Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের চারজনকে জেলে ঢোকালে, বিজেপির আটজনকে জেলে ঢোকানার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন হুঁশিয়ারির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি যে আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তার আগে তিনি ই-মেইল করলেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়।

    কী লিখেছেন শুভেন্দু? 

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে ইমেলে অভিযোগ জানিয়েছি। বিজেপির আটজনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দলের হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার মধ্যে পড়ে, সেখানেই ই-মেইলে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও হুমকি নিয়ে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। পুলিশ যদি এফআইআর না করে, এসিজেএমের দ্বারস্থ হব।”

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “দম থাকলে সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে শুরু করুন। সুকান্ত মজুমদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, আমার বাবা-মা, স্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব নিন। আপনার পরিবারের সম্পত্তির হিসেবও বের করুন।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকি দেন, কার বিরুদ্ধে, আদালত-আইনের বিরুদ্ধে…কে গ্রেফতার হয়েছে, কেন গ্রেফতার হয়েছে, তাতে বিজেপির কী হাত রয়েছে প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। বাড়িতে হানা দিলেই সম্পত্তি, টাকা-পয়সা পাওয়া যাচ্ছে। তার পরেও উনি প্রতিহিংসার কথা বলছেন! আর কত নীচে নামবেন উনি। একজন শাসকের এমন (Suvendu Adhikari) আচরণ শোভা পায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়ে গারদে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    ‘পার্থ-মানিক-বালু জেলে’

    গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় দিল্লির জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিনের বৈঠকে তাঁদের পাশেও দাঁড়ান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, “আমি শুনেছি যারা সব চেয়ে বেশি গরু আর কয়লার টাকা খায়, বিএসএফ যারা সীমান্ত পাহারা দেয়, তারা। কয়লা কাদের নিয়ন্ত্রণে? সিআইএসএফ থাকে ওখানে। গরু আসে ইউপি, এমপি, রাজস্থান থেকে। তখন টাকা খায় না। তখন কি লজেন্স খাও? যা বলছি শুনে রাখুন, এলাকায় গিয়ে প্রচার করবেন। আজ আমাদের অনেকে জেলে। তাই নিয়ে খুব হাসছেন? পার্থ-মানিক-বালু জেলে। যখন আপনারা থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন? সেলে না কোলে?  

    আরও পড়ুুন: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে ছিল একশো দিনের কাজের বকেয়া আদায়ে ফের আন্দোলনের কর্মসূচিও। এজন্য আবারও ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, “দিল্লি যান না। রাজঘাটে আবার যান। দৌড় করাব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার তোপ, “যারা বিরোধী, তাঁদের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। বেছে বেছে তৃণমূলকে যারা ভোট দেয় না, তাদের বাড়ি-ই পোড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা। যন্ত্রণার নাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।” বিরোধী দলনেতা জানান, ওঁর বক্তব্যের কপি নেব। দু’ এক দিনের মধ্যেই এফআইআর করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকে হাইজ্যাক করেছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।” বৃহস্পতিবার এই ভাষায়ই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেকের দড়ি টানাটানি চলছে বলেও দাবি করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    ‘ভাইপো হাফপোস্ট’

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। এই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না দলের সাধারণ সম্পাদক। যদিও ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এখন দুজনের মধ্যে একটু টানাটানি চলছে। নতুনরা সামলাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো সৈনিকরা সামলাবেন, তা নিয়ে দল ও পরিবারের মধ্যে টানাটানি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন দলটাকে ফিরে পাওয়ার, কিন্তু ভাইপো তো দলটাকে হাইজ্যাক করে নিয়েছেন! এখন দল দুই ভাগে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে কে প্রার্থী হবেন, সেটা আইপ্যাক ঠিক করে দেবে।” তিনি বলেন, “এখানে আবার বৈঠক কীসের! ওই দলে তো একটাই পোস্ট, আর ভাইপো হাফপোস্ট। বাকি সব তো ল্যাম্প পোস্ট।”

    ‘পুলিশের বর্বরোচিত আচরণ’

    এদিকে, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চা আয়োজিত নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সুকান্ত জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্তের পর জানানো হয়েছে, ওই দিন একাধিক কর্মীর ওপর পুলিশ বর্বরোচিত আচরণ করেছিল।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “শিল্পপতিদের গলা টিপে ধরা হচ্ছে।” এদিন তারও জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তিনি যদি তাঁর ভাইপোকে শিল্পপতি বলে মনে করেন, তাহলে তো চোর শিল্পপতির গলা টিপে ধরবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ তারা করছে। ভারতের অন্য কোনও অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো এ রকম কোনও কথা বলছেন না। কোথাও তো বিনিয়োগের অভাব নেই। কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমনটা মনে হচ্ছে, কারণ তাঁর পরিবারের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। তাঁর পরিবার যদি চুরি না করে, তাহলে তো তাঁর কোনও ভয় নেই (Sukanta Majumdar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘মমতা যতদিন রয়েছেন রাজ্যে শিল্প হবে না,’’ সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: ‘‘মমতা যতদিন রয়েছেন রাজ্যে শিল্প হবে না,’’ সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর করা শিল্প সম্মেলন নিয়ে এবার কটাক্ষ শোনা গেল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে। সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এর আগে যে ৭ বার সম্মেলন হয়েছে, তার নিট ফল তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না। উনি দুটি কুমির ছানা বারবার দেখান। তাজপুর বন্দর এবং দেউচা পাঁচামি। এখনও টেন্ডার পাল্টানো হচ্ছে। আদানি হাত তুলে নিয়েছে। আর কি কেউ করবে?’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ততদিন রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা একেবারেই নেই।’’

    শিক্ষা থেকে শিল্প, কোনও পরিবেশই নেই রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বুধবারই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দু’দিনের বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। দিলীপ ঘোষ এখানেও প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির (Dilip Ghosh) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মতে, ‘‘বাণিজ্য সম্মেলনে কোন শিল্পপতি কত টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন, তা অবিলম্বে প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘‘তৃণমূলের জমানায় রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে, শিক্ষা থেকে শিল্প কোনও পরিবেশই নেই এই রাজ্যে।’’ রাজ্যের শিল্পের পরিবেশ নিয়ে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘এ রাজ্যে জীবন ও সম্পত্তির কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেখানে শিল্প সম্মলেন করে কী হবে? কে আসবে রাজ্যে? আগে ইমেজ ঠিক করুক সরকার।’’

    ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কী বললেন দিলীপ?

    অন্যদিকে আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতাতে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে রাজ্যের শাসক দল। সেই বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়েই ২৯ নভেম্বর সমাবেশ বিজেপির। এতে থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ইতিমধ্যে সভার অনুমতি নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। কলকাতা পুলিশকে অনুমতি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করতে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ভাবছে সভা আটকে, বিজেপিকে আটকে দেবে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না। এভাবে গণতান্ত্রিক দেশে কাউকে আটকানো যায় না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BGBS 2023: তাজপুর নয়, আদানিরা তো বন্দর গড়তে চায় মন্দারমণিতে, দাবি বঙ্গ বিজেপির

    BGBS 2023: তাজপুর নয়, আদানিরা তো বন্দর গড়তে চায় মন্দারমণিতে, দাবি বঙ্গ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2023) মঞ্চে তাজপুর বন্দরের দরপত্র নিয়ে ইচ্ছুকদের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়াকাণ্ডের জেরে এই বন্দর থেকে আদানি গোষ্ঠী হাত তুলে নিয়েছে বলে জল্পনা ছড়ায়। এর পরেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    বিজেপির দাবি

    পদ্মশিবিরের দাবি, তাজপুরে বন্দর গড়ার প্রস্তাব আগেই নাকচ করে দিয়েছে আদানিরা। আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানির নজর রয়েছে মন্দারমণিতে। সেখানে স্থলবন্দর গড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে আদানিরা। সেই কাজও বেশ খানিকটা এগিয়েছে। বিজেপির প্রশ্ন, তাজপুরের বন্দর তৈরির কথা নতুন করে ঘোষণা করে মন্দারমণির প্রকল্পকে কি আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির।

    ‘মন্দারমণিতে জমি চিহ্নিত হয়েছে’

    বিজেপির (BGBS 2023) সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মন্দারমণিতে আদানিদের বন্দর গড়ার বিষয়ে আলোচনা বেশ খানিকটা এগিয়েছে। জুন-জুলাই মাসের দিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন, আদানি গোষ্ঠী ও রাজ্য সরকারের তরফে জমি পরিদর্শনও করে আসা হয়েছে। অধিগ্রহণের জন্য জমি চিহ্নিতও করেছে সরকার। মন্দারমণির বন্দর প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।” এ সংক্রান্ত নথিও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন জগন্নাথ। স্থলবন্দর গড়তে মন্দারমণিতে বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে এ ব্যাপারে এখনও রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। জগন্নাথের প্রশ্ন, “তবে কি সরকার এবার জমি অধিগ্রহণ নীতি বদলে ফেলেছে? আদানিদের সঙ্গে মন্দারমণি প্রকল্প নিয়ে এত রাখঢাক কেন?”

    আরও পড়ুুন: “ডিপফেকের বিপদ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে”, জি২০-র বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর লাভজনক হবে না বলে আদানিদের উপদেষ্টা সংস্থা ডিএইচআই আগেই জানিয়েছে। আদানিরাও তা রাজ্য সরকারকে জানিওয়েছে। জগন্নাথের প্রশ্ন, এসব জানা সত্ত্বেও কেন মমতা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে তাজপুরের কথা ঘোষণা করলেন? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে অসত্য বলেও দাবি করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির দাবি, মুখে না বললেও, আদানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রাজ্য সরকার। গোপনে চলছে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা (BGBS 2023)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BGBS 2023: মহুয়াকাণ্ডের জেরেই কি তাজপুর বন্দর থেকে সরে গেলেন আদানিরা?

    BGBS 2023: মহুয়াকাণ্ডের জেরেই কি তাজপুর বন্দর থেকে সরে গেলেন আদানিরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কার্যত ল্যাজেগোবরে হয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। মহুয়া যাঁর হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি ব্যবসায়ী হিরানন্দানি। যাঁর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছিলেন ঘুষ নিয়ে, তিনি এই আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানি। ওয়াকিবহাল (BGBS 2023) মহলের মতে, সেই কারণেই তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে ফের নতুন করে দরপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন

    ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। লগ্নি টানার নামে তৃণমূল জমানায় ফি বার হয় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। গত বছর ওই সম্মেলন শেষে রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছিলেন, তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বরাত পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেটি নির্মাণে খরচ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছর দুদিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এদিনের সম্মেলনে আদানি গ্রুপের কাউকে দেখা যায়নি। অথচ গত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন গৌতমই। কথা দিয়েছিলেন, বিনিয়োগ করবেন ১০ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার।

    মহুয়াকাণ্ডের জের!

    এদিনের সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তাজপুরে সমুদ্রবন্দর হবে। আপনারা তাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।” দু’ বছরের মধ্যে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রীর (এঁদের মধ্যে একজন আবার মুখ্যমন্ত্রী) দুই বিপ্রতীপ মন্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে জল্পনার। প্রশ্ন উঠছে, মহুয়াকাণ্ডের জেরেই কি তাজপুরে বিনিয়োগে (BGBS 2023) বিমুখ আদানিরা? অবশ্য মমতা এবং ফিরহাদের বক্তব্যে বিপ্রতীপ কিছু দেখছেন না রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, “তাজপুর বন্দর নিয়ে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আদানি গোষ্ঠীকে অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা বাতিল করা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: মোদির নেতৃত্বে আজ শুরু ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলন, যোগ দেবেন কি ট্রুডো?

    কটাক্ষ বিজেপির

    তাজপুর নিয়ে গতকালের ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আদানি নিয়েছিলেন, তবে সেখানকার মাটির ফিট সার্টিফিকেট আসেনি। তাজপুর বন্দরের একটা পাথরও গাঁথা হয়নি। আদৌ বন্দর করা যাবে কিনা, সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না! কে জলে টাকা ফেলতে চায়? ওঁর (আদানি) থেকে কেড়ে নিলেন? দেবেন কাকে? সবই তো গভীর জলে পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে, আম্বানি বুঝে গিয়েছেন দিদির কাছে বড় বড় কথা বললে দিদি খুশি। নাহলে বাকি যে (BGBS 2023) ব্যবসাগুলো চলছে, সেগুলোও চলতে দেবেন না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Global Business Summit: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট শুরু আজ, এবারও কি কেবল ‘নকল মউ স্বাক্ষর’?

    Bengal Global Business Summit: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট শুরু আজ, এবারও কি কেবল ‘নকল মউ স্বাক্ষর’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের শুরু হচ্ছে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (Bengal Global Business Summit)। আজ, মঙ্গলবার নিউ টাউনের বিশ্ব বঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে বসতে চলেছে সপ্তম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। দু দিনের এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের শিল্পপতিরা।

    সম্মেলনে কারা থাকছেন

    থাকবেন ‘শিল্পপতি’ (স্পেনে মমতার সফর সঙ্গী হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন রাজ্যে বিনিয়োগ করবেন তিনিও!) তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। উপস্থিত থাকবেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। জানা গিয়েছে, আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন সহ মোট ২৮টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন এই সম্মেলনে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০১৫ সালে প্রথম এই (Bengal Global Business Summit) সম্মেলন হয়। রাজ্য সরকারের স্বপ্ন ছিল, এই সম্মেলনের ফলে রাজ্যে হবে শিল্প। হবে লক্ষ্মীলাভ। তার পর থেকে ফি বার ঘটা করে হয়ে এই সম্মেলন। সরকারি কোষাগার থেকে উড়ে গিয়েছে কোটি কোটি টাকা। শিল্প কী হয়েছে, তা দেবা ন জানন্তি, কুতো মনুষ্যাঃ? বিরোধীদের অভিযোগ, শিল্প না হওয়ায় কর্মসংস্থানও হয়নি। উল্টে সম্মেলনের নামে জলাঞ্জলি গিয়েছে সরকারি অর্থ। ব্যাহত হয়েছে উন্নয়ন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ-বাণ 

    এবারও এই সম্মেলনকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “জনগণের টাকা ধ্বংস করতে, শুরু হতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সপ্তম পর্ব।” এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “বিজিবিএস সামিটে না থাকে বাণিজ্য, না থাকে গ্লোবাল। এটি শুধুমাত্র ঝকঝকে মিথ্যে বাংলা মানুষকে পরিবেশন করার একটি মঞ্চ। ১৫.৭ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৬ পর্বে। বাস্তবে কী ঘটেছে? এত বিনিয়োগ করে বাংলার কত ছেলেমেয়ে চাকরি পেলেন? দয়া করে প্রকাশ করুন। আমি ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই, দেউচা পাঁচামিতে কী ঘটেছে? যেখানে দু’ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ওখানে কয়লা খনি থেকে এক কিলো কয়লাও কি উত্তোলন করা হয়েছে? তাজপুরের বন্দরের কী খবর? ঘটা করে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।”

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুভেন্দুকে বাঁকুড়ায় সভার অনুমতি আদালতের

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিজিবিএস আসলে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নয়। এটি আসলে দু’ দিনের মমতা-মেড-মিরাজ। শিল্পহীনতার মরুভূমি বাংলায় মরুদ্যান দেখানোর চেষ্টা। বাংলার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটছে রাজ্যের। বিজিবিএস (Bengal Global Business Summit) হল নকল মউ স্বাক্ষর।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “ডিএ-বেতন দেন না, মুখ্যমন্ত্রী শুধু ছুটি দেন”, মমতাকে তোপ দিলীপের  

    Dilip Ghosh: “ডিএ-বেতন দেন না, মুখ্যমন্ত্রী শুধু ছুটি দেন”, মমতাকে তোপ দিলীপের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দেন না, বেতনও দেন না, শুধু ছুটি দেন।” সোমবার এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন সকালে ছটপুজো উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের মন্দিরতলা পুকুরে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানে ভক্তদের সঙ্গে মাতেন ছট পুজোয়। পুজো উপলক্ষে ঘাটে আসা ভক্তদের চা-বিস্কুটও দেন দিলীপ। খরিদায় ভক্তদের সঙ্গে ঢোলও বাজাতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে।

    দিলীপের কটাক্ষ-বাণ

    ছটপুজো শেষে দিলীপ নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দেন না, বেতনও দেন না, শুধু ছুটি দেন। অন্যান্য জায়গার থেকে আমাদের এখানে কর্ম দিবস সব চেয়ে কম। সব থেকে কম দিন পড়াশোনা হয় এখানে।” রবিবার দইঘাটে ছটপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, “ছট পুজো উপলক্ষে আমরা দুদিন করে ছুটি দিই। দিল্লি তো ছটপুজোয় ছুটি দেয় না। আমরা দুদিন করে ছুটি দিই। যাতে সকলে ভালভাবে উৎসব পালন করতে পারেন। সোমবার ছটপুজোর ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইদেও আমরা দুদিন ছুটি দিই। কালীপুজোয়ও ছুটি দিয়েছি আমরা। সব উৎসবে ছুটি থাকে। বাংলায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা বাংলাকে ভালবেসে থাকেন।”

    আরও পড়ুুন: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    নওশাদকে ডিসটার্ব কেন?

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পরেই তাঁকে নিশানা করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ইদে তিনদিন ছুটি দেন। মুখ্যমন্ত্রী ছুটি দেন। বেতনও দেন না, ডিএ-ও দেন না। আর কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে, ছুটি দেয় না…এখানে ছুটি আছে বলে না বেতন, না ডিএ। রসাতলে যাচ্ছে রাজ্যটা।” রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি-সিবিআইয়ের তল্লাশিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছিল তৃণমূল। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন দিলীপ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “নিজেদের বেলায় প্রতিহিংসা। তাহলে বিরোধী দলের বিধায়ক নওশাদকে কেন এত ডিসটার্ব করা হচ্ছে? রোজ রোজ পুলিশি তলব। ইডি-সিবিআই ডাকলেই প্রতিহিংসার কথা বলা হচ্ছে। চুরিও করবেন, আবার চোখও রাঙাবেন! চোরেদের রাজত্ব আর চলতে দেওয়া যাবে না।” মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তো মেলা-খেলা ছাড়া আর কিছু নেই। মমতা ডিভাইড অ্যান্ড রুলে বিশ্বাসী।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    Mamata Banerjee: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভার জন্য দেওয়া হয়েছিল বাস। তবে, পাঁচটি বা দশটি বাস নয়, সবমিলিয়ে সাড়ে তিনশো বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও প্রাপ্য টাকা পাননি পশ্চিম বর্ধমানের সাড়ে তিনশো মিনিবাসের মালিকরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বকেয়া টাকা পাওয়ার আশায় দরবার করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Mamata Banerjee)

    এবছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশাসনিক সভা ছিল। সেখানে দুর্গাপুর, আসানসোল, অন্ডাল, রানিগঞ্জ থেকে মোট তিনশোটি মিনিবাস গিয়েছিল বর্ধমানে। মিনিবাসের জন্য জ্বালানি তেল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীদের খাওয়াদাওয়া এবং দিনের খরচ বাবদ প্রাপ্য টাকা এখনও পাননি। প্রথমে ৬০ লিটার করে তেল দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। বাস মালিকরা তেলের পরিমাণ বাড়াতে বলায় ৭০ লিটার করে তেল দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়া বাবদ ৯০০ টাকা ও দিনের খরচ বাবদ ১০০০ টাকা, মিনিবাস পিছু মালিকদের মোট ১৯০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। সেই টাকা আজও আসেনি। বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রায় ন’মাস ধরে তাঁদের টাকা এখনও বকেয়া রয়েছে।

    বাস মালিক সংগঠনের সদস্যদের কী বক্তব্য?

    মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এবং মিনিবাস মালিক সংগঠন ‘দুর্গাপুর মিনিবাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সভার জন্য প্রায় শতাধিক বাস নেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের কর্মকর্তাদের বক্তব্য, দিন দশেকের মধ্যে সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ৯ মাস কেটে গেলেও তা আর হয়নি। এমনিতেই মিনিবাস পরিষেবা ধুঁকছে। তার উপরে সরকারি কর্মসূচিতে মিনিবাস দিয়েও পাওনা না পেলে আমরা কী করব?

    জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পরিবহণ আধিকারিক গোবিন্দ নন্দী বলেন, ‘আমি এখানে নতুন কাজে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না।’ তবে পরিহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ফাইল ঊর্ধ্বতন দফতরের মাধ্যমে রাজ্য পবিহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে সমস্যার সমাধান হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূলের কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকেও ভরসা করে না’, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূলের কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকেও ভরসা করে না’, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলা সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ভাইফোঁটা উৎসব। বুধবার এই তপন ব্লকের আউটিনা গ্রামে ভাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আদিবাসী মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ভাইফোঁটা দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন সুকান্ত’র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিশিষ্টজন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারা নিজের রীতি রেওয়াজ মেনেই সুকান্তকে ফোঁটা দেন। শুধুমাত্র ফোঁটা দেওয়া নয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন গ্রামের বোনেরা।

    আদিবাসী মহিলাদের কাছে ভাইফোঁটা পেয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আদিবাসী মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে আউটিনা গ্রামে ভাইফোঁটার এই উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। আমি আমন্ত্রিত হয়ে আনন্দিত বোধ করছি। আমার নিজের বোন না থাকার জন্য সেভাবে বাড়িতে ভাই ফোঁটার রেওয়াজ ছিল না। এই গোটা অঞ্চলের আদিবাসী ও অন্যান্য মহিলারা যেভাবে আমাকে ভাইফোঁটা দিলেন ও সম্মান দিলেন, সেটা সত্যিই বিরল। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবসময় চেষ্টা করব তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর।

    সারের কালোবাজারি রুখতে কেন্দ্রীয় টিম দিয়ে তদন্তের দাবি সুকান্তর

    সারের কালোবাজারি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে বিশেষ করে ১০: ২৬:২৬ এর দাম ১৪৭০ টাকা। সেই সার ২৫০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্য সরকার বেশ কিছুদিন চোখ বন্ধ করে থাকার পর তার কিছু দফতর হঠাৎ করে অভিযানে নামল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত এই কালোবাজারিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। কোথাও ১৪০০ টাকার জিনিস ১৮০০ টাকায় নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। কালোবাজারির কারণে কৃষকদের জীবন ওষ্ঠাগত। একদিকে নরেন্দ্র মোদি ইউরিয়া বস্তাতে আড়াই হাজার টাকা করে ভর্তুকি দিচ্ছে, অন্য দিকে সেই সার যখন সাধারণ কৃষকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, তখন এভাবে কালোবাজারি হচ্ছে। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। কৃষকদের অবস্থা এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে খারাপ। এই কালোবাজারি কৃষকদের জীবন আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। সে কারণে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে তদন্ত করা হোক। আমরা শুনতে পাচ্ছি, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে, কিন্তু এখনও এফআইআর করেছে কি না সেটা দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

    জয়নগর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    জয়নগরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জয়নগরে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। দুই দলের মারামারি চলছে। গোলাগুলি চলছে। ওখানে বিজেপি নেই। বিজেপির নামের দোষ চাপানোর চেষ্টা হয়েছিল। ওখানে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। কিছু বামফ্রন্টের লোক রয়েছে অথবা আগে বামফ্রন্ট করত। স্বাভাবিক ভাবেই বামফ্রন্টের নেতারা গিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন খুন হলেন, পুলিশ তো তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী, নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তৃণমূল সমর্থকদের পুলিশের উপর ভরসা নেই। আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে হচ্ছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাও মুখ্যমন্ত্রীকেও ভরসা করে না। তার পুলিশকে ভরসা করে না। আমাদের জেলাস্তরে নেতারা যোগাযোগ রাখছেন। ওখানকার স্থানীয় লোকজন চাইলে অবশ্যই সেখানে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share