Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Saif Ali Khan: “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢোকে সইফের হামলাকারী”, মমতা প্রশাসনকে তোপ সুকান্তর

    Saif Ali Khan: “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢোকে সইফের হামলাকারী”, মমতা প্রশাসনকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) এখন হাসপাতালে ভর্তি। শারীরিক অবস্থা নিয়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগে থেকে ভালো আছেন। তাঁর হামলাকারীকে ইতিমধ্যে মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রবিবার আদালতে পেশ করলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। হামলাকারী একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এবার তার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢুকে মুম্বই গিয়ে সইফের পিঠে চাকু মেরেছে অভিযুক্ত।” উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত ভারতে অনুপ্রবেশ করে নিজের পরিচয় বিজয় দাস নাম হিসেব দিয়েছিল। কিন্তু পরে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। তার নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ।

    দিদির অনুপ্রেরণা (Saif Ali Khan)!

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করে বলেন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দিদির অনুপ্রেরণা! নদিয়া দিয়ে ঢুকিয়ে চালান করে দিয়েছে। সইফ আলি খানের উপর এই আক্রমণ শুনে তো বিরোধীরা লাফিয়ে উঠেছিল। আরে বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দু রাজ্য হয়ে গিয়েছে। মুসলিমদের কোনও রকম সুরক্ষা নেই। ধরা পড়ল কে দেখলেন তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য থেকে গিয়ে সইফের (Saif Ali Khan) পিছনে চাকু মেরেছে। ইন্ডি জোটের এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের অধিকাংশই দুষ্কৃতী!

    উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ছয়টি ফ্রন্টইয়ার রয়েছে যার একাধিক জায়গায় নেই কোনও কাঁটাতার। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছু ভারতীয় দালালই বিপুল টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ করিয়েছে। অভিযুক্ত শরিফুলকেও একই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করানো হয়। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, প্রথমে এই অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়, এরপর শীতের রাতে সুযোগ নিয়ে ভারতের ভূ-খণ্ডে প্রবেশ করানো হয়। তারপর তারা দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ দুষ্কৃতী, যারা টাকার বিনিময়ে নাশকতার কাজ করে। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর হিন্দু ধর্মীয় ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েও ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পেতে চাইছেন। ফলে অনুপ্রবেশকারী মুসলমান এবং শরণার্থী হিন্দু দুয়ের দৃষ্টিভঙ্গি দুই রকম। সইফের (Saif Ali Khan) হামলাকারী নিঃসন্দেহ একজন দাগী আসামী নয় তো? এখন এটাই বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    Uttar Dinajpur: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের তাঁবেদারি করতে করতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে রাজ্যে পুলিশের! এবার পায়ের তলায় মাটি শক্ত করে ঘুরে দাঁড়াতে কার্যত উত্তরপ্রদেশের যোগী পুলিশের এনকাউন্টার মডেলকে হাতিয়ার করেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমকে নিকেশ করল রাজ্য পুলিশ। শনিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে, কি বাহিনীর মনোবল ধরে রাখতে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বাইরে বেরিয়ে অবশেষে নিজের দক্ষতা প্রমাণে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, এদিনের এনকাউন্টারে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, সাজ্জাকের মতো বেপরোয়া দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এনকাউন্টারই দাওয়াই, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বই কি মেনে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল সাজ্জাকের বিরুদ্ধে? (Uttar Dinajpur)

    বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) জেলে ফেরার সময় পাঞ্জিপাড়ায় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালায় বিচারাধীন আসামি সাজ্জাক আলম। জানা যায়, জেল লক আপে তার হাতে বন্দুক পৌঁছে দিয়েছিল আবদুল নামে এক বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। ঘটনার পর থেকে সাজ্জাকের খোঁজে ম্যান হান্ট শুরু করে পুলিশ। ডিজি রাজীব কুমার বলেন, এই ধরণের দুষ্কৃতীদের কী করে শিক্ষা দিতে হয় তা পুলিশ জানে। পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ১টা গুলি ছুড়লে পুলিশ ৪টে গুলি ছুড়বে। তখন থেকেই এনকাউন্টারের জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে, যোগী পুলিশের মতো এই রাজ্যের পুলিশ সেই ক্ষমতা দেখাতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু, নিজেদের স্বার্থে অবশেষে বাধ্য হয়ে যোগী রাজ্যের এনকাউন্টার মডেলের ওপর আস্থা রাখল মমতার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শনিবার ভোর-রাতে গোয়ালপোখর সীমান্ত (Uttar Dinajpur) পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় পুলিশের মুখোমুখি হয় সাজ্জাক। তখন তাকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি সে। এরপরও কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে থাকে অভিযুক্ত। তখন পুলিশকর্মীরা গুলি চালালে সাজ্জাকের গায়ে গুলি লাগে। লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক এনকাউন্টারে দুষ্কৃতীদের খতম করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ২০১৭ থেকে ১০ হাজারের বেশি এনকাউন্টার করেছে তারা। তাতে ৬৩টি দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে দেশ জোড়া বিতর্ক কম হয়নি। উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারের নামে বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছিল তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এবার পশ্চিমবঙ্গেও দুষ্কৃতীকে সবক শেখাতে যোগী আদিত্যনাথের পথেই হাঁটতে হল মমতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মমতাকে পরামর্শ, সরকারি হাসপাতালে অভিষেকের চিকিৎসা করান’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মমতাকে পরামর্শ, সরকারি হাসপাতালে অভিষেকের চিকিৎসা করান’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে নিজের পরিবারের সদস্যদের রাজ্যের এক-একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) চিকিৎসা করাতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।” মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসায় গাফিলতি এবং দূষিত স্যালাইন ব্যবহারে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরজি কর-কাণ্ডের পর এই ঘটনায় ফের আরও একবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগ চেয়েছে বিজেপি।

    হাসপাতালগুলি শুধু নামেই সুপার স্পেশালিটি (Sukanta Majumdar)!

    বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশাসনিক দায়কে চিকিৎসকদের ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) রাজ্যের ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করেছেন। কিন্তু হাসপাতালগুলি শুধু নামেই সুপার স্পেশালিটি আসলে এগুলি সুপার ফ্লপ এবং কাজের কাজ কিছুই করেনা। মুখ্যমন্ত্রী কতগুলি নীল-সাদা হাসপাতাল করেছেন। দম থাকলে পরিবারের এক একজন ব্যক্তিকে এই সব হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কর্নাটকে নিষিদ্ধ কোম্পানির ওষুধ পশ্চিমবঙ্গে সরবরাহ এবং ব্যবহারে স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকা নিয়েও আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ওই প্রসূতির সন্তান অসুস্থ ছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ মাঝরাতে ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব, কঠোর ব্রত পালন, মহাকুম্ভে শুরু নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়া

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আর্থিক কোনও লেনদেন হয়েছে?

    সদ্যোজাতর মৃত্যু এবং স্যালাইন-কাণ্ড নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আক্রমণ করে করেন, “সাত দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। এটা মৃত্যু নয়, এটা একটা পরিকল্পিত খুন। মৃত্যুর জন্য দায়ী একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। দূষিত স্যালাইন ব্যবহারের আগে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে চিকিৎসকদের সতর্ক করা উচিত ছিল। নিজে কোনও দায়িত্ব নেবেন না, সব দোষ মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের ওপর চাপিয়ে দেবেন। নিজের দুর্নীতি ঢাকতে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি কার্যত শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুবাবু বলেছেন, ‘‘এই ভাবে সিআইডি তদন্ত করলে সত্যকারের কথা উঠে আসবে না। বরং দোষীদের আড়াল করা হবে। রাজ্যের প্রশাসন বরাবর এই অপরাধীদের ধরা নয় অপরাধীদের বাঁচানোর কৌশল করেছে, এইবারেও তাই হবে। একজন কর্মরত বিচারপতির অধীনে কমিশন গঠন করে গোটা ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। স্যালাইন উৎপাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা রোগীর উপরে ব্যবহার করার জন্য কেন প্রয়োগ করার ছাড়পত্র দেওয়া হল? তাহলে কী এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যভবন কিংবা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আর্থিক কোনও লেনদেন হয়েছে?”

    সর্বত্র একটা টাকার চক্র চলছে!

    এদিন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “স্কুলে যথেচ্ছ ভাবে বেতন নেওয়া হচ্ছে। আটটি স্কুলকে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে। একই ভাবে আরও বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুল অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে। সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তাহলে শিক্ষা একটি ব্যবসায় পরিণত হবে। জেলায় জেলায় কীভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে সেই জন্য রাজ্য সরকারকে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। স্কুলের শিশুদের খাবারের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। তাই কোথাও কোথাও দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। আমি নিজে দিল্লিতে অভিযোগ করে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন জানাব। একটি কমিটি গঠন করে মুর্শিদাবাদ জেলায় পাঠানোর প্রস্তাব করব। স্বয়ং জেলাশাসকরা এই ধরনের কাজে প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছেন। সর্বত্র একটা টাকার চক্র চলছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার বিরাট অবনতি ঘটেছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে একেবারেই ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হিসেবে চূড়ান্ত অপদার্থ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’! বাঘাযতীনকাণ্ডে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর, আক্রমণ মেয়রকেও

    Suvendu Adhikari: ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’! বাঘাযতীনকাণ্ডে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর, আক্রমণ মেয়রকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বাঘাযতীনে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঠিকাদার সংস্থার পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহের মধ্যে এবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে গিয়ে চূড়ান্ত হাস্যরস ও ‘সৃষ্টিশীলতা’র পরিচয় দিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’! (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সেই পোস্টে রয়েছে একটি ‘ক্রিয়েটিভ’ এবং তার ক্যাপশন হিসেবে কিছু লেখা। সেই ক্রিয়েটিভের বাঁদিকে রয়েছে ইতালির বিশ্ববিখ্যাত স্থাপত্য তথা আধুনিক জগতের অন্যতম বিস্ময়— ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসা’। এর ঠিক পাশেই, ক্রিয়েটিভের ডানদিকের অংশে রয়েছে বাঘাযতীনের সেই হেলে পড়া বহুতল। যার ওপরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ক্যাপশনে লিখেছেন— ‘লিনিং টাওয়ার অফ পিসি’!

    কেন শুভেন্দু এহেন একটি ক্যাপশন দিলেন, তার ব্যাখ্যায় না গিয়ে বরং দেখে নেওয়া যাক, নন্দীগ্রামের বিধায়ক ওই পোস্টে আর কী লিখেছেন! তিনি সরাসরি নিশানা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। কলকাতার মেয়রের উদ্দেশ করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘কলকাতার আধুনিক স্থপতি। মেয়র জনাব ফিরহাদ হাকিম সাহেব কলকাতাকে এমনই সব স্থাপত্য বিস্ময়ে ভরিয়ে তুলছেন! গার্ডেনরিচ থেকে বাঘাযতীন (Baghajatin), সিটি অফ জয় এখন সিটি অফ ভয়-তে পরিণত হয়েছে। বাসিন্দারা সারাক্ষণ উদ্বেগে রয়েছেন – এই বুঝি পাশের বাড়িটা তাঁদের ওপর হেলে পড়ল।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘তৃণমূল-প্রোমোটার-কেএমসি’-এর মধ্যে অসাধু আঁতাঁত নিয়েও সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, এই অসাধু আঁতাঁতে ভর করেই কলকাতা শহরে বেআইনিভাবে ‘জলাজমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ বহুতলের নকশায় অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে এবং ঘুষের বিনিময়ে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, এতকিছু হওয়ার পরও ‘পরিদর্শনের অভাব’ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল সইফের ছোট ছেলে জেহ্! পুলিশকে দেওয়া পরিচারকের বয়ানে হাড়হিম করা তথ্য

    নেটিজেনরা এই পোস্টে মজেছেন

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই পোস্ট দেখে নেট নাগরিকরা যে বেজায় মজা পেয়েছেন, তা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এই পোস্ট দেখেছেন। এটি রিপোস্ট করা হয়েছে প্রায় ২৫০ বার। সঙ্গে বহু নেট ইউজার মজার মজার সব কমেন্টও করেছেন। প্রসঙ্গত, বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সূত্রের দাবি, বেআইনিভাবে জলাজমি ভরাট করে এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে বছর ১০-১১ যেতে না যেতেই বাড়ি হেলতে শুরু করে। তারপর সেই বাড়ি সোজা করার জন্য অদক্ষ শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়। এমনকী, বাড়ি সোজা করার প্রক্রিয়া চলাকালীন সেখানে কোনও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়রও ছিলেন না বলে অভিযোগ। ফলস্বরূপ – ভয়ঙ্করভাবে বাড়ির একতলার পিলার ও একাংশ ভেঙে যায় এবং বাড়িটি আরও বিপজ্জনকভাবে একদিকে হেলে পড়ে। আরও বিস্ময়কর বিষয় হল, বেআইনি এই বাড়ি থেকে রীতিমতো পুরকরও আদায় করা হচ্ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 8th Pay Commission: অষ্টম পে কমিশনকে অনুমোদন মোদি সরকারের, মমতাকে ডিএ নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

    8th Pay Commission: অষ্টম পে কমিশনকে অনুমোদন মোদি সরকারের, মমতাকে ডিএ নিয়ে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় কর্মরত চাকরিজীবীদের বেতন ও মহার্ঘভাতার কাঠামো নির্ধারণ করে থাকে এই বেতন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেয় বেতন বৃদ্ধির বিষয়েও। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদির নেতৃত্বেই নতুন বেতন কমিশন গঠনে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। যদিও এই খবর সামনে আসতে না আসতেই রাজ্যকে তীব্র খোঁচা দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ঠিক কতটা ‘বঞ্চনার’ শিকার হচ্ছেন সেই তথ্য তুলে ধরে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করলেন বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ রাজ্যকে

    কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ৩৯ শতাংশ। দাবি করছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ কেন্দ্রিক মামলার শুনানি বছরের পর বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিরা অবসর নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানির দিন ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এই আবহে কেন্দ্র সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের অনুমোদন দিতেই শুভেন্দু লেখেন, “যশস্বী প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অষ্টম পে-কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন। যার ফলে ৪৯ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।” এরপরই রাজ্যের বৈষম্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে খোঁচা দিয়ে লিখছেন, “ঋণে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ষষ্ঠ পে-কমিশনে বাঁধা পড়ে রয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পরদিন ঋণ বাড়িয়ে চলেছেন।”  

    অষ্টম বেতন কমিশনের ফলে সুবিধা

    বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের। গঠিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি কমিটিও। প্রসঙ্গত, সপ্তম পে কমিশন গঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের আগামী ৩১ ডিসেম্বর। সুতরাং ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি লাগু হতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘শীঘ্রই কমিশনের জন্য চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে নিয়োগ করবে কেন্দ্র।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডাকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডাকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুরে স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Controversy) তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই আবহের মধ্যে এবার স্যালাইনকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ (BJP MP) জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Saline Controversy)

    মূলত, সন্তান প্রসবের পরই, মৃত্যুর কোলে (Saline Controversy) ঢলে পড়েছেন এক প্রসূতি। তিনজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে। তার মধ্যে দু’জন ভেন্টিলেশনে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারের ফলেই এই পরিণতি বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে আবার রোগীর পরিবারের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এতগুলো মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল কারা? কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী? এই প্রশ্ন যখন উঠছে, গাফিলতির কথা মেনে নিয়েছেন মুখ্যসচিবও। তাঁর মুখে শোনা গেছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ। বুধবার মুখ্যসচিব বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, গুরুতর গাফিলতি রয়েছে ইউনিটের, যাঁরা তখন ডিউটিতে ছিলেন। তা সত্ত্বেও, আমরা আরও বিশদ তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে যেটা হয়, সবসময় একজন সিনিয়র ডাক্তারের উপস্থিতিতেই এটা করা হয়। কিন্তু, ওখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ট্রেনি চিকিৎসক, ওরাই এটা সামলেছেন। সেজন্য আমরা মনে করি, এটা গাইডলাইন অনুযায়ী হয়নি।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    চিঠিতে কী দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে (Saline Controversy) চিঠি দিয়ে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত জানিয়েছেন, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে বেহাল বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির ছবি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তদন্ত কমিটি গঠন ও স্যালাইনের স্টক সরানোর ছাড়া রাজ্য কোনও উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি। সরকারি হাসপাতালের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। প্রকৃত তদন্ত না করে আরজি করকাণ্ডে আন্দোলনে সামিল হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের দায়ী করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই সব জুনিয়র ডাক্তাররা। জাল ওষুধ চক্রের হাব হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। বেআইনি ওষুধ চক্রের রমরমা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।”

    সরব শুভেন্দুও

    বুধবার শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘‘মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মনে হচ্ছে, আপনি এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম চাইছেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Saline Controversy) ঘটনার পুরো দায় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিষয়ক বিভাগের দিকে ঠেলে দিতে। আপনাদের পরিকল্পনা হল, জুনিয়র এবং ট্রেনি চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তোলা। সাংবাদিক বৈঠকে ‘গাফিলতি’ শব্দটা একাধিকবার বলা, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘বোমা ফাটালেন’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, প্রায় আড়াই বছর জেলে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফোনে কথা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কীভাবে ফোনে কথা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলে বসে মোবাইল ব্যবহার করছে অপরাধীরা। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জঙ্গিরা। নাশকতার ছক পরিকল্পনা হচ্ছে সেখান থেকেই। এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কারা দফতর। আধুনিক প্রযুক্তি বিশিষ্ট জ্যামার লাগানো হচ্ছে রাজ্যের জেলগুলিতে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ হেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    পার্থকে নিয়ে আর কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    সোমবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমি আগের কথা বলব না। সম্প্রতির কথা বলব। পার্থ যেদিন চান, বেলের মোরব্বা খান। যেদিন চান, খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীতে লুচি-ছোলার ডাল খেয়েছেন। তাই, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ের মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। কনভিকশন করাতে চায়। তাদের বলব সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যান। আমি বরাবরই দাবি করি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই মামলাগুলি নিয়ে যাওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    জেল কাকে বলে জানেন সুদীপ-অনুব্রত!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘রোজভ্যালির মামলা ওড়িশায় ছিল বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন জেল কাকে বলে। আজ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এরা জানেন না। জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি রাজনীতি করছেন করুন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ভাষা অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও আমরা তফাৎ দেখি। কিন্তু, এখানকার জেল থেকে যারা ফিরে আসেন যেমন জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য, তাদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন, বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।”

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। একাধিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অযোগ্যদের তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে, সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Case: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Saline Case: ‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সকলে যায় সিঙ্গাপুর-আমেরিকা’, স্যালাইনকাণ্ডে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Case) তোলপাড় রাজ্য। প্রসূতি মামনি রুইদাসের মৃত্যুর খবরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণ রোগীর পরিবার-পরিজনদের মধ্যে জমেছে ব্যাপক ক্ষোভ। বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেক রোগীর পরিবারই। এনিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিজেপিও। বুধবার জন্ম নিয়ে শুক্রবারই মাতৃহারা হয়ে পড়ে সদ্যোজাত। জানা গিয়েছে, আরও চারজন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মেদিনীপুরে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রবিবার রাতে, তাঁদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর।

    এই আবহে মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তিনি এনেছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির তো কেউ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না, এমন কটাক্ষও করেন শুভেন্দু। এপ্রসঙ্গে তাঁর নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জাল ওষুধ কারবারীদের টাকার মোটা অংশ কালীঘাটে পৌঁছে যায় বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। এই কাণ্ডে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্সের এফআইআর হওয়া উচিত বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।

    স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Case)  ইডি তদন্ত চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা  

    স্যালাইনকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কেউ সরকারি হাসপাতালে যায় না, বেসরকারি হাসপাতালে যায়। (চিকিৎসা করাতে) সিঙ্গাপুরে যায়, আমেরিকায় যায়। এক কোটি টাকা ডিপোজিট রাখতে হয় এমন জায়গায় যায় চিকিৎসা করতে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির ওখানে চিকিৎসা হয়। আমাদের সাধারণ মানুষকে মারছে।’’ একইসঙ্গে তিনি স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে ইডির তদন্তের দাবিও তুলেছেন। অতীতে একাধিকবার নিজের চিকিৎসা করাতে বিদেশে যেতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন শুভেন্দু তাঁকেই তোপ দাগলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

    রাজ্যের স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি ট্যুইট (বর্তমানে এক্স মাধ্যম) করার পরে নির্দেশিকা (Saline Case) দিয়েছে। ১৩ জনের কমিটি যেটা গিয়েছিল তারা রিপোর্ট দিয়েছে সন্ধ্যার পরে। অনেক কিছু হবে। ইডি যাতে এই তদন্তটা নেয়, সেটা আমরা দাবি করেছি। আমি নাড্ডাজিকে বলেছি, ডাইরেক্টরেট অফ ড্রাগ কন্ট্রোল (DCGI) আছে। তারা এসে ব্যবস্থা নিক। নারায়ণস্বরূপ নিগমকে কাস্টডিতে নিতে হবে। ব্ল্যাকলিস্টেড কোম্পানিকে দিয়ে টেন্ডার করিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, গত শনিবারই নিজের এক্স হ্যান্ডলে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    কালীঘাটের সঙ্গে টাকার লেনদেনের অভিযোগ বিরোধী দলনেতার  

    কালীঘাটের সঙ্গে টাকার লেনদেন (Saline Case) হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর হলেন বহরমপুরের মুকুল ঘোষ।  এই মুকুল ঘোষের সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে।’’

    কয়েকশো ভুয়ো ওষুধ কোম্পানি আছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর

    নিজের এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমার কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর আছে যে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড নামক কোম্পানিটির ডিরেক্টরদের নামে কয়েকশো ভুয়ো কোম্পানি রয়েছে। তাদের ফার্মের ওপর এত গুরুতর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে (Saline Case)  নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করার অনুমতি পায়?’’

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের উচিত বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা 

    শুভেন্দু অধিকারীর মতে, এই ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে বড় মাথার যোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার তো মনে হয় স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্সের এফআইআর হওয়া উচিত। কারণ, ২০২২ সালে যে কোম্পানির মেয়াদ শেষ, নারায়ণ স্বরূপ নিগম কী করে ৬ মাসের এক্সটেনশন দিয়েছেন এই কোম্পানিকে? এক্সচেঞ্জ অফ মানি। সিঙ্গল অ্যাজেন্ডা টু আর্ন মানি, টু কালেক্ট মানি। অনলি থিং ইজ মানি। টিএমসি মিনস মানি মানি মানি। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাজিকে অনুরোধ করেছি যাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার কমিশনার এই বিষয়ে অ্যাকশন নেন। আমি মনে করি, ইডির এই কেসটা নিয়ে নেওয়া উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Government: মমতার বঞ্চনার দাবি মিথ্যে, কর বাবদ বাংলাকে ১৩,০১৭ কোটি টাকা দিল মোদি সরকার

    Modi Government: মমতার বঞ্চনার দাবি মিথ্যে, কর বাবদ বাংলাকে ১৩,০১৭ কোটি টাকা দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে সুখবর। রাজ্যগুলিকে কর বাবদ ১,৭৩,০৩০ কোটি টাকা বণ্টন করল কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। পশ্চিমবঙ্গ পেল ১৩০১৭.০৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২৪-এ ৮৯,০৮৬ কোটি টাকা বণ্টন করা হয়েছিল। যার তুলনায় এবারের পরিমাণ অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এই বাড়তি অর্থ রাজ্যগুলিকে উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং জনকল্যাণ প্রকল্পগুলির খরচ মেটাতে সাহায্য করবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মমাফিক কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন। সেই দাবি যে সর্বৈব মিথ্যে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা এই বাড়তি অর্থ বরাদ্দের ঘটনায় পরিষ্কার।

    আরও পড়ুনঃ ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    জিএসটি বাবদ প্রাপ্য টাকা দিল কেন্দ্র

    বয়েকা অর্থ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) বারবার নিশানা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রাপ্য টাকা না দেওয়া এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা আটকে থাকার অভিযোগ তিনি বারবার সামনে এনেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, বারবারই রাজ্যের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মোদি সরকার (Modi Government)। এবারও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কর বাবদ পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2025) পেশ হবে। তার আগে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। 

    কেন্দ্রের মতে, রাজ্যগুলির আর্থিক শক্তি বাড়াতে এবং সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে মমতা সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে প্রতিবারই তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে। খরচের হিসেব চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেভাবে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। যদিও চাপানউতোরের মধ্যেই কর বাবদ বড় অংশের টাকা রাজ্যকে দিল কেন্দ্র (Modi Government)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি না বদল করতে পারলে ২০৩১ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালানোর পথ খুঁজতে হবে হিন্দুদের। তখন আবাস যোজনায় তৈরি বাড়িগুলি দখল করে নেবে ‘ওরা’। বৃহস্পতিবার হাওড়ার রামরাজাতলায় মন্দির উদ্বোধনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে একথা বলতে শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে হিন্দুশূন্য করা হয়েছে একই পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।’’

    ভাষণে উঠে আসে নিজের মায়ের কথাও বলেন বিরোধী দলনেতা 

    এদিনের বক্তব্যে নিজের মায়ের প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জীবন বাঁচাতে তাঁকেও বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মা গায়ত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা মাখনলাল ভট্টাচার্যের হাত ধরে বরিশাল থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছিল হিন্দু হওয়ার কারণে। আর এখানে পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, ২০৩১ সালের পরে আমাদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে। জায়গা খুঁজতে হবে। ভাতা আসবে যাবে। আবাস হবে, আবাস ভাঙবে-গড়বে। কিন্তু এই যে বাড়িগুলি তৈরি করে রেখে যাচ্ছেন না, সব দখল করবে ওরা।’’

    বাংলাদেশে চলছে হিন্দু শূন্য করার কাজ (Suvendu Adhikari) 

    এর পরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘দখল করেছে আফগানিস্তানে। সেখানে হিন্দু, শিখ ও জৈন পার্শিদের হাতে সব থেকে বেশি সম্পদ ছিল। একদম শূন্য করে দিয়েছে। পাকিস্তানে ১ শতাংশেরও কমে নামিয়ে দিয়েছে। লাহোর, ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে সব বড় শহরে শিক্ষা, ব্যবসা, সম্পদ, অর্থ সব ছিল হিন্দু, শিখ, পার্শিদের হাতে। সেই একই ভাবে বাংলাদেশে শূন্য করার কাজ চলছে।’’

    মমতা (Mamata Banerjee) সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ

    হাওড়ার সভা থেকে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতিরও অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে সীমাহীন তোষণ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে এবং ডেমোগ্রাফি বদলে দিচ্ছে। সীমান্ত খোলা, রোহিঙ্গা মুসলমান ছেয়ে যাচ্ছে।’’ এরপরেই বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘একদিকে যখন বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা পুলিশ তৎপরতা দেখাচ্ছে, তখন বাংলায় তাদের অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা’’ এদিনের সভায় শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজ। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share