Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • DA: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    DA: ‘শান্তিনিকেতনে’র উঠোন দিয়ে গেল ডিএ-র দাবিতে মিছিল, উঠল ‘চোর, চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বিগত কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ডিএ সংক্রান্ত মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। অতীতে, ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন তাঁরা। এবার আন্দোলনের শততম দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়া তথা তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে করলেন এক কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ মিছিল। আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনেই হয়েছে মিছিল। কেবল অভিষেকের প্রাসাদোপম বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় উঠেছে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান।

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তা— হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দু’ধারে ঠায় দাঁড়িয়ে সাদা পোশাকের কলকাতা পুলিশ। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা, তেমনি রয়েছেন ছোট কর্তারাও। ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই রাস্তায় আসা-যাওয়ার যাবতীয় বাই-লেন, বিশেষ করে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও হরিশ মুখার্জি রোড সংযোগকারী গলি। এহেন নিরাপত্তা বলয়ের পাশ দিয়ে শনিবার দুপুরে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে গেল বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের মিছিল। 

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    এদিন দুপুর ১টা নাগাদ হাজরা মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। হরিশ মুখার্জি রোড ধরে এগোতে শুরু করে মিছিল। শঙ্খধ্বনি, স্লোগানে গমগম করতে থাকে গোটা এলাকা। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও সরকারি কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন এদিনের মিছিলে। মিছিলের মধ্যে একটি শববাহী-খাটিয়াও বয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। সেই খাটিয়ার গায়ে লেখা, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিবেক’। খাটিয়ায় শোয়ানো হয়েছিল একটি পুতুল। তার গলায় দেওয়া মালা। জ্বালানো হয় ধূপও। মিছিল এগিয়ে চলে ঢিমেতালে। মিছিলের (DA) পথে পড়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। মিছিল সেখানে পৌঁছতেই ঝড় ওঠে করতালির। আচমকাই বেড়ে যায় স্লোগানের মাত্রাও।

    আরও পড়ুুন: গরুপাচার করে কেষ্টর আয় ৭৭ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা! চার্জশিটে উল্লেখ ইডির

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে গত ১০০ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। আন্দোলন হচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে। দাবি আদায়ে বন্‌ধ পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। করেছেন কর্মবিরতিও। মহামিছিলও হয়েছে বার কয়েক। গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিল্লির যন্তরমন্তরেও ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা (DA)। বেশ কিছুদিন ধর্মতলায় অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। আদালতের নির্দেশে সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল করার পরিকল্পনা করেন আন্দোলনকারীরা (DA)। ঠিক ছিল, ৬ মে ডিএর দাবিতে মিছিল হবে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। যদিও প্রথমে পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তার পরেই আন্দোলনকারীরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। তৃণমূলের ‘আঁতুড়ঘরে’ মেলে মিছিলের অনুমতি। তবে আদালত এই অনুমতি দিয়েছে শর্ত সাপেক্ষে। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মিছিল করতে হবে সুশৃঙ্খলভাবে। এমন কোনও স্লোগান সেখানে দেওয়া যাবে না, যাতে উত্তেজনা ছড়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: শনিবারের বারবেলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, প্রস্তুতি শুরু

    DA: শনিবারের বারবেলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, প্রস্তুতি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। আজ, শনিবার বহু চর্চিত সেই মিছিলই হতে যাচ্ছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। এখানেই রয়েছে মমতার বাড়ি আর অভিষেকের ‘প্রাসাদ’।

    ডিএর দাবিতে মিছিলের ডাক…

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে গত ১০০ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। আন্দোলন হচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে। দাবি আদায়ে বন্‌ধ পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। করেছেন কর্মবিরতিও। মহামিছিলও হয়েছে বার কয়েক। গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিল্লির যন্তরমন্তরেও ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন ধর্মতলায় অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। আদালতের নির্দেশে সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মিছিল করার পরিকল্পনা করেন আন্দোলনকারীরা (DA)। ঠিক ছিল, ৬ মে ডিএর দাবিতে মিছিল হবে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়।

    আরও পড়ুুন: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    যদিও প্রথমে পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তার পরেই আন্দোলনকারীরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। আদালতের প্রশ্ন, শান্তিপূর্ণ মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? এর পরেই তৃণমূলের ‘আঁতুড়ঘরে’ মেলে মিছিলের অনুমতি। তবে আদালত এই অনুমতি দিয়েছে শর্ত সাপেক্ষে। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মিছিল করতে হবে সুশৃঙ্খলভাবে। এমন কোনও স্লোগান সেখানে দেওয়া যাবে না, যাতে উত্তেজনা ছড়ায়। আদালতের রায় আন্দোলনকারীদের পক্ষে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। ডিসি পদমর্যাদার বেশ কয়েকজন আধিকারিককে এদিন সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে হাজরা মোড়ে।

    আন্দোলনকারীদের (DA) মিছিল শুরু হবে হাজরা মোড় থেকে। পরে তা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে আশুতোষ কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে বেরবে। এই রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পড়ে না। কারণ তাঁর বাড়ি গলির ভিতরে। তবে অভিষেকের বাড়ির উঠোন দিয়ে যাবে ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের মিছিল। আন্দোলনকারীদের তরফে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, শনিবার রেকর্ড জমায়েত হতে চলেছে। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, তা মেনেই হবে মিছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে বহাল রয়েছেন অনুব্রত, তাঁকে সরানোর হিম্মত নেই মমতার কারণ, তিনি নাম বলে দিতে পারেন। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর আরও প্রশ্ন, হিমশৈলের চূড়া রয়েছে অনুব্রতর কাছে, জলের নীচের অংশ কার কাছে আছে? এদিন এনআরসি ইস্যুতেও মমতাকে একহাত নেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর মতে, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুসলিমরা বুঝতে পেরেছেন মমতার এই দ্বিচারিতা, তাই তাঁরা সরে আসছেন। প্রসঙ্গত, দুমাস আগেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয় শাসকদল। জেতেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ক্রমশ সংখ্যালঘু মানুষদের আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল, তারই প্রতিফলন দেখা গেছে সাগরদিঘিতে, ২০২১ সালে বিপুল ভোটে জেতা আসন শাসকদলকে খোয়াতে হয়।

    প্রসঙ্গ অনুব্রত…

    শুক্রবার দলীয় দফতরে বসে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রশাসনের পুরো চেষ্টা ছিল যাতে অনুব্রতকে রাজ্যে রাখা যায়। প্রশাসন যে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে চলছে এদিন সে কথাও বলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, এত অভিযোগের পরেও কেষ্ট মণ্ডলকে বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি।

    প্রসঙ্গ এনআরসি…

    এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের মুরগি বানাচ্ছেন মমতা এমন অভিযোগও তোলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, মুসলিমদের ক্রমাগত প্ররোচনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের শত প্ররোচনা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে বলে জানান সুকান্ত। সুকান্তর আশ্বাস, এই মূহূর্তে এনআরসির কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ আইন পাশ করার সময় রাজ্যে যে পরিস্থিতি হয়েছিল তাই আবারও ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে জানান বালুরঘাটের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সিএএ আইন পাশ হওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘ধীরে ধীরে নীচে আসছেন’’! মমতা, অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘ধীরে ধীরে নীচে আসছেন’’! মমতা, অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘উত্তরে ও জঙ্গলমহলে বারে বারে যাচ্ছেন। কারণ তৃণমূল কোথায় আছে, দেখতে যাচ্ছেন। কই নদিয়া, মুর্শিদাবাদ যান না তো! জানেন এগুলো মারপিট করে জিতে নেব।’’ বুধবার তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে এই কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘উত্তর আর দক্ষিণে তৃণমূল উপড়ে গিয়েছে। মানুষ ঠিক করেছেন, একটা আসনও দেবেন না। চেষ্টা করছেন। নিজের লোক লুঠপাট করে নিয়েছে। জনসংযোগ করে আর লাভ কী?’’ এবার ট্রেনে চড়ে মালদহে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে নীচে আসছেন। হেলিকপ্টার থেকে ট্রেনে নেমেছেন। এরপর বাসে করে যাবেন।’’

    অভিষেককে দিলীপের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ-বাণ …

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণ দিতে গিয়ে তাঁর গলা ভেঙে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। একেই কটাক্ষ করে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘আমি সারা উত্তরবঙ্গ ঘুরে এলাম। আমার গলাও ভাঙেনি। লুটপাটও হয়নি। উনি দু’দিন ঘুরলেন, গলা ভেঙে গেল। সুখী লোক। আরামে রাজনীতি করেন। এসিতে থাকেন। মাঝে মাঝে বেরিয়ে শো-বাজি করতে হয়। হঠাৎ রোদে বেরলে এরকম হয়। আমাদের দেখে অনুকরণ করছেন। মন্দিরে যাচ্ছেন। লোকের বাড়িতে খাচ্ছেন। লোকের বাড়ি গিয়ে সাজানো খাবার খাচ্ছেন। আমরা খেলে বলা হয় ফাইভ স্টার থেকে খাবার এসেছে। ওঁর খাবার কোন স্টোর থেকে এসেছে? মা চণ্ডীর সামনে যেমন প্রসাদ দেয়, সেরকম ওঁর সামনে খাবার সাজানো।’’ 

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    সভায় পুলিশ প্রহরা নিয়েও অভিষেককে কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ওঁর সভায় তো পুলিশই আছে। আর কে আছে? সাধারণ কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢোকার চেষ্টা করলে কী হচ্ছে, দেখতেই পাচ্ছেন। আসলে উত্তরবঙ্গে ওঁর পার্টিটা আছে কিনা, তা দেখতে গিয়েছেন।’’ দিলীপ আরও বলেন, ‘‘এই সরকার যতদিন আছে, পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করছে, তাতে এদের থেকে সুবিচার পাওয়ার আশা করা অন্যায়।’’ পুলিশি অত্যাচার ও রাজনীতিকরণের জন্যই থানায় আক্রমণের ঘটনা বলে মনে করেন তিনি। কাশীপুরে সিপিএম পার্টি অফিস দখল হয়েছে। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ওরা বহু পার্টি অফিস নিয়ে নিয়েছে। বহু পার্টি অফিসের দেওয়ালে আঁচড় কাটলে লাল বা গেরুয়া রং বেরিয়ে পড়বে।’’ তাঁর মতে, রাজ্যের পরিস্থিতি যেন আফগানিস্তান বা সিরিয়ার মতো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ দেখে নিয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের চাপরাশিও হতে পারবেন না, ভোট পরবর্তী হিংসার দু বছর পূর্তিতে এমনই মন্তব্য করলেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ পুলিশ-তৃণমূল যৌথ সন্ত্রাসের তত্ত্বকে সামনে আনেন এদিন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই তিনি বলেন, ময়নায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আততায়ীরাই।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিনই দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের ব্লক নেতার টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (মাধ্যম এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি), যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যনীতি। প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই জেলা থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তোলাবাজিকে উৎসাহিত করার জন্যই চলছে নবজোয়ার কর্মসূচি, এমনই মন্তব্য করেন বালুরঘাটের সাংসদ। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক দু-হাতে টাকার ব্যাগ তুলে দিচ্ছে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ীকে। সিভিক থেকে কনস্টেবল পদে উন্নীত হওয়ার জন্যই নাকি এই ঘুষ নেওয়া হচ্ছিল, এমনটাই দাবি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির। এই ভাইরাল ভিডিওটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত মজুমদার, তাতে তিনি লেখেন, নবজোয়ারের নামে বস্তা বস্তা টাকা তুলতেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন যুবরাজ। তাঁর আরও সংযোজন, খোদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই টাকা তোলা হচ্ছিল কিনা তা একবার খোঁজ নেওয়া দরকার।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অথচ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবারই ডিজিকে চিঠি দেবেন বলে নন্দীগ্রামে মন কি বাত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা জানান তিনি।

    রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যেভাবে প্রতিদিন কালিয়াচক, কালিয়াগঞ্জের মতো ঘটনা ঘটছে, তারই প্রেক্ষিতে আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব, তৃণমূলের পার্টি ভোটের জন্য যে পুলিশ মোতায়েন করেছে, তাতে কত টাকা তৃণমূল ট্রেজারিতে দিয়েছে? অভিষেকের সভা থেকে ফেরার পথে গাড়ি উলটে পুলিশ কর্মীরা জখম হয়েছেন। গোটা রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর রোজ রোজ রাজ্যে সাধারণ মানুষ খুন হচ্ছে। বর্ধমানে এক মাসের মধ্যে তিনজন খুন হয়েছে। রানিগঞ্জে আমাদের দলের নেতা রাজেন্দ্র সাউকে খুন করা হল। আমরা নিরাপত্তা পাই। কিন্তু, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে?

    ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। গত বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) জয়ী করেছিলেন নন্দীগ্রামবাসী। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব ছিল নন্দীগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, প্রায় ১০ হাজার মানুষ মন কি বাত অনুষ্ঠান শুনেছেন। আর মন কি বাতে নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    অভিষেক ব্যানার্জীর নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, অভিষেক ব্যানার্জীকে হরি দাস পাল ব্যানার্জী বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পিসি ছাড়া জিরো! দু হাজার পুলিশ নিয়ে বের হয়। চার কোটি টাকার বাস। আগে বলেছিল না, অমিত শাহজি নাটক করতে খেতে যায়। কালকে কি করছিল ? নাটক করছিল ? কয়লা, বালি খাচ্ছিল?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    Suvendu Adhikari: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এবার ভাতিজা রুমাল মাথায় দিয়েছিল, কিন্তু টুপি পরেনি। সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘু আর নন্দীগ্রামে সনাতনীদের গুঁতোয় এই পরিস্থিতি।’’ প্রসঙ্গত, ইদের দিন একই স্থানে মমতা বন্দোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সেদিনই পাল্টা সভা করার ঘোষণা করেছিল গেরুয়া শিবির। এদিনের সভায় ভালই ভিড় হয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন বগটুইয়ের মিহিলাল শেখ।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    রেড রোডের সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারবাদ, তোষণবাদ, দুর্নীতিবাদের চাষ করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে বিকাশবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা। সংখ্যালঘু মানুষরা বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রাজ্যের তৃণমূল সরকার তাদের কাজের ব্যবস্থা করেনি। এমএসডিপি-র টাকায় ব্যাপক চুরি, দুর্নীতি হয়েছে।’’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি-র ভয় দেখাচ্ছেন। অশান্তি লাগিয়ে, বিভাজনের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইদের নমাজের মঞ্চেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির বার্তা দিয়েছেন। সংখ্যালঘুরা রাজ্যের বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ৪৫ লক্ষ পরিযায়ী বাইরের রাজ্যে রয়েছেন।’’ এঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও কিছুর বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’

    এনআরসি-র মিথ্যে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী

    এর আগেও রিষড়াকাণ্ডের পর শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, ‘‘একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করে জানেন, এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসি-র মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।’’ শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায় এনআরসির কথা বলছেন, বলছেন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশান্তি লাগিয়ে এনআরসির জুজু দেখিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘ইদের দিন ধর্মীয় সভা থাকলেও, সেই সভাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সভায় পরিণত করেছিলেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী   

    DA: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কিনতে সরকারি টাকা ব্যয় হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো খয়রাতি প্রকল্পে। তাই ডিএ (DA) দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সময় এমনই দাবি করেছে তৃণমূল (TMC)-বিরোধী নানা দল। এবার প্রকাশ্য জনসভায় এক প্রকার ঘুরিয়ে সেকথাই স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বুকে হাত রেখে বাড়ি গিয়ে ভাববেন, শোভনদেববাবু যে কথাটা বললেন।

    ডিএ (DA) নিয়ে শোভনদেবের মন্তব্য…

    তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিবের কথাটা ভাববেন না কি যে লোকটা ইতিমধ্যেই পাচ্ছেন (সরকারি কর্মীরা), তাঁকে একটু বেশি পয়সা দেবেন। কোনটা ঠিক বিচার করে নেবেন। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিনের সভায় সিপিএমকেও একহাত নেন শোভনদেব (Sovandeb Chattopadhyay)। রাজ্যের এক সময়কার শাসকদলকে তিনি চালাক চোর আখ্যা দেন। শোভনদেব বলেন, আসুক কে আছে সিপিএমের আমার সামনে, আমি প্রমাণ দেব তারা কত অধ্যাপককে চাকরি দিয়েছে। সিপিএম হচ্ছে চালাক চোর। যে লোকটাকে চাকরি দিয়েছে, সারা জীবন তাঁর বেতন পাওয়ার আগে পার্টি অফিস থেকে কেটে নিয়ে যাবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা?’’ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    শোভনদেবের সাফাই, দেখতে গেলে ওরা আমাদের লোকদের থেকে বেশি টাকা নিয়েছে। তবে যারা চুরি করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের লোকগুলো যারা চোর, চুরি করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে আর কেউ সাহস না করে চুরি করার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্য (ডিএ নিয়ে) (DA) ব্যুমেরাং হতে পারে ভেবে এদিন সেন্টিমেন্ট তাস খেলে দেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ (Sovandeb Chattopadhyay)। তিনি বলেন, বাংলার ১০ কোটি মানুষকে চাল দিয়ে খাওয়াচ্ছে, সেটা অন্যায়? কেন তিন লাখ লোক ডিএ পাচ্ছে না, সেটা অপরাধ। তিনি বলেন, ডিএ না পেলে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। কিন্তু ডিএ দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যেতে পারে, স্বাস্থ্যসাথী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বলেন, রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। ভোট কিনতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের হকের টাকা ব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (DA) কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে দেবে বলেও জানান তাঁরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: ক্লাবগুলি নজরদারি চালাবে বিএসএফের কাজে! মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে জোর বিতর্ক

    BSF: ক্লাবগুলি নজরদারি চালাবে বিএসএফের কাজে! মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে জোর বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিএসএফ-এর (BSF) বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। সেই আবহে এবার তিনি বিএসএফ-এর (BSF) গতিবিধির ওপর নজরদারির ‘দায়িত্ব’ দিলেন স্থানীয় ক্লাবগুলিকে। যা নিয়ে চরমে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ক্লাব প্রীতি’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ক্লাবদের টাকা দেওয়া নিয়ে মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। প্রশ্ন উঠেছে, যে সরকার নিজের কর্মীদের ডিএ দিতে পারে না, সেই সরকার কেন ক্লাবগুলির পিছনে এত খরচ করছে? রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের ব্যবহার করতেই কি সরকারি টাকায় এই উদ্যোগ? আর এরই মধ্যে এবার বিএসএফ-এর ওপর নজরদারির ‘দায়িত্ব’ পেল ক্লাবগুলি।

    নবান্নে বৈঠকে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    সূত্র জানাচ্ছে, বুধবার রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন, পুলিশকে যেমন গোয়েন্দা-তথ্য সংগ্রহে তৎপর হতে হবে, তেমনই সীমান্তবর্তী এলাকার ক্লাবগুলির মাধ্যমে বিএসএফের (BSF) বাড়াবাড়ির উপরে নজরদারি চালানো প্রয়োজন। কালিয়াচকের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ওই প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনার ফাঁকে প্রসঙ্গক্রমে বিএসএফের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মমতা প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে (বিশেষ করে পুলিশকর্তাদের) জানান, গ্রামে গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বিএসএফ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই প্রবণতা বাড়তে পারে।

    মুখ্যমন্ত্রীর সাধের কর্মতীর্থ প্রকল্প এবার কি বিএসএফের (BSF) ওপর নজরদারি চালাবে?

    মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প ‘কর্মতীর্থ’। দোকান-সহ নানান ব্যবসা করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। সেগুলি থেকেই এবার নাকি বিএসএফের ওপর নজরদারি চালাবে ক্লাবগুলি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা সেরকমই। সেই সব অব্যবহৃত পরিকাঠামো স্থানীয় ক্লাবের হাতে গেলে সেগুলো আর কতটা কর্ম-তীর্থ থাকবে, অকর্মস্থল বা অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠবে কি না, সেই প্রশ্ন, সংশয় ও বিতর্ক জোরদার হয়েছে। একইভাবে শুধু বিতর্ক নয়, রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে বিএসএফ (BSF) বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গতিবিধির উপরে নজরদারির গুরু দায়িত্ব বেসরকারি ক্লাবগুলির হাতে ছাড়ার উদ্যোগকে ঘিরে। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলি নিয়ে বুধবার আলোচনা হয়েছিল নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে। প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় প্রতিটি জেলায় বিপুল খরচ করে সরকার কর্মতীর্থ তৈরি করলেও সেগুলির বেশির ভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের কোনও আগ্রহই নেই। কারণ, দোকান-ব্যবসা করার জন্য নির্ধারিত এই পরিকাঠামোগুলি লাভজনক জায়গায় গড়ে ওঠেনি বলেই অভিযোগ। দীর্ঘ কাল ধরে পড়ে থাকা কর্মতীর্থগুলির পরিচালনার ভার সেই জন্যই এলাকার বিভিন্ন ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘‘তুমি আসবে বলে…’’! ‘যুবরাজ’-এর আসার পথ মসৃণ করতে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতি

    Abhishek Banerjee: ‘‘তুমি আসবে বলে…’’! ‘যুবরাজ’-এর আসার পথ মসৃণ করতে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ কর্মসূচিতে আগামিকাল, শনিবার শিলিগুড়িতে আসছেন। শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে তাঁর দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। যুবরাজের আগমনের পথ মসৃণ করতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ) ফুলবাড়ির বেহাল ক্যানাল রোড মেরামতির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করেছে। কেননা এই রাস্তা দিয়েই যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনের জন্যই যে ফুলবাড়িতে এই ক্যানাল রোড এসজেডিএ সংস্কার করছে, তা কবুল করেছেন এসজেডিএ-র সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। গত বৃহস্পতিবার এসজেডিএ-র প্রেস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সৌরভ চক্রবর্তী ওই রাস্তা সংস্কারের কাজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনে রাস্তার কাজ চলছে ফুলবাড়িতে।” সংবাদমাধ্যমকেও সৌরভবাবু একই কথা বলেছেন। 

    বাসিন্দারা বলছেন, ভাগ্যিস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন

    জাতীয় সড়ক থেকে গ্রাম হয়ে শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে সংযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এই ফুলবাড়ি ক্যানাল রোড। এহেন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গিয়েছিল। ভারী ভারী লরি চলাচল করত ঝুঁকি নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাও নিত্যদিনের কাজে, রুজি-রোজগারের জন্য এই রাস্তা দিয়ে যেতেন হাতে প্রাণ নিয়ে। রাস্তা বেহাল হওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটত। বৃহস্পতিবার এই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হওয়াতে স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি। তবে তাঁদের প্রশ্ন রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ভাগ্যিস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন, তাই আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিমতো এই রাস্তা অবশেষে মেরামত হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অনেক আন্দোলন হয়েছে। পথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবুও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন বলে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে এসজেডিএ। তাতে প্রশ্ন উঠেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সাংসদ হলেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী। আর তিনি আসছেন দলীয় কর্মসূচিতে। তাহলে তাঁর সফরের জন্য কেন সরকারি অর্থে রাস্তা মেরামত করা হবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নরেন বর্মন, ফুলমণি বর্মনদের মতো বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তা হচ্ছে আমরা খুশি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। তাহলে প্রতিদিনই যুবরাজের মতো তৃণমূল নেতারা আমাদের এলাকায় আসুন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কেননা সাধারণ মানুষের কথা শোনে না তৃণমূল সরকারের প্রশাসন। 

    তাঁকে ও তাঁর পিসি মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে প্রশাসন তৎপর, কটাক্ষ বিজেপির

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, যুবরাজ শিকারে বেরিয়েছেন। তাই রাজ্য প্রশাসন তাঁর শিকার সফরকে সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এটা প্রত্যাশিত। কেননা রাজ্যের তৃণমূল সরকার সারা বছর সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। সেই কারণেই এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। যুবরাজ আসছেন। তাই তাঁকে (Abhishek Banerjee) ও তাঁর পিসি মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে প্রশাসন যে তৎপর, সেটাই প্রমাণ হচ্ছে রাতারাতি ফুলবাড়িতে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করায়। তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র রাজনীতির কারণেই আজ রাজ্য ডুবতে বসেছে। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে এই রাজ্যকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাই এধরনের কাজ তারা করতে পারে। এতে বিস্মিত নই। কিন্তু সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিকে উপেক্ষা করে থাকার পর হঠাৎ দলীয় নেতার সফরকে মসৃণ করতে প্রশাসনের ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

    কী বলছে এসজেডিএ?

    সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এই রাস্তার কাজ আমরা আগেই হাতে নিয়েছিলাম। কিছুদিন বাদেই এর কাজ শুরু হত। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই রাস্তা দিয়ে আসবেন। তাই সেই কাজ এগিয়ে আনা হল। তাহলে এই বক্তব্যের জন্যই কি চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হল সৌরভ চক্রবর্তীকে। সেকারণেই কি শুক্রবার সকালে তাঁকে সরিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে আবার এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান করা হল? এই প্রশ্ন সব মহলের। কিন্তু তৃণমূলের কেউ এনিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share