Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) মিটিয়ে দেব। বুধবার নদিয়ায় এসে এ কথা বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন হোলি উপলক্ষে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা। সুকান্ত বলেন, মুণ্ড কাটার প্রয়োজন নেই, চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ভুল বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।

    সম্প্রতি ভাঙড়ের পর নদিয়ার কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, এখন দুয়ারে বোমা, দুয়ারে গুলি প্রকল্প চলছে রাজ্যের শাসক দলে। যা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী ও নেতানেত্রীরা তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল সিপিএম নেতাদের ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলদের মতো অন্য তৃণমূল নেতারা বোমা মারব, গুলি মার বলে মানুষকে হুমকি দেয়। সিপিএম স্কুল থেকেই পাশ করে আজকের তৃণমূল নেতা তৈরি হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শাসকদলকে তোপ সুকান্তর…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন, এটা হতে পারে না। আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে। এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক’টা চাকরির টাকা খেয়েছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন৷

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Amit Malviya: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলকে দাগি অপরাধীর তকমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন  বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার পর এদিন সামাজিক মাধ্যমে বিজেপি নেতা অমিত লেখেন, “মানুষের রক্ত শোষণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন । তার সাম্রাজ্য অপরাধের উপর দাঁড়িয়ে আছে। শেষমেশ, তা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।” 

    কী বললেন অমিত মালব্য

    দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে গরু পাচার মামলার তদন্তে দোলের দিনই তৃণমূলের (Trinamool Congress) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারপরই বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় না করেই ‘বীরভূমের বাঘ’ কে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন দিল্লিতে কেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক অনুব্রত। তাঁকে ‘কেষ্ট’ বলেই ডাকেন মমতা (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পরও সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই অনুব্রত বিপাকে পড়াতেই অমিত মালব্য নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। অমিত মালব্য আরও লেখেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত। তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তিনি (অনুব্রত) তার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) আশ্রয়েই এতদিন বেড়ে উঠেছেন।”

    অমিতের মতে, এই রাজ্যে অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে, মমতার নজরদারিতে যারা অপরাধ ও তোলাবাজি সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন তাদের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের রাখি পূর্ণিমার দিন সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল। এরপর এই দাপুটে নেতার ঠাঁই হয় আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে।

    আরও পড়ুন: চিনা মোবাইল-অ্যাপ ব্যবহার নয়, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির সব থেকে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেতে সিবিআই-এর অনিচ্ছা রয়েছে। গত ১০ বছর ধরে রাজ্যের মানুষ কাঙ্খিত দিনটির জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু প্রশ্ন করেছেন, “কেন্দ্রের সংস্থা সিবিআই কি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদকে ভয় পাচ্ছে? তা না হলে সারদা মামলার দশ বছর পরও কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত শুরু করছে না!”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেই চিঠিতে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে, সেই প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, অসম, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলা সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত নানা ঘটনার জেরে বিষয়টিকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, বিভিন্ন কেলেঙ্কারি সুবিধা নিয়েছিলেন ক্ষমতার শীর্ষে থাকা লোকজনও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও সারদার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বহু আগে থেকে, এমনটাও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিবিআই-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে বলেছেন, ‘মমতার কাছে পৌঁছতে কেন দ্বিধা করছে সিবিআই। চেয়ারের জন্যই কি সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না?’ এছাড়াও এদিন পাঁচ পাতার চিঠিতে তিনি একে একে জানিয়েছেন, সারদা মামলায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছিল, তার প্রেক্ষিতে সিবিআই কী বলেছিল এবং মামলার দশ বছর পরেও কোন কোন ক্ষেত্রে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত!

    আবার মমতার আঁকা ছবি সারদা গোষ্ঠীর তরফে কোটি টাকায় কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই, এ কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। এ ছাড়াও মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের ক্যাটারিং এবং অন্যান্য যাত্রী পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা আইআরসিটিসির সঙ্গে সারদার ট্যুরের প্রসঙ্গও টেনেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সারদা মামলায় নাম না করে সারদার সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রাক্তন গ্রুপ সিইও তথা তৃণমূলের তৎকালীন সাংসদ কুণাল ঘোষের গ্রেফতারির কথাও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু ওই চিঠিতে। তিনি লিখেছেন, ওই সাংসদ গ্রেফতার হওয়ার পর বার বার বলেছিলেন, ‘মমতাই সারদা কেলঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাপ্রাপ্ত। কেন তা শুনেও শোনেনি সিবিআই?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পাশাপাশি এবারে বাম-কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘি উপনির্বাচন বঙ্গ রাজনীতিকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি তাতে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। কৌস্তভের গ্রেফতারিতে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিলেও, এ বার বাম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাম-কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান। তাঁর মন্তব্য, তখন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ বললে আজ এই দিন দেখতে হত না।

    অধীরকে তোপ শুভেন্দুর

    রবিবার মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ অঞ্চল বিজেপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কেশবপুর জালপাই বাজার সংলগ্ন ময়দানে। সেই সম্মেলন থেকেই বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, “মীনাক্ষী, কৌস্তভকে এখন জেলে ভরছে। তখন সিপিএম, কংগ্রেস বলেছিল নো ভোট টু বিজেপি। সেই সময় নো ভোট টু তৃণমূল বললে আজ এই দিন দেখতে হতো না।”

    আরও পড়ুন:ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    অধীরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি মমতাকে। ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভবানীপুরে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের প্রার্থী দিলেন না। আজ সেই অধীর চৌধুরীকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় গদ্দার।”

    তিনি সেদিন আরও বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস বেরিয়ে পড়েছে। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী দল ছিল সিপিএম। ২০১৬ সাল থেকে বিরোধী আসনে ছিল কংগ্রেস। কখনও কোনও কিছু প্রতিবাদ করেছে? চোর ধরা পড়েছে? ফাঁদ পাতবে বিজেপি আর খই খাব আমি! সেগুড়ে বালি, এটা হবে না। সিপিএম ও কংগ্রেস কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ। বামফ্রন্ট নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়ে কৃষক মেরেছে আর তৃণমূল বগটুইয়ে মুসলমান পুড়িয়েছে। তাই বিজেপি ছাড়া গতি নেই।” 

    শুভেন্দুর নিশানায় রাজ্য

    গতকাল বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করার পাশাপাশি শুভেন্দু কটাক্ষ করেছে রাজ্যকেও। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে এই নিয়ে ফের সরব হয়েছেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার পর এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতই প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের কৃতিত্ব খাটো করে দেখাতেই রাজ্য সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নিয়ম মানা হয়নি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। জামিন অযোগ্য ধারা লাগলে হয় না। বিচার ব্যবস্থা নিরাপত্তা দিচ্ছে। পুলিশ অপদস্ত হচ্ছে। পুলিশের গরিমা মান সম্মান নষ্ট হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের ৯জন বিরোধী নেতা কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এবারে সেই চিঠিরই কড়া জবাব দিলেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) সেই সব নেতাদের নিশানা করে বলেন, ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই।’

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী কী বললেন?

    রবিবার দেশের ৯টি বিরোধী দলের নেতার খোলা চিঠির পাল্টা জবাব দিয়ে কটাক্ষের সুরে সুধাংশু বলেন, “আমরা দেশের অগ্রগতির পক্ষে। বিরোধী দলগুলি প্রত্যেকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে একে অপরকে সমর্থন করছে। এই চিঠি দিয়ে বিরোধী দলগুলি প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিকে সমর্থন করছে।” বিরোধীদের নাম না করে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “চিঠিতে যে সমস্ত নেতারা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের অনেকেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এমনকী যাঁরা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা এখন বলছেন যে তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করা উচিত নয়।” আম আদমি পার্টির অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিতে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আবার বালগঙ্গাধর তিলকের ‘আত্ম-নিয়ম আমাদের জন্মগত অধিকার’ শ্লোগান তুলে ধরে দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও করেন সুধাংশু ত্রিবেদী।

    আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

    এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “একদিকে দুর্নীতির প্রশ্নে মণীশ সিসোদিয়ার জন্য আম আদমি পার্টি ভয় পেয়ে রয়েছে, অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য আতঙ্কিত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীকে চাপে রাখতে বিরোধীরা যে চিঠি দিয়েছেন, তার কাছে মোদিজি নতি স্বীকার করবেন না।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই কংগ্রেস ছাড়া অন্য বিরোধী দলগুলির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠানো যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বগটুই গণহত্যা, আনিস খান খুন কিংবা পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ইস্যুর মতোই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার বাইরে বেরিয়ে আন্দোলন জোরদার করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দু বলেন, ‘সম্প্রতি মমতা সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন যুবক সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করি। পুলিশ যে কায়দায় রাত তিনটের সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সোচ্চার হব।’ একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে স্মরণ করাতে চায়, ২০২১ সালে নন্দীগ্রামের জনগণ যখন আমাকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিল, তার পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন, এমএলএ হওয়ার জন্য, মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ বাঁচানোর জন্য৷ তখন এই প্রদেশ কংগ্রেস প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন ঘোষণা করেছিল৷ সঠিক সময়ে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন!’’

    কেন গ্রেফতার কৌস্তভ

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে ‘অনেক কথা’ জানেন, বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই শুক্রবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে বড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    কৌস্তভের পাশে থাকার কথা বললেও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা কপিল সিব্বল এবং মনু সিংভি যেভাবে প্রতিদিন মমতার সরকারকে সাহায্য করছেন, ঠিক একইভাবে কৌস্তভ বাগচীকেও নিজেদের সহকর্মী হিসেবে তাঁরা সাহায্য করবেন, দ্রুত জামিনের বিষয়ে লড়বেন এটা আমি ওনাদের কাছে আশা করব৷’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রামের নাম হাসনহাটি। গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশ আদিবাসী। দালান বাড়ি কারও নেই। এক চিলতে ঘরে পরিবার নিয়ে তাঁরা দিন গুজরান করেন মাত্র। দিন মজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তাঁরা। বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো তাঁদের কাছে বিলাসিতা। অগত্যা সরকারি সাহায্য তাঁদের অন্যতম ভরসা। নিয়ম মেনে ঘটা করে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপ, টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে বহুদিন ধরেই জল (Water demand) পড়ে না। আর পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য যে ট্যাপ বসানো হয়েছিল, গত তিনমাস ধরে সেখান দিয়ে জল পড়ছে না। গরম পড়তেই হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছেন কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী এই গ্রাম।

    দাবি (Water demand) আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা?

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটা যে একেবারেই আলাদা তা হাসনহাটি আদিবাসী গ্রামে আসলেই টের পাওয়া যাবে। এই গ্রামের তিন মাস ধরে পানীয় জলের (Water demand) ট্যাপ, টিউবওয়েল থেকে জল বের হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে আদিবাসী মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতা মুর্মু, মিতা মুর্মু, শেফালি মান্ডিদের বক্তব্য, এতদিন শীতকাল ছিল। দূর থেকে জল আনতে কষ্ট হত না। জলের (Water demand) চাহিদা কম ছিল। এখন গরম পড়েছে। দিন দিন গরম বাড়বে। এই অবস্থায় গ্রামে পানীয় জলের (Water demand) ব্যবস্থা না থাকলে আমরা কোথায় যাব। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেন বলে বিভিন্ন মঞ্চে দাবি করেন। অথচ গত তিনমাস ধরে আমরা পানীয় জল (Water demand) খেতে পাচ্ছি না, এটা রাজ্য সরকারের কারও দেখার সময় নেই। অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা না করে দিলে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভোট বয়কট করব। কারণ, বহুদিন ধরে আমরা আবেদন নিবেদন করেছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার আমরা জোটবদ্ধ হয়ে সকলেই কেউ আর ভোট দিতে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    হাসনহাটি গ্রামে আদিবাসী পরিবারেরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন  কালনা-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার চৌরাসিয়া। তিনি বলেন, কীভাবে তাদের পানীয় জল দেওয়া যায় সেটা ভাবা হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বিজয়রথ থামাতে একাধিকবার উদ্যোগী হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বার কয়েক দিল্লি গিয়ে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টাও করেছিলেন মা মাটি মানুষের নেত্রী। বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে এবং মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের রাশ হাতছাড়া হওয়ার পর সেই মমতাই ঘোষণা করলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তৃণমূল। এদিন নবান্নে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দেন, তৃণমূল আর মানুষের জোট হবে। আমরা ওদের (বাম ও কংগ্রেস) কারও সঙ্গে যাব না। একা লড়ব মানুষের সমর্থন নিয়ে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন…

    তৃণমূল নেত্রী বলেন, সিপিএম-কংগ্রেস এক সঙ্গে রয়েছে। বিজেপির ভোটও ওদের কাছে গিয়েছে। তিনি বলেন, এমন অনৈতিক জোট হলে কংগ্রেস, সিপিএম কী করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? ওরা যদি বিজেপির সাহায্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে চায়, তা হলে ওরা কীভাবে নিজেদের বিজেপি বিরোধী বলতে পারে! তিনি বলেন, এটা আমাদের কাছে একটা শিক্ষা। কংগ্রেস এবং সিপিএমের কথা শোনা উচিত নয়।

    অথচ যাঁর এমন বিলম্বিত বোধদয় হয়েছে, সেই তিনিই কি না মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিলেন তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হয়েই! একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদে বসেই নতুন করে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন মমতা। কিন্তু কংগ্রেস যখন নেতৃত্বদানের কথা বলে, তখনই পিছু হটেন তৃণমূল নেত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তিনি চেয়েছিলেন তৃণমূলের নেতৃত্বেই দানা বাঁধুক বিজেপি বিরোধী জোট। তাহলে অন্তত প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিটা পাকা হয়ে যাবে! এর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সময় যত গড়িয়েছে, ততই দু পক্ষের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে বেড়েছে বই কমেনি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর যে মমতা বিরোধী ঐক্যে শান দিচ্ছিলেন, সেই তিনিই কেন এখন একলা লড়ার কথা বলছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ হল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। একের পর এক কেলেঙ্কারির কাদা লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রীর (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা। কান টানলে মাথা আসার মতো তৃণমূলের আরও অনেকেই জড়িয়ে পড়বেন বলে খবর। যদি তাই হয়, তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে মুখ পোড়াতে আর কেই বা চাইবে? বস্তুত, আকণ্ঠ দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় ঘর না বাহির সামলাই দশা তৃণমূল নেত্রীর। সেটাও তাঁর একলা চলার সিদ্ধান্তের সহায়ক হয়েছে বলেও অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Amit Malviya: ‘উত্তর-পূর্ব মমতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবার পশ্চিমবঙ্গের পালা’, কটাক্ষ অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ‘উত্তর-পূর্ব মমতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, এবার পশ্চিমবঙ্গের পালা’, কটাক্ষ অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার বাইরে এবারও শাখা বিস্তারে ব্যর্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে কার্যতই মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূল। প্রায় একবছর ধরে সেখানে পড়ে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বাচনের আগে সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও (Mamata banerjee)। তার পরও সেখানে খাতা খুলতে পারল না তৃণমূল। এমনকী নোটার চেয়েও কম ভোট পেল তারা। ফলে উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আসতেই এবারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।

    গেরুয়া শিবিরের জয়

    সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ত্রিপুরায় সরকারে ফিরছে বিজেপি। জোটসঙ্গী এনডিপিপি-কে নিয়ে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে নাগাল্যান্ডেও। ফলাফল ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যেরই জনতা এবং বিজেপির নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে ত্রিপুরার জন্য তাঁর বার্তা, “শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে এই ভোট। রাজ্যকে বৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি কাজ করে যাবে।” অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য জয়ের পর ট্যুইটে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের বিজেপি কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন:উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যেই সরকারে পদ্ম! মেঘালয়ে এনপিপি-কে সমর্থন বিজেপির

    উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় খাতা খুলতে ব্যর্থ হলেও মেঘালয়ে পাঁচটি আসন জিতে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ছ’মাস আগে আমরা সেখানে শুরু করেছিলাম, ১৫% ভোট পেয়েছি। জাতীয় দলের তকমা পেতে সাহায্য করবে। প্রধান বিরোধী হিসাবে কাজ করব।”

    তৃণমূল সুপ্রিমোকে কটাক্ষ মালব্যর

    অন্যদিকে ত্রিপুরার ফলপ্রকাশের পর বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে তৃণমূলের অবস্থান দেখে মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছে। এবারে পশ্চিমবঙ্গের পালা। তিনি ট্যুইট করেও তৃণমূল কংগ্রেসের পরিস্থিতির সমালোচনা করে বলেছেন, “বাম কংগ্রেস জোট এবং টিএমসি থাকা সত্ত্বেও বিজেপিকে ত্রিপুরা ধরে রেখেছে। টিএমসি নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে। টিএমসি মেঘালয়ে ১২ জন বিধায়ককে নিয়েছিল। কিন্তু সংখ্যাটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫-এ। উত্তর-পূর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপর হবে পশ্চিমবঙ্গে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে যে সব শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল তা করতে পারছে না। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এমনই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    গোয়ার পর ত্রিপুরায় ভরাডুবি। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে নোটার চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে যা যা দরকার শুভেন্দুর দাবি তার কোনওটিই পূরণ করা সম্ভব নয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, আমি ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অনুরোধ করছি, সর্বভারতীয় দল হওয়ার জন্য যে মাপকাঠি রয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা উচিত। 

    শুভেন্দু লিখেছেন, বিগত পাঁচ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভোটে লড়েছে। ত্রিপুরায় প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৮৮ শতাংশ, কোনও বিধায়ক নেই। গোয়ায় ৫.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেখানেও কোনও তৃণমূল বিধায়ক নেই। মেঘালয়ে ১৩.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে, ৫ জন জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের টিকিটে। ফলে বাংলা ও মেঘালয় ছাড়া আর কোথাও তৃণমূলের ৬ শতাংশ ভোট বা অন্তত ২ বিধায়ক নেই, যা জাতীয় দলের তকমার জন্য দরকার। লোকসভা ভোটেও ২০১৯ সালে তৃণমূল চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার মাপকাঠি পূরণ করতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    এমনকী বাংলার বাইরেও কোনও সাংসদ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেননি। শুভেন্দুর দাবি, জাতীয় দলের তকমা ধরে রাখতে হলে অন্তত ৪টি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share