Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসারদের ওপর হামলার অর্থ ভারতের সংবিধানের ওপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের ভুয়ো কোনও সংস্থা নয়। বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের মেলার খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন তিনি।

    মেলার ২০০ কোটি কোথায় যায়, প্রশ্ন সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা উদ্বোধনে এসে বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় কোনও সাহায্য মেলে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বুধবার বলেন, মেলার সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে। উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে। এখানে মেলা দেখে মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায়? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গাসাগর মেলা করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়. সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পিছনে সব টাকা কি খরচ হয়ে যায়?

    ইডি-র ওপর হামলা নিয়ে সরব সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আগামীকাল ইডি-র ওপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভায় ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতবর্ষের সংবিধানের উপর হামলা। এই হামলা ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের উপর হামলা। বিচ্ছিন্নবাদী মানসিকতা, পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করার মানসিকতা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। যারা ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করতে পারবে না, বরং তাদেরকে ‘বঙ্গরত্ন পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা তো ভোটে জেতায়। মুখ্যমন্ত্রী কি জনতার ভোটে জেতে! তৃণমূল সরকার যে কাজ করছে সেটি ভারতবর্ষের সংবিধানের ওপর আক্রমণ, ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইডি উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, যেভাবে আইন ভাঙা হয়েছে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। সময় আসছে বিজেপি সরকার তৈরি হবে। যে বাড়ির তালা ভাঙা যায়নি, সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।

    গঙ্গাসাগরে সুকান্ত

    দলীয় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি। গঙ্গাস্নানের পর তিনি কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলে পুলিশের বাধা। কিন্তু নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় থাকে বিজেপি। সড়কে বসে প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ জানায় বিজেপি। সেই সঙ্গে চলে ব্যারিকেডকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে হিরণ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু মমতার গুন্ডাদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে এখানে পাঠিয়ে অশান্তির চেষ্টা করেছে। সন্দেশখালিতে পুলিশ নেই আর এখানে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কোথায় মিছিল চলছিল (Sukanta Majumdar)?

    আজ রবিবার হুগলির ডানকুনি থেকে ১২ কিমি পর্যন্ত হাওড়ার ডোমজুড় থানা পর্যন্ত বিজপির বাইক মিছিলের মাধ্যমে সংকল্প যাত্রা চলছিল। এই যাত্রা আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে। এই যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উল্লেখ্য এই বাইকের মিছিল পুলিশ আটকাবে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে যাত্রা করা হয়েছিল। আর তার ফলেই বাধে গোলমাল। প্রথমে এস এন মুখার্জি রোডে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। এরপর বিজেপির কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়। তারপর আবার ডানকুনি হাউজিং মোড়ে পুলিশ আটকালে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এরপর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া আমাদের কয়েকজন কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তুলে নেয়। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। পুলিশের দুই কর্মী আমার মাথায় আঘাত করেছে। কার্যত পুলিশ এখন তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। আমরা কখনও জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে চাইনি। কিন্তু পুলিশদের আজ অহেতুক অত্যাচারে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমাদের যে কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, পুলিশ সেই বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করলে এরপর আমরা এবার থানা ঘেরাও করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুসলিম মন্ত্রীদের বার করে দিয়ে সাজছে মমতার অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ঘর, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুসলিম মন্ত্রীদের বার করে দিয়ে সাজছে মমতার অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ঘর, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ৩ সংখ্যালঘু মন্ত্রীকে ঘরছাড়া করে সেই বাড়ি সাজানো হচ্ছে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জন্য। সোশ্যাল সাইটে সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেছেন, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চরিত্র। তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে আরও চকচকে করতে ও মুসলিম ভোট টানতে মুসলিম নেতারা তাদের কাছে নিছকই মুখ। ক্যামেরা বন্ধ হলেই তাদের সঙ্গে অবমাননাকর ও অসম্মানজনক আচরণ করা হয়।

    শুভেন্দুর দাবি

    কলকাতার পার্ক সার্কাসের কাছে সরকারি পালাটিয়াল বাংলো সম্প্রতি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ৭০০০ স্কোয়ার ফিটের এই বাংলোয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী থাকবেন। বাংলো সংস্কার, সাজানো ও আসবাব কিনতে ২ কোটি টাকা খরচ করছে সরকার। এই বাংলোর বর্তমান বাসিন্দারা হলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জনাব আখতারুজ্জমান, প্রাক্তন সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

    গত ৩০ ডিসেম্বর অবসর নিয়েছেন বিদায়ী মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, যে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের কলকাতায় বাড়ি নেই তাদের ঘরছাড়া করে কেন কলকাতায় ২টি বাড়ির মালিক হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ হল? সঙ্গে শুভেন্দুবাবু মনে করিয়েছেন, মুখ্যসচিব থাকাকালীন সরকারি বাংলোয় থেকেও এইচআরএ নিয়েছেন হরিকৃষ্ণবাবু। যেজন্য সরকারের ১৬.৪ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে এই শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)? তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা। তিনি জেলা পরিষদের একজন কর্মাধ্যক্ষ। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। তবে তৃণমূলে আসার আগে সিপিএম করতেন। আজ শুক্রবার সাত সকালে তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তল্লাশি করতে হলে তাঁর অনুগামীরা আক্রমণ করে। গাড়িচালকদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারের চোটে রক্তাক্ত হন অফিসাররা। একই ভাবে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও।

    সন্দেশখালির একটা পাতাও নড়ে না তাঁর কথা ছাড়া (Shahjahan Sheikh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কথা ছাড়া সন্দেশখালির একটি পাতাও নাকি নড়ে না। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর এলাকায় তিনি একপ্রকার অলিখিত বেতাজ বাদশা। তিনি প্রশাসনের শাসন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। দল সব কিছু জেনেও তাঁকে কখনই সতর্ক করেনি। বরং তাঁকে দলের নানান পদে রাখা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলের নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। একটা সময় হেরোইন এবং অবৈধ পাচারকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভোটব্যাঙ্ককে নিয়ন্ত্রণ করেন। একপ্রকার ‘বাহুবলী’ থেকে কম কিছু নন তিনি।

    বালু ঘনিষ্ঠ শাহজাহান

    রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালির একাধিক ভেড়ি, ইটভাটার মালিক তিনি। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাস্তবে যত সম্পত্তির মালিক, তার হিসাব হলফনামায় সঠিকভাবে দেখাননি। পার্ক সার্কাসে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি, মিনাখাঁয় শাসক বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। পরে মামলা হাইকোর্টে গেলে পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করাতে নির্দেশ দিলেও, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ফের আক্রমণের কারণে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় শাহজাহানের হাত ছিল বলে বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) সন্দেশখালির বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকেরা। বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ইডির আধিকারিকেরা তালা ভাঙতে গেলে শাহজাহানের অনুগামীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে তদন্তকারী অফিসারদের ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করে। এক আফিসারের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর উত্তেজিত তাঁর অনুগামীরা হামলা করে। এরপর নিজেদের প্রাণ হাতে কোনও রকমে পালিয়ে রক্ষা পান সবাই। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি, ক্যামেরা ভাঙচুর এবং কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সব রকম প্রতিরোধ করার কথা বলেছিলেন। ফলে সেই কারণেই ইডির উপর আক্রমণ হল না তো? এমনটাই বিরোধীদের প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বর্ধমানের (Burdwan) কার্জন গেট চত্বরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী? (Burdwan)

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বর্ধমানে (Burdwan) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাড়়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের বোঝান। ১২ বছর আগে কী ছিল রাজ্যে। কার্জন গেট দেখিয়ে বলেন, ছিল এই গেট? ছিল এই আলো, ছিল এই ধপধপে রাস্তা? যদিও নেত্রী বক্তব্য রাখার সময় এক দলীয় স্থানীয় নেতা তাঁর কাছে এসে কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করেন। সম্ভবত, তিনি কার্জন গেট সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছেন তা ঠিক নয়, সেই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যুব সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকেন। যদিও নেত্রী এই বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই হাসাহাসি শুরু করে দেন।

    কার্জন গেট তৈরির ইতিহাস কী?

    বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে, বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে জিটি রোড এবং বিসি রোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটি ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী যুগে, এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বিজয় তোরণ’। তোরণ বানানোর দায়িত্বে ছিল ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’ কোম্পানি। বার্ন কোম্পানিতে সেই সময় বহু বিদেশি স্থপতি, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেন। ১৯০৩ সালে ছোটলাট লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বোর্ডিলিয়ন সাহেবের উপস্থিতিতে বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেক ঘটে। সেই বছরেই তোরণের পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু। পরের বছর ১৯০৪-এ বর্ধমান পরিদর্শনে আসেন লর্ড কার্জন। স্টার গেট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারোদঘাটন করে, সেই পথ দিয়েই তাঁর শহরে প্রবেশ। পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বিজয়চাঁদ গেটের নাম বদলে ‘কার্জন গেট’ রাখেন।

    বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে?

    আগে ইতিহাস জানুন তারপর মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেবেন, কটাক্ষ বিরোধীদের। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলেন সায়নী ঘোষ। কার্জন গেট যখন তৈরি হয়, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয়নি। সিপিএম নেতা দীপঙ্কর দে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গীতজ্ঞ, ভালো ছবি আঁকেন বলে জানতাম। তিনি কার্জন গেটের প্রতিষ্ঠাতা জানা ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sadvhi Niranjan Jyoti: ‘‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে’’! বকেয়া ইস্যুতে মমতাকে নিশানা সাধ্বী নিরঞ্জনের

    Sadvhi Niranjan Jyoti: ‘‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে’’! বকেয়া ইস্যুতে মমতাকে নিশানা সাধ্বী নিরঞ্জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পা পড়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির (Sadvhi Niranjan Jyoti)। মঙ্গলবারই ১০০ দিনের কাজের টাকা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমরা আজও বলছি, যাঁরা মনরেগাতে দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুন, আমরা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু জানি না কেন মমতাদি করতে চাইছেন না। ক্ষতি এখানকার মানুষের হচ্ছে। হতে পারে যেখানে দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে হয়ত তাঁর কেউ নিজের লোক রয়েছেন।’’

    তৃণমূলকে তোপ মন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, আজ বুধবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Sadvhi Niranjan Jyoti) এবং সেখানেই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা টাকা আটকাইনি। আমরা কারও টাকা বন্ধ করিনি। যদি টাকা বন্ধ করাই লক্ষ্য হত, তাহলে অন্যান্য প্রকল্পের সব টাকা বন্ধ করে দেওয়া হত। যে বিষয়টি আছে, সেটা আগে বসে সমাধান করুন। আমাদের ২ জন আধিকারক রয়েছেন, আর উনি ২ জন আধিকারিককে দিয়েছেন। যেখানে যেখানে গণ্ডগোল রয়েছে সেগুলি আগে বসে দেখা হবে।’’ এর সঙ্গেই মন্ত্রীর তোপ, হয়ত কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়তে পারে বলেই রাজ্য আলোচনায় বসতে চাইছে না। সাধ্বী নিরঞ্জন বলেন, ‘‘কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও কিন্তু উনি এখনও কেন এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন না আমি জানি না। হয়ত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে বলেই আলোচনায় বসতে চাইছেন না।’’

    গত বছরের অগাস্ট মাসে অভিষেকের ধর্না নিয়ে কী বললেন? 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অগাস্ট মাসেই অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে গিয়ে নাটক শুরু করে। বাংলা বঞ্চিত এই বলে। পরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অফিসেই ধর্নায় বসে। এ নিয়ে এদিন মন্ত্রী (Sadvhi Niranjan Jyoti) বলেন, ‘‘ওরা প্রথমে বলেছিল, ৫ জন দেখা করবে, তারপর বলল ১০ জন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেছিলেন, আমি রাজিও হয়েছিলাম দেখা করতে। তারপর ওরা বলল, প্রতিনিধি নয়, জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলার মানুষের ভালো করা নয়, ধর্না দেওয়াই তৃণমূলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।’’

    আরও পড়ুন: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনীর ‘অবৈধ নিয়োগে’র বিরুদ্ধে আদালতে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনীর ‘অবৈধ নিয়োগে’র বিরুদ্ধে আদালতে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের নয়া স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন নন্দিনী চক্রবর্তী। রবিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে নয়া স্বরাষ্ট্রসচিবের নাম ঘোষণা করা হয়। এদিনই ঘোষণা করা হয় নয়া মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার নামও। রাজভবন থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর নন্দিনীকে বসানো হয়েছিল পর্যটন দফতরের সচিব পদে। সেখান থেকে তাঁকে করে দেওয়া স্বরাষ্ট্রসচিব।

    শুভেন্দুর দাবি

    সোমবার থেকে নয়া দফতরে এসে কাজও শুরু করে দিয়েছেন নন্দিনী। তাঁর এই নিয়োগকেই ‘অবৈধ’ দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “শুধু স্বরাষ্ট্রসচিব পদেই নয়, এর আগেও একাধিক পদে অবৈধভাবে আধিকারিকদের নিয়োগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজীব কুমার আইপিএস হওয়া সত্ত্বেও, তাঁকে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সচিব করা হয়েছিল। যা পুরোপুরি অবৈধ।”

    আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দু 

    শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, নন্দিনীকে স্বরাষ্ট্রসচিব পদে নিয়োগের পর আইনগত বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকজন আধিকারিকের কাছ থেকেও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জেনেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পরেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। সঙ্গে যাবতীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহ করে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের ১৩জন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ও ৫ জন প্রধান সচিবকে বাদ দিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর অবৈধভাবে স্বরাষ্ট্রসচিব নিয়োগ করেছে। নন্দিনীর এই অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গুউবা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা, প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের সচিব এস রাধা চৌহানকেও। আইএএস আধিকারিকদের সংগঠনকেও বিষয়টি জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: “মুষল পর্ব চলছিলই, সেটা প্রকাশ্যে এল”, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

    প্রসঙ্গত, পর্যটন দফতরে আসার আগে নন্দিনী ছিলেন রাজভবনে। পরে তাঁকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় পর্যটন দফতরে। সেখান থেকে সোজা স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব পদে। যাকে অবৈধ বলে দাবি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Bankura: পাঁচ মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘মডেল গ্রাম’ এখন জনশূন্য! উন্নয়ন কোথায় গেল?

    Bankura: পাঁচ মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ‘মডেল গ্রাম’ এখন জনশূন্য! উন্নয়ন কোথায় গেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচমাস আগে ঘটা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন ‘মডেল গ্রামে’র। কিন্তু এই পাঁচ মাসের মধ্যে সাধের ‘মডেল গ্রাম’ পরিণত হয়েছে ভূতুরে গ্রামে। পরিত্যক্ত জনপদ, নেই লোকজন সবটাই কি তাহলে বৃথা! উপভোক্তাদের অবশ্য দাবি, “গ্রাম তৈরির ভাবনার মধ্যে গোলমাল রয়েছে, কাটমানি খেয়ে খারাপ জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে।” তাহলে কি রাজ্য সরকার যে উন্নয়নের ঢাক পেটায় কার্যত সবটাই ফাঁকা! আসলে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার কাজ চলছে-ঠিক এমন ভাবেই প্রকল্পে কাটমানির অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার মানুষ। এই নিয়ে বাঁকুড়ায় (Bankura) তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    বাঁকুড়ার কোথায় মডেল গ্রাম (Bankura)?

    এই ‘মডেল গ্রাম হল বাঁকুড়ার (Bankura) শুশুনিয়া পাহাড়ের পাশে একটি ছোট্ট গ্রাম ভরতপুর। মোট ১৮ টি পরিবার কয়েকশো বছর ধরে বহন করে চলেছেন প্রাচীন পটচিত্রের ঐতিহ্যকে। গ্রামের মানুষের তেমন আর্থিক নির্ভরতা নেই। অন্যের জমিতে সামান্য চাষাবাদের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করে থাকেন। এই পরিবারের জীবনযাত্রাকে উন্নয়নের আলো দিতে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন এই গ্রামকে ‘মডেল গ্রাম’ তৈরির উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে ব্যর্থ হয়ে যায়।

    কেমন মডেল গ্রাম?

    ‘মডেল গ্রামে’র (Bankura) বাড়িগুলি ছিল অত্যন্ত সুন্দর পাকা বাড়ি, পাকা রাস্তা, সৌরবাতি দিয়ে ‘মডেল গ্রাম’ তৈরি করা হয়েছিল। গত ৯ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন এই মডেল গ্রামের। কিন্তু মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই অত্যন্ত হতশ্রী হয়ে গিয়েছে এই ‘মডেল গ্রাম’। বাড়ির দেওয়ালে এখন ফাটল, টালির ছাদ ভেঙে গিয়েছে। পচে গিয়েছে ছাদে ব্যবহারের কাঠ, টয়লেট, বাথরুমগুলির ব্যবহারের অত্যন্ত অনুপযুক্ত। গ্রামে নেই বিদ্যুৎ পরিষেবা। মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই গ্রাম।

    উপভক্তাদের বক্তব্য

    উপভক্তা চিত্রকররা বলেন, “বাড়ি (Bankura) নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রীর মান ভালো ব্যবহার করা হয়নি। আর তাই সময়ের আগেই সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পাকা ছাদের কথা জেলা শাসকদের বলা হলেও তা বাস্তবে করা হয়নি।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Bankura) বিজপির বক্তব্য হল, “আর পাঁচটা প্রকল্পের মতো এক্ষেত্রেও শাসক দলের নেতারা লাখ লাখ টাকা কাটমানি খেয়েছে। গোটা প্রকল্প এবং মডেল গ্রামের ভাবনাটাই ফেল করেছে।” আবার পালটা স্থানীয় ছাতনা (Bankura) তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, “উপভোক্তারা এই এলাকায় বসবাস করতে আগ্রহী নয়। উপভোক্তারা বসবাস করলেই ধীরে ধীরে বসবাসের যোগ্য হয়ে যাবে। ভূতুরে ভাব কেটে যাবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের ‘যুবরাজ’। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তাঁর একটা পদও রয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের এহেন এক কর্তাই দিন কয়েক ধরে সেঁধিয়ে রয়েছেন গোঁসাঘরে। কারণ কি? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলে সম্প্রতি নবীন-প্রবীণ নিয়ে বিতর্ক (TMC Inner Clash) দানা বেঁধেছে।

    দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও অন্তরালে ভাতিজা!

    বয়সবিধি নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে তাঁরই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই দলের নবীন ‘মুখ’ অভিষেককে সাইড করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই ১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবেসেও তিনি রইলেন অন্তরালে। কারণ হিসেবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, তিনি যে আগ্রাসী আন্দোলনের পথে হেঁটেছিলেন, তা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি শুধুমাত্র নিজের কেন্দ্র নিয়েই থাকবেন। তবে নেপথ্যে রইলেও চালিয়ে যাচ্ছেন ছায়াযুদ্ধ! অবশ্য সরাসরি ভাতিজা নন, তাঁর স্তাবকরা।

    বক্সি-কুণাল বাক্-যুদ্ধ

    ধানাইপানাই ছেড়ে আসা যাক কেজো কথায়। এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের (TMC Inner Clash) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াইয়ের ময়দান (লোকসভা নির্বাচন) থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করবেন উনি।” বক্সির এই “যদি…কিন্তু”তে বেজায় আপত্তি অভিষেক ‘ফ্যান-ক্লাবে’র। তাদের বক্তব্য, “যদি…কিন্তু”তে অভিষেকের ‘পলায়নী মনোবৃত্তি’ প্রকাশ পেয়েছে। তাই বক্সির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (অভিষেক অনুগামী বলে দলে পরিচিত) বলেন, “রাজ্য সভাপতির বাক্যগঠন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এটা কখনওই কাঙ্খিত নয়।” তিনি বলেন, “অভিষেক লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। আর তিনি যে কথা বলতে চান, তা শুনলে দলেরই মঙ্গল।” অভিষেক-বৃত্তের এক নেতা বলেন, “এই ধরনের আলটপকা কথা বলে আসলে অভিষেকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। যা দলের জন্য মোটেই ভালো সঙ্কেত নয়।” অভিষেক ঘনিষ্ঠদের দাবি, অভিষেকের বয়ঃ-তত্ত্বে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেক প্রবীণ নেতা। তাই মমতাকে তোষামোদ করতে এই ধরনের মন্তব্য করে আদতে অস্তস্তিতে ফেলা হচ্ছে দলকেই।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    বুয়া-ভাতিজার এই দ্বন্দ্বের জেরে যে ভাতিজা- গোষ্ঠীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা বুঝতে পেরে যুবরাজের দ্বারস্থ হন তাঁর ‘ফ্যান-ক্লাবে’র সদস্যরা। তাই দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের ‘গোঁসা’ ভাঙাতে অভিষেকের কালীঘাটের অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন কুণাল, ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়দের মতো কয়েকজন। তবে গোঁসা যে ভাঙেনি, তার প্রমাণ মিলল ১ জানুয়ারি। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পিকচারেই ছিলেন না অভিষেক।

    মমতার গুরুত্ব অস্বীকার (TMC Inner Clash) করলে যে বিপদ বাড়বে, তা জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন রাজনীতিতে থাকবেন না, সেদিন বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে।” সুদীপের নিশানায় যে অভিষেকই তা বুঝতে রাজনীতিবিদ হতে হয় না। সুদীপের বক্তব্যেরও পাল্টা (TMC Inner Clash) দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, “অন্ধ ভক্তি দেখাতে গিয়ে এঁরা আসলে বিভাজন রেখা তৈরি করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dibyendu Adhikari: শান্তিকুঞ্জে ফুটবে আরও পদ্ম? শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু শুনলেন মোদির ‘মন কি বাত’

    Dibyendu Adhikari: শান্তিকুঞ্জে ফুটবে আরও পদ্ম? শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু শুনলেন মোদির ‘মন কি বাত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায় কলমে এখনও তিনি তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ শুনলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। রবিবার ছিল মোদির এই বছরের শেষতম পর্বের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। রাজ্যজুড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা-সহ প্রত্যেক বিজেপি নেতা শুনেছেন মোদির বক্তব্য। তাহলে কি শুভেন্দুর ভাই তথা তৃণমূলের সাংসদ এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন? এটা নিয়েই চলছে তীব্র জল্পনা। শান্তিকুঞ্জে কি তাহলে আরও পদ্ম ফুটবে?

    অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব (Dibyendu Adhikari)

    যদিও দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari) এখনও তৃণমূলের সাংসদ। দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত তালানিতে ঠেকেছে। রাজ্য বা জেলার মধ্যে শাসক দলের কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় না। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দাদা শুভেন্দু দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের কথা নিয়ে সরব হলেও এই তৃণমূল সাংসদ কোনও সময়েই প্রতিক্রিয়া দেননি। শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের যথার্থতা রয়েছে, আর তাই হয়তো তৃণমূলের সাংসদ বুঝতে পেরেছেন। এই জন্যই তৃণমূলের হয়ে তিনি কোনও ব্যাটিং করেন না। ঠিক এমনটাই মনে করছেন জেলার বিজেপি নেতৃত্বরা। কিন্তু মোদির ‘মন কি বাত’ শোনার মধ্যে দিয়ে কি জল্পনা তৈরি করে দিলেন না দিব্যেন্দু?

    কী বললেন সাংসদ?

    দিব্যন্দু (Dibyendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক তৃণমূল নেতা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করেন। আমি তেমন সাংসদ নই। যা করার আমি সামনা সামনি করি। তবে মোদিজির সঙ্গে আমার দেখা করার ইচ্ছে আছে। আমার অনেক কথা রয়েছে সুযোগ পেলে বলবো।”

    ১০৮ তম মোদির ‘মন কি বাত’

    গত রবিবারের মোদির ‘মন কি বাত’ ছিল ১০৮ তম পর্ব। এই অনুষ্ঠান নিজের অফিসে বসে শোনেন দিব্যন্দু। শুভেন্দু অধিকারী এবং আরেক ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর চেষ্টায় ২০১৯ সালের লোকসভার পর বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিকুঞ্জে পদ্মফুল ফুটিয়ে ছিলেন। তবে এই শান্তিকুঞ্জের দুই তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং দিব্যন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) কেউ বিজেপিতে যোগদান করেননি। তবে মোদি-অমিত শাহের সভায় শিশির অধিকারীকে দেখা গেলেও দিব্যেন্দুকে কোনও প্রকার বিজেপির সভা-সমিতিতে দেখা যায়নি। আর তাই সামনেই লোকসভা নির্বাচন, ফলে শান্তিকুঞ্জে আরও পদ্মফোটে কিনা তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share