Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে (Howrah Shibpur Violence) অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস (C.V Anand Bose)। গোটা ঘটনার পর্যবেক্ষণে ‘স্পেশাল সেল’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তের খবর নেবেন রাজ্যপাল। রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হাওড়া-শিবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজভবনের বার্তা

    শুক্রবার বিকালে রাজভবনের (Raj Bhavan) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজভবন কড়া নজর রেখেছে। হনুমান ধর্ম রক্ষা করতে লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন। এখানে অধর্মের জন্য যাঁরা আগুন লাগিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন।” এই ঘটনাটি (Howrah Shibpur Violence) ‘মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ’ বলেও রাজভবনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সমগ্র বাংলাকে একজোট হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশকে শান্তিপ্রিয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সক্রিয়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে বলেছে রাজভবন। হামলাকারীদের কড়া বার্তা দিয়ে রাজভবনের তরফে আরও জানানো হয়, সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পদ, সম্মান রক্ষার জন্য রাজভবন চোখ কান খোলা রাখছে। 

    আরও পড়ুন: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    শুভেন্দুর বার্তা

    হাওড়া-শিবপুর প্রসঙ্গে (Howrah Shibpur Violence) রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু ট্যুইটে বলেছেন, ‘রাজভবন চোখ-কান খোলা রাখবে, এটা শুনে ভাল লাগছে। এবার দুষ্কৃতীদের ধরতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অশান্ত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে ধিক্কার দিবস পালন করলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। আগামী ৬ এপ্রিল কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের বার্তা এরপরে ধর্মঘটেরও ডাক দেবেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘উনি আমাদের চোর-ডাকাত বলেননি। তাঁর যে ভাইবোনেরা ধরনা মঞ্চে তাঁর পাশে বসে ছিলেন, তাঁদের কথাই বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের কাছে তিনি পরে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন, আপনাদের চোর-ডাকাত বলতে চাইনি। তিনি নিজেকেও নিজে চোর-ডাকাত বলেছেন।’  এরপর ভাস্কর বাবু আরও বলেন, ‘তাঁর ভুলভাল কথা শোনার জন্য রাজ্যের কর্মচারী শিক্ষকরা আর প্রস্তুত নন। যেদিন মিউ মিউ ঘেউ ঘেউ মন্তব্য করেছিলেন, সেদিন থেকেই যদি আমরা কর্মবিরতি পালন করতাম, আমাদের তাহলে এতটা দেখতে হত না। তবে আমরা এখন জেগে গিয়েছি। তিনি একটা কথা বললে, পাঁচটা কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

    প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি পালন করব আমরা। এই কর্মসূচি পালনের পর আমরা রাজ্যে এসে মিছিল করব। কালীঘাট থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট হয়ে শহিদ মিনার পর্যন্ত হবে মিছিল। আগামীতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটও ডাকা হবে।’ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএ আন্দোলকারীরা।  রাজ্যের প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিরোধীদের এক জোট হওয়ার আহ্বান

    সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম থেকে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা দলীয় পতকা ছাড়াই ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এসেছেন। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি জানতেন সাগরদিঘিতে মানুষ তার দল বিজেপিকে ভোট দেবে না। তবু, তারা সেখানে বিরোধী হিসাবে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”ঝালদায় কংগ্রেস জিতেছে। কোনও বিরোধ হয়নি। বিজেপি মনে করে, রাজ্যে এই তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হলে, নো ভোট টু মমতা বলতে হবে। আমরা সব বিরোধীদেরই সেটাই বলতে বলছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড়ই হবে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভ করে বঙ্গ বিজেপি। এই কর্মসূচিতে সুকান্তের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের অন্য নেতানেত্রীরা।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) উবাচ…

    এদিন সেখানেই ভাষণ দেন সুকান্ত। বুধবারই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে শহিদ মিনারের সভা থেকে দিল্লি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেই সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই তিহাড় গিয়েছেন। এরপর বাকিরাও যাবেন। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, এবার তিহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা ইউনিট খুলতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। পরিস্থিতি যা, তাতে মাস চারেক তাঁকে থাকতে হবে তিহাড়েই। বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। এদিন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আগামিদিনে তিহাড় কংগ্রেসে পরিণত হবে।

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দু দিন ধরে রেড রোড ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ তৈরি করেছে রাজ্য পূর্ত দফতর। অথচ পিছনে তৃণমূলের প্রতীক জ্বলজ্বল করছে। ওটা দলের নাকি সরকারের বোঝা যাচ্ছে না। পুরো মাখামাখি হয়ে ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে। ভাইপোর মঞ্চ কারা করেছে, জানি না। শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, নন্দলালের চুরির টাকায় মঞ্চ করে সাধু সাজার ভান। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্র নাকি টাকা দিচ্ছে না? কেন দেবে? আপনার নেতার বান্ধবীর বাড়িতে ৫০ কোটি করে জমাবেন, সেই চুরির জন্য টাকা দেওয়া হবে? সুকান্ত বলেন, সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে বোকা বানিয়েছেন। এদিনের মঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পুকুর চুরি যাঁরা করেছেন, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কেউই ছাড় পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী! ট্যুইটবার্তায় দাবি শুভেন্দু, অমিত মালব্যর

    Suvendu Adhikari: হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী! ট্যুইটবার্তায় দাবি শুভেন্দু, অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিবপুর এবং ডালখোলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    পুলিশের অনুমতি নিয়েই সমস্ত মিছিল হয়েছিল কিন্তু তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে ট্যুইটবার্তায় দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখছেন, হাওড়ার ঘটনায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিৎ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন, যাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন রাজ্য পুলিশ সঠিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। গোটা এলাকাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে বলেও দাবি বিরোধী দলনেতার। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন! পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা করতে পারেনি যাতে সমস্ত মিছিল বিনা বাধায় এগিয়ে যেতে পারে।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    এই ঘটনায় (Howrah Incident) সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই দায় ঠেলছে পদ্ম শিবির। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে দাবি করেছে, হিন্দু ভাবাবেগকে অবজ্ঞা করেন বলেই রামনবমীর দিন ধর্নায় বসেছেন মমতা। বিজেপি নেতার আরও দাবি, ”মুখ্যমন্ত্রী রামনবমীতে মুসলিম এলাকাগুলি এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন যেহেতু রমজান চলছে। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন নবরাত্রির জন্য হিন্দুরাও উপবাসে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এই ঘটনার দায় সরাসরি মমতার। যখন ১০ হাজার মিছিল বের হচ্ছে, তখন তিনি ধরনায় ছিলেন। যখন তাঁর পুলিশি ব্যবস্থাপনা দেখার কথা তিনি তখন রাজনীতি করছিলেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি

    অন্যদিকে রামের দেশে রাম নবমীর শোভাযাত্রা আক্রান্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, হাওড়ায় গতবছর যে জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। এই বছরও ঠিক একই জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। যদিও অশান্তির ঘটনায় নাম না করে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী মিছিলের রুট পরিবর্তন করারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    উল্লেখ্য, হাওড়ায় শিবপুরের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। রামনবমীর মিছিলে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগ ঘিরেই একেবারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিবপুর এলাকায়। একের পর এক গাড়ি এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁকে ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুলিশ কর্মী নিয়োগ না করে অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও চুক্তিভিত্তিক উপদেষ্টা, প্রফেসরের জায়গায় অস্থায়ী লেকচারার। সস্তার লেবার পেতে চাইছে সরকার। তিনি বলেন, এভাবে টাকা বাঁচাচ্ছে, কিন্তু ডিএ দিচ্ছে না। এটাই কি যুব সমাজের ভবিষ্যৎ?  এভাবে একটা অসম্মানজনক কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    এদিন একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। একটিতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের হোম ও হিল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টে পাঁচজন উপদেষ্টা নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। পারিশ্রমিক মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। মাস্টার্স ডিগ্রি বা এমবিএ পাশ হতে হবে। কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পাঁচ বছর। ওই দফতরেই পাঁচটি শূন্য পদে চুক্তিভিত্তিক জুনিয়র কনসালট্যান্ট নিয়োগের বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। সেখানেও মাস্টার্স ডিগ্রি বা এমবিএ চাওয়া হয়েছে। কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন দু বছরের। প্রতি মাসে পারিশ্রমিক ৭৫ হাজার টাকা।

    রাজ্য সরকারের তথ্য প্রযুক্তি দফতরে ১০ জন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নেওয়ার বিজ্ঞাপনও রয়েছে। এখানে পারিশ্রমিক বাবদ প্রতি মাসে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। অস্থায়ী হোমগার্ড পদেও নিয়োগ হবে। প্রতিদিন মাথা পিছু ৫৬৫ টাকা করে দেওয়া হবে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে উল্লেখ করা সব পদই অস্থায়ী। ভবিষ্যতের কোনও নিশ্চয়তা নেই। চুক্তি পুনর্নবীকরণ না হলে কাজ চলে যাবে। সেই ভয়াবহ ও অনিবার্য পরিস্থিতির কথাই তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে দু দিনের ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিকে, শ্যামবাজারে তৃণমূলের (TMC) পাল্টা দু দিনের ধর্নায় বসেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপির এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) প্রমুখ। এদিনের ধর্না মঞ্চে দিলীপ বলেন, আলিপুর সংশোধনাগার, দমদম সংশোধনাগার দিয়ে হচ্ছে না, তাই এখন তিহাড় জেলে যেতে হচ্ছে।

    অভিযোগের বাণ…

    তিনি বলেন, আসানসোল থেকে তুলে তিহাড়ে নিয়ে চলে গেল। আইনের হাত কত লম্বা দেখলেন? তিনি বলেন, মোদি আর যোগী যত শক্তিশালী হচ্ছেন, আইনের হাত তত লম্বা হচ্ছে। দিলীপ বলেন, ঘাটালের সাংসদ গতকাল সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন বাংলার টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না। মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি দুর্নীতি। কোনও টাকার হিসেব আসে না। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের ডিএর দাবি যে অন্যায্য নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দিলীপ।

    বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সরকার সিঙ্গুরে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী সরষের বীজ ছড়িয়ে এসেছিলেন। মানুষ ওখানে চোখে সরষে ফুল দেখছেন, কিন্তু সরষের চাষ দেখতে পাননি। তিনি বলেন, সিঙ্গুর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হতে পারত, সেই সিঙ্গুরে আজ শ্মশানের স্তব্ধতা। রাজ্যের শিল্পপতিরা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন।

    এদিনের মঞ্চে ভাষণ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রেড রোডে ধর্না দিচ্ছেন। কোনও রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রের মন্ত্রী যাঁরা সংবিধানকে সামনে রেখে শপথ নিয়েছেন, তাঁরা এভাবে ধর্না দিতে পারেন না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কিছু মানেন না। উনি শুধু মানেন, এপাং-ওপাং-ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং-ড্যাং। তিনি বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ঢালাও অর্থ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে। দেখা গেল, প্রত্যেকটা প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনাকে খাদ্যসাথী বলে চালানো হয়।

    আরও পড়ুুন: হতে পারে কারাদণ্ড! জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার আবেদন খারিজ বম্বে হাইকোর্টে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে জব কার্ড হোল্ডার ছিল ৩ কোটি ৬০ লক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে সেই সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ হয়ে গেল কেন?  তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, মোদিজি যখন বললেন, আধারের সঙ্গে জবকার্ড লিঙ্ক করতে হবে, তখনই ১ কোটি জবকার্ড বাদ পড়ে গেল। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে এরা ভুয়ো জব কার্ড দিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুঠ করেছে। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: হতে পারে কারাদণ্ড! জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার আবেদন খারিজ বম্বে হাইকোর্টে

    Mamata Banerjee: হতে পারে কারাদণ্ড! জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার আবেদন খারিজ বম্বে হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বম্বে হাইকোর্টে (Bombay High Court) খারিজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আবেদন। ২০২১ সালে মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) অবমাননার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল (TMC) নেত্রীর বিরুদ্ধে। জাতীয় সঙ্গীতের অমর্যাদা করেছেন বলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপির এক নেতা। সেই মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা। বুধবার তৃণমূল নেত্রীর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। যার জেরে কাটল না মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    একুশের ১ ডিসেম্বর মুম্বই সফরে কবি জাভেদ আখতারের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে শহরের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে মিলিত হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানের শেষে পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত শুরুর সময় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার আগেই সভাস্থল ছেড়েও চলে যান মমতা। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। মুম্বইয়ের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্ত। সেই মামলা খারিজের দাবিতে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এই মামলায় প্রথমে সমন পাঠায় মুখ্যমন্ত্রীকে। পরে মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত সেই সমন খারিজ করে দেয়। বিশেষ আদালতের রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছিলেন মমতা। আদালতে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে সমন জারি করতে গেলে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ক্ষেত্রে সেই অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এর পরেই খারিজ হয়ে যায় সমন। পরে সেই মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় বম্বে হাইকোর্টে।

    বিচারপতি অমিত বোরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ খারিজ করে দেয় মমতার আবেদন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। বেআইনি বিষয়ও নেই। তাই এই আবেদন গৃহীত হবে না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় এবার মুম্বইয়ের আদালতের হাজিরা দিতে হবে পারে মমতাকে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তিন বছরের কারাদণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘পথশ্রী প্রকল্পে কেবল তাপ্পি মারা হবে’, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘পথশ্রী প্রকল্পে কেবল তাপ্পি মারা হবে’, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগ থেকে রাজ্যবাসীর অভিমুখ ঘোরাতে পথশ্রী (Pathashree) প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন জমি আন্দোলনের ধাত্রীভূমি সিঙ্গুরকে (Singur)। মঙ্গলবার সেখানেই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মমতা। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই পথশ্রী প্রকল্পের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তাতে ভাঙাচোরা রাস্তায় তাপ্পি মারা ছাড়া আর কিছু হবে না।

    পথশ্রীর উদ্বোধন…

    জানা গিয়েছে, পথশ্রী প্রকল্পে রাজ্যজুড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার করা হবে। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সিঙ্গুরের রতনপুর এলাকায় ইটের ওপর বালি-সিমেন্ট ঢেলে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জমি রক্ষার দাবিতে একদিন এখানেই ধর্নায় বসেছিলাম, মনে আছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সস্তা সেন্টিমেন্ট কুড়োতে সচেতনভাবেই মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতি উসকে দিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথশ্রী কিংবা রাস্তাশ্রী যোজনার উদ্বোধন করলেন। এই যোজনা উদ্বোধন করার জন্য তিনি যে জায়গাটি বেছে নিয়েছেন, সেটি হচ্ছে সিঙ্গুর। এই সিঙ্গুর আসলে শিল্প চেয়েছিল। সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকরা চাষযোগ্য জমি ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ কিছু পেলেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এসবের পরিবর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে রাস্তা করছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যদি যান তাহলে দেখবেন, ন্যাশানাল হাইওয়েগুলি বাদ দিলে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় মানুষের সব চেয়ে বেশি কষ্টের কারণ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় যেসব রাস্তা তৈরি হয়েছিল সেগুলি দেখভালের কোনও ব্যবস্থাই রাজ্য সরকার করেনি।

    সেই কারণেই দুরবস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন বাংলার সাধারণ মানুষ। এর পরেই সুকান্তের তোপ, এই পথশ্রী কিংবা রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে বাজেট দিয়েছেন, তাতে তাপ্পি মারা ছাড়া কোনও কিছুই হবে না। প্রসঙ্গত, পথশ্রী প্রকল্প নিয়ে দিন কয়েক আগে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেছিলেন, পথশ্রী প্রকল্পে যে কনট্রাক্টররা রাস্তা তৈরির কাজে নামবেন, তাঁরা কেউ পয়সা পাবেন না। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার খালি। সরকার নিঃস্ব, ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রাজপথ সরগরম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্নায় বসছে বিজেপি। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু’দিনের ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন তো চলছেই। আর সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে আজই তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশ। যেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পথে নামছে বাম-কংগ্রেসও। সপ্তাহের মধ্যে কর্মব্যস্ত দিনে শহরের রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

    বিজেপির ধর্না

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার দিনই রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে অবস্থানে বসছে বঙ্গ বিজেপি।  শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের গেটের কাছে ৪০ ফুটের ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ধর্নায় বসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্না চলবে। শ্যামবাজারে দলীয় ধর্না মঞ্চে হাজির থাকার কথা রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। থাকতে বলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের দলীয় বিধায়কদেরও। 

    বিজেপির প্রশ্ন, রাজ্য সরকার এখনও কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিচ্ছে না দিল্লিকে? কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন থেকে শুরু করে কাটমানি৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনা৷ এইধরনের নানান ইস্যুকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিন সুর সপ্তমে তুলতে চাইছেন শুভেন্দু- সুকান্ত- দিলীপরা। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের সামনে কর্মসূচি হবে বিজেপির। গাড়ি বন্ধ হবে না। তবে দুপুরের দিকে রাস্তার একাংশ বন্ধ করে যানযট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মোতায়েন থাকবে প্রচুর পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    তৃণমূলের অবস্থান

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবারই ধর্না দেবেন আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে। সেখানে নিরাপত্তায় উপস্থিত থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ধর্মতলা চত্বরে যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি যাবে সভাস্থলের দিকে। ধর্মতলায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের শহিদ মিনারের সভার জন্য একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার একজন অফিসার, ২ জন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, ৪ জন ডিসি। এছাড়াও ৫০০-র বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকছে। পুলিশ সভাস্থলে ৩০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবে। এছাড়া আরও বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে আয়োজকদের তরফে। অন্যদিকে, ডিএ-র ধর্নামঞ্চে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার একজন। এছাড়াও বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন থাকবে শহিদ মিনারে।

    বাম-কংগ্রেসের মিছিল

    একই দিনে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পথে নামছে বাম-কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল শুরু করে মৌলালীর দিকে এগিয়ে যাবে। মল্লিক বাজার হয়ে পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট পার করে লেডি ব্র্যাবর্ন কলেজের সামনে শেষ হবে মিছিল। ফলে ওই সময় মৌলালি, এন্টালি, শিয়ালদহ, এপিসি রোড, পার্ক সার্কাস এলাকায় প্রবল যানজট হতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে। মঙ্গলবার একথা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার রাজ্যে কৃষক মৃত্যুর প্রতিবাদে মিছিল করেন শুভেন্দু। তার পরেই বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সেকশন ২৭ লাগু করেছে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা বা প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার আর কোনও টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার পাবে না।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    তিনি বলেন, সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই সেকশন ২৭ লাগু করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে অর্থনৈতিকভাবে সিল করে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, গোটা দেশের মধ্যে কেবল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষেত্রেই এই নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মূলত গ্রামীণ এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করেছিল, তাতে ব্যাপক দুর্নীতির জন্যই ২০২৩-২৪ সালে আর কোনও টাকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে পাবে না রাজ্য।

    তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন নিশ্চিত। কারও ক্ষমতা নেই তা আটকানোর। সেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাংসদ দেবের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে অনিয়মের কারণে পশ্চিমবঙ্গের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ধান কেনায় দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, রাইস মিল মালিকদের একাংশকে নিয়ে দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু বলেন, আমরা কাগজপত্র সব রেডি করে ফেলেছি। তদানীন্তন খাদ্যমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধান কেনায় কত বড় দুর্নীতি করেছে রাইস মিল মালিকদের একটা অংশকে নিয়ে, তার প্রমাণ বিরোধী দলনেতা দেবে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, গত এক মাসে বাংলায় ৪ জন আলুচাষি আত্মহত্যা করেছেন। চন্দ্রকোণা, আমলাশোল, হুগলির ফুরফুরার খানাকুল ২ নম্বর ব্লকে। কৃষকদের আত্মহত্যা বসে দেখতে পারি না। তাই পথে নেমে প্রতিবাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share