Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ তে ৫৭ শতাংশ মোবাইল ভারতে তৈরি হয়। অ্যাপল মোবাইলেও লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। ভারত আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করছে। প্রতিরক্ষা দফতরে আগে প্রচুর দুর্নীতি হত। ডুবোজাহাজ কিনতে দুর্নীতি, হেলিকপ্টার কিনতে দুর্নীতি হত। এখন ভারত বিভিন্ন দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছে। এটাই পরিবর্তিত ভারত। নদিয়ার বেথুয়াডহরির সভায় এভাবেই মোদি সরকারের জয়গান গাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। একই সঙ্গে আবাস থেকে শুরু করে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে রাজ্য দুর্নীতি করছে বলে দাবি করেন তিনি। নাড্ডা বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর এখানে ঘোটালা হচ্ছে। গরু, বালি, কয়লা এমনকী শৌচাগার থেকেও টাকা খাচ্ছে তৃণমূল। ওরা সংবিধান পর্যন্ত মানেন না।” হুঁশিয়ারির শুরে বলেন, “সংবিধান না মানলে জনতা বিচার করবে।”

    দিদি রাগবেন না!

    নাড্ডার মতে, এখন সবকিছুতে দিদি রেগে যাচ্ছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘আবাস নিয়ে তদন্ত হলে রেগে যান। আপনারা বলেন কাজ করতে দিচ্ছে না। মনরেগায় কৃষকদের টাকা খাওয়ার তদন্ত হলে তাতেও চিন্তায় পড়ে যান। এখানে সবথেকে বেশি মানব পাচার হয় কি না বলুন? সবথেকে বেশি মহিলাদের উপর অত্যাচার হয় কি না বলুন?’’ নাড্ডা বলেন, ‘‘একটা বৈঠকে দিদি আমার পাশে বসেছিলেন। আমি বললাম, দিদি এত রেগে যাবেন না। আপনি সংবিধান মেনে কাজ করুন, নিয়ম অনুযায়ী চলুন, দুর্নীতির সঙ্গ ছাড়ুন। আপনাকে ভগবান সুযোগ দিয়েছেন। আমি দিদিকে বলতে চাই, দিদি এত রাগ করো না। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।’’

    দুর্নীতির সরকার

    এদিনে সভায় রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির কথা তোলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা পাঠায়, এখানে দুর্নীতি হয়। আর তদন্ত হলেই মোদি সরকারের নামে বলতে থাকে। মোদি সরকার সততার সরকার, আপনার সরকার বেইমানের সরকার, এটা বুঝতে হবে।’’  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। বেথুয়াডহরি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘পয়সা পাঠাচ্ছেন মোদি আর তুমি এখানে দুর্নীতি করছ? আর যখনই তদন্ত হবে, বলবে সরকার শত্রুতা করছে। চুরিও করবে, গায়ের জোরও খাটাবে?’’

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    নাড্ডার মতে, এসবের থেকে রাজ্যবাসীর মুক্তির একটাই পথ। তা হল, তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনা। তিনি বললেন, ‘‘এসব থেকে মুক্তির একটাই রাস্তা, তা হল বিজেপি। তা পঞ্চায়েত ভোট হোক বা লোকসভা ভোট। বলুন, লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না?’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘পদ্মে ছাপ দাও, চোর ধরেও দেব, জেলে ভরেও দেব। পদ্মে ভোট দিন, বাকিটা দেখে নেব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যপাল থাকাকালীন মাননীয় জগদীপ ধনখড় (Ex Governor Jagdeep Dhankar) আইন-সংবিধানকে ভঙ্গ করার জন্য রাজ্য সরকারকে (state government) চেপে ধরেছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনৈতিক কাজে সমস্যা হয়েছিল’। তাই ‘এবার তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে রাজ্যপালকে ম্যানেজের জন্য মরিয়া।’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। 

    রাজ্যপালের উপর আস্থা প্রকাশ

    বুধবার একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একজন শিক্ষাবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তবে তাঁর কাজ এবং চলার পথ ভিন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ওনাকে প্রথম দিন থেকে ম্যানেজ করতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট।” শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন, লোকায়ুকত বিল ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য যে বিল আনতে চাইছেন, তাতেও আমি ছাড়পত্র দিতে পারব না। কারণ এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন, আমি লোকায়ুত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আগের রাজ্যপালের সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল, তাই আমি ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই, তাই আচার্য পদ পরিবর্তন বিল নিয়ে আমি আর আপনাকে কিছু বলব না।’’

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    শুভেন্দু  প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসাও করে বলেন, ‘‘উনি থাকাকালীন রাজভবনকে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’বর্তমান রাজ্যপালের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বিরোধী দলনেতা জানান, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যে সমস্ত উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী উপাচার্য হননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য পদে অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন। সমস্ত  উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। সুযোগ পেলে রাজ্যপালকে আমি একথা জানাব। ওনাকে তৃণমূল সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করব। রাজ্যপালের উপর বিশ্বাস আছে যে, তিনি বেআইনি কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না, যদি সেটা হয়, তাহলে সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর জানাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ে একাধিকবার প্রচারে গেলেও এখনও শিখে উঠতে পারেননি খাসি, গারো, পাঁর– মেঘালয়ের এই তিন ভাষা। তাই এবার ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের ভাষা শিখতে শুরু করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়বাসীর কাছে আপাতত সেরকমই অঙ্গীকার করলেন মমতা।

    অন্য ভাষা শিখতে আগ্রহ

    অন্য রাজ্যে প্রচারে গেলে সেখানকার ভাষায় কথা বলটা জনসংযোগের একটা ধাপ। রাজনীতিকরা চেষ্টা করেন ভিন রাজ্যে প্রচারের সময় সেই রাজ্যের ভাষা বলার। পুরো না হলেও নিদেন পক্ষে দু-এক লাইন। মমতা বন্দ্যোপাধায়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। কিন্তু মেঘালয়ে সেই তাল কেটেছে। বুধবার মেঘালয়ের এক জনসভায় মমতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি এই পাহাড়ি রাজ্যের ভাষা জানেন না। তাঁর কথায়, ‘পরের বার যখন আসব আপনাদের এলাকায় আপনাদের ভাষা শিখুতে চাই। আমায় শেখান প্লিজ! এর মধ্যে আমি ইউটিউব থেকে শিখতে আরম্ভ করব।’ আপতত ইউটিউব ভরসা হলেও তিনি মেঘালয়ের মানুষের কাছ তাঁদের ভাষা শিখতে পারলেই সবচেয়ে খুশি হবেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি হব, আপনাদের কাছ থেকে আপনাদের ভাষা শিখলেই।’ 

    আরও পড়ুুন: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    অন্য ভাষা শেখার আগ্রহ মমতার বরাবরের। এমনই দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বছর কয়েক আগে বাংলায় বাণিজ্য সম্মেলনে সেই কথা নিজেই জানিয়েছিলেন। তিনি নিজে কতগুলি ভাষা জানেন, বিভিন্ন সভায় তার খতিয়ানও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যখন তিনি ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন ভিয়েতনামি ভাষা শিখেছিলেন। রাশিয়ার গিয়ে রাশিয়ান ভাষা শিখেছেন। এছাড়া তাঁর জানা ভাষার তালিকায় রয়েছে, গুজরাটি, আসমিজ, মণিপুরী, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, মারাঠি, বাংলা, হিন্দি, গোর্খা, নেপালি। এবার সেই তালিকায় ঢুকবে খাসি, গারো, পাঁর ভাষা।  বুধবারই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট। মঙ্গলবারই সে রাজ্যে ভোটপ্রচারে গিয়েছেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেঘালয়ের মেদিপাথরের জনসভায় মমতা  জানান মেঘালয় তাঁর মনে। তাই সেখানকার ভাষাও রপ্ত করতে চান তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    CAA: সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না, আশ্বাস সুকান্ত, মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ (CAA) লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের (India) নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। যিনি এই কথাগুলি বললেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সভায় আমজনতাকে ওই আশ্বাস দেন সুকান্ত। বাসন্তীর ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন মিঠুনও। ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়কও বলেন, সঠিক ভোটার কার্ড ও আধারকার্ড যদি থাকে, আপনাকে কেউ তাড়াবে না। নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। তিনিও বলেন, ভুল প্রচার হচ্ছে।

    সিএএ…

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে সিএএ (CAA) নিয়ে আম আদমির ভয় কাটাতে উদ্যোগী হল গেরুয়া শিবির। সেই কারণে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বেছে নেন বাসন্তীর সভাকেই। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস হল, যাঁরা ভারতের নাগরিক, তাঁদের কেউ তাড়াবে না। সে তিনি যে ধর্মেরই হোন না কেন।ওই সভায় সুকান্ত বলেন, সিএএ লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। সহ নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের নাগরিক হলে কারওর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। বিজেপির বাংলার সভাপতি হিসেবে আমি কথা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই যে ভারতবাসীর প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন সুকান্ত। বলেন, লকডাউনের সময় বাড়িতে রেশন পৌঁছনো থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা, সব কিছুই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই নরেন্দ্র মোদিই ভারতবাসীর আসল বন্ধু।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও সুকান্ত বলেন, সিএএ (CAA) নিয়ে এখনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ভারতবর্ষের কোনও সম্প্রদায়ের মানুষেরই দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। সিএএ লাগু হলেও, যাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক, তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন। কাউকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হবে না। এদিনের সভায় ‘মহাগুরু’ মিঠুনও বলেন, আপনাদের কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপনাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না। মুসলমানেরাও যে বিজেপির পাশে রয়েছেন, এদিন সেকথা স্মরণ করিয়ে দেন মিঠুন। তিনি বলেন, গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনেরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিততে পারত না বিজেপি। উত্তর প্রদেশেও মুসলমানেরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষের ভয়ে দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচিতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বীরভূমের মুরারই বিধানসভার বিধায়ক (MLA) মোসারফ হোসেন। তাই অভিযোগই জানাতে পারলেন না স্থানীয়রা। ঘটনার জেরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ মুরারইয়ের গোপালপুর গ্রামে।

    পুলিশের বাধায় দিদির দূত…

    এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির প্রচারে বেরিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দিদির দূতেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির প্রচারে গিয়েছিলেন দিদির দূতেরা। অভিযোগ, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশের বিশাল বাহিনী। এলাকায় যাতে দিদির দূতেরা ঢুকতে না পারেন, তার জন্য হেড়োভাঙা বাজারে কয়েকজন তাঁদের বাধা দেন। যাঁরা বাধা দিচ্ছিলেন তাঁরা তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে দিদির দূতেদের তাড়া করে পুলিশ। ঘটনার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের একাংশ। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন নস্কর বলেন, দিদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব আমাদের ওপর দিয়েছে, সেগুলিতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসনই। দিদিকে আমি অভিনন্দন জানাই, হাততালি দিই। তিনি বলেন, দিদি এই ভিডিও ওখানে বসে বসে দেখুন, কারা অত্যাচার করছে আমাদের প্রতি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের কুকুরের মতো তাড়া করছে, দিদি দেখুন।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এই কর্মসূচি রূপায়নে মাঠে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। নানা জায়গায় বিক্ষোভের মুখেও পড়ছেন তাঁরা। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং। বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামে গিয়ে একই পরিস্থিতির শিকার হন শতাব্দী রায়। বীরভূমেরই বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়া গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দেবাংশু ভট্টাচার্য।  বাঁকুড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরের সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়ও পড়েন স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে। জন-ক্ষোভের সামনে পড়েছেন গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক অভিনেত্রী জুন মাল্য, নদিয়ায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কোচবিহারের দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও বুলুচিক বরাইক। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করে দেন কুণাল ঘোষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার টাকা ফেরত না দিলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার, হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্য সরকারের (State Government) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, মিড ডে মিলের জন্য পাঠানো কেন্দ্রের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) চালাচ্ছে। 

    আবাস যোজনা নিয়ে সরব

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জেলায় জেলায় বঞ্চিতদের তালিকা তুলে ধরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল তথা সরকারকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নির্দিষ্ট গাইডলাইন উপেক্ষা করে গরিব মানুষদের বঞ্চিত রেখে তথাকথিত বড় লোকরা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাই কাটমানির বিনিময়ে ঘর পেয়েছে শুধু নয়, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার অনেক তৃণমূল নেতাও বাড়ি নিয়েছে। যাঁরা আবাস যোজনার আসল দাবিদার তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিবের বন্ধু, গরিবের জন্য বাড়ি, শৌচালয় দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল, নিজের দলের লোক ছাড়া কাউকে আবাসের বাড়ি দেয়নি। যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁদের থেকে কাটমানি খেয়ে আবাসের তালিকায় নাম তুলেছে। প্রকৃত গরিবের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, মামলা করে বঞ্চিতদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লড়াই করবে বিজেপি। শুভেন্দুর কথায়, “কী করে টাকা ফেরত করাতে হয়,আমরা জানি। টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।”

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    মিড ডে মিল দুর্নীতি প্রসঙ্গ

    ব্যারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলনে শুভেন্দু মিড ডে মিল নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। এদিন তিনি বলেন, “দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল,স্যানিটাইজার,মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার”। এই বিষয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন। একের পর এক সব দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি দল আসছে। তারা মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।” শুভেন্দু জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে অডিট টিম পাঠিয়ে অনুসন্ধান করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mayawati: রাজ্য ও লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সাফ জানালেন মায়াবতী

    Mayawati: রাজ্য ও লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সাফ জানালেন মায়াবতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বহুজন সমাজবাদী পার্টি (BSP)। নিজের ৬৭তম জন্মদিনে একথা ঘোষণা করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী (Mayawati)। লখনউতে দলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই মায়াবতী জানিয়ে দেন ভবিষ্যতে রাজ্য এবং লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বিএসপি। এদিনের অনুষ্ঠানে মায়াবতী ফের একবার ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ভোটারদের মন থেকে সংশয় দূর করতে নির্বাচন কমিশনের (EC) উচিত সমস্ত নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা।

    মায়াবতীর দাবি…

    ইভিএমে ভোট হওয়ায় তাঁর দলের আসন কমেছে বলেও দাবি করেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী। মায়াবতী (Mayawati) বলেন, বিএসপির ভোট কমেনি। তবে যেদিন থেকে ইভিএমে ভোট নেওয়া শুরু হল, সেদিন থেকেই আমাদের ভোট এবং আসনের ওপর প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ফের সাবেকি ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া শুরু করেছে। তারা যদি পারে, তবে ভারত কেন নয়?

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    প্রসঙ্গত, ব্যালট পেপারে ভোট চেয়ে বিভিন্ন সময় সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দলের অনেক প্রার্থীর হারের কারণ হিসেবে তিনি দুষেছিলেন ইভিএমকে। ২০০৪ সাল থেকে চারটি লোকসভা নির্বাচন ও ১২৭টি বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়েছে ইভিএম। যদিও ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যসভার সদস্য এবং রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন যখন হয়, তখন ইভিএম ব্যবহার করা হয় না। কারণ যে পদ্ধতিতে অঙ্ক কষে এই নির্বাচন হয়, ইভিএম সেই ফল দিতে পারে না। তাই ওই নির্বাচনগুলি হয় ব্যালট পেপারে।

    ১৯৮২ সালের মে মাসে কেরালার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। তবে এটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট আইনের অনুপস্থিতির কারণে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। পরবর্তীকালে ১৯৮৯ সালে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য একটি বিধান তৈরি করতে সংশোধন করা হয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। তার আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। রবিবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলায় পৃথক ভাবে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সোমবার থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রতিনিধিদল জেলা স্তরের বিভিন্ন মিড মে মিল কেন্দ্রে নজরদারি করতে যাবে।

    রাজ্যের দল

    নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ২০ জানুয়ারি, রাজ্যে এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। মূলত, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন তৈরি করেছে, তার পরিদর্শন প্রক্রিয়া আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই দলের সদস্যেরাই বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে মিড ডে মিল সংক্রান্ত পরিদর্শন সারবেন। তার ঠিক এক দিন আগেই শেষ হবে রাজ্যের প্রতিনিধিদের নজরদারি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সফর সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি দীপা আনন্দ। ওই চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। মোট ২৬টি বিষয়ে আলোকপাত করবেন তাঁরা। এই নজরদারিতে মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখা হবে। যেখানে মিড ডে মিল তৈরি হয়, সেই হেঁশেলেও নজরদারি করা হবে।

    কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল যা যা দেখবে

    সম্প্রতি মিড ডে মিল পরিষেবা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রে নালিশ চিঠি ঠুকেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর চিঠির জেরেই যে, মিড ডে মিল পরিষেবা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, তা-ও একপ্রকার নিশ্চিত।  প্রথমত, মিড ডে মিলের জন্য স্কুলগুলিকে যে অর্থ বরাদ্দ করছে রাজ্য, তা কতটা কাজে লাগানো হচ্ছে, গোটা প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে কী ধরনের পরিকাঠামো আছে এ সবই খতিয়ে দেখবে এই দল। কী ভাবে খাদ্যদ্রব্য রাজ্যের কাছ থেকে স্কুলগুলিতে অর্থ বরাদ্দ পৌঁছয়, তার পদ্ধতি কী, তা-ও দেখা হবে এই প্রক্রিয়ায়। কীভাবে এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে কোনও বাধা ছাড়াই কার্যকর করা হয়, পরিদর্শনকারী দলের নজরে থাকবে সেটাও।

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বুধবার মালদহের চাঁচলের বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মজুত করা চালে মরা টিকটিকি এবং ইঁদুর দেখতে পান অভিভাবকেরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক, সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস্ (স্কুল পরিদর্শক)কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তাই মিড ডে মিল রান্নার ঘর বা স্টোরগুলি কীভাবে তৈরি হয়, তা পরিচ্ছন্ন রাখা হয় কি না, সেসব ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখবে এই পরিদর্শনকারী দল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    PM Awas Yojna: ফের রাজ্যের ১০ জেলায় আবাস-তদন্তে আসছে ৫টি পৃথক কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ১০টি জেলায় আবাস-পরিস্থিতি ঘুরে দেখার জন্য আবার পাঁচ-পাঁচটি অনুসন্ধানী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় দল গত সপ্তাহেই রাজ্যের দু’টি জেলায় ঘুরে গিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) রূপায়ণের পদ্ধতিতে বঙ্গের কয়েকটি জেলায় ফের ‘গরমিল’-এর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেটাই খতিয়ে দেখতে আসছে ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটর্স’ দল। 

    রাজ্যকে চিঠি

    আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়ছেন। তাই আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। মোট ১০টি জেলায় যাবে তারা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি এসেছে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, কালিম্পং, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করবে কেন্দ্রীয় দল। কেন্দ্র জানিয়েছে, এ বার ১০টি জেলায় গরমিলের অভিযোগ যাচাই ছাড়াও জেলাশাসক, জেলা পরিষদের মুখ্য প্রশাসনিক অফিসার (সিইও) এবং জেলা প্রশাসনের অন্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় দল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি অনুসন্ধানে ২ জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

     ইতিমধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় অনুসন্ধানকারী দলকে সর্বতোভাবে যেন সহযোগিতা করে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় নিয়মবিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদনের থেকে সর্বাধিক সাত দিনের অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। প্রথম কিস্তিতে প্রত্যেক উপভোক্তা ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। কমবেশি ১১ লক্ষ উপভোক্তার ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির জন্য থাকার কথা প্রায় ৬৬০০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    এই প্রকল্পে মোট খরচের ৬০% দেয় কেন্দ্র, ৪০ ভাগের দায়িত্ব রাজ্যের। সেই অনুযায়ী প্রথম কিস্তির বরাদ্দ হিসেবে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা প্রায় ৩৯৬০ কোটি টাকা। রাজ্যের দেওয়ার কথা প্রায় ২৬৪০ কোটি। ৩১ মার্চের মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share