Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    Mamata Banerjee: ‘‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’’! বেফাঁস হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি পাঁচলায় জিততে না পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না !” দলীয় সভায় এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন হাওড়ার পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক৷ শাসক দলের বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, পাঁচলার বিধায়কের জনপ্রিয়তা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি? নইলে কেন এমন দাবি করছেন তিনি? শাসক দলের উত্তর, এর থেকে বিধায়কের আত্মবিশ্বাসের পরিচয় পাওয়া যায়।

    ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? 

    বুধবার পাঁচলায় একটি কর্মসূচির আয়োজন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেখানেই বক্তব্য রাখেন গুলশন মল্লিক৷ সেই কর্মসূচিতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গুলশন বলেন, “বিধানসভা ভোটের আগে একমাস পুলিশের সঙ্গে কথা বলিনি৷ তবু, ৩০ হাজার ভোটে জিতেছি! কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের কর্মীদের মেরে পিঠের ছাল তুলে দিয়েছে৷ তারপরও আমি জিতেছি৷ আমি যদি পাঁচতলার ক্ষমতায় না থাকি, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না!”

    এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠছে, ভোটে জেতার (Mamata Banerjee) সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে কথা না বলার কী সম্পর্ক? সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল৷ 

    বিধায়কের মন্তব্যের জেরে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই এ প্রসঙ্গে বলেন, “হাওড়া জেলার সবথেকে বিশৃঙ্খল এলাকা হল পাঁচলা৷ আর এই বিশৃঙ্খলার জন্য তৃণমূল (Mamata Banerjee) বিধায়ক গুলশন মল্লিকই দায়ী৷ ধুলাগড়ে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনিই দায়ী ছিলেন৷ সম্প্রতি এনআরসি নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর যে হাঙ্গামা হয়েছিল, তারও মাথা ছিলেন গুলশন৷ কতটা ক্ষমতা থাকলে গুলশন মল্লিকের মতো নেতারা প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য করেন!”

    আরও পড়ুন: কোর্টের অর্ডারে রয়েছে গ্রেফতারির পরোয়ানা, তবুও কেন জেলের বাইরে মানিকের স্ত্রী-পুত্র? বিতর্ক

    গুলশনের মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে স্থানীয় তৃণমূল। হাওড়া গ্রামীণের তৃণমূল সভাপতি অরুণাভ সেন বলেন, “তিনি (গুলশন) তাঁর নিজের এলাকা ভালোভাবে চেনেন বলেই এমন কথা বলেছেন৷ এটা তো তাঁর আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন! তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন, তিনি যদি পাঁচলায় না যেতেন, তাহলে সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল (Mamata Banerjee) জিতবে না!” 

    রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া অরূপ রায় গুলশনের মন্তব্যের বিরোধীতা করে বলেন, “বিধায়ক গুলশন যে মন্তব্য করেছেন তা আমি  সমর্থন করি না। এ ব্যাপারে গুলশনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি দলীয় স্তরে আলোচনাও করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে উন্নয়নের কাজ করেছেন তাতে তিনি যত দিন চাইবেন বা যত দিন মনে করবেন তত দিনই জিতবেন। ক্ষমতাতেও থাকবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    Industrial Park: ‘কলঙ্কিত’ ভাবমূর্তি, খদ্দের নেই, শিল্পনগরীর জমির দাম কমাচ্ছে রাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে ঘোষণা করা হয়েছিল শিল্পনগরী (Industrial Park) তৈরির জন্য জমি লিজ দেওয়ার কথা। আস্ত একটা বছর পার হয়ে গেলেও, সরকারের প্রস্তাবে তেমন কোনও উৎসাহ দেখাননি শিল্পপতিরা। মুখ বাঁচাতে এবার জমির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। জমির দাম যে কমানো হচ্ছে, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তবে জমির দাম ঠিক কতটা কমানো হবে, সে ব্যাপারে কুলুপ এঁটেছেন সরকারি কর্তারা।

    শিল্পনগরী…

    গত বছর অগাস্ট মাসে শিল্পনগরী গড়তে শিল্পপতিদের ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় শর্তও ছিল। বলা হয়েছিল, শিল্পপতিদের ন্যূনতম পাঁচ একর জমি নিতে হবে। জমি বণ্টনের ৩০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে দামের ১০ শতাংশ। ঘোষণাই সার। তার পরেও শিল্পপতিদের মধ্যে শিল্পনগরী (Industrial Park) গড়তে তেমন কোনও উৎসাহ দেখা যায়নি। কারণ অনুসন্ধান করতে নামে রাজ্য সরকার। জানা যায়, রাজ্য সরকার নির্ধারিত জমির দর বাজারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এর চেয়ে জমির মালিকদের থেকে সরাসরি জমি কিনলে শিল্পপতিরা বেশি লাভবান হবেন। সেই কারণেই অবিক্রিত থেকে গিয়েছে সরকারি জমি।

    আরও পড়ুুন: “আমার টিআরপি মৃত্যু পর্যন্ত কমাতে পারবি না”, কুনালকে ‘এলি তেলি গঙ্গারাম’ কটাক্ষ মিঠুনের

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে সরকারের ‘কলঙ্কিত’ভাবমূর্তি। শিল্পপতিদের একাংশ রাজ্য সরকারে ভুল নীতি এবং দুর্নীতিকেও শিল্পনগরী না হওয়ার কারণ বলে ঠাওরেছেন। তার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা হয়েছে নিছক ফাঁকা বুলি। জমি রয়ে গিয়েছে পড়ে। অগত্যা দাম কমাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। চন্দ্রনাথ বলেন, রাজ্য সরকার দেখেছে বাজারের তুলনায় জমির দাম বেশি হচ্ছে। শিল্পপতিরা অনেকেই জানিয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয় মানুষ আরও আকৃষ্ট হবেন, এগিয়ে আসবেন। ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও বস্তু নেই, সেখানে শিল্পপতিরা আসবেন না। একথা তো তাঁরা রাজ্য সরকারকে সরাসরি বলতে পারছেন না। তাই জমির দামকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করেছেন। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বিচারব্যবস্থাও ছাড় পাচ্ছে না। রাজ্য সরকার যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করেছিল, সেখানে ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • G-20 Meet: সেজেছে শহর! আজ থেকে কলকাতায় শুরু গুরুত্বপূর্ণ জি-২০ কর্মসূচি

    G-20 Meet: সেজেছে শহর! আজ থেকে কলকাতায় শুরু গুরুত্বপূর্ণ জি-২০ কর্মসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেনা দৃশ্য যেন হঠাৎই অচেনা। চিংড়িঘাটা থেকে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত বাইপাসের দু’ধারে সাজসাজ রব। পড়েছে রংয়ের নতুন পোচ। ঝোপ-ঝাড় উধাও। কোথাও কোথাও আবার নীল-সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে রাস্তার দু’ধার। টাঙানো হয়েছে বড় বড় হোর্ডিং, কাট-আউট। কোনওটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কোনওটায় আবার মুখ্যমন্ত্রী। উপলক্ষ্য জি-২০ সামিট। যা প্রথমবার হচ্ছে দেশের মাটিতে। জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির এটি ১৮তম বার্ষিক সম্মেলন।

    ডিজিটাল আর্থিক সংযুক্তিকরণ নিয়ে আলোচনা

    গত অক্টোবরে সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। ইন্দোনেশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দায়িত্বের সম্মানসূচক হাতুড়ি সেদিন তুলে দেওয়া হয়েছিল। আগামী এক বছর ধরে দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জি-২০ সম্মেলন চলবে। যা শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার কলকাতা থেকে। নিউটাউনের একটি হোটেল ও বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে তিন দিন ধরে চলবে এই সম্মেলন। যেখানে যোগ দেবেন জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ডিজিটাল আর্থিক সংযুক্তিকরণ কীভাবে গোটা দেশে তথা বিশ্বজুড়ে বাড়ানো যায়, সেই নিয়ে মূল আলোচনা হবে। সব মিলিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২ জন বক্তা আসছেন।

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    জি-২০ বৈঠকের মূলত দু’টি ভাগ। একটি ফিনান্স ও অন্যটি শেরফা ট্র্যাক। আর ফিনান্স ট্র্যাকের একটি অংশ হল জিপিএফআই। তারই বৈঠক হচ্ছে কলকাতায়। অতীতে দেখা গিয়েছে একটি শহরেই জি-২০ বাষির্ক সম্মেলন হয়েছে। ভারত এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। অর্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা চঞ্চল সরকারের কথায়, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, জি-২০ সম্মেলনের মতো এত বড় মাপের সম্মেলন যেন না শুধু মাত্র দিল্লির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটা ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের অন্য শহরেও। তাঁর নির্দেশ মেনেই ৪০টির বেশি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে জি-২০ বৈঠকের জন্য।’ এবারের জি-২০ সম্মেলনের থিম হল, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। সেই মতো বিদেশি অতিথি অভ্যাগতদের সামনে ভারতের সংস্কৃতি, শিল্পকলা ও পর্যটনের সঙ্গে পরিচিতিও করানো হবে। তাই কলকাতা পর্বে আগত অতিথিদের জন্য রাজ্য সরকার গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরীতে সফর ও নৈশভোজের ব্যবস্থা করেছে। হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। পাশাপাশি ঐতিহাসিক পর্যটন স্থলগুলিও ঘুরিয়ে দেখানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট-বাতিলের সময়ে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট ‘ভাইপো’ বদল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের মতো এ বারও সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি তিনি, সামনে রেখেছেন ‘ভাইপো’কেই। খড়গপুরের ইন্দা এলাকায় রবিবার একটি স্বাস্থ্যমেলার অনুষ্ঠানে অভিষেককে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    খড়্গপুরের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতের যদি একশো কোটির নোট বদল হয়ে থাকে, ভাইপোর এক হাজার কোটি টাকা তাঁর পি এ করিয়েছেন! কাকে কাকে এজেন্ট লাগিয়েছিলেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘পুরনো নোট বদল করেছে ভাইপো। আমি এক হাজার লোকের নাম দিয়ে দেব। পেট্রল পাম্পের মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন থানার আইসি-দের মাধ্যমে বস্তা বস্তা পাঁচশো-হাজার টাকার পুরনো নোট বদল করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে দেব!’’ পরে পূর্ব বর্ধমানে একটি সভার পরেও প্রশ্নের জবাবে এ দিন শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘মোদিজি বেআইনি টাকা আটকানোর জন্য নোটবন্দি করেছিলেন। ভাইপো তাঁর পি এ এবং ক্যাডারদের মাধ্যমে টাকা বদল করিয়েছে।’’ 

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    অভিযোগের আঙুল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকেও

    খড়্গপুরের পর বর্ধমানের ষষ্ঠী পল্লীর মাঠে জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় তিনি বলেন,  গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। সিউড়ি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কাণ্ড তারই উদাহরণ। এই ঘটনায় বর্ধমানের এক যুবনেতার দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। অভিযোগ তোলেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দিকেও। শুভেন্দুর কথায়,‘‘এই বর্ধমানেও একজন বারের মালিক আছেন যিনি তৃণমূল পার্টির যুব নেতা। তার মাধ্যমেও এখানে টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এটা গোটা রাজ্য জুড়েই হয়েছে। আমি তো দু’টো নাম বলছি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাঙ্কে। প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তৃণমূলের নেতা, তিনি ১৫ কোটি টাকা মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বদল করেছেন। আমি তো নাম নিয়ে বলছি। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সব সময়মতো দেখিয়ে দেব।’’

  • Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    Jalpaiguri: মায়ের মৃতদেহ কাঁধে ছেলে, ‘মমতাকে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক! মায়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে চলছে ছেলে। পাশে বৃদ্ধ বাবা। অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভাড়া দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট বাংলার। শিউরে উঠেছে রাজ্যবাসী। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তাঁর দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    মায়ের দেহ কাঁধে তুলেই রওনা দিলেন ছেলে

    জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা লক্ষ্মীরানি দেওয়ান। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার ছেলের দাবি, জলপাইগুড়ির হাসপাতাল থেকে ক্রান্তির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। মৃতার ছেলের দাবি, মায়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ৩০০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার মত ক্ষমতা ছিল না তাঁদের। সে কারণে কাঁধে করেই দেহ নিয়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবা ও ছেলে। যদিও পরে তাঁকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে লক্ষ্মীরানির মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই ঘটনার পরেই বিরোধীরা সরব হয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ২০০ শতাংশ কাজ করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন, সেখানে এমন ঘটনা গ্রাম বাংলার দুর্দশার ছবিই প্রকট ভাবে তুলে ধরছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা। সকালেই দেখেছি আমি। ২০০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা স্বীকার করা উচিত। লজ্জা রাখার জায়গা নেই।”

    বিরোধীদের আরও বক্তব্য

    শুভেন্দুর পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। সিপিএম থেকে বলা হয়েছে, “জলপাইগুড়ি থেকে যে ছবি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। কোথায় প্রশাসন, কোথায় কী! টাকা দিতে পারেনি বলে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে হবে বাংলায়! সরকারি হাসপাতালের কী মর্মান্তিক, বীভৎস চেহারা!”  কংগ্রেস থেকে বলা হয়েছে, “সব হাসপাতালে এই কারচুপি রয়েছে। রক্ত নিয়ে, অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি চলছে দেদার।”

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে  ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো? এদিন রাজ্য সরকারকেও একহাত নিয়েছেন শুভন্দু। তিনি বলেন, চোরদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের একজোট করুন, জনস্বার্থ মামলা করব। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে, টাকা ফেরত করাবই।

    শুভেন্দু বলেন…

    নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যে কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল  (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এহেন আবহে এদিন শুভেন্দু বলেন, এই চোরদের সাফাই  করতে হবে। বড় চোর-ডাকাতটাকে ডিসেম্বরে পারিনি, এর মধ্যে ধরব। বড় ডাকাতটাকে আমরা তুলব। ছোটগুলোকে আপনারা উপড়াবেন তো? সব গ্রাম রেডি তো? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন (Suvendu Adhikari), সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার, ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনায় স্টিকার মেরে দিয়েছে। আশাকর্মীর ইজ্জত লুঠ করেছে তৃণমূল গুন্ডা শাহজাহানের বাহিনী। টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আমরা জনস্বার্থ মামলা করব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বঞ্চিতদের একজোট করুন। আইন হাতে না তুলে এগোতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের ছাদহীন মানুষ এই সুবিধা পান। তৃণমূলের বড়লোক গীতাঞ্জলি, ইন্দিরা আবাস পেয়েছেন। চাকরি করেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এমন তালিকা তৈরি করুন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikar) অভিযোগ, ৪ লক্ষ ৯ হাজার ভুয়ো জবকার্ড হয়েছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করেছি। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত, ২৪ এ লোকসভা। আমরা কাঁথি, তমলুক মোদিজিকে উপহার দেব। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি আমরা খতম করবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী থাকাকালীন তিনি কখনও ডেসট্রাক্টিভ (ধ্বংসাত্মক) কিছু করেননি। সব সময় কনস্ট্রাক্টিভ (গঠনমূলক) কাজ করেছেন। এখন বিরোধীরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছে।  গঠনমূলক রাজনীতি চোখে পড়ছে না। নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রী আরও বলেন এ রাজ্য়ে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে যে ধরনের কুকথার ব্য়বহার করে, তা গোটা দেশে কোথাও হয় না। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ

    যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না করলে বিধানসভায় ভাঙচুর কারা করেছিল? বিধানসভা ভবন ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা করতে দেননি মমতা। এখন শিল্পায়নের কথা বললেও টাটা বিদায়ের জন্য মুখ্য়মন্ত্রী যা করেছিলেন তা বাংলা ভুলবে না। কামতাপুরীদের সঙ্গে নিয়ে একসময় বাংলা ভাঙারও চক্রান্ত করেছিলেন মমতা। বিরোধী আসনে থাকার সময় পাহাড়েও অশান্তির বীজ বপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এখন ক্ষমতায় এসে যদি এমন কিছু বলেন যা একশো শতাংশ মিথ্য়ে, হাস্য়কর, তাহলে তা রাজ্য়ের সম্পর্কে ধারণা আরও খারাপ করে দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা এখন কুকথার প্রসঙ্গ টানছেন। অথচ, মুখ্য়মন্ত্রী যখন বলেন, বিরোধীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব, তার থেকে বড় কুকথা আর কী হতে পারে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ রাজ্যে যা দুর্নীতি হয়েছে, ভারতবর্ষে কোথাও তা হয়নি। তৃণমূল যে দুর্নীতি করেছে, তাতে তিনটি প্রজন্মের ভবিষ্য়ৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পর তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন যে প্রকল্পই নিয়ে আসুক না কেন, মানুষ আর তা গ্রহণ করবে না।’

    উল্লেখ্য, এদিনের সভা থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামে একটি অ্যাপের উদ্বোধন করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকার তার মতো চলবে। কিন্তু তার বাইরেও মানুষ দলের কাছে অনেক অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগ জানানোর মঞ্চ হয়ে উঠবে এই অ্যাপ। সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কি না তা জানতে এই অ্যাপ সহায়ক হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Awas Yojana: রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য

    Awas Yojana: রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দুই প্রতিনিধিদল। প্রাথমিক পর্যায়ে পূর্ব মেদিনীপুর এবং মালদায় যাবে তারা। দুই জেলায় গিয়ে নিয়ম মেনে বাড়ি দেওয়া হয়েছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। বুধবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে নবান্নকে একথা জানানো হয়েছে। নবান্নে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, ৩ জন করে ২টি দল চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে পৌঁছবে। দলে থাকবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা। একটি দল পূর্ব মেদিনীপুর ও অপর দলটি মালদায় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসাবে নির্বাচিতদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁরা প্রকৃতই আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য কি না তাও খতিয়ে দেখবেন। এমনকী এর আগে প্রকল্পের অধীনে নির্মিত বাড়িগুলির অবস্থাও পরীক্ষা করবে এই দল। নির্মান সামগ্রীর মানে কোনও আপস হয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে তা-ও। নবান্নর তরফে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, গরিব মানুষদের যাঁরা বঞ্চিত করেছেন, তাঁদের জেলে পাঠানো দরকার।

    নবান্নকে চিঠি কেন্দ্রের

    পর্যবেক্ষক দলের আসার বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আন্ডার সেক্রেটারি অনিলকুমার সিং এই চিঠি পাঠিয়েছেন। নবান্নে পাঠানো চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, দুটি দল আসবে বাংলায়। একটি দল পূর্ব মেদিনীপুরে যাবে এবং দ্বিতীয় দল মালদা জেলায় মূলত আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখবে। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন। 

    আরও পড়ুুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    তিনজন করে সদস্য প্রতি দলে

    চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিটি দলে তিন জন করে সদস্য থাকবেন। একটি দলের দায়িত্বে থাকবেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডিরেক্টর শৈলেশ কুমার। সিনিরয়র স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার সুভাষ দ্বিবেদী এবং আন্ডার-সেক্রেটারি অনিলকুমার সিং নিজেও থাকবেন। এই টিম পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশে যাবে। অন্যদিকে,মালদার টিমের নেতৃত্বে থাকবেন মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি শক্তিকান্ত সিং। এছাড়াও থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চাহাত সিং এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবারও তিনি নিশানা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC) সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  (Mamata Banerjee)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পান মুকুল রায়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জগদীপ ধনখড়কে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধও করেছিলেন মমতা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ধনখড় নিজেই একথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের আগেই এই অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    শুভেন্দু উবাচ…

    সোমবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এক জনসভায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। ওই সভার পরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, আমি একটি অকথিত তথ্য বলব। এর পরেই বোমা ফাটান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, উনি(মুখ্যমন্ত্রী) তৎকালীন রাজ্যপাল মহোদয়, বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে বলেছিলেন যে আপনি দিল্লিকে বোঝান। মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করতে বলুন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ৫ মে শপথ নেন মমতা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, ৩ মে তিনি (মমতা) রাজভবনে গিয়ে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই ধনখড়কে একথা বলেন মমতা। শুভেন্দুর আরও দাবি, তিনি বেরিয়ে আসার পরে আমি ও তৎকালীন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, যিনি এখন আমাদের দলে নেই, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যাই। রাজ্যপাল বললেন, অনেক কথার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা অনুরোধ করে গিয়েছেন-যাতে মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করা হয়। সেটা বিজেপি করেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তাই ওঁর (মমতার) অব্যক্ত ব্যথা, বেদনা এবং চুরি আটকে যাওয়ায় মানসিক অবসাদ প্রকাশ করেছেন নজরুল মঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করতে পারেননি বলেই এত রাগান্বিত বিজেপির প্রতি। তিনি পরবর্তী সময়ে মুকুল রায়কে দলে নিয়ে অন্য খেলা খেলতে চেয়েছিলেন। তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান করেছিলেন। কিন্তু আমি তা হতে দিইনি। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে তৎপর হয়েছি আমি।  

    প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হন মুকুল রায়। তার পর এক মাস কাটতে না কাটতেই তৃণমূলে ফিরেছিলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচন পর্বেও মুকুলের প্রতি নমনীয় ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। শুভেন্দুকে নিশানা করতে নানা সভায় মুকুলের সঙ্গে তাঁর তুলনাও টেনেছিলেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

      

     

  • Vande Bharat Express:  কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    Vande Bharat Express: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুক্ষণ আগেই মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। স্থির, শান্ত, তবু কর্তব্যে অবিচল। মা-ই তো তাঁকে শিখিয়েছেন জাতির স্বার্থে কাজ করে যেতে। তাই মায়ের প্রয়াণে কাজের মধ্য দিয়েই মাকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোনও কথা বললেন না, সবুজ পতাকা নেড়ে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করলেন মোদি।

    একাধিক কর্মসূচি মোদির

    সদ্য মাকে হারিয়েছেন। চোখে-মুখে কষ্টের ছাপটা স্পষ্ট। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ভার্চুয়ালি  হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রেলের সবুজ পতাকা হাতে ট্রেন যাত্রার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান দিয়ে মঞ্চের নীচেই দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে সমবেদনা প্রকাশ করলেন। অনুষ্ঠান ছোটো করে নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আজ ‘ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন’-র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা জোকায় ১০০ কোটি টাকায় তৈরি করা হয়েছে। যা দেশে জল, নিকাশি ও পরিচ্ছন্নতার হাব হতে চলেছে। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও যোগ দেবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: শেষযাত্রায় মায়ের দেহ নিজের কাঁধে তুলে নিলেন, মুখাগ্নি করলেন মোদি

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা অনুষ্ঠানে হাওড়া স্টেশনে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ফুল দিয়ে সাজানো ছিল গোটা ট্রেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের ফলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত আরও সহজ হবে। মাত্র সাত ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। তবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেনের গতি কতটা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হয়েছে বোলপুরে। এর পাশাপাশি মালদহ টাউন এবং বারসোই স্টেশনেও দাঁড়াবে এই এক্সপ্রেস ট্রেন। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্বমানের ট্রেনগুলিকে টক্কর দিতে তৈরি বন্দে ভারত। ট্রেনটি পুরোটাই এসি চেয়ার কার। প্রতিটি আসন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরবে অর্থাৎ কোচে থাকবে রিভলবিং চেয়ার। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে ট্রেনের ভিতরেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share