Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: নাম করে অভিযোগ করলেই মানহানির মামলা করব! মমতাকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    Suvendu Adhikari: নাম করে অভিযোগ করলেই মানহানির মামলা করব! মমতাকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করা হলেই মানহানির মামলা করবেন বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চলতি বছরের মে মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এই আবহে বুধবার বীরভূমে এক সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, ‘কেউ কেউ সরকারে থেকে সবথেকে বেশি চুরি করেছে, সবথেকে বেশি গদ্দারি করেছে। তাঁদের মুখে এখন আবার কালো টাকার গল্প শুনি। শুনলেও হাসি পায়।’ যদিও এদিন সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    মমতা যা বলেছিলেন

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করা হলে তিনি জানতে চান তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে কি না। জানিয়ে দেন, যদি তাঁর নাম উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করা হয়, তাহলে তিনি মানহানির মামলা করবেন। শুভেন্দুর সংযোজন, ‘ওনাকে প্রমাণ করতে হবে। উনি আমার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছেন।’ বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    শুভেন্দুর পাল্টা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করছেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা। বীরভূমের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি তো খুশি কয়েকটা ডাকাত গদ্দার আমার দল থেকে বিদায় নিয়েছে। পুরুলিয়ার ছেলেমেয়ের চাকরির কোটাটাই তো কেটে দিয়েছিল।’ প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর করা এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শিশির পুত্র শুভেন্দু ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন সভামঞ্চ থেকে মালদার গাজোলে মমতার সেই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘কাকে বলছেন? নাম ধরে বলুন। আমি যদি ডাকাত বা গদ্দার হই, বিধানসভায় ডেকেছিলেন কেন?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    Viswa Bharati: ‘মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে সুবিধা, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলি’, বিস্ফোরক বিবৃতি বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কান দিয়ে দেখেন। স্তাবকরা যা শোনান, তাই বিশ্বাস করেন, টিপ্পনি করেন।” এবারে বিশ্বভারতীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক বিবৃতি দিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা। কারণ, বিশ্বভারতী প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” বুধবার বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের থেকে তিন পাতার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে শুরুতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হুঁশিয়ারির জবাবেই পালটা বিবৃতি দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনরত বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বোলপুরে জনসভার মঞ্চ থেকে আরও একবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেন তিনি। সেখানকার সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়া, কয়েক জন অধ্যাপক দেখাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অভাব-অভিযোগের কথা তাঁকে জানান। এরপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, “শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মচারীরা কাঁদছেন। প্রতিবাদ করলে সাসপেন্ড বা রেস্ট্রিক্টেড করা হচ্ছে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের বাড়িতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচিল তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণ করবেন, সেটা চলতে পারে না। বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব বিশ্বভারতীর

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই বুধবার প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতী সম্পর্কে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্য করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। আরও লেখা হয়েছে, “বিশ্বভারতীতে এখন ৪৭৩ জন শিক্ষক, প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এবং ৭৫০ জন কর্মচারী বন্ধু আছেন। তার মধ্যে এক জন শিক্ষক এবং ছয় জন ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য শুনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়, কারণ তিনি কান দিয়ে দেখেন। যে অধ্যাপক সম্পর্কে বললেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এটা সর্বৈব ভুল। তাঁকে শাস্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রস্তাবটা নিয়ে ওই অধ্যাপক মামলা করেছেন। অতএব ব্যাপারটা বিচারাধীন। মাননীয় কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। অতএব মুখ্যমন্ত্রী একটু বাড়াবাড়ি করলেন না কি?” আবার ছাত্রদের প্রসঙ্গ এনেও বিশ্বভারতীর তরফে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রদের সম্পর্কে যা মতামত দিয়েছেন তা তথ্যগত ভুল। সেই ছাত্রদের কেন পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে এই বিবৃতিতে।

    গতকাল বিশ্বভারতীতে পাঁচিল তোলা নিয়েও কর্তৃপক্ষকে নিশানা করেছিলেন মমতা। ফলে তার উত্তরে আজ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ওনার নিরাপত্তার জন্য বোলপুর শহরকে ঘিরে ফেলা হল। ওনার বাসস্থান, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কি দেওয়াল নেই? আরও জানাই এই দেওয়াল তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তিন যুগ আগে।”

    আবার এই বিবৃতিতে নাম না করে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল ও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত একাধিক মন্ত্রী-উপাচার্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়েছে, “আজ আপনার মনোনীত মন্ত্রী ও উপাচার্য গারদের ভিতরে। কী করে হল? কারণ আপনি স্তাবকদের কথা শুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেই বিধ্বস্ত। আপনার প্রিয় শিষ্য, যাঁকে না হলে আপনি বীরভূম ভাবতে পারতেন না। তিনিও জেলে। কবে বেরোবেন কেউ জানে না। আগে সাবধান করলে আপনি দুর্নাম থেকে বাঁচতে পারতেন। আপনি যদি সত্যি অর্থে মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হন, তবে এই কথাটা আপনার বোধগম্য হবে।”

    এর পর বিবৃতি শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গে এনে বলা হয়েছে, “বিশ্বভারতী একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা কারণ আমরা প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে চলতে অভ্যস্ত।” এরপর ছাত্র-ছাত্রী, মাস্টার মশায়দের ভুল পথে চলার জন্য প্ররোচনা না দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয় এবং পরামর্শ দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী যেন তথ্য, প্রমাণ দিয়ে মত তৈরি করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ ‘চোখ দিয়ে দেখুন, কান দিয়ে নয়।’ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে।

  • Union Budget: আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি বাজেটে, কত বাড়ল জানেন?  

    Union Budget: আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি বাজেটে, কত বাড়ল জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় খয়রাতি করছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। এমন অভিযোগ উঠেছে। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। কেবল বাংলা নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও একই অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও সকলের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

    বরাদ্দ বৃদ্ধি…

    বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে আগের বছরের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেশি। ফলে এই প্রকল্পে বাজেট (Union Budget) বেড়ে হয়েছে ৭৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সীতারামন জানান, গরিব মানুষের মানোন্নয়নে মোদি সরকার সব সময় প্রস্তুত। আগামী কয়েক বছরে যাতে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন উন্নত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে মোদি সরকার। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এই বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে প্রধানমন্ত্রী অবাস যোজনায় বরাদ্দ হয়েছিল ৪৮ হাজার কোটি টাকা।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Union Budget) প্রকল্পে যাঁদের স্থায়ী বাড়ি নেই, তাঁদের বাড়ি দেওয়া হয়। আবাস প্রকল্পের অধীনে তালিকা তৈরি করার সময় এটি দেখা হয় যে সুবিধাভোগীর কোনও মোটরচালিত দুই বা তিন চাকার গাড়ি নেই। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি মানদণ্ডও নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, কারও কাছে ৫০ হাজার কিংবা তার বেশি টাকার কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলে তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাবেন না। পরিবারে একজন সরকারি কর্মচারি থাকলেও, সেই পরিবারও এই প্রকল্পে বাড়ি পাবেন না। একটি পরিবারের কোনও সদস্য যদি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করেন, তাহলে তিনিও আবাসন প্রকল্পে বাড়ি পাবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’! অমৃতকালের প্রথম বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    কোনও পরিবারে ফ্রিজ, ল্যান্ডলাইন সংযোগ থাকলে কিংবা আড়াই একর বা তার বেশি কৃষি জমি থাকলে, তাহলেও, তিনিও ওই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে দেশের লক্ষাধিক মানুষ আবাসন পেয়েছেন। এই প্রকল্পে পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির জন্য দেওয়া হয় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা, আর সমতল এলাকার বাসিন্দাদের দেওয়া হয় এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    Recruitment Scam: ‘‘চারপাশে এত দুর্বৃত্ত, দিদি একা পারছেন না’’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারপাশে বহু দুর্বৃত্ত, তাই দিদি একা সামলাতে পারছেন না, অভিমত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা চলাকালীন বুধবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি। এদিন মানিকের প্রসঙ্গে ভরা এজলাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘দিদি একা আর সামলাতে পারছেন না। চারপাশে এত দুর্বৃত্ত থাকলে তিনি সামলাবেন কী করে?’’ এ প্রসঙ্গেই ভূপেন হাজারিকার ‘হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে!’ গানটি স্মরণ করেন তিনি।

    বিচারপতির প্রশ্ন

    এদিন ফের একবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই-ও। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “লন্ডনে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ির ঠিকানা জানেন? জানেন উনি কতবার লন্ডনে গিয়েছেন? আদালত তদন্ত করছে না সিবিআই?” মানিক সম্পর্কে অনেক তথ্য তাঁর জানা আছে, এজলাসে তার প্রমাণ দেন বিচারপতি নিজেই। তিনি জানান, লন্ডনের কোথায় মানিকের বাড়ি রয়েছে, তা তিনি জানেন। তিনি এ-ও জানেন, সেই বাড়ির পাশে এমন এক জনের বাড়ি রয়েছে, যিনি নিজেও রাজনৈতিক নেতা।

    আরও পড়ুন: চলতি মাসের ১৫ তারিখ পেশ হতে পারে রাজ্য বাজেট, জানালেন চন্দ্রিমা

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, মানিক ভট্টাচার্যের ২টি বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন এটা কী করে সম্ভব? পালটা বিচারপতি বলেন, “ছি! ছিঃ! ছিঃ। এটা কী হচ্ছে! লজ্জার ব্যাপার হল তিনি এখনো বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি।” সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, গত ২ সপ্তাহে তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। কিছু এসএমএস উদ্ধার হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের কাছ থেকেও কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। ’এই মামলার শুনানিতে আগেই মঙ্গলবার সিবিআই আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে বুধবার সিবিআইয়ের আবেদন ছিল, ‘‘তিন সপ্তাহ পরে আমরা রিপোর্ট পেশ করব। তার পর তদন্তকারী আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাসকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক।’’ তবে সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা হাঁটলেন ৫০ মিনিট ধরে। তৃণমূলের গড়ে নিজের জাত চেনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ভিড়ে ঠাসা লোকজনের মাঝে লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত মাত্র তিন কিমি রাস্তা শুভেন্দুর হেঁটে পৌঁছতে ৫০ মিনিট সময় লেগে যায়। শহিদ বেদির পাশে বিজেপির দলীয় পতাকা দেওয়া সভামঞ্চের ব্যাকড্রপে ছিল শুভেন্দু, নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা, সাংসদ কুনার হেমব্রম-সহ রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতির ছবি। 

    শুভেন্দু যা বললেন

    এদিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘কে রুখে দেয় আমি দেখব। আমিও জানি কী ভাবে সোজা করতে হয়। অনেক বড় বড় মাতব্বরকে সোজা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোদ্দ পুরুষও আমাকে আটকাতে পারবে না।’’ নেতাই কাণ্ডের জেলমুক্ত অভিযুক্তদের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা দশ-বারো বছর জেল খেটে ফিরে এসেছেন, তাঁরা ভদ্র থাকুন, ভাল থাকুন। বেশি আর লাল ঝান্ডা নিয়ে উৎপাত করবেন না। এসব করতে যাবেন না। আবার বিপদে পড়বেন। পাশে কেউ দাঁড়াবে না। এখন সব গেরুয়া ঝান্ডা হয়ে গিয়েছে। আপনারা পারবেন না তৃণমূলকে টাইট দিতে। আমরা ছাড়া কেউ পারবে না।’’ 

    সভা শেষে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের মঞ্চে ডেকে নেন শুভেন্দু। এসেছিলেন নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি দ্বারকানাথ পন্ডাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘শহিদবেদিতে আমাকে মালা দিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি দ্বারকাবাবু ও নেতাইবাসী মানেননি। তাই দ্বারকাবাবুকে স্মৃতিরক্ষা কমিটি থেকে সরানো হয়েছিল। এটা বিজেপির কর্মসূচি। উনি বিজেপির সদস্য নন, তাই তাঁকে আহ্বান করতে পারি না। কিন্তু উনি নিজে এসে পুরো গ্রামের মানুষের মনের কথা বলে দিলেন।’’ এদিন অমর্ত্য সেনের উদ্দেশে বিজেপির আক্রমণের বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি সমাজ সংস্কারের কাজ করছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়েও তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, দুর্নীতির একেবারে মূল উপড়ে ফেলতে চাইছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি’। এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে হাজির ছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন নিজের উত্তরীয় খুলে তা দিয়ে নেতাইয়ের ‘শহিদ বেদি’ পরিষ্কার করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তার পর মাল্যদান করেন তিনি। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলের অর্থে বগটুই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য! এদিন ঠিক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তারপর সেইসব চেকের ছবি ট্যুইট করে সরব হন শুভেন্দু। ১০ মাস হয়ে গিয়েছে বগটুই গণহত্যার। গত বছর ২৪ মার্চ বগটুইয়ে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, এই ক্ষতিপূরণের টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা বগটুই কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দেওয়া অনুদান হিসেবে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই ট্যুইটে তিনি মেনশন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আবার ট্যুইটের মাধ্যমেই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷

    ট্যুইটে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্থিক সাহায্যের ভিডিও আপলোড করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এরপর রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “স্কুলছাত্রীদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল তহবিলে অর্থ দেয়৷ সেই অর্থ ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে! এটা একটা আর্থিক অপরাধ।” তিনি আরও লিখেছেন, বাংলার সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে৷ আপৎকালীন তহবিল ও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে কোনও অর্থ নেই৷ তার পরও অর্থ-কম্বল প্রদান চলছে৷ সেগুলি মিড ডে মিলের তহবিল থেকে করা হচ্ছে৷ তিনি আবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷

    বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ

    একই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সরব হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি চেকের ছবি দিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকার বগটুই কাণ্ডে যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এ ব্যাপারে তিনি দুটি চেকের ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, অন্য সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মত মিড ডে মিলের প্রকল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছে ৩০ জানুয়ারি। তাঁরা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। তবে তার আগে বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের টাকায় এই অভিযোগ আনায় ও শুভেন্দুর ট্যুইট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

  • Mamata Banerjee: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    Mamata Banerjee: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে আজ, সোমবার  বীরভূমে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তোরণে তোরণে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বীরভূমের নানা প্রান্ত। সেখানে বড় বড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, একাধিক জনপ্রতিনিধির ছবি। কিন্তু ব্রাত্য অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আপাতত জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই তাঁকে দূরে রেখেই কী পরিকল্পনা সারতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? প্রশ্ন বোলপুরের অলিতে গলিতে।

    দূরত্ব বাড়ছে!

    জেলার বাসিন্দাদের কথায়, বীরভূমের যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের প্রচারে অনুব্রতর ছবি থাকা কার্যত নিয়ম ছিল। সেই বোলপুরেই এবার ব্রাত্য একদা দিদির স্নেহ ধন্য কেষ্ট। কখনও জনসভা, কখনও প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বারেবারেই অনুব্রতর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে দলনেত্রীকে। এমনকি বহু বার জেলা সফরে এসেও অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন মমতা। এর আগে গত বছর মার্চে বগটুইয়ের ঘটনার পরে পরেই মমতা বীরভূম সফরে এসেছিলেন । তখনও দলের জেলা সভাপতি তথা তাঁর স্নেহের কেষ্টকে পাশে পেয়েছিলেন দলনেত্রী। কিন্তু এখন জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এখন তিনি জেলে। তাই অনেকের মতে, দলীয় প্রচারে অনুব্রতর ছবি তোরণে থাকলে জনমানসে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সেকারণেই ফ্লেক্স থেকে উধাও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রভাবশালী তকমা এড়াতে!

    অনেকের মতে, আসলে তৃণমূলের কর্মসূচির তোরণে যদি জেলবন্দির অনুব্রতর ছবি থাকে তবে প্রভাবশালী তকমায় ফের ভূষিত হতে পারেন তিনি। এর জেরে অনুব্রতর জামিন পেতে সমস্য়া হতে পারে। সেকারণেই তোরণ থেকে সুকৌশলে জেলবন্দি অনুব্রতর ছবি সরিয়ে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁকে বীরের আখ্যা থেকে শুরু করে নানা রকম আখ্যা দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কোনও কিছুতেই কিছু না হওয়ায়, আজ দল থেকে ছেঁটে ফেলতেই ফ্লেক্স থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ কাজ অনেক আগেই করা উচিত ছিল তৃণমূলের।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ তে ৫৭ শতাংশ মোবাইল ভারতে তৈরি হয়। অ্যাপল মোবাইলেও লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। ভারত আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করছে। প্রতিরক্ষা দফতরে আগে প্রচুর দুর্নীতি হত। ডুবোজাহাজ কিনতে দুর্নীতি, হেলিকপ্টার কিনতে দুর্নীতি হত। এখন ভারত বিভিন্ন দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছে। এটাই পরিবর্তিত ভারত। নদিয়ার বেথুয়াডহরির সভায় এভাবেই মোদি সরকারের জয়গান গাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। একই সঙ্গে আবাস থেকে শুরু করে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে রাজ্য দুর্নীতি করছে বলে দাবি করেন তিনি। নাড্ডা বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর এখানে ঘোটালা হচ্ছে। গরু, বালি, কয়লা এমনকী শৌচাগার থেকেও টাকা খাচ্ছে তৃণমূল। ওরা সংবিধান পর্যন্ত মানেন না।” হুঁশিয়ারির শুরে বলেন, “সংবিধান না মানলে জনতা বিচার করবে।”

    দিদি রাগবেন না!

    নাড্ডার মতে, এখন সবকিছুতে দিদি রেগে যাচ্ছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘আবাস নিয়ে তদন্ত হলে রেগে যান। আপনারা বলেন কাজ করতে দিচ্ছে না। মনরেগায় কৃষকদের টাকা খাওয়ার তদন্ত হলে তাতেও চিন্তায় পড়ে যান। এখানে সবথেকে বেশি মানব পাচার হয় কি না বলুন? সবথেকে বেশি মহিলাদের উপর অত্যাচার হয় কি না বলুন?’’ নাড্ডা বলেন, ‘‘একটা বৈঠকে দিদি আমার পাশে বসেছিলেন। আমি বললাম, দিদি এত রেগে যাবেন না। আপনি সংবিধান মেনে কাজ করুন, নিয়ম অনুযায়ী চলুন, দুর্নীতির সঙ্গ ছাড়ুন। আপনাকে ভগবান সুযোগ দিয়েছেন। আমি দিদিকে বলতে চাই, দিদি এত রাগ করো না। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।’’

    দুর্নীতির সরকার

    এদিনে সভায় রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির কথা তোলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা পাঠায়, এখানে দুর্নীতি হয়। আর তদন্ত হলেই মোদি সরকারের নামে বলতে থাকে। মোদি সরকার সততার সরকার, আপনার সরকার বেইমানের সরকার, এটা বুঝতে হবে।’’  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। বেথুয়াডহরি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘পয়সা পাঠাচ্ছেন মোদি আর তুমি এখানে দুর্নীতি করছ? আর যখনই তদন্ত হবে, বলবে সরকার শত্রুতা করছে। চুরিও করবে, গায়ের জোরও খাটাবে?’’

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    নাড্ডার মতে, এসবের থেকে রাজ্যবাসীর মুক্তির একটাই পথ। তা হল, তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনা। তিনি বললেন, ‘‘এসব থেকে মুক্তির একটাই রাস্তা, তা হল বিজেপি। তা পঞ্চায়েত ভোট হোক বা লোকসভা ভোট। বলুন, লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না?’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘পদ্মে ছাপ দাও, চোর ধরেও দেব, জেলে ভরেও দেব। পদ্মে ভোট দিন, বাকিটা দেখে নেব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যপাল থাকাকালীন মাননীয় জগদীপ ধনখড় (Ex Governor Jagdeep Dhankar) আইন-সংবিধানকে ভঙ্গ করার জন্য রাজ্য সরকারকে (state government) চেপে ধরেছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনৈতিক কাজে সমস্যা হয়েছিল’। তাই ‘এবার তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে রাজ্যপালকে ম্যানেজের জন্য মরিয়া।’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। 

    রাজ্যপালের উপর আস্থা প্রকাশ

    বুধবার একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একজন শিক্ষাবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তবে তাঁর কাজ এবং চলার পথ ভিন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ওনাকে প্রথম দিন থেকে ম্যানেজ করতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট।” শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন, লোকায়ুকত বিল ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য যে বিল আনতে চাইছেন, তাতেও আমি ছাড়পত্র দিতে পারব না। কারণ এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন, আমি লোকায়ুত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আগের রাজ্যপালের সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল, তাই আমি ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই, তাই আচার্য পদ পরিবর্তন বিল নিয়ে আমি আর আপনাকে কিছু বলব না।’’

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    শুভেন্দু  প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসাও করে বলেন, ‘‘উনি থাকাকালীন রাজভবনকে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’বর্তমান রাজ্যপালের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বিরোধী দলনেতা জানান, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যে সমস্ত উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী উপাচার্য হননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য পদে অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন। সমস্ত  উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। সুযোগ পেলে রাজ্যপালকে আমি একথা জানাব। ওনাকে তৃণমূল সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করব। রাজ্যপালের উপর বিশ্বাস আছে যে, তিনি বেআইনি কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না, যদি সেটা হয়, তাহলে সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর জানাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ে একাধিকবার প্রচারে গেলেও এখনও শিখে উঠতে পারেননি খাসি, গারো, পাঁর– মেঘালয়ের এই তিন ভাষা। তাই এবার ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের ভাষা শিখতে শুরু করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়বাসীর কাছে আপাতত সেরকমই অঙ্গীকার করলেন মমতা।

    অন্য ভাষা শিখতে আগ্রহ

    অন্য রাজ্যে প্রচারে গেলে সেখানকার ভাষায় কথা বলটা জনসংযোগের একটা ধাপ। রাজনীতিকরা চেষ্টা করেন ভিন রাজ্যে প্রচারের সময় সেই রাজ্যের ভাষা বলার। পুরো না হলেও নিদেন পক্ষে দু-এক লাইন। মমতা বন্দ্যোপাধায়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। কিন্তু মেঘালয়ে সেই তাল কেটেছে। বুধবার মেঘালয়ের এক জনসভায় মমতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি এই পাহাড়ি রাজ্যের ভাষা জানেন না। তাঁর কথায়, ‘পরের বার যখন আসব আপনাদের এলাকায় আপনাদের ভাষা শিখুতে চাই। আমায় শেখান প্লিজ! এর মধ্যে আমি ইউটিউব থেকে শিখতে আরম্ভ করব।’ আপতত ইউটিউব ভরসা হলেও তিনি মেঘালয়ের মানুষের কাছ তাঁদের ভাষা শিখতে পারলেই সবচেয়ে খুশি হবেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি হব, আপনাদের কাছ থেকে আপনাদের ভাষা শিখলেই।’ 

    আরও পড়ুুন: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    অন্য ভাষা শেখার আগ্রহ মমতার বরাবরের। এমনই দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বছর কয়েক আগে বাংলায় বাণিজ্য সম্মেলনে সেই কথা নিজেই জানিয়েছিলেন। তিনি নিজে কতগুলি ভাষা জানেন, বিভিন্ন সভায় তার খতিয়ানও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যখন তিনি ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন ভিয়েতনামি ভাষা শিখেছিলেন। রাশিয়ার গিয়ে রাশিয়ান ভাষা শিখেছেন। এছাড়া তাঁর জানা ভাষার তালিকায় রয়েছে, গুজরাটি, আসমিজ, মণিপুরী, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, মারাঠি, বাংলা, হিন্দি, গোর্খা, নেপালি। এবার সেই তালিকায় ঢুকবে খাসি, গারো, পাঁর ভাষা।  বুধবারই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট। মঙ্গলবারই সে রাজ্যে ভোটপ্রচারে গিয়েছেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেঘালয়ের মেদিপাথরের জনসভায় মমতা  জানান মেঘালয় তাঁর মনে। তাই সেখানকার ভাষাও রপ্ত করতে চান তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share