Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজ্য জুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক। সাম্প্রতিক দিনে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁইছুঁই। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যু এ বার গভীর চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে প্রশাসনের। অভিভাবকদের পাশাপাশি, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। কলকাতা ছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনো। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের তৈরি। ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। করোনা যেহেতু প্যানিক হয়ে গিয়েছে। করোনার পর যে কোনও একটা ভাইরাস এলেই চিন্তিত। বাড়ির লোকজনকে যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। ওদের উপর একটু বিশেষ নজর দিতে হবে, বাইরে যাতে না বেরোয়। ঘরে রাখাটাই ভাল।”  

    অ্যাডিনো-আতঙ্ক

    মুখ্যমন্ত্রী যতই আশ্বাস দিন পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। বৃহস্পতিবার ভোরেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হুগলির ১ বছর ৩ মাস বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম শ্রেয়া পাল। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই শিশুকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি হুগলির সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। দেখা যায় ওই শিশুর শরীরে দানা বেঁধেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় শিশুটির দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। 

    অ্যাডিনোয় শিশুমৃত্যু, রাজ্যকে দুষলেন সুকান্ত

    রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকারের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ভালো নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এটা বোঝা উচিত নীল সাদা রঙ বিল্ডিং করে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না। ভালো চিকিৎসক নেই এই এলাকাগুলোতে। আর যার ফলে রোগীদের খালি রেফার করতে হচ্ছে। আর শিশু মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটছে।” তিনি আরও বলেন, “পুরো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হালই বেহাল। এটা সরকারের অপদার্থতা। মাননীয়া না হয় এই বিষয়ে কিছুই জানেন না, বোঝেন না, বা নিজে সব বুঝেও রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।” সুকান্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “শহর কলকাতা থেকে যত দূরে যাবেন, দেখবেন এই ধরনের রোগ যেমন অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য যেরকম ডাক্তার দরকার, সেইসমস্ত ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। লোকজন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এভাবে একটা রাজ্য চলতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    অ্যাডিনো-টেস্ট কিটের আকাল

    সুকান্তর অভিযোগ যে সত্য তার প্রমাণ হল, সরকারি হাসপাতালে কিটের আকাল। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) বন্ধ অ্যাডিনোর টেস্ট (Adenovirus Test)। এদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে টেস্ট (Private Test) পিছু খরচ ৫ থেকে ২২ হাজার পর্যন্ত টাকা। নাজেহাল অবস্থা রোগীর পরিজনদের। বেসরকারি জায়গায় টেস্টের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে, কোথাও টেস্ট পিছু নেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। কোথাও বা ১৪ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে যন্ত্রের সাহায্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়, তাতে একসঙ্গে ২২টি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস চিহ্নিত হয়। একে বলে ভাইরাল প্যানেল। এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিট (Special Test Kit for AdenoVirus)। সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিকালে অ্যাডিনো ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে বন্ধ ভাইরাসের চিহ্নিতকরণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চাকরি নয়, এবার দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। অভিযোগ করছেন খোদ তৃণমূলেরই নেতা। যে সে নেতা নন, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। নাম মহম্মদ সামিউল ইসলাম। অভিযুক্ত চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের (tmc) বেআব্রু চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। মালদহের চাঁচলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় বিধায়কের বিবাদ তুঙ্গে। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে ঠেকেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করেই থামেননি। রীতিমতো চিঠি দিয়েছেন কালীঘাটে। বিধায়কও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে তোলাবাজি বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ। এমনকী তিনি অর্থের বিনিময়ে পদও বিক্রি করছেন। এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুজনের কাজিয়া চলছে। অভিযোগ, চাঁচলের নিজের দাপট বজায় রাখতেই দলীয় প্রার্থীকেই হারাতে চেয়েছিলেন। ফলে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের এই সদস্যকে তিনি কাছে ভিড়তে দেননি। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও। খবর জানতেন কালীঘাটও। মালদহের প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, চাঁচল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দুজনের বিবাদ তুঙ্গে। তার ফলেই এই চিঠি এবং পাল্টা বিবৃতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভালো অবস্থাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই তা পরিষ্কার। দুপক্ষ সক্রিয় অপর গোষ্ঠীর প্রার্থীদের হারাতে।

    প্রকাশ্যে একনেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কার হাতে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে, কে কত বেশি কাট মানি নিতে পারবে এই নিয়েই তৃণমূলে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট দিতে পারবে, কে কাটমানির বেশি ভাগ বাটোয়ারা পাবে, এই নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসলেই তা টের পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • CM Meeting: সভায় আসা ছাত্রদের দেওয়া হল ‘পচা বিরিয়ানি’! শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিতর্ক

    CM Meeting: সভায় আসা ছাত্রদের দেওয়া হল ‘পচা বিরিয়ানি’! শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওার আগে ছাত্রদের দেওয়া হল পচা বিরিয়ানির প্যাকেট। খাওয়ার অযোগ্য ওই বিরিয়ানি ফেলে দেয় ছাত্ররা। খালি পেটেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেয় তারা। পরে অবশ্য তাদের হাতে ভাল প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে  শিলিগুড়িতে।

    অভুক্ত পড়ুয়ারা

    মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য স্থানীয় ১২টি স্কুলের প্রায় ১০০০ পড়ুয়াকে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলে জড়ো করেছিল প্রশাসন। দুপুরে তাদের বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু প্যাকেট খুলতেই ছড়িয়ে পড়ে পচা গন্ধ। কয়েকজন ছাত্র শিক্ষকদের বিষয়টি বলে। শিক্ষকরা পরীক্ষা করে বলেন, এই বিরিয়ানি খাওয়ার যোগ্য নয়। এর পর বিরিয়ানি বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে ছাত্ররা ইতিমধ্যে বিরিয়ানির প্যাকেট পেয়েছিল তারা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। কয়েকজন পড়ুয়া ওই বিরিয়ানি খেয়ে রীতিমতো বমি করতে শুরু করে। 

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

    খাবারের গুণগত মান নিয়ে স্কুল পড়ুয়ারও ক্ষোভ উগরে দেয়। এক ছাত্র বলে, “অনেকক্ষণ হল বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। অনেকক্ষণ থাকতেও হবে। দুপুরে খাবার দেওয়া হবে বলে আগে থেকে জানানো হয়েছিল। তাই খাবার নিয়ে আসিনি। বিরিয়ানি খেতে গিয়ে দেখি পচা। বিকট গন্ধ বেরোচ্ছে। তাই ফেলে দিয়েছি।” পচা বিরিয়ানি কেন বিলি হল তা নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মমতা সভামঞ্চ থেকে এদিন পড়ূয়াদের জিজ্ঞেসও করেন যে তারা কিছু খেয়ে এসেছে কি না! উত্তরে পড়ুয়ারা গোটা ঘটনা জানায়। পড়ুয়াদের উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘খিদে পেয়েছে?’’ মঞ্চের সামনের দিকে বসে থাকা পড়ুয়ারা একযোগে বলে ওঠে ‘‘হ্যাঁ।’’ এরপর তাদের খাবারের প্যাকেট দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।  

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১১): ১৮ বছর ধরে আটকে সিউড়ি-প্রান্তিক রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ      

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের জন্য বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিল অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। তারা স্থানীয় এক ক্যাটারারকে কয়েকশো প্যাকেট বিরিয়ানি তৈরির দায়িত্ব দেয়। ওই ক্যাটারারের দাবি, তাঁকে সোমবার রাতের মধ্যে বিরিয়ানি তৈরি করে প্যাকট পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল। তিনি নির্ধারিত সময়ে তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। সেই বিরিয়ানি যদি পরদিন দুপুরে বিলি করা হয়, সেটা তাঁর দায় নয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক সভার নামে খরচ হচ্ছে গুচ্ছের টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার রীতিমতো হিসেব দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়ে দিলেন বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাসের জন্য খরচ হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা। বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছে ওই খরচের সূত্র জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর অভিযোগ…

    জেলায় জেলায় নিয়মিত প্রশাসনিক সভা করে বেড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে নিয়ে চলেন বিস্তর লোকলস্কর। সেখানে গিয়ে সুবিধাভোগীদের নানা সুবিধা দেন। তার আড়ালে ভোটের প্রচারও চলে বলে অভিযোগ। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা করেন মমতা। রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়া ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসারের স্বাক্ষর করা কয়েকটি কাগজ তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, ৭০০ বাসে করে এই স্কুল পড়ুয়া ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে আসা হয়েছে।

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় ছাত্রছাত্রী ও গরিব সুবিধাভোগীদের ৭০০ বাসে করে আনতে ৭৮ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। ওই ট্যুইটেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে…’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভায় যে লোক আনা হয়েছে, তাদের নিয়ে আসা হয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভা থেকে। শুভেন্দুর ট্যুইট থেকে জানা যাচ্ছে, সব চেয়ে বেশি বাস এসেছে বড়জোড়া এলাকা থেকে। সেখান থেকে ৫২টি বাস আনতে খরচ করা হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আনতে বাস প্রতি খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) ট্যুইট থেকেই জানা গিয়েছে, সভার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল ৮ হাজার পুলিশ কর্মী, তৈরি করা হয়েছিল উন্নত ধরনের স্টেজ। সব মিলিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটের সভার জন্য খরচ হয়েছে ৩-৪ কোটি টাকা। তাঁর প্রশ্ন, এই টাকা এল কোথা থেকে? বাঁকুড়ার ডিএম ব্যাখ্যা দিন। তাঁর আরও প্রশ্ন, রাজ্যের এই আর্থিক সংকটের সময় ওই টাকা কি মিড-ডে মিলের টাকা থেকে এসেছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ডিএ দিতে পারবেন না…আপদ বিদায় হলেই মানুষের মঙ্গল’, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী ডিএ (DA) দিতে পারবেন না। রাজ্যের যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারবেন না। কোনও কিছুই যদি না পারেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রিত্বে থেকেও লাভ নেই। আপদ বিদায় হলেই বাংলার মানুষের মঙ্গল। শুক্রবার কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে বিধানসভায় বাজেট পেশ করতে গিয়ে তিন শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যদিও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি ম্যাজিসিয়ান নই। টাকা দাও বললেই হবে না, টাকা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা থ্রি পার্সেন্ট ডিএ দিয়েছি। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্ত বলেন…

    সুকান্ত বলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনা বলতে উনি কী বোঝাতে চাইছেন, আমি জানি না। যদি ধরেই নিই কেন্দ্রে আবাস যোজনার টাকা বা ১০০ দিনের টাকা, যে টাকা এখন বন্ধ রয়েছে, সেই টাকার কথা বলছেন, তাহলেও প্রশ্ন, এই টাকায় কি ডিএ দেওয়া হয়?  তিনি বলেন, ডিএ তো দিতে হয় রাজ্য সরকারের নিজস্ব রোজগারের টাকা থেকে। এর পরেই সুকান্ত বলেন, উনি কর্মসংস্থানের জোগাড় করতে পারবেন না, রোজগার করতে পারবেন না, ডিএ দিতে পারবেন না, শুধু পদ অলঙ্কৃত করে থাকবেন! দরকার নেই এরকম আপদের। এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপদ বিদায় হলেই বাংলার মানুষের মঙ্গল।  

    আরও পড়ুুন: মোদির ওপর বিবিসি-র বানানো তথ্যচিত্র ‘প্রচার সর্বস্ব ভিডিও’, তোপ ব্রিটিশ সাংসদের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য যে টাকা পেত, ২০২২ সালে সেটা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেকথা বলেন না। অথচ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী শুধু মিথ্যে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে দু দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সোম ও মঙ্গলবার ওই কর্মবিরতি পালিত হবে। অন্যদিকে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার বিধানসভার উদ্দেশে একটি মিছিলও শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের ৩০টি সংগঠন। যদিও সেই মিছিল গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই তা আটকে দেয় পুলিশ। প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের ৩০টি সংগঠন। মিছিল করে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিও নিয়েছিল তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনারের নিয়োগ অবৈধ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনারের নিয়োগ অবৈধ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের নতুন তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডিজিপি বীরেন্দ্র। কিন্তু এই নিয়োগ অবৈধ। এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ,  একেবারে অবৈধভাবে এবং একপেশে নির্বাচন করা হয়েছে।

    রাজ্য বাজেট পেশ করার আগে বিধানসভার বৈঠকে তথ্য কমিশনার নিয়োগের ঘোষণাটি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকে সব বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বৈঠক বয়কট করেন। এক প্রকার বিরোধীহীন বৈঠকেই রাজ্যে নতুন তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয় ডিজিপি বীরেন্দ্রকে।

    আরও পড়ুন: স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়াল এসবিআই, ৪০০ দিনে হার ৭.১ শতাংশ

    বৈঠক বয়কটের পর তৃণমূল সরকারকে ট্যুইটারে একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেন, এই নিয়োগ দুর্নীতি পূর্ণ। কী নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে তার নথি তাঁকে দেওয়া হয়নি। তথ্য কমিশনার নিয়োগের কোনও বিজ্ঞাপনও সংবাদ পত্রে দেওয়া হয়নি। কী করে এই নিয়োগ হল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ শাসক দল নিজের পছন্দ মত লোককে এই পদে বসিয়ে ক্ষমকার অপব্যবহার করেছে। 

    বৈঠক শুরু হওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ট্যুইট করে জানান, তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না। আজ, বুধবার বিধানসভায় অধ্যক্ষ্যের ঘরে, বেলা ১২টা এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিরোধী দলনেতা বৈঠক বয়কট করায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই হয় এই বৈঠক।

    রাজ্যপালকে চিঠি 

    এদিন বৈঠকে না যাওয়ার কারণ জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। চিঠিতে শুভেন্দু জানান, মুখ্য তথ্য কমিশনার নির্বাচন ও নিয়োগের জন্য আবেদন চেয়ে সরকারের তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিয়ম মানা হয়নি। সেই কারণেই, তাঁর আশঙ্কা, কোনও পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীকেই ওই পদে বসাতে চলেছে রাজ্য। তাই, এদিনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মাস ধরে খালি পড়েছিল রাজ্যের তথ্য কমিশনারের পদ। মোট ১৫ জন আবেদন করেছিলেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়স না থাকায় ৫ জনকে আগেই বাদ দেওয়া হয়। তারপরে ১০ জনের মধ্যে শেষ বাছাইপর্ব হয়। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের নিয়ে এই পদের প্রার্থী বাছাই করেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) না থাকায় একক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কমিশনার বীরেন্দ্রকে এই পদে এদিন মনোনিত করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল! বুধবার রাজ্যের মুখ্য তথ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বৈঠকের কিছু ক্ষণ আগে সেখানে যাচ্ছেন না বলে জানিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে এদিন শুভেন্দু জানান, আগেই নির্ধারণ করা হয়েছে, কে ওই চেয়ারে বসবেন। এখন নামমাত্র বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাই তিনি থাকছেন না।

    কেন থাকছেন না শুভেন্দু

    ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আমি রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য কমিটির বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, সংশ্লিষ্ট আবেদনগুলি সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে। ইতিমধ্যে পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীকে অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে।’’ এখন এই বৈঠক ‘প্রহসনমূলক প্রক্রিয়া’ বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এ নিয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তার ছবিও ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: শীতের বিদায় বেলায় ফের পতন তাপমাত্রায়, জানুন আবহাওয়া আপডেট   

    প্রোটোকল অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রী বৈঠকে বসবেন। সেই প্রোটোকল মেনে বুধবার বিধানসভায় এই বৈঠক হচ্ছে। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদ খালি ছিল। চলতি বছর ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে চার জন বয়সজনিত কারণে বাদ গিয়েছেন। এর পর ১১ জনের মধ্যে এক জনকে বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন প্রাক্তন আমলা এবং পুলিশ কর্তারা। খাদ্যভবনেও রয়েছে মুখ্য তথ্য কমিশনারের দফতর। নিয়োগের পর সেখানেই বসবেন নতুন কমিশনার। গত বছরও মুখ্য তথ্য কমিশনার বাছাইয়ের জন্য নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু সে বারও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    J P Nadda: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বদল হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে। রবিবার বঙ্গ সফরে এসে এই বার্তাই দিলের বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন বাংলার দুই জেলায় দুটি সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একটি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। অন্যটি বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। পূর্বস্থলীর সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বাংলা সব সময় দেশকে দিশা দেখিয়েছে। এক সময় বলা হত বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ তা পরের দিন ভাবে। তিনি বলেন, জনসভার এই জনস্রোত বলছে, বদল আসছে। মমতার এই অপশাসনকে আলবিদা জানাতে তৈরি বাংলা।

    নাড্ডা বলেন…

    নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, আপনাদের বলতে চাই মোদিজির নেতৃত্বে কোথায় এগিয়ে গিয়েছে দেশ। যে ব্রিটেন আমাদের ২০০ বছর শাসন করেছে, সেই ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে বিশ্বে পঞ্চম অর্থনীতির দেশ হিসেবে মান্যতা পেয়েছি। একেই বলে বিকাশ। তিনি বলেন, আপনারা শুনতেন গাড়ি বানায় জাপান। এখন মোদির জমানায় জাপানকে পিছনে ফেলে তিন নম্বর গাড়ি উৎপাদক দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, এক সময় আমরা ওষুধ বাইরের দেশ থেকে কিনতাম। এখন আমরা ওষুধ অন্য দেশকে দিই। তিনি বলেন, সব চেয়ে সস্তা ও উপকারী ওষুধ এখন ভারতই তৈরি করছে।

    আরও পড়ুুন: তিনবার ব্যর্থ হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের হচ্ছে দিল্লির মেয়র নির্বাচন

    এদিনের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, শস্য ভাণ্ডার বর্ধমানেই চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। তাঁদের মাথায় হাত। আলু স্টোরে রাখতে যাবেন, তৃণমূল নেতারা আগে থেকেই তার দখল নিয়ে বসে আছে। তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরেজের দরজায় দরজায় তৃণমূল নেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের পয়সা দিলে তবেই বন্ড পাবেন। সুকান্ত বলেন, কোভিডে মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে। অথচ এই সময়ে ভাইপোর রোজগার ছ গুণ বেড়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কোন ম্যাজিকে এটা সম্ভব হল? কয়লা ম্যাজিকে? না গরু ম্যাজিকে তাঁর রোজগার এত বেড়ে গেল? বিজেপি যে বাংলা ভাগের বিপক্ষে, এদিনের সভায় তা আরও এবার স্পষ্ট করে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, বিজেপির ঘোষিত নীতি হল বাংলাকে আমরা খণ্ডিত হতে দেব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছে মমতার ভাতৃবধূ কাজরীর যৌথ সম্পত্তি! মিলল হদিশ

    Mamata Banerjee: জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে রয়েছে মমতার ভাতৃবধূ কাজরীর যৌথ সম্পত্তি! মিলল হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কয়লাপাচার দুর্নীতির সঙ্গে আরও জোরদারভাবে জড়িয়ে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) পরিবারের নাম। কয়লাপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের সঙ্গে হরিশ মুখার্জি রোডেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই জিট্টি ভাইই ‘অতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি’র হয়ে টাকা পার্কিংয়ের কাজ করতেন। 

    এই সম্পত্তি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাসভবন ‘শান্তিনিকেতন’ থেকে মাত্র আটটি প্লট দূরে। তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে সেই নথি। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেশ কয়েকবার তাঁকে দিল্লিতে ইডি দফতরের চক্করও কাটতে হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইডির ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের সেকন্ড ইন কম্যান্ড। একাধিকবার ইডি জেরার মুখে পড়েছেন অভিষেক-জায়া রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর, তাঁর স্বামী ও শ্বশুরও।  এবার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নাম জড়াল পরিবারের আরও কিছু সদস্যের। মিলল যৌথ সম্পত্তির হদিশ।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল-৩: প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প   

    কী জানা গেল? 

    ২০৪, হরিশ মুখার্জি রোড, কলকাতা-৭০০০২৬, কালীঘাট থানার ভেতরে কলকাতা কর্পোরেশনের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং ভাইপো সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঠিকানায় ৩ কাঠা ৩ ছটাক ১৪ বর্গফুটের নির্মাণ সহ জমি। গ্রাউন্ড ফ্লোরের স্ট্রাকচার ১৭১০ বর্গফুট। প্রথম তলা ১৫০০ বর্গফুটের, দ্বিতীয় তলা ১৫০০ বর্গফুটের, তৃতীয় তলা ৫৬৬ বর্গফুটের এবং ৬৮৩ বর্গফুটের ছাদ। সম্পত্তিটি কোনও এক সেন পরিবারের ছিল। এই গোটা সম্পত্তি যৌথভাবে কেনেন দুজন। তাও জলের দরে। একজন ক্রেতা, মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টি ভাই। দ্বিতীয় জনের নাম কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের যৌথ সম্পত্তি হিসাবেই রয়েছে নথি। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল  কাউন্সিলর। কাজরী, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী।

     

    সৌজন্য - গণশক্তি
    সৌজন্য – গণশক্তি

       

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে চক্রবেড়িয়া লেনের বাসিন্দা, তৃণমূলের হিন্দি সেলের পদাধিকারী মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইকে। বুধবার ইডির তরফে রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, এক অতি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিট্টি ভাইয়ের মাধ্যমে কয়লা পাচারের টাকা নয়ছয় করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর এত বড় দুর্নীতির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, তাঁর সঙ্গেই যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ভাইয়ের স্ত্রীর। তাও আবার হরিশ মুখার্জি রোডেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। 

    জানা গিয়েছে, সেন পরিবারের কাছ থেকে এই সম্পত্তি মাত্র ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছিলেন জিট্টি ভাই ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ছয় দফায় পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সম্পত্তির দলিলেই উল্লেখ রয়েছে সম্পত্তির সেই সময়ে বাজার মূল্য ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৮১টাকা। সম্পত্তি কেনার সময় স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়েছে ৮লক্ষ ৩২হাজার টাকা। অথচ এত টাকার সম্পত্তি মাত্র ২৪ লক্ষ টাকায় দখলে নিয়েছিলেন জিট্টি ও কাজরী। এখন সেখানে একটি থ্রি স্টার হোটেল তৈরি হয়েছে। 

    মজার বিষয় হল, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ফেসবুক পেজ থেকেই ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর একটি লাইভ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি গুরুদ্বারে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন এই জিট্টি ভাই। এরপরেও কি ‘আমরা  চিনি না’ বলে পার পেয়ে যাবেন এই পিসি- ভাইপো? 

    তৃণমূলের ভোটের সময়ও সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল এই জিট্টি ভাইকে। ভোটের খরচেরও অনেক দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। শুধু ৭৩ নম্বর অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ওয়ার্ডে এই জিট্টি ভাইয়ের তিনটি হোটেল রয়েছে, পাশের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে দুটি হোটেল। শরৎ বসু রোডে ‘জয় হিন্দ ধাবা’ তাঁর প্রথম হোটেল। ভিনরাজ্যেও একাধিক সম্পত্তি মিলেছে জিট্টি ভাইয়ের। ৩নম্বর রানি শঙ্করী লেনে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকানাতেও রয়েছে তাঁর হোটেল। ভারতী সিনেমা হলের পাশে ‘জয় হিন্দ ব্যাঙ্কোয়েট হল’ও জিট্টি ভাইয়ের।  
     
    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ইডি খবর পেয়েছিল শরৎ বোস রোডে চক্রবেড়িয়ায় ‘সালাসার গেস্ট হাউস’ নামে একটি সম্পত্তি কিনেছেন মনজিৎ সিং ওরফে জিট্টি ভাই। বুধবারই সেই সম্পত্তির রেজিস্ট্রি হয় আলিপুরে সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে। ঐ গেস্ট হাউসের বাজার দর এখন ১২কোটি টাকা। ৯ কোটি টাকা নগদ দিয়ে সেই সম্পত্তি কেনা হয়। যদিও খাতায়-কলমে দলিলে সম্পত্তির মূল্য মাত্র ৩ কোটি টাকা দেখানো হয়। আর সেই নগদ টাকা লেনদেনের খবর মিলতেই ইডি হানা দিয়েছিল ৫এ, আর্ল স্ট্রিট ঠিকানায় গজরাজ গ্রুপ সংস্থার অফিসে যেখান থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
LinkedIn
Share