালে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা। তাঁদের সঙ্গে দলের তরফে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। ঘণ্টাখানেক ধরে বোঝানো হলেও, তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরেননি ঘাসফুল শিবিরের এই প্রাক্তন সেনানী। এক সময় কংগ্রেস করতেন তাপস (Tapas Roy)। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে যখন তণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেন, তখন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাপসও। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাপসের। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির পদ থেকে তাপসকে সরিয়ে দিতেই হতাশ হন তাঁর অনুগামীরা। বাড়িতে ইডি কর্তারা হানা দিলে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, “আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে হাত রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এরপর অবশ্য চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ এদিন ছাড়লেন তৃণমূল-সঙ্গ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার আগেই তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি (BJP)। সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জিতল বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দুর গড়ে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল।

    সমবায়ের ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি (BJP)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটকে ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনা ছিল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। ওই সমিতিতে মোট ৯টি আসন। সব আসনেই প্রার্থী দেয় দুইপক্ষ। সমবায় সমিতি নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও সকাল থেকে লড়াই ও উত্তেজনা ছিল চরমে। ৯টি আসনের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (BJP) ৬টি আসন পায়। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়লাভ করে। জয়ের পর আবির খেলায় মেতে উঠেন জয়ী সমবায় সমিতির সদস্যরা থেকে বিজেপি কর্মীরা। আবির ও বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেন তাঁরা। এই জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতি তরজা

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এখানে কোনও প্রতীক থাকে না। বিজেপি অহেতুক উল্লাস করছে। প্রতীক থাকে না, তাই ব্যক্তি কেন্দ্রিক ভোট হয়। তাই, লোকসভায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির (BJP) সহ- সভাপতি পুলক কুমার গুড়িয়া বলেন, “সব থেকে পুরনো সমবায় সমিতি। ১০৪ বছরের বেশি পুরনো। সেখানেই তৃণমূল ও সিপিএম যেভাবে দুর্নীতি করে গিয়েছে তা বাঁচানোর জন্য এলাকার নেতৃত্ব থেকে ও স্থানীয় বাসিন্দারা গর্জে উঠেছেন। মানুষ তৃণমূলকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই, লোকসভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের কাছে এই ফল বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Mamata Meeting: মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রোটোকল সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর

    Modi Mamata Meeting: মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর! প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রোটোকল সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বাংলায় এসে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Mamata Meeting)। শুক্রবার তিনি শহরেই থাকবেন। তাঁর সঙ্গে এদিন রাজভবনে সাক্ষাত করতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক ময়দানে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে থাকা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে মমতার সাক্ষাত নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    রাজভবনে মোদি-মমতার বৈঠকের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, মোদিজি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে একেবারে রেশন দুর্নীতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমি একজনকেও ছাড়বো না। একজনের মধ্যে যারা যারা পড়ছেন, সবাই জানে।.. বলেছেন, আমি সব টাকা উদ্ধার করে দেব। আর টাকা উদ্ধার করলে, যাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হবে, তাঁদেরকে তো জেলে যেতেই হয়। চোর মমতা, তিনি রাজভবনে পা ধরতে যাচ্ছেন। কোনও লাভ হবে না। চোর মমতাকে বলবো, কোনও লাভ হবে না, এর নাম নরেন্দ্র মোদি। না খাব, না খেতে দেব (দুর্নীতি ইস্যুতে)।’

    মোদি-মমতা আলোচনা

    শুক্রবার আরামবাগে সভা করে বিকেলে কলকাতায় রাজভবনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর পরেই রাজভবনে মোদির সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। উল্লেখ্য, কোনও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী এলে মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে স্বাগত জানাতে যাওয়া কিংবা দেখা করা প্রোটোকলের মধ্যেই পড়ে। রাজনৈতিক সংঘাত থাকলেও এই সৌজন্য বজায় রাখেন সকলেই। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা জানান, এখনও ভোট ঘোষণা হয়নি। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি এলে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকে। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া। মমতা বলেন, ‘‘রাজভবনে এসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। রাজ্যের কথাও বললাম। আর গল্প করলাম। রাজনীতির কথা কম, গল্পই বেশি হল।’’ 

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    বকেয়া নিয়ে আলোচনা

    কেন্দ্রের কাছে ‘বকেয়া’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে কি না, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মমতা বলেন, ‘‘হ্যাঁ, সে সব নিয়ে আমার যা বলার, বলে দিয়েছি।’’ এর পরেই মমতা বলেন, ‘‘আমাদের যা বলার, আমরা রাজনীতির মঞ্চে বলব। এটা আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ।’’ শুক্রবার রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। বাংলায় যেখানে যেখানে ছোট ছোট সন্দেশখালি হয়ে আছে আগামীদিনে তা বেরিয়ে আসবে। ১লা মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আরামবাগে জনসভার আগে মঙ্গলবার আরামবাগে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) । বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আরও একবার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।  তিনি বলেন,  হুগলি থেকেই আমি দাঁড়াচ্ছি। হুগলি ছেড়ে কোথাও যাব না। হুগলি থেকে জিতেই আবার সংসদে যাব।

    সন্দেশখালিতে নিয়ে সরব বিজেপি সাংসদ (Locket Chatterjee)

    সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকা মানুষ একে একে মুখ খুলছেন। জনরোষ আছড়ে পড়েছে সন্দেশখালি জুড়ে। পার্টি অফিসে ডেকে সুন্দরী মহিলাদের পর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। সন্দেশখালির এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ (Locket Chatterjee) বলেন, সন্দেশখালির  ঘটনা খুব দুঃখজনক।‌ সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে থেকে জোর করে জমি দখল করেছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই জমি প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরানো শুরু হয়েছে। এটা থেকে প্রমাণিত যে সন্দেশখালির ঘটনা সত্য। যা হয়েছে তা উস্কানি নয় এবং সত্য ঘটনাই  মহিলাদের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে।‌

    মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগলেন লকেট

    লকেট (Locket Chatterjee) বলেন, বিগত ১২বছর ধরে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার বদলে মহিলাদের অত্যাচারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এখান থেকে মহিলা পাচার পর্যন্ত হচ্ছে। খানাকুলে একজন মহিলাকে পুলিশ মেরেছে। এটা মেনে যাও সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যের মহিলা শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এই মহিলা শক্তিই পারবে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে চেয়ার থেকে নামিয়ে আনতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পথশ্রী প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবের পরিস্থিতি একদম আলাদা। আজ মঙ্গলবার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছেন। বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া এবং নবগ্রামের বাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হোক। পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।

    হরিহরপাড়ায় নিম্নমানের সামগ্রীর অভিযোগ (Murshidbad)

    নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা নির্মাণের কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া থানার স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুড়িতলা মাঠ এলাকায়। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৪.২ কিলোমিটার রাস্তা, এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে লোচনমাটি মাঠ থেকে স্বরুপপুর ঘোষপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছিল। এদিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাথর যেখানে ৯ ইঞ্চি মোটা রাস্তার কথা, সেখানে করা হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি। আবার যেখানে ৩ ইঞ্চি হওয়ার কথা সেখানে দেড় ইঞ্চি হচ্ছে। এমনকী কাজের বোর্ড না টাঙিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।

    নবগ্রামে রাস্তার পিচ আঙুল দিয়ে তোলা যাচ্ছে

    এই জেলায় (Murshidbad) পথশ্রী প্রকল্পে নবগ্রাম ব্লকের ঘুরা-পাশ্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১.৪০ মিটার রাস্তার নির্মাণের কাজ পেয়েছে এসএস এন্টারপ্রাইজ। ৩৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৫১ টাকার এই কাজ মিনারেলের বাড়ি থেকে দুর্গা মন্দির পর্যন্ত পিচ রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কথা। কিন্তু এই কাজ শেষ হওয়ার পরেই এলাকার মানুষজন বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে আর তাই নতুন রাস্তার প্রলেপকে সামান্য আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলে উঠে যাচ্ছে পিচ। ঠিকাদার সংস্থা যেভাবে পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে তা দু একদিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসীরা। অপরে ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার নবগ্রামের বুড়া পাঁচলাই তার কোনও খোঁজ মেলেনি। যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির জেলা (Murshidbad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “রাজ্যের শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করে টাকা লুট করছে। রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নওদার বিডিও অফিসে ইডি-সিবিআই তাল্লশি করতে গিয়েছিল। আগামী দিনে তৃণমূলের সব চোরদের জেলে ভরা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’ কার্যত লোকসভার ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবেই আসানসোলে বিধানসভা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জেলা তৃণমূলের কর্মীদের উপর এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর দিকে তাঁকে পরাজিত করেছিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের মধ্যেই অস্বস্থির ছায়া।

    কী বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    গতকাল সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে। বিধানসভা কেন্দ্রিক দলকে জয়ী করার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হচ্ছিল। এরপর আসানসোল দক্ষিণের কথা উঠলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবারের বিধানসভায় এই কেন্দ্রের হারকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব খবর রয়েছে। জেলার তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাস ঘাতকতা করলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবেনা।” সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্বাচনের সময় পিছনের সারিতে থাকার কথা বলেছেন তিনি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে আমার কানে। দলের কর্মীদের বাদ দিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এমন কাজ করেছেন তাঁরা ঠিক কাজ করেননি।”

    দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন সায়নী

    আসানসোলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয়ের পর সায়নী সেই সময় বলেছিলেন, “কিছু ভাল খেলা হয়েছে। কিছু খারাপ খেলাও হোয়েছে। তুমিও জানো আমিও জানি, কে ঠিক করে খেলেছে আবার কে ভুল খেলেছে। কে দলের হয়ে খেলেছে আবার কে দলের বিরুদ্ধে খেলেছে। সব থেকে বেশি কর্মীরাই জানেন।” তাই মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট বলে মনে করছে বিজেপি। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “প্রত্যেকে বিধানসভার যে সব আসনে তৃণমূলের বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই সব আসনে লোকসভা ভোটে তাঁদেরকে দায়িত্ব নিয়ে জয়ী করতে হবে দলের প্রার্থীদের। বাকি আসনের দায়িত্ব থাকবে জেলা নেতৃত্বের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য নিন মমতা”, তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য নিন মমতা”, তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা মূল চক্রী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি তাঁকে ধরতে ব্যর্থ হন, তবে  তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চান।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের এই পলাতক নেতাকে গ্রেফতার করতে এক ঘণ্টা সময় লাগবে কেন্দ্রের।”

    অধরা শাহজাহান

    সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি শাহজাহানকে। অথচ এলাকায় তাঁর এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি শাহজাহানকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল নেতা হওয়ায় এলাকায় শাহজাহানের বেশ দাপট রয়েছে। এলাকা ছেড়ে পালালেও, রাশ আলগা হয়ে যায়নি তার। অদূরে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে জিততে তৃণমূলের প্রয়োজন হবে শাহজাহান বাহিনীর। মুসলিম ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে ফেলতেও ভরসা সেই শাহাজাহান। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

    কী বললেন নিশীথ?

    মূলচক্রী শাহজাহান গ্রেফতার না (Nisith Pramanik) হওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বিরোধীরাও। নিশীথ বলেন, “আমি আগেও বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যদি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নেওয়া। কেন্দ্র তো রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে সর্বদাই প্রস্তুত। ফোর্সও প্রস্তুত রয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে খুঁজে বের করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যকে সাহায্য করতেও আমরা প্রস্তুত।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আজও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে এলাকায় (সন্দেশখালিতে) ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু যখনই কোনও তৃণমূল নেতা এলাকায় যেতে চাইছেন, তাঁদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কাছে আইন-শৃঙ্খলার কোনও মানে নেই। যা কিছু রয়েছে, সবই বিরোধী দলের নেতাদের জন্য।”

    আরও পড়ুুন: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, ঝাঁটা হাতে মহিলারা, জ্বলল খড়ের গাদা, ভাঙচুর তৃণমূল নেতার বাড়ি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও তুলনাই হয় না, এদিন তাও জানিয়ে দিয়েছেন নিশীথ। বলেন, “এক দিকে রয়েছেন মোদিজি, যিনি নিরন্তর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। আর অন্যদিকে রয়েছেন পিসি-ভাইপো। মোদির সঙ্গে মমতার তুলনা টানা হলে বিশ্ব ভাববে মোদির কথাই।” তিনি (Nisith Pramanik) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই এলাকায় আসবেন। তামাম বঙ্গবাসী তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা স্বাগত জানাবেন উৎসাহের সঙ্গেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন শাসক নিরো। প্রায় একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবাংলায়ও। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাহিনীর অত্যাচারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে, তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় একটি রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেবেন তিনি। সেই শোয়েরই শ্যুটিং চলছে হাওড়ায়।

    শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত!

    জানা গিয়েছে, এই শোয় নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না সেখানকার নির্যাতিতাদের কথা শুনতে। তিনি দিদি নং ১ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।” ‘দিদি নম্বর ১’ শীর্ষক রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিয়ে জীবন সংগ্রাম কিংবা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মহিলারা। দিন কয়েক আগে রচনাকে নবান্নে দেখা যায়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দিদি নম্বর ওয়ানে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে? এ ব্যাপারে অবশ্য রচনা কিছু বলেননি (Sukanta Majumdar)। মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রীও।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বিলিকাণ্ডে কেলেঙ্কারির জেরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি শাহজাহান। পরে শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। চারজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর পরে পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    শাহজাহান এলাকা ছাড়তেই তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোচ্চার হন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। পরে বাছাই করা কয়েকজনকে রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত। যাঁদের রেখে দেওয়া হত, তাঁদের হয় পার্টি অফিসে, নয় বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিতেন না, তাঁদের বাড়িতে সাদা থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হত। নির্যাতিতাদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার বদলে শ্যুটিং করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সুপ্রিমো।

    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ (পড়ুন রাজ্য)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share