Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ ও গণনার দিন তাঁদের দুই মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি (two molested BJP women) করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সোমবার, ওই দুই প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসেও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ। 

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    ওই দুই মহিলা প্রার্থীর হয়ে আদালতে এদিন সওয়াল করেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, আদালতের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উপর যেন কোনও হামলা না হয়। রাজ্যে শান্তি কায়েম রাখতে হবে। বিজেপির দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন এদিন কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি হাওড়া জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন ও গণনার দিন তৃণমূলের অনেকে বুথের মধ্যে ও গণনার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। একটা সরু প্যাসেজ দিয়ে বুথে ঢুকতে হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মমতাকে কটাক্ষ

    রবিবার সকালে পাঁচ তফসিলি সাংসদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (BJP Fact Finding Team) বাংলায় পাঠিয়েছে বিজেপি। এ দিন তারা হুগলির তারকেশ্বর এবং আরামবাগে ভোটে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার, এই দলের সদস্য সাংসদ এস মুনিস্বামী জানিয়েছেন, ‘গতকাল যা দেখে এসেছি, তাতে স্পষ্ট, নামে মমতা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্মে আর নামমাত্র মমত্ব অবশিষ্ট নেই। এই রাজ্যের দায়িত্ব অবিলম্বে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিন’। যার নেতৃত্বে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সফর করছে, সেই সাংসদ বিনোদ সোনকারের দাবি, ‘মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন। তাই আর এই আচরণ’। ৫ সদস্যের এই টিমে আছেন বিনোদ সোনকার, সুরেশ কাশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ ছাবড়া। তাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে, এই রাজ্যের সন্ত্রাস-এর আবহ নিয়ে বিস্তারিত আকারে  রিপোর্ট জমা দেবেন, বলে জানান। এরই মধ্যে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ‘ঘেরাও’য়ের ডাক মমতা-অভিষেকের, তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাবেশের পোশাকি নাম শহিদ দিবস। সেখানে শহিদদের স্মৃতিতর্পণের চেয়ে বেশি ছিল বিজেপিকে আক্রমণ। মণিপুর এবং ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে আক্রমণ শানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। ২১ জুলাইয়ের এই মঞ্চ থেকে মমতার দাওয়াই, “৫ অগাস্ট ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে প্রতীকী ঘেরাও করতে হবে।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    তৃণমূল নেত্রীর এহেন নিদানকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “এটা কেমন রাজনীতি! এটা কেমন গণতন্ত্র! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল বাংলার গণতন্ত্র পুরো শেষ করে দিয়েছে। চুরিতে একের পর এক রেকর্ড। আজ সেই দল বলছে কিনা যে বিজেপির ব্লক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। আর তাঁদের আট ঘণ্টা বাড়ি থকে বেরোতে দেওয়া যাবে না। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুরো ভারতে আমাদের বিপক্ষ দলের সামনে আমরা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে চাই, এটা কেমন রাজনীতি?” মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মণিপুরের ঘটনা ভীষণ দুঃখের। কিন্তু বাংলার হালও তো ভাল নয়। এখানে শুধু নারী নির্যাতনের ভিডিও করতে দেয় না। বাংলায়ও বিজেপির মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    এদিন তৃণমূল নেত্রীর আগে প্রায় একই রকম কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে পাল্টা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “ডিম-ভাতের উৎসবে তাঁর অহঙ্কার, দম্ভ দেখুন। বলছে, ৫ অগাস্ট বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতাদের বাড়ি ঘিরবে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “ভাইপো শুনে রাখুন, আপনার বিরুদ্ধে এফআইআরের আবেদন নিয়ে আমরা কোর্টে যাচ্ছি। আপনি আমার মৌলিক অধিকার ২২৬, বাবা সাহেব আম্বেদকর দিয়ে গেছেন— আমার বাড়িতে কে ঢুকবে, কে বেরোবে। একটা বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে দেখুন, দিল্লিতে পার্লামেন্টে আপনাদের এমপিদের ঢুকতে দেব না।” শুভেন্দু যোগ করেন, “পরে মমতা সংশোধন করে বলেছেন, একটু ভুল বলে ফেলেছেন (অভিষেক)। আমরা গ্রামে গ্রামে করব না, ব্লকে করব। ১০০ মিটার দূরে করব। এটাও কিন্তু বলতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anurag Thakur: “বাংলায়ও অত্যাচার হচ্ছে, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন”, মণিপুরকাণ্ডে মমতাকে নিশানা অনুরাগের

    Anurag Thakur: “বাংলায়ও অত্যাচার হচ্ছে, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন”, মণিপুরকাণ্ডে মমতাকে নিশানা অনুরাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মেদিনীপুর, ডেবরায় আদিবাসী মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলা। মোমবাতি মিছিলকারীরা কোথায়? সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর একটি ভিডিও (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তার পরেও দেশের বিরোধী দলগুলির একমাত্র ইস্যু হয়ে উঠেছে মণিপুরের ওই ঘটনা।

    নিশানায় তৃণমূল

    সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন অনুরাগ। তিনি বলেন, “মমতা সরকারের মমতা কোথায়? কী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বাংলায় মমতা নির্মমতার প্রতীক। ভয়ের বাতাবরণে বাঁচছেন বাংলার মহিলারা।” কংগ্রেসের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, “বাংলায় আদিবাসী মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী চুপ কেন?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Anurag Thakur) বলেন, “মণিপুরে কংগ্রেসের আমলে আরও অনেক বেশি নির্যাতিত হতেন মহিলারা। সংসদে কেন্দ্র মণিপুর ইস্যুতে প্রশ্ন নিতে রাজি। তাহলে বিরোধীদের ভয় কীসের?”  

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন অনুরাগও

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো অনুরাগও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতেও কীভাবে দিনের পর দিন ঘটছে মহিলা নির্যাতনের ঘটনা। অনুরাগ বলেন, “বিহারের বেগুসরাইয়ে নির্যাতনের শিকার মহিলা। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নীরব। নারী নির্যাতনে শীর্ষে রাজস্থান। একের পর এক লজ্জাজনক ঘটনা ঘটছে সেখানে। নারী নির্যাতন দেখেও চুপ কেন মুখ্যমন্ত্রী?  তিনি দায় এড়াতে পারেন না।”


    এদিন বাংলাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন যে মহিলাদের ওপর অত্যাচার বরদাস্ত করা যাবে না এবং দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যেটা (Anurag Thakur) মণিপুরে ঘটেছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু যেটা পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে, সেটা আরও দুর্ভাগ্যজনক।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    যাঁরা মণিপুরের হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন, তাঁরা একই রকম ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটা সত্ত্বেও চুপ কেন? এক্ষেত্রেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। এটিও লজ্জাজনক।” এদিকে, মণিপুরের ভিডিওকাণ্ডে এদিন আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফাতার করা হয়েছে। এনিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার হল মোট পাঁচজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। রাজ্য সরকার চাইছে আগামী ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন (West Bengal State Assembly)শুরু করতে। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose) সম্মতি না মেলায় সেই অধিবেশনের উপর প্রশ্নচিহ্ন ঝুলছে। তবে প্রকাশ্যে বাদল অধিবেশন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।

    কেন এত কম সময়ের নোটিসে অধিবেশন

    সরকারি সূত্রের খবর, সোমবার, ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু করতে চেয়ে রাজভবনে (Raj Bhawan)ফাইল পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর। সেই ফাইলে রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই সোমবার থেকে শুরু হতে পারত বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই মর্মে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল বিধানসভায়। কিন্তু রাজভবন প্রশ্ন তোলে, কেন এত কম সময়ের নোটিসে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হচ্ছে? রাজ্যপাল সেই ফাইল আটকে রেখে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। যদি তিনি কোনও কারণে আসতে না পারেন তাহলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে(Chief Secretary) সশরীরে রাজভবনে এসে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের(C V Anand Bose) সঙ্গে দেখা করতে হবে। কার্যত রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁর নির্দেশ না মানলে তিনি রাজ্য বিধানসভায় বর্ষাকালীন অধিবেশন বসার অনুমতি দেবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সোমবার থেকে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে ধরে নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ২৪ জুলাই, সোমবার বিধানসভা ভবনেই বসবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। মন্ত্রীরা প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকায় পঞ্চায়েত ভোটের কারণে গত এক মাস মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়নি। তাই সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক আবার শুরু হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু রাজভবন থেকে অধিবেশন শুরুর ফাইলটিতে অনুমোদন না দেওয়ায় বুধবার রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রসঙ্গে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, ২৪ জুলাই সোমবার বিধানসভার বদলে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে নবান্নে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayet Election 2023: “মমতা-অভিষেকের বক্তব্যের জন্যই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে রাজ্যের”, আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী  

    Panchayet Election 2023: “মমতা-অভিষেকের বক্তব্যের জন্যই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে রাজ্যের”, আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জেরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ (Panchayet Election 2023) হচ্ছে। তাই দুজনের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা প্রয়োজন। এমনই দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার আবেদনে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চান তিনি।

    আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি…

    এর পরই বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দেয় মামলা দায়েরের। দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। অনিন্দ্যসুন্দর দাসের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের ধারাবাহিক প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরে ক্রমশই খারাপ হচ্ছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিজেদের বক্তব্যে যেভাবে হিংসার কথা বলছেন, তাতে অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হোক।

    অশান্তির সাত সতেরো

    রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে অশান্তি। ওই দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করে ওই কংগ্রেস কর্মীকে। এই ঘটনার পর থেকে রাজ্যে কার্যত রক্তের হোলি খেলা চলতে থাকে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে এসেছিল, ততই প্রকাশ্যে আসতে ছিল একের পর এক খুনের খবর। কোথাও শাসকের হাতে বিরোধী খুন, তো কোথাও আবার তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে খালি হয়েছে কোনও মায়ের কোল। সব মিলিয়ে খুন হয়েছেন প্রায় ৫৪ জন।

    আরও পড়ুুন: “মণিপুরের ঘটনা সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এর মধ্যে কেবল নির্বাচনের দিনই ঝরে গিয়েছে ২২টি তরতাজা প্রাণ। এই মৃত্যু মিছিলে ছিলেন এক ভোটারও। গণতন্ত্রের উৎসবে যিনি কেবল অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ভোট-পর্ব চুকে যাওয়ার পরেও বিরাম নেই হিংসার। এহেন অশান্তির (Panchayet Election 2023) জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের ওই আইনজীবী। তাঁর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জেরেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনায্য ভাবে আই-প্যাককে ১২০ কোটি টাকার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে (IPAC)। এই দুর্নীতির সঙ্গে রাজ্য সরকারি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবল জড়িত রয়েছে বলে দাবি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠের প্রতিবাদে বুধবার কলকাতায় মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতৃত্বকে এদিন আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর তোপ, ‘সব দুর্নীতিপরায়ণ নেতারা এক হয়েছেন।’ এ কথা বলেই শুভেন্দু আই-প্যাকের টেন্ডার পাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভোট লুঠ করতে ব্যালটও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ত্রিস্তরীয় লুঠ করেছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সেই তথ্য ফাঁস করব।’ এদিন সভা মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

    আরও পড়ুন: গ্রামীণ ভারতীয় মহিলার মতো সাজতে প্রশিক্ষণ নেন সীমা! দাবি গোয়েন্দাদের

    তথ্য-প্রমাণ পেশের দাবি

    গত সোমবার বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, তিন দিনের মধ্যে তিনি সিবিআই ও ইডি দফতরে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত ছিলেন তা নিয়ে তথ্য ও প্রমাণ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দেবেন। গত লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার কৌশল নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছিল আইপ্যাক। এই সংস্থার অন্যতম মুখ হলেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। তবে প্রশান্ত দাবি করেন এই সংস্থার পরিচালনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই। আই প্যাক তৃণমূলের প্রচারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাংলার বিরোধীরা নানান সমালোচনা করেছিল। কেউ কেউ বলেছিল, আইপ্যাককে তৃণমূল চারশ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে সেই সব দাবির সমর্থনে কেউ তথ্য বা প্রমাণ দিতে পারেনি। শুভেন্দু অবশ্য এদিন দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এই দুর্নীতি সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ধর্মতলার সমাবেশ শেষ করেই  হাওড়ায় ভস্মীভূত পোড়া মঙ্গলাহাট পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী ব্যাবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্যে যে সব প্রস্তাব দেন, তা পছন্দ হয়নি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর মুখের উপরই চেঁচিয়ে বার বার বলতে থাকেন যে তাঁরা এইসব প্রস্তাবে রাজি নয়।

    ব্যবসায়ীদের কী প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্যে বোঝা যায় যে এতবড় জমির মালিক আদৌ সরকার না বেসরকারি সম্পত্তি সে ব্যাপারেও কোনও তথ্য নেই সরকারের কাছে। ব্যবসায়ীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, জমির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে যদি দেখা যায় জমি সরকারের, তাহলে সেখানে হাটের জন্য বিল্ডিং করে দেওয়া হবে সরকারি উদ্যোগে । আর যদি জমির পূর্বতন চুক্তির মেয়াদ শেষের পর নতুন করে মালিকানার ক্ষেত্রে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। আর যদি কারোর কোনও মালিকানা থাকে, সেক্ষেত্রে সেটা নিয়েও ভাবা হবে কীভাবে কি করা যায়। তিনি আরও বলেন, যদি কারও এখানে অসুবিধা হয় তাহলে তাদের সাঁতরাগাছির কাছে পুর্নবাসন দেওয়া হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন ব্যবসায়ীরা

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সাঁতরাগাছিতে চলে যাওয়ার প্রস্তাবেই গর্জে ওঠেন ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শেষ হতে না হতেই সবাই চেঁচিয়ে বলেন, আমরা কেউ সাঁতরাগাছি যেতে চাই না। তাঁরা চেঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, শান্তিরঞ্জন তাদের খুব জালাচ্ছে। এই শান্তিরঞ্জন হচ্ছে মঙ্গলাহাটের মালিক। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বার বার শুধু এই হাটেই কেন আগুন লাগছে? এর পিছনে কোনও  চক্রান্ত রয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বক্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, মঙ্গলাহাটের বেচাকেনার দিন বদল করা হচ্ছে। এই হাটকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। বিজেপি নেতা উমেশ রাই বলেন, এই হাটকে এখান থেকে তুলে দিয়ে সাঁতরাগাছিতে স্থানান্তরিত করার চক্রান্ত চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও সেটা স্পষ্ট। হাট মালিক শাসক দলের সঙ্গে মিলে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখা হচ্ছেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘টাকা নয়, মানুষ বিচার চায়’, মমতার ক্ষতিপূরণের ঘোষণাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Panchayat Election 2023: ‘টাকা নয়, মানুষ বিচার চায়’, মমতার ক্ষতিপূরণের ঘোষণাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রয়োজন কেন পড়বে? কেন রাজনৈতিক হিংসার বলি হতে হবে মানুষকে? প্রশ্ন তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবারই ভোটের (Panchayat Election 2023) হিংসায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “স্বজন হারিয়ে কেউ টাকা চায় না, সবাই জীবনের সুরক্ষা চায়। জাস্টিস চায়।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ 

    বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে  রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “উনি সব দেখতে পান না, শুনতে পান না। যতটা দৃষ্টি বা বোঝার ক্ষমতা, ততটাই বলছেন। বাস্তব যেটা, যেটা মিডিয়া তুলে ধরছে। সেটা তো অস্বীকার করা যাবে না। এখনও পর্যন্ত অসমর্থিত ভাবে মৃত ৪৭, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১৯। উনি কাল বলেছেন, আমার কি দোষ? ৪৭ জন মরে যাওয়ার পরেও যদি দোষ দেখতে না পান, বা অনুভব করতে না পারেন তাঁর কী ত্রুটি, তাহলে তো আমরা ভগবান ভরসায় বেঁচে আছি। এমন লোককে দায়িত্ব দিয়েছি যার চোখ নেই, কান নেই, কিছু বুঝতেও পারেন না। নিজের দোষ ছাড়া আর সব দেখতে পান। এরকম লোকের কাছে আর কিছু আশা করা যায় না।”

    আরও পড়ুুন: রাজভবনে জমা সব হিংসার অভিযোগ পাঠাতে হবে হাইকোর্টে, নির্দেশ রাজ্যপালের

    গণনায় কারচুপি

    গণনার দিন যে বিপুল কারচুপি হয়েছে, সেই অভিযোগও তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ গণনার দিন ফোন নামিয়ে রেখেছিলেন বিডিও-রা। জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁরা দাবি করেছেন, বিডিও যা বলার বলে দিয়েছে। রাজভবনের পিস রুমে ভোট সংক্রান্ত ৭৫০০ অভিযোগ জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর, যা আদালতে পেশ করা হবে। দিলীপ ঘোষের দাবি, এমন হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। কোনও সুরাহা হয়নি। ভাঙড়ের অশান্তি নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও ভাঙড়ে অশান্তি হয়েছে। বাহিনীর যিনি প্রমুখ, তিনি আগেই বলেছেন, তাঁর কাছে স্পর্শকাতর বুথের লিস্ট ছিল না। কোথাও যেতেও বলা হয়নি। ওনারা নিজে থেকে কিছু জায়গায় গেছেন। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    Ravi Shankar Prasad: “আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে”, মমতাকে নিশানা রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জা দিয়েছেন।” বুধবার কলকাতায় এসে এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন সাংসদ বিজেপির (BJP) রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। নির্বাচনোত্তর হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসার কথা ছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের। এই টিম গড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই টিমেই রয়েছেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর।

    “আমার রাজ্যেও শান্তিতে ভোট হয়”

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাব। আমি বিহার থেকে এসেছি। যেখানে এ ধরনের ঘটনা (নির্বাচনোত্তর হিংসা) অতীতে ঘটত। আমার রাজ্যেও এখন শান্তিতে নির্বাচন হয়। আমি শুনেছি, ভোট গণনার দিনও একটা খুন হয়েছে। আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন।” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “মমতাজিকে আমি আজ মনে করিয়ে দিতে চাই বাংলার রাজনীতিতে তিনিই পরিবর্তন এনেছিলেন। বাম জমানার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু বামেদের থেকেও নোংরা রাজনীতিতে আপনি নামলেন কী করে? কেন আপনার রাজনীতি এভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ঠুর হয়ে গেল? আপনি তাহলে কী করলেন? নির্বাচনের প্রতি মুহূর্তে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। কড়া কড়া পর্যবেক্ষণ দিতে হয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বাংলার ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।”

    “গণনায়ও খুন?”

    সাংসদ বলেন, “গণনায়ও খুন? জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি…কেন বাংলায় এমনটা হচ্ছে? গণনার দিনও খুন হচ্ছে!” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা সোজা প্রশ্ন করতে চাই যে যদি আপনি সন্ত্রাস না করতেন তাহলে কতগুলি আসন জিততে পারতেন? রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তা না থাকলে আপনি কতগুলি আসন পেতে পারতেন?”

    রবিশঙ্কর (Ravi Shankar Prasad) বলেন, “কেন আপনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ দেখাতে পারছেন না? আপনি যে লজ্জিত! আপনার জয়ের নেপথ্যে ৪৫ জনের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমরা আগামিকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তরবঙ্গে যাব। সব জায়গায়ই ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলব। আশা করি, আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে, থাকবেও। গণতন্ত্রের ওপর এই আক্রমণের জবাব দেবে বিজেপি।”

    আরও পড়ুুন: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ২ জনের! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share