Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    Ram Navami: মমতা জমানায় রামনবমী পালনে বাধা? মূর্তি তৈরিতে ভয় পাচ্ছেন শিল্পীরা, বিধিনিষেধে জেরবার উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রামনবমী। দেশ জুড়ে ভক্তরা মেতে উঠবেন শ্রী রামের আরাধনায় (Ram Navami)। পশ্চিমবঙ্গের রামনবমী নিয়েও চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই আবহে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দেওয়ার। স্বরাজ্য পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকার হিন্দু সংগঠনগুলির ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ জারি করেছে রামনবমী পালনের বিষয়ে। এক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কখনও চায় না যাতে আমরা রামনবমী পালন করতে পারি।’’

    হুমকি-হুঁশিয়ারি কুমোরটুলিতে! কী বলছেন শিল্পী?

    এদিকে হুমকি ও ভয়ের কারণে কুমোরটুলির শিল্পীরা রামের (Ram Navami) মূর্তি তৈরি করতে ভয় পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুমোরটুলির শিল্পী মালা পাল বলেন, ‘‘রামের অর্ডার এসেছিল। তা একটু রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে ওই জন্য রামটা আর এবছর করলাম না। মানে অনেকটা রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে বলে অনেকে একটু নিতে ভয়ও পাচ্ছে। আমাদের এটা পেশা। বানাতেও ভয় লাগে। কে যে কী বলবে না বলবে।’’

    কী বলছেন রামনবমীর (Ram Navami) উদ্যোক্তা

    রামনবমীর (Ram Navami) এক উদ্যোক্তা বলছেন, ‘‘রামের মূর্তি তৈরির জন্য, এবার শিল্পী খুঁজতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেকেই আমাদের মূর্তির অর্ডার নিতে চাইছিল না। কিন্তু শেষমেশ রুদ্র পাল নামের একজন আমাদের মূর্তি করছেন। অনেকেই নিতে চাইছে না। তাঁরা বলছেন এই সময় করতে পারব না। সরাসরি তো কেউ বলতে পারে না। কিন্তু যেটা বোঝা যাচ্ছে যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। আমরা তো ৬ বছর ধরে পুজো করে আসছি কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত আমরা সিপি অফিস, পিডাব্লুডি অফিস, ডিএম অফিস, আমাদের লোকাল পুলিশ স্টেশন ও থানাগুলোতে ঘুরে যাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার করে আমাদের কোনও অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’’

    ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না

    স্বরাজ্য পত্রিকার মতে, রামনবমী সমাবেশে যাঁরা উদ্যোক্তা এবং আয়োজক তাঁদের কাছ থেকে প্রশাসনের কর্তারা প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। যেকোনও শোভাযাত্রায় ২০০ জনের বেশি রামভক্ত অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি শ্রীরামের পতাকা উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত লাঠি যেন লম্বা না হয়। কোনও অস্ত্র যেন না থাকে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বরাজ্য পত্রিকা আরও লিখছে, রামনবমীর সমাবেশগুলি সেই সমস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না যেখানে মসজিদ রয়েছে। এর পাশাপাশি, একাধিক রামনবমীর শোভাযাত্রাকে একত্রিত হতে দেওয়া হবে না। পুলিশ নির্ধারিত রুটগুলিকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মিছিল চলাকালীন ভক্তিমূলক গান খুব জোরে বাজানো যাবে না। এমনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে স্বরাজ্য পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে।

    কী বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা

    রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, বর্ধমান, শিলিগুড়ি সমেত রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রামনবমীর সমাবেশের আয়োজকদেরকে প্রশাসন তলব করেছে। তাঁদের বলা হয়েছে, সমাবেশের আকার যেন খুব বড় না হয়। সেই জন্য তাদের ওপরে চাপ প্রয়োগ করারও অভিযোগ উঠেছে। স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা। যিনি উত্তর কলকাতার একটি বড় রামনবমীর (Ram Navami) আয়োজক। তিনি বলেন, ‘‘এত বিধি নিষেধ এবং সতর্কতা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্য প্রশাসন কখনও চায় না আমরা যাতে রামনবমী উদযাপন করি। প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে সমাবেশ চলাকালীন কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা হবে আয়োজকদের।’’

    বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, গত ২৬ মার্চ হিংসা ছড়ায় মালদার মোথাবাড়িতে। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মোথাবাড়ির এই অঞ্চলগুলিতে এবং রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমদের ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এবং অতীতের বামফ্রন্ট সরকার এদেরকে (বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী) ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে।’’

    শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানোতে আপত্তি তুলছে মৌলবাদীরা, অভিযোগ দিলীপের

    শুভেন্দু অধিকারীর মতো একই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গের মৌলবাদীরা হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রার বিষয়ে নানা জায়গায় আপত্তি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে শঙ্খ বাজানো, ঢোল বাজানো, ঘণ্টা বাজানো, ভজন-কীর্তন করা এ বিষয়ে তাদের (মৌলবাদীদের) আপত্তি রয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের তোষণ করতেই ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।’’

  • Abhijit Gangopadhyay: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল! ‘‘উনি জোচ্চুরি করেছেন’’, মমতাকে তুলোধনা অভিজিতের

    Abhijit Gangopadhyay: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল! ‘‘উনি জোচ্চুরি করেছেন’’, মমতাকে তুলোধনা অভিজিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদকে ডাংগুলি কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এনিয়ে মমতাকে তুলোধনা করলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, জোচ্চুরি করেছেন মমতা। এরপাশাপাশি, মমতার পদত্যাগ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬,০০০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। প্রায় ১ বছর পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের সেই রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া জালিয়াতিতে কলঙ্কিত হয়েছে।

    কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)

    তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘ওই ভদ্রমহিলা আসলে জোচ্চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। ব্যাপক জোচ্চুরি করেছিলেন। ধরা পড়ে গেছেন। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে এখানে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। আমি তো মনে করি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ত্যাগ করা দরকার। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন। আমাদের দফা এক দাবি এক মমতার পদত্য়াগ। মমতা যদি তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করেন তো ভালো নাহলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাড়াতাড়ি তাঁকে ছুড়ে ফেলে দেবে। এদের দুর্নীতির জন্য় এত ছেলের সর্বনাশ হয়ে গেল। কিছু ছেলে যারা সঠিকভাবে চাকরি পেয়েছিল তাদেরটাও গেল। অথচ এটা আলাদা করা যেত। এটা আজও আলাদা করা যায়। আমরা ক্ষমতা পাই তাহলে আমরা করে দেখিয়ে দিতে পারি।’’

    এত বড় ধাক্কা এর আগে তিনি পাননি

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি সাংসদ (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, ‘‘এত বড় ধাক্কা এর আগে তিনি পাননি। তিনি বলতে চেয়েছিলেন কৌশল যেটা ছিল সাড়ে ৫ হাজার ৬ হাজারের মতো চাকরি কেনার বিষয়টি ধরতে পেরেছিলাম। আমার রায়ে তাদের বাদ দিয়েছিলাম। তারপর তাঁকে যারা অ্যাডভাইস দিলেন কিছু প্রাক্তন জজ আছেন আরও কয়েকজন আছেন তাদের নাম বলতে চাই না এখন, তারা অ্যাডভাইস করলেন আপনি যারা ঠিকভাবে চাকরি পেয়েছেন আর টাকা দিয়ে পেয়েছেন তাদের জটটা ছাড়াবেন না। এতে বাধ্য় হবে সকলের চাকরি রেখে দিতে। কিন্তু তারা তো জানেন না যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে। আমাদের নেতা শুভেন্দু বাবু বলেছেন এদের এখনও ধরা যায়। কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এটা সুপ্রিম কোর্ট ধরা পড়েছেন।’’

    নবান্ন থেকে কী বলেছিলেন মমতা?

    প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের রায় বের হওয়ার পরেই মমতা বলেছিলেন, ‘‘প্রথম হাইকোর্টে যিনি এই জাজমেন্ট দিয়েছিলেন তিনি এখন জুডিশিয়ারি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন। সম্ভবত না, সত্যিই হয়েছেন! সাম গাঙ্গুলি না ড্যাংগুলি! আমি ঠিক জানি না তাঁর আসল নামটা! পরে জেনে নেব! আজ তাঁরা কোন মুখে বড় বড় কথা বলেন? তাঁদের দায়বদ্ধতা নেই? দায়বদ্ধতা ছিল না? আমি বিশ্বাস করি, এটা বিজেপি করিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)।

    যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব

    প্রাক্তন বিচারপতির (Abhijit Gangopadhyay) কথায় ‘‘সেগ্রিগেশন (আলাদা ) করা সম্ভব তো ! আমি আজও এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, সেগ্রিগেশন করা সম্ভব। আমরা ক্ষমতায় আসব, সেগ্রিগেশন করে দেখিয়ে দেব। উনি তো রেকর্ড লুকিয়ে ফেলতে পারবেন না। সে-রেকর্ড হাইকোর্টের কাছে আছে। আমার বেঞ্চেই তো ছিল সেই রেকর্ডগুলো। আমার উপরে ওনার এত রাগ একটাই কারণে, ওনার জোচ্চুরিটা প্রথম ধরেছিলাম আমি।’’

    সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ

    গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেয়, সেই সম্পর্কে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত হল, ‘‘আমি আমার জয় হিসেবে দেখছি না। দুর্নীতির পরাজয় হিসেবে দেখছি। পশ্চিমবঙ্গে এবার দুর্নীতি করার আগে দুবার ভাববে।’’ যাঁরা যোগ্যভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের জন্যও আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। এক্ষেত্রে  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত, ‘‘দুশ্চিন্তা করবেন না। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বিজেপি আপনাদের জন্য নিশ্চয়ই কিছু একটা করবে।’’

  • SSC Recruitment Case: ‘‘এসএসসি অটোনমাস বডি, আমরা ইন্টারফেয়ার করি না’’! দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা মমতার, লাভ হবে কি?

    SSC Recruitment Case: ‘‘এসএসসি অটোনমাস বডি, আমরা ইন্টারফেয়ার করি না’’! দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা মমতার, লাভ হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আজ, বৃহস্পতিবার ‘সুপ্রিম’ রায়ে বাতিল হয়ে গেল ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি (SSC Recruitment Case)। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়টি মানবিকতার স্বার্থে তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির দায় ঝেড়ে ফেলতে এদিন তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দেন, দ্রুত নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বুঝিয়ে বলা হোক। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে নিয়োগ হবে। সুপ্রিম কোর্টে ‘রামধাক্কা’ খেয়ে বোধহয় ‘সম্বিত’ ফিরেছে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি জানান, এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা। তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, “এসএসসি অটোনমাস বডি, আমরা ইন্টারফেয়ার করি না।”

    ‘বিলম্বিত বোধদয়’ নাকি দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা! (SSC Recruitment Case)

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ‘বিলম্বিত বোধদয়ে’র পরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্ন হল, শীর্ষ আদালতে গোঁত্তা খাওয়ার পরে এখন কি নিজের গদি বাঁচাতে এসএসসিকে বলির পাঁঠা করছেন মুখ্যমন্ত্রী? এসএসসি যদি অটোনমাস বডি হয়, তাহলে তা এতদিন বলা হয়নি কেন?  সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে কেন জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক বড়-মেজ-ছোট নেতা? কেনই বা একটি স্বশাসিত সংস্থার হয়ে এত দিন ধরে সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মামলা লড়ছিল রাজ্য সরকার? কেনই বা দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল বাঘা বাঘা আইনজীবীদের? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসএসসির মাথায় কারা ছিলেন, কার বা কাদের অঙ্গুলিহেলনে নিয়োগ হচ্ছিল, সবই জানেন রাজ্যবাসী। ফলে, সুপ্রিম-ধাক্কা খেয়ে এখান দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন মমতা, মত বিরোধীদের। সরকার ‘স্পনসর্ড’ কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন মুখ্যমন্ত্রীর সব রাগ গিয়ে পড়ছে বিরোধীদের ওপর! প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, পরোক্ষভাবে তাঁর রাগ গিয়ে পড়ছে বিচারপতি থেকে শুরু করে আইনজীবীদের একাংশের ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ের তলার মাটি সরে গেলে এমনটাই হয়। এদিনও মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার নিশানা করেছেন বাম-বিজেপিকে। নাম করেই তোপ দেগেছেন সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং বিজেপির সুকান্ত মজুমদারকে।

    মমতার নিশানায় বিকাশ-সুকান্ত

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিকাশবাবু কেস করেছিলেন। তাঁর জন্যই আজ এতগুলো চাকরি গেল। উনি তো বিশ্বের বৃহত্তম (বৃহত্তম শব্দটি এখানে প্রযোজ্য কিনা, তা বলতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং) আইনজীবী। কেন যে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না এখনও…আমি ভাবছি, একটা রেকমেন্ড করব।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকেও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শুধু ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল বললে ভুল হবে। কারণ এঁদের সঙ্গে কয়েক লাখ পরিবার জড়িত। মনে রাখবেন, তাঁরা অচল হয়ে গেলে বিজেপি-সিপিএমও সচল থাকবে না। কোনও ঘটনা ঘটলে, দায়িত্ব আপনাদের হবে (Mamata Banerjee)। আর এসবের জবাব আপনারা পাবেন (SSC Recruitment Case)।”

    পাল্টা তোপ সুকান্তর

    এদিকে, ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক চাকরি খোয়ানোয় রাজ্য প্রশাসন ও এসএসসি কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সুকান্ত। তাঁর হুঁশিয়ারি, রামনবমী মিটলেই এ নিয়ে আন্দোলনে নামব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের যে চাকরি চলে গেল, যাঁরা ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করছেন, তাঁদের পরিবার রয়েছে। আজকে যোগ্য যাঁরা, যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদেরও চাকরি চলে গেল। শুধুমাত্র তৃণমূল পার্টির লোকেরা অযোগ্যদের– যাঁরা পয়সা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬ হাজার মানুষের চাকরির বলিদান দিয়ে দিলেন। এজন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যে ২৬ হাজার পরিবার পথে বসে গেল, তার জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর চ্যালাচামুণ্ডারা। যাঁরা লাখ লাখ টাকা নিয়ে কয়েকজন অযোগ্যকে চাকরি (Mamata Banerjee) পাইয়ে দিয়েছিলেন।”

    প্রশ্ন তুলে দিলেন সুকান্ত

    সুকান্ত বলেন, “আমার প্রশ্ন হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল সার্ভিস কমিশন, রাজ্য সরকার কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে দিল না (SSC Recruitment Case)? যদি আজ মহামান্য আদালতের সামনে রাজ্য সরকার এই পৃথকীকরণ করে দিত, তাহলে তো ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে যেত না। শুধুমাত্র অযোগ্যদের চাকরি চলে যেত, যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকত (SSC Recruitment Case)।” সুকান্ত বলেন, “আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের দুষ্কৃতী, জোচ্চোরদের জন্য এতগুলি পরিবার রাস্তায় বসল। আমরা ছেড়ে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ার থেকে উৎখাত করব।”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতাকে আর বিদেশ সফরের অনুমতি নয়, জয়শঙ্করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর যাতে সরকারি সফরে বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়া না হয়, সেজন্য আমি বিদেশমন্ত্রীকে (S Jaishankar) অনুরোধ করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লন্ডন সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য পেশ করেছেন, তাকে ‘দেশ ও জাতীয়তাবাদী বিরোধী’ বলে দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই কারণেই বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। এদিন সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান শুভেন্দু।

    জয়শঙ্করকে চিঠি (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে একটা চিঠি লিখেছি। ভারত সরকারের অনুমোদন নিয়ে হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় উনি যেভাবে ভারতকে ছোট করেছেন, সেই প্রসঙ্গে। সাংবাদিক যখন বলছেন, ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে যাবে, তখন উনি বলছেন, না, না, আমি মানি না। উনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছেন, না ভারতকে ছোট করতে গিয়েছেন?” এর পরেই শুভেন্দু বলেন, “আমি জয়শঙ্করজিকে বলেছি ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে আপনার। আপনি ব্যবস্থা নিন। আর এর পরে আর ওঁকে অনুমতি দেবেন না।”

    মমতাকে নিশানা

    মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “এছাড়াও, ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শাসনকে উনি দারুনভাবে গ্লোরিফাই করেছেন। আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল। বিপিন অধিকারী। আমি সেটা মেনে নেব না কি আমরা তো মেদিনীপুর স্বাধীন করে দিয়েছিলাম ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার করেছিলাম। আমরা পাঁচ বছর আগে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি। আর আপনি গিয়ে বললেন, ব্রিটিশরা ১৯০ বছর ধরে অনেক কিছু করে দিয়ে গিয়েছে!”

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, “ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মবলিদানের মূল্য নেই যে মাটিতে বন্দে মাতরম তৈরি (S Jaishankar) হয়েছে, যে মাটি জাতীয় সঙ্গীত দিয়েছে, সেই মাটি থেকে গিয়ে আপনি ব্রিটিশের প্রশংসা করছেন?” তিনি বলেন, “কালাপানিতে যাঁরা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বাঙালি ছিলেন। একটা দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, জাতীয়তাবাদ বিরোধী, স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধী মানুষ। ওঁর বিরুদ্ধে সর্বত্র দেশপ্রেমিকদের আন্দোলনে নামা উচিত।”

    মমতার ব্রিটেন-প্রেম!

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “আমি ব্রিটেনকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের মধ্যে একটি আবেগগত সম্পর্ক রয়েছে, একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে…ঐতিহ্যের দিক থেকে আমাদের ও তোমাদের।” তিনি বলেন, “১৯০ বছর ধরে তোমরা ভারত শাসন করেছ, আর বাংলা শাসন করেছ…আমরা কি তা ভুলে যাব ভারত তোমাদের সব সময় মনে রাখে, আর বাংলাও তোমাদের মনে রাখে (S Jaishankar)।”

    স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা!

    শুভেন্দুর অভিযোগ, “লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের ঔপনিবেশিক শাসকদের প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসার প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি এই ধরনের মন্তব্যকে একজন বাঙালির জন্য ‘অচিন্ত্যনীয়’ বলেও অভিহিত করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ শাসন প্রতিরোধে বাংলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।” তিনি যুক্তি দেন, ঔপনিবেশিক অতীতকে মহিমান্বিত করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে অবজ্ঞা করার সমতুল।

    বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে কেলগ কলেজ। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বক্তৃতায় তিনি ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে খাটো করে দেখানোর অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের পদ্ম-বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “একজন বক্তা যখন জোর দিয়েছিলেন যে, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা ২০৬০ সালের মধ্যে বৃহত্তম হয়ে উঠবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যানার্জি তার বিরোধিতা করে বলেন, আমি এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করব।” মমতার বক্তব্যকে শুভেন্দু কেবলমাত্র বিশ্বাসঘাতকতা ও সমস্ত বাংলার এবং ভারতীয়দের জন্য লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ব্যানার্জি ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশের মাটিতে ভারতের সুনাম নষ্ট করেছেন। শুভেন্দু মমতার মন্তব্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করার ও ভবিষ্যতে তাঁকে সরকারি বিদেশ সফরে যাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য বিদেশমন্ত্রকের প্রতি আহ্বান জানান।

    প্রসঙ্গত (Suvendu Adhikari), মুখ্যমন্ত্রীর ব্রিটেন সফর বিতর্কমুক্ত ছিল না। কেলগ কলেজেও বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বিক্ষোভকারীরা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-সম্পর্কিত হিংসা এবং আরজি করকাণ্ডে (S Jaishankar) তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্ল্যাকার্ড ধরেছিলেন (Subhendu Adhikari)।

  • Mamata Banerjee in London: রাজ্যে হিন্দুরা কি সুরক্ষিত? শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে লন্ডনে কড়া প্রশ্নের মুখে মমতা

    Mamata Banerjee in London: রাজ্যে হিন্দুরা কি সুরক্ষিত? শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে লন্ডনে কড়া প্রশ্নের মুখে মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কেলগ কলেজে বক্তৃতার মাঝেই তাল কাটল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee in London)। মমতার ভাষণের মধ্যেই বাংলায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও মমতার সাম্প্রদায়িক তোষণ নীতি নিয়ে লন্ডনের কলেজে প্রশ্ন তুললেন হিন্দু ছাত্ররা। সিঙ্গুর থেকে টাটার চলে যাওয়া থেকে আরজি কর কাণ্ড, প্রশ্ন এল দর্শকাসন থেকে। দর্শকদের একাংশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় মমতার। সমালোচকদেরই সাম্প্রদায়িক স্বৈরাচার মনোভাব সম্পন্ন বলে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী।

    লন্ডনে প্রশ্নের মুখে মমতা

    বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে বক্তৃতা রাখেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in London)। রাজ্যের নারী, শিশুদের সামাজিক উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে ভাষণ দেন মমতা। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সমালোচকদের প্রশ্ন, বাংলা থেকে টাটাকে তাড়িয়েছেন কেন? ভরা সভাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলেও আক্রমণ করেন প্রশ্নকর্তা। এদিন শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িক তোষণ ইস্যু নিয়েও কড়া প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়েই প্রশ্নের সম্মুখীন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথার মাঝেই দর্শকদের একাংশ হাততালিও দিতে থাকেন।

    আরজিকর নিয়ে প্রশ্ন

    লন্ডনে গিয়ে আরজি কর কাণ্ড নিয়েও প্রশ্নের মুখে মমতা (Mamata Banerjee in London)। এদিনের বক্তব্যের বিষয়ই ছিল রাজ্যের নারী, শিশুদের সামাজিক উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন। স্বাভাবিকভাবেই আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা ছিলই। কলেজের ভাষণে আরজি কর নিয়ে প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ওটা বিচারাধীন বিষয়। আর এটা রাজনৈতিক মঞ্চ নয়।” শুরু থেকে অনুষ্ঠানের ছন্দ ঠিক থাকলেও তাল কাটে আর জি করের প্রসঙ্গে দর্শকদের তরফে প্রশ্ন উঠতেই। আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন দর্শকরা। আরজি কর ক্রাউড ফান্ডিং প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। দর্শক আসন থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনার রাজ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে আপনারা মন্ত্রীরা বলে আঙুল ভেঙে দেবে।’ দর্শকের এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ অনিকেত-দিলীপের

    আরজিকর কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। তিনি বলেন, ‘অভয়ার ন্যায়বিচার যদি না দেন, তাহলে বাংলার মানুষ কেন, সারা বিশ্বের মানুষ অভয়ার পাশে দাঁড়াবেই। সকল বিশ্ববাসী পাশে আছে। আমাদের স্লোগানে আমরা বলেছিলাম, ‘আর জি কর দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক, বিশ্ব দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক। সেটাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আমরা চাই সিবিআইও দেখুক, বিচার দিক অভয়াকে। কারা নেপথ্যে ছিল, কারা প্রমাণ নষ্ট করেছিল প্রকাশ্যে আসুক।’ শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যে আরজি কর কলেজে কী ঘটেছে তার জবাব তাঁকে দিতে হবে। দিলীপ বলেন, “আমরা আগে বলেছিলাম যে তিনি যখন যুক্তরাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে যাবেন, তখন তাঁকে আরজি কর কলেজে কী ঘটেছে তার জবাব দিতে হবে। বাংলায় আরজি কর-এর মতো ঘটনা ঘটছে। এখানে মহিলারা নিরাপদ নন। যদি কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে তাঁকে উত্তর দিতে হবে। সেখানকার লোকেরা এখানে প্রশ্ন করবে।”

    হিন্দুরা কতটা সুরক্ষিত প্রশ্ন মমতাকে

    এদিন বক্তৃতার মাঝে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee in London) বলতে শোনা গিয়েছে, দিদি কিছু নিয়ে ভাবে না। কারও পরোয়া করে না। এরপরই দর্শকদের আচরণ সংযত করতেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন লন্ডনে হিন্দু ছাত্ররা, মমতার কাছে জানতে চান বাংলায় কতজন হিন্দুকে মরতে হয়েছে। তিনি কেন মুসলিমদের তোষণ করে যান? সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন মমতা। তিনি বলেন, এমন আচরণ করে  ছাত্ররা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই অসম্মান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এও বলতে শোনা গিয়েছে, “আমায় ধরতে পারলে ধরো। না ধরতে পারলে, লড়তে এসো না।”  হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার জন্য, আমি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সকলের ঐক্যের পক্ষে, আপনারা নন। কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের কথা বলবেন না, সব ধর্মের কথা একসঙ্গে বলুন।’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দর্শক আসন থেকে’গো অ্যাওয়ে’ স্লোগানও ওঠে।

    সন্দেশখালিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ, হিন্দুদের গণহত্যা

    ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত মালব্য একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে ভিডিওতে দেখা যাওয়া বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন লন্ডনের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee in London) মুখোমুখি হয়েছিলেন। বিজেপি মুখপাত্র অমিত মালব্য সোশ্যাল সাইটে লেখেন “লন্ডনের কেলগ কলেজে বাঙালি হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন, আরজি করের মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা, সন্দেশখালিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ, হিন্দুদের গণহত্যা এবং ব্যাপক দুর্নীতির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্লোগান তোলেন।” বিজেপি নেতা আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য “অপমান”। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টানা কয়েকটি পোস্টার… তিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য কলঙ্ক। বাংলার ঐতিহ্য ধ্বংস করে তাদের এত অপমানের মধ্যে ফেলার জন্য হিন্দু বাঙালি প্রবাসীরা তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে চান।”

    ভারতের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ

    এক ব্যবসায়ী প্রশ্ন করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে কিনা। মমতা এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি ভিন্নমত পোষণ করি। বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা রয়েছে। যদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়, তবে কি আপনি মনে করেন আমরা লাভবান হতে পারব?” মমতার এই কথার প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতা প্রবীণ ভান্ডারি। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মমতার এই মন্তব্য ভারতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে।

    হিন্দু ছাত্রদের অভিযোগ

    অনুষ্ঠান শেষে, হিন্দু ছাত্ররা জানায়, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “দুর্নীতিপূর্ণ এবং অগণতান্ত্রিক শাসন” এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, মমতার (Mamata Banerjee in London) রাজ্যে ছাত্র নির্বাচন নেই, স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে এবং ছাত্র আন্দোলন দমন করা হয়েছে। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক তোষণ নীতি চালাচ্ছেন মমতা। হিন্দুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে নানা জায়গায়। ভাঙা হচ্ছে দেবী মূর্তি। রাজ্য সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

  • Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী পালন নিয়ে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবার হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রামনবমী (Ram Navami) পালনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম গালি!’’ একইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাস্তায় থাকব। পিছনে থাকবে লাখ হিন্দু ভক্ত জনতা। পারলে আটকে নিন। ক্ষমতা থাকে তো আটকে নিন। হিন্দুস্তান মে হিন্দুই রাজ করেগা। যো হিন্দু হিত মে কাজ করেগা ওই হি আগলে দিন বাঙ্গাল মে রাজ করেগা।’’

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন কিছু যুবক। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে বলেন, তাঁকে গালি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার নিজের বক্তব্যে সেই ঘটনার কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়। এই ঘটনায় আমার দায়ের করা মামলায় এনআইএ তদন্ত শুরু হয়। এই সময় উস্কানি আসে রাজ্যের শাসক দল পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম হল গালি। যোগেশচন্দ্র, হরিণঘাটায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। দোলপূর্ণিমায় সাঁইথিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে।’’

    প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রামনবমীর (Ram Navami) পালন নিয়ে প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রামনবমীর উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সবাইকে আবেদন করব, আপনারা প্রোটোকল মেনে, গত বছরের অনুমতির কাগজ সহ, পুলিশকে দেবেন। নতুন করে কোনও মমতা পুলিশের পাঠানো প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার লোককে প্রতিনিধিত্ব করি। আমি এবং আমাদের বিজেপি এমএলএ-রা আপনাদের সম্পূর্ণভাবে আইনি সুরক্ষা দেব। আপনারা কেউ নতুন প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। গত বছরে যা হয়েছিল, একইভাবে এবারে উৎসব পালন করা হবে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, ‘‘ প্রোফর্মাতে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, শোভাযাত্রা হবে কিনা, হলে যাত্রাপথ জানতে চাইছে। একইসঙ্গে বলছে ওই রুটে অন্য ধর্মের কোনও প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, মুসলিম মহল্লার নাম, পুলিশ চাইছে।’’

    পুজো আয়োজকদের মধ্যে ঝামেলা কারা করতে পারে? জানতে চাইছে পুলিশ

    এখানেই না থেমে আশঙ্কার কথা জানিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইছে। একইসঙ্গে ওই পুজোতে কারা গন্ডোগোল-ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর চাইছে। মানে পুজোর আয়োজকদের মধ্যে যাঁরা ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম-ফোন নম্বর চাইছে। একইসঙ্গে পুজোতে প্রধান কন্ট্রোলার ব্যক্তি ও পুলিশ ফ্রেন্ডদের নাম ও মোবাইল নম্বর চাইছে।’’ এরপরই পুলিশের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘‘পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতে যদি পড়েন তাহলে খেসারত আপনাকে দিতে হবে।’’

    রামনবমী আটকাতে পারবেন না মমতা

    একইসঙ্গে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে ৬৬ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালন করুন। এবার মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না। প্রত্যেকে রাস্তায় থাকব, রামনবমীর মিছিলে সামিল হব। হাওড়ায় শ্যামপুরে ৭ এপ্রিল মিছিল করব, ক্ষমতা থাকে আটকান। যাঁরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে, তাঁরাই চেয়ারে থাকবে।’’

    রামনবমী ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ

    বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে তোষণের রাজনীতির ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা শুরু করেছে বিজেপি। এপ্রিল মাসে রয়েছে রামনবমী। এমন সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপির দেওয়াল লিখনও দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব ইস্যুতে। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। পাল্টা পোস্টারেই কটাক্ষবাণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। এই আবহে রামনবমী ঘিরে ক্রমশই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে দফায় দফায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘রামনবমী (Ram Navami) নতুন করে পালনের ব্যাপার নেই। অনেকদিন থেকেই পালন হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে অনেকবারই রাম নবমীর উৎসবে পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। কোর্টে যেতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপশব্দ বা খারাপ শব্দ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।’’

  • BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় অশোকনগরে ওএনজিসির প্রকল্প থেকে তেল-গ্যাসের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারছে না বলে গত নভেম্বরে অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্র। ওই মাসের (BJP) শেষের দিকে সংসদে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী দাবি করেছিলেন, রাজ্য উত্তোলনের জন্য জমি লিজ মঞ্জুরে গড়িমসি করায়ই দেরি হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে একাধিকবার লিজ মঞ্জুরের জন্য আবেদন করা হয়েছে (Mamata Banerjee)। কিন্তু এখনও তা পাওয়া যায়নি। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর সেই অভিযোগের পর কেটে গিয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। শেষমেশ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেল উত্তোলনের কাজ শুরু করার ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ওই ছাড়পত্র দিয়েছে। সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৫০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা (BJP)

    ২০২০ সালে তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান অশোকনগরে বাণিজ্যিক তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় তাঁর সেই চেষ্টা আর এগোয়নি। সরকারি ছাড়পত্র মেলায় এবার কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরপনার চারটি জায়গায় তেল খননের প্রস্তুতি ও জমি লিজ সংক্রান্ত কাজ প্রায় শেষের পথে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লক ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চপতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। ওএনজিসি উত্তর ২৪ পরগনার ১৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩টি, নদিয়া জেলার একটি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৫টি জায়গা তেল উত্তোলনের জন্য নির্বাচন করেছে।

    মমতাকে নিশানা বিজেপির

    পাঁচ বছর পরে তেল উত্তোলনের ছাড়পত্র মেলায় মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর মন্তব্য (BJP), “২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুমোদিত এই লিজটি নতুন অনুসন্ধান লাইসেন্সিং নীতির অধীনে ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা কভার করে। এটি বহু বছর আগেই (Mamata Banerjee) একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক বিলম্বের কারণে বাংলা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, “বাংলায় রয়েছে অপার জ্বালানি সম্ভাবনা। কিন্তু আমরা কি আবার এমন বিলম্ব সহ্য করতে পারি?” তিনি বলেন, “বাংলার সম্পদ যেন তার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে তা নিশ্চিত করতে কার্যকর সরকারের সময় এসেছে। এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরানোর সময়।”

    রাজ্য সরকারের গড়িমসি

    পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে যে তেল-গ্যাসের বিপুল মজুত রয়েছে, তা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তার পরেই ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওএনজিসি খনন কার্য চালাতে ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার জমি লিজে নেওয়ার জন্য আবেদন করে রাজ্যের কাছে। ওএনজিসিকে পিএমএল দেওয়ার জন্য যে কেন্দ্র সুপারিশ করেছিল, সেই তথ্যও ওই বছরই ২১ অক্টোবর রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেয় ওএনজিসি। পুরীর দাবি, তার পর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং গত জানুয়ারিতে ফের রাজ্যের কাছে পিএমএল মঞ্জুরের জন্য দরবার করে ওএনজিসি। ওই বছরের আবেদনটি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে পেশ করেন ডিরেক্টর জেনারেল (হাইড্রোকার্বন)। পিএমএল মঞ্জুরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পূর্বাঞ্চলের কাউন্সিলের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

    বিজেপির দাবি

    গত নভেম্বরেই (BJP) সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, “অশোকনগরে উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই ওএনজিসি ১০৪৫.৫৪ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। জমি লিজ পেতে সংস্থা ১৪ বার ও কেন্দ্রীয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক চার বার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। তেল-গ্যাসের ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় রাজ্য বিপুল রয়্যালটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে (Mamata Banerjee)।”

    অশোকনগর

    প্রসঙ্গত, অশোকনগর ক্ষেত্রটি (BJP) মহানদী-বাংলা-আন্দামান অববাহিকার অন্তর্গত। পশ্চিমবঙ্গ দীর্ঘদিন ধরে তেল ও গ্যাসের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যদিও ওএনজিসি বহু বছর ধরে এই রাজ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। তবে নমুনার অর্থনৈতিক লাভজনকতা সবসময়ই একটি সমস্যা ছিল। আশোকনগর তৈল ক্ষেত্র থেকে ২০ কিলোলিটার অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পর, ওএনজিসি নমুনাটি প্রক্রিয়াকরণের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলের হলদিয়া শোধনাগারে পাঠায়। পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, উৎপাদিত তেলের গুণমান খুবই ভালো।

    ভারত সরকারের (BJP) প্রাথমিক-মুদ্রাকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশোকনগর-১ এখন একটি তেল উৎপাদক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর অর্থ হল, ওএনজিসি ভারতে তার আটটি অববাহিকার মধ্যে সাতটি আবিষ্কার ও উন্নয়ন করেছে। এটি দেশের মোট পরিচিত তেল ও গ্যাস মজুতের ৮৩%। কোম্পানিটি ভারতের মোট হাইড্রোকার্বন উৎপাদনের ৭২% জোগান দেয়।

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বাকি এক বছরেরও বেশি সময় (Assembly Elections 2026)। এখন থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার ‘গড়ে’ ধস নামানোর ছক (Suvendu Adhikari)

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেই কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পয়লা মে কার্যালয়ের উদ্বোধনও করতে চান তিনি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুভেন্দু আলোচনা করেন ভবানীপুরের বিজেপি নেতা- কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ভবানীপুর ‘গড়ে’ই এবারও প্রার্থী হবেন মমতা। এই গড়েই ধস নামাতে কোমর কষে নামেছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    রেডি প্ল্যান ‘এ’

    জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে মমতাকে গোহারা হারাতে ১০০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। এই টিমের কাজ হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নানা তথ্য সংগ্রহ করা। তবে এই টিমে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই কেন্দ্রের ভোটারদের মন বোঝারও চেষ্টা হবে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে টেক্কা দিতে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। সেই নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

    নন্দীগ্রামে গোল দিয়ে ঘোল খাইয়েছিলেন

    নির্বাচনের ঢের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে তাঁর ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে গোল দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতাকে। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, ‘কথা’ রেখেছেন শুভেন্দু। গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করিয়ে ভোটে জিতিয়ে আনতে হয় মমতাকে। এভাবেই (Suvendu Adhikari) সেবার কোনওক্রমে মুখ রক্ষা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর (Assembly Elections 2026)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু যে অস্ত্রে বধ করেছিলেন মমতাকে, এবারও সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিতে চান পরাজয়ের কালি।

    ভবানীপুরে জেতা সহজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বৈঠকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪। আর তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র তিনটিতে – ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ছিল মাত্র ২৭৯ ভোটে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই জায়ান্ট কিলারের (নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর পর এমন খেতাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে) এহেন উদ্যোগ।

    শুভেন্দুর নির্দেশ

    বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গল-সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর না দিলেও চলবে। তবে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর যদি তা করা যায়, তাহলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজেপির এক নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হবে বলে মানসিকভাবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে থাকি। কিন্তু শুভেন্দুদা আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।” তিনি বলেছেন, “বুথে শক্তি জোগাতে পারলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারব। প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে পারলেই যে জোরদার লড়াই সম্ভব, বৈঠকে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে সে কথাই বলেছেন শুভেন্দুদা।”

    শুভেন্দুর গেম প্ল্যান

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর নির্দেশ, যে ওয়ার্ডগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে হবে। আর যেগুলিতে পদ্ম-প্রার্থী পিছিয়েছিলেন, সেগুলিতে কমাতে হবে ব্যবধান। দলীয় কর্মীদের ভোটার লিস্টের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার অছিলায় যেন বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ না দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেবল ভবানীপুরই নয় (Assembly Elections 2026), দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে গতকাল বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই নাকি কারচুপি চলছে ভোটার তালিকায়। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘অমিত শাহের দফতরের প্রধান সচিবকেই করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের জেরে এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, মমতার মন্তব্যে ক্ষুণ্ণ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    চিঠিতে জ্ঞানেশ কুমারের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উনি বলতে চান, সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে নাকি বিজেপি প্রভাবিত করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে বিজেপি নিজেদের লোককে বসাচ্ছে। উনি ভালো করেই জানেন, আপনার নিয়োগ ২০২৩ সালের নতুন আইনের মাধ্যমে হয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্যানেলে থাকেন। নিরপেক্ষ এই পদ্ধতিতেই আপনার নিয়োগ হয়েছে। এর আগে নিয়ম ছিল, বয়োজ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদটি পাবেন। সেই নিয়ম অনুযায়ীও এই পদ আপনারই পাওয়ার কথা ছিল। কারণ, রাজীব কুমারের পর আপনিই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বয়োজ্যেষ্ঠ।’’

    সমস্ত সীমা ছাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

    অমিত শাহের মন্ত্রকের লোককে করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে আপনার কাজের সময়টিকে তুলে ধরেছেন মমতা। কিন্তু উনি এটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন যে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব যিনি পান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সচিব পদে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, যা দেশের ভোটপ্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনা করে। ভারতের সংবিধান কমিশনকে এই অধিকার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই কমিশনকে আক্রমণ করে সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার এক্তিয়ারই ওঁর নেই। ভোটার তালিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভিত্তিহীন অভিযোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। প্রকাশ্যে মিথ্যে অভিযোগ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।’’

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া (Suvendu Adhikari)

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে আগেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জোরে জোরে খেলা হবে বলেছেন, সরাসরি হুঙ্কার দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বডি। আর আপনি বলছেন অমিত শাহের দফতরের সচিবকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার করে দিয়েছে। আপনি চ্যালেঞ্জ করে কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না? আসলে আপনি ভয় পেয়েছেন।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পাকিস্তানে সবে বরাতে ১ দিন ছুটি, আপনি কেন ২ দিন দেন?’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘পাকিস্তানে সবে বরাতে ১ দিন ছুটি, আপনি কেন ২ দিন দেন?’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুরসভার হিন্দি মাধ্যম স্কুলে বিশ্বকর্মা পুজোর (Biswakarma Puja) ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল বুধবারই। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার প্রবল ঝড় ওঠে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ করে বিজেপি। অন্যদিকে এই নির্দেশিকা সামনে আসতেই তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক দেশ পাকিস্তানে সবে বরাতে ১ দিন ছুটি দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ২ দিন ছুটি দেন কেন?’’

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম এই সরকারটা ‘মুসলিম লিগ টু’ এর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন। কলকাতা পুরসভার নোটিশ সেটা প্রমাণ করল। ইদে ২ দিন কেন, ৪ দিন ছুটি দিন না। বিশ্বকর্মার ছুটিটাকে বন্ধ করে কেন? হিন্দুদের ওপর আঘাত করে কেন? এতে কী মজা পান আপনারা? ইসলামিক দেশ পাকিস্তান সবে বরাতে ১ দিন ছুটি দেয়। আপনি ২ দিন ছুটি দেন। কেন করেন এগুলো? আপনি হিন্দুদের আক্রমণ করছেন কেন?’’

    আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও

    এ প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজের এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দু বিরোধী মানসিকতাকে প্রকাশ করে এহেন নোটিশ।’’ মুসলিম তোষণের এমন রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করছে বলেও অভিযোগ লকেটের। এমন চললে মানুষ রামকৃষ্ণ, চৈতন্যদেবকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভুলে যাবে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেত্রী।

    প্রবল চাপে নোটিশ প্রত্যাহার করে পুরসভা

    যদিও প্রবল চাপে গতকাল বুধবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পুরসভার তরফে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে চারিদিকে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই বিষয়ে পুরসভা অবশ্য সাফাই দিয়ে বলছে, উচ্চ আধিকারিকদের অনুমোদন ছাড়াই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া এত বড় নির্দেশিকা জারি হল কীভাবে।

LinkedIn
Share