Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • CPM: দুর্নীতির সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন মমতা, তিন ঘণ্টা জেরা করলেই সব বেরিয়ে আসবে, বললেন বিকাশ

    CPM: দুর্নীতির সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন মমতা, তিন ঘণ্টা জেরা করলেই সব বেরিয়ে আসবে, বললেন বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর মানিক ভট্টাচার্য এবং সবশেষে জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই-এর তদন্ত শুরু হতে চলেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। এরইমধ্যে বুধবার দুপুরে বারাসত জেলা আদালতে একটি মামলার সূত্রে এসে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দুর্নীতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাসরি দায়ী করলেন। তিনি বলেন, গোটা দুর্নীতিটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যের সচিবালয় থেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো দু-নম্বরে ছিলেন। আমরা বারবার সওয়াল করেছি, সমস্ত কিছুর জন্যই দায়ী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে। নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন বিকাশবাবু। ফলে, তাঁর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন বর্ষীয়ান সিপিএম (CPM) নেতা?

    মুকুল রায়কে জোর করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় অভিযোগ করেছিলেন। এর পিছনে বড় টাকার খেলা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। যদিও দিল্লিতে গিয়ে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন বিধায়ক মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, কেউ জোর করেনি। আমি স্বেচ্ছায় দিল্লি এসেছি। বিজেপিতে থেকে রাজনীতি করারও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসব নিয়ে যখন তর্ক-বিতর্ক চলছে, তখন তাঁর দিল্লি যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশবাবু আরও বলেন, মুকুল রায় কি এমনি এমনি দিল্লি গিয়েছেন। মুকুলকে মমতা (Mamata Banerjee) পাঠিয়েছেন। শরীর খারাপের যে কথা বলা হচ্ছে তা সবটাই নাটক। মমতাই তাঁকে পাঠিয়েছেন। আসলে তিনি চেষ্টা করছেন নিজেকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে। কারণ, তদন্ত যে জায়গায় গিয়েছে, সেখান থেকে তাঁদের বাঁচার কোনও রাস্তা নেই, একমাত্র অমিত শাহ আর নরেন্দ্র মোদির পায়ে ধরা ছাড়া। সেইজন্যই মুকুলকে এজেন্ট করে পাঠানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে এক মাসের মধ্যে সিঙ্গুরে (Singur) টাটাকে (TATA) এনে শিল্প হবে। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে এবং সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে তোলার দাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সভার। তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, এরকম স্ট্রং অপজিশন গত ১২ বছরে দেখেনি মমতা সরকার। এর আগে সিপিএমের অপজিশন লিডার সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন, সেটিং করে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছিল তাকেও সেটিং করা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপিকে করা যায়নি। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যদি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা যায়, তাঁর অফিসের সবাইকে জেরা করা যায়, তাহলে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মমতা ব্যানার্জির ওপর কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিন সভা হয়েছে সিঙ্গুর বিধানসভার অন্তর্গত বড়া হাওয়াখানা ময়দানে। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ শুভেন্দু যখন জনসভায় পৌঁছন তখন মাঠে উপচে পড়া ভিড়। এদিনের মঞ্চে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বিধায়ক বিমান ঘোষ, খগেন মুর্মুর মতো বিজেপির হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে মমতা সিঙ্গুর আন্দোলন করেননি। তিনি সব থেকে বড় সর্বনাশ করে গিয়েছেন টাটার কারখানা ধ্বংস করে। সিপিএমের জমি নীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তাপচা ছিল। আমরা কিন্তু শিল্পের পক্ষে। শুভেন্দু বলেন, ১৬ দিন এখানে বসে ড্রামা করে টাটাকে তাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পরিয়ে রাজ্যে আনা হবে।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    তিনি বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি ধরা পড়েছে। জলজীবন প্রকল্পকে নিজেদের নামে করতে চায় তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, এখন তৃণমূলের দুয়ারে সিবিআই চলছে। শুভেন্দু বলেন, সর্বভারতীয় তকমা সরতেই মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, নিয়ম মেনেই করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। ওদিকে তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। বলছেন, ২০২৪ পর্যন্ত আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না? জবাবে অমিত শাহজি স্পষ্ট বলেছেন, আপনি তো ভোট পাননি। সেই নিয়মে আপনি আর সর্বভারতীয় নন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ও হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি হয়েছিল তা পূর্বপরিকল্পিত। এমনকি বিজেপির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে অশান্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে এর প্রমাণ দিতে হবে। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    সুকান্তের ট্যুইট

    সোমবার ট্যুইট করে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) হুঁশিয়ারি, ‘আমি পশ্চিবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। তিনি আজ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তিনি যা বলেছেন, তার প্রমাণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দিতে হবে, না হলে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে। আপনি যদি সূর্যের দিকে চেয়ে থুতু ফেলেন তবে তাতে আপনার মুখ পুড়বে।’ তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের অংশ জুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,’হাওড়া-রিষড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা পরিকল্পিত। দেশের ১০০টি জায়গায় যে অশান্তি হয়েছে তা পরিকল্পিত। বিজেপি নিজেদের মিটিং-এ বলেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাড়াও, জাতি দাঙ্গা বাড়াও। দরকার হলে উত্তরবঙ্গে, পাহাড়ে আন্দোলনকে পরোক্ষ সমর্থন করো। কারণ যে করেই হোক আমাকে জিততে হবে। এভাবে কি জেতা যায়? গণতন্ত্রে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়।’

    গরু পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। সোমবারই নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন মুখ্যমন্ত্রীর নামও হয়তো যুক্ত হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমায় বিজেপির সভায় যোগ দিয়ে সুকান্ত বলেন, “রাজ্যে একনায়কতন্ত্র, সরকারের অপশাসন, রাজনৈতিক হিংসায় জেরবার মানুষ। জনগন পরিবর্তন চায়। বিজেপি-ই বিকল্প পথ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে ‘গুন্ডামি’ করতেও রাজি। সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সরাসরি মমতার নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনার মতো অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য যদি গুন্ডামি করতে হয় তবে একবার নয়, এক হাজার বার করব।’

    শুভেন্দু যা বললেন

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে ‘ডাকু’ বলেছেন মমতা। এমন ইঙ্গিতও করেন যে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ইশারাতেই চলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওন্দার সভায় তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “খুব বড় বড় কথা না! বলছেন অমিত শাহকে পশ্চিমবঙ্গে একটা গুণ্ডা পরামর্শ দেয়। সাহস থাকলে নামটা বলুন না।” অহঙ্কারী, দুর্নীতির মক্ষীরানি, চোরেদের সর্দারনী বলেও এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন তিনি। এর সঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, পরিবারবাদ, কাটমানি, তোষণ যাঁর একমাত্র অ্যাজেন্ডা, তাঁকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে ধ্বংস করতে হয়, ভোটের মাধ্যমে যদি উপড়ে ফেলতে হয় তাহলে যে কোনওরকম পথ অবলম্বন করতে প্রস্তুত তিনি।

    অভিষেককে কটাক্ষ

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককেও সোমবারের সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গত বুধবার ওন্দায় এসে অভিষেক বলেছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে জিতিয়ে ‘পাপ’ করেছেন বাঁকুড়ার মানুষ। তাঁরা এ বার ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করবেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মানুষ আপনার মতো চিকিৎসা করাতে আমেরিকায় যেতে পারেন না। কারণ, ওঁদের অত টাকা নেই। বাঁকুড়ার দরিদ্র মানুষ পান্তাভাত, মুড়ি, ছোলা, ডাল-ভাতে জীবন যাপন করেন। তাঁরা পাপী নন।’’

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘তৃণমূল একটা মডেল তৈরি করেছে। সেই মডেলে কারা আছেন? পার্থ-অর্পিতা, অনুব্রত-সায়গল, কুন্তল-শান্তনু!” এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তৃণমূল এখন কোথায় আছে জানেন? দুটো জায়গায় আছে। পাঁচিলের উপরে আর পচা পুকুরে!’ বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘তোলামূলের জীবন ভিতরে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি পাঁচিল টপকে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন পুকুরে। পাঁকের তলা থেকে তা বের করা হয়েছে! এই হল এখন তৃণমূলের অবস্থা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে অতর্কিতে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মমতার সেই ট্যুইটকে কটাক্ষ করে পাল্টা ট্যুইট করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, যদি উত্তর প্রদেশে মাফিয়াদের খুন করা হয় তবে এটা আপনার কাছে লজ্জার। পশ্চিমবঙ্গে রোজ হিন্দুদের খুন করা হচ্ছে। সেটা আপনার কাছে গর্বের। এটাই প্রমাণ করছে কোনটা আপনার অগ্রাধিকার ও কোনটা আপনার হিপোক্রেশি। 

    কোন ঘটনায় ট্যুইট

    উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠে আতিক আহমেদের। তার ছেলে আসাদকে সম্প্রতি এনকাউন্টারে মেরেছিল পুলিশ। শনিবার ছিল আসাদের শেষকৃত্যের দিন। সেদিন মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল আতিককে। চারদিকে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই আচমকা আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছবি। ঘটনাস্থলেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও প্রশ্ন উঠেছে যোগী-রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    দুই পক্ষের ট্যুইট-যুদ্ধ

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লিখেছিলেন,’আমি এই নৈরাজ্য দেখে আঘাত পেয়েছি। উত্তর প্রদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো ভেঙে পড়েছে। এই ধরনের বেআইনী কাজের কোনও জায়গা আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে নেই।’ এরপরই অবশ্য মমতাকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য় ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? এবার মমতার ট্যুইটকে তুলে ধরে পালটা ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ২৫-এ পালাবদলের ইঙ্গিত! ‘লোকসভা ভোটে ৩৫টি আসন দিন’, বঙ্গবাসীকে আহ্বান অমিত শাহের

    Amit Shah: ২৫-এ পালাবদলের ইঙ্গিত! ‘লোকসভা ভোটে ৩৫টি আসন দিন’, বঙ্গবাসীকে আহ্বান অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে (LokSabha Election 2024) বাংলায় বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সিউড়ির বেনীমাধব হাই স্কুলের মাঠে সভা করেন অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় বিজেপিকে ৭৭টি আসন জিতিয়ে দায়িত্ব বাড়িয়েছে বাংলা। ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ৩৫টিরও বেশি আসনে জেতান।’ অমিতের দাবি, লোকসভায় ৩৫এর বেশি আসন বঙ্গবাসী দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতনের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না তাঁদের।

    পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন

    দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন৷ এ দিন বীরভূমের সিউড়ির জনসভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি-কে ৩৫টি আসনে জেতানোর অনুরোধ করেছেন৷ একইসঙ্গে শাহের হুঁশিয়ারি, বাংলা থেকে বিজেপি যদি ২০২৪-এ ৩৫টি বা তার বেশি আসনে জয়ী হয়, তাহলে ২০২৬ পর্যন্ত বর্তমান তৃণমূল সরকারই থাকবে না৷ অমিত শাহ বলেন, ‘আপনারা ৭৭ আসনের সঙ্গে ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷ তার জন্য আপনাদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই৷ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনে বিজেপি-কে জিতিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করুন৷ ২৪-এ ৩৫টি আসন বিজেপি পেলেই আর ২৫-এর প্রয়োজন হবে না৷ তার আগেই দিদির রাজত্বের অবসান হবে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবে বিজেপির থেকেই। আর ২০২৪ সাল থেকে এর ট্রেলার শুরু করতে হবে।’

    বাংলায় আতঙ্কের পরিবেশ

    সিউড়ির জনসভায় শাহের (Amit Shah) প্রশ্ন, ‘বাংলায় রামনবমীর শোভাযাত্রা কেন বেরোবে না? তৃণমূলের তোষণের রাজনীতির জন্যই অশান্তি হয়েছে।’ এদিন রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘বীরভূমে এনআইএ ৮০ হাজারের বেশি ডিটোনেটর বাজেয়াপ্ত করেছে। এনআইএ এত বিস্ফোরক উদ্ধার না করলে প্রচুর মানুষের প্রাণ যেত।’ শাহের দাবি, ‘দিদির শাসনে বাংলা বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যে বীরভূম স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তাতে আতঙ্কের কেন্দ্রে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিজি সারা দেশে জাতপাতের রাজনীতি আর পরিবারতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেন না। বাংলার জনতার কল্যাণ ওঁর লক্ষ্য নয়। ওঁর একমাত্র লক্ষ্য হল ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। বাংলার মানুষের জন্য ওঁর কোনও চিন্তা নেই। মোদিজি যে প্রকল্পগুলি পাঠাচ্ছেন সেগুলো নিচু তলায় পৌঁছতে দেন না’।

    আরও পড়ুন: ‘আপনার উপস্থিতি অনুপ্রাণিত করে, মনোবল বাড়ায়’, শাহকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    সমাধান বিজেপি

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের মনে করালেন, ‘তৃণমূলের একের পর এক নেতা এখন জেলের গরাদের পিছনে। দিদির দাদাগিরির জন্যেই একের পর এক তৃণমূল নেতা জেলে।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘দিদি-ভাইপোর জুটিকে হারানোর এখন একটাই রাস্তা। বিজেপি।’ শাহের কথায়, ‘চাকরি চুরি হচ্ছে, মোদিজি জেলে পাঠালেই বলে অত্যাচার হচ্ছে। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের তো জেলে পাঠাতেই হবে। এর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও অমিত শাহ (Amit Shah) সরাসরি প্রশ্ন ছু়ড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে৷ বীরভূমে কেন এখনও গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রাখা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এদিনের সভা থেকে বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠা ঠা রোদেও বকেয়া ডিএ (DA) ও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে চলছে ধর্না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আপাতত তিন শতাংশের বেশি ডিএ দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তার পরেও চলছে আন্দোলন। ওই একই দাবিতে গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আন্দোলনকারীরা দুদিন ধরে ধর্না দিয়েছেন দিল্লির যন্তরমন্তরেও। তার পরেও অনড় অবস্থানে রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। অর্থের অভাবের যুক্তিতে যেখানে বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না, বৃহস্পতিবার সেখানেই ঘটা করে উদ্বোধন করা হল বিশ্বমানের অডিটোরিয়ামের। শাঁখের আকৃতির এই অডিটোরিয়াম তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪৪০ কোটি টাকা। নাম দেওয়া হয়েছে ধনধান্য।

    দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন…

    মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উদ্বোধন করেছেন এই অডিটোরিয়ামের। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি (BJP)। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারছেন না, অথচ ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয় করে অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করছেন। উনি সারাদিন টাকা টাকা করেন কেন? সকাল হলেই টাকা, রাত হলেই টাকা। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই লোকের মনে প্রশ্ন উঠছে। ডিএর জন্য ধর্না চলছে আর এত কোটি টাকার বিল্ডিং তৈরির কী মানে হয়? তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তো কম অডিটোরিয়াম নেই। এত অডিটোরিয়াম থাকা সত্ত্বেও উনি প্যান্ডেল বেঁধে প্রশাসনিক বৈঠক করেন, তো কী হবে অডিটোরিয়াম তৈরি করে?

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, আমাদের অডিটোরিয়াম দেওয়া হয় না। কীসের জন্য এত টাকা ব্যয় করে এই অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে? এদিন সকালে আন্দামান যাচ্ছেন দিলীপ। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। সেখানেই অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন তিনি। কেবল অডিটোরিয়ামই নয়, মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, মিড-ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বিজেপি দফতর থেকে এই রিপোর্ট লেখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব এখন বেনিফাশিয়ারিতে কত ছাত্রছাত্রীর নাম রয়েছে, আর কতজন এর সুবিধা পাচ্ছে, সেই তথ্যটা পাঠিয়ে দিন কেন্দ্রের কাছে, তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
  • Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ‘লক্ষ্মী’র টান! জেলায় জেলায় আটকে টাকা, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ‘লক্ষ্মী’র টান! জেলায় জেলায় আটকে টাকা, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুফতে টাকা পাওয়ার আশায় ফের তৃণমূলকেই ক্ষমতায় আনেন রাজ্যবাসী। তারপর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালাতে গিয়ে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা ফি মাসে পান ৫০০ টাকা করে। আর তফশিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ টাকা খয়রাতি প্রকল্পে ঢালতে গিয়ে কখনও কেন্দ্রের কোনও প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে, কখনও আবার অন্য কোনও খাতের টাকা খরচ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। তাতেও কুলোচ্ছে কই?  

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar)…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) রাশ ধরতে প্রথমে আধার কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন যে তৃণমূল সুপ্রিমো, সেই তিনিই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছেন কয়েক দিন আগেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি ধরতেই এটা করা হয়েছে। তার পরেও টান পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, ডব্লুসিডি এবং এসডব্লু ডিপার্টমেন্ট উদ্বিগ্ন হবেন না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বকেয়া মেটাতে যদি ফান্ড কম পড়ে তাহলে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাহলে অনৈতিক ভাবে টাকা জোগাবে।

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না সেখানকার বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন, তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় ভাতা আর পাওয়া যাবে না। অবিলম্বে ভাতা চালুর দাবিতে এদিন সাগরদিঘি ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    অন্যদিকে, দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই যেন-তেন প্রকারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) ফের চালু করতে চাইছে নবান্ন। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের যাবতীয় কাজ। বুধবার নবান্নের তরফে এমনই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। ঢোক গিলে এখন কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জোগায় রাজ্য সরকার, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Mid Day Meal: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলেঙ্কারির (Scam) তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে বাংলায় (West Bengal)। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তার পর উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি। তারও পরে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার উঠল মিড-ডে মিলেও (Mid Day Meal) দুর্নীতির অভিযোগ।

    মিড-ডে মিলে (Mid Day Meal) দুর্নীতির অভিযোগ…

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ছ মাসে অতিরিক্ত ১৬ কোটি মিড-ডে মিল দেখিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, গড়ে ৯৫ শতাংশ পড়ুয়াই মিড-ডে মিলের খাবার খায়। যদিও রাজ্যের যেসব স্কুল পরিদর্শন করা হয়েছে, সেগুলিতে দেখা গিয়েছে মিড-ডে মিল খাওয়া পড়ুয়ার হার ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ। যেসব স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন, তার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় কম ভাত রান্না হয়েছে। ৬০ শতাংশ স্কুলে চাহিদার তুলনায় কম রান্না হয়েছে ডাল। ৪৭ শতাংশ স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় কম তেলে রান্না হয়েছে। শাকসবজি কম রান্না হয়েছে ২৭ শতাংশ স্কুলে। ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও

    এদিকে, রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রদের খাবারের প্লেট (Mid Day Meal) থেকেও চুরি করতে দ্বিধাবোধ করেন না। একবার ভাবুন, যদি তারা (তৃণমূল সরকার) একটা আর্থিক বছরের দুটি কোয়ার্টারেই (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, ২০২২) ১০০ কোটি টাকা চুরি করতে পারে, তাহলে গত ১২ বছরে কত টাকা সরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শাসনের নামে দিনদুপুরে ডাকাতি করেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার মিড-ডে মিলের কোন ডাটা মেনটেইন করেনি। পাশের রাজ্য অসমে দেখুন প্রত্যেকটি স্কুলের লিস্ট আছে, তাদের কাছে সমস্ত কিছু হিসাব রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় কোনও হিসাব নেই, কোনও ডাটাও নেই। সবে ১০০ কোটি তো পাওয়া গেছে, আরও অনেক খবর হবে।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও রাজ্যের যেকোনও যৌথ প্রকল্পেই জয়েন্ট রিভিউ মিশন থাকে। সেই মিশনে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও থাকেন। এ বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেই জয়েন্ট রিভিউ মিশনই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের কাজকর্ম ঘুরে দেখে। সেই দলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব’, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের জনসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, রায়গঞ্জ কোনওদিন তৃণমূলের ছিল না, আগেও ছিল না, এবারও থাকবে না। এর পরেই তিনি বলেন, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ মিলে লোকসভায় দেড় লক্ষ বেশি ভোট পাব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিজেপি ১৮টি লোকসভা আসন জেতার পরে তৃণমূলের (TMC) দোকান বন্ধ হয়েছিল। আমি বেরনোর পরে তৃণমূলের দোকান খুলেছিল। এজন্য ক্ষমা চাইছি। সম্প্রতি জাতীয় দলের মর্যাদা খুইয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিনের জনসভায় শুভেন্দু বলেন, পয়লা বৈশাখের আগে বাংলায়ই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতির তোপও দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, পরিবারতন্ত্র, তোষণের রাজনীতি আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বে বিজেপি। এনআরসি নিয়ে তৃণমূল যে কেবল রাজনীতি করেছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, এনআরসি নিয়ে আর ধাপ্পাবাজিতে যাবেন না। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার কাজিপাড়া, শিবপুর, হুগলির রিষড়া। কোথাও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। কোথাও আবার অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রিষড়ায় রেললাইনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। যার জেরে রাতে ঘণ্টা তিনেক ওই রুটে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।

    আরও পড়ুুন: ‘অতিচালাকি বরদাস্ত করা যাবে না’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তলের চিঠি নিয়ে মন্তব্য বিচারপতির

    ওই ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল করে জানেন এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসির মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এদিনের জনসভায় রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, বাংলায় কেন এই অবস্থা? দায়ী কে? পরক্ষণেই তিনি বলেন, সাফ করতে হবে।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনাকেন্দ্রে ভোট লুঠ হয়েছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এখানে মনোনয়ন হয়েছিল আশি ভাগ জায়গায়। গণনাকেন্দ্রে লুঠ হয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ২৬টার মধ্যে আপনাদেরকে ২টো দেওয়া হয়েছে মাত্র। অথচ আপনারা জিতেছেন ৮-১০টায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়াফুল দেখিয়ে এই জেলার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন আগের জেলাশাসক আয়েশা রানি। আর এখন তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এই জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ মিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share